একতার কন্ঠঃ বাংলাদেশে নিযুক্ত চার দেশের রাষ্ট্রদূত টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এশিয়াখ্যাত দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা’র দুর্গামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন।
এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল্লাহী শেখ ও তার স্ত্রী হাজজা সাতা শেখও দুর্গামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।
এই ভিআইপি অতিথিরা শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌঁছেন।
সেখানে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. আব্দুল হালিম, কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায়, কুমুদিনী নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল রিনা ক্রুস ও কুমুদিনী হাসপাতালের উপ-পরিচালক অনিমেষ ভৌমিক লিটন তাদের স্বাগত জানান ।
রাষ্ট্রদূতরা হলেন, ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার এবং ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর জেমস গোল্ডম্যান, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পওলো ফার্নান্দো দিয়াস ও তার স্ত্রী ইল্লানি অ্যালক্যানতারা ফেরেম, সুইডেন দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন মারিয়া স্ট্রিটসম্যান ও প্রথম সচিব জোহাননা মারটিনসন, নেপাল দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন ললিতা সিলওয়াল ও সেকেন্ড সেক্রেটারি ওজানা ব্যামজান এবং বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলাই শেখ ও তার স্ত্রী হাজজা সাতা শেখ।
অতিথিরা কুমুদিনী লাইব্রেরিতে চা চক্র শেষে ভারতেশ্বরী হোমসের গেট হয়ে বজরা নৌকায় লৌহজং নদী পার হয়ে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার পূজা মণ্ডপে যান। সেখানে রণদার পৌত্র কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা তাদের স্বাগত জানান।
পরে অতিথিরা দানবীর রণদা’র বাড়িতে জলযোগ শেষে রণদা’র মণ্ডপে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ ও ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রীদের পরিবেশনায় আরতি উপভোগ করেন।
মহাষ্টমীতে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা দুর্গামণ্ডপের সামনে ভক্তদের প্রচুর সমাগম ঘটে।
একইভাবে শিল্পী সংঘ অনির্বাণ যুব সংঘ ও আনন্দময়ী যুব সংঘের মণ্ডপেও দেখা গেছে ভক্তদের প্রচুর সমাগম। বিকেল ৪টার পর থেকে উপজেলা সদরের প্রত্যেক রাস্তা বা সড়কে দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। অনেক ভক্ত পূজার প্রথমভাগেই দূরের মণ্ডপগুলোর প্রতিমা দর্শন শেষ করে নিজেদের বাড়ির পূজা উপভোগ করেন।
উল্লেখ্য,এ বছর মির্জাপুর উপজেলায় একটি পৌরসভাসহ ১৪ ইউনিয়নে ২০৭ মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে। গত বছর এ উপজেলায় ২৪৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়। অন্য বছরের চেয়ে এ বছর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশি জোরদার লক্ষ করা গেছে।
একতার কন্ঠঃ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গত কেবিনেট সভায় গুরুত্বের সাথে আলোচনা হয়েছে এবারের পূজাটি যেন নতুন বাংলাদেশের পূজা হয়। ইতিপুর্বে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাথে প্রধান উপদেষ্টা সভা করেছেন।
সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের সকলেই একটি পরিবার। এখানে সংখ্যালঘু সংখ্যাগরিষ্ঠ বলতে কিছু নেই।
সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা ঈদে আনন্দ করবো আর পূজায় ভয় পাবো এটা হয়না। আমরা সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি তাহলে ভাল একটা পূজা করতে পারবো।
পূজা উপলক্ষে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ইতিমধ্যেই যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই বলে জানান উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
জেলা প্রশাসক শরিফা হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবু চিত্তরঞ্জন সরকার ও সাধারন সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুন ঝন্টুসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
একতার কণ্ঠঃ মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জীবনী বর্তমান প্রেক্ষাপটে পুনরায় পাঠ্য বইয়ে অর্ন্তভূক্তির দাবি জানিয়েছে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন।
সোমবার(৭ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচীর মাধ্যমে এ দাবি জানিয়েছে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন।
মানববন্ধনে ভানাসী ফাউন্ডেশনের অনুসারীরা বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৪ সালে ৫ম ও ৮ম শ্রেণীর পাঠ্য বই থেকে মওলানা ভাসানীর জীবনী বাদ দিয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ৫ ম আর ৮ ম ছাড়াও শিশু শ্রেনী থেকে শুরু করে কলেজ পর্যন্ত পাঠ্য সুচিতে ভাসানীর জিবনী দেখতে অন্তভুক্তি করতে হবে।
তারা বলেন, মওলানা ভাসানী শুধু বাংলাদেশের নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বিশ্ব নেতা। তাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। সরকারী-বেসরকারী প্রতিটা অফিসে ভাসানীর ছবি দেখতে চাই। প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. ইউনুসের কাছে টাঙ্গাইলবাসীর পক্ষে এ দাবী পেশ করা হলো।
আশা করি, দাবী পুরণে তিনি ভূমিকা পালন করবেন।
মানববন্ধনে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ভাসানীর নাতি ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মাহমুদুল হক সানুর সঞ্চালনায় প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন হামিদুল হক মোহন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি, এডভোকেট জাফর আহমেদ,সাবেক সভাপতি এডভোকেট খান মোহাম্মদ খালেদ।
এ সময় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ব্যবসায়ী ঐক্যজোট নেতা আবুল কালাম মোস্তফা লাবু, জেলা ক্লিনিক ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি ছাইদুল হক ছাদু ও জেলা মহিলা দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মমতাজ করিম প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, যে কেউ আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারে, তাতে কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু যারা গণহত্যার সাথে জড়িত, যেই দল ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে নির্বিচারে গণহত্যা করেছে, তারা গণহত্যাকারী। এই গণহত্যাকারীদের কোন ছাড় নেই। বাংলাদেশের মাটিতে আগে তাদের বিচার করতে হবে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে পৌর শহরের শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ মাঠে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বাংলাদেশে মানুষ এই মুহুর্তে একটি জিনিস চায়, সেটি হলো একটি নির্বাচন হোক। বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য সকল সময় গণতন্ত্রের জন্য যে আকাঙ্খা এটি বুকে ধারণ করে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। এই যে আন্দোলন এটি একদিনে সফল হয়নি। দীর্ঘ ১৭ বছরের কষ্টের ফল আজকে এই ফ্যাসিস্ট পতন এবং পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।।ভবিষ্যতে কোনো স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদের আবির্ভাব এ দেশের মাটিতে না ঘটে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, গণতন্ত্র লালন করে। আমাদের আদর্শের জনক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করে ছিলেন। মানুষকে বহুদলীয় গণতন্ত্র দিয়ে ছিলেন। আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ নয় বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে বাংলাদেশের মানুষকে গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন স্বৈরাচার এরশাদের পতনের মধ্য দিয়ে।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর মুক্তি দাবি করে টুকু আরও বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ বাংলাদেশ আমরা চাই। সকলের জন্য সমান অধিকারপূর্ণ বাংলাদেশ চাই। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ চাই। কোন বৈষম্য থাকবে না। কারো মধ্যে কোন প্রতিহিংসা থাকবে না। সুন্দরভাবে বাংলাদেশকে আমরা গড়ে তুলতে চাই। সে জন্য সকলকে মানসিকভাবে পরিবর্তন হতে হবে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু, পৌর বিএনপি সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান গিয়াস প্রমুখ।
পরে ভূঞাপুর প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এসময় প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক আব্দুল আলীম আকন্দ, মামুন সরকার, জুলিয়া পারভেজ ও ফরমান শেখ প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করেন সাংবাদিকরা।
একতার কণ্ঠঃ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্নাঢ্য র্যালি এবং আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে টাঙ্গাইলে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালন করা হয়েছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সকালে দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নিবাহী অফিসার(ইউএনও ) রুহুল আমিন শরিফ ও জেলা তথ্য অফিসার তাহলিমা জান্নাত প্রমুখ।
আলোচনা সভায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণের গুরুত্ব উপস্থাপন করা হয়।শিশু জন্ম গ্রহণের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করার নির্দেশনা প্রদান করা হয় আলোচনা সভায়।
এ সময় আলোচনা সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগে আবুল হাসনাত মোঃ সোহেল রানা নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহতের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাইমহাটি গ্রামে তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বাইমহাটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায় নিহতদের বাড়িতে মরদেহ পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পরেন তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনেরা।
নিহত সোহেল রানা ওই এলাকার মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে।
পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন, সোহেল রানাকে পরিকল্পিতভাবে পাহাড়িরা পিটিয়ে হত্যা করেছে।
তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ সময় নিহতের বড় ছেলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাওন বলেন, আমার বাবা অনেক ভালো মানুষ ছিলেন।এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার দাবি জানাই।
সোহেল রানা খাগড়াছড়ি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ও সেফটি বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন।প্রতিষ্ঠানটি জেলা সদরের খেজুরবাগান এলাকায়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর তিনি কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। এরপর একই প্রতিষ্ঠানে তিনি যেন আবার যোগদান না করেন, সে জন্য শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।
গত মঙ্গলবার(১ অক্টোবর) দুপুরে আবার তাঁর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্কুলটির শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে সোহেল রানাকে অধ্যক্ষের কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে ১০ থেকে ১৫ জন পাহাড়ি তরুণ অভিযুক্ত শিক্ষক সোহেল রানাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। এ সময় তাঁকে পুলিশসহ কয়েকজন রক্ষা করতে গিয়ে ব্যর্থ হন। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একতার কণ্ঠঃ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, সমাজটাকে বদলাতে হবে। অল্প ক’দিনের মধ্যে একটি বিরাট পরিবর্তন হয়েছে, এটাকে মহাবিপ্লব বলা চলে। গত ১৬ থেকে ১৭ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশটা ভালো চলে নাই। অনেকে মনে করেন আওয়ামী লীগের সরকার, আমি বলবো না। আওয়ামী লীগের সরকারও ছিল না, মানুষের সরকারও ছিল না। শেখ হাসিনা সরকার ছিল এবং যতকিছু অন্যায় করেছে তার ৯০ ভাগ শেখ হাসিনা, বাকি বাধ্য হয়ে হয়তো ২ থেকে ৪ জন করেছে। এর পরিবর্তন দরকার। এই বিপ্লব যদি ব্যর্থ হয় তাহলে ভবিষ্যত বাংলাদেশের জন্য অন্ধকার। সেজন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সফলতা ধরে রাখতে হবে। সেইখানে আমাদের সন্তানদের জীবনদান আল্লাহ গ্রহণ করুক এই শেষ ব্যক্তি হোক। যার দ্বারা আমাদের আইনশৃঙ্খলা ফিরে আসুক।
কক্সবাজারে ডাকাতদের হামলায় নিহত লেফট্যানেন্ট তানজিম সারোয়ার নির্জনের বাসায় মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে গিয়ে স্বজনদের সমবেদনা জানানোর পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের করের বেতকা গ্রামে নিহত লেফট্যানেন্ট তানজিমের পৈতিক বাড়ির উঠানে সাংবাদিকদের আরও বলেন, দেশটা কেমন জানি হয়ে গেছে। মানবিক মূল্যবোধ একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। একটা সেনাবাহানীর গায়ে ডাকাত, লস্কর চোর আঘাতহানতে পারে তাহলে বুঝতে হবে সমাজে আইন-কানুন বলতে কিছু নাই। আমি এটাকে কোন গুরুত্ব দিতাম না। যদি একটা সাধারণ মানুষ হতো তার পিছনে ছোরা মারছে, চাকু মারছে বা দা দিয়ে আঘাত করেছে। কিন্তু সেনাবাহিনীর পোশাক পড়া একজন মানুষের গায়ে দুস্কৃতিকারীরা যখন আঘাত হানতে পারে বা সাহস পায় তখন বুঝতে হবে আইনশৃঙ্খলা বলে অথবা দেশের শাসন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের যে একটা শ্রদ্ধা ভালোবাসা, দুষ্ট লোকের যে ভয় থাকে তা কিছু নেই। আমি এসেছি মৃত্যু মানুষের জন্মের পরে অবধারিত সত্য, সে মৃত্যু হয়েছে। বাবা বেঁচে আছেন, বোন আছে তাদের বুক কেমন করছে। টাঙ্গাইলের মানুষ আমি দেখতে এসেছিলাম দেখে গেলাম।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি রাজনীতিকে ইবাদতের মতো মনে করে রাজনীতি করি। এজন্য আমি প্রচুর সম্মান পেয়েছি। প্রচুর অসম্মানও পেয়েছি। গলাগালিও শুনেছি। এতো দিন বেঁচে না থাকলে আমি গালাগালি শুনতাম না। আমি যদি ‘৭১ এর যুদ্ধ করতে না পারতাম যারা গালাগালি করেন তাদের অধিকাংশদের জন্ম হয়তো পাকিস্থানের জারস হিসেবে হতে পারতো। আমি আজকে একজন কাতর বাবা মা-বোন তাদের পাশে শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া করবার জন্য এসেছি। অন্য কোন দিন আপনারা আমাকে ধরবেন তত্ত্ববাধয়ক সরকার কত দিন থাকবে, কতদিন থাকা দরকার, মানুষের চাহিদা কি আমি অকপটে বলবো আমি কোন কথা দ্বিধা করে বলার চেষ্টা করি না।
একতার কণ্ঠঃ ভারতের মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতা নিতেশ রানে ও ধর্মগুরু রামগিরি মহারাজ কর্তৃক মুসলমানদের হত্যার হুমকি ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল সদরের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভটি মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে এসে মিছিলটি সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোঃ কামরুল ইসলাম, আল-আমিন, মনিরুল ইসলাম, আকরাম, সিয়াম, মুফতি আব্দুর রহমান, মাওলানা ইসমাঈল, মুফতি মুকাব্বির প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, মহানবীকে নিয়ে যারা কটুক্তি করছে অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় মহানবীর সম্মানে মার্চ টু মুম্বাই কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এই সময় বক্তারা ভারতীয় পন্য বর্জনের আহ্বান করেন সমাবেশ থেকে।
পরে মোনাজাতের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত সমাবেশটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। মোনাজাত করেন মুফতি আব্দুর রহমান।
একতার কণ্ঠঃ আন্দোলনে গিয়ে ৪৫ দিন ধরে নিখোঁজ শাহাদতের অপেক্ষায় তার মা ও পরিবার। বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্বর এলাকায় গত ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন শাহাদত হোসেন (২১)। পরে ওইদিন রাতেই বন্ধুদের সঙ্গে সাভার যান তিনি। সেখান থেকেই সরকার পতনের আন্দোলনে ঢাকার সাভারে যোগ দিয়ে নিখোঁজ হন। ওইদিন বিকেলে শাহাদত তার মাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন, সাভারে অনেক গোলাগুলি হচ্ছে, হয়তো বাসায় ফিরতে পারবেন না তিনি। এরপর আর খোঁজ মিলেনি তার। যে নম্বর থেকে শাহাদত ফোন করেছিলেন, সেটিও তখন থেকেই বন্ধ রয়েছে।
নিখোঁজ শাহাদত হোসেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার আলীপুর গ্রামের আব্দুল হালিম ও আসমা খাতুনের একমাত্র সন্তান। শাহাদতের সানজিদা নামে পাঁচ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘটনার পর থেকেই প্রতিবেশীরা শাহাদতের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন। মা আসমা খাতুন ছেলের শোকে পাগলপ্রায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ছেলের সন্ধান না পেয়ে হতাশায় দিন কাটছে তার। জীবিত বা মৃত একনজর দেখার আকাঙ্ক্ষা শাহাদতের স্ত্রী জিয়াসমিনের। এখন আর কাঁদতে পারেন না তিনি। স্বামী হারানোর শোকে কাঁদতে কাঁদতে চোখের পানি শুকিয়ে ফেলেছেন। এখন তাদের একমাত্র শিশু সন্তানের ভরণপোষণ ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত সে। পাঁচ মাস বয়সী শিশু সানজিদা বাবার আদর থেকে বঞ্চিত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে। আর কোনো দিন বাবার আদর পাবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। বাবা না থাকায় এই শিশুকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মা জিয়াসমিন। শাহাদত পেশায় একজন ভেকুচালক (মাটিকাটা যন্ত্র) ছিল। তবে তার সংসার সচ্ছল ছিল না। গাড়ি চালিয়ে যা উপার্জন হতো তাতে সংসার চলতো কোনো মতে।
এদিকে আন্দোলনে ছেলে নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কয়েকদিন কালিহাতী থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করতে গিয়েও ফিরে এসেছেন মা আসমা খাতুন। এরপর গত রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থানা পুলিশ তার জিডি নিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্বর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন শাহাদত। পরে ওইদিন রাতেই আন্দোলনে যোগ দিতে বন্ধুদের সঙ্গে সাভার যায় সে। এরপর ৪ আগস্ট সকালে তার স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলে শাহাদত। স্ত্রীকে ফোনে জানান, খুব দ্রুতই বাড়ি ফিরবে সে। এরপর ওইদিন বিকেলে শাহাদত তার মাকে অন্য একটি মোবাইল ফোন দিয়ে ফোন করে জানান, সাভারে পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। সেখানে শুধু গুলি আর গুলি হচ্ছে। কোনো দিকে যাওয়ার মাধ্যম নেই। সেখান থেকে ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়ে মাকে শঙ্কার কথা জানান তিনি। এরপর সেই ফোনে বারবার যোগাযোগ করলেও আর সংযোগ করতে পারেননি তার মা। কারণ ফোনটি এরপর থেকেই বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনার পর শাহাদতের বাবা ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল মর্গে ছেলের মরদেহ খুঁজেছেন। এ ছাড়া আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও তার সন্ধান পায়নি পরিবার।
শাহাদত প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে করেন জিয়াসমিনকে। এরপর তাদের ঘরে কন্যা সন্তান হয়। এলাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে বেকু (মাটিকাটার যন্ত্র) গাড়ি চালাতেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শাহাদত বিএনপির কর্মী ছিল। তার বাবার ও তার উপার্জনের টাকায় সংসার চলতো। ছেলেটা এলাকাতেও আন্দোলন করেছে। বন্ধুদের ডাকে ঢাকায় আন্দোলনে যোগ দিয়ে নিখোঁজ হয় সে। তার একটি শিশু সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী শিশু সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বর্তমান সরকার যেন নিখোঁজ শাহাদতের সন্ধান দেয় এবং এই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ায়।
নিখোঁজ শাহাদত হোসেনের স্ত্রী জিয়াসমিন বলেন, কাজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন আমার স্বামী। এরপর ঢাকায় গিয়ে আন্দোলনে যোগ দেন। ফোনে আন্দোলনের কথা শোনার পরই ফিরে আসতে বললেও সে আসেনি। সে কি বেঁচে আছে, নাকি মারা গেছে—সেটাও জানতে পারলাম না। কতদিন ধরে তার খোঁজ পাচ্ছি না। এক নজর দেখার ইচ্ছে জাগে, জীবিত বা মৃত মানুষটিকে। আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ কি হবে। মেয়েটা কথা শেখার পর কাকে বাবা বলে ডাকবে।
শাহাদতের মা আসমা খাতুন বলেন, নানার পরিবার বিএনপি সমর্থিত হওয়ায় বিএনপি’র লোকদের সঙ্গেই চলাফেরা করতো শাহাদত। বন্ধুদের সঙ্গে আন্দোলন করেছে এলাকাতে। ৩ আগস্ট কাজের কথা বলে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় শাহাদত। এরপর ৪ আগস্ট বিকেলে অন্য একটি নম্বর থেকে জানায়, সে আন্দোলনের মধ্যে রয়েছে। চতুর্দিকে গোলাগুলি হচ্ছে, অবস্থা ভয়াবহ। মনে হয় ফিরতে পারবে না। ফোনের ওপাশ থেকে অনেক গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। এরপরই ফোন কেটে দেয় সে। এরপর আর তার খোঁজ পাইনি। আমার বাবাকে জীবিত বা মৃত এনে দেন। বাড়িতে এনে যেন একনজর দেখার পর গোসল করিয়ে অন্তত কবর দিতে পারি, তাতে মনকে একটু সান্ত্বনা দিতে পারব।
নিখোঁজ শাহাদতের বাবা আব্দুল হালিম বলেন, তার মায়ের সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়েছে। এরপর ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল মর্গে খুঁজেছি ছেলের সন্ধান পেতে। কত মরদেহ মর্গে পড়েছিল, অথচ সেখানে ছেলের মরদেহ পাইনি। আমার ছেলের সন্ধান চাই। ছেলেকে হারানোর জন্য থানায় জিডি করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু থানা পুলিশ জিডি নিতে রাজি হয়নি, তবে রবিবার নিয়েছে।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভুঁইয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
একতার কণ্ঠঃ ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর ‘বিজয় মিছিলে গিয়ে গুলিতে নিহত’ টাঙ্গাইলের হৃদয়ের লাশ ৪০ দিন পরেও পায়নি তার পরিবার।
মা রেহেনা বেগম এখনও অপেক্ষায় আছেন, জীবিত না ফিরলেও অন্তত শেষবার মৃত ছেলেকে ছুঁয়ে দেখতে চান তিনি।
হৃদয় (২০) টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের আলমনগর মধ্যপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক লাল মিয়ার ছেলে। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর থেকে নিজের লেখাপড়া আর সংসারের খরচ চালাতে গাজীপুরের কোনাবাড়ি এলাকায় অটোরিক্সা চালাতেন হেমনগর ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী হৃদয়।
গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর কোনাবাড়ির কাশিমপুর সড়কের মেট্রো থানার শরীফ মেডিকেলের সামনে থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে হৃদয়ের সঙ্গে তার ভগ্নিপতি ইব্রাহিম ও বন্ধু রবিন ছিলেন।
এই দুজনেরই ভাষ্য, তারা পুলিশের গুলিতে হৃদয়কে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে এবং তার লাশ নিয়ে যেতে দেখেছেন। কিন্তু পরে আর চেষ্টা করেও হাসপাতাল মর্গ বা অন্য কোথাও হৃদয়ের লাশের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরে এ ঘটনার ভিডিও দেখেও স্বজনরা হৃদয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন বলে জানান ইব্রাহিম।
১১ দিন অপেক্ষার পর গত ২৬ অগাস্ট কোনাবাড়ি থানায় ৫৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান হৃদয়ের ভগ্নিপতি ও মামলার বাদী ইব্রাহিম।
হৃদয়ের পরিবার জানায়, হৃদয় ছিলেন দুই বোনের এক ভাই। দুই বোনের অনেক আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। বাবা লাল মিয়া এলাকায় রিকশাভ্যান চালিয়ে পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করতেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে লাল মিয়া আর কাজ করতে পারতেন না।
পরে বাধ্য হয়েই সংসারের খরচ চালাতে মে মাসে লেখাপড়ার পাশাপাশি হৃদয় অটোরিক্সা চালানো শুরু করেন। তখন বাবা-মা এক বোনের বাড়িতে থাকতেন।
আলমনগরে হৃদয়দের বাড়ি গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িটি জরাজীর্ণ। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় মা রেহেনা বেগম। বাড়িতে রাখা ছেলের জামা-কাপড়, খেলাধুলায় পাওয়া বিভিন্ন পুরস্কার হাতে নিয়ে তিনি সারাক্ষণ কাঁদেন আর ছেলের পথ চেয়ে বসে থাকেন। বাবা লাল মিয়াও ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন। তিনি বুঝতে পারছেন না, আগামী দিনে তার সংসারটি কীভাবে চলবে।
হৃদয়ের বাবা লাল মিয়া বলছিলেন, বড় মেয়ের জামাইয়ের একটি ঘরে আমি স্ত্রী নিয়ে থাকি। ছেলে একটি ভাঙাচোরা ঘরে থাকে। ছেলেটা কোনাবাড়িতে অটোরিক্সা চালাতো। ঘটনার দিন লাল মিয়া ছেলেকে বাড়িতে আসতে বলেছিলেন। কিন্তু হৃদয় বলেছিল, ভাইয়ের (বোন জামাই) সঙ্গে যাবো। বাবাডা আর ফিরে এলো না। এখন আমার ছেলের মরদেহ ফেরত চাই।
হৃদয়ের মা রেহেনা বেগম বলেন, আমাদের খাবার ও হৃদয়ের পড়াশুনার খরচ যোগানোর জন্য কোনাবাড়িতে কাজ করতে গেছিল। ১০ হাজার টাকা কিস্তি তুলে ছেলেকে দিয়েছি গাড়ি চালানো শিখতে। ছেলে গাড়ি চালাবে। সেই কিস্তির টাকা এখন কে দেবে? আমার ছেলেডাকে মাইরা ফেলেছে পুলিশ গুলি করে। আমার ছেলের মরদেহ ফেরত দেন আমি দেখবো। আমি তারে ধরতে চাই। আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হৃদয়ের বন্ধু রবিন বলেন, ৫ অগাস্ট বিকালে কোনাবাড়ির কাশিমপুর সড়কের মেট্রো থানার শরীফ মেডিকেলের সামনে থেকে আনন্দ মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে হৃদয়, ইব্রাহিমসহ তারা গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, মেট্রো থানার সামনেই আমরা অবস্থান নিয়েছিলাম। এ সময় পুলিশ আমাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদুনে গ্যাস ও গুলি করে। অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আমরা একপাশে ছিলাম। আর হৃদয় ছিল অন্যপাশে। তখন হৃদয় ভয়ে একটি বাড়ির পাশে লুকিয়ে ছিল। সেখান থেকে পুলিশ তাকে ধরে সড়কে নিয়ে যায় এবং মারধর করে।
রবিন বলছিলেন, আমরা দূর থেকে এইটা দেখছিলাম। ভাবলাম, হয়তো মারধর করে ছেড়ে দিবে। কিন্তু তারা গুলি করে হত্যা করেছে। এ সময় চতুর্দিকে গুলি করা হয়। ভয়ে এগিয়ে যেতে পারিনি। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলাম তার মৃত্যু।
ভেবেছিলাম, পরিবেশ শান্ত হলে তার মরদেহ আনতে যাবো। পরে পুলিশ তার মরদেহ নিয়ে চলে যায়। ওইদিন রাত ১২টার পর যেখানে তাকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে শুধু তার রক্তাক্ত লুঙ্গিটা পাই। তবে পুলিশ মরদেহ নিয়ে কোথায় রেখেছে সেটা আর জানতে পরিনি। পরে আশপাশে খোঁজ-খবর নিতে গেলে কয়েকজনের কাছে সেদিন সেখানকার ঘটনার একটি ভিডিও পান রবিন।
সেই ভিডিও দেখার কথা জানান হৃদয়ের ভগ্নিপতি ইব্রাহিমও। তিনি বলেন, ভিডিওটি আশপাশের বাসা থেকে ধারণা করা হয়েছিল। এরকম ছোট ছোট কয়েকটি ভিডিও দেখার কথা জানান তিনি।
ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মো. হামিদ। তার কোনাবাড়িতে একটি দোকান আছে। মিছিলের আগে হৃদয় সেই দোকানের সামনেই ছিলেন। সঙ্গে তার ভগ্নিপতিকেও দেখেছিলেন হামিদ।
তিনি বলছিলেন, আমি তাকে মিছিলে যেতে বারণ করেছিলাম। তারপরও তারা আনন্দ মিছিলে যোগদান করেছে। বোনের জামাই ইব্রাহিম দূর থেকে দেখেছেন কিভাবে হৃদয়কে গুলি করে মেরেছে পুলিশ। কিন্তু ভয়ে কেউ সামনে যাওয়া সাহস পায়নি।
যারা হত্যা করেছে তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়ে দোকানদার হামিদ বলেন, হৃদয়ের মরদেহ যেন তার পরিবার ফিরে পায়।
কয়েকটি ভিডিওর একটিতে দেখা যায়, ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ এক যুবককে ধরে সড়কের উপর নিয়ে লাঠিপেটা করছে। এরপর তাকে চারদিকে ঘিরে মারধর করছে। চারদিকে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এরমধ্যে হঠাৎ করেই গুলিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন যুবক।
পরে পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে চলে যায়। এরপর আবার চারজন পুলিশ সদস্য সেখানে আসেন। তাদের মধ্যে দুইজন হাত দুইজন পা ধরে তাকে চাংদোলা করে নিয়ে যাচ্ছে।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনজন মিলে যুবকের লাশ টেনে গলির ভিতর নিয়ে যাচ্ছে। তখনও আশপাশে প্রচণ্ড গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এরপর ওই তিনজন তার মরদেহ ফেলে চলে যায়। তার একটু পর আবার দুইজন এসে মরদেহটি গলির আরও ভিতর নিয়ে যাচ্ছে।
হৃদয়ের বোন জিয়াসমিন আক্তার বলেন, ঘটনার দিন বিকালেই মোবাইলে ভাইয়ের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয়। তখন তিনি ভাইকে বাসায় চলে যেতে বলেছিলেন। তখন হৃদয়ের কাছে স্বামী ইব্রাহিমের খোঁজ-খবরও নেন।
এর আধা ঘণ্টা পর ইব্রাহিম স্ত্রী জিয়াসমিনকে মোবাইল করে হৃদয়ের মারা যাওয়ার কথা জানান। তখন জিয়াসমিন আবার হৃদয়ের মোবাইলে ফোন দেন। তখন একজন ফোন ধরে বলেন, মোবাইলটি রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছেন।
জিয়াসমিন আক্তার বলছিলেন, ভাইয়ের আশা ছিল লেখাপড়া করে চাকরি করবে। বাবা-মায়ের মুখে খাবার তুলে দিবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন পুলিশ শেষ করে দিল। যারা ভাইকে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই। দেশ স্বাধীনে যেন শহীদের খাতায় ভাইয়ের নাম থাকে।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এ দেশের শত্রুরা জানে- জামায়াতে ইসলামী ভাঙবে, কিন্তু মচকাবে না। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে না, দেশের স্বার্থ কারো কাছে বিক্রি করতে রাজি হবে না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পিছপা হবে না।
তিনি বলেন- সাড়ে ১৭ বছর বাংলাদেশের জনগণের জীবনে ছিলো দুঃসহ কালোরাত। টানা ১৭ বছর ৬ মাস এই জাতি বন্দিত্বের নিগরে বন্দি ছিল। মানুষের মুখে ছিল তালা, হাতে ছিল হ্যান্ডকাফ, পায়ে ছিল বেরি। এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ ছিল মজলুম এবং রাস্তায় যে ভাইটি ভিক্ষা করতেন তিনিও মজলুম। কারণ ওই সমস্ত ভিক্ষুকদেরকে চাঁদা দিতে হতো গুন্ডাদের কাছে। চাঁদা না দিলে তারা ভিক্ষা করতে পারতেন না। ৩০ টাকার পেঁয়াজ ৩০০ টাকায় কিনতে হতো। এভাবে প্রত্যেকটি মানুষ ছিল জুলুমের শিকার।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার বলবেন, এই সাড়ে ১৭ বছর কীভাবে মিলে। আওয়ামী লীগ তো সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। আসলে তারা সাড়ে ১৭ বছর ছিল। তারা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে লোগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে শ’খানেক মানুষকে তারা হত্যা করেছিল। ফ্যাসিবাদের সূত্রপাত তখনি হয়েছিল।
স্বৈরাচারের পদধ্বনি তখন থেকেই এসেছিল। তারপরে আপনারা দেখেছেন ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসার পরে তারা রাষ্ট্রের গর্বিত প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীকে আঘাত দিয়েছিল।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পিলখানার সদর দপ্তরে ৫৪ জন চৌকস দেশপ্রেমিক সামরিক অফিসারকে হত্যা করেছে। পরিবারের মহিলা সদস্যদের নির্যাতন, লাঞ্ছিত করেছে। তারপর তাদের হত্যা করে ড্রেনে ভাসিয়ে দিয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি। অথচ সে সময়ে সেনাবাহিনীর কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, সেনাবাহিনীদের দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে আরেকটি গর্ভের বাহিনী সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরি বিডিআরকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের ১৫ হাজার সদস্যের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ৫০০ মানুষ তারা নিহত হয়েছে। কুচক্রকারীদের কারণে চক্রান্তে এসব মানুষদের বলি দিতে হয়েছে।
শেখ হাসিনার আমলের নির্যাতনের ভয়াবহতা বর্ণনা তুলে ধরে তিনি বলেন- তাদের আমলে ঘরে ঘরে হাহাকার, আমি অনেক যুবককে জেলে দেখেছি, বিয়ে করে ছয় মাসের মাথায় গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। তার স্ত্রী ১, ২ ও ৩ বছর অপেক্ষা করেছে। জেলের ভেতর থেকে বলে দিয়েছে তুমি আর আমার জন্য অপেক্ষা করো না। তুমি মুক্ত, তুমি চলে যাও, তোমার একটা জীবন আছে। আমি কোন দিন মুক্তি পাব জানি না। ঘরে ঘরে হাহাকার। এরপরই তারা আঘাতটা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর। দেশপ্রমিক এই পরীক্ষিত শক্তির ওপর। এ দেশের শত্রুরা জানে- জামায়াতে ইসলামী ভাঙবে, কিন্তু মচকাবে না।
মতবিনিময় সভায় টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের আমির আহসান হাবিব মাসুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, টাঙ্গাইল শহর শাখার সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
এসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেলার সমন্বয়ক, নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা দলে দলে মিছিল নিয়ে সভাস্থল টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে সমবেত হন। পরে বিকালে সভাপতির বক্তব্য প্রদানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
একতার কন্ঠঃ কয়েক দিন ধরে চলা টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত টাঙ্গাইলের জনজীবন। তবে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টি গত কয়েক দিনকে ছাড়িয়ে গেছে। এদিন সকাল থেকে চলা অবিরাম বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শহরবাসী। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পরেছে জেলার শ্রমজীবী মানুষেরা। অফিসগামী সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগও অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। বৃষ্টির এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে, তার দিন গুণছে মানুষ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি স্থল গভীর নিম্নচাপ হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশজুড়ে চলমান বৃষ্টি আগামী তিন দিনও অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, স্থল গভীর নিম্নচাপটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। পাশাপাশি মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গভীর স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই সঙ্গে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়েও দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে।
বর্ধিত ৫ দিনে আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।