একতার কণ্ঠঃ সাধারণত ডায়াবেটিসে নিউরোলজিক্যাল সমস্যাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটি হচ্ছে— পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি। পায়ে-হাতে যে সমস্যাটি হয়। আরেকটা হচ্ছে— ইন্টার্নাল অর্গানের নার্ভ যখন যুক্ত হয়, সেটাকে বলা হয় অটোনোমিক নিউরোপ্যাথি। এর ফলে দেহের ভিতরের অনেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ শিশুদেরও কি ডায়াবেটিস হয়?
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ডায়াবেটিস ও হরমোন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারিয়া আফসানা।
পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি
সাধারণত রোগীর কিছু নিউরোপ্যাথলজিক্যাল উপসর্গ (হাতে-পায়ে ঝি ঝি করা, জ্বালাপোড়া করা, ব্যথা করা, অলটার সেন্সেশন বা হেঁটে যাচ্ছেন পায়ের তলায় নরমাল একটা সেনসেশন হচ্ছে) দেখা দিতে পারে।
অটোনমিক নিউরোপ্যাথি
অটোনমিক নার্ভ আক্রান্ত হলে দেহের ভিতরের অনেক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সমস্যা হতে পারে। যেমন আমাদের হৃদপিণ্ড ও রক্ত পরিবহন তন্ত্র আক্রান্ত হলে হৃদপিণ্ডের গতি বেড়ে যায়। শোয়া বা বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে রক্তচাপ কমে যায় ও মাথা ঘোরে। অনেকসময় পরিপাক তন্ত্রেরও সমস্যা হয়। ফলে মনে হয় পেটের মধ্যে খাবার জমে আছে।
তাছাড়াও যৌন ক্ষমতাও অনেক সময় কমে যায়। প্রস্রাব ও মল ত্যাগে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। শরীরের নীচের অংশে ঘাম কম তৈরি হয়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে পা ফেটে যায় ও পায়ে আলসার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার অনেক ক্ষেত্রে অটোনোমিক নিউরোপ্যাথি রোগী হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে গ্লুকোজ কমে গেলে বুঝতে পারে না। যার ফলে তার গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের সময় অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হয়।
বিশেষ করে কার্ডিয়াক বা হার্টের সমস্যা নিয়ে, যেমন- পুসচারাল ড্রপ বা পুসচারাল হাইপারটেনশন নিয়ে প্রেজেন্ট করতে পারে।
ইউরোলজিক্যাল বা ইউরিনারি ব্লাডারের সমস্যা হলে- প্রস্রাবের কিছু সমস্যা হতে পারে। (রিটেনশন হয়ে যাওয়া, প্রস্রাব আটকে থাকা, কন্ট্রোলে না থাকা) এই ধরনের সমস্যা ডায়াবেটিসে নিউরোপ্যাথি নিয়ে আসতে পারে।
তাহলে এই নিউরোপ্যাথির উপসর্গগুলো কিন্তু আমাদের আসলে কো-রিলেট করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীর যখন অর্গানের জটিলতা শুরু হয়, তখন সার্চ করতে হবে অন্যান্য অর্গানের নিউরোপ্যাথি আছে কি না? সেটাও দেখে নিতে হবে। সাধারণভাবে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বা হাতে-পায়ের এই উপসর্গগুলো নিয়েই কিন্তু বেশি পেশেন্ট এসে থাকে নিউরোলজিক্যাল উপসর্গ নিয়ে।
সেই ক্ষেত্রে আমরা নিউরোলজিক্যাল কিছু পরীক্ষা আছে সেটার মাধ্যমে ডায়াগনোসিস করি। রোগীর নিউরোপ্যাথি আছে কি না। আর ইন্টার্নাল অর্গানে বা অটোনোমিক নিউরোপ্যাথি যেগুলো, সেগুলো একটা অর্গানে যদি নিউরোপ্যাথি থাকে, তাহলে আমরা ধরে নেই অন্যান্য অর্গানেও নিউরোপ্যাথি হয়েছে। সেই হিসেবে সব অর্গানের চিকিৎসা করতে হবে।
ডায়াবেটিসে আরও যেসব সমস্যা হতে পারে?
ডায়াবেটিসজনিত চোখের সমস্যা বা রেটিনোপ্যাথি, ডায়াবেটিসজনিত কিডনি বা নেফ্রোপ্যাথি, এবং ডায়াবেটিসজনিত পায়ের নার্ভ বা নিউরোপ্যাথিক সমস্যা হতে পারে। এই প্রধান সমস্যাগুলো আমরা মাইক্রোভাস্কুলার কম্প্লিকেশন হিসেবে পেয়ে থাকি।
আরেকটা জটিলতা হচ্ছে ম্যাক্রোফেস্কুলার বা বড় বড় রক্তনালীগুলো যখন ইনভলভ হয়। যেমন- স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক অথবা পায়েল রক্ত চলাচলে সমস্যা, পেরিফেরাল ভাস্কুলার ডিজিজ নিয়েও আসতে পারে। মোটামুটি ভাবে এইগুলোই বড় কম্প্লিকেশন।
অবশ্যই মনে রাখতে হবে, এই জটিলতাগুলো শুনে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। যদি ডায়াবেটিস সুনিয়ন্ত্রিত থাকে অবশ্যই আমরা জটিলতা থেকে মুক্ত থাকতে পারি।
সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন
একতার কণ্ঠঃ সুস্থতার জন্য কিডনির সুস্থতা জরুরি। শিশুদের অনেকেই এখন কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আবার যে কোনো গুরুতর অসুখ অথবা ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কারণেও শিশুদের কিডনি সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই শিশুর কিডনির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
রক্তের মধ্যে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করা ও প্রয়োজনীয় পদার্থ ধরে রাখা; শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা; বিভিন্ন হরমোন তৈরি করা ও তৈরিতে সাহায্য করা; রক্তের কণিকা তৈরিতে সাহায্য ও শরীরের হাড়কে সুস্থ রাখা ইত্যাদি কাজ করে কিডনি। প্রতিটি কাজই মানব শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কিডনি সুস্থ না থাকলে এসব কাজে বিঘ্ন ঘটে ও শারীরিক বিপর্যয় দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশুদের ঝুঁকি বেশি।
শিশুদের কিডনি সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক্স অ্যান্ড নিউনেটোলজি ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং কো-অর্ডিনেটর ডা. সাবিনা সুলতানা।
শিশুর কিডনি রোগের লক্ষণ
ঘন ঘন প্রস্রাব করা, প্রস্রাবে ইনফেকশন হওয়া; ফোঁটা ফোঁটা প্রস্রাব করা, বিছানায় প্রস্রাব করা (৬ বছরের অধিক বয়সে), প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, প্রস্রাবের সময় তলপেট/কোমর ব্যথা করা, শরীরে পানি আসা/ফুলে যাওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়া, কিডনিতে পানি জমা হওয়া, কিডনি ছোট-বড় হওয়া, উচ্চরক্তচাপ দেখা দেওয়া, কিডনিতে জম্মগত ত্রুটি থাকা- এসব লক্ষণ দেখা গেলে, পরিবারের কারও কিডনি রোগ থাকলে, শিশু সময়ের আগে জন্মগ্রহণ করলে, জন্মের পর শিশুর ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে দেরি না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।
শিশু যদি ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডিতে আক্রান্ত হয়, কিডনি পুরোপুরি অক্ষম হয়, ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হয় তবে চিন্তার কিছু নেই। দেশেই এখন কিডনি রোগের সুচিকিৎসা সম্ভব। এছাড়া নিয়মিত ফলো-আপ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক চর্চা ইত্যাদির মাধ্যমে দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব।
শিশুর জন্মগত কিডনি রোগ আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে ধরা পড়ে। মূত্রনালি ও মূত্রাশয়ের গঠনগত সমস্যা; মূত্রপথের ভাল্বের কার্যক্রমে বাঁধা; কিডনি থাকা না থাকা; বিভিন্ন আকারে অর্থাৎ ছোট-বড় থাকা; ঠিক জায়গা মতো না থাকা; কিডনি ফোলা থাকা ইত্যাদি সমস্যা সম্পর্কে আলট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়।
শিশুর মূত্রনালির সংক্রমণ (ইউটিআই) শিশুদের অন্যতম প্রধান একটি রোগ। অনেক ক্ষেত্রেই এ রোগের সঠিক নির্ণয় ও চিকিৎসা নিয়ে অবহেলা করা হয়। ফলে বার বার সংক্রমণের দরুন শিশুর কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসার অভাবেই শিশুদের কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট হয়।
এসব বিষয়ে অভিভাবকদের বেশি সচেতন থাকতে হবে। শিশুদের প্রস্রাবের সংক্রমণ অবহেলা না করে সঠিক সময়ে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণে কিডনির রোগ প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পিকআপ ও ব্যাটারি চালিত অটো-রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরোও ৭ জন। আহত ৭ জনের মধ্যে ৫ জনকে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও গুরুতর ২ জনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার ( ১ এপ্রিল) সকাল ৬ টার দিকে এলেঙ্গা-জামালপুর মহাসড়কের কালিহাতী আরএস পাইলট স্কুলের সামনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো – উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের রিমা আক্তার ( ৩০) , কালিহাতী পৌরসভার উত্তর বেতডোবা এলাকার আজান আলীর ছেলে রমজান আলী ( ৫৫)।
স্থানীয়রা জানান, সকালে একটি পিক-আপ মধুপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথে পিক-আপটি মহাসড়কের কালিহাতী আর এস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা ব্যাটারি চালিত অটো-রিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটো চালকসহ ২ জন নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত ৭ জনের ৫ জনকে উদ্ধার কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও গুরুতর আহত ২ জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কালিহাতী থানার অফিসার-ইন-চার্জ ( ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় পিকআপ চালক পলাতক রয়েছেন। পিকআপ ও অটোরিকশা জব্দ করে থানায় নেয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ২টি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ মুসলিম উম্মাহর দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান মাস। আর মাত্র ৪ দিন পেরুলেই শুরু হবে রমজান। এখনই রমজানের প্রস্তুতিতে বিশেষ কিছু আমলের বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। তাহলে রমজান শুরুর আগের মুমিন মুসলমানের সেই প্রস্তুতি ও করণীয়গুলো কী?
মুমিন মুসলমানকে মনে রাখতে হবে, রমজান ভোগ, পণ্য মজুত বা বাড়তি মুনাফায় ব্যবসা-বাণিজ্যের মাস নয়, বরং রমজান হলো কোরআন নাজিলের মাস, সংযমের মাস এবং ত্যাগের মাস। এ মাস ইবাদত-বন্দেগির মাস। আল্লাহর রহমত বরকত মাগফেরাত নাজাত ও যাবতীয় কল্যাণ লাভের মাস। তাই এ মাসের আগমনের আগে মুমিন মুসলমানের বিশেষ কিছু করণীয় রয়েছে। সেজন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
হজরত মুয়াল্লা ইবনে ফজল রাহমাতু্ল্লাহি আলাইহি নামে এক বিখ্যাত তাবেয়ি বলেন, ‘সালাফে সালেহিনগণ রমজানের ৬ মাস আগে থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন-
‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করেন। আর রমজান শেষে তারা বাকি ৬ মাস দোয়া করতেন- হে আল্লাহ! রমজানে যা আমল করেছি; তা আপনি কবুল করে নিন।’
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর কোনো বান্দা যে কোনো ভালো কাজ বা আমল যদি যথাযথভাবে উত্তম উপায়ে করে; তবে সে আমল বা কাজ আল্লাহ তাআলা পছন্দীয় হিসেবে গ্রহণ করেন।’ (তাবারানি)
১. তাওবাহ-ইসতেগফার করা
রমজানের আগের সব গোনাহ থেকে তাওবাহ ইসতেগফার করতে হবে। কোনো অন্যায়কারী যদি ভাবে যে, রমজান চলে এসেছে, আর আমার সব গোনাহ এমনিতেই ক্ষমা হয়ে যাবে। বাস্তবে বিষয়টি এমন নয় বরং আগে থেকে তাওবাহ-ইসতেগফার করে রমজানের যাবতীয় কল্যাণ লাভে নিজেকে প্রস্তুত করা খুবই জরুরি। আর তাতে আল্লাহ তাআলা ওই বান্দার আগের সব গোনাহ মাফ করে দিয়ে রমজানের যাবতীয় কল্যাণ দিয়ে জীবন সুন্দর করে দেবেন। এ জন্য বান্দা বেশি বেশি পড়বে-
> اَللَّهُمَّ اغْفِرْلِىْ : আল্লাহুম্মাগফিরলি,
হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দিন।
২. রমজানের সব উপকারিতা স্মরণ করা
বরকতময় মাস রমজান সম্পর্কে কোরআন-সুন্নায় যেসব ফজিলত মর্যাদা ও উপকারিতার বর্ণনা রয়েছে, রমজান শুরু হওয়ার আগেই সেসব সম্পর্কে জেনে নেওয়া। সেসব উপকার পেতে কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনাগুলো মেনে চলার প্রস্তুতি নেওয়া। মাস রমজান আসছে, মানসিকভাবে বারবার এ কথার স্মরণ ও নেক আমলের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে এ দোয়াটি বেশি বেশি করা-
> اَللَّهُمَّ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ : আল্লাহুম্মা বাল্লিগনা রামাদান।
হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। অর্থাৎ রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করুন।’
৩. রমজানের রোজার মানসিক প্রতিজ্ঞা নেওয়া
রমজান মাসে পরিপূর্ণ সাওয়াব ও ক্ষমা পেতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা। জীবনভর যত গোনাহ করেছি এ রমজানে সেসব গোনাহ বা অন্যায় থেকে পরিপূর্ণ ক্ষমা পেতে হবে। সবচেয়ে বেশি সাওয়াব পেতে হবে। রমজান শুরু হওয়ার আগে এ প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করা জরুরি।
আফসোসের বিষয়! অনেক সময় পূর্ব প্রস্তুতি না থাকার কারণে রমজান পেয়েও মুমিন মুসলমান পরিপূর্ণ সাওয়াব ও ক্ষমা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়।
প্রতিজ্ঞা এমনভাবে করা যে, চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য বা নিজের কাজ যেমনই হোক, আমি আমার বিগত জীবনের সবে গোনাহ থেকে নিজেকে মাফ করিয়ে নেবো। আমার প্রতি আল্লাহকে রাজি-খুশি করিয়েই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।
৪. রমজান শুরু আগেই আগের কাজা রোজা আদায় করা
রমজান শুরু হওয়ার আগে বিগত জীবনে অসুস্থ হওয়ার কারণে বা সফরের কারণে রমজানের ফরজ রোজা কাজা হয়ে থাকলে তা যথাযথভাবে আদায় করে নেওয়া। বিশেষ করে মা-বোনদের ভাঙতি রোজা থাকতে পারে। তাই রমজানের আগে শাবান মাসের এ সময়ে কাজ রোজা আদায় করে নেওয়া। এতে দুইটি ভালো আমল বাস্তবায়িত হবে-
প্রথমটি : রমজানের ফরজ আমলের প্রতি আগ্রহ বাড়বে
বিগত জীবনের কাজা রোজা আদায় হবে। রমজানের রোজা পালনের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।
দ্বিতীয়টি : সুন্নাতের অনুসরণ হবে।
রমজানের আগের মাস শাবানে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে। কাজা রোজা আদায় করার মাধ্যমে সুন্নাতের অনুসরণও হয়ে যাবে।
৫. যাবতীয় গুনাহ থেকে সাধারণ ক্ষমা পাওয়ার চেষ্টা করা
আল্লাহ তাআলা রমজান মাসে অনেক মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। তবে এ সাধারণ ক্ষমা সবার ভাগ্যে জোটে না। কেননা এ ক্ষমা পেতে হলে দুইটি কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্ষমা প্রার্থনা করে তা থেকে ফিরে আসতে হবে। তাহলো-
> শিরক থেকে মুক্ত থাকা।
আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শিরক না করা। কেউ ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায়, ছোট বা বড় শিরক করে থাকলে রমজান আসার আগেই তা থেকে তাওবাহ-ইসতেগফারের মাধ্যমে ফিরে আসা।
> হিংসা থেকে মুক্ত থাকা।
কারো প্রতি কোনো বিষয়ে হিংসা না করা। কারণ হিংসা মানুসের সব নেক আমলকে সেভাবে জালিয়ে দেয়; যেভাবে আগুন কাঠকে জালিয়ে দেয়। তাই হিংসা পরিহার করে মনকে ক্ষমা লাভে স্বচ্ছ রাখা।
৬. রমজানের ফরজ রোজার নিয়ম-কানুন জেনে নেয়া
রমজান মাস আসার আগে রোজা পালনের মাসআলা-মাসায়েল তথা নিয়ম-কানুনগুলো ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি। আর তাতে রমজানের রোজা নষ্ট হওয়া থেকে বা মাকরূহ হওয়া থাকে বা অন্যান্য বিষয়গুলো জেনে নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করা।
৭. বিগত রমজানের অসমাপ্ত কাজ চিহ্নিত করা
রমজান মাস আসার আগে বিগত রমজানের নেক আমলগুলো করতে না পারার কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করা। যেমন-
> কেন নিয়মিত কোরআন অধ্যয়ন করা হয়নি?
> কেন তারাবিহ পড়া হয়নি?
> কেন দান-সহযোগিতা করা হয়নি?
> কেন ইতেকাফ করা হয়নি?
> কেন রোজাদারকে ইফতার করানো হয়নি?
> কেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা সম্ভব হয়নি?
> কেন কোরআন-সুন্নার আলোচনায় বসা হয়নি?
> কেন রমজানের পরিবারের লোকদের হক আদায় করা হয়নি?
> কেন রমজানের পাড়া-প্রতিবেশি বা আত্মীয়দের হক আদায় করা হয়নি?
এ বিষয়গুলো চিহ্নিত করে নেওয়া। এ বছর রমজান আসার আগে আগে চিহ্নিত কারণগুলো থেকে নিজেকে বিরত রেখে কিংবা প্রস্তুতি গ্রহণ করে কল্যাণকর সব নেক আমল করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
৮. চলতি শাবান মাসজুড়ে রমজানের মহড়া চালু রাখা
রমজান মাসের বেশি বেশি ইবাদত করতে এবং রোজা রাখার জন্য শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা। বেশি বেশি কোরআন অধ্যয়ন করা। নফল নামাজ পড়া। তাওবাহ-ইসতেগফার করা। ত্যাগের মানসিকতা তৈরি করা। দান-সাদকাহ শুরু করা। যাতে এ মহড়ার বাস্তবায়ন পুরো রমজানজুড়ে সুন্দরভাবে চালানো যায়।
৯. রমজান মাসজুড়ে ২৪ ঘণ্টার রুটিন করা
রমজান মাসজুড়ে যে যেই কাজেই থাকুক না কেন, পুরো সময়টি কোন কোন কাজে কীভাবে ব্যয় হবে তার একটি সম্ভাব্য রুটিন তৈরি করে নেওয়া। আগাম রুটিন থাকলে রমজানে চরম ব্যস্ততার মাঝেও নেক আমলসহ অন্যান্য কাজগুলোও ইবাদতের মধ্যেই কেটে যাবে। এককথায় সব কাজের তালিকা করে নেওয়া।
১০. শাবান মাসের শেষ দিকে রমজানের চাঁদের অনুসন্ধান করা
শাবান মাসের ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় চাঁদের অনুসন্ধান করা সুন্নাত। মুছে যাওয়ার পথে থাকা এ সুন্নাতটিকে আবারও জীবিত করার পূর্ব পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
বর্তমান সময়ে চাঁদ দেখা (হেলাল) কমিটির দিকে তাকিয়ে থাকা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। আবার অনেকে মোবাইল বা রেডিও টিভির সংবাদের অপেক্ষা করেন। এতে চাঁদ দেখা এবং দোয়া পড়ার সুন্নাতটি থেকে বঞ্চিত হয় মুমিন মুসলমান। তা থেকে বেরিয়ে এসে চাঁদ অনুসন্ধান করার সুন্নাতটি জীবিত করার সর্বাত্মক পূর্ব প্রস্তুতি রাখা।
> রমজানের চাঁদ দখে নবিজীর দোয়া
যারা রহমতের মাস রমজানের নতুন চাঁদ দেখবে তারা বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পড়া সেই দোয়াটিও পড়বে। যেখানে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রার্থনা রয়েছে। হাদিসে এসেছে-
হজরত তালহা ইবনু ওবায়দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন বলতেন-
اَللهُ اَكْبَرُ اَللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَ الْاِيْمَانِ وَالسَّلَامَةِ وَ الْاِسْلَامِ وَ التَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ وَ تَرْضَى رَبُّنَا وَ رَبُّكَ الله
উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ঈমানি ওয়াস্সালামাতি ওয়াল ইসলামি ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ।
অর্থ : আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তাওফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
> রমজানের চাঁদ দেখলে কিংবা দেখার খবর শুনলেই হৃদয়ের গভীর থেকে আল্লাহর কাছে মুমিনের আকুতিভরা প্রার্থনা হবে এমন-
اللَّهُمَّ سَلِّمْنِي لرمضان، وسلم رمضان لي، وتسلمه مني مُتَقَبَّلاً
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা সাল্লিমনি লিরমাদান, ওয়া সাল্লিম রামাদানা লি, ওয়া তাসলিমাহু মিন্নি মুতাক্বাব্বিলা।’ (তাবারানি)
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে শান্তিময় রমজান দান করুন। রমজানকে আমার জন্য শান্তিময় করুন। জন্য রমজানকে শান্তিময় করে দিন। রমজানের শান্তিও আমার জন্য কবুল করুন।
১১. রমজানের আগে থেকেই বেশি বেশি দোয়া
রমজানের আগে আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করা। হে আল্লাহ! আমি যতই চেষ্টা করি, তোমার তাওফিক বা ইচ্ছা না থাকলে আমি যেমন রমজান পাবো না। আবার রমজান পেলেও রবকত লাভে সক্ষম হবো না। সুতরাং রমজান ও রমজানের নেক আমল করার তোমার কাছে চাই।
হে আল্লাহ! রমজানে যত মানুষ সৌভাগ্যবানদের কাতারে নাম লেখাবে, তাদের কাতারে আমাকেও শামিল করো; হে রাব্বুল আলামিন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের আগে উল্লেখিত ১১টি প্রস্তুতি যথাযথভাবে আগাম নিজেদের জীবনে বেশি বেশি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সংবাদ সূত্র-Jagonews24.com
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলে বালুবাহী ট্রাকের চাপায় পিষ্ট হয়ে জুয়েল (২৬) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল পৌর শহরের আশেকপুর এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুনঃ কালিহাতীতে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ
নিহত জুয়েল টাঙ্গাইল সদর উপজেলার যুগির বয়ড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।নিহতের নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) লুৎফর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোটরসাইকেল চালক আশেকপুর বাইপাস এলাকার দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বালুবাহী ট্রাক ওই মোটরসাইকেল চালকে চাপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থলে নিহতের সুজুকি মোটরসাইকেলটি পাওয়া গেলেও ঘাতক ট্রাক ও চালক পালিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
একতার কণ্ঠঃ ডায়াবেটিস সর্বগ্রাসী রোগ। এ রোগ একবার কারো হলে শরীরে নানা জটিলতা বাড়তে থাকে। মধ্যবয়সে সাধারণত ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। তবে বর্তমানে তরুণ বয়সেও অনেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। শিশুদেরও ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি আছে কিনা এমন প্রশ্ন জনে জনে।
আরো পড়ুনঃ কিডনি রোগের লক্ষণ, প্রতিরোধে কী করবেন?
মূলত মানসিক দুশ্চিন্তা, ওজন বেড়ে যাওয়া, কায়িক শ্রমের ঘাটতি, বংশীয় কারণ, খাদ্যাভ্যাস ও জীবন পদ্ধতির পরিবর্তন এসব কারণে ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস ধরা পড়ার আগেই সতর্ক থাকতে হয়।
শিশুদের ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সোসাইটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক ডা. মনজুর হোসেন।
শিশুদের মধ্যেও ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। বেশিরভাগ শিশু শৈশবে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। তবে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আগে চিকিৎসকরা জানতেন যে বাচ্চারা কেবল টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় এবং একে দীর্ঘকাল ধরে কিশোর ডায়াবেটিস (Juvenile Diabetes) নামে নামকরণ করা হতো। শিশুদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের একক প্রধান কারণ হলো অতিরিক্ত ওজন। যখন কোনো শিশুর ওজন খুব বেশি বেড়ে যায়, তখন তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার আশংকা দ্বিগুণ হয়।
শিশুদের টাইপ-১ ডায়াবেটিস অবস্থায় শরীরে ইনসুলিন উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে বেঁচে থাকার জন্য ইনসুলিনের দরকার পড়ে। ইনসুলিনের ঘাটতি বা অভাবকে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন বা পাম্পের মাধ্যমে পূরণ করা হয়। অগ্ন্যাশয় ইনসুলিন তৈরির ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে কারণ ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলো ধ্বংসের কারণে এমনটি হয়। কেন এমনটি ঘটে তা সঠিকভাবে কেউ জানেন না, তবে বিজ্ঞানীরা মনে করেন এটা জিনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। টাইপ-১ ডায়াবেটিস সম্ভবত ভাইরাসের সংক্রমণের কারণেও হয়ে থাকে। অন্যদিকে, টাইপ-২ ডায়াবেটিসে, অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন তৈরিতে কোনো ব্যাঘাত হয় না। তবে শরীর এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে সাড়া দেয় না বা প্রতিক্রিয়া দেখাতে ব্যর্থ হয়। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স্ (Insulin Resistance)-এর কারণে এ সমস্যা দেখা দেয় যখন গ্লুকোজ কোষগুলোতে প্রবেশ করতে পারে না এবং শক্তি সরবরাহ করার সক্ষমতা কমে যায়। এ কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে পর্যায়ক্রমে অগ্ন্যাশয় আরও বেশি বেশি ইনসুলিন তৈরি করতে সচেষ্ট হয়। অবশেষে, এক সময় অগ্ন্যাশয় রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপাদন করতে ধীরে ধীরে অক্ষম হয়ে পরে।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য বাচ্চাদের ঝুঁকির তিনটি কারণ-
* পরিবারের একজন সদস্যের টাইপ ২ ডায়াবেটিস থাকলে।
* মায়ের গর্ভকালীন ডায়াবেটিসসহ (গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস) জন্ম নেওয়া শিশুদের।
* যদি সন্তানের ওজন বেশি হয় এবং ওপরের দুটি ঝুঁকির কারণ থাকে।
ডায়াবেটিসের লক্ষণ : রক্তে উচ্চমাত্রার শর্করার জন্য ঘনঘন প্রস্রাব হয় এবং খুব তৃষ্ণার্ত থাকে বিধায় প্রচুর পানি পান করতে হয়। ক্লান্তি বা অবসাদ বোধ থাকে। কারণ শরীর শক্তির জন্য গ্লুকোজ সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে না। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশু এবং কিশোরদের ক্ষুধা বাড়তে পারে তবে ক্ষুধার্ত কোষগুলোকে জ্বালানি সরবরাহ করার প্রয়াসে শরীর পেশি ভেঙে ফ্যাট সংরক্ষণ করে যার জন্য ওজন হ্রাস পায়।
ডায়াবেটিসের চিকিৎসা : শিশুর টাইপ-১ বা টাইপ-২ ডায়াবেটিস আছে কিনা তা নির্ণয় করা আবশ্যক। কারণ ডায়াবেটিসের নিয়ন্ত্রণ এবং চিকিৎসা টাইপের ভিত্তিতে পৃথক হয়। মেটফরমিন নামে একটি ওষুধ গ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে। এটি এবং ইনসুলিন হলো ১৮ বছরের চেয়ে কম বয়সি শিশুদের জন্য রক্তে শর্করার হ্রাসকারী দুটি ওষুধ মাত্র।
চিকিৎসা অর্থাৎ লক্ষণগুলো হ্রাস করার জন্য ভালো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ এবং শিশু যাতে স্বাভাবিকভাবে তার শারীরিক, মানসিক, সংবেদনশীলতা বজায় রেখে সামাজিক বৃদ্ধি এবং বিকাশে সম্ভব হয়। আর এর জন্য, বাবা-মাকে লক্ষ রাখতে হবে শিশুর রক্তের শর্করার মাত্রা যতটা সম্ভব লক্ষ্য সীমার মধ্যে রাখা।
ডায়াবেটিসের কোনো নিরাময় নেই, ডায়াবেটিসের জন্য আজীবন চিকিৎসা প্রয়োজন। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশু-কিশোররা তাদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিদিন ইনসুলিন ইনজেকশন বা ইনসুলিন পাম্পের ওপর নির্ভর করে। শিশুদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে লক্ষণ ধীরে ধীরে বিকাশ লাভ করে এবং প্রথম দিকে কোনো লক্ষণই থাকে না। কখনো নিয়মিত চেক-আপের সময় এই ব্যাধিটি শনাক্ত করা হয়।
ডায়াবেটিস থেকে জটিলতা
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে ভবিষ্যতে হৃদরোগ, অন্ধত্ব দেখা দিতে পারে এবং কিডনি অকার্যকর হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে মৃত্যুঝুঁকিও বেড়ে যায়। এছাড়া ডায়াবেটিসে পরবর্তী জীবনে সরু রক্তনালি, উচ্চরক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। স্নায়ু বা নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রতিরোধ
তরুণদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের সমস্যা বাড়ছে। বাবা-মায়ের স্বাস্থ্য সচেতনতা ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এ ভয়াবহ অবস্থার প্রতিরোধ সম্ভব। স্থূলতা বা যাদের ওজন বেশি-বিশেষ করে যদি তাদের পেটের চর্বি বেশি থাকে-তাদের ইনসুলিন অকার্যকর বা প্রতিরোধ (Insulin Resistance) হওয়ার আশংকা বেশি থাকে, তাই টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য ইনসুলিন প্রতিরোধ একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের সাধারণত কোনো উপসর্গ থাকে না, যদিও কিছু বাচ্চার ত্বকে ঘন, গাঢ়, কাল মখমল প্যাঁচ তৈরি হয় যাকে অ্যাক্যানথোসিস নিগ্রিকানস (Acanthosis Nigracans) বলা হয়, সাধারণত ঘাড়ের পেছনে বা বগলের মতো শরীরের ক্রিজ এবং ভাঁজগুলোতে।
সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় এক সেনাবাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ মার্চ) গভীর রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সদর উপজেলার পাঁচবিক্রমহাটি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নিহত আইয়ুব আলী নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার শামসুল ইসলামের ছেলে। তিনি সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আতাউর রহমান জানান, রাতে মোটরসাইকেলযোগে আইয়ুব আলী ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে নাটোরে যাচ্ছিলেন। পথে তিনি মহাসড়কের পাঁচবিক্রমহাটি এলাকায় পৌঁছলে অজ্ঞাত একটি গাড়ি (বাস কিংবা ট্রাক হবে) চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। নিহতের লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আইয়ুব আলী যাত্রাবাড়িতে পোস্ট কলা ব্রিজের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি প্রায় দুই মাসের ছুটিতে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
একতার কণ্ঠঃ ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ হচ্ছে নীরব ঘাতক। যাদের এ দুটোর কোনো একটি স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় তাদের যাতনার শেষ নেই। চলাফেরা, জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হয়। বিভিন্ন কারণে কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে একজন মানুষ নানাবিধ শারীরিক জটিলতার মুখে পড়েন। এমনকি কিডনি একেবারে অকার্যকর হয়ে গেলে মৃত্যু সুনিশ্চিত।
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়গুলো জানা থাকলে অনেক সময় সুস্থ জীবন যাপন করা সম্ভব। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট একশনের (ক্রিডা) ডা. সুপ্রিয় পাল।
মানবদেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো কিডনি (বাংলায় বৃক্ক বলা হয়)। কিডনি রক্তে উপস্থিত দূষিত পদার্থগুলো পরিশোধন করে এবং মূত্র তৈরি করে সেগুলো দেহ থেকে বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। একটি অসুস্থ বা অকার্যকর কিডনির কারণে একজন মানুষ দীর্ঘমেয়াদি শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়। এজন্য অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সুস্থ রাখার পাশাপাশি কিডনি সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরি।
কিডনি রোগের উপসর্গ ও লক্ষণ
প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগের তেমন কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। ধীরে ধীরে কিডনির কার্যক্রম ক্ষমতা কমতে থাকলে লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে। ক্ষুধামন্দা, শরীরে ওজন হ্রাস পাওয়া, শরীরের বিভিন্ন অংশে (হাত, পা, মুখ) পানি জমে ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ হ্রাস পাওয়া বা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, শরীরে ক্লান্তিভাব আসা, ঘুম কম হওয়া, অসুস্থ বোধ করা, শরীরের বিভিন্ন অংশে চুলকানি হওয়া, মাঝে মাঝেই মাথাব্যথা হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ ক্রনিক কিডনি ডিজিসের শেষ পর্যায়ে প্রকাশ পেতে শুরু করে।
কিডনি রোগের ঝুঁকির কারণ
ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস, শরীরের অতিরিক্ত ওজন, ধূমপান, কিডনির জন্য ক্ষতিকর এমন ওষুধ সেবন, জন্মগত কিডনির সমস্যা, ৬০ বছরের ঊর্ধ্ব ব্যক্তি, প্রভৃতি কিডনি রোগের ঝুঁকির জন্য অন্যতম।
প্রতিরোধে করণীয়
কিডনি রোগের অন্যতম ঝুঁকির কারণ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ। সুতরাং যাদের দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাদের নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও ওষুধ সেবন করা বাধ্যতামূলক, যেন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ সবসময় নিয়ন্ত্রণে থাকে।
নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে এবং শরীরের অতিরিক্ত ওজন দ্রুত কমিয়ে ফেলতে হবে। যারা ধূমপান করে, তাদের জন্য ধূমপান ত্যাগ করার অন্যতম একটি কারণ হতে পারে। খাবার পাতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। রক্তে কলস্টেরল যেন সবসময় স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। প্রতিদিন বেশি পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। তবে যাদের কিডনি রোগ আছে, তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ফলমূল খাওয়া যাবে না। কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে নিয়মিত ওষুধ সেবন এবং রুটিন চেকআপ করানো আবশ্যক।
সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে পিকআপের ধাক্কায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন মহিলা ও এক শিশু রয়েছে। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে মধুপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রুপালী ফিলিং স্টেশনের কাছে ওই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিক কামাল।
নিহত পুরুষের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায়, এবং শিশু ও নারীর বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায়। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিক কামাল জানান, দুর্ঘটনায় শিশু ও তার মাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনা কবলিত পরিবহনগুলো জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
একতার কণ্ঠঃ পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ৭জন।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) রাতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা ফল ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে।
জানা যায়, জেলার মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে মাহবুব আলম মল্লিক, গোড়াই ইউনিয়নে হুমায়ুন কবীর, মহেড়া ইউনিয়নে বিভাস সরকার নুপুর, আনাইতারা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হেনা মোস্তফা কামাল, জামুর্কী ইউনিয়নে দিএ মতিন, বানাইল ইউনিয়নে আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাশতৈল ইউনিয়নে হেলাল দেওয়ান, ভাতগ্রাম ইউনিয়নে আজহারুল ইসলাম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে শহীদুল ইসলাম হেষ্টিং জয়লাভ করেন।
এদিকে, বাসাইল উপজেলার কাউলজানী ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে আতাউল গনি হাবিব, হাবলা ইউনিয়নে খোরশেদ আলম, কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম আল মামুন, ফুলকী ইউনিয়নে শামছুল আলম বিজু জয়লাভ করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার ঘাটাইল, বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়াও সংরক্ষিত ১৪৬ জন এবং সাধারণে ৪৯০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান জানান, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৩টি ইউনিয়নে ১৩৪টি কেন্দ্রে ৮৮৭টি ভোট কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হয়। এতে এক লাখ ৬৩ হাজার ৫৩৪ জন পুরুষ ও এক লাখ ৬২ হাজার ২২৬ জন নারী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
একতার কণ্ঠঃ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বর ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো.আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দুনীর্তির মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত খালেদার জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার অযুহাতে বিএনপি আন্দোলনের হুমকী দিচ্ছে। তারা দেশে আবারো আগুন সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। তাদের এই অপতৎপরতা রুখতে দেশের জনগনকে সজাগ থাকতে হবে।
মন্ত্রী রোববার (২ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যোনে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, তারা নির্বাচনে আসবে না বলে হুমকি দিচ্ছে। কেন আসবে না নির্বাচনে তাদের আসতে হবে। কেননা সংবিধান অনুযায়ি নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচনের আয়োজন করবে। সেই ক্ষেত্রে সকল দলের অংশ গ্রহণ করা উচিৎ। এরপরও যদি কোন দল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করে তাহলে সেই দায় দায়িত্ব তাদের। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব থাকবে সকল রাজনৈতিক দলের জন্য লেভেল ফিল্ড নিশ্চিত করবেন। সেনাবাহিনী, প্রশাসনসহ সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনকালীন সময়ে সংবিধান অনুযায়ি মাননীয় প্রধানমন্ত্রসহ কোন মন্ত্রীর কোন দায়িত্ব থাকবে না নির্বাচনের বিষয়ে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি বিএনপিরও সুমতি ফিরে আসবে ও তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে। দেশে একটু সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন হবে। এছাড়া হুমকি দিয়ে আমাদের সংবিধানে বিধান থেকে সরাতে পারবেনা।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বর্তমান সরকার দেশের সকল শ্রেনীর মানুষের পাশে রয়েছে। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে অসহায় মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করছে।
অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সদও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারীসহ জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপুর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিন করে।
একতার কণ্ঠঃ হাইকোর্টের অন্তবর্তীকালীন আদেশ পুনঃ বিবেচনা ও লাইসেন্সসহ ৮ দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে সমাবেশ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে অটোরিক্সা চালকরা। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা অটো রিক্সা, মেট্রো রিক্সা, ট্যাক্সি ও অটো টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর, রিক্সা, ব্যাটারি রিক্সা ও ইজি বাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান লিপন, জেলা অটো রিক্সা, ট্যাক্সি ও অটো ট্যাম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক আ. লতিফ মিয়া, সদস্য সচিব লুৎফুল কবির, যুগ্ম আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন উল্লাস প্রমুখ।
সমাবেশ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সহশ্রাধিক রিক্সা শ্রমিক অংশ নেয়। পরে পৌর উদ্যান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয় শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পৌর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা দাবি করেন, অটো রিক্সা, মেট্রো রিক্সা বন্ধে হাইকোর্টের অন্তবর্তীকালীন আদেশ গরীবের পেটে লাথি মারা ব্যতিত কিছু নয়। এ আদেশ বাস্তবায়নে বৃদ্ধি পাবে বেকার সমস্যা। এতে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন এ পেশায় লিপ্ত শ্রমিকরা। এছাড়াও এ ধরণের পরিবহনে চলাচলরত সাধারণ মানুষের বৃদ্ধি পাবে ব্যায়। সমস্যা লাঘবে হাইকোর্টের অন্তবর্তীকালীন আদেশ পুনঃ বিবেচনা ও লাইসেন্সসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।