একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ভাগ্নে (নোনাশের ছেলে ) শাকিব হাসানের (২০) হাত ধরে দুই সন্তানের জননী মামী রত্না বেগম (৩০) পালিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ মে) সকালে উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের লাঙ্গুলিয়া মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ছাড়া রত্না বেগমের স্বামী কাচামাল ব্যবসায়ী আবদুল লতিফ সন্তানদের নিয়ে লোক-লজ্জার ভয়ে বাড়ীর বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দিয়েছেন। ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ জয়েন উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের লাঙ্গুলিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের আবদুল লতিফের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী রত্না বেগমের সাথে ভাগ্নে (আপন নোনাশের ছেলে) একই এলাকার মৃত সহিদ মিয়ার ছেলে প্রবাসী শাকিব হাসানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় তিন মাস আগে ভাগ্নে শাকিব দেশে ফিরলে তাদের সম্পর্কটা আরো গভীর হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার সকালে ছোটবেলা থেকে সন্তানের মতো লালন-পালন করা ভাগ্নে শাকিবের সঙ্গে মামী রত্না বেগম তার সন্তানদের রেখে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে লাঙ্গুলিয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন ফন্নু এই ঘটনায় সমাজ ও গ্রামের মান ক্ষুন্ন হয়েছে দাবি করে ভাগ্নে শাকিব ও মামী রত্না বেগমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রেজাউল করিম জানান, এ ঘটনায় লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ শ্রমিক সংকট নিরসন ও খুব কম সময়ে কৃষকের পাকা বোরো ধান ঘরে তোলার লক্ষ্যে আধুনিক যন্ত্র হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কাটলেন টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির।
সোমবার (১ মে) বিকালে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের বাস্তবায়িত বোরো ধান প্রদর্শনীর নমুনা শস্য কর্তন ও কৃষক মাঠ দিবসে কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের মাদারিয়া এলাকায় সন্ধ্যার দিকে কৃষক মজিবর রহমানের ক্ষেতের ধান কেটে ধান কাটার উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্থানীয় কৃষক লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আধুনিক যন্ত্র হারভেস্টার মেশিন দিয়ে পাকা ধান কাটা (কর্তনের) উদ্বোধন করলাম। এ বছর কৃষকের বোরো ধানের চাষ ও ফলন ভালো হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোছা. নার্গিস আক্তার, ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলিফ নূর মিনি, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. হুমায়ূন কবীর, ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহ্ আলম প্রামাণিক, সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, ফলদা ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদু প্রমুখ।
সম্পাদনা-আরমান কবীর
আরমান কবীরঃ: এবার এপ্রিল জুড়ে ছিল ঈদের আমেজ। এ মাসের শুরু থেকেই ঈদ ঘিরে অনেকে পরিবার-পরিজন আগেভাগে গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পুরোদমে শুরু হয় ঈদযাত্রা। গত ২২ এপ্রিল দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। এরপর আবার কর্মস্থলে যোগ দিতে গ্রাম ছেড়ে শহরে ফেরেন কর্মজীবী মানুষ।
এ ঈদযাত্রায় ছোট-বড় মিলিয়ে সড়কে ২ হাজার ৫০৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছে ৪৫১ জন। আহত হয়েছে অন্তত ২ হাজার ৫২৭ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে বাস দুর্ঘটনা। বাস দুর্ঘটনায় নিহতও সবচেয়ে বেশি ২৮২ জন। তবে মার্চের তুলনায় এপ্রিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ৫৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি কমেছে। নিহত-আহতের সংখ্যাও আগের মাসের তুলনায় অর্ধেকে নেমেছে। সেভ দ্য রোডের প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থার মহাসচিব শান্তা ফারজানার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশের ২২টি জাতীয় দৈনিক, ২০টি টেলিভিশন চ্যানেল, ৮৮টি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও সংস্থার স্বেচ্ছাসেবীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন করেছে সেভ দ্য রোড। এজন্য তিনি সেভ দ্য রোডের প্রতিবেদন সচেতনতামূলক কর্মসূচির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসনের সক্রিয়তায় চালক পথচারী ও যাত্রী সাধারণের মধ্যে সচেতনতা-সাবধানতা অবলম্বন করার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমকে কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৩১টি। এতে নিহত হয়েছে ৩৪ জন এবং আহত হয়েছে ৪৩৫ জন। ৬৪৫টি ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৪৩ জন এবং আহত ৩৬৮ জন। সবচেয়ে বেশি ৮০৮টি বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ২৮২ জন এবং আহত হয়েছে ৯৪৩ জন। এছাড়া নসিমন-করিমনসহ অন্য তিন চাকার বিভিন্ন যানবাহনের ৬২২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে ৭৮১ জন এবং নিহত হয়েছে ৮৯ জন। এতে চালকদের নির্ধারিত গতিসীমা না মানা, বিশ্রাম না নিয়ে টানা ১২-২০ ঘণ্টা গাড়ি চালানোসহ বিভিন্ন অনিয়মকে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে সেভ দ্য রোড। এছাড়া প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলা, পুলিশ ও প্রশাসনের দুর্নীতিকেও দায়ী করেছে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা সংস্থাটি।
সেভ দ্য রোডের প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, এবার বিভিন্ন স্থানে পরিবহন ভাড়া দুই থেকে তিনগুণ বেশি আদায় করার কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির কবলে পড়লেও বিআরটিএ বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর কোনো মনিটরিং টিম ছিল না। বগুড়া, বরিশাল, নওগাঁ, ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ দেশের অধিকাংশ সড়ক পরিবহন মালিক কর্তৃপক্ষই ভাড়া নৈরাজ্য করে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। সেভ দ্য রোডের চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া, আইয়ুব রানা ও লায়ন ইমাম হোসেনের তত্ত্বাবধানে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সেভ দ্য রোডের অঙ্গীকার ‘পথ দুর্ঘটনা থাকবে না আর’ স্লোগান সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ২০০৭ সালে পথচলা শুরু করে এ সংস্থাটি। এরপর থেকে সড়ক, রেল, নৌ, আকাশপথ দুর্ঘটনামুক্ত করতে সচেতনতা, গবেষণা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে কাজ করছে তারা।
একতার কণ্ঠঃ আসন্ন টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করলেন ইঞ্জিনিয়ার মো. কামাল আহমেদ। শুক্রবার (২৮ এপ্রিল)বিকেলে শহরের আইনজীবী সহকারি সমিতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। কামাল আহমেদ বর্তমানে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
মত বিনিময়কালে কামাল আহমেদ বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। সেই ১৯৯৩ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে যোগদান করি। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে ঘাটাইল উপজেলার দিঘলকান্দি ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৯৯ সালে ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রলীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ কারিগরি ছাত্র পরিষদের (বাকাছাপ) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ২০০০ সালে সততার সাথে দিঘলকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহŸায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ২০০১ সালে ঘাটাইল উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলাম। ২০০৬ সালে ঘাটাইল উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছিলাম। এছাড়া গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে কালিহাতী আসনে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে অল্প কিছু ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হই।
ইঞ্জিনিয়ার কামাল আরও বলেন, ছোট বেলায় ছাত্রলীগ করলেও পরবর্তীতে যুবলীগের দায়িত্ব পালন করেছি। সেই থেকে যুবলীগের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক হয়। যুবলীগকে ভালবেসে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপির হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছি। যুবলীগের শহর থেকে তৃণমুল পর্যালের সকল কাউন্সিলর ও ডেলিগেটেরদের সাথে আমার সুসম্পর্ক রয়েছে। আমি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতে পারলে উপজেলা, শহর ও ওয়ার্ড পর্যায়ের যুবলীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি করা হবে। আর এসব কমিটি প্রবীণ ও ত্যাগীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। অপর দিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি আসনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দিন-রাত জনগনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরবো।
তিনি বলেন, যদি আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে সকলকে সাথে নিয়ে বর্তমান যে যুবলীগের কমিটি রয়েছে তার চেয়ে গ্রহণযোগ্য গতিশীল কমিটি করে টাঙ্গাইল জেলাবাসীকে উপহার দেবো। সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চেয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট চান তিনি।
ইঞ্জিনিয়ার মো. কামাল আহমেদ টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তিনি কালিহাতীর পৌরসভা সালেঙ্কা এলাকার মৃত মতিউর রহমানের ছেলে। তিনি ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ২০০১ সালে ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। ঘাটাইল উপজেলার হামিদপুর বাজার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছে। কামাল আহমেদ বর্তমানে ঠিকাদারি ও একাধিক ব্যবসার সাথে জড়িত।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে তৃণমূলের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, ইউপি সদস্য ও দরিদ্রদের মাঝে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামিমা আক্তারের নিজস্ব অর্থায়নে ঈদ উপহার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
এরই অংশ হিসেবে রবিবার ( ১৬ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়ন পরিষদে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন তিনি। পরে দুপুরে একই ইউনিয়নের গোসাইজোয়াইর বাজারে ৫ শতাধিক দরিদ্র মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন।
নেতাকর্মীদের ঈদ উপহারের মধ্যে ছিলো পুরুষদের জন্য পাঞ্জাবি ও মহিলাদের জন্য শাড়ী।
দরিদ্রদের জন্য ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ৫ কেজি চাউল, ১কেজি ডাল, ১ কেজি চিনি, এক প্যাকেট সেমাই ও ১ কেজি মুড়ি।
জানা গেছে, তৃণমূল নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যদের মাঝে পাঞ্জাবি ও শাড়ি উপহার দিচ্ছেন তিনি ।
এ ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে ৫ শতাধিক দরিদ্রদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করে আসছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার।
ইতোমধ্যে সদর উপজেলার হুগড়া, ঘারিন্দা, গালা , দাইন্যা ও বাঘিল ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের জন্য পাঞ্জাবি ও শাড়ি এবং দরিদ্রদের জন্য ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
গোসাইজোয়াইর বাজারে কথা হয় ঈদ সামগ্রী উপহার পাওয়া রহিমা বেগম, করিমন বেওয়া, ফজল আলীসহ বেশ কয়েক জনের সাথে। তারা জানায়, প্রতি বছর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাদের জন্য উপহার হিসেবে ঈদ সামগ্রী দিয়ে থাকেন। এ বছর এই ঈদ সামগ্রী পেয়ে তারা খুব খুশি।
এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের তৃনমূল নেতাকর্মীদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে আমি তৃণমূল কর্মীদের মাঝে যাচ্ছি। কারণ তৃণমূলের কর্মীরাই আওয়ামীলীগের প্রাণ। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলার মতো দেশব্যাপী উন্নয়নমুলক কাজ করেছেন। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে এই উন্নয়নের চিত্র সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরা। এই কাজটাই তৃণমূলের কর্মীদের, তাই আমি ঈদকে সামনে রেখে তৃণমূলের কর্মীদের দ্বারে-দ্বারে যাচ্ছি।
তিনি আরো জানান, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে নৌকাকে জয়যুক্ত করতে হলে সকল ধরনের ভেদাভেদ ভুলে আওয়ামী লীগকে একযোগে কাজ করতে হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচমের জিআই নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে জেলা প্রশাসক। বুধবার (১২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় নিজ কার্যালয়ে হলফনামা স্বাক্ষর করে শিল্পমন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) বরাবর টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচমের আবেদন করেছেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপপরিচালক স্থানীয় সরকার, শামীম আরা রিনি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ আবুল হাসেম, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্চিতা বিশ্বাস, ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি) সদস্য প্রতাপ পলাশ ও মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
জানা যায়, ২০০ বছরের ঐতিহ্য টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচমের। এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে টাঙ্গাইলের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। ধলেশ্বরী নদীর অববাহিকায় পোড়াবাড়ি গ্রামে দশরথ গৌড়ের হাতে চমচমের যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে। পোড়াবাড়ির সন্নিকটে যমুনা নদীর পানি, চারণভূমির বিচরণ করা গরুর খাঁটি দুধের কারণে স্বাদ ও মানের কারণে হয়েছে অনন্য। তৎকালীন পোড়াবাড়ি ঘাটের লঞ্চ, স্টিমারের যাত্রীদের মাধ্যমে চমচমের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। একই ধারা বয়ে চলছে যুগযুগ ধরে। পোড়াবাড়ি চমচমের রপ্তানি পথ সুগম করতে এবং দেশ বিদেশে আরও প্রচার বাড়াতে জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, ২০০ বছরের ঐতিহ্য বহনকারী পোড়াবাড়ির চমচম দেশে-বিদেশে টাঙ্গাইলের ব্র্যান্ডিং শক্তিশালী করেছে। এর সাথে জড়িত আছে জেলার হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। অদূর ভবিষ্যতে টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম যেন বিদেশেও রপ্তানি হয় এবং দেশ বিদেশে আরও বেশি প্রচার হয় তাই আমরা জিআই নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
তিনি আরো জানান, আশাকরি শীঘ্রই জিআই স্বীকৃতি মিলবে চমচমের। জেলা ব্র্যান্ডিংকে গুরুত্ব দিয়ে সামনের দিনে টাঙ্গাইলের শাড়ি, মধুপুরের আনারসসহ সম্ভাব্য সকল পণ্য জিআই তালিকাভুক্ত করতে আমরা কাজ করব। চমচমের জিআই ডকুমেন্টেশনে সহযোগিতা করায় আমি ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (ইডিসি)-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
একতার কণ্ঠঃ: আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় আবারো বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমদ তাকরিম।
এবার ২৬ তম দুবাই আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম হলেন তাকরিম।
প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হয়েছেন ইথিওপিয়ার আব্বাস হাদি ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন সৌদি আরবের খালিদ সুলাইমান।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল)বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় প্রথম স্থান অধিকারী হিসেবে তাকরিমের নাম ঘোষণা করা হয়।
হাফেজ তাকরিমের হাতে পুরস্কার তুলে দেন দুবাইয়ের শেখ পরিবারের সদস্য শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ মুহাম্মদ আল মাকতুম। উপস্থিত ছিলেন কুরআন প্রতিযোগিতার ভাইস প্রেসিডেন্ট সায়েদ হারেব-যাযাদি
তাকরিমের প্রথম স্থান অর্জন করার বিষয়টি ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন মারকাযু ফয়জিল কুরআনের শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মামুন।
হাফেজ তাকরিম মারকাযু ফয়জিল কুরআন আল ইসলামী ঢাকা-এর কিতাব বিভাগের ছাত্র ও টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের ভাদ্রা গ্রামের হাফেজ আব্দুর রহমানের ছেলে।
এ বছরের ১২ জানুয়ারি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক নির্বাচনী পরীক্ষায় একদল বিজ্ঞ বিচারক মণ্ডলির রায়ে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিত হয় তাকরিম।
এবারের প্রতিযোগিতায় শুধু তাকরিম-ই দেশের নাম উজ্জ্বল করেনি। দুবাইয়ের এই প্রতিযোগিতার বিচারক প্যানেলে ছিলেন শায়খ শোয়াইব মোহাম্মদ আলআজহারি নামে এক বাংলাদেশী আলেম।
প্রতিযোগিতার মূল পর্বে নিয়ম অনুযায়ী, তিলাওয়াতের সময় একাধারে পাঁচটি প্রশ্নের নির্ভুল উত্তর দেন হাফেজ তাকরিম। কোনো প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে ভুল হয়নি তার। মিষ্টি মধুর কন্ঠে তার তিলাওয়াত শুনে বিচারকেরা মুগ্ধ হয়ে পড়েন।
এর আগে বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।
এছাড়াও গত মার্চে ইরান আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম প্রথম, মে মাসে লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় সপ্তম স্থান অর্জন করেন। ২০২০ সালে পবিত্র রমজান মাসে বাংলাভিশন টেলিভিশন আয়োজিত হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হোন তিনি।
একতার কণ্ঠঃ স্বপ্ন বাস্তবায়নে অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ডা. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (শিশু বিভাগ)।
তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন সহধর্মীনি ডা. জাহিদা বেগম সুইটি। তিনি একই হাসপাতালের প্রভাষক (এনাটমি বিভাগ)। তাদের স্বপ্ন পূরণ হিসেবে টাঙ্গাইলে যাত্রা শুরু করে ‘প্রত্যাশা স্পেশাল স্কুল এন্ড থেরাপি সেন্টার’। সেখানে অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসা দেয়া হয়।
ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা নিতে অনেকেই ছুটে যান ঢাকা। অনেকেই আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে চিকিৎসা করাতে পারেন না। এসব চিন্তা ও সন্তানের শারিরিক সমস্যা দেখে স্বপ্ন জাগে টাঙ্গাইলে একটি প্রতিষ্ঠান করার। সেই লক্ষে ২০১৭ সালে টাঙ্গাইল পৌর শহরের সাবালিয়াতে নিজের বাসায় শুরু করেন। নাম দেন ‘প্রত্যাশা স্পেশাল স্কুল এন্ড থেরাপি সেন্টার’। ২০১৮ সালে এটি সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন পায়।
ডা. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ‘প্রত্যাশা স্পেশাল স্কুল এন্ড থেরাপি সেন্টার’ প্রতিষ্ঠার গল্প।
তিনি জানান, ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা। তার স্ত্রী প্রথম সন্তান প্রসব করেন। সন্তানের নাম রাখেন জাইদি। সন্তানকে নিয়ে হাসি-খেলার মধ্যদিয়ে তাদের সময় কাটতে থাকে। দেখতে দেখতে দেড় বছর কেটে যায়। তিনি লক্ষ্য করেন, জাইদি অতিরিক্ত ভয় পায়। সব কাজে অতিরিক্ত সচেতন, ওর খেলনার সামগ্রী জুতা, পাতিল, চামিচ। সময় চলে যায় কিন্তু সে কথা বলে না। সবাই বলেন অনেকে দেরিতে কথা বলে। কিন্তু অপেক্ষার প্রহর আর শেষ হয় না। শুরু হয় জাইদিকে নিয়ে যুদ্ধ। এই ডাক্তার, সেই ডাক্তার দেখানো, চিকিৎসার জন্য অনেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। সবাই বললেন ঠিক হয়ে যাবে। কিছু কমন কথা এবং প্রচুর ওষুধ। কিছুতেই কিছু হলো না। জাতীয় মানসিক সাস্থ্য ইন্সটিটিউটের সহযোগি অধ্যাপক ডাক্তার হেলাল আহমেদ প্রথম বললেন, আপনার ছেলে সবার থেকে একটু আলাদা, ওকে ঢাকা নিয়ে যান। টাঙ্গাইলে এর চিকিৎসা হবে না। তারপর তিনি বললেন, আপনার ছেলে অটিস্টিক। এ কথা শুনে আঘাত পেলেও তারা স্বামী-স্ত্রী কেউ ভেঙে পড়েননি।
সেদিনই ঢাকা চলে গেলেন। বিভিন্ন সেন্টারে যোগাযোগ করলেন। অবশেষে জাইদির চিকিৎসা শুরু হলো। মিরপুর crp তে জাইদিকে occupational এবং speech therapy দেওয়া শুরু হলো। ভর্তি করা হলো ঢাকা প্রয়াশ স্কুলে। অনেক কঠিন যুদ্ধ। ঢাকা আসা-যাওয়া, থাকা, প্রচুর অর্থ খরচ। ঢাকাতে তিনটা বছর কাটে।
এদিকে নিজেদের চাকরি, সংসার, ছোট বাচ্চা, সব মিলিয়ে হাঁপিয়ে উঠেন তারা। ফিরে আসেন টাঙ্গাইল। কিন্তু এখানে কোন special school speech therapy এবং occupational therapy নেই।
তিনি শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হওয়ায় প্রায় লক্ষ্য করতেন, তার ছেলের মতো টাঙ্গাইলে আরো অনেক শিশু রয়েছে। তাদের অভিভাবক সন্তানের চিকিৎসা ঠিকভাবে করাতে পারছে না। ঢাকায় নিয়মিত চিকিৎসা করানো অনেকের জন্য কঠিন। তাছাড়া এ চিকিৎসা ব্যয়বহুলও। এ অবস্থায় তার মাথায় একটি স্বপ্ন বাসা বাধে- টাঙ্গাইলে এরকম একটা theraty center হবে। যার মাধ্যমে তার সন্তানের সাথে সাথে অন্যদের সন্তান চিকিৎসা পাবে। শুরু করে দেন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ।
ডা. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের দেশে occupational এবং speech therapist এর সংখ্যা খুবই কম। অনেক কষ্টে therapist পেয়ে গেলাম। তারপর আল্লাহর অশেষ রহমতে একজন স্পেশাল এডুকেশন শিক্ষক পেলাম। আস্তে আস্তে এগিয়ে যেতে থাকে প্রত্যাশা। বর্তমানে ঢাকা থেকে ছয়জন প্রশিক্ষিত থেরাপিস্ট আসছেন। তাদের পাশাপাশি লোকাল চারজন কাজ করছেন।
বর্তমানে সাবালিয়াতেই একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সেন্টারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার নিজস্ব জায়গায় প্রত্যাশা স্পেশাল স্কুল এন্ড থেরাপি সেন্টারের পরিকল্পিত ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন।
বিশেষ শিশু যারা ঠিকমত কথা বলতে পারেনা, অস্বাভাবিক আচারণ করে, ঠিকমত হাটা-চলা করতে পারেনা, অনুভূতির সমস্যা, অতিরিক্ত ভয় পাওয়া, অতিরিক্ত অস্থির প্রকৃতির- তাদেরকে অতি যত্ন সহকারে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিশেষজ্ঞ থেরাপিস্ট দ্বারা থেরাপি দেওয়া হয় প্রত্যাশা স্পেশাল স্কুল এন্ড থেরাপি সেন্টারে। গড়ে ৮০ জন শিশু এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানান সেন্টার কর্তৃপক্ষ।
ডা. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, বিশেষ শিশুটিকে আড়ালে না রেখে প্রকাশ করুন, বিকশিত হবেই।’ এটাই আমাদের শ্লোগান এবং এই মূল মন্ত্রটিকে ধারণ করেই আমাদের অগ্রযাত্রা। শারীরিক প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করা।’
একতার কণ্ঠঃ আসন্ন পবিত্র রমজান ও ঈদুল-ফিতরে ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে টাঙ্গাইল অংশে যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা রোধে সাংবাদিকদের সাথে ট্রাফিক পুলিশের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকালে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর (প্রশাসন, টাঙ্গাইল উত্তর) মো. রফিকুল ইসলাম সরকার,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর হারুণ অর রশীদ, সার্জেন্ট জামিউল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর (প্রশাসন, টাঙ্গাইল উত্তর) মো. রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরে নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে টাঙ্গাইল পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ এখন থেকেই সক্রিয় রয়েছে। এলেঙ্গা উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার হওয়ায় প্রতিবছর ঈদে ঘরমুখো মানুষের ব্যবহিত যানবাহনের প্রচন্ড চাপ থাকে। এবছর গোড়াই থেকে এলেঙ্গা বাসষ্ট্যান্ড পর্যন্ত ৬৫ কি.মি. ফোরলেনের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় যানজট তুলনামুলকভাবে কম হবে বলে আশা করছি।
তিনি আরো বলেন, টাঙ্গাইলের মাননীয় পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সারের নির্দেশনায় টাঙ্গাইল ট্রাফিক বিভাগ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে যানজট নিরসনে কাজ শুরু করেছেন। দুরপাল্লার যানবাহন যেন অযথা পুলিশের হয়রানীর শিকার না হয় সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। যাত্রা পথে যেন দুর পাল্লার যানবাহন চাদাঁবাজির শিকার না হন সে লক্ষেও কাজ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন (অটোরিক্সা-সিএনজি) কোনভাবেই যেন প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে এখন থেকেই মনিটরিং করা হচ্ছে। মহাসড়কে হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল কোনভাবেই চলাচল করতে দেওয়া হবেনা। এ ছাড়াও তিনি মহাসড়ক পারাপারের ক্ষেত্রে স্থানীয় ফুটওভারব্রিজ ব্যবহারের জন্য পথচারিদের নির্দেশনা প্রদান করেন। ঈদের পুর্বেই এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে পথচারি পারাপারের জন্য মহাসড়কে জেব্রাক্রসিং করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা সদরের আদালত চত্বর এলাকায় ভুয়া কাজির ছড়াছড়ি হওয়ায় অবাধে চলছে বাল্যবিবাহ। অধিক লাভের আশায় এসব ভুয়া কাজিদের পরোক্ষ মদদ দিচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। তাদের আশ্রয় প্রশ্রয়ে প্রকাশ্যে বাল্য বিয়ে পড়াতে সমর্থ হচ্ছে এসব কাজিরা।
টাঙ্গাইল জেলা রেজিষ্ট্রার মো. মাহফুজুর রহমান খান জানান, এ বিষয়ে লিখিতসহ একাধিক মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মহাদয়ের পরামর্শক্রমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই এলাকার জন্য নির্ধারিত নিবন্ধন প্রাপ্ত কাজির ডিআর বই ব্যবহার না করে অন্য এলাকার কাজির ডিআর বই নিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিয়ে পড়ানো হচ্ছে হরহামেশাই। তাদের দৌরাত্ব্যে বঞ্চিত হচ্ছে অত্র এলাকার জন্য নিবন্ধন প্রাপ্ত কাজি।
এ বিষয়ে তদারকির জন্য জেলা রেজিস্ট্রারের উপর দায়িত্ব থাকলেও অজ্ঞাত কারণে জেলা রেজিস্ট্রার কার্যকরী পদক্ষেপ নেয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সখিপুর উপজেলার নলুয়া বাছেদ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর এক ছাত্রীর বিয়ে পড়াচ্ছেন মো. শাহীন মিয়া নামের এক কাজি। তিনি দীর্ঘ পনের বছর যাবত কোন রকম বৈধ কাজির সনদ ও কাগজপত্র ছাড়াই কোর্ট চত্বরে বিয়ে পড়িয়ে আসছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের আব্দুল হাই কাজির ডি আর বইসহ মধুপুর, মির্জাপুর ও সখিপুরের ডিআর বই ব্যবহার করে অধিক টাকার বিনিময়ে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিবাহ পড়াচ্ছেন। এসব বাল্যবিয়ে পড়িয়ে টাঙ্গাইল শহরের একটি ক্লিনিকের অংশীদারসহ কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি।
তার ছত্রছায়ায় একাধিক কাজি কোর্ট চত্বরে দেদারছে চালাচ্ছে বিবাহ রেজিস্ট্রি ও তালাক নিবন্ধন। অধিক মুনাফার আশায় আদালত চত্বরে কর্মরত বেশ কিছু আইনজীবী তাদের সেরেস্তা ব্যবহার করতে দিচ্ছেন এই সব ভুয়া কাজিদের। ফলে আইনজীবীদের সেরেস্তা ব্যবহার করেই এসব বাল্যবিবাহ পড়ানো হচ্ছে।
কোর্ট চত্বর এলাকা ব্যবহার করে অবাধে চলছে ভুয়া জন্মসনদ, নকল কাবিননামা আর জাল সিল-স্বাক্ষরে বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রি।
জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে আসা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেফিট করে প্রাপ্তবয়স্ক বানিয়ে বিয়ে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করা হচ্ছে।
গ্রাম অঞ্চলে এক শ্রেনীর দালালদের মাধ্যমে গুঞ্জণ আছে কোর্ট চত্বরে গেলে অভিভাক ছাড়াই বিয়ে পড়ানো যায়। এর সুযোগ নিচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর-কিশোরী ও ঘর পালানো প্রেমিক-প্রেমিকারা।
এসব কাজি তাদের প্রয়োজনে নকল কাবিননামা, তালাকনামা ও বয়স প্রমানের এফিডেফিটের ঘোষণাও দিচ্ছেন। এতে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যেমন আতঙ্কে রয়েছেন তেমনি পরকীয়ার বলি হচ্ছে রেমিটেন্স যোদ্ধা (প্রবাসীদের) সংসার।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মো. শাহিন মিয়া জানান, তার কোন বৈধ কাজির কিম্বা বিবাহ পড়ানোর অনুমোদন নেই। তিনি সাব-কাজি হিসেবে কাজ করেন। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিবাহ পড়ান তিনি,তবে বয়স প্রমানের কাগজপত্র জমা না দিলে কাবিনের সার্টিফাইড কপি দেন না তিনি।
তিনি আরো জানান, আমি ছাড়াও আরো অনেকেই কোর্ট চত্বরে বিয়ে পড়াচ্ছে, তারা হচ্ছে-মো. জয়নাল আবেদিন, মো. হামিদুল ইসলাম,আকরাম হোসেন ও কায়সার আহম্মেদ সহ আরো অনেকেই।
টাঙ্গাইল জেলা সদরের ১নং ওয়ার্ড ও কোর্ট চত্বর এলাকার ভারপ্রাপ্ত কাজি আব্দুল সামাদ জানান, এ বিষয়ে জেলা রেজিষ্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। তিনি আশা করেন, জেলা রেজিষ্ট্রার যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করিবেন।
টাঙ্গাইল জেলা রেজিষ্ট্রার মো. মাহফুজুর রহমান খান জানান, এ বিষয়ে লিখিতসহ একাধিক মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মহাদয়ের পরামর্শক্রমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
“একতার কণ্ঠ-এক্সক্লুসিভ”