একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে রেল সেতুর স্লিপার ক্লিপে নাট-বল্টুর (ডগ ক্লিপ) পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে কাঠের কুচি। এমটাই ঘটেছে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেলপথের কালিহাতী উপজেলার কয়েকটি রেল সেতুতে। সেতুগুলোর নষ্ট হওয়া লোহার ক্লিপে নাট-বল্টুর পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে কাঠের কুচি।
তবে, ঝুঁকিপূর্ণ এই রেলপথ মেরামতে থাকা শ্রমিকদের দাবি, নাট-বল্টু চুরি আর মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায় রেল চলাচলে সুবিধায় কাঠের ওই কুচি লাগানো হচ্ছে। কাঠের কুচির কারণে ট্রেন চলাচলে কোনো অসুবিধা হবে না বলেও দাবি তাদের।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঈশ্বরদী থেকে থেকে ঢাকার জয়দেবপুর পর্যন্ত ৩০৪ কিলোমিটার রেলপথের বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে কালিহাতীর এলেঙ্গা পর্যন্ত ছোট-বড় ছয়টি রেল সেতু রয়েছে। এর মধ্যে প্রত্যেকটি সেতুর স্লিপার আটকানো লোহার ক্লিপ দিয়ে। সম্প্রতি কিছু ক্লিপ চুরি ও মরিচা ধরে নষ্ট হলে লোহার ক্লিপের পরিবর্তে কাঠের কুচি লাগানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু রেলপথের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা এলাকায় দেখা যায়, রেলপথ মেরামতে কাজ করছেন শ্রমিকরা। প্রতিটি রেল সেতুতেই স্লিপার আটকানো হয়েছে কাঠের কুচি দিয়ে। এছাড়া কাচের ওই কুচিগুলো স্লিপারের ভেতরে ঠুকাতে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হচ্ছে।
টাঙ্গাইল ঘারিন্দা স্টেশনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, কোনোভাবেই স্লিপার আটকানোর জন্য নাট-বল্টুর (ডক পিন) পরিবর্তে কাঠের কুচি বা অন্যকিছু ব্যবহার করা যাবে না। কারণ যখন ট্রেন চলে তখন স্লিপারগুলো ওঠানামা করে। এজন্য এটি স্থির রাখতে ডক পিন বা নাট-বল্টু ব্যবহার করা হয়। স্লিপারে কাঠের কুচি ব্যবহার করলে যেকোনো সময় ছুটে গিয়ে রেল দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
তবে এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ (পাকশী) বীরবল মণ্ডল বলেন, স্লিপার রেলের লোড বহন করে না। একটি স্লিপার অন্যটির সঙ্গে যেন না লাগে সে কারণে এখানে নাট-বল্টু (ডক পিন) ব্যবহার করা হয়। নাট-বল্টু বা ডক পিন নষ্ট হলে সেখানে কাঠের কুচি ব্যবহার করা যায়। অনেক সময় চুরি রোধে ডক পিনের পরিবর্তে কাঠের কুচি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এতে রেল চলাচলে কোনোরকম ঝুঁকি নেই বলেও দাবি করেছেন এ কর্মকর্তা।