একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলমের হস্তক্ষেপে সোনালী আক্তার (১৪) নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাল্য বিয়ে বন্ধ হয়েছে। সে স্থানীয় বংকী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
জানা যায়, শুক্রবার (২৬ আগস্ট) পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফজরচালা এলাকার সহিদ মিয়ার মেয়ের সঙ্গে উপজেলার যাদবপুর এলাকার আজাহার মিয়ার ছেলে পুলিশ সদস্য আলামিনের বিয়ের প্রস্তুতি চলছিলো।
গোপনসংবাদ পেয়ে ইউএনও প্রথমে স্থানীয় কাউন্সিলরকে পাঠিয়ে বিয়ের প্রস্তুতি বন্ধ করেন। ঘন্টাখানেক পরে গোপনে ফের বিয়ের কার্যক্রম শুধু করলে পরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হয়ে পুনরায় সতর্ক করে আসেন। পরে বিয়ে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে ইউএনওকে মুচলেকা দেওয়ার শর্তে বিয়ে বন্ধ করা হয়।
৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু সাঈদ মিয়া জানান, ইউএনওর নির্দেশ পেয়ে আমি ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি রান্না-বান্নার আয়োজন চলছে। বর পক্ষের লোকজনও সেখানে উপস্থিত আছেন। ইউএনও স্যারের নির্দেশে বিয়ে বন্ধ করে দেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ফারজানা আলম জানান, প্রাপ্ত বয়স না হওয়ার আগে বিয়ে না দেওয়ার শর্তে মুচলেকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।