সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে আমিনা বেগম (৪৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার পরনে থাকা স্বর্ণালঙ্কারও লুট করে নিয়ে যায় তারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের ঘোনারচালা গ্রামে বাড়ির পাশের ধানক্ষেত থেকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আমেনা বেগম একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী দুলাল হোসেনের স্ত্রী।
নিহতের গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল, আর শরীরে ছিল আঘাতের চিহ্ন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার পর তার শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে আমেনা বেগম প্রতিদিনের মতো পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে রাতের খাবার শেষ করেন। রাত প্রায় ১০টার দিকে তিনি তার স্বামী দুলাল হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ঘর থেকে বের হয়ে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি আর ঘরে ফিরে আসেননি।
পরিবার ও প্রতিবেশীরা সারা রাত ধরে খোঁজাখুঁজি করলেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে আমেনা বেগমর মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে সখীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের মেয়ে লিতু আক্তার বলেন, আম্মু ফোনে আব্বুর সঙ্গে কথা বলছিল। কিছু বুঝে উঠতে পারছি না—কে, কীভাবে, কেন এমন করল! আমাদের কিছুই নেই, কারো সঙ্গে কোনো বিরোধও নেই।
নিহতের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বোন একজন সহজ-সরল গৃহবধূ ছিলেন। কারো সঙ্গে কখনো ঝগড়া বা শত্রুতা হয়নি। আমরা ভাবতেই পারছি না, কীভাবে এই নির্মম ঘটনা ঘটলো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, এই এলাকায় এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড এর আগে কখনো ঘটেনি। বিষয়টি নিয়ে আমরা খুব উদ্বিগ্ন। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, আমেনা বেগমের মরদেহে শ্বাসরোধের চিহ্ন রয়েছে এবং পরনে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর, আমরা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত শুরু করেছি। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং সম্ভাব্য সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করা হয়েছে।
এই ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একই সাথে হত্যাকাণ্ডের পর ঘোনারচালা গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাত হলে অনেকে ঘরের বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। এলাকাবাসী দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সিয়াম আহম্মেদ (১৭) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল খনকারচালা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সিয়াম উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল খনকারচালা গ্রামের সৌদি প্রবাসী আমিনুর রহমানের ছেলে। সিয়াম মির্জাপুরের বংশাই স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে খাবারের পর সিয়ামের মা ও ছোট বোন পাশের বাড়িতে যান। এ সময় সিয়াম তার কক্ষে পড়তে বসে। মা আর বোন বাড়ি এসে সিয়ামের কক্ষ আটকানো দেখতে পায়। ডাকাডাকি পারলে সিয়ামের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে সিয়াম ঘুমিয়েছে এমন ধারণা করেন তারা। তবে দীর্ঘ সময় পরেও সিয়াম না ওঠায় এলাকার লোকজন নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় সিয়ামকে দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ প্রসঙ্গে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন জানান, সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
সাহান হাসানঃ অনলাইনে পরিচয় সূত্রে রংপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা রিনা আক্তার (২৪) এক সন্তানকে রেখেই চলে এসেছিলেন টাঙ্গাইলের সখীপুরে।
স্বামী-সন্তান ছেড়ে এসে উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের রডমিস্ত্রি দেওয়ান রাব্বীকে (২৬) বিয়ে করেন।
এই বিয়ের পাঁচ মাস পর মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রিনা আক্তার দ্বিতীয় স্বামীর বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সখিপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত রিনা আক্তার রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীর এলাকার আব্দুল মালেকের মেয়ে।
পুলিশ ও রিনার দ্বিতীয় স্বামীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনলাইনে দেওয়ান রাব্বীর সঙ্গে রিনা আক্তারের পরিচয় হয়। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরেই পাঁচ মাস আগে রিনা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামে দেওয়ান রাব্বীর বাড়িতে চলে আসেন। রাব্বী তাঁকে বিয়েও করেন। বিয়ের পর রিনা বাবার বাড়ির (রংপুর) কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি বলে জানান শ্বশুর দেওয়ান মোজাম্মেল।
রিনার শ্বশুর দেওয়ান মোজাম্মেল বলেন, এর আগেও রিনার এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। ওই ঘরে তার একটি ছেলেসন্তানও আছে। আমার ছেলের কাছে আসার পর আমরা তাদের বিয়ে মেনে নিয়েছি। মঙ্গলবার বিকেলে আমার ছেলে রাব্বী কাজ থেকে বাড়ি ফিরে দেখতে পায়, তার বউ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকির হোসেন জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলে আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদ জেলা শাখার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ মার্চ) বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের হলরুমে আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলার সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ, আলোকিত কালিহাতীর সভাপতি ও দৈনিক যুগধারার নির্বাহী সম্পাদক আব্দুল আলীম, দৈনিক আজকের টেলিগ্রামের সম্পাদক সাহাব উদ্দিন মানিক।
ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাপ্তাহিক ইন্তিজারের সম্পাদক এবি এম আব্দুল হাই, সময় তরঙ্গের সম্পাদক কাজী হেমায়েত হোসেন হিমু, দৈনিক টাঙ্গাইল প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক মো. মোস্তাক হোসেন, দৈনিক টাঙ্গাইল সমাচারের সম্পাদক মো. মাসুদুল হক, সাপ্তাহিক সমাজ চিত্রের সম্পাদক মামুনুর রহমান, সাপ্তাহিক লোকধারার সম্পাদক এনামুল হক দীনা, সাপ্তাহিক পাপিয়ার সম্পাদক সেলিম তরফদার, সাপ্তাহিক জাহাজমারার সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান, সাপ্তাহিক কালেরস্বরের সম্পাদক কবি শামছুজ্জামান, সাপ্তাহিক আমাদের টাঙ্গাইলের সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগধারা পত্রিকার সম্পাদক সরকার হাবিব।
সাহান হাসানঃ ২৫ মার্চ (মঙ্গলবার) গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ (বুধবার) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে টাঙ্গাইলে গণহত্যা ও মহান মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইল বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হামিদুল হক মোহন বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যথানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। এটাই সঠিক ইতিহাস নয়। মুক্তিযুদ্ধে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীসহ আরো অনেকের অবদানও কম ছিল না। এ সব বিষয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীদের জানতে দেওয়া হয়নি। এ জন্য তিনি স্কুলের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জেনে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু এক রাতের হত্যাকান্ডই ছিলনা, এটা ছিল মূলতঃ বিশ্ব সভ্যতার জন্য এক কলংকজনক জঘন্যতম গণহত্যার সূচনা মাত্র। ২৫ মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় ১ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা।
বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, আ.ন.ম বজলুর রহমান প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিবৃন্দ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রচনা ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বই বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরমান কবীরঃ চব্বিশের আন্দোলনে সকল শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া ও নতুন বাংলাদেশের মঙ্গল কামনায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন টাঙ্গাইল জেলা।
রবিবার (২৩ মার্চ) বিকালে টাঙ্গাইল শহীদ স্বৃতি পৌরউদ্যানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এই ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক আলামিন, সদস্য সচিব আবু আহমেদ শেরশাহ, মূখ্য সংগঠক সৈয়দ ইমতিয়াজ জাবেদ, মূখপাত্র ইফফাত রাইসা নূহা, সিনিয়র যুগ্ম সাইদুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্য সচিব সেজান প্রমূখ।
ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আলামিন বলেন, যেমনভাবে আমরা হাতে-হাত রেখে, কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে স্বৈরাচার পতন করেছি, তেমনি আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো৷ একইসাথে সকল রাজনৈতিক সংগঠককে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জারি রাখার আহ্বান জানাই। গত জুলাই-আগস্টের মতো আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সবাইকে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত হওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে রঞ্জু খন্দকার (৩৫) নামের এক মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে শনিবার (২২ মার্চ) রাতে উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রঞ্জু খন্দকার জেলার ভূঞাপুর উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের রাজ্জাক খন্দকারের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খানের মাদকাসক্ত ছেলে ফরিদ খানকে টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে যোগাযোগ করেন। সেই প্রেক্ষিতে গত শনিবার (২২ মার্চ) রাতে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয় জন ব্যক্তি মনির খানের বাড়িতে যান। পরে মনিরের ছেলে ফরিদকে ঘর থেকে বের করার সময় তার চিৎকারে পাশের বাড়ির পলাশ, রিপন ও তালেব খানসহ কয়েকজন এগিয়ে আসে। পরে ফরিদ, পলাশ, রিপন ও তালেব খানসহ কয়েকজনে মিলে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের লোকজনের ওপর অতর্কিহামলা চালায়। এ সময় মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারী রঞ্জু খন্দকার মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। সেখানে তার সঙ্গে থাকা অপর লোকজন স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিরাময় কেন্দ্রের আরও চারজন আহত হন।
এদিকে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (২৩ মার্চ) রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে রঞ্জু খন্দকারের মৃত্যু হয়। পরে সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে তার লাশ বাসাইল থানায় আনা হয়। পুলিশ তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফরিদ ও পলাশ মাদক কারবারি বলে স্থানীয়দের দাবি।
টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিক খন্দকার মজিবর রহমান তপন বলেন, মাদকাসক্ত ফরিদকে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য তার বাবা মনির খান আমাদের কাছে আবেদন করেন। সেই প্রেক্ষিতে আমাদের মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয়জন ফরিদকে আনতে তাদের বাড়িতে যান। সেখানে ফরিদকে আনার জন্য চেষ্টা করলে আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রঞ্জুর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে হানিফ পরিবহন বাসের ধাক্কায় অটোচালকসহ দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনাসেতু মহাসড়কের পাথাইলকান্দি এলাকার ২নং ব্রীজের কাছে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত একজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন, উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার ভাবলা গ্রামের ছাকু মন্ডলের ছেলে অটোচালক হাসেন আলী (৫৫), একই এলাকার মো. লালমিয়ার ছেলে সবুজ (১৩) ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রী নিয়ে একটি অটোরিকশা ভাবলা গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। অটোটি রবিবার বেলা ১১ টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল যমুনাসেতু মহাসড়কে উঠলে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস অটোটিকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোচালক হাসেন আলীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত দুইজনকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সবুজ নামের এক যাত্রীর মৃত্যু হয়।
যমুনাসেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আতিকুর রহমান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক বাসটিকে আটক করার চেষ্টা চলছে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিসি) ইফতার মাহফিলে ও কেন্দ্রীয নেতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকালে টাঙ্গাইলে শিশু একাডেমী অডিটোরিয়ামে এ সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মূখ্য সংগঠক সাইফুল্লাহ হায়দার, যুগ্ম মূখ্য সংগঠক আলী নাসের, মুখ্য যুগ্ম সংগঠক অলিক, সংগঠক আজাদ খান ভাসানী, কেন্দ্রীয় সদস্য মেজর সালাউদ্দিন, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আগামী দিনে অবশ্যই নাগরিক পার্টির বিকল্প নেই। তাই আগামী দিনে সবাই পার্টির পাশে থাকবেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, জাতীয় নাগরিক পার্টির টাঙ্গাইল জেলার সংগঠক মাসুদুর রহমান রাসেল।স
সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে দুই যুবকের বিরুদ্ধে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ভিক্ষুককে (২০) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আশিক খান (২৪) নামের এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
শনিবার (২২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর পূর্ব কাজিরাপাড়া এলাকা থেকে পুলিশ আশিককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত আশিক খান উপজেলার ঢংপাড়া মাঝিবাড়ি এলাকার কাশেম খানের ছেলে। অভিযুক্ত অপর যুবকের নাম মামুন (২৪)। সে উপজেলার কাঞ্চনপুরের দক্ষিণ বাইদপাড়া এলাকার শফিকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী ভিক্ষা করার জন্য উপজেলার কাঞ্চনপুরের পূর্ব কাজিরাপাড়া এলাকায় যায়। ওই নারী ঝিনাই নদীর পাড়ে পৌঁছলে আশিক ও মামুন নামে দুই যুবক মিলে জোরপূর্বক তাকে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ওই নারীকে ফেলে তারা দুজনে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পরে একপর্যায়ে সন্ধ্যায় অভিযুক্ত আশিককে স্থানীয়রা ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক সামির মিয়া ও যুগ্ম সদস্যসচিব মাহবুবুর রহমান বাসাইল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই যুবককে সেখান থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জালাল উদ্দিন বলে, ওই যুবককে থানায় আনা হয়েছে। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আমরা কবীরঃ টাঙ্গাইলে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের করা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সদর উপজেলার রাবনা বাইপাস এলাকায় দুপুর পৌনে ১২টা থেকে শুরু করে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে।
এই মহাসড়ক অবরোধের কারণে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গমুখী দু’পাশে প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, মঙ্গলবার হাইকোর্ট ৩০ শতাংশ পদ দিয়ে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের পদন্নোতির পক্ষে রায় দিয়েছেন। এতে তারা প্রমোশন পেয়ে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হবে। আর এই পদটি হচ্ছে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য। যারা ডিপ্লোমা পাস করে বের হবে তাদের চাকরির শূন্য পদ ৩০ শতাংশ কমে গেল। হাইকোর্টের এমন রায় টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সঙ্গে আমরা টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের সব ক্লাস এবং চলমান পর্ব মধ্য পরীক্ষা পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বর্জন করছি। দাবি না মানলে মহাসড়ক থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করব না।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করছেন জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক ট্রাক চালকের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ৭টায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের উপজেলার হাতিয়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
যমুনা সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাহেরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ট্রাক চালকের নাম উত্তম কুমার দে(৪০)।সে বগুড়া সদর উপজেলার দিলীপ কুমারদের ছেলে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, চালভর্তি একটি ট্রাক উত্তরবঙ্গের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ঢাকাগামী আলুভর্তি আরেকটি ট্রাক হাতিয়া নামক স্থানে পৌঁছলে ওই দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে চালভর্তি ট্রাকের চালক মারা যান। আহত হন আরও দুইজন। পরে যমুনা সেতু পূর্ব থানা পুলিশ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে।
যমুনা সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাহেরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহত চালভর্তি ট্রাক চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।