একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে আব্দুল হাই নামে এক ইউপি সদস্যকে চুরি মামলায় জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার(১ মার্চ) চুরি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালতের বিচারক সুমন কুমার কর্মকার তাকে জেলহাজতে পাঠান। বাদী পক্ষের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত আব্দুল হাই উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, আব্দুল হাই প্রায় ৬ মাস পূর্বে তরফপুর গ্রামের প্রবাসী জলিল দেওয়ানের বাড়িতে শিদ কেটে স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে পালানোর সময় গৃহকর্তৃ নুরজাহান দেখে ফেলেন। গ্রাম্য শালিসে চুরির বিষয়টি প্রমানিত হলেও স্বর্ণালঙ্কার ফেরত দেয়নি তিনি। পরে নুরজাহান বাদী হয়ে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা করেন।
আদালত এই চুরির মামলাটি মির্জাপুর থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) একরামুল তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সোমবার ইউপি সদস্য আব্দুল হাই টাঙ্গাইল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুমন কুমার কর্মকারের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠান।
একতার কষ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে মো. মাসুদ খান নাসির চার বছর ধরে অবিরাম গণসংযোগ করছেন। তিনি হেমনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিনের সাবেক সভাপতি মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান খানের ছেলে ও ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য।
হেমনগর ইউনিয়নের শাখারিয়া মহিলা আ’লীগের সভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন, ৬নং ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুল হক খান কিসলু, নলীন বাজারের ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম রুবেল, নারুচি গ্রামের মো. হাবিবুর রহমান, মো. পিন্টু মিয়া, বেলুয়া গ্রামের হাসিনুর বসনী, বানীপাড়া গ্রামের মো. নিরব হোসেন, নারুচী গ্রামের মো. আইয়ুব আলী, শিমলাপাড়া গ্রামের মোছা. আছিয়া খাতুন সহ অনেকেই জানান, মো. মাসুদ খান নাসির বিগত চার দলীয় জোট সরকারের সময় ব্যাপক হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তার বাবা মরহুম মতিয়ার রহমান হেমনগর ইউনিয়নবাসীকে সব ধরণের সমস্যায় ছায়া দিয়ে আগলে রেখেছেন।
উত্তরাধিকার হিসেবে মো. মাসুদ খান নাসিরও বাবার অনুকরণে জনসেবা করে এলাকার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। করোনাকালে তিনি ইউনিয়নের ১৯টি গ্রামের সাধারণ মানুষকে খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে সাহস দিয়েছেন। স্থানীয় মসজিদ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয় ও মন্দিরে তিনি নিয়মিত আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকেন।
হেমনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আ’লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান মিয়া, আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম রিন্টু সহ স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্মীরা জানান, গোপালপুর উপজেলা ৭১’র ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ খান নাসির একজন সৎ, পরোপকারী, সজ্জন ও প্রতিবাদী ব্যক্তি হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
স্থানীয় সালিশ-বিচারে মাতব্বরদের আর্থিক সুবিধা গ্রহনের তিনি ঘোর বিরোধী। হেমনগর ইউনিয়নের তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ও জনপ্রিয় ব্যক্তি। আগামি ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিতে একজন ত্যাগী ও তৃণমূলের নেতা হিসেবে মো. মাসুদ খান নাসিরকে আওয়ামীলীগের হাই কমান্ড বিবেচনা করবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নলীন বাজার সিএনজি ও ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ খান নাসির জানান, তিনি পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৯০ সালে তিনি হেমনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে রাজনীতিতে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন। বাবার কাছ থেকে পাওয়া জনসেবাকে তিনি ব্রত হিসেবে গ্রহন করে এলাকার মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। এলাকার সাধারণ মানুষের ব্যাপক আগ্রহে তিনি আসন্ন ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন।
একাতার কন্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইল কেন্দ্রিয় ঈদগাঁয়ে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ১৬টি দোকান ঊচ্ছেদ করা হয়েছে। বুধবার(২৪ ফেব্রয়ারী) বিকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ খায়রুল ইসলাম ওই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
সদর উপজেলা ভূমি অফিসের তথ্য মতে, ১৯০৫ সালে স্থাপিত টাঙ্গাইল কেন্দ্রিয় ঈদগাঁয়ের আয়তন প্রায় ৬ একর। দীর্ঘ দিন ধরে বেশ কয়েক জন অবৈধ দখলদার চায়ের দোকান,ফাষ্ট ফুড, হারবাল সরবত সহ বিভিন্ন ধরনের দোকান খুলে ব্যবসা করে আসছিলেন। উপজেলা ভূমি অফিস থেকে বেশ কয়েকবার নোটিস দেওয়ার পরও এই সব দখলদার অবৈধ দোকানগুলো সরিয়ে নেয়নি। গত ১৮ ফেব্রয়ারী (বৃহস্পতিবার) তাদেরকে চুড়ান্ত নোটিস দেওয়া হয়। অবৈধ দোকানদারগণ নোটিশটি আমলে না নেওয়ায়, এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ঈদগাঁ থেকে সদ্য উচ্ছেদ হওয়া চা দোকানি দিনেশ চৌহান বলেন, যারা ঈদগাঁয়ে দোকান করে তারা প্রায় সবাই গরীব ও হত-দরিদ্র। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে দোকান উচ্ছেদ করাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপদে পড়তে হবে। তিনি বলেন আশা করি, সরকার আমাদের অন্য কোথাও দোকান করার জায়গা করে দেবেন।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সহকারী কমিশনার(ভূমি) মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, সরকারী জমি উদ্ধারের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঈদগাঁ থেকে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে, শিশু-কিশোরদের খেলা-ধূলার জন্য মাঠটি উন্মুক্ত করা হলো। ঈদগাঁয়ের দক্ষিন পাশে সীমানা প্রাচীরের কাছে যে অবৈধ বাঁশের বাজার গড়ে উঠেছে তাও উচ্ছেদ করা হবে। আজ উচ্ছেদের মৌখিক নোটিশ দেওয়া হলো। আগামী সপ্তাহে বাঁশ বাজারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এই উচ্ছেদ অভিযানে বিপুল সংখ্যাক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সহ উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী গণ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ প্রতিষ্ঠার ৩৭ বছর পর নিজস্ব অর্থায়নে এ বছর নতুন শহীদ মিনার নির্মান করেছে ভূঞাপুরের চর গাবসারা দাখিল মাদ্রাসা। পাকা ও স্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে এবারই প্রথম ২১ শে ফেব্রুয়ারি উদযাপন হয়েছে, এই আনন্দে আত্মহারা মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা। ১৯৮৪ সালে যমুনা নদীর দূর্গম চরে মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়।প্রতিষ্ঠার ৩৭ বছর পর এই প্রথম শহীদ মিনার হওয়াতে এলাকাবাসিও আনন্দিত।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইল শহর থেকে ৩১ কিলোমিটার দুরে ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী নৌকা ঘাট। এরপর নৌকা যোগে প্রায় ২০ মিনিট যাবার পর যমুনা নদীর পুংলীপাড়া ঘাট। তারপর কমপক্ষে ১৫ মিনিট বালু চরে পায়ে হেঁটে মাদ্রাসাটির অবস্থান।
৭৫ শতাংশ জমির উপর নির্মিত মাদ্রাসাটির ইবতেদায়ী থেকে দাখিল পর্যন্ত বর্তমানে মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৪০২ জন। শিক্ষক কর্মচারীসহ স্টাফ ১৫ জন। চরাঞ্চলের অতি সাধারণ মানুষের সন্তানদের এ প্রতিষ্ঠানটির সুনাম উপজেলা ব্যাপী থাকলেও ছিল না স্থায়ী শহীদ মিনার। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতি বছর কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার বানিয়ে ২১ শে ফেব্রুয়ারি উদযাপন করতো।
এমনকি টিন ও কাঠ দিয়ে ছোট্র করে শহীদ মিনার বানিয়ে সেটি বেঞ্জ বা চেয়ারের উপর রেখে ফুল দেওয়া হতো। তাই ছাত্র-ছাত্রীদের দীর্ঘদিনের জোরালো দাবি ছিল, একটি স্থায়ী নতুন শহীদ মিনারের।
মাদ্রাসার সুপার আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির সাথে আমরাও অনুধাবন করি একটি স্থায়ী শহীদ মিনারের। সে লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে আর্থিক অনুদান পেতে চেষ্টা করেও ব্যার্থ হই। পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে, প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব অর্থে ২০২০ সালের আগষ্টে নতুন শহীদ মিনার নির্মাণ করেছি। অনেক দূরের বাজার থেকে এখানে ইট, রড়, সিমেন্ট নিয়ে আসা যে কি কষ্টের বলে বোঝাতে পারবো না।
করোনা ও বন্যার মধ্যেই বাকি করে এটি বানিয়েছি। এখনও কিছুটা কাজ অসম্পূর্ণ আছে। ২০২১ সালের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে শহীদ মিনারের উদ্বোধন করেছি।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম, আসিফ সরকার, নাদিয়ারা বলে, আমরা কলা গাছের শহীদ মিনার বানিয়ে ফুল দিতাম। অনেকবার স্যারদের বলেছি। আশেপাশেও ভাল কোন শহীদ মিনার নেই। এবার নিজের মাদ্রাসায় নতুন পাকা শহীদ মিনারে ফুল দিতে পেরেছি। সত্যি আমাদের খুব আনন্দ লাগছে।
এদিকে জেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা খানম বলেন, জেলার ১২ টি উপজেলায় আমাদের ৯৮৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৮৩ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। ৪০৬ টি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে। এবার মাত্র ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একেবারে নতুন শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে। যাতে এবারই ফুল দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট কবি বুলবুল খান মাহবুব বলেন, আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভাষা ও স্বাধীনতার সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করেছিলাম। সরকারি ভাবে দৃঢ় নীতিমালা করে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ করা দরকার।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গণি বলেন, নতুন প্রজন্মকে জানাতে এবং সবাইকে চেতনায় উজ্জীবিত করতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা উচিত। জেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। করোনা প্রভাব দূর হলে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর কর্তৃপক্ষকে শহীদ মিনার স্থাপনের জন্য অনুরোধ করা হবে। প্রয়োজনে আমরা আর্থিক সহযোগিতা করবো।
নিউজ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী আব্দুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কলেজ পরিচালানা পরিষদের সিদ্ধান্তে তাকে এই বরখাস্ত করা হয়। কলেজ পরিচালনা পরিষদের ১৫ জন সদস্যের ১৪ জনই তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ায় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।
এই বরখাস্তের অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম বলেন, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অন্যায় ভাবে তার কক্ষে তালা দেওয়া হয়েছে।
কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা জানান, অধ্যক্ষ আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও আর্থিক অপব্যয়সহ নানা অভিযোগ এনে শিক্ষকরা আন্দোলন করে।
পরে পরিচালনা পরিষদের সভায় সদস্যের সাক্ষ্য ও তথ্য-প্রমাণে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। অধ্যক্ষ আব্দুর রহিমের শোকজের জবাব ও মৌখিক বক্তব্য সন্তোষজনক না হওয়ায় জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় বিধি অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত(স্মারক-২৫২(১৩) সা/ম: বরখাস্ত/২২১, তাং-০৪/০২/২০২১ইং) করা হয়েছে।
প্রকাশ, অধ্যক্ষ আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে চরম অসৌজন্য আচরণ, কলেজের লাখ লাখ টাকা আত্মসাত, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। সম্প্রতি গোপনে অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম কলেজ থেকে কিছু নথিপত্র নিয়ে যান এবং একটি নথি ছিঁড়ে ফেলেন।
ওই ঘটনায় কলেজের সিনিয়র সহকারী অধ্যাপক গোলাম আম্বিয়া সিদ্দিকী বাদী হয়ে অধ্যক্ষ আব্দুর রহিমকে অভিযুক্ত করে কালিহাতী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি(জিডি) করেন। তার শাস্তির দাবিতে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে তালা ঝুঁলিয়েও দেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে টাঙ্গাইলের লায়ন নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে আব্দুর রহিমকে একই কারণে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়।
নিউজ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাংক একাউন্ট এমআইএস (ম্যানেজম্যান্ট ইনফরমেশন সিস্টেম) করার সময় ব্যাংকের শাখার নাম সখীপুরের স্থলে বাগেরহাট হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের সম্মানী ভাতা তুলতে পারছেন না। গত তিনদিন ধরে তিন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা সোনালী ব্যাংকে এসে ভাতা তুলতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন। ফলে ভোগান্তিতির শিকার হচ্ছেন সখীপুরের বীরমুক্তিযোদ্ধারা।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্র জানা যায় , উপজেলায় ৯৯৮জন তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা থাকলেও এমআইএসের অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন ৯৮৩জন। এরমধ্যে জীবিত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন ৬২০জন। সম্পতি সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ইএফটি-এর মাধ্যমে (ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার) সরাসরি তাঁদের ব্যাংক হিসাবে (অ্যাকাউন্টে) পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
গত সোমবার (১৫ ফেব্রয়ারী) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা জিটুপি (গভম্যান্ট টু পারসন) প্রক্রিয়ায় সরাসরি তাঁদের ব্যাংক হিসাবে পাঠানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় এক লাখ ৬৮ হাজার মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের উপকার ভোগীকে জানুয়ারি মাসের ভাতা বাবদ এক শত ৮২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরাসরি ভাতা ভোগীর ব্যাংক হিসাবে পাঠানো হয়।
সখীপুর সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা (পিও) সাইফুল ইসলাম বলেন, তিন শতাধিক মুক্তিযোদ্ধার অ্যাকাউন্টে এখনো টাকা পৌঁছেনি। পরে তিনি খবর নিয়ে জানতে পেরেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের এমআইএস করার সময় ভুলবশতঃ ব্যাংকের শাখার অপশনে সখীপুর লেখা হলেও অটোমেটিক বাগেরহাট হয়ে গেছে।
ফলে তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা আসেনি। গত তিনদিন ধরে বীরমুক্তিযোদ্ধারা ব্যাংকে এসে টাকা তুলতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন।
ওই ব্যাংক কর্মকর্তা আরও বলেন, সখীপুরে ১৩২জন বীরমুক্তিযোদ্ধা তাঁদের ভাতার বিপরীতে তিন লাখ টাকা করে ঋণ নিয়েছেন।
প্রতিমাসে আমরা ওই ভাতা থেকে সাড়ে সাত হাজার টাকা কিস্তি হিসেবে সমন্বয় করি। তাঁদের ভাতা না আসায় ঋণের কিস্তিও সমন্বয় করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলার গোহাইলবাড়ী গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মিয়া উল্লাহ, বাঘেরবাড়ী গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম, বহুরিয়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা ময়েজ উদ্দিন বলেন, আমরা তিনদিন ধরে দুই শত টাকা খরচ করে ভাতা তোলার জন্য সোনালী ব্যাংকে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে, ভাতা না পেয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। ভাতা কবে তুলতে পারব তা কেউ বলতে পারছে না। আগামী সোমবারেও ভাতা পাওয়া নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মনসুর আহমেদ বলেন, এমআইএস করার সময় তথ্য পূরণে আমাদের কোনো ভুল হয়নি। তবে শাখার অপশনে অটোমেটিক সখীপুরের স্থলে বাগেরহাট হয়েছে। বিষয়টি সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই বিষয়টি সমাধান হবে।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ টাঙ্গাইলের মৃৎ শিল্প উন্মুক্ত বাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পেরে হারিয়ে যেতে বসেছে। অত্যাধুনিক প্লাস্টিক, অ্যালুমোনিয়াম ও মেলামাইনের তৈজসপত্রের দাপটে এ শিল্প প্রায় বিলুপ্ত। ফলে জেলার প্রতিভাবান মৃৎ শিল্পীরা অর্থাভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।
জেলায় এক সময় তৈজসপত্রের চাহিদা পুরণ করত মাটির তৈরি হাড়ি, পাতিল, কলসি, থালা(সানকি), কুয়ার পাট, নানা ধরণের খেলনা, বিভিন্ন পিঠা তৈরির খরমা(সাজ) ইত্যাদি। গ্রাম্য মেলা ও হাট-বাজারে মাটির তৈরি ওইসব পণ্য শোভা পেত।
মাটির তৈরি এসব পারিবারিক তৈজসপত্র বিজ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থসম্মত ও সুস্বাদুপণ্যের আধার হিসেবে পরিগণিত। মাটির তৈরি উৎকৃষ্টমানের ওইসব তৈজসত্রের স্থান দখল করে নিয়েছে অ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিক ও মেলামাইনের তৈরি তৈজসপত্র। গ্রামাঞ্চলের উৎসব-মেলা বা হাট-বাজারে প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি মৃৎশিল্পের পণ্য সামগ্রীর জায়গা নিয়েছে কৃত্তিমভাবে তৈরি তৈজসপত্র।
টাঙ্গাইল বিসিক সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় ১৫৮টি কুমার পরিবার, বাসাইলে ১১৫টি, নাগরপুরে ১০৭টি, মির্জাপুরে ৯৯টি, দেলদুয়ারে ৬৫টি, ঘাটাইলে ৬০টি, ভূঞাপুরে ফলদা কুমার পাড়ায় ২২০টি, কালিহাতীতে ২৮০টি, গোপালপুরে ১১২টি, ধনবাড়ীতে ১০টি এবং মধুপুর উপজেলায় ৯টি কুমার পরিবার বসবাস করছে। জেলায় এক হাজার ২৩৫টি কুমার পরিবার থাকলেও তাদের অধিকাংশই পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মৃৎ শিল্পীরা সুনিপুন শৈল্পিকতায় তৈরি করছেন পুতুল, ফুলের টব, কুয়ার পাট, হাঁড়ি-পাতিল, খেলনা, শো-পিস সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় ও সৌখিন জিনিসপত্র। এসব পণ্য তারা শহরের দোকান এবং বাসা-বাড়িতে বিক্রি করে থাকেন। বর্তমান সামাজিকতায় মৃৎ শিল্পের তৈজসপত্রের ব্যবহার চোখে পড়ে না, সৌখিন জিনিসপত্র এবং কুয়ার পাট তৈরিই মৃৎশিল্পীদের জীবিকার একমাত্র ভরসা।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাসাখানপুরের চৈতি পাল, দেলদুয়ারের গমজানির নিমাই পাল, ভূঞাপুরের ফলদা কুমার পাড়ার পিয়াতা পাল জানান, মৃৎ শিল্পীরা তাদের বাপ-দাদার পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। প্লাস্টিক, মেলামাইন ও অ্যালুমোনিয়াম পণ্য মৃৎ শিল্পের ভবিষ্যত ফিঁকে করে দিয়েছে। পৈত্রিক পেশাকে টিকিয়ে রাখতে জড়িতরা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার দাবি করেন।
টাঙ্গাইল বিসিক শিল্প নগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক শাহনাজ বেগম বলেন, বিসিক থেকে সরকারি সহযোগিতায় মৃৎ শিল্পীদের বিভিন্ন ধরনের কারিগরী ও আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়। যে সব মৃৎ শিল্পীরা শো-পিস তৈরি করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও ব্যাংক ঋণে সহযোগিতা করা হয়।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েছেন নব্বইয়ের জনপ্রিয় জুটি তারকা দম্পতি নাঈম ও শাবনাজ। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা। ভ্যাকসিন নেওয়ার দুজনেই সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন।
ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এই দম্পতি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমরা কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন নিয়েছি। আল্লাহ রহমতে আমরা ভালো আছি।
এ সময় সবাইকে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, ‘সবার জন্য দোয়া রইল। আল্লাহ মালিক।’
এর আগে জনপ্রিয় অভিনেতা সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিশিষ্ট নাট্যশিল্পী সারা জাকের, অভিনেত্রী ও এমপি সুবর্ণা মোস্তফা এবং জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী জেমস করোনার টিকা নেন।
১৯৯১ সালে ‘চাঁদনী’ ছবির মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক এই জুটির। সেসময় ছবিটি ছিল সুপারহিট। তারা জুটি বেঁধে এরপর আরও প্রায় ২০টির মতো ছবিতে অভিনয় করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘জিদ, ‘লাভ, ‘চোখে চোখে, ‘অনুতপ্ত, ‘বিষের বাঁশি’, ‘সোনিয়া’, ‘টাকার অহংকার’, ‘সাক্ষাৎ’ ও ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’।
সিনেমা করতে গিয়েই দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব ও প্রেম গড়ে ওঠে। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে রয়েছে দুই কন্যাসন্তান।
নাঈম-শাবনাজ বর্তমানে চলচ্চিত্র ছেড়ে দূরে আছেন। নাঈম মনোযোগী তার ব্যবসা নিয়ে এবং শাবনাজ ব্যস্ত সংসার নিয়ে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলো থেকে বিএনপি’র এজেন্টদের বের করে দেওয়া, মিথ্যা অভিযোগে আটক নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ পুনরায় নির্বাচনের দাবি করেছেন বিএনপি দলীয় মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হক সানু । তিনি এই নির্বাচনকে প্রহসনের নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করে পুন:র্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে
সদ্য অনুষ্ঠিত পৌরসভার নির্বাচনে ভোট কারচুপি, মিথ্যা অভিযোগে আটক দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তিসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন বিএনপি সমর্থিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদুল হক সানু।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় বোমাবাজি করে কেন্দ্র দখল করে নেয়। অপরদিকে, দেওলা কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুল হামিদসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। এছাড়া পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দিয়ে নৌকা সমর্থিত প্রার্থীর সমর্থকরা জাল ভোট প্রদান করে।
এছাড়াও নির্বচনী এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আটক হওয়া দেলোয়ার হোসেন, হাসিবুল হাসান, রাকিব সরকার, এহসানুল হক নয়ন, সোহানুর রহমান সোহান, আশরাফুল ইসলামসহ প্রায় ১৯জন বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেন তিনি।
মেয়রপ্রার্থী মাহমুদুল হক সানু আরও বলেন, এই প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে এবং প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অভিযোগে আটক সকল পর্যায়ের বিএনপি সমর্থিত নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কারাগারে বন্দি বিরোধী দলের নেতাদের মা, বাবা, স্ত্রী, মেয়ে, ছেলেসহ স্বজনরা কাঁদছে। কিন্তু তা এই সরকারের হৃদয়ে নাড়া দেবে না। তারা নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের জেলে ঢুকাচ্ছে।
উল্লেখ্য, শনিবার (৩০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইল পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর ৬৬ হাজার ৬১৭ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী ছিলেন বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল হক সানু, তিনি পেয়েছেন ২২ হাজার ৯০০ ভোট।