একতার কণ্ঠঃ টানা বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে টাঙ্গাইলে যমুনা ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার তিন উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য থেকে আরও জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার, ফটিকজানি নদীর পানি নলচাপা ব্রীজ পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি কাউলজানী পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার, মির্জাপুর পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার, এবং মধুপুর পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
এরফলে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের নিচু এলাকার ফসলি জমির পাট, তিলসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ভুঞাপুর ও কালিহাতী এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা সব সময় শুকনো মৌসুমে কাজ করে থাকি, তবে এ সময়ে যে সব উপজেলায় পানি বেড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে সে এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হবে বলে জানান তিনি।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, উজানের পানি নেমে আসায় ভাটিতে পানি বাড়ছে। ভূঞাপুরের অর্জুনা ইউনিয়নের কিছু ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী নিকরাইল ও গাবসারা ইউনিয়ন আজকালের মধ্যে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রস্তুত আছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ব্রিজ এলেঙ্গা রিসোর্টে অনৈতিক কার্যক্রম চলছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিন খদ্দেরসহ সাত নারীকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (৩০ জুন) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে রিসোর্টের বিভিন্ন রুম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
সোমবার (১ জুলাই) সকালে এ ঘটনায় মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করে আটককৃতদের আদালতে পাঠিয়েছে কালিহাতী থানা পুলিশ।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃত পুরুষরা হলো, পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুর গ্রামের মৃত আ. করিমের ছেলে মো. মোজাম্মেল (৫৮), টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ব্রাহ্মণশাসন গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন (৩৫) ও বগুড়া সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে কনক ইসলাম(৩০)।
আটককৃত নারীরা হলো, টাঙ্গাইল শহরের বোয়ালী মধ্যপাড়ার মৃত আবু সাঈদের মেয়ে হাফিজা ওরফে হাবিবা (২৫), একই শহরের অলোয়াভবানী এলাকার আ. করিমের মেয়ে শিউলী (২৪), একই জেলার গোপালপুর উপজেলার নরিল্যা গ্রামের আ. কাদেরের মেয়ে কুলসুম (১৯), টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা (সৃষ্টিস্কুল রোড) এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে সারিয়া রহমান জাকিয়া(২১), শহরের বটতলা এলাকার মরহুম ফজলুর রহমানের (ব্রিগেডিয়ার) মেয়ে ফারজানা (৩২), একই জেলার মির্জাপুর উপজেলার কুরণী গ্রামের মৃত কদ্দুছ খানের মেয়ে ঈশা ওরফে শাহনাজ (২৭) ও যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার বাঙালিপুর গ্রামের আশরাফ গাজীর মেয়ে মুক্তা(৩০)।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের পাশেই এলেঙ্গা রিসোর্টে রেস্টুরেন্টের আড়ালে যৌন ব্যবসা পরিচালনা করা হয়। রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ খদ্দের সংগ্রহ করে যৌনকর্মীদের ভাড়া করে আনে। যৌন ব্যবসা ছাড়াও রিসোর্টে মাদকের ব্যবসা করা হয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে। এর আগেও কয়েকবার খদ্দেরসহ যৌনকর্মীদের আটক করেছিল পুলিশ। তবে রিসোর্টের কাউক আইনের আওতায় আনা হয় না। প্রতিবারই তাদের ছাড় দেওয়া হয়।
কালিহাতী থানার এসআই সাজ্জাদ হোসেন জানান, রবিবার গভীর রাতে গোপণে অসামাজিক কার্যকলাপের সংবাদ পেয়ে এলেঙ্গাস্থ বঙ্গবন্ধু ব্রিজ এলেঙ্গা রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় রিসোর্টের মোসলেম উদ্দিন(৫৫), ফাহাদ (৩৫) ও সিরাজুল(৩৫) সহ আরও ৩ থেকে ৪ জন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ফারুক জানান, গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে এসআই সাজ্জাদ হোসেন অভিযান পরিচালনা করে তিন খদ্দেরসহ সাত নারীকে আটক করে। পরে পুলিশ বাদি হয়ে ১৩ জনের নামে মানবপাচার আইনের ১২ ও ১৩ ধারায় মামলা দায়ের করে। গ্রেপ্তারকৃতদের সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতকদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে অজ্ঞাত গাড়ী চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হওয়ার ঘটনা হয়েছেন।
বুধবার (২৬ জুন) বিকালে উপজেলার টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের কালিহাতী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সাতুটিয়া ব্রিজের উপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম দুলাল হোসেন (৬৫)। সে সখিপুর উপজেলার সাপিয়াচালা গ্রামের মৃত হাফেজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি কালিহাতীতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত দুলাল হোসেন মোটরসাইকেলযোগে সখিপুর থেকে কালিহাতীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার সাতুটিয়া ব্রিজের উপর পৌঁছালে পেছন থেকে একটি অজ্ঞাত গাড়ি মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, পরে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। মরদেহটি আইনগত প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুর্ঘটনার পর অজ্ঞাত গাড়ীর চালক গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে গেছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার মো. খায়রুল বাশার ভূঁইয়া পাভেলের দুর্নীতির সংবাদ করতে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকরা সাব-রেজিস্ট্রার কতৃক তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অফিস কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে সাব-রেজিস্ট্রার মো. খায়রুল বাশার ভূঁইয়া পাভেলের পক্ষে কর্মচারী আরতি রানীর ১২ লাখ টাকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বপক্ষে বক্তব্য নিতে গেলে সাব রেজিস্ট্রার খায়রুল বাশার ভূঁইয়া পাভেল দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন। এর প্রতিবাদে সাংবাদিকরা তার এজলাসের সামনে অবস্থান গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় কালিহাতীতে কর্মরত সকল সাংবাদিক কালিহাতী প্রেসক্লাব ও কালিহাতী রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যরা একাত্মতা ঘোষণা করে অবস্থান নেন।
সাংবাদিকরা জানান, সাব রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মচারী আরতি রানীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তার স্বপক্ষে বক্তব্য নেওয়ার জন্য গেলে সাব রেজিস্টার খাইরুল বাশার ভূইয়া পাভেল উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনারা এখানে প্রবেশ করেছেন কেন? মন্ত্রনালয়ের লিখিত অনুমতি নিয়ে আপনারা এখানে প্রবেশ করবেন। এক পর্যায়ে সাব-রেজিস্ট্রার জানান, আপনারা দলিল চুরি করতে এসেছেন। এছাড়াও রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধন হতে পারে বলে তিনি হুমকি দেন।
এক পর্যায়ে কর্মচারীদের গেইট বন্ধ করার নির্দেশ দেন। পরে তার নির্দেশ মোতাবেক কর্মচারীরা গেইট বন্ধ করে দেয়। ফলে উপস্থিত সাংবাদিকরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরে গেইট খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু উপস্থিত সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদে সাব-রেজিস্ট্রারের এজলাসের সামনে অবস্থান নিয়ে বসে পড়েন।
পরে বিকেলে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদের পরামর্শক্রমে কালিহাতী প্রেসক্লাবের সভাপতি রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত ও টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য মামুনুর রহমান মিয়া মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এই কর্মসূচির সমাপ্ত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে কালিহাতী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মুশফিকুর মিল্টন বলেন, চরম দুর্নীতিবাজ সাব-রেজিস্টার খাইরুল বাশার ভূইয়া পাভেল এ ঘটনায় ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত এবং তার শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
কালিহাতী রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক এম এম হেলাল বাদশা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার দেশবরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা, সংগঠক, সাহিত্যিকদের সমৃদ্ধ কালিহাতী থেকে অভদ্র, অশোভন সাব-রেজিস্টারের প্রত্যাহার ও শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত সকল স্বেচ্ছাসেবী এবং সুশীল সংগঠন আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দেন।
এর পূর্বে মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় নিজস্ব কার্যালয়ে সাব-রেজিস্ট্রার মো. খায়রুল বাশার ভূঁইয়া পাভেলের প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন কালিহাতী দলিল লেখক কল্যাণ সমিতি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে চারদিন অবস্থানের পর প্রেমিকা শান্তা আক্তার (২৩) নামে এক সন্তানের জননী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২২ জুন) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা খালুয়াবাড়ী গ্রামে প্রেমিক সোহাগের ঘরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগীর প্রেমিক সোহাগ পলাতক রয়েছেন।
প্রেমিক সোহাগের মা ছোবুরা বেগম ও বাবা নুরুল ইসলামকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে বলে কালিহাতী থানার এসআই মিন্টু চন্দ্র ঘোষ জানিয়েছেন।
মৃত শান্তা আক্তার কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার অলুয়া গ্রামের মোখলেছুর রহমানের মেয়ে। তার একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
প্রেমিক সোহাগ (২৪) কালিহাতী উপজেলা খালুয়াবাড়ী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, প্রায় বছর খানিক আগে মোবাইলে ফোনে সোহাগের সঙ্গে পরিচয় হয়। এর পর থেকে তাদের দুজনের মোবাইল ফোনে কথা হয়। কথা বলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যান তারা। এ সময় বিয়ের আশ্বাসে তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে বিয়ের জন্য ওই নারী সোহাগকে চাপ দিতে থাকেন। তখন নানা তালবাহানা শুরু করেন সোহাগ। এছাড়াও তার কাছ থেকে সোহাগ দুই লাখ টাকাসহ তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি স্থানীয় মাতাব্বর ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও কোনো প্রতিকার পাননি শান্তা আক্তার। এতে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে শনিবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে প্রেমিক সোহাগের টিনসেড বাড়ির একটি ঘরে প্রবেশ করেন শান্তা। পরে ওই ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে।
কালিহাতী থানার এসআই মিন্টু চন্দ্র ঘোষ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে । ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হবে। নিহতের স্বজনদের জানানো হয়েছে। স্বজনরা আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। তাই ঈদের আনন্দ পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে ঝুঁকি নিয়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষজন। বাস ভাড়া বেশি হওয়ায় প্রচন্ড রোদে ট্রাক-পিকআপের যাত্রী হয়েও যাচ্ছেন শিশু, বৃদ্ধ বয়সের নারী ও পুরুষ।
সন্দেশ আলী নামের এক পিক-আপের যাত্রী বলেন, ঢাকা থেকে বাসে দুইগুণেরও বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এজন্য ঝুঁকি নিয়ে ৩০০ টাকা ভাড়া দিয়ে প্রচন্ড রোদে ট্রাকে এসেছি।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা বাস স্টেশন, রাবনা বাইপাস, আশেকপুর বাইপাস ও কালিহাতী উপজেলার সল্লা এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
সন্দেশ আলী সিরাজগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে সন্তান ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমি চাকরি করি পোশাক কারখানায়। এবার বেতন-বোনাসসহ আমি ২০ হাজার টাকা হাতে পেয়েছি। ঢাকা আব্দুল্লাহপুর থেকে ২৫০ টাকা ভাড়ায় ব্যক্তিগত কাজে আশেকপুর বাইপাস এলাকাতে নেমেছি। আমি এ ঈদে স্বজনদের জন্য কেনাকাটায় ব্যয় করেছি ১২ হাজার টাকা। বাকি ৮ হাজার টাকা দিয়ে ঈদ খরচ ও ছুটি শেষে আমাকে ঢাকায় ফিরতে হবে। এ টাকা বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাকে করে এসেছি।
আশেকপুর বাইপাস এলাকায় কথা হয় সুমন মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, ২৫০ টাকার বাস ভাড়া ৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ঈদে বাড়ি ফিরতে হবে এ জন্য অতিরিক্ত ভাড়া নিলেও কিছু করার নেই। পরিবারের সাথে ঈদ করতেই হবে।
ট্রাকচালক সোহাগ রহমান বলেন, আমি সব সময় বালু পরিবহন করি। এবার ঈদে গরু নিয়ে গাবতলী গরুর হাটে এসেছিলাম। ট্রাকে যাত্রী নেওয়ার কোন চিন্তা ভাবনা ছিল না। ফেরার পথে দুই যাত্রী থামিয়ে তাদের দুঃখের কথা বলেন। এজন্য ফ্রিতে তাদের ট্রাকে উঠাই। পরে স্ট্যান্ডে এলাকায় আসামাত্র যাত্রীরা তাড়াহুড়ো করে ট্রাকে ওঠেন। নামতে বললে তারা আমার উপর রেগে উঠে বলেন, আমরা তো ফ্রিতে যাবো না, ভাড়া দিব। পরে ভাড়া মিটিয়ে রওনা করেছি।
নাম প্রকাশ না শর্তে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুমন পরিবহনের এক বাস চালক বলেন, ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের চাপ ও মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। এ জন্য একটু বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর সাজেদুর রহমান বলেন, পিক-আপ ও খোলা ট্রাকের ছাদে করে যেন যাত্রী না নেয়া হয় সেজন্য বাঁধা দেয়া হচ্ছে। যারা কথা শুনছেন না তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দেয়া হচ্ছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পৃথক পৃথক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৫ জন।
শুক্রবার (১৪ জুন) ভোরে কালিহাতী উপজেলার বাগুটিয়া এলাকায় বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল কলেজের সামনে ভোররাতে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাইভেট কারের চালকসহ ২ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার পুংলী এলাকায় উত্তরবঙ্গগামী একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৫ জন আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্যান্যদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে
একই সময়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী একটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, মাঝ রাতের কোন এক সময় কালিহাতী উপজেলার বাগুটিয়া এলাকায় একটি গরু বোঝাই ট্রাকের সাথে একটি প্রাইভেটকারের সংঘর্ষ ঘটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ৬ জনকে নেওয়া হয়।
এ সময় জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ৬ জনের মধ্যে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন বলে নিশ্চিত করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। এখনো নিহত দুইজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে মাদক বিরোধী অভিযানে মো. আফজাল শরীফ (৩৯) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে পৌর শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম বিনতে আজিজ এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আফজাল শরীফ কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার পাছ চিনামুড়া গ্রামের মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এইচএম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার দুপুরে পৌর শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ মাদকবিরোধী অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী মো. আফজাল শরীফকে ৫ গ্রাম হেরোইনসহ আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাঈম বিনতে আজিজ ধৃত আফজাল শরীফকে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ টাকা জরিমানা করেন।
তিনি আরও জানান,পরে দন্ডিত আফজালকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযানকালে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. আনোয়ারুল হাবিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে অজ্ঞাত গাড়ি ওভারটেক করতে গিয়ে মো. বিল্লাল (৩৮) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১০ জুন) সকাল ৮ টার দিকে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপজেলার গোহালিয়া বাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈল নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিল্লাল হোসেন ঢাকা জেলার ডেমরা থানার ২৩/১১ বাদশা মিয়া রোডের মুসলিম নগর এলাকার মো. আনিস মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে একটি পালসার মোটরসাইকেল দ্রুত বেগে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মহাসড়কের সরাতৈল এলাকায় মোটরসাইকেলটির উত্তরবঙ্গগামী একটি অজ্ঞাত গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটনাস্থলে আরোহী মারা যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইউসুব আলী জানান, মহাসড়কের সরাতৈল নামক স্থানে একটি দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মোটরসাইকেল আরোহী নিহতের মরদেহ ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, রবিবার রাতে ঝড়-বৃষ্টি ও এই দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা এলাকা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮/১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও কোথাও যানজট সৃষ্টি ও থেমে থেমে যানবাহন চলাচল করে। ফলে অনেকে ভোগান্তি এড়াতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করেন পরিবহন চালকরা।
একতার কণ্ঠঃ আর মাত্র ৮ দিন পরেই পবিত্র ঈদ উল আজহা। ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কোরবানির পশুবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
রবিবার (৯ জুন)দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল- বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কোথাও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৩ হাজার ২৭৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ১৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১১ হাজার ২৯৮টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪ লাখ ২৪ হাজার ৬’শ টাকা। সিরাজগঞ্জে সেতুর পশ্চিম অংশে ১১ হাজার ৯৭৮টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ ১৮ হাজার ৪’শ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, অন্য সময়ে চেয়ে মহাসড়কে পশুবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন চলাচল করছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রেন-অটোরিকশার সংঘর্ষে আবু তালেব নামে এক লিচু ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
রবিবার (৯ জুন)ভোরে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার মসিন্দা রেল ক্রসিংয়ে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে অটো রিক্সার সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবু তালেব উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের ছাতীহাটি গ্রামের আসর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দুইজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলেঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার বেলাল হোসেন জানান, নিহত আবু তালেব এলেঙ্গা বাজার থেকে লিচু কিনে অটো রিকশাযোগে ছাতীহাটি যাচ্ছিল। পথিমধ্যে উপজেলার মসিন্দা রেল ক্রসিংয়ে পৌঁছালে ভোর ৬টায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে অটোরিকশাটির সংঘর্ষ হয়।
তিনি আরও বলেন, এতে চালকসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে আবু তালেবের মৃত্যু হয়। বাকি দুইজনকে জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুর রহমান জানান , নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে মর্গে রাখা হয়েছে ।আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রাক-পিকআপের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৫ জুন) রাত ১ টার দিকে
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার আনালিয়াবাড়ী এলাকার ৯নং ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মশাউরা গ্রামের মুনছুর শেখের ছেলে ও পিকআপ চালক শিপন (৪০) এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের মৃত শেখ আলিমুদ্দিনের ছেলে ও পিকআপের হেলপার শেখ মুহাম্মদ আসলাম (৫৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে পণ্য নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। পথিমধ্যে ঢাকাগামী অপর আরেকটি পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চলন্ত অবস্থায় সামনে থাকা ট্রাকটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে পিকআপের চালক ও হেলপার মারা যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুইটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান,আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।