একতার কণ্ঠঃ গোপালগঞ্জে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানীর গাড়ি বহরে হামলা ও কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে হত্যার ঘটনায় টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক তারিকুল ইসলাম ঝলক ও সদস্য সচিব সালেহ মোহাম্মদ সাফী ইথেনের নেতৃত্বে টাঙ্গাইল পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
প্রতিবাদ মিছিলে বক্তব্য রাখেন- জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক তোফাজ্জল হোসেন জুয়েল, রুবেল মিয়া, জাহিদুর রহমান জাহিদ, রাশেদুল ইসলাম রিমন, সুমন খান, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের জুয়েল, তানভীর হাসান খান রুবেল, মাসুদ রানা, তুষার, শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের মামুন খান, সজীব প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন- গোপালগঞ্জে নিজ বাড়িতে বাবার কবর জিয়ারত করতে যাওয়ার পথে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের হামলায় জিলানী ভাইসহ প্রায় ৬০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক শওকত আলী দিদারকে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, দেশের হাজার বছরের ইতিহাসকে সামনে রেখে বাংলাদেশের সংবিধান তৈরি হওয়া উচিত। দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর আজও আবার সেই পরাজিত শক্তি পেছন দরজা দিয়ে আমাদের পিঠে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস টাঙ্গাইল জেলা শাখার আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সকল শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং নৈরাজ্যবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা মামুনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ রাতের অন্ধকারে সংখ্যালঘুদের ওপর কালনাগিনী হয়ে ছোবল মারতো। দিনের বেলায় তারাই আবার ওঝা হয়ে ঝারতে আসতো। এই নাটক করেছে আওয়ামী লীগ। এই নাটকের কলা-কুশিলবরা এখন বাংলাদেশের দৃশ্য নাই। এর জন্য এখন নাটকও নাই। এখন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা ভালো আছেন। তাদের মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় আর হামলা হয় না। হিন্দুধর্মাবলীদের কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে কেউ হামলা চালায় না। কারণ আক্রমণকারী আওয়ামী লীগাররা এখন পালিয়ে আছে।
তিনি বলেন, ওরা যদি আবার ঢুকতে পারে শুরু করবে সংখ্যালঘুদের দিয়ে। সংখ্যালঘুদের বাড়ি ঘর জ্বালাবে, হিন্দুদের মূর্তি ভাঙবে এগুলো করে সাম্প্রদায়িক কামিল হটাবার চেষ্টা করবে। তাই সবাইকে সোচ্চার থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ এই মুনাফিক শক্তিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আর পূর্ণবাসিত হতে দেওয়া যাবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে নজির বাংলাদেশে চলছে এটাকে অব্যাহত রাখতে হবে। দেশের ৯০ ভাগ মুসলিমদের চেতনা, তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে যদি সম্মান জানাতে না পারেন এদেশে কোন দিনও সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অবস্থান ভাল রাখা যাবে না। সম্প্রীতির সকল জায়গাগুলোতে সম্মিলিতভাবে আমরা সংরক্ষণ করব। আগামীর বাংলাদেশ হবে সম্প্রীতির বাংলাদেশ, ইনসাফের বাংলাদেশ, বৈষম্যহীন এক বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই বিজয় অর্জন করা যতটা কঠিন, বিজয়কে রক্ষা করা তার চেয়েও বেশি কঠিন। আমরা যদি সাময়িক বিষয়ের তৃপ্তিতে, আমরা যদি তৃপ্তির ঢেকর তুলি, এই বিজয় যে কোন সময় ছিনতাই হয়ে যেতে পারে। যে কোন মুহূর্তে এই বিজয় আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। পরাজিত শক্তি বসে নেই। কথিত স্বৈরাচার এখনো বাংলাদেশের মানুষের বুকের উপর ছোবল মারার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল বিভাজনের রাজনীতি। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তার বিভাজনের রাজনীতি পরাজিত হয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি হয়েছিল। এই ঐক্য ছিল বাংলাদেশের আগস্ট বিপ্লবের শক্তি এই ঐক্যের মাধ্যমে এদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদকে পরাজিতা করতে সক্ষম হয়েছে। আপনারা পৃথিবীর ইতিহাসে নিকৃষ্টতম স্বৈরাচারীর যাতাকল থেকে মুক্ত করেছেন। আমাদের সংগ্রাম আরও বাকি রয়েছে। ফ্যাসিবাদের অবশিষ্ট শক্তিকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত না করা পর্যন্ত এদেশে কেউ নিরাপদ নয়। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এই ঐক্য আমাদের ধরে রাখতে হবে। ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে বিএনপি-জামায়াত -হেফাজত ইসলাম আমরা কেউ এ দেশে নিরাপদে থাকতে পারবো না। শেখ হাসিনা শুধু একা নয়, তার পিছনে লুকিয়ে আছে ওই শক্তি যারা বাংলাদেশকে স্বাধীন ভাবে দেখতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে আপা আপা সংবাদ পাঠান, চট করে ঢুকে পড়ার পাঁয়তারার ধান্দা করতেছেন। আপা যেখানে আছেন ভালো আছেন। ওখানে থাকেন আমরা ধরে আনব সময় মতো। এর আগে ঢোকবার চেষ্টা করবেন না এদেশের মানুষের কবলে পড়লে কত ধানে কত চাল হিসাবটা বুঝতে পাবেন।
শেখ হাসিনার সর্ম্পকে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিলো প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে এতো মানুষ মরে নাই। ৭১’ থেকে ৭৫’ এর ১৫ আগস্ট পর্যন্ত এসব মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। যে মানুষের জন্য তার মায়া নেই। এই দেশটাকে তিনি স্বাধীন রাখতে চায়নি। চোখে কোন অশ্রু নাই। সব চোখের অশ্রু শুধু ১৫ আগস্টের জন্য। এই বৈষম্য ভালো না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জে যে ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তার প্রকৃত দোষীদেরকে গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে পূর্ণবাসন করবার জন্য যারা যারা ষড়যন্ত্র করেছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা ক্বওমী ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য মুফতি আশরাফুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ এনামুল হাসানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, পুলিশ বাহিনীকে বলে দিতে চাই, আপনারা হুঁশিয়ার হয়ে যান, যদি মনে করেন যে কিছু হবেনা তাহলে ধারণা ভুল। শেখ হাসিনার মতো আপনাদেরকেও দেশ ছাড়া করবো যদি শেখ হাসিনার মতো ফ্যাসিস্ট হয়ে থাকেন। আর যারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন এবং ভাবছেন এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি এখন আরেক ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতায় বসাবো, তারা ভুল করছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে গণঅভ্যুত্থান প্রেরণায় শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ এবং দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম এসময় আরও বলেন, আপনারা যোগ্য হয়ে রাজনীতিতে আসবেন। যাতে করে কেউ আপনাকে কটু কথা না বলতে পারে। রাজনীতিতে এমন লোক আসবে যারা সঠিক কথা বলবে। সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব চাঁদাবাজির সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।
তরুণ সমাজকে সুশিক্ষিত ও দক্ষ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই ছাত্রনেতা বলেন, শিক্ষার্থীদের অসংখ্য কাজ থাকতে পারে কিন্তু আমাদের প্রধান কাজ পড়াশোনা করে নিজেকে সুশিক্ষিত ও দক্ষ হিসেবে তৈরি করা। যখন ক্লাস চলবে তখন ক্লাসে যাবেন, আবার খেলার সময় খেলার মাঠে থাকবেন। আপনারা কারও লাঠিয়াল বাহিনী হবেন না।
তিনি আরও বলেন, আপনারা নিজের মেধা, শিক্ষা, দক্ষতায় স্বাবলম্বী হয়ে উঠবেন, কোনো ‘ভাইয়ের’ ওপর ভর করে নয়। এই ছাত্র-জনতার হাতে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ দেখতে চাই। যারা আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তারা আজ থেকে ২০ বছর পরে একেকজন সংসদের এমপি, মন্ত্রী হবেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রীও হবেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রফিকুল ইসলাম আইনি, মোবাশ্বিরুজ্জামান হাসান, মিতু আক্তার, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, এলমা খন্দকার এ্যানী, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রাকিবুল হাসান প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার বিদায় হয়েছে, প্রেতাত্মারা কিন্তু এখনো ঘোরাফেরা করছে। তারা বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তারা জনগণের প্রিয় দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে সর্ম্পৃক্ত রয়েছে। আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, এই ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না। শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা তাদের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলবে এবং তাদের রুখে দিবে। এতো অত্যাচার ও নির্যাতনের মধ্যেও বিএনপি টিকে আছে। আজ আবার যদি জনগনের সাহার্য্য ও সমর্থন বিএনপি’র প্রতি অব্যাহত থাকে তাহলে আমরা সেই সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা সূতী ভি.এম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাবেক উপমন্ত্রী এড. আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তির দাবিতে উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভারচুয়ালি বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, আমাদের সহকর্মী আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশে সকলের নিকট দাবি রাখছি যে, আব্দুস সালাম পিন্টুসহ বিএনপি’র যত নেতাকর্মী যাদের নামে মিথ্যা মামলা ও আটক রাখা হয়েছে তাদের সকলের মুক্তি দাবি করছি। আমাদের দলের পক্ষ থেকে কতগুলো প্রস্তাবনা রেখেছি জাতির সামনে। বিগত প্রায় ১৭ বছরের জনগণের আন্দোলনের ফলে, জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে গত ৫ আগস্ট। জনগনের বিজয়ের মাধ্যমে স্বৈরাচার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। স্বৈরাচার দেশ থেকে বিদায় হয়েছে। এখন আমাদেরকে দেশ গড়তে হবে। আমরা দেশ ও দেশের মানুষের সামনে দেশের রাজনীতির কিছু মৌলিক বিষয় পরিবর্তনের ৩১ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছি। এগুলো আপনারা দেখেছেন। এরই মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এরই ভিতর আমরা উল্লেখ্য করেছি। আপনাদের আন্দোলনের মাধ্যমে যে স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করেছি আমরা এই বিদায়ের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক যে বিজয় তার একটি অংশ অর্জন করেছি। কিন্তু আমাদের যে মূল লক্ষ্য জনগনের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার। যে আন্দোলন বিগত ১৭ বছর ধরে একথা আমরা বলে আসছি। জনগনের সামনে যে কারনে, যেজন্য, যে লক্ষ্য হাসিলের জন্য আমাদের বহু নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছেন ও শহীদ হয়েছেন।
বিএনপি’র বাহিরে অন্যান্য দলের বহু নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। যারা রাজনীতি করেন না, কিন্তু দেশকে ভালবাসেন। এমন বহু সাধারণ মানুষ বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন পেশার মানুষ আত্মত্যাগ করেছেন। এই যে আত্মত্যাগের কারণ কি? কারণ জনগনের অধিকার প্রতিষ্ঠা। জনগন তাদের কথা বলবে। জনগনের কথা অনুযায়ী কাজ হবে। এমন একটি ব্যবস্থা, যেটিকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ভাষায় বলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বা ভোট ব্যবস্থা বা জনগনের ভোট। শেখ হাসিনার ভোট নয়, স্বৈরাচার এরশাদের ভোট নয়। যে ভোট যুদ্ধের জন্য বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে সাথে নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করেছে। যে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য বিএনপি জনগনকে সাথে নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম ও আন্দোলন করেছে। আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। সেই সাথে আমাদের অর্জন করতে হবে জনগনের অর্থনৈতিক মুক্তি। আমাদেরকে সেই সকল সম্ভাবনার দ্বারগুলোকে খুলে দিতে হবে। এই সম্ভাবনার দ্বারগুলো খুলে দিলে আমরা জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করতে সক্ষম হব।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস-চেয়ারম্যান এড. আহমেদ আযম খান, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবালসহ জেলা, উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপি’র বিভিন্ন সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
দুপুর গড়াতেই সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সূতী ভি.এম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। লাখো কণ্ঠে একটাই দাবি উঠে মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, সালাম পিন্টুর মুক্তি চাই। এর পূর্বে সমাবেশে বিপ্লবী গান পরিবেশন করেন কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জাসাস) শিল্পী বৃন্দ। এসময় বিপ্লবী সংগীত পরিবেশন করেন ইথেন বাবু ও মৌসুমীসহ অন্যান্য শিল্পীরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চলচ্চিত্র শিল্পী শিবা শানু।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম পিন্টু পঞ্চম, ষষ্ঠ ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিগত ২০০১ সালে ৪ দলীয় জোট সরকারের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বিগত ২০০৮ সাল থেকে তিনি ষড়যন্ত্র মূলকভাবে জেলহাজতে বন্দী আছেন।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার(ইউএনও )বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন শেষে যাওয়ার পথে ছাত্রীদের ইভটিজিং ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫-৬ জন শিক্ষার্থী গুরুত্বর আহত হয়। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে ট্রাক শ্রমিকরা।
হামলায় গুরত্বর আহত শিক্ষার্থী আসমাউল হাসান সহ কয়কজনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা ভূঁইয়াপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।
পরে বিকেলে শিক্ষার্থীদের উপর শ্রমিদের হামলার ঘটনায় দুই শ্রমিককে এক বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি )আহসান উল্লাহ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদের রবিবার হঠাৎ বদলির আদেশ হয়। ইউএনও’র এই বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। পরে শিক্ষার্থীরা ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। এরপর তারা সড়ক থেকে সরে গিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচী শেষ করে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফেরার পথে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের উপর হামলা করে পরিবহন শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকরা দুই জন ছাত্রীকে ইভটিজিং ও লাঞ্চিত এবং ছাত্রদের মারধর করে। এতে হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাদশা মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয় তাকে। এর আগে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মির্জাপুর থানার পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বাদশা মিয়া ওই ইউনিয়নের ডোকলাহাটী গ্রামের হাকিম মিয়ার ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের সোহাগপাড়া এলাকায় গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় কলেজ ছাত্র ইমন (১৮)। এরপর দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। পরে নিহতের ভাই সুমন গত ২২ আগস্ট ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১০০ নম্বর আসামি বাদশা মিয়া।
নিহত ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন মণ্ডল বাড়ি এলাকার জুলহাস মিয়ার ছেলে। তিনি অলোয়া মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়েছিল।
এ মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছাড়াও সাবেক সাত সংসদ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মির্জাপুরের পাঁচজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও ১৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিবার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে চাচা ও ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা হামলাকারী তালেব (৩৫) নামের এক যুবককে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তাজমুল (৪২) নামের আরও একজন আহত হয়েছেন। তাকে পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের কাতার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ছাত্তার (৫০) ও আসাদুল (২৮)। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্তারের সঙ্গে একই গ্রামের তালেব মিয়ার কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তালেবের সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্তারকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় তার ডাক-চিৎকারে ভাতিজা আসাদুল এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে তালেব। গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ঘাতক তালেবকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসীম উদ্দিন বলেন, নিহত চাচা-ভাতিজার মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তালেবের লাশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে নাগরপুর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগে সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম পশুপতি বিশ্বাস মামলাটি আমলে নিয়ে নাগরপুর থানাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এ মালেক আদনান।
মামলার বাদী মো. মনির হোসেন ঢাকার ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এর আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তিনি নাগরপুর উপজেলার কলমাইদ গ্রামের নুরু মল্লিকের ছেলে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালত থেকে জানানো হয়, বিচারক মামলাটি নাগরপুর থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আহসানুল ইসলাম টিটুর ভাই মজিবল হক পান্নাসহ ১২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই নাগরপুর কলেজ গেইট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও তার ভাই মজিবল হক পান্নার নির্দেশে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, দা-কুড়াল ও লাঠিসোঁটাসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়।
সেই সময় আসামিদের ছোড়া ফাঁকা গুলি এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এতে বাদীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
আইনজীবী মালেক আদনান জানান, দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারাসহ দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করা হয়েছে। শুনানির দিন বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে মামলাটি নথিভুক্ত করতে নাগরপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
একতার কণ্ঠঃ প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের দায়ে টাঙ্গাইলের সন্তোষে অবস্থিত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয় এ তথ্য।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিশেষ ছাত্র সংগঠনের প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে গত ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ২৪৭তম জরুরি সভার অনুমোদনক্রমে ১৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। তাদের চলতি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাসহ সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সাময়িক বহিষ্কৃত ও ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত শিক্ষার্থীরা হলেন, ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইএসআরএম বিভাগের শিক্ষার্থী মানিক শীল, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির ও শাওন ঘোষ, সুজন মিয়া, নাইম রেজা, খালেকুজ্জামান নোমান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিক ইকবাল, রায়হান আহমেদ শান্ত ও আনোয়ার হোসেন অন্তর, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান মারুফ, শাখাওয়াত আহমেদ শুভ্র ও আব্দুল্লাহ সরকার উৎস, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান, রিফাত হোসেন, সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ রাজু, ইমরানুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রানা বাপ্পি ও যোবায়ের দৌলা রিয়ন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এআরএম সোলায়মান জানান, এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি পরে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় বিভিন্ন বিভাগের ওই ১৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করে।
তিনি আরও জানান, এটি সাময়িক ব্যবস্থা। প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে যথাসময়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে দেশের অন্যতম বৃহৎ যমুনা সেতুর টোল ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পেয়েছে নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি)। কোম্পানিটি এখন থেকে অনলাইনে টোল আদায় করবে, এতে কমবে যানজট। আগামী পাঁচ বছর প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব জনবলে এই দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (৩১ আগস্ট) দায়িত্ব পেয়ে রাত ১২টা ১ মিনিটে তারা সেতুর দায়িত্ব বুঝে নিয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করে। এতে প্রাক্কলিত মূল্য থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা কমে দরদাতা হিসেবে চায়না রোড ও ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি) যমুনা সেতুর টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের অপারেটর হিসেবে দায়িত্ব পায়।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রোড ও ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি) কোম্পানিকে ৫৯ কোটি ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫০৪ দশমিক ১৪ টাকা মূল্যে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এতে ওই কোম্পানি পরবর্তী পাঁচ বছর সেতুর টোল আদায় ও পরিচালনা কার্যক্রম তাদের নিজস্ব জনবল দ্বারা পরিচালনা করবে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যমুনা সেতুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কম টাকায় দরপত্র দেওয়া হলেও টোল কমানোর কোনো সুযোগ নেই। সরকার নির্ধারিত টোল আদায় করতে হবে। ডিজিটাল সফটওয়্যারের মাধ্যমে টোল আদায় করা হবে। ফলে টোল আদায়ের কারণে কোনো যানজট সৃষ্টি হবে না।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব আলতাফ হোসেন শেখ বলেন, ইতিমধ্যে কার্যাদেশ পেয়ে রাত ১২টার পর থেকে নতুন কোম্পানি টোল আদায় শুরু করেছে। প্রাক্কলিত মূল্য থেকে প্রায় ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় মূল্যে পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা এবং সফটওয়্যারের মাধ্যমে টোল আদায় করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গাড়ি পারাপার করা যাবে। এখানে অনলাইনে টোল দিয়ে যাতায়াতের জন্য প্রত্যেকটা লাইনে ব্যবস্থা থাকবে। ব্যবহারকারী যদি টোল কালেকশন সিস্টেমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করেন, তাহলে টোল পারাপারের সময় তাঁরা অনলাইনে টোল দিতে পারবেন। সরাসরি টোলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকাটা জমা হয়ে যাবে। এতে টোলে কোনো ট্রাফিক জ্যাম হবে না। একদিকে, সরকারের ১৫ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। অন্যদিকে জনগণও কম সময়ে দ্রুততার সহিত টোল প্লাজা দিয়ে পার হয়ে যেতে পারবে।
উল্লেখ, গত ২০১৮ সাল হতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) ২০২৪ আগস্ট পর্যন্ত যমুনা সেতুর টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল। দীর্ঘ ছয় বছর পর নতুন কোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিল সরকার।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে অবশেষে জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন। দুপুরে জামিন লাভের পর তিনি বিকেলেই টাঙ্গাইল কারাগার থেকে বের হয়ে যান।
আদালত সূত্র জানায়, ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে বন্দি সহিদুর রহমান মুক্তির জামিনের জন্য তার আইনজীবীরা টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন।
তারা জানান, সহিদুর রহমান খান মুক্তি কারাগারে খুব অসুস্থ অবস্থায় আছেন। তার অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। থাইরওয়েডের সমস্যাসহ আরো অনেক রোগে ভুগছেন। সুচিকিৎসা না পেলে তার মৃত্যু হতে পারে। যে কোন শর্তে মুক্তির জামিন চান আইনজীবীরা। পরে ওই আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান শুনানি শেষে সহিদুর রহমান খান মুক্তির মামলার আগামী ধার্য তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন। আগামী ধার্য তারিখে কি কি চিকিৎসা গ্রহন করলেন তা আদালতকে জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভীর হাসান।
টাঙ্গাইল জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকলেছুর রহমান জানান, সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন মঞ্জুরের কাগজপত্র বিকেল ৩টার দিকে কারাগারে আসে। পরে সাড়ে তিনটার দিকে তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে যান।
সহিদুর রহমান খান মুক্তির বাবা আতাউর রহমান খান ও ভাই আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য। এ মামলায় মুক্তির অপর তিন ভাইও আসামী।
সহিদুর রহমান খান মুক্তির পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি ঢাকায় চিকিৎসা গ্রহনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছেন। সেখানে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহন করবেন।
২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বের হয়ে আসে। তারপর সহিদুর রহমান খান মুক্তি আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠান। পরে ২০২২ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিন পেয়েছিলেন। পরে আদালত জামিত বাতিল করার পর ২৮ ফেব্রুয়ারি আবার কারাগারে যান তিনি। এরপর ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ২২ নভেম্বর কারাগার থেকে মুক্ত হন। পরে আদালত তার জামিন বাতিল করলে পরদিনই আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে যান। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ এ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে এ দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এই হত্যার সাথে তৎকালিন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা এবং তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা জড়িত বলে বের হয়ে আসে। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এতে সহিদুর হমান খান মুক্তির চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী মনিরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন মামলাটির শুধু তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। অন্য সব সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ ইট প্রস্ততকারী মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান বলেছেন, সারা দেশে ৮ হাজারের উপরে ইটভাটা রয়েছে। এসব ইট ভাটায় প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কাজ করছেন। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্মশক্তি হল ইট ভাটার শ্রমিক। ইট ভাটায় ১ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। এর সাথে বাংলাদেশের উন্নয়ন জড়িত রয়েছে। ইট ছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমরা এ সরকারকে সহযোগিতা করতে চাই। ইটের বিকল্প এখনো কিছু গড়ে উঠেনি।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রিপোর্টার’স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে নতুন করে কোনো লাইসেন্স দেওয়া হবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ ও পানি উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের এমন বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরাও চাই অবৈধ ইটভাট বন্ধ হোক। ইটভাটা করতে না দিলে আমাদের অসুবিধা নেই। আমরা সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী করেছি। কিন্ত আমাদের সঠিক নিদের্শনা দিতে হবে। মুখ দিয়ে বলবেন এগুলো বন্ধ করে দিবো, এটা মগের মুল্লুক নয়। এ ধরনের কথা আমরা কারও কাছ থেকে আশা করিনা। যৌক্তিকভাবে আমাদের বলবেন, আমরা যৌক্তিকভাবে সহযোগিতা করবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা পরিবেশ ও পানি উপদেষ্টার সাথে বসে এসব বিষয়ে আলাপ কররো। ২০০১ সালে ড্রাম চিমনি বন্ধ করা হয়। কিন্ত এখনো ড্রাম চিমনি চালু রয়েছে। ২০০৭ সালে আবার ফিক্সড চিমনি করা হয়। কিন্ত ফিক্সড চিমনি পরিবর্তন করে ২০১৩ সালে পরিবেশ বান্ধবের কারণ দেখিয়ে জিকজাক প্রদ্ধতিতে ভাটা করা হয়। এসব পরিবর্তন করতে আমাদের লাখ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সরকারের কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কারণে দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়।