টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র মুক্তির জামিন বিষয়ে রুল খারিজ


০৭:১৫ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২
টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র মুক্তির জামিন বিষয়ে রুল খারিজ - Ekotar Kantho

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।

20230826-141431

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ জানান, আসামি সহিদুর ছয় বছর পলাতক ছিলেন। আর বিচারিক আদালতে মামলাটির বিচারকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তাই এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আদালত তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলটি খারিজ করে দিয়েছেন।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুই জনকে গ্রেফতার করে। আদালতে এ দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

এদিকে দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান মুক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ গত ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তিকে জামিন দেন। কিন্তু ২৮ ফেব্রুয়ারি তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বাতিল করা হয়। এরপর মুক্তি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

পরে ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল ওই মামলায় মুক্তিকে জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে আপিল বিভাগ রুলটি নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে সময় বেধে দেন। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে রুলটি খারিজ করলেন হাইকোর্ট।

প্রসঙ্গত, আসামি রানা ও মুক্তির বাবা আতাউর রহমান খান টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য।


পাঠকের মতামত

-মন্তব্য সমূহ পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজটি শেয়ার করুন

কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।