একতার কণ্ঠ: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোলড়া গ্রামে ঈদের দিন শুক্রবার (১৫ মে) রাতে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শুকুর মিয়া(৩৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা ও তার ভাই আব্দুল্লাহকে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষ। এসময় শুকুর মিয়ার বাম হাত কেটে নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন উল্লাস প্রদর্শন করে। নিহত শুকুর মিয়া ও আহত আব্দুল্লাহ ওই গ্রামের আব্দুল গনি মিয়ার ছেলে
স্থানীয়রা জানায়, মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে পাইকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফের সঙ্গে শুকুর মিয়ার বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জের ধরে ঈদের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় শুকুর মিয়া ও তার ভাই আব্দুল্লাহ একত্রে বাড়তি পাশের ধানক্ষেত দেখতে যায়। এ সময় যুবলীগ নেতা শরীফের নেতৃত্বে স্থানীয় ওবায়দুল, হারুন, রাজ্জাক, মনির, ই¯্রাফিল, খোকনসহ ১২-১৪ ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তাদের ডাক চিৎকারে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে তারা শুকুর মিয়ার বাম হাত কেটে নিয়ে উল্লাস প্রদর্শন করতে করতে চলে যায়।
নিহত শুকুর মিয়ার স্ত্রী মিতু ও তার বড় বোন সমলা বেগম জানান, চিৎকার শুনে তারা গিয়ে দেখতে পান- শুকুরের এক হাত কাটা অবস্থায় ধানক্ষেতে পড়ে রয়েছে, তার মাথা থেকে মগজ বেড়িয়ে পড়েছে। অপর ভাই আব্দুল্লাহর পায়ের রগ কেটে ফেলা হয়েছে। পরে তারা স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুকুর মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আব্দুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সওগাতুল আলম জানান, ওই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বাহাদুর মিয়া বাদী হয়ে ১৫ জনের নামোল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। দোষীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা করছে।
প্রকাশ, ইতোপূর্বে শুকুর মিয়ার ছোট ভাই রুহুল মাদক ব্যবসার জেরে র্যাবের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন।