একতার কণ্ঠঃ মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও গণভোজের আয়োজন করেছেন মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান চাঁদবাজার (পার্কবাজার) দোকান মালিক সাধারণ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
রবিবার (১৭ নভেম্বর)দুপুরে পার্ক বাজারে আয়োজিত এই দোয়া ও গণভোজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম ঝলক, কৃষক দলের সদস্য সচিব শামীমুর রহমান ভিপি শামীম, জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ হাবিবুল শাতিল, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর দৌহিত্র আজাদ খান ভাসানী।
অনুষ্ঠানে মাহমুদুল হাসান চাঁদবাজার (পার্কবাজার) দোকান মালিক ব্যবসায়ী মো. বাবলু মিয়ার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, ব্যবসায়ী মো মমিন প্রামানিক, মো. শরীফুল ইসলাম শোভা, সোহেল সরকার, জয় সাহা, উজ্জল পাল, শাহজাদা, নুরুল ইসলাম, রায়হান মিয়া, হাবিবুর রহমান হবু, মজনু মিয়া, রাব্বি, ফজলুল হক, মানিক মিয়া, এম.এ করিমসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন,আমীর হামজা রুবেল ।
অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন পাড় দিঘুলিয়া জামে মসজিদের পেশ ঈমাম মাওলানা নাসির উদ্দিন।
পরে বাজারের ব্যবসায়ীসহ আমন্ত্রিত সহস্রাধিক মানুষ গণভোগে অংশ গ্রহণ করে।
একতার কণ্ঠঃ নভেম্বরেই চালু হচ্ছে বহুল আলোচিত বেড়াডোমা ব্রীজ বলে দাবি করেছেন নির্মাণকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। নির্মাণে চার বছর কেটে গেলেও ব্রীজ উদ্বোধনের সংবাদে সীমাহীন উৎসাহে রয়েছেন এর সুবিধাভোগীরা। নির্মাণের মাঝে দেবে যাওয়ার মত দূর্ঘটনার পরও কাঙ্খিত ব্রীজ নির্মাণের সমাপ্তিতে স্বপ্নের দিন গুণছেন পশ্চিমাঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
ব্রীজটি নির্মাণের ফলে এ অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন সহজ হবে, তেমননি খুলবে ব্যবসায়িক দ্বার। এর সুফল ভোগ করবে জেলার পশ্চিমাঞ্চলের চার ইউনিয়নের পাঁচ লক্ষাধিক মানুষসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জনসাধারণ।
জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (টিপিআইআইপি) আওতায় এলজিইডির অর্থায়নে টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ৪১.৭০ মিটার দীর্ঘ এই আর্চ সেতুটি নির্মাণ কাজের জন্য ব্রিকস্ অ্যান্ড ব্রিজেস লিমিটেড এন্ড দি নির্মিতি (জেভি) নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর চুক্তিপত্র হয়।
৩ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৮৪১ টাকা ব্যয়ে এই সেতুর কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর। বর্ধিত সময় অনুযায়ী কাজ সমাপ্তির তারিখ ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর। নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পর চারটি বিলের মাধ্যমে ঠিকাদারকে দুই কোটি ৮০ লাখ ৫৩ হাজার ৪৭৬ টাকা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৬ জুন রাত সাড়ে ১০টায় দেবে যায় নির্মাণাধীন সেতুটি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেন্টারিং খোলাসহ ঘষা মাজা আর সাজসজ্জার অপেক্ষায় রয়েছে বেড়াডোমা ব্রীজ।
বাসাখানপুর গ্রামের গৃহিনী রোজী জানান, ব্রীজ না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছি আমরা। শহরে বাচ্চার স্কুলে যাতায়াতসহ মার্কেট ও বাজারে যাতায়াতের খরচ দ্বিগুণ গুনতে হচ্ছে। বেশি সময় ব্যয় হওয়াসহ চলাচলে রয়েছে নানা ধরণের সমস্যা। ব্রীজ নির্মাণের কাজটি শেষ হওয়ায় স্বস্তি পাচ্ছি। দ্রুত উদ্বোধন হলেই আমাদের দূর্ভোগ কাটবে।
সিএনজি চালক মোস্তফা জানান, প্রায় চার বছর যাবৎ চরম কষ্টভোগ করছি আমরা। ব্রীজটি চালু হলে আমাদের সেই কষ্ট দূর হবে।
স্থানীয় হেদায়েত আলী খানসুর শোভা জানান, পশ্চিম টাঙ্গাইলবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের ফসল বেড়াডোমা ব্রীজ। ব্রীজে দ্রুত চলাচল শুরু হলে পশ্চিমের কাকুয়া, হুগড়া, বাঘিল ও দাইন্যা ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের দূর্ভোগ কাটবে। শহরতলীতে দ্রুত যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি ওই অঞ্চলের কৃষিপণ্য শহরের বাজারগুলোতে এনে বিক্রির সুযোগ পাবেন কৃষকরা। এতে ওই সকল কৃষক লাভবান হওয়াসহ শহরবাসীর সবজির চাহিদাপূরণ হবে। সবজিসহ কৃষিপণ্যের দাম কমবে বলেও মনে করেন তিনি।
ঠিকাদার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম খান জামিল জানান, ব্রীজের কাঠামোগত নির্মাণ শেষ। সর্বোচ্চ এক সপ্তাহের মধ্যে সেন্টারিং খোলাসহ ঘষা মাজা আর সাজসজ্জার কাজও শেষ হবে। আশা করছি, নভেম্বর মাসেই ব্রীজে চলাচল শুরু করা যাবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, ব্রীজের সাটার খোলা, ওয়ারিংসহ কিছু সাজ-সজ্জার কাজ বাকি রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, নভেম্বর মাসেই ব্রীজটি চালু করতে। সম্ভব না হলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চালু করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখা যাচ্ছে।
সরকারের এক একজন উপদেষ্টা একেক রকম কথা বলছেন। আমরা সরকারের ভেতরে সমন্বয়হীনতা দেখতে চাই না। আপনারা প্রতিটি পদে পদে বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে আলোচনা করুন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা বার সমিতির মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের দ্বি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দিন। সেই সময় আমরা দেব, জনগণও দেবে। কিন্তু নির্বাচিত সরকারের মতো যদি পাঁচ বছর থাকবার চেষ্টা করেন, সেটা ভুল হবে।
এর পূর্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসতিয়াক আজিজ উলফাত।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হালিম, জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ ছাত্র জনতার গণবিপ্লবে ঘটিত গণহত্যার বিচার,দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করা,সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (PR) জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির প্রত্যাশা পূরণে ইসলামভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে গণসমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকালে নাগরপুর সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নাগরপুর উপজেলা শাখা এই গণসমাবেশের আয়োজন করে।
এ উপলক্ষে দুপুরের পর থেকে ইসলামী আন্দোলনের সমর্থকরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সভাস্থলে উপস্থিত হতে থাকে। পরে বিকালে নাগরপুর সরকারি কলেজ মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ১৯৭১ সালের পর থেকে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি। শাসন, শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন এবং লুটতরাজের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। তারা দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবর্জন দেখেছেন। অবশেষে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এদেশের মানুষ আবার দেশ স্বাধীন করেছে।
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির আরও বলেন, কেবলমাত্র দল ও নেতা পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশের শান্তি আসতে পারে না। যতদিন পর্যন্ত ন্যায়, নীতির পরিবর্তন আসবে না, ততদিন পর্যন্ত দেশের মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা এবং আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারবে না
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,নাগরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ বাবুল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মুফতি আব্দুর রাজ্জাক এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম, শায়খে চরমোনাই।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আকরাম আলী, সেক্রেটারি মোহাম্মদ আখিনুর মিয়া, সদস্য হাফেজ মাওলানা রেজাউল করীম ও আলহাজ্ব মাওলানা আলী আকবর নাগরপুরী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশে ইসলামী আন্দোলন এ ধরনের গণ সমাবেশের আয়োজন করছে।
একতার কন্ঠঃ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, আমলা তন্তটা সব সময় জনগণ থেকে একটা দূরত্ব বজায়রেখে চলতো। আমরা মনে করি যে তারা জনগণের সেবক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। সেই সেবাটা যেন তারা জনগনকে দেন এবং জনগনের পাশে দাড়িয়ে সেটা দেন। প্রভুমূলক বা প্রভুত্ত্যমূলক জায়গায় না থেকে দূরত্বটা যেন কমিয়ে আনা যায়। মাঠ প্রশাসন সরকার, সাথে জনগনের, তার জন্য আমরা আরও কাজ করবো। সামনে যেন এই দূরত্বটা কমে আসে এই অভিযোগগুলো যাতে না থাকে, তথ্যের ঘাটতি কিংবা তাকে পাওয়া যায় না এই অভিযোগ সামনের দিনে না থাকে সেজন্য আমরা কাজ করবো।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে “মওলানা ভাসানী ও নতুন বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা আসার পর দেখলাম- যে কয়টা স্টেডিয়াম আছে এগুলোরই যথার্থ সংস্কার কিংবা যথার্থ ব্যবহার যোগ্যতা নাই। সে জায়গা থেকে আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে এগুলোকে সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবহারে যোগ্য করে গড়ে তোলা। ইতোমধ্যে বিসিবি আমাদের একটি তালিকা দিয়েছে। সারা দেশে ৯টা স্টেডিয়াম আন্তজার্তিক পর্যায়ের, যেগুলোতে কখনো কখনো আন্তজার্তিক খেলা হতো। কয়েকটা আছে যে ২৬ বছর আগে খেলা হয়েছে তারপর আর ব্যবহার করা হয়নি। সেগুলোকে সংস্কারের মাধ্যমে প্রথমে ব্যবহার যোগ্য করা। একই সাথে আমরা বাফুফেকে নির্দশনা দিয়েছি আপনারাও একটি তালিকা দেন ফুটবল স্টেডিয়ামকে কোনগুলো রিভাইভ করতে পারি। খেলার উপযুক্ত করতে পারি। আপনারা জানেন জেলা ক্রীড়া সংস্থা, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলো পূর্ণগঠন চলছে। আমরা বলেছি- জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমে একদম প্রান্তিক পর্যায়ে খেলাধুলাকে পৌছে দেয়া। আবার আগের টুর্নামেন্ট যেন আবার পরিচালিত হয় এবং তরুণরা-যুবকরা যাতে এর মধ্যে অংশগ্রহণ করতে পারে। আপনারও জানেন যে আমাদের প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে একটা ইউস ফ্যাস্টিব্যাল করতে যাচ্ছি। বিপিএল খেলার যে সময়টা কেন্দ্র করে শুধু স্টেডিয়ামে না স্টেডিয়ামের বাইরেও সারাদেশে ইউস ফ্যস্টিব্যাল করার একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে এবং সকল যুবক-তরুনদেরকে একসাথে সংযুক্ত হওয়ার আহবান থাকবে।
মওলানা ভাসানী পাঠ চক্রের আয়োজনে জাতীয় নাগরিক কমিটি টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এরআগে দুই উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ ভাসানীর মাজার জিয়ারত করেন। পরে ভাসানীর গড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে আলোচনা সভায় যোগ দেন।
মাজার জিয়ারত শেষে উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেন, জনগনের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের নির্বাচিত সরকার। জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছি আমরা। জনগণের পক্ষের এবং এই দীর্ঘ লড়াইয়ের যারা স্বপক্ষে আছে তাদেরকে নিয়েই আমাদের এই সরকার গঠন করার পরিকল্পনা এবং সরকার ঐভাবেই চলমান আছে।
নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি যে- যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা জনগণের আকাঙ্ক্ষার পক্ষেই থাকবেন। আপনারা এই সরকারের উপর আস্থা রাখতে পারেন। এই সরকার জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবেন এবং যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন তারাও এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের মধ্যে সামিল হবেন। কোন রকম সংশয়, সন্দেহ থাকলে আমরা মনে করি এটা কাজের মাধ্যমে প্রমান করা হবে যে তারা জনগনের পক্ষে আছেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কবি, ভাবুক ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মো: আনোয়ারুল আলম আখন্দ, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, ভাসানী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানু প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রাকৃতিক বনে কিসের সামাজিক বনায়ন, প্রাকৃতিক বনে বন থাকবে। আপনি যদি সামাজিক বনায়ন করেন, তাহলে চুক্তি স্বাক্ষর করেন উপকারভোগীদের সঙ্গে। এরপর সামাজিক বনায়নের গাছগুলো কেটে উপকারভোগীদের মধ্যে টাকা পয়সা বিতরণ করে দেন। বনবিভাগের প্রাথমিক দায়িত্ব টাকা পয়সা বিতরণ করা না। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রাকৃতিক বনকে রক্ষা করা। প্রাকৃতিক বনে আর কোনও সামাজিক বনায়ন হবে না।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর শহরে ব্যুরো বাংলাদেশ মিলনায়তনে আয়োজিত আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ অপচয় রোধে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন দিনের বেলায় সব লাইট বন্ধ করে দিয়েছি। এই বিদ্যুৎ কোথা থেকে উৎপাদন হয়, কীভাবে হয় তা জানতে হবে। আমরা কেন দিনের বেলায় বিদ্যুৎ অপচয় করব। প্রাকৃতিক আলো থাকার পরেও কেন দিনের বেলায় লাইট জ্বালিয়ে প্রোগ্রাম করব।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী উদ্ধার করা যাচ্ছে না। নদীর নিচে তিন থেকে চার স্তরের পলিথিন পড়ে আছে। এ কারণে সেখানে ড্রেজিং করা সম্ভব না। তাই আমাদের সবার উচিত পলিথিন ব্যবহার বন্ধ করা।
তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষা করা সবাই দায়িত্ব, কারো একার নয়। ক্ষতিকর প্লাষ্টিক বর্জনের পাশাপাশি প্লাস্ট্রিকের উৎপাদন বন্ধ করতে হবে। নতুন করে কেউ যেন প্লাস্টিক তৈরি ব্যবস্থাপনায় না যায় সে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্লাস্ট্রিকের জীবাশ্ম পুড়িয়ে রোধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইটভাটার মাটি কোথা থেকে আসে তার সঠিক তথ্য জানানো এবং পোড়ানো ইট নতুন করে পোড়ানো যাবে না। এক্ষেত্রে অনিয়মকারীদের নিবন্ধন বাতিল করা হবে।
ব্যুরো বাংলাদেশের এইচআরডি অ্যান্ড আইসিটি ডিরেক্টর অপারেশনস ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ফারমিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, আসপাড়া পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন এম এ রশীদ, রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন, সবুজ পৃথিবীর নির্বাহী পরিচালক সহিদ মাহমুদ প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মোহাম্মদ আশফাকুল আলম বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে এবং সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা ও সমৃদ্ধি অর্জনে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ বাহিনীর সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো মোকাবেলায় প্রস্তুতি থাকা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি বলেন, একটি গণমুখী জবাবদিহিমূলক দক্ষ ও নিরপেক্ষ পুলিশ বাহিনী গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ। মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়েও পুলিশের বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। একজন পুলিশ কর্মকর্তার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের উচিত প্রতিটি ব্যক্তির মানবাধিকারকে সম্মান করা।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বিভাগীয় ক্যাডেট এসআইদের ২১তম প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার(৪ নভেম্বর )সকাল ৮টায় ট্রেনিং সেন্টারের প্যারেড গ্রাউন্ডে এই প্রশিক্ষণ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিটিসির কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মোহাম্মদ আশফাকুল আলম।
সকাল ৮টায় ২৫৭ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বিভাগীয় ক্যাডেট (এসআই) ৬টি দলে বিভক্ত হয়ে ২১ তম সমাপনী কুচকাওয়াজ উপলক্ষে মার্চপাস্ট শুরু করেন।
এই মার্চপাস্টের অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধান অতিথি। মার্চপাস্ট শেষে মাঠ বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় পিএসআই (নিরস্ত্র) উদয়ন বিকাশ বড়ুয়া, পিএসআই (নিরস্ত্র) মো. মাইনুল ইসলাম ও পিএসআই (নিরস্ত্র) অমৃত লাল দাসকে পুরস্কৃত করা হয়।
প্রধান অতিথি কমান্ড্যান্ট ডিআইজি মোহাম্মদ আশফাকুল আলম তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এর আগে প্রধান অতিথি খোলা জিপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন করেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় আরও বলেন, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জনে ব্রতী হতে হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় তৈরিতে ‘গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি’ স্থাপন নামে এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালন করেছে শহরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার’।
‘পাখি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে, এদের রক্ষায় এগিয়ে আসুন’ প্রতিপাদ্যে বৃহস্পতিবার(৩১ অক্টোবর) দিনব্যাপী ওই সংগঠনের ব্যানারে টাঙ্গাইল শহরের পৌর উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছে অর্ধশতাধিক মাটির হাঁড়ি স্থাপন করা হয়।
বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের’ প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পাঠাগারের সদস্য শামীম আল মামুন, মনসুর হেলাল, সাজ্জাদ হোসেন, জাহিদ হাসান, রাকিব হোসেন, শহীদ ইসলাম এবং স্থানীয় শামীম-শাহীন নামক বিজ্ঞান একাডেমীর শিক্ষার্থীরা হাড়ি স্থাপনে অংশগ্রহণ করেন।
পাঠাগারের স্থায়ী সদস্য জাহিদ হাসান জানান, পাখিরা আমাদের পরিবেশের অপরিহার্য অংশ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখিদের নিরাপদ ঘর ও বসবাস নিশ্চিত করা সকলের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। পাখিরা প্রকৃতির অপরিহার্য সৌন্দর্য এবং জীববৈচিত্র্যের একটি উল্লেখযোগ্য প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। সবাই মিলে পাখির ঘর গড়ে তুলি, প্রকৃতির সুন্দর মায়ায় আপলোকিত হই- এটাই তাদের প্রত্যাশা।
বাতিঘর আদর্শ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা কামরুজ্জামান জানান, তারা বইপাঠ কার্যক্রমের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের সুরক্ষায় প্রতিবছর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করে থাকেন। এবছর থেকে পাখিদের জন্য গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এসব মাটির হাঁড়ি ঝড়-বৃষ্টি ও শীত থেকে সুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও প্রজননে পাখিদের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এ উদ্যোগ ধীরে ধীরে জেলা-উপজেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ উদ্যোগ অন্যান্য পাখিপ্রেমীদের উৎসাহিত করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ‘এসো বই পড়ি, নিজেকে আলোকিত করি’ স্লোগানে বিগত ২০১০ সালে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌরাকররা গ্রামে গড়ে ওঠে বাতিঘর আদর্শ পাঠাগার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঠাগারটি গ্রামের মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস তৈরি ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সেলুন, বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন অণুপাঠাগার স্থাপনসহ শিক্ষামূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দিনব্যাপী টাঙ্গাইলে পাখির নিরাপত্তা আশ্রয় তৈরিতে গাছে গাছে মাটির হাঁড়ি স্থাপন কর্মসূচি পালন করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সদস্যদের মধ্যে যারা শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দেখিয়ে সদস্য হয়েছেন তাদের আগামী ৭ দিনের মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়েছে। অন্যথায় কেউ যদি জাল সনদ দেখিয়ে সদস্য হয়েছেন এমন প্রমাণিত হয় তাহলে তার/ তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার(২৫ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারার সংশোধন কল্পে আয়োজিত এক বিশেষ সাধারন সভায় এই আহ্বান জানানো হয়।
প্রেসক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভায় এই সময়সীমা বেঁধে দেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক খান মোহাম্মদ খালেদ।
তিনি বলেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বিধান নূন্যতম গ্র্যাজুয়েট না হলে সদস্য হওয়া যাবেনা। তারপরেও অনেকে গ্র্যাজুয়েট না হয়েও সদস্যপদ চান বা সদস্যপদ লাভ করেছেন। অনেকে জাল সার্টিফিকেটে সদস্য হয়েছেন। এর চাইতে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু হতে পারেনা।
তিনি আরো বলেন, জাল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে যারা সদস্য হয়েছেন তারা নিজের নৈতিকতা বিসর্জন দিয়েছেন। যারা প্রেসক্লাবকে ভুল বুঝিয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দিয়ে সদস্যপদ নিয়েছেন যার যার সম্মান নিয়ে আগামী ৭দিনের মধ্যে সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৭৪ জন। এর মধ্যে দুইজন মৃত্যু বরণ করেছেন।বাকি ৭২ জন সদস্যের মধ্যে অন্তত ১১ জন রয়েছেন যারা শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দেখিয়ে সদস্য হয়েছেন।
এসব সদস্যরা দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিশেষ প্রতিনিধি ,জেলা প্রতিনিধি হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। এসব জাল সনদধারীদের সদস্যপদ বাতিলের জন্যে নানা সময়ে দাবি উঠলেও অজ্ঞাত কারনে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য,গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নির্যাতিত ও বঞ্চিত সাংবাদিকসহ জেলায় কর্মরত বিক্ষুদ্ধ সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এ সময় সাংবাদিকরা গঠনতন্ত্র পরিবর্তন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রেসক্লাব এবং প্রেসক্লাবকে সাংবাদিক বান্ধব করতে গঠনতন্ত্রের পরিবর্তনসহ ব্যাপক সংস্কারের দাবিতে নানা কর্মসুচি পালন ও আল্টিমেটাম দেয়।
এরই প্রেক্ষিতে প্রেসক্লাবের জৈষ্ঠ্য সাংবাদিকরা গঠনতন্ত্র সংস্কারসহ নানা উদ্যোগ গ্রহন করেন। পরে প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদ বিশেষ সাধারন সভা আহবান করা হয়।
এর আগে প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান খান আজাদকে আহবায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, প্রেসক্লাব সদস্য ও দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি কামনাশীষ শেখর এবং প্রেসক্লাবের সদস্য ও ডেইলি স্টারের সাংবাদিক মির্জা শাকিল।
গঠনতন্ত্র সংশোধনের মধ্যদিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ ৬ নেতার সদস্যপদ পদ বাতিল করা হয়।
এছাড়াও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী স্থানীয় পত্রিকার দুই সম্পাদকের সদস্যপদ বাতিল হওয়ার ফলে তাদের মনোনীত আরো দুইজনের সদস্যপদও বাতিল হয়ে যায়।
প্রেসক্লাবের সদস্যপদ বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদ্যপ্রয়াত ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি খান আহমেদ শুভ ও কার্যকরী সদস্য সুজয় দেব এবং শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনি।
এছাড়াও, দৈনিক দেশবাসী পত্রিকার কোটায় সদস্যপদ পাওয়া নিলুফা ইয়াসমিন স্নিগ্ধা, দৈনিক টাঙ্গাইল সময় পত্রিকার মোজাম্মেল হক ও সাপ্তাহিক মৌ বাজার পত্রিকার আশিকুর রহমান পলাশ।
শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীনের সঞ্চালনায় এই বিশেষ সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ।
সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক বিমান বিহারী দাস, খান মোহাম্মদ খালেদ, আতাউর রহমান আজাদ, শামসাদুল আখতার শামীম, মাহমুদ কামাল, আবু রায়হান খান, কামনাশীষ শেখর, মির্জা শাকিল, মহব্বত হোসেন, সোহেল তালুকদার প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার নগরজফৈ বাইপাস এলাকায় বাস চাপায় দুই মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ অক্টোবর)বিকেল সোয়া ৫ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পুলিশ বক্সের দায়িত্বরত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, সোমবার বিকেলে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নগরজফৈ বাইপাস এলাকায় মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এসময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী একতা পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন এবং ঢাকায় নেওয়ার পথে আরেকজনের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান,বাসটি আটক করলেও এর চালক ও সহকারি পলাতক রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের দাফন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ছাড়াই সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫ টায় শহরের বেবীস্টান্ড গোরস্থান মসজিদে জানাজা শেষে কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজা নামাজে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ বিভিন্ন স্তরের লোকজন অংশ নিলেও নিজ দলের উল্লেখযোগ্য কোনো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকে কোনো প্রকার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ছাড়াই সাধারণ ভাবে দাফনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের সরকারি বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতির স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন।
শনিবার সকালে ফারুকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তার বাড়িতে জেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষ সমবেদনা জানাতে জড়ো হলেও তার ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ ও নিজ দলের নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি। প্রয়াত ফজলুর রহমান খান ফারুক ও তার ছেলে খান আহমেদ শুভ সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার আসামি।
ফারুকের পারিপারিক সূত্র জানান, দীর্ঘ দিন ধরে ফারুক শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। শনিবার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফজলুর রহমান ফারুক ১৯৪৪ সালের ১২ অক্টোবর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের ওয়ার্শী ইউনিয়নের কহেলা গ্রামে জন্ম নেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্স পাস করেন। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ফজলুর রহমান খান ফারুক সাবেক গণপরিষদ সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য এবং টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
১৯৬০ সালে ফারুক ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬২ সালে টাঙ্গাইল মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৫ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৮৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সাল থেকে তিনি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে শিক্ষক দম্পতিসহ দুই দম্পতির চার যমজ মেয়ে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর )এইচএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে কুমুদিনী সরকারি কলেজ ও হলিক্রস কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে তারা জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
সখীপুর পৌর এলাকার আল আমিন মিয়া ও আফিয়া আক্তার দম্পতির সন্তান সামিয়া জাহান আফসানা ও সাদিয়া জাহান শাহানা সরকারি কুমুদিনী সরকারি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তারা পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষাতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল।
বাবা আল আমিন বড়চওনা কুতুবপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং মা আফিয়া আক্তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
শাহানা ও আফসানার বাবা উপজেলা জামায়াতের আমীর আল আমিন মিয়া বলেন, আমরা দুজনেই শিক্ষকতা পেশায় থাকার কারণে মেয়েদের সময় দিতে পারিনি। তবে মেয়েরা পড়াশোনার বিষয়ে খুবই মনোযোগী ছিলো বলেই তারা ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। ডাক্তার হয়ে মানুষের স্বপ্ন দেখছেন তার দুই মেয়ে বলেও জানান তিনি।
জিপিএ-৫ প্রাপ্ত আফসানা ও শাহানা বলেন, আমাদের ভালো ফলাফলে বাবা-মার পাশাপাশি শিক্ষকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আমরা পড়াশোনায় সময়ের গুরুত্ব দিয়েছি বলেই ভালো ফলাফল করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে তারা দুইজনই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
অপরদিকে, আবু জুয়েল সবুজ ও চায়না আক্তার শিক্ষক দম্পতির সন্তান যারীন তাসনীম ও যাহরা তাসনীম হলিক্রস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে। তারাও পিএসসি জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। যারীন ইঞ্জিনিয়ার আর যাহরা ডাক্তার হতে চায়।
আবু জুয়েল সবুজ সূর্য তরুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। তাদের মা চায়না আক্তার গজারিয়া শান্তিকুঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
যারীন ও যাহারার বাবা আবু জুয়েল সবুজ বলেন, আমি মেয়েদের পড়ার জন্য চাপ দিইনি,তারা তাদের মতো পড়াশোনা করে ভালো ফলাফল করেছে। যারীন তাসনিম ইঞ্জিনিয়ার এবং যাহরা তাসনিম ডাক্তারী পড়তে ইচ্ছুক।
শিক্ষার্থী যারীন ও যাহারা বলেন, আমরা নিয়মিত পড়াশোনা করেছি বলেই পরিশ্রম অনুযায়ী সাফল্য পেয়েছি। আমরা যাতে বুয়েট এবং ঢাকা মেডিকেলে চান্স পেয়ে বাবা মার মুখ উজ্জ্বল করতে পারি সে চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। আমাদের সাফল্য কামনায় সকলের দোয়া কামনা করছি।