একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় এক কিশোরীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া একই স্থান থেকে গলাকাটা অবস্থায় আহত এক কিশোরকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে এলেঙ্গা পৌর এলাকার শামসুল হক কলেজের সামনে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোরীর নাম ছুমাইয়া আক্তার (১৬)।সে কালিহাতী উপজেলার নারন্দিয়া ইউনিয়নের পালিমা গ্রামের ফেরদৌসুর রহমানের মেয়ে। নিহতের পরিবার এলেঙ্গা পৌরসভার রিসোর্ট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। ছুমাইয়া স্থানীয় এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিল।
আহত কিশোরের নাম মনির হোসেন (১৭)। সে এলেঙ্গা পৌর সভার মশাজান এলাকার মেহের আলীর ছেলে। সে বাস চালকের সহকারী হিসেবে কাজ করতো।
নিহত কিশোরীর বাবা ফেরদৌসুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৬টায় তার মেয়ে স্থানীয় প্রাইম একাডেমিতে প্রাইভেট পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সকাল ৮ টায় স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পান যে তার মেয়েকে (ছুমাইয়া) কে বা কারা জবাই করে হত্যা করে শামসুল হক কলেজের সামনে লাশ ফেলে রেখেছে। তবে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ছেলেটিকে তিনি চেনেন না বলে জানান।
আহত মনিরের খালা রোজিনা বেগম জানান, মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাতে বাড়ি থেকে মনির বের হয়ে যায়। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সকালে স্থানীয় লোকজনদের কাছে খবর পেয়ে মনিরকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে তার সঙ্গে যে মেয়েটিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে তাকে তিনি চেনেন না।
হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে কালিহাতী থানার অফিসার-ইন-চার্জ(ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, সকালে স্থানীয় লোকজন শামসুল হক কলেজের সামনে গলাকাটা এক কিশোরী ও এক কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় ওই কিশোর জীবিত ছিল। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত ওই কিশোরের ঘাড়সহ বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরো জানান, প্রেমঘটিত কোনো কারণে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।