আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কলেজছাত্র আলীম হত্যার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) গভীর রাতে পুলিশ উপজেলার দক্ষিণ পাড়া সাতুটিয়া গ্রামের রকিবের বাড়ী থেকে নোমান, শরিফ, জামিল, ইমরান ও শাকিলকে আটক করে কালিহাতী থানায় নিয়ে আসে ।
এদের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আলীমের সহপাঠী নোমানকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত নোমান উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের মহিষজোড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। সে কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
এছাড়া একই উপজেলার ঘড়িয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে সাব্বিরের বাড়ী থেকে নিহত আলীমের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাব্বির ও শাকিলকে স্বাক্ষী হিসেবে টাঙ্গাইল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হয়েছে বলে এসআই মিজানুর রহমান নিশ্চিত করেছেন।
প্রকাশ, গত শনিবার (১২ এপ্রিল) ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের চাঁনতারা গ্রামের প্রবাসী জহিরুল ইসলামের ছেলে ও কালিহাতী শাহ্জাহান সিরাজ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আব্দুল আলীম বাড়ী থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার কথা বলে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কালিহাতী পৌর এলাকার দক্ষিণ সাতুটিয়া গ্রামের জামাল বাদশার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নিখোঁজ ওই কলেজছাত্রের মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আলীমের মা আকলিমা আক্তার বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, সাতুটিয়ায় অবস্থিত রকিবের বাড়িতে প্রধান আসামি নোমানসহ চারজন কালিহাতী নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূইয়া জানান, হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের পর একজনকে অভিযুক্ত করে ও দুজনকে স্বাক্ষী হিসেবে টাঙ্গাইল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পাঠানো হয়েছে। অন্য তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।