একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভুয়াপুরে পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি’র শিক্ষক-উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায় স্ট্রেংদেনিং রিডিং হ্যাবিট অ্যান্ড রিডিং স্কিলস অ্যামাং সেকেন্ডারি স্টুডেন্টস স্কিমের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।
এই কর্মশালায় ভুয়াপুর উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধান ও একজন সহকারী শিক্ষক (লাইব্রেরি ও তথ্য বিজ্ঞান) ও সংগঠক অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচি ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ে সামগ্রিক ধারণা প্রদান করা হয়।
ভুয়াপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোঃ বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোছাঃ নারগিস বেগম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান , ইব্রাহীম খাঁ সরকারি কলেজেরের অধ্যাপক মোঃ আশরাফ হোসেন।
কর্মশালাটি পরিচালনা করেন পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির মনিটরিং অফিসার নঈম জাহাঙ্গীর পরাগ।
অনুষ্ঠানে পাঠাভ্যাস উন্নয়ণ কর্মসূচির উপর বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন টিম ম্যানেজার মোঃ আবু হুরায়রা।
পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনা করেন অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার মোঃ ইকবাল হাসান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার বিদ্যাপতি বিশ্বাস, ডেপুটি টিম লিডার ( প্রোগ্রাম) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, বর্তমান সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে মানিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি সৃজনশীল বই পড়া উচিত।
কর্মশালায় পাঠাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসূচির নিম্নোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় :
স্কিমভুক্ত সকল মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা;
উপজেলা পর্যায়ে উদ্বুদ্ধকরণ ও মূল্যায়ন কর্মশালা আয়োজন করা;
প্রতিষ্ঠানে বই পড়া ব্যবস্থাপনা তদারকি করা; বই পড়ার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে পুরস্কার প্রদান করা;
প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরির মান উন্নয়নে সহযোগিতা করা; বই পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড পরিচালনা;
অনলাইনে বইপড়া কার্যক্রম ও ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরি করা।
তাদের বয়স ও মন-উপযোগী সুন্দর সুখপাঠ্য এবং উন্নত মানসম্পন্ন বাংলা ও ইংরেজি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।