একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া থেকে কর্মকারপাড়া পর্যন্ত ৯৫০ মিটার নবনির্মিত পাকা সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ইতোমধ্যে সড়কের দু’পাশে ধ্বস নেমেছে।
জানা যায়, বাসাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের হালুয়াপাড়া থেকে কর্মকারপাড়া পর্যন্ত ৯৫০মিটার সড়ক জনগুরুত্ব বিবেচনায় পাকা করণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে। ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯৫০ মিটার সড়ক পাকাকরণের কাজ পায় মেসার্স নাইস এণ্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সড়কের দু’পাশ ধ্বসে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহন না করলে পুরো সড়কটিতেই ধ্বস নামার আশঙ্কা রয়েছে।
হালুয়াপাড়া গ্রামের জয়নাল মিয়া, আব্দুর রৌফ, জাহাঙ্গীর আলম সহ অনেকেই জানান, সড়কের দুই পাশে তিন ফুট প্রস্থের মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তা করেনি। এছাড়া প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অল্প পরিমানে নি¤œমানের বিটুমিন ব্যবহার করায় ইটের খোয়া দেখা যায়। কাজ করার সময় তারা অভিযোগ করায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিধায় তারা এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে বার বার জানানোর পরেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে নবনির্মিত সড়কটি এক মাসের মধ্যে ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।
মেসার্স নাইস এণ্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. নাইস জানান, নতুন মাটি ও বালুর ওপরে পিচ ঢালাই করা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে তাই সড়কটির কিছু অংশ ধ্বসে গেছে। এ কারণে হয়তো স্থানীয়রা নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভাঙা অংশ বর্ষার পরে ঠিক করে দেওয়া হবে এবং সড়কের দুইপাশে মাটিও দেওয়া হবে।
বাসাইল এলজিইডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান জানান, সড়কটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে অবহিত করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুম চলে গেলে তারা সড়কটি পুণুনির্মাণ করে দিবে। মাটির সমস্যার কারণেই সড়কটির এমন অবস্থা হয়েছে।
বাসাইল উপজেলা প্রকৌশলী(এলজিইডি) আব্দুল জলিল জানান, তিনি বাসাইল উপজেলায় দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সড়কটির কাজ করা হয়েছে। তারপরও তিনি সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।