সাহান হাসান (বার্তা-সম্পাদক)

টাঙ্গাইলে মাদ্রাসাশিক্ষকের ওপর হামলা, জড়িতদের বিচার দাবি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মাদ্রাসাশিক্ষকের ওপর হামলা, জড়িতদের বিচার দাবি

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মাদ্রাসার শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার ( ৭ জুন) সকাল ৯টায় উপজেলার সিরাজকান্দি দাখিল মাদ্রাসার সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাদ্রাসার ছাত্রীদের উত্যক্তে বাধা ও প্রতিবাদ করায় শিক্ষকদের বহিরাগত যেসব বখাটেরা লাঞ্ছিত ও মাধধর করে আহত করেছে তাদের সবাইকে দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার ও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ইভটিজিংকারী বখাটে অভিযুক্ত দুইজন গ্রেফতার হলেও বাকিদের গ্রেফতারে গড়িমসি করছে পুলিশ। তারা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি করছি।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কদ্দুস, সহকারী শিক্ষক শফিকুল ইসলামসহ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ মে দুপুরে মাদ্রাসা ছাত্রীদের কমনরুমের কাছে টয়লেটের উপর দিয়ে উঁকি দেয় জাহিদ ও সাগর নামের দুই বখাটে। এ সময় মাদ্রাসার শিক্ষকরা টের পেলে বখাটে দুইজনের মধ্যে সাগর পালিয়ে যায় এবং জাহিদকে ধরে অফিস কক্ষে নিয়ে আসে শিক্ষকরা।পরে জাহিদকে তার এক বড়ভাই ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

পরের দিন সোমবার দুপুরে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও মুন্নাফ নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় পুনর্বাসনের কাছে পৌঁছলে জাহিদ, সাগর, শাহাদত, বাছেদ, স্বপনসহ ৮-১০ জন বখাটে তাদের মারার জন্য পথ আটকায়। একপর্যায়ে বখাটেরা রড ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মাথায় ও হাতে আঘাত করে। পরে স্থানীয় ও শিক্ষকরা তাদের উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন

ঘটনার একদিন পর আহত শিক্ষক নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫ জনের নামোল্লেখ করে ভূঞাপুর থানায় মামলা করলে টাঙ্গাইল র্যা ব-১২ সিপিসি ৩ এর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে গত বুধবার সাগর ও স্বপনকে গ্রেফতার করে ভূঞাপুর থানায় সোপর্দ করে র্যা ব।পরে বৃহস্পতিবার বিকালে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠায় ভূঞাপুর থানা পুলিশ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. জুন ২০২২ ০৬:৫৫:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে সহপাঠী হত্যার বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সহপাঠী হত্যার বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সহপাঠী সুমাইয়া হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন টাঙ্গাইলের কালিহাতীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুরে শামসুল হক কলেজ মোড় এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধনে এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় ছাড়াও শামসুল হক কলেজ, লুৎফর রহমান মতিন কলেজ, এলেঙ্গা বিএম কলেজ, জিতেন্দ্রবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আড়াইহাজার শিক্ষক, শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এসময় বক্তব্য দেন- এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মোল্লা, সরকারি শামসুল হক কলেজের অধ্যক্ষ আনোয়ারুল কবীর, লুৎফর রহমান মতিন মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, এলেঙ্গা বিএম কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল করিম তালুকদার, জিতেন্দ্রবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রদান শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র সাহা ও নিহত সুমাইয়ার চাচা ফিরোজ মিয়া প্রমুখ।

ekotar kantho

একাধিক ছাত্রী বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এছাড়া তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অপরদিকে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ, ইভটিজিং মুক্ত শিক্ষাঙ্গন এবং রাস্তাঘাটে মেয়েদের নিরাপত্তার দাবি জানান তারা।

নিহত সুমাইয়ার চাচা ফিরোজ মিয়া জানান, এ হত্যাকাণ্ড একা ঘটানো সম্ভব হয়নি। পুলিশ এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটকও করেছিল। আমরা মামলা করার পরও তাদের আদালতে পাঠায়নি। প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদেরও বিচার দাবি করছি। আমরা ধারণা করছি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা জড়িত।

এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, এলেঙ্গা ক্লাব থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সৃষ্টি। এ কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা সুমাইয়াকে হত্যা করেছে। কিশোর গ্যাং তৈরিতে যারা অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে তাদেরও বিচার চাই। যে ছুরি দিয়ে সুমাইয়াকে হত্যা করা হয়েছে সেই ছুরি হাতে নিয়ে ৭২ ঘণ্টা আগে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান মনির টিকটক করেছে। ভিডিওটি প্রশাসনের সব গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আছে। এছাড়াও ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। এলেঙ্গা শিক্ষা নগরীকে যারা অরক্ষিত বানাতে চায়, সেই হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করছি। এই ফাঁসির মধ্য দিয়ে এলেঙ্গা আবার শান্তির নগরীতে পরিণত হবে।

এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, মামলাটি তদন্তাধীন। তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মনির ছাড়া হত্যাকাণ্ডে কিংবা পরিকল্পনায় আর কেউ জড়িত থাকলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২৭ অক্টোবর সকালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গার কলেজ পাড়া এলাকার খোকনের নির্মাণাধীন বাড়ির নীচতলার সিঁড়িকোঠা থেকে সুমাইয়ার মরদেহ ও আহত অবস্থায় মনিরকে উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমাইয়া কালিহাতী পালিমা গ্রামের ফেরদৌস আলমের মেয়ে। পরদিন সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে ফেরদৌস আলম বাদী হয়ে মনিরকে আসামি থানায় মামলা করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. জুন ২০২২ ১১:১৭:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে শিশু গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে শিশু গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে সূত্রহীন  (ক্লু-লেস) ২য় শ্রেনির ছাত্রী তিশা (৯) কে গনধর্ষণসহ হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করার দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) টাঙ্গাইল। গনধর্ষণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার(৬ জুন) সকালে এ তথ্য প্রকাশ করে পিবিআই।

পিবিআই জানিয়েছে, শিশু তিশার প্রতি বিকৃত যৌন লালসা গ্রেফতারকৃত আসামিরা মনে পোষণ করে। সেই জেরে তিশাকে গনর্ধষণ ও হত্যা করার জন্য ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় আসামীরা।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা হলো- টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ভাটপাড়া এলাকার স্বপন মন্ডলের ছেলে গোবিন্দ মন্ডল (১৯), একই এলাকার আনন্দ মন্ডলের ছেলে চঞ্চল চন্দ্র মন্ডল (১৭) ও লালিত সরকারের ছেলে বিজয় সরকার (১৬)। আসামীরা শিশু তিশাকে গনর্ধষণ ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা পিবিআই এর কাছে স্বীকার করেছে।

টাঙ্গাইল পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমীন সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানায়, গত ২৬ মে সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার বন্দে ভাটপাড়া গ্রামের মো: আবু ভূইয়ার কন্যা শহীদ ক্যাডেট একাডেমির ২য় শেনির ছাত্রী তিশা আক্তার (৯) কে বসত ঘরের উত্তর পাশের রুমে ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়।

ওই সংবাদের ভিত্তিতে পিবিআই এর একটি চৌকস ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহ করে। পরে পিবিআই টিম জানতে পারে ঘটনার দিন সকালে মো: আবু ভূইয়ার স্ত্রী সম্পা বেগম তার ছেলে ৫ম শ্রেনির ছাত্র মো: শুভ ভূইয়া (১২) ও ২য় শ্রেনির ছাত্রী মেয়ে তিশা আক্তারকে (৯) স্থানীয় শহীধ ক্যাডেট একাডেমিতে নিয়ে যায়।

দুপুরে স্কুল ও কোচিং শেষ হলে তিশা বাড়িতে চলে আসে। ছেলে শুভ সময় মত বাড়িতে না আসায় তার মা তাকে খুঁজতে বের হয়। এসময় তিশা বাড়িতে একাই ছিলো। পরে শুভকে এলাকার ফজলুর দোকানে বসে থাকতে দেখে। এসময় শুভকে জুস কিনে দেয় এবং পাশের অমত মেম্বারের দোকান হতে বিস্কুট কিনেন ও দোকানদারের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

এতে প্রায় ঘন্টাখানিক সময় দেরি হয় তাদের বাড়িতে ফিরতে। বাড়িতে ফিরে মা ও ভাই দেখতে পায় বসত ঘরের উত্তর পাশের রুমে তিশা খাটের উপর ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলে আছে। এসময় মা ও ভাই তিশাকে বাঁচানোর জন্য ফাঁসের ওড়না খুলে দেয়ে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং তিশাকে অচেতন অবস্থায় প্রথমে বাসাইল উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এসময় দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তিশাকে টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার্ড করে। কিন্তু তিশার অবস্থা ভালো না থাকায় টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন চিকিৎসকরা। মেয়ের মা সম্পা বেগম মেয়েকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলে পথিমধ্যে এ্যাম্বুলেন্সটি নষ্ট হয়। এতে শিশু তিশার অবস্থা আরো থারাপ হতে থাকে। ফলে মেয়েকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ মে বিকেলে শিশু তিশা মারা যায়। বাসাইল থানা পুলিশ তিশার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত ও ময়না তদন্ত শেষে ২৯ মে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়। এ ঘটনায় পিবিআই টাঙ্গাইল তাদের ছায়া তদন্ত অব্যাহত রাখে। এ ঘটনায় ২৯ মে বাসাইল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়।

পরবর্তীতে ৪ জুন তিশার ময়না তদন্ত রির্পোটে গনধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। ওইদিনই তিশার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বাসাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়। পরে পিবিআই টাঙ্গাইল গনধর্ষণ ও হত্যা মামলাটি নিজ উদ্যোগে তথ্য প্রযুক্তি, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা ও বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নি:) খন্দকার আশরাফুল কবিরের নেতৃত্বে একটি চৌখস দল অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামী গোবিন্দ মন্ডল পেশায় একজন পিকআট ড্রাইভার, বিজয় সরকার তার সহযোগী ও চঞ্চল একজন অটো মেকানিক। এদের মধ্যে একজনকে বাসাইল পৌরসভার কাঁচাবাজার এলাকায় ও অপর দুই আসামীকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা এ ঘটনার সাথে জড়িত হওয়ার কথা স্বীকার করে এবং তারা জানায়, তিশা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ও পুজায় চমৎকার নাচ করতো। তার নাচের প্রতিভায় সবাই মুগ্ধ ছিল।

পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় আসামিরা সকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতো। তখন থেকে আসামিরা শিশু তিশার প্রতি বিকৃত লালসা তাদের মনে মনে পোষণ করে এবং বিভিন্ন ভাবে তিশাকে উতক্ত্য করতো। পরে তারা তিশার মায়ের গতিবিধি অনুসরণ করতে থাকে। একদিন আসামিরা জানতে পারে তিশার মা তিশাকে বাড়িতে একা রেখে ছেলেকে আনতে যায়। এই সুযোগে ঘটনার দিন বাড়িতে কেউ না থাকায় তিশার রুমে প্রবেশ করে তার হাত, মুখ, পা চেপে ধরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষনের ফলে তিশা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তখন আসামিরা ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য তিশার গলায় তার মায়ের ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পুলিশ সুপার আরো জানায়, এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিহত শিশু তিশার বড় ভাই শিশু শুভ কান্না জড়িত কন্ঠে ছোট্ট বোনটির হত্যাকারীদের বিচার দাবী করে বলে, আমি সব সময় বাড়িতে আমার ছোট বোনকে খুঁজে বেড়াই। কিন্তু ওকে কোথাও পাই না। তখন আমার অনেক কষ্ঠ লাগে। আমার বোনকে যারা হত্যা করেছে তাদের ফাঁসি চাই।

শিশু তিশার মা সম্পা বেগম বলেন, আমার ওই ছোট্ট মেযেটিকে কখনো ফুলের টোকাও দেয়নি। ওরা আমার অবুঝ মেয়েকে যে অমানবিক নির্যাতন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে তাদের একই রকমভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হোক। আমি এর বিচার চাই।

শিশু তিশার বাবা মো: আবু ভূইয়া বলেন, যারা আমার মেয়ের সাথে এ ধরনে কাজ করেছে তাদের কঠিন শাস্তি চাই। বিচার বিভাগের মাধ্যমে এমন একটি শাস্তি চাই যা দেখে আর কেউ যেন এমন করার সাহস না পায়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. জুন ২০২২ ০৪:০৯:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে সাপের দংশনে সাপুড়ের মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সাপের দংশনে সাপুড়ের মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে সাপের দংশনে হায়দার আলী মণ্ডল (৬৫) নামের এক সাপুড়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ( ৪ জুন) বিকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে তার মৃত্যু হয়। নিহতের জামাতা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হাফিজুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত হায়দার আলী মণ্ডল মধুপুর উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তহর মণ্ডলের ছেলে। ছোটবেলা থেকে সাপ ধরা, সাপ নিয়ে খেলা ছিল তার প্রধান শখ। খবর শুনলেই ছুটে যেতেন সাপ ধরতে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, শোলাকুড়ি দীঘির পশ্চিমপাড়ের ভাসানী মোড় এলাকা থেকে ধরা বিষধর সাপ শনিবার  সকালে হায়দার আলী মণ্ডলকে দংশন করে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে টোটকা চিকিৎসা দেওয়া হয়। এতে কালক্ষেপণে আরও খারাপ অবস্থার দিকে আগাতে থাকে। বিকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে হায়দার আলীর মৃত্যু হয়।

স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক উপ-পরিচালক ডা. শামসুল হক জানান, প্রতিটি হাসপাতালেই এখন এন্টিভেনম (সেরাম)  থাকার কথা। অবৈজ্ঞানিক টোটকা চিকিৎসা আর অবহেলায় বিলম্ব না করে হাসপাতালে নিয়ে আসলেই এ পরিণতি নাও হতে

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. জুন ২০২২ ০৭:৩৩:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে দাদার বিরুদ্ধে নাতনীকে ধর্ষনের অভিযোগ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে দাদার বিরুদ্ধে নাতনীকে ধর্ষনের অভিযোগ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে সাত বছরের এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, বাড়ির আঙ্গিনায় খেলার সময় কৌশলে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী আব্দুল মালেক (৬০)। সোমবার (৩০ মে) দুপুরে  উপজেলার ধোপাখালী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আব্দুল মালেক তিন সন্তানের বাবা এবং সম্পর্কে ভুক্তভোগীর দাদা হন।

পারিবারিক সূত্র জানায় ,  সোমবার দুপুরে বাড়ির আঙ্গিনায় সমবয়সীদের সঙ্গে খেলছিল শিশুটি। এ সময় টাকার লোভ দেখিয়ে তাকে ঘরে ডেকে নেন আব্দুল মালেক। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। এরপর শিশুটি কান্নাকাটি করলে বিষয়টি জানতে পারে পরিবার। পরে তাকে পাশের মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠান ।

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, ‘মেয়েটাকে মধুপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে ওর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গণ্যমান্যদের বিষয়টি জানিয়েছি। এর আগেও আব্দুল মালেক একাধিকবার এ কাজ করেছে। টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি মীমাংসা করতে গ্রামের মাতবররা চাপ দিচ্ছেন। আমরা গরীব মানুষ এর বিচার চাই।’

শিশুটির দূরসম্পর্কের দাদা ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য ইব্রাহীম মিয়া জানান, ‘যেহেতু এটা পারিবারিক বিষয় মীমাংসার চেষ্টা চলছে। চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (২ জুন) শিশুটিকে বাড়িতে আনা হয়েছে। বর্তমানে ডাক্তারের পরামর্শে অনুযায়ী তার চিকিৎসা চলছে’।

বর্তমান ইউপি সদস্য আবু সাঈদ জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি জানার পর ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের কেউ অভিযোগ করেনি বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান আকবর হোসেন। অপরদিকে এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তের বাড়িতে গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চান মিয়া জানান, ‘ঘটনাটি শুনেছি। ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারকে থানায় আসতে বলেছি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. জুন ২০২২ ০৫:৫৯:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল নারীর - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল নারীর

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় শাপলা বেগম (৫৬) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

বৃহস্পতিবার( ০২ জুন) সকাল ৯ টার দিকে সদর উপজেলার ভাতকুড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য উমর ফারুক খান মানিক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শাপলা বেগম সদর উপজেলার ভাতকুড়া গ্রামের শাহিন মিয়ার স্ত্রী।

আহতরা হলেন- নিহত শাপলা বেগমের মেয়ে সাথী আক্তার(২৬) ও সদর উপজেলার ভাতকুড়া গ্রামের মোহুরি মিয়ার স্ত্রী তারাবানু বেগম(৪৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল থেকে একটি ট্রাক বাসাইলের দিকে যাচ্ছিল। ট্রাকটি অপর একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গেলে তাদের তিনজনকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা খেয়ে শাপলা বেগম বিদ্যুৎতের খুঁটির সঙ্গে মাথায় আঘাত পান। এবং ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় অপর দুই জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশাররফ হোসেন জানান, দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরেছি। ট্রাকের ধাক্কায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।এঘটনায় দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। লাশ পরিবার কাছে রয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. জুন ২০২২ ১০:৪০:পিএম ৩ বছর আগে
‘শ…শ…’ শব্দ করলে শিশুর প্রস্রাবের বেগ আসে কেন? - Ekotar Kantho

‘শ…শ…’ শব্দ করলে শিশুর প্রস্রাবের বেগ আসে কেন?

একতার কণ্ঠঃ শিশুদের প্রস্রাবের ক্ষেত্রে সাধারণত ‘শ…শ…’, ‘শ…শ…’ শব্দটি কয়েকবার উচ্চারণ করলেই শিশুরা সুন্দরভাবে প্রস্রাব করে থাকে বা তাদের প্রস্রাবে বেগ আসে। শিশুদের এভাবেই প্রস্রাব প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন অভিভাবকরা। আর এটা শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বজুড়েই ব্যবহৃত একটি কার্যকরী কৌশল।

এটা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু কথা হচ্ছে, এই ‘শ…শ…’ শব্দটি আসলে কীভাবে শিশুদের প্রস্রাবে সাহায্য করে থাকে?

বিষয়টি আরো ভালোভাবে বোঝা যাবে কুকুরের ওপর করা রাশিয়ান বিজ্ঞানী ইভান পাভলভের একটি পরীক্ষা থেকে। মাংসের টুকরো খাওয়ার ক্ষেত্রে কুকুরের মুখের ভেতর প্রচুর লালা তৈরি হয়ে থাকে। পালভল তার পরীক্ষায় একটি ঘণ্টার আওয়াজ বাজিয়ে কুকুরকে মাংস খাওয়াতেন। তিনি কয়েকদিন এমনটা করেন, পরবর্তীতে কুকুরটি যখনই ঘণ্টার আওয়াজ শুনতে পেত তখনি মুখ দিয়ে লালা ঝরাতো, এমনকি পাত্রে মাংস না থাকা সত্ত্বেও।

যার অর্থ দাড়ায় যে, স্নায়ুতন্ত্র অবচেতনভাবে যে সাড়া দিয়ে থাকে, সেটি বাহ্যিক কোনো উদ্দীপনার মাধ্যমেও হতে পারে।অভিভাবকরা ঠিক একই কাজটি করে থাকের ‘শ…শ…’ শব্দটি উচ্চারণের দ্বারা শিশুদের প্রস্রাব করানোর ক্ষেত্রে। কিছুক্ষণের মধ্যে শিশুর মস্তিষ্ক ওই শব্দ এবং প্রস্রাব এর কর্মের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়। সুতরাং, এই শব্দ বাচ্চাদের স্বায়ত্তশাসনে প্রতিবর্তী ক্রিয়া আরম্ভ করে এবং তাদের প্রস্রাবে সাহায্য করে।

তবে শব্দের মাধ্যমে প্রস্রাবের এই বিষয়টি শুধু শিশুদের ক্ষেত্রেই নয়, কিছু প্রাপ্তবয়স্কদের মানুষের ক্ষেত্রেও বহিরাগত উদ্দীপনার দ্বারা আলোড়ন সৃষ্টি করে। উদাহারণস্বরুপ, অন্য কাউকে প্রস্রাব করতে দেখলে অথবা পানি পড়ার শব্দ এবং জলপ্রপাতের শব্দ কানে আসলে কিছু মানুষের প্রস্রাবের ভাব চলে আসে।

ভিয়েতনামে বাবা-মায়েরা শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই প্রস্রাব-পায়খানা করাতে ‘শি..স..স’ অর্থাৎ হুইসেল প্রশিক্ষণ দিতে আরম্ভ করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ অভ্যাসের ফলে ভিয়েতনামে শিশুদের ৯ মাস বয়সের পর থেকে সাধারণত ডায়াপারের প্রয়োজন পড়ে না।

গবেষকদের মতে, শিশুদের এ অভ্যাসে অভ্যস্ত করার নানা সুবিধা রয়েছে। এটি কেবল ডায়াপারের পেছনে টাকা ব্যয় করা কমিয়ে আনে না, পাশাপাশি পিতামাতার জীবনকে সহজ করে তোলে। অল্প বয়স থেকেই শিশুদের এতে প্রশিক্ষিত করা হলে তাদের মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মূত্রনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. জুন ২০২২ ০৬:৪৪:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে শিক্ষককে পেটানোর ঘটনায় দুই বখাটে গ্রেফতার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে শিক্ষককে পেটানোর ঘটনায় দুই বখাটে গ্রেফতার

একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শিক্ষককে পেটানোর ঘটনায় দুই বখাটেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। বুধবার (১ জুন) বিকেলে উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের পুনর্বাসন গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ১নং পুর্নবাসন গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে মো. স্বপন (১৮) ও আ. আলিমের ছেলে মো. সাগর (১৮)।

বুধবার (১ জুন) সন্ধ্যায় প্রেসবিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে টাঙ্গাইল এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রেসবিজ্ঞপ্তি জানানো হয়েছে, রোববার (২৯ মে) দুপুরে মাদরাসার মেয়েদের কমন রুমের কাছে টয়লেটের উপর দিয়ে উঁকি মারছিল জাহিদ ও সাগর নামের দুই বখাটে। ঘটনাটি ওই মাদরাসার শিক্ষকরা টের পেলে বখাটে দু’জনের মধ্যে সাগর পালিয়ে যায় এবং জাহিদকে ধরে অফিস কক্ষে নিয়ে যায় শিক্ষকরা। আটক জাহিদকে কৃতকর্মের জন্য সবার কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। পরে সোমবার (৩০ মে) দুপুরে ওই মাদরাসার শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও মুন্নাফ টিফিনের সময় নামাজ পড়তে পুনর্বাসনের মাঝামাঝি কমিউনিটি ক্লিনিকের কাছে পৌঁছালে জাহিদ, সাগর, শাহাদত, বাছেদ, স্বপনসহ ৮-১০ জন বখাটে শিক্ষক নজরুল ইসলামকে মারার জন্য পথ আটকায়।

একপর্যায়ে বখাটেরা তাকে রড ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মাথায় ও হাতে আঘাত করে আহত করে। পরে এলাকাবাসী ও শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করেন।

এরপর মঙ্গলবার (৩১ মে) ওই শিক্ষক বাদি হয়ে জড়িতদের আসামী করে ভূঞাপুর থানায় অভিযোগ এবং বুধবার (১ জুন) মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে স্বপন ও সাগর নামে দুই বখাটে কে আটক করে র‍্যাব।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা গেছে, র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে বহুদিন ধরে তারা মাদরাসার ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছিল বলে স্বীকার করেছে। পরে আটককৃতদের ভূঞাপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. জুন ২০২২ ০৪:০২:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলের নদীতে মিললো হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মরদেহ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের নদীতে মিললো হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মরদেহ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া এক রোগীর মরদেহ মিললো নদীতে। বুধবার (১ জুন) সকালে হাসপাতাল সংলগ্ন বৈরাণ নদী থেকে তার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত ওই ব্যক্তির নাম বেলায়েত হোসেন (৭৬)।তিনি পৌরশহরের সূতি পলাশ গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে।

পুলিশ জানায়, বেলায়েত হোসেন ২০০৬ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে অবসরে যান। নানা কারণে স্বজনদের সাথে তার দুরত্ব তৈরি হয়। এরপর ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর দেখা দেয় মানসিক ভারসাম্যহীনতা। এ কারণে গত তিন বছর যাবৎ নিজ বাড়ি ছেড়ে উপজেলার উত্তর পাথালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করতেন। গত ২৭ মে জ্বর ও পেট ব্যথা নিয়ে তিনি গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। গত রোববার হাসপাতাল থেকে তিনি উধাও হয়ে যান। আত্মীয় স্বজনরা কেউ আর তাঁকে খুঁজে পায়নি।

হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার প্রসেনজিৎ কুমার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি জানান, সবার অজান্তে সে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান। এরপর তাঁকে কোথাও আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে গোপালপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আলীম আল রাজী জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে আমি গত দুইদিন যাবৎ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ মিটিংয়ের জন্য ঢাকায় অবস্থান করছি। ওই ব্যাপারে হাসপাতালে কি ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সেটি জেনে আমি রাতে জানাবো।

গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে পিবিআই ও সিআইডি পুলিশ আলামত সংগ্রহ করে লাশ সনাক্তে সক্ষম হন। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগী উধাওয়ের বিষয়টি পরিবারকে জানিয়েছেন। তবে এ ব্যাপারে তারা থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেননি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. জুন ২০২২ ১১:৩৮:পিএম ৩ বছর আগে
কারাগারে মায়ের মৃত্যু, বিচারের দাবি তিন সন্তানের - Ekotar Kantho

কারাগারে মায়ের মৃত্যু, বিচারের দাবি তিন সন্তানের

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল কারাগারে সুচিকিৎসার অভাবে নাদীয়া জাহান শেলী নামে এক নারী কয়েদীর মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় জেল সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ডেপুটি জেলারসহ অজ্ঞাতনামা অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মৃতের স্বামী মো. মিনহাজ উদ্দিন।

মঙ্গলবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে আসামিদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই কয়েদীর পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ওই নারীর মেয়ে সোনালী আক্তার বলেন, তার মা নাদীয়া জাহান শেলী ডায়াবেটিক ও কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সখীপুর আমলী আদালতে চলমান সি.আর ৩১১/২০২১ এর মামলায় তিনি ছিলেন ২নং আসামি। ৪ এপ্রিল অসুস্থ অবস্থায় তার মা অন্য একটি মামলায় সখীপুর আমলি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। জামিনের জন্য আদালতে শারীরিক অসুস্থতার সকল প্রতিবেদন (রিপোর্ট) দাখিল করার পরও বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান। নাদীয়া জাহান শেলী অসুস্থ হওয়ায় তার সুচিকিৎসার জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ দেন বিচারক।

কিন্তু জেল সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ডেপুটি জেলারসহ অজ্ঞাতনামা অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার চিকিৎসার সু ব্যবস্থা না করে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তাকে সাধারণ কয়েদী হিসেবে জেনারেল ওয়ার্ডে রাখেন। চিকিৎসা না পেয়ে তিনি কারাগারে খুবই কষ্ট করেছেন। অবশেষে গত ৮ এপ্রিল রাতে তিনি (শেলী) চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করেন।

সোনালী আরও জানান, ১৯ এপ্রিল তার বাবা মিনহাজ উদ্দিন বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টাঙ্গাইল সদর থানা আমলী আদালতে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনের ১০৪(খ)/১০৯ ধারায় মামলা করেন। বিচারক এই অবহেলিত হত্যা মামলার বিষয়ে তার আদেশে উল্লেখ করেন ‘আসামিগণ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী হওয়ায় এবং অভিযোগের গভীরতা বিবেচনায় মামলার ঘটনার বিষয়ে পুলিশ বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দ্বারা তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হলে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে বলে আদালত মনে করেন।’ সার্বিক পর্যালোচনায় টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারকে মামলার ঘটনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ পূর্বক তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তার পাঁচ বছরের যমজ দুই ভাই হাসান ও হোসাইন উপস্থিত ছিল।

সোনালী আক্তার বলেন, আমার মা খুব অসুস্থ ছিলেন। তারপরও জেল সুপার তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি। জেল সুপার আদালতের নির্দেশকে অমান্য করেছেন। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি।

এ বিষয়ে জেলা সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কারাগারের দুজন চিকিৎসক নাদীয়া জাহান শেলীর সুচিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন। কারাগারে তাকে সুচিকিৎসাই দেওয়া হয়েছে। তিনি মারা যাওয়ার পর সকল প্রকার আইনি পক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মরদেহ নেওয়ার সময় তাদের কোনো অভিযোগ ছিলো না। এরপরও তারা চিকিৎসার অভাবে ওই কয়েদীর মৃত্যু হয়েছে দাবি করে আমাদের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট টাঙ্গাইল সদর থানা আমলি আদালতে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি আইনের ১০৪(খ)/১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলার বিষয়ে পুলিশ সুপার নিজেই তদন্ত করছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. জুন ২০২২ ০৬:১৩:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে নিখোঁজ ভ্যান চালকের দাফন সম্পন্ন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নিখোঁজ ভ্যান চালকের দাফন সম্পন্ন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে সোমবার (৩০ মে) বিকালে নিখোঁজ ভ্যান চালক হৃদয়ের (১৭) মরদেহ ছাতিহাটি সামাজিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এর আগে নিখোঁজের সাত দিন পর হৃদয়ের মরদেহ রোববার (২৯ মে) বিকালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার তারোটিয়ার পুংলি নদী থেকে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট সোমবার দুপুরে হস্তান্তর করে সদর থানা পুলিশ।

হৃদয় কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে।

অভিযোগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার (২২ মে) সন্ধ্যায় একটি ফোন পেয়ে সে ভ্যান নিয়ে সুরুজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। এঘটনায় হৃদয়ের মা রাশেদা বেগম বুধবার (২৫মে) কালিহাতী থানায় একটি অভিযোগ করেন।

হৃদয়ের মা রাশেদা বেগম বলেন, একই এলাকার মৃত লালচাঁনের ছেলে রাজু ও নজরুলের ছেলে ইয়ামিন নতুন ভ্যানের জন্য ফোনে ডেকে নিয়ে হৃদয়কে মেরে সুরুজ নদীতে ফেলে দেয়। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।

রাশেদা বেগম আরো বলেন, পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ছিলো হৃদয়, ওর বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। আমি কষ্ট করে মানুষের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালিয়ে দুটি মেয়ে বিয়ে দিয়েছি।অভাবের কারনে হৃদয়কে পড়াতে পারি নাই। দুই মাস আগে মানুষের কাছ থেকে টাকা তুলে নতুন একটি ভ্যান কিনে দিয়েছি। ভ্যান চালিয়ে পরিবারের ভরণপোষণ করতো হৃদয় ।

এবিষয়ে কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও তদন্ত কর্মকর্তা আল-আমিন বলেন, আমরা অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা ও তদন্ত অব্যাহত রেখেছি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. মে ২০২২ ১১:২৭:পিএম ৩ বছর আগে
ছাত্রীদের টয়লেটে উঁকি, প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে মারধর - Ekotar Kantho

ছাত্রীদের টয়লেটে উঁকি, প্রতিবাদ করায় শিক্ষককে মারধর

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ছাত্রীদের টয়লেটে উঁকি দেওয়ার প্রতিবাদ করায় সিরাজকান্দী দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলভি নজরুল ইসলামকে মারধর করেছে বখাটেরা। সোমবার (৩০ মে) দুপুরে ওই মাদরাসার শিক্ষক নজরুল ইসলাম নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় এ ঘটনা।

জানা যায়, রোববার (২৯ মে) দুপুরে মাদরাসার ছাত্রীদের কমনরুমের কাছে টয়লেটের ওপর দিয়ে উঁকি দিচ্ছিল জাহিদ ও সাগর নামে দুই বখাটে। ঘটনাটি শিক্ষকদের নজরে পড়লে জাহিদকে আটক করে অফিস কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি পুলিশ ও মাদরাসার সভাপতিকে জানানোর কথা শুনে জাহিদ পালানোর চেষ্টা করলে ছাত্ররা তাকে ধরে ফেলে। পরে খবর পেয়ে সুজন নামের একজন এসে জাহিদকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার জের ধরে সোমবার দুপুরে পুনর্বাসন এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিকের কাছে জাহিদ, সাগর, শাহাদত, বাছেদ, স্বপনসহ ৮-১০ জন ওই শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়। এসময় বখাটেরা রড ও ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে নজরুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করে ফেলে রাখে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় অন্যান্য শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এছাড়া কোনো মামলা না করার জন্য শিক্ষক নজরুল ইসলামের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের লোকজন জানান, নিকরাইল ইউনিয়নের সাবেক এক জনপ্রতিনিধি তাদের মামলা না করে বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দিচ্ছেন।

সিরাজকান্দি দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস জানান, নজরুল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদুল ইসলাম  জানান, এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. মে ২০২২ ১০:২৬:পিএম ৩ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।