/ হোম / জাতীয়
বৈধ দলিল থাকা সত্ত্বেও এসডিএসের জায়গা নিয়ে অপপ্রচারের শিকার হচ্ছি- মোজাম্মেল হক  - Ekotar Kantho

বৈধ দলিল থাকা সত্ত্বেও এসডিএসের জায়গা নিয়ে অপপ্রচারের শিকার হচ্ছি- মোজাম্মেল হক 

আরমান কবীরঃ জাতীয় পার্টি টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক বলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়া বাড়ী ইউনিয়নের এসডিএসের সহযোগিতা প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের ৮ একর জায়গার ক্রয় সূত্র বৈধ মালিক তিনি। এই জমি ক্রয়ের সমস্ত বৈধ দলিল থাকা সত্ত্বেও একটি মহল তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিনিয়ত অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর প্রতিবাদে ইতিমধ্যে গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি)টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। প্রয়োজনে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করবেন তিনি।

 

এ প্রতিবেদকের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়া বাড়ী ইউনিয়নের গদুরগাতি ও পোড়াবাড়ী মৌজায় ১২৫ একর জমির ওপর এসডিএসের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ইনিস্টিটিউট(আইআর আই)এর গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। পরে তাদের মুল প্রতিষ্ঠান এসডিএস অর্থনৈতিকভাবে দেওলিয়া হয়ে গেলে এই জায়গা দীর্ঘ দিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে। ইসলামিক রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক হচ্ছেন মোঃ নুরুল ইসলাম। তিনি জেলার সখীপুর উপজেলার আড়াই পাড়া গ্রামের আনসার আলী ছেলে। বর্তমানে পোড়াবাড়ী থাকেন।

তিনি আরো বলেন, এসডিএস অর্থনৈতিকভাবে দেওলিয়া হলে, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন সিরাজী তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইসলামিক রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচালক নুরুল ইসলাম মাধ্যমে বিক্রির প্রস্তাব করেন। উক্ত প্রতিষ্ঠানের ১২৫ একর জমির মধ্যে ৮ একর জায়গা আমার পছন্দ হওয়াতে আমি উক্ত ভুমি ক্রয় করিতে রাজি হই। পরে গত ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ১৩ তারিখে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা মূল্যে সাফ কওলা দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে উক্ত ভুমি মালিক হই। যার দলিল নাম্বার – ৪৪৬। এই ১২৫ জমির মালিক ছিল ইসলামিক রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের এবং মহাপরিচালক হচ্ছেন মোঃ নুরুল ইসলাম। এ ছাড়াও সোশাল ডেভেলপমেন্ট সংসদ এসডিএসের গত ৪ মার্চ ২০১৩ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের এক সভায় নানা ধরনের অর্থনৈতিক অনিমের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে তাঁদের প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের তৎকালীন ভাইস-চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলামকে সর্ব-সম্মতিক্রমে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের বৈধতা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এর মধ্যে হঠাৎ করে গত বছর ইসমাইল হোসেন সিরাজী নিজেকে ইসলামিক রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের মালিক দাবি করে ১১ মার্চ টাঙ্গাইল যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতে মোঃ নুরুল ইসলামের সাথে সম্পাদিত উক্ত ভুমির সাব কাওলা দলিল পন্ড চাহিদা

মামলা দায়ের করে। একই সাথে আমার ক্রয়কৃত ভুমিতে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে ১৪৪ ধারা চাহিদা আরও একটি মামলা দায়ের করে। পরে মাননীয় আদালত কোন ধরনের ১৪৪ ধারার গ্রাউন্ড না পেয়ে মামলাটি খারিজ করে দেন। বর্তমানে দলিল পন্ডের মামলাটি চলমান। এছাড়া গাজীপুর জেলার মজুখান এলাকার মোঃ নাজমুল হুদা নামে জনৈক ব্যক্তিকে গত ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের ১০ তারিখে প্রতিষ্ঠানের পুরো জমির পাওয়ার অব এটনি প্রদান করে। যা সম্পূর্ণ ভাবে অবৈধ। এই পাওয়া অব এটনি পাওয়া ব্যক্তি আমার নামে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। আমি আমার রেজিস্ট্রিকৃত জমি ভোগ দখল করে আসছি। আমার প্রয়োজনে এখান থেকে মাটি কাটছি, ইতিপূর্বে এই বিষয়ে ১৪৪ ধারায় মামলা করলেন মহামান্য আদালত সেটা খারিজ করে দেন।আমি আশা করি, মাননীয় আদালত ন্যায্য বিচার করবেন।

তিনি বলেন, আমি বিরক্ত হয়ে ইসমাইল হোসেন সিরাজীকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালে ৪২০ ও ৪০৬ ধারায় মামলা দায়ের করি। যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি ইসলামিক রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের/এসডিএসের বেশ কিছু জমি সাব-কাবলা দলিলের মাধ্যমে বিক্রির করেছে পরিচালক নুরুল ইসলাম। যেখানে ১ নম্বর সাক্ষী ছিলেন ইসমাইল হোসেন সিরাজী। জমির মালিক যদি সিরাজী হয় তাহলে তিনি সাক্ষী হবেন কেন? একটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদের বিক্রির পাওয়ার অব এটনি কিভাবে ইসমাইল হোসেন সিরাজী দেন, তিনি তো ঐ সম্পত্তির আইনগত ভাবে একক মালিক নন?

তিনি আরো বলেন,,উক্তি জমি ক্রয়ের বৈধ কাগজপত্র ও খাজনা পরিশোধ ও খারিজ আমার নামে হওয়া সত্বেও একটি শ্রেণী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের লিপ্ত রয়েছে, যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও‌ আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হয়রানি করার জন্য। আমি টাঙ্গাইল বাসীর কাছে এই অপপ্রচারে কান না দেওয়ার অনুরোধ করছি।এ বিষয়ে দ্রুতই টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সবার কাছে বিষয়টি তুলে ধরবো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ০৬:০৮:পিএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে জি আর চাল বিতরণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে জি আর চাল বিতরণ

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে শতাধিক দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের মাঝে জি আর চাল বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(৩০ জানুয়ারি )দুপুরে সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের অয়নাপুর বাজারে জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার উদ্যোগে এ চাল বিতরণ করা হয়।

জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব আইয়ুব আলী হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. জানুয়ারী ২০২৫ ০১:০৩:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

আরমান কবীরঃ দেশের সংবিধান এবং ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর বিধান পরিপন্থি বক্তব্য দেওয়ায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) মো. সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংস্থাটির উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহ নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১১৯ (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রণয়নের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। তদনুযায়ী সঠিক ও নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়নে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি-২০২৫ মোতাবেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ ও সুপারভাইজার কর্তৃক তা যাচাই ২০ জানুয়ারি শুরু হয়েছে। শেষ হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। নিবন্ধন কার্যক্রম ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে।

ভোটার তালিকা বিধিমালা, ২০১২ এর বিধি-৪(৪) অনুসারে উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার ও রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠান, সরকারি বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত স্কুল বা কলেজ বা সমপর্যায়ের মাদ্রাসা, সরকারি বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা মাদ্রাসার শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের তথ্যসংগ্রহকারী ও সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়েছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১২৬ নং অনুচ্ছেদ বলা আছে, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে। ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এর ১৯ ধারায় বলা আছে, যদি কোনো ব্যক্তি ভোটার তালিকা প্রণয়ন, পুনঃপরীক্ষণ, সংশোধন বা হালনাগাদকরণ কার্যে কাহাকেও কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক এক বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

এ অবস্থায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এবং ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এর বিধান পরিপন্থি বক্তব্য পেশ করায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করতে হবে।

জানা গেছে,মো. সাহাব উদ্দিন গত ২১ জানুয়ারি একটি স্কুল পরিদর্শনকালে বলেন, কিছু শিক্ষক ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজে সম্ভবত চলে গেছেন, তো এই কাজটা শিক্ষকরা এইভাবে করতে পারে না। প্রথমত, শিক্ষকদেরকে দিয়ে এই কাজটি করানোর বোধহয় বাধ্যবাধকতা নেই। কারণ, শিক্ষিত বেকার যুবকেরা এ কাজটি করার কথা, অতীতে এইভাবে হয়েছে। এরপরেও আমাদের অনেক শিক্ষক আছেন ইন্টারেস্টেড হয়ে ইলেকশন অফিসে বা পরিসংখ্যান অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। এই রকমও আছেন আবার অনেক শিক্ষক করতেও চায় না বা অনেক শিক্ষক না জেনে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর/মন্ত্রণালয় এই বছর এই ব্যাপারে তেমন কিছু বলেছেন কিনা আমার জানা নেই। তবে সাধারণত বলেন তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য। সহযোগিতা মানে এই না, তারা স্কুল ছেড়ে দিয়ে ফিল্ডে গিয়ে কাজ করবে। তারা প্রচার-প্রচারণা করবে শিশুদের মাধ্যমে, কমিউনিটির মাধ্যমে, এটার নাম সহযোগিতা। যাই হোক, যাদের নাম দেয়া হয়েছে তারা প্রথমত যে কাজটি করবে সেটি হলো স্কুল আওয়ারের আগে এবং স্কুল সময়ের পরে তারা হালনাগাদ করবে। স্কুল সময়ে কখনো স্কুল ত্যাগ করতে পারবে না। এর পরেও যদি কারো এই সময়ে বাধ্যবাধকতা থাকে তাহলে অবশ্যই ছুটি নিয়ে এই কাজ করতে হবে। ছুটি ছাড়া সে স্কুল ত্যাগ করতে পারবে না।

একজন লোক শিক্ষকের বেতন নিবে আবার ওইদিকে নির্বাচন কমিশন থেকে বেতন নিবে, এক সঙ্গে একই সময়ে দুইটা সুবিধা পাওয়ার ট্রেজারি রুলের ভাষায় কোনো বিধি-বিধান নাই এবং এটা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। টিইও সাহেবরা এবং এইউইও সাহেবরা এটা কঠোরভাবে দেখেন। যদি কোনো স্কুলে এরকম পাওয়া যায়। তাহলে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো এবং প্রমাণিত হবে আপনি আমি সবাই মিলে অসৎ কাজে আমরা সহযোগিতা করছি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. জানুয়ারী ২০২৫ ০২:৩২:এএম ৩ মাস আগে
মধুপুরে দিনব্যাপী ব্যস্ত সময় পার করলেন জেলা প্রশাসক শরিফা হক - Ekotar Kantho

মধুপুরে দিনব্যাপী ব্যস্ত সময় পার করলেন জেলা প্রশাসক শরিফা হক

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও মতবিনিময় মতো কর্মসূচিতে দিনব্যাপী ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলা প্রশাসক শরিফা হক।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সহকারি কমিশনার (ভূমি) রিফাত আনজুম পিয়া, উপজেলা প্রকৌশলী মো. জয়নাল আবেদীন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে জেলা প্রশাসক শরীফা হক মধুপুর উপজেলা পরিষদ পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন।

এর আগে জেলা প্রশাসক শরীফা হক মধুপুর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ, মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ভবন উদ্বোধন, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব উদ্বোধন এবং ওই দুই সংগঠনের মাসিক ম্যাগাজিন প্রকাশ এবং স্থানীয় অনলাইন গণমাধ্যম শালবনবার্তা২৪.কম কেক কেটে উদ্বোধন করেন ।
পরে উপজেলা চত্বরে একটি বকুল গাছ রোপন করেন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. জানুয়ারী ২০২৫ ০৪:২৪:এএম ৩ মাস আগে
মার্চ থেকেই মধুপুর গড়ের শালবন উদ্ধার কার্যক্রম শুরু:পরিবেশ উপদেষ্টা - Ekotar Kantho

মার্চ থেকেই মধুপুর গড়ের শালবন উদ্ধার কার্যক্রম শুরু:পরিবেশ উপদেষ্টা

আরমান কবীরঃ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হারিয়ে যাওয়া বনভূমি উদ্ধার প্রকৃতি রক্ষায় অত্যন্ত জরুরি।

তিনি জানান, আগামী মার্চ থেকে টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের শালবন পুনরুদ্ধারে সরকার মাঠে নামবে। দেশের সব বনভূমি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শালবন উদ্ধার কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বন ভবনে “সহ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মধুপুর গড়ের শালবন পুনরুদ্ধার” বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।

পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন অনুযায়ী একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে। প্রয়োজন হলে কর্মপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হবে। মার্চের মধ্যেই গেজেট নোটিফাই কমিটি গঠন করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বন বিভাগের কাজ হবে বিশেষজ্ঞ ও বন নির্ভর জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা করা। এখানে বন বিভাগ যে ১৫০ একরে বনয়ায়ন করবে। এই বন পুনরুদ্ধারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয়দের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও সহযোগিতা ছাড়া এই উদ্যোগ সফল হবে না।

কর্মশালায় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। এতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ জেড এম মঞ্জুর রশীদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. খালেদ মিসবাহুজ্জামান এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. জানুয়ারী ২০২৫ ০১:০২:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে কোরআন অবমাননার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার  - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে কোরআন অবমাননার অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার 

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ কোরআন শরীফ অবমাননার মাধ্যমে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে তাইজুল ইসলাম(২৭) নামে এক যুবককে যৌথভাবে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দুল্যা বেগম মধ্যপাড়া গ্রামের বসতবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো. মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃত তাজুল উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের দুল্যা বেগম মধ্যপাড়া গ্রামের বানেছ মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার অনুমানিক রাত ৮টার দিকে ইলেকট্রনিক যন্ত্র ও মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে কোরআন শরীফের উপর নিজের ছবি বসিয়ে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম- ফেসবুক ও ইমুতে প্রকাশ করেন তাইজুল। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে পড়লে রাতেই শতাধিক গ্রামবাসী তার বাড়ি ঘেরাও করে মারমুখী অবস্থান নেয়। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জানতে পেরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

তাইজুল ইসলামের মা তাসলিমা বেগম বলেন, তাইজুল ইসলাম পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। তাদের পুরো পরিবার মানিকগঞ্জ জেলার একটি দরবার শরীফের পীরের ভক্ত। মাঝে মাঝে তারা ওই পীরের দরবারে যাতায়াত করেন।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো. মোশারফ হোসেন জানান ,তাইজুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. জানুয়ারী ২০২৫ ১২:০৭:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে শোরুম উদ্ধোধন করতে না পেরে পরীমনির ক্ষোভ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে শোরুম উদ্ধোধন করতে না পেরে পরীমনির ক্ষোভ

আরমান কবীরঃ: টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গা  বাসস্ট্যান্ডে একটি প্রসাধনসামগ্রীর শোরুম উদ্বোধনে বাধা পাওয়ায় ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। তিনি বলেন,এমন স্বাধীন দেশে নিরাপদ নই কেন আমরা ‘।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পরীমণি তার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি লিখেন, ‘এতো চুপ করে থাকা যায় নাকি!!! পরাধীন মনে হচ্ছে। শিল্পীদের এতো বাধা কেন আসবে!? Insecure feel হচ্ছে ! এমন স্বাধীন দেশে নিরাপদ নই কেন আমরা ‘

তিনি আরও লিখেন, ‘মেহজাবীন, পরশী এর আগে এমন হেনস্থার শিকার হয়েছেন! ধর্মের দোহাই দিয়ে কি প্রমাণ করতে চলেছেন তারা!? কি বলার আছে আর ….এ দেশে সিনেমা/ বিনোদন সব বন্ধ করে দেয়া হোক তাহলে !’

সবশেষে পরীমণি লিখেন, ‘তাহলে কি আমরা ধরে নেব, আমরা ইমোশনালি ব‍্যবহার হয়েছিলাম তখন! নাকি এখন হচ্ছি? কোনটা ??? এই দায়ভার কিন্তু আমাদের সবার নিতে হবে।’

উল্লেখ্য, শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গার টিন মার্কেটে “অথেনটিক প্রোডাক্ট হারল্যানে স্টোর” উদ্বোধনের জন্য চিত্রনায়িকা পরীমণির টাঙ্গাইলে আগমনের কথা ছিল।

এই খবর তার ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। তবে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। হেফাজতে ইসলামসহ বেশকিছু স্থানীয় সংগঠন পরীমণির আগমন ঠেকানোর জন্য প্রচারণা শুরু করেন। একপর্যায়ে চাপের মুখে শোরুমের মালিক মীর মাসুদ রানা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করতে বাধ্য হন।

শোরুমের মালিক মীর মাসুদ রানা জানান,“পরীমণি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল, কিন্তু হেফাজতে ইসলাম আন্দোলন শুরু করেছিল। তারা জানান, পরীমণি আসলে সমস্যার হবে। মসজিদে-মসজিদে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের এক নেতা ফোন করে বিষয়টি জানায়। পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়। আমি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সম্মানে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার যুব-বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সুলাইমান হাবিব তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে শোরুম উদ্বোধনের জন্য পরীমণি আসার কথা ছিল, তবে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় আমি শোরুমের মালিক মাসুদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। আমরা তার এই উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞ।”

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. জানুয়ারী ২০২৫ ০৮:০০:পিএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে‌ বাধার মুখে পরী মনি’র উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান‌ স্থগিত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে‌ বাধার মুখে পরী মনি’র উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান‌ স্থগিত

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলায় “অথেনটিক প্রোডাক্ট হারল্যানে স্টোর” উদ্বোধনের জন্য চিত্রনায়িকা পরীমণির আগমনের কথা ছিল। এই খবর তার ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। তবেস্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। হেফাজতে ইসলামসহ বেশকিছু স্থানীয় সংগঠন পরীমণির আগমন ঠেকানোর জন্য প্রচারণা শুরু করেন। একপর্যায়ে চাপের মুখে শোরুমের মালিক মীর মাসুদ রানা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করতে বাধ্য হন।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কালিহাতি উপজেলার এলেঙ্গার টিন মার্কেটের শোরুমটির উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

স্থানীয়রা জানান, গত ১৫ দিন ধরে শোরুম কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে জানাচ্ছিলেন যে, পরীমণি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। তবে গত ২-৩ দিন ধরে হেফাজতে ইসলামসহ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা পরীমণির আগমন ঠেকাতে নানা কর্মসূচির ঘোষণা দেন এবং আন্দোলনসহ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এতে চাপের মুখে শোরুম কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেন।

শোরুমের মালিক মীর মাসুদ রানা জানান,“পরীমণি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল, কিন্তু হেফাজতে ইসলাম আন্দোলন শুরু করেছিল। তারা জানান, পরীমণি আসলে সমস্যার হবে। মসজিদে-মসজিদে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের এক নেতা ফোন করে বিষয়টি জানায়। পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধ করা হয়। আমি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের সম্মানে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার যুব-বিষয়ক সম্পাদক মুফতি সুলাইমান হাবিব তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে শোরুম উদ্বোধনের জন্য পরীমণি আসার কথা ছিল, তবে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় আমি শোরুমের মালিক মাসুদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে অনুষ্ঠানটি স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছি। আমরা তার এই উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞ।”

কালিহাতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম ভূঁইয়া বলেন, “হুজুররা কিছু সমস্যার সৃষ্টি করেছিল, পরে কর্তৃপক্ষ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি স্থগিত করেছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদাত হুসেইন বলেন, “স্টোর কর্তৃপক্ষ আমার কাছে অনুমতি নিতে এসেছিল। আমি তাদের কিছু শর্ত দিয়েছিলাম, যেন কোনো ধরনের যানজট বা জনদুর্ভোগ না হয়। তারা রাজি হয়েছিল, তবে অনুষ্ঠানের শেষ অবস্থা সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। এসিল্যান্ড এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারবেন।”

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. জানুয়ারী ২০২৫ ১২:৫৭:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইলে পর্নোগ্রাফি মামলায় স্কুল ছাত্রী আটক - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পর্নোগ্রাফি মামলায় স্কুল ছাত্রী আটক

আরমান কবীরঃ: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শিক্ষিকা ও ছাত্রীসহ বিভিন্নজনের ছবি ব্যবহার করে পর্নো ভিডিও বানিয়ে বিভিন্ন ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে পোষ্ট করে টাকা দাবীর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এক স্কুল ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে আটক ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।

এরআগে রবিবার(১৯ জানুয়ারি )রাতে উপজেলার পূর্ব ভূঞাপুর বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। তার বাড়ি উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে । সে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী।

এদিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে আটকের খবরে থানায় হাজির হয় কয়েকজন ভুক্তভোগী। এসময় তারা ওই ছাত্রীসহ তার অভিভাবকদেরও শাস্তি দাবী করেন।

পুলিশ জানায়, উপজেলার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা, ছাত্রী ও ব্যক্তিদের ছবি ব্যবহার করে পর্নো ভিডিও তৈরি করে একাধিক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ বানিয়ে সেখানে পোষ্ট করা হয়। পরে পোষ্ট করা ভিডিওর সাথে মোবাইল নম্বর দিয়ে লাখ লাখ টাকা চাওয়া হয়। ‘দিলরুবা’ ও ‘রাকিবুল ইসলাম’ নামের আইডি থেকে এলাকার অনেকের আইডি যুক্ত করে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ তৈরি করে। পরে সেই গ্রুপে পর্নো ভিডিও পোষ্ট করা হয়। পরে ফেসবুক, গুগল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আইডিগুলোর মালিক বা ব্যবহারকারী সনাক্ত করা হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ভূঞাপুর পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীর ফোন ও ল্যাপটপ জব্দ করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে জব্দ করা ফোনে এসব পোষ্ট ও ভিডিও’র ছড়ানোর সত্যতা পাওয়া যায়।

পর্নো আইনে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে অন্য কোন ব্যক্তির সামাজিক বা ব্যক্তি মর্যাদা হানি করিলে বা ভয়ভীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় বা অন্য কোন সুবিধা আদায় বা কোন ব্যক্তির জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতে ধারণকৃত কোন পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে উক্ত ব্যক্তিকে মানসিক নির্যাতন করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

আটক ঐ স্কুল ছাত্রী জানায়, আমার ছবি ব্যবহার করে পর্নো ভিডিও বানানো হয়েছে। সেই ভিডিও দিয়ে আমার পরিবারের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। ঘটনার জড়িত মির্জাপুরের সিমান্ত ও গোপালপুরের সিফাতকে পুলিশ ডেকে এনেছিল। তারা স্বীকারও করেছে কিন্তু তারপরও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এধরনের সাথে কাজের সাথে আমি জড়িত না সেটার প্রমাণ আমার কাছে আছে।

আটক ঐ স্কুল ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়ের ছবি দিয়ে নগ্ন ভিডিও বানিয়ে টাকা দাবী করা হয়েছিল। যে নম্বরগুলোতে টাকা চাওয়া হয়েছিল তাদের পুলিশ ধরেছিল। তারা স্বীকারও করেছে এই ঘটনা। সে সময় মেয়ের মোবাইল চেক করে কোন কিছু পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইল ফেরত দিলেও রবিবার রাতে মেয়েকে থানায় নিয়ে যায়। পরে সোমবার পর্নোগ্রাফি মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এটার সাথে মেয়ে জড়িত না।

ভূঞাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, জি-মেইল দিয়ে একাধিক ফেসবুক আইডি খোলা হয়েছে ওই ছাত্রীর মোবাইল দিয়ে। লোকলজ্জার ভয়ে অনেকেই কিছু বলতে চান না। এই ঘটনায় ভুক্তভোগি একজন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়। এতে গুগল, ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়। পরে তদন্তে আইডি’র ব্যবহারকারীর পরিচয় সনাক্ত হওয়ার পরই ওই ছাত্রীকে আটক করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২১. জানুয়ারী ২০২৫ ০২:১২:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে ছানোয়ার হোসেন (৩৭) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ১ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে শহরের কোদালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতের যুবককে নাম সাইফুল্লাহ সিরাজ(২৭)ওরফে সোহাগ। সে টাঙ্গাইল পৌরসভার কোদালিয়া এলাকার সিরাজুল হকের ছেলে। সাইফুল্লাহ সিরাজের গ্রামের বাড়ি জেলার নাগরপুর উপজেলায়। সিরাজ কোদালিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ।

এর পুর্বে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিহত ছানোয়ার হোসেনের পিতা হাসমত আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দিনে-দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মতো জায়গায় চুরির অভিযোগে একজন যুবকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় শহরের ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, নিহতের পিতা হাসমত আলী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অজ্ঞাত ৮/ ১০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে সাইফুল্লাহ সিরাজ(২৭)ওরফে সোহাগকে সনাক্তকরণের পর শনিবার রাতে শহরের কোদালিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরো জানান, রবিবার(১৯ জানুয়ারি )সকালে সাইফুল্লাহ সিরাজের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে টাঙ্গাইল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য,বৃহস্পতিবার(১৬ জানুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ড (মহিলা) থেকে ৮/ ১০ জন যুবক নিহত ছানোয়ার হোসেনকে জোর করে ধরে এনে চোর বলে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ সময় ছানোয়ার হোসেন জীবন বাঁচাতে যুবকদের হাতে পায়ে ধরে রক্ষা পায়নি। এমনকি ছানোয়ার হোসেনকে বাঁচাতে হাসপাতালের কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে ছানোয়ার হোসেন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে যুবকরা পালিয়ে যায়।নিহত ছানোয়ার হোসেন জেলার মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের ভট্টবাড়ী গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে‌ । সে শহরের আকুর-টাকুর পাড়ায় জনৈক পায়েলের বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতো।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. জানুয়ারী ২০২৫ ১২:৩১:এএম ৩ মাস আগে
নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. কুদরত আলীকে (৫৪) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার(১৮ জানুয়ারি) বিকালে নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কুদরত আলী একই উপজেলার বাবনাপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে এবং সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই সকালে নাগরপুর বাজারে শান্তিপূর্ণভাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি পালনকালে একটি সন্ত্রাসী দল ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। ওই হামলার ঘটনায় দপ্তিয়র ইউনিয়নের ছাত্র মো. তাইজুল ইসলাম নাগরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। নাগরপুর থানার মামলা নম্বর ২।

নাগরপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দায়েরকৃত মামলায় নাগরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কুদরত আলীকে মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৯. জানুয়ারী ২০২৫ ০৩:৪৬:এএম ৩ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চোর সন্দেহে যুবককে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ছানোয়ার হোসেন(৩৭) নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।

নিহত ছানোয়ার হোসেন জেলার মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী ইউনিয়নের ভট্টবাড়ী গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ড (মহিলা) থেকে ৪/ ৫ জন যুবক নিহত ছানোয়ার হোসেনকে জোর করে ধরে এনে চোর বলে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ সময় ছানোয়ার হোসেন জীবন বাঁচাতে যুবকদের হাতে পায়ে ধরে রক্ষা পায়নি। এমনকি ছানোয়ার হোসেনকে বাঁচাতে হাসপাতালের কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে ছানোয়ার হোসেন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে যুবকরা পালিয়ে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানায়, এ ভাবে দিনে-দুপুরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মতো জায়গায় চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। অবিলম্বে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় এক যুবককে চোর সন্দেহে কয়েকজন দুর্বৃত্ত পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

তিনি আরও জানান,পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:৩৯:এএম ৩ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।