একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৮ মে) সকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছানোয়ার হোসেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ওলিউজ্জামান,পৌর মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম) শরফ উদ্দীন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) হাসান বীন মুহাম্মদ আলী, প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ প্রমুখ ।
সভায় বঙ্গবন্ধুর পদক প্রাপ্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরে আলোচনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ওলিউজ্জামান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ছানোয়ার হোসেন এমপি উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, তোমাদের মত বয়স থেকেই বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করতেন। দেশের স্বার্থে বঙ্গবন্ধু ১৪ টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। এমন নিঃস্বার্থ রাজনীবিদ বর্তমানে বিরল। তোমরা বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিবে।
তিনি আরও বলেন, শান্তি পরিষদের তৎকালিন মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক প্রদান করেন। বিশ্বের শান্তির জন্য সর্বোচ্চ পদক হল জুলিও কুরি পদক। এই পদক বিশ্বের বরেণ্য ব্যাক্তিরাই পেয়ে থাকেন।
উল্লেখ, ১৯৭৩ সালের ২৩ মে বিশ্ব শান্তি পরিষদের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়।
বঙ্গবন্ধু এই পদকপ্রাপ্তির আগে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো, ভিয়েতনামের সংগ্রামী নেতা হো চি মিন, চিলির গণ-আন্দোলনের নেতা সালভেদর আলেন্দে, ফিলিস্তিনের জনদরদি নেতা ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ এই পদকপ্রাপ্ত হয়েছেন। মূলত, সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এবং মানবতার ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তাঁরা এই পদকে ভূষিত হয়ে আসছিলেন ১৯৫০ সাল থেকে।