একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে নানা আয়োজনে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ও ভাষা সৈনিক শামসুল হকের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এদিকে শামসুল হকের আমেরিকা প্রবাসী দুই মেয়ে প্রায় ৭০ বছর পর প্রথমবারের মত টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার কদিমহামজানি যোকারচর কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত ও পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। ১৯৫৩ সালে ভাষা আন্দোলনের পর কারাবন্দি শামসুল হকের স্ত্রী আফিয়া খাতুন দুই শিশু কন্যা নিয়ে দেশ ত্যাগ করেন।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ার)দুপুরে শামসুল হকের দুই মেয়ে হারবার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. শাহিন ফাতেমা দিল ও নাসার এ্যাস্ট্রোফিজিসিয়েস্ট ড. শায়েকা দিল ভার্টিলেক তাদের আত্মীয়-স্বজন এবং স্থানীয় লোকজন নিয়ে কবর জিয়ারত করেন। তারা বাবার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে তারা শহরের জেলা সদরে অবস্থিত শামসুল হক তোরণে পুস্পস্তবক অর্পন এবং এলেঙ্গায় অবস্থিত শামসুল হক মহাবিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তারা সেখানে বাবার জন্মদিনের কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করেন।
এসময় শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডাঃ সাইফুল ইসলাম স্বপন ও সাধরন সম্পাদক আবুল কালাম মোস্তফা লাবু, কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার মোল্লা, দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম শিবলী সাদিকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গতঃ ২০০৭ সালের ২৩ জুন “নিঁখোজের ৪২ বছর পর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক শামসুল হকের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন ও কবরের সন্ধান লাভ” শিরোনামে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। সংবাদটি সেসময় দেশের রাজনীতিতে সাড়া ফেলে। এর পর থেকেই প্রতিবছর শামসুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী ও জন্মবার্ষিকী নিয়মিত পালন করা হচ্ছে।