একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের(বিসিবি) বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টের চেয়ারম্যান ওবায়েদ নিজাম। এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর হাসান টিটু, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গ্রান্ডস কমিটির ম্যানেজার আব্দুল বাতেন ও সাবেক জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাইফুল ইসলাম।
এর আগে শুক্রবার( ৪ মার্চ) সকালে হেলিকপ্টার যোগে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে অবতরন করলে টাঙ্গাইল ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টু তাঁদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সম্পাদক মাতিনুজ্জামান সুখন ও ইফতেখারুল অনুপম ও টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ মোঃ আরাফাত রহমান।
ওবায়েদ নিজাম টাঙ্গাইল স্টেডিয়াম পরিদর্শন কালে বলেন, তিনি মাঠ ও মাঠের সুবিধা নিয়ে সন্তুষ্ট, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচে আয়োজন বড় বাঁধা টাঙ্গাইল শহরে ভালো মানের একটা পাঁচতারা হোটেল নেই। তারপরও তিনি আশাবাদী টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের।
তিনি আরো বলেন, দ্রুততম সময়ে টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামকে আর্ন্তজাতিক মানের স্টেডিয়ায় করার জন্য যা দরকার তা পূরণ করা হবে। তিনি টাঙ্গাইল ক্রিকেট দলের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সফলতার জন্য অভিনন্দন জানান।
একতার কণ্ঠঃ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার আগের আলোচনাটা ছিল একেবারেই স্পিন–কেন্দ্রিক। আফগানদের তিন স্পিনার নিয়েই ছিল বাংলাদেশ দলের যত পরিকল্পনা সিরিজের আগে দুই দিনের অনুশীলনে স্পিনারদের বিপক্ষেই বেশি ব্যাটিং করে সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা।
কিন্তু বুধবার (২৩ ফেব্রয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ হলো ঠিক উল্টোটা। আফগান–স্পিন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই বাংলাদেশ দলের ওপরের সারির ছয় ব্যাটসম্যান আউট! ২৮ রান তুলতেই প্রথম ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেটি ৪৫ রানে ৬ উইকেট হতে বেশি সময় লাগেনি। আফগানদের ছুঁড়ে দেওয়া ২১৬ রানের লক্ষ্যটা তখন অসম্ভবই মনে হচ্ছিল।
ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে উঠে দাঁড়ানোর অনেক গল্প আছে। আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গল্পটাও ঠিক তেমনই। ওপরের সারির ছন্দে থাকা ব্যাটসম্যানরা যখন ড্রেসিংরুমে, তখন সপ্তম উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ ঘুরে দাঁড়ালেন। সেটিও কী দারুণভাবে! ব্যাটিংয়ের কর্তৃত্ব, শৈল্পিক দিক, চোখের আনন্দ—সবই ছিল দুজনের জুটিতে।
কিন্তু ম্যাচের অবস্থা আফিফ-মিরাজদের ব্যাটিং দক্ষতার বাইরেও চাপের মুখে পারফর্ম করার পরীক্ষা নিচ্ছিল। মুজিব-রশিদদের কতক্ষণ সামলে খেলতে পারেন দুজন? ধরে খেলতে গিয়ে রান রেট যদি বেড়ে যায়? পাল্টা আক্রমণে আবার আউটের ঝুঁকিও থাকে। দুজনের মধ্যে একজন আউট হলেই বাংলাদেশ দলের নড়বড়ে লোয়ার অর্ডারের দুয়ার খুলে যাবে। ঝুঁকির অলিগলি পেরিয়ে কীভাবে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় এসব ভাবনার ঝড় নিশ্চয়ই ছিল দুজনের মস্তিস্কে বয়ে যাচ্ছিল।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
তবে সেটি মাঠে করে দেখানো চাট্টিখানি কথা না। তখনো প্রতিপক্ষের তিন মূল বোলারের ৩০ ওভার শেষ হওয়া বাকি। ম্যাচের এমন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পক্ষে বাজি ধরার পক্ষে আশাবাদী লোক সহজে খুঁজে পাওয়ার কথা না। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বশেষ সিরিজে আফিফ ছোট ছোট ইনিংসে দেখিয়েছিলেন তাঁর সামর্থ্যের ঝিলিক। কিন্তু এর আগে ৮ ওয়ানডে খেলে আফিফের ছিল না কোনো ওয়ানডে অর্ধশতক। মিরাজের সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংসটি এসেছিল ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি না করেই অজেয় আফিফ
আজ সেই আফিফই হয়ে উঠলেন ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান। উইকেটের চারপাশে রান করে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরালেন ম্যাচের ভাগ্য। আক্রমণের সঙ্গে রক্ষণের দুর্দান্ত মিশেল দেখিয়ে দিলেন নিজের ওয়ানডে সামর্থ্য। মিরাজ ছিলেন তাঁরই আদর্শ সঙ্গী। পয়েন্ট ফিল্ডারের ঘুম হারাম করে কাট শটের নানা পদ দেখিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। পুল শটেও খুঁজে পেয়েছেন বাউন্ডারি।
আফিফের সঙ্গে ১৭৪ রানের জুটি গড়লেন মিরাজ
দুজনের এক-দুই রান নেওয়ার ক্ষেত্রে বোঝাপড়া ছিল এক কথায় দুর্দান্ত। কদিন আগেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে বিপিএলে খেলেছেন দুজন। কে জানে, বোঝাপড়াটা হয়তো সেখান থেকেই শুরু! সপ্তম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড ১৭৪ রানের অপরাজিত জুটি সেটারই প্রমান। তাতে বাংলাদেশ দলও সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
সংবাদ সূত্র-প্রথম-আলো
একতার কণ্ঠঃ ইয়াং টাইগার্স অনুর্ধ্ব-১৬ জোনাল ক্রিকেটে সেন্টাল জোনের প্রথম সেমিফাইনালে মুন্সিগঞ্জ জেলা দলকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে টুর্ণামেন্টের ফাইনালে উঠেছে টাঙ্গাইল জেলা অনুর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দল।
বৃহস্পতিবার(১৭ ফেব্রয়ারি) গোপালগঞ্জ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ৫০ ওভারের এই খেলায় টাঙ্গাইল জেলা দলের স্পিনারদের কাছে মুন্সিগঞ্জ জেলা দলের কোন ব্যাটসম্যান দাঁড়াতেই পারেনি। শুধুমাত্র মুন্সিগঞ্জ দলের ওপেনার শাহিনুল ইসলাম ৫৫ বলে ৩১ রান করতে সমর্থ হয়। টাঙ্গাইলের স্পিন দাপটে মাত্র ৩৩ ওভারে ১০৭ রানে থেমে যায় মুন্সিগঞ্জ জেলা দল। খেলায় টাঙ্গালের বাহাতি অফ স্পিনার রাদিল ৫ উইকেট ও খন্দকার তুহিন ৩ উইকেট লাভ করে।
সকালে টসে জিতে মুন্সিগঞ্জ জেলা দল টাঙ্গাইল জেলা দলকে ফিল্ডিং এর আমন্ত্রন জানায় । টাঙ্গাইল জেলা দলের পেসাররা সকালের বাতাসের আর্দ্রতার সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা দলের স্কোর দাড়ায় ১০ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ৪৮ রান।
এর পর টাঙ্গাইল জেলা দল স্পিন আক্রমন শুরু করে। প্রথম দিকে টাঙ্গাইল দলের স্পিনাররা সাফল্য পাচ্ছিল না। ফলে ২৩ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা দলের রান গিয়ে দাড়ায় ৭৯।
এর পর টাঙ্গাইল জেলা দলের তুরুপের তাস দুই স্পিনার রাদিল ও খন্দকার তুহিন ঝলসে উঠে। রাদিল ৯ ওভার বল করে একটি মেডেন সহ মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৫টি উইকেট লাভ করে। অপর প্রান্তে আরেক স্পিনার খন্দকার তুহিন মাত্র ৭ ওভার ৫ বল করে চারটি মেডেন সহ ১৩ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট শিকার করে। এ পর্যায়ে মুন্সিগঞ্জ মাত্র ৩৩ ওভার খেলে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান করতে সক্ষম হয়।
১০৮ রানের জয়ের র্টাগেটে খেলতে নেমে টাঙ্গাইল জেলা দলের দুই ওপেনার ফাইয়াজ হাসান বাঁধন এবং মেহেদি হাসান ভালোই সামাল দেয় মুন্সিগঞ্জ জেলা দলের পেস বোলিং আক্রমণ।দলের রান যখন ৪৩ তখন ওপেনার বাঁধন রান আউটের শিকার হয়।
এর পর মধ্যাহ্ন বিরতির পর খেলা শুরু হলে টাঙ্গাইল জেলা দল অল্প সময়ের ব্যবধানে আরো দুইটি উইকেট হারায়। টাঙ্গাইল জেলা দলের তৃতীয় উইকেট জুটি রিফাত বেগ ও মুনতাসির রহমানের দৃঢ় ব্যাটিং এর ফলে আর কোন উইকেট না হারিয়েই টাঙ্গাইল জেলা দল জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
রিফাত বেগ ৩৮ বলে ২৪ রান ও মুনতাসির রহমান ২৪ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকে। খেলায় টাঙ্গাইল জেলা দল ৭ উইকেটের বিশাল জয় লাভ করে।
খেলায় ম্যান অব দি ম্যাচ নির্বাচিত হন টাঙ্গাইল জেলা দলের বাহাতি অফ স্পিনার রাদিল।
টাঙ্গাইল জেলা অনুর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দলের খেলোয়ার গন হচ্ছেনঃ দেবাশিষ সরকার(অধিনায়ক) সামিউল সানমুন(উইকেট রক্ষক) রিফাত বেগ, মেহেদি হাসান, ফাইয়াজ আহমেদ বাঁধন, খন্দকার তুহিন, রাদিল, মুনতাসির রহমান, আবিদ মিঞা, আমির হামজা ও ইমরুল হাসান।
টাঙ্গাইল জেলা দলের ম্যানেজারে দায়িত্বে আছেন. জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ভ্রমর চন্দ ঘোষ ঝোটন। আর কোচের দায়িত্ব পালন করছেন বিসিবি নিয়োজিত টাঙ্গাইল জেলা দলের ক্রিকেট কোচ মোঃ আরাফাত রহমান।
টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টু শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকে টাঙ্গাইল জেলা দলের খেলা উপভোগ করেন।
প্রকাশ, শুক্রবার(১৮ ফেব্রয়ারি) ময়মনসিংহ জেলা দল ও ফরিদপুর জেলা দলের মধ্যে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বিজয়ী দলের সাথে ,আগামী রোববার(২০ফেব্রয়ারি) গোপালগঞ্জ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টাঙ্গাইল জেলা দলের সাথে টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
একতার কণ্ঠঃ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মেগা নিলামের পর্দা নেমেছে। রোববার (১৩ ফেব্রয়ারি) ব্যাঙ্গালুরুতে দুই দিনব্যাপী আইপিএল নিলাম শেষ হয়।
নিলাম থেকে মোট ২০৪ জন ক্রিকেটার দল পেয়েছেন। এর মধ্যে ৬৭ জন খেলোয়াড় ডাক পেয়েছেন বিদেশি কোটায়।
এবারের নিলামে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো মোট ৫৫১ কোটি ৭০ লাখ রুপি খরচ করেছে। সবচেয়ে বেশি ১৫ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে বিক্রি হয়েছেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ঈশান কিষাণ। ভারতীয় ব্যাটারকে কিনেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ কোটি রুপিতে পেসার দীপক চাহারকে কিনেছে চেন্নাই সুপার কিংস। এছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ ১২ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে ভারতীয় ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ারকে কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে পাঞ্জাব কিংসে গেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোন। বিদেশিদের মধ্যে লঙ্কান অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে কিনেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এছাড়া একই মূল্যে ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নিকোলাস পুরানকে কিনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিক্রি হওয়া ১০ দলের স্কোয়াড (মূল্য ভারতীয় রুপিতে)।
চেন্নাই সুপার কিংস
আগের ধরে রাখা: মহেন্দ্র সিং ধোনি (১২ কোটি), রবীন্দ্র জাদেজা (১৬ কোটি), মইন আলি (৮ কোটি), রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৬ কোটি)।
নিলামে: তুষার দেশপান্ডে (২০ লাখ), আম্বাতি রায়াড়ু (৬ কোটি ৭৫ লাখ), দীপক চাহার (১৪ কোটি), কেএম আসিফ (২০ লাখ), ডোয়াইন ব্র্যাভো (৪ কোটি ৪০ লাখ), রবীন উথাপ্পা (২ কোটি), কে ভগত বর্মা (২০ লাখ), ক্রিস জর্ডান (৩ কোটি ৬০ লাখ), এন জগদীশান (২০ লাখ), হরি নিশান্ত (২০ লাখ), প্রশান্ত সোলাঙ্কি (১ কোটি ২০ লাখ), মুকেশ চৌধুরী (২০ লাখ), শুভ্রাংশু সেনাপতি (২০ লাখ), অ্যাডাম মিলিন (১ কোটি ৯০ লাখ), মিচেল স্যান্টনার (১ কোটি ৯০ লাখ), ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস (৫০ লাখ), ডেভন কনওয়ে (১ কোটি), সমরজিত সিং (২০ লাখ), রাজবর্ধন হাঙ্গার্গেকার (১ কোটি ৫০ লাখ), মহিশ থিকসানা (৭০ লাখ), শিবাম দুবে (৪ কোটি)।
দিল্লি ক্যাপিটালস
আগের ধরে রাখা: রিশাভ পান্ত (১৬ কোটি), আকসার প্যাটেল (৯ কোটি), পৃথ্বী শ (৭ কোটি ৫০ লাখ), আনরিক নরকিয়া (৬ কোটি ৫০ লাখ)।
নিলামে: শার্দুল ঠাকুর (১০ কোটি ৭৫ লাখ), মিচেল মার্শ (৬ কোটি ৫০ লাখ), মুস্তাফিজুর রহমান (২ কোটি), কেএস ভরত (২ কোটি), ডেভিড ওয়ার্নার (৬ কোটি ২৬ লাখ), কুলদীপ যাদব (২ কোটি), অশ্বিন হেব্বার (২০ লাখ), কমলেশ নাগারকোটি (১ কোটি ১০ লাখ), সরফরাজ খান (২০ লাখ), ভিকি ওস্তওয়াল (২০ লাখ), টিম সেফার্ত (৫০ লাখ), লুঙ্গি এনগিড়ি (৫০ লাখ), প্রবীণ দুবে (৫০ লাখ), রোভম্যান পাওয়েল (২ কোটি ৮০ লাখ), যশ ধুল (৫০ লাখ), রিপল প্যাটেল (২০ লাখ), ললিত যাদব (৬৫ লাখ), চেতন সাকারিয়া (৪ কোটি ২০ লাখ), খলিল আহমেদ (৫ কোটি ২৫ লাখ), মনদীপ সিং (১ কোটি ১০ লাখ)।
গুজরাট টাইটানস
আগের ধরে রাখা: হার্দিক পান্ডিয়া (১৫ কোটি), রশিদ খান (১৫ কোটি), শুবমান গিল (৮ কোটি।
নিলামে: নূর আহমেদ (৩০ লাখ), জেসন রয় (২ কোটি), মোহাম্মদ শামি (৬ কোটি ২৫ লাখ), রাহুল তেওয়াটিয়া (৯ কোটি), অভিনব সাদারঙ্গানি (২ কোটি ৬০ লাখ), লকি ফার্গুসন (১০ কোটি), আর সাই কিশোর (৩ কোটি), বরুণ অ্যারন (৫০ লাখ), গুরকিরাত সিং (৫০ লাখ), ম্যাথিউ ওয়েড (২ কোটি ৪০ লাখ), ঋদ্ধিমান সাহা (১ কোটি ৯০ লাখ), ডেভিড মিলার (৩ কোটি), প্রদীপ সাঙ্গওয়ান (২০ লাখ), আলজারি জোসেফ (২ কোটি ৪০ লাখ), যশ দয়াল (৩ কোটি ২০ লাখ), দর্শন নালকান্ডে (২০ লাখ), বিজয় শঙ্কর (১ কোটি ৪০ লাখ), জয়ন্ত যাদব (১ কোটি ৭০ লাখ), ডমিনিক ড্রেকস (১ কোটি ১০ লাখ)।
কলকাতা নাইট রাইডার্স
আগের ধরে রাখা: আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি), বরুন চক্রবর্তি (৮ কোটি), ভেঙ্কাটেশ আইয়ার (৮ কোটি), সুনিল নারাইন (৬ কোটি)।
নিলামে: শিবম মাভি (৭ কোটি ২৫ লাখ), শেল্ডন জ্যাকসন (৬০ লাখ), প্যাট কামিন্স (৭ কোটি ২৫ লাখ), শ্রেয়াস আয়ার (১২ কোটি ২৫ লাখ), নীতিশ রানা (৮ কোটি), আমান খান (২০ লাখ), উমেশ যাদব (২ কোটি), মোহম্মাদ নবি (১ কোটি), রমেশ কুমার (২০ লাখ), টিম সাউদি (১ কোটি ৫০ লাখ), অ্যালেক্স হেলস (১ কোটি ৫০ লাখ), স্যাম বিলিংস (২ কোটি), অশোক শর্মা (২০ লাখ), প্রথম সিং (২০ লাখ), অভিজিৎ তোমর (২০ লাখ), চামিকা করুণারত্নে (৫০ লাখ), বাবা ইন্দ্রজিত (২০ লাখ), রসিখ দার (২০ লাখ), অনুকুল রায় (২০ লাখ), রিঙ্কু সিং (৫৫ লাখ), আজিঙ্কা রাহানে (১ কোটি)।
লখনউ সুপার জায়ান্টস
আগের ধরে রাখা: লোকেশ রাহুল (১৭ কোটি), মার্কাস স্টয়নিস (৯ কোটি ২০ লাখ), রবি বিষ্ণই (৪ কোটি)
নিলামে: আবেশ খান (১০ কোটি), কুইন্টন ডি’কক (৬ কোটি ৭৫ লাখ), মার্ক উড (৭ কোটি ৫০ লাখ), মণীশ পান্ডে (৪ কোটি ৬০ লাখ), জেসন হোল্ডার (৮ কোটি ৭৫ লাখ), দীপক হুডা (৫ কোটি ৭৫ লাখ), ক্রুণাল পান্ডিয়া (৮ কোটি ২৫ লাখ), অঙ্কিত রাজপুত (৫০ লাখ), মায়াঙ্ক যাদব (২০ লাখ), এভিন লুইস (২ কোটি), করণ শর্মা (২০ লাখ), কাইল মায়ের্স (৫০ লাখ), আয়ূস বাদোনি (২০ লাখ), মহসিন খান (২০ লাখ), মনন ভোরা (২০ লাখ), শাহবাজ নদিম (৫০ লাখ), দুশমন্ত চামিরা (২ কোটি), কৃষ্ণাপ্পা গৌতম (৯০ লাখ)।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
আগের ধরে রাখা: রোহিত শর্মা (১৬ কোটি), জাসপ্রিত বুমরাহ (১২ কোটি), সূর্যকুমার যাদব (৮ কোটি), কাইরন পোলার্ড (৬ কোটি)।
নিলামে: বাসিল থাম্পি (৩০ লাখ), মুরুগান অশ্বিন (১ কোটি ৬০ লাখ), ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (৩ কোটি), ইশান কিষাণ (১৫ কোটি ২৫ লাখ), ফ্যাবিয়ান অ্যালেন (৭৫ লাখ), আরিয়ান জুয়াল (২০ লাখ), অর্জুন তেন্ডুলকার (৩০ লাখ), হৃত্বিক শোকিন (২০ লাখ), রাহুল বুদ্ধি (২০ লাখ), রমনদীপ সিং (২০ লাখ), আনমোলপ্রীত সিং (২০ লাখ), মোহাম্মাদ আরশাদ (২০ লাখ), রিলি মেরেডিথ (১ কোটি), টিম ডেভিড (৮ কোটি ২৫ লাখ), টাইমাল মিলস (১ কোটি ৫০ লাখ), ড্যানিয়েল স্যামস (২ কোটি ৬০ লাখ), জোফ্রা আর্চার (৮ কোটি), সঞ্জয় যাদব (৫০ লাখ), তিলক বর্মা (১ কোটি ৭০ লাখ), মায়াঙ্ক মার্কান্ডে (৬৫ লাখ), জয়দেব উনাদকাট (১ কোটি ৩০ লাখ)।
পাঞ্জাব কিংস
আগের ধরে রাখা: মায়াঙ্ক আগারওয়াল (১৪ কোটি), আর্শদিপ সিং (৪ কোটি)।
নিলামে: জিতেশ শর্মা (২০ লাখ), শাহরুখ খান (৯ কোটি), জনি বেয়ারস্টো (৬ কোটি ৭৫ লাখ), হরপ্রীত ব্রার (৩ কোটি ৮০ লাখ), শিখর ধাওয়ান (৮ কোটি ২৫ লাখ), ইশান পোড়েল (২৫ লাখ), কাগিসো রাবাদা (৯ কোটি ২৫ লাখ), রাহুল চাহার (৫ কোটি ২৫ লাখ), প্রবসিমরন সিং (৬০ লাখ), বেনি হাওয়েল (৪০ লাখ), ভানুকা রাজাপাক্ষে (৫০ লাখ), অথর্ব টাইডে (২০ লাখ), ন্যাথান এলিস (৭৫ লাখ), অংশ প্যাটেল (২০ লাখ), বলতেজ ধান্ধা (২০ লাখ), ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় (২০ লাখ), বৈভব আরোরা (২ কোটি), প্রেরক মানকাড় (২০ লাখ), ঋষি ধাওয়ান (৫৫ লাখ), রাজ বাওয়া (২ কোটি), সন্দীপ শর্মা (৫০ লাখ), ওডিন স্মিথ (৬ কোটি), লিয়াম লিভিংস্টোন (১১ কোটি ৫০ লাখ)।
রাজস্থান রয়্যালস
আগের ধরে রাখা: সাঞ্জু স্যামসন (১৪ কোটি), জশ বাটলার (১০ কোটি), যাশাসবি জয়সওয়াল (৪ কোটি)।
নিলামে: কেসি কারিয়াপ্পা (৩০ লাখ), রিয়ান পরাগ (৩ কোটি ৮০ লাখ), ট্রেন্ট বোল্ট (৮ কোটি), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৫ কোটি), যুজবেন্দ্র চাহাল (৬ কোটি ৫০ লাখ), শিমরন হেটমায়ার (৮ কোটি ৫০ লাখ), প্রসিধ কৃষ্ণা (১০ কোটি), দেবদূত পাডিক্কাল (৭ কোটি ৭৫ লাখ), ডারিল মিচেল (৭৫ লাখ), রাসি ভ্যান ডার দাসেন (১ কোটি), ন্যাথান কুল্টার-নাইল (২ কোটি), জিমি নিশাম (১ কোটি ৫০ লাখ), শুভম গারওয়াল (২০ লাখ), কুলদীপ যাদব (২০ লাখ), তেজস বরোকা (২০ লাখ), ধ্রুব জুরেল (২০ লাখ), করুন নায়ার (১ কোটি ৪০ লাখ), কুলদীপ সেন (২০ লাখ), অরুনয় সিং (২০ লাখ), ওবেদ ম্যাককয় (৭৫ লাখ), নভদীপ সাইনি (২ কোটি ৬০ লাখ)।
রয়্যাল চালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু
আগের ধরে রাখা: বিরাট কোহলি (১৫ কোটি), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১১ কোটি), মোহাম্মদ সিরাজ (৭ কোটি)।
নিলামে: ফ্যাফ ডু’প্লেসি (৭ কোটি), অনূজ রাওয়াত (৩ কোটি ৪০ লাখ), জোস হ্যাজেলউড (৭ কোটি ৭৫ লাখ), আকাশ দীপ (২০ লাখ), শাহবাজ আহমেদ (২ কোটি ৪০ লাখ), দীনেশ কার্তিক (৫ কোটি ৫০ লাখ), হার্ষাল প্যাটেল (১০ কোটি ৭৫ লাখ), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (১০ কোটি ৭৫ লাখ), ডেভিড উইলি (২ কোটি), লুবনিথ সিসোদিয়া (২০ লাখ), সিদ্ধার্থ কাউল (৭৫ লাখ), করন শর্মা (৫০ লাখ), অন্নেশ্বর গৌতম (২০ লাখ), চামা মিলিন্দ (২৫ লাখ), জেসন বেহরেনডার্ফ (৭৫ লাখ), শেরফান রাদারফোর্ড (১ কোটি), ফিন অ্যালেন (৮০ লাখ), মহিপাল লোমরোর (৯৫ লাখ)।
সানরাইজার্স হায়দারাবাদ
আগের ধরে রাখা: কেন উইলিয়ামসন (১৪ কোটি), আব্দুল সামাদ (৪ কোটি), উমরান মালিক (৪ কোটি)।
নিলামে: নিকোলাস পুরান (১০ কোটি ৭৫ লাখ), জগদীশা সূচিত (২০ লাখ), শ্রেয়াস গোপাল (৭৫ লাখ), কার্তিক তিয়াগী (৪ কোটি), ওয়াশিংটন সুন্দর (৮ কোটি ৭৫ লাখ), ভুবনেশ্বর কুমার (৪ কোটি ২০ লাখ), টি নটরাজন (৪ কোটি), প্রিয়ম গর্গ (২০ লাখ), অভিষেক শর্মা (৬ কোটি ৫০ লাখ), রাহুল ত্রিপাঠী (৮ কোটি ৫০ লাখ), ফজলহক ফারুকি (৫০ লাখ), গ্লেন ফিলিপস (১ কোটি ৫০ লাখ), বিষ্ণু বিনোদ (৫০ লাখ), সৌরভ দুবে (২০ লাখ), শশাঙ্ক সিং (২০ লাখ), আর সামর্থ (২০ লাখ), সিয়ান অ্যাবট (২ কোটি ৪০ লাখ), রোমারিও শেফার্ড (৭ কোটি ৭৫ লাখ), মারকো জানসেন (৪ কোটি ২০ লাখ), এডেন মার্করাম (২ কোটি ৬০ লাখ)।
সংবাদ সূত্র- বাংলা-নিউজ-২৪.কম
একতার কণ্ঠঃ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে আফগানিস্তান দল। শুক্রবার (১১ ফেব্রয়ারি) রাতে বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর কন্ডিশনিং ক্যাম্পের জন্য সিলেটে অবস্থান করছে আফগানিস্তান বহর।সিরিজ দুটি উপলক্ষে সোমবার (১৪ ফেব্রয়ারি) দুপুরে আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
ওয়ানডে সিরিজের জন্য দুজনকে রিজার্ভে রেখে হাশমতউল্লাহ শহিদিকে অধিনায়ক করে ১৬ সদস্যের দল দিয়েছে এসিবি। দলে আছেন মুজিব উর রহমান ও রশিদ খানের মতো অন্যতম তারকা।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য অধিনায়ক করা হয়েছে অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীকে। সেখানেও ১৬ সদস্যের দল দিয়েছে এসিবি। তবে রিজার্ভ নেই।
একনজরে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল
ওয়ানডে দল
হাশমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), রহমত শাহ (সহ-অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ফরিদ মালিক, ফজল হক ফারুকি, গুলবদীন নাঈব, ইব্রাহিম জাদরান, ইকরাম আলী খিল, মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান, নাজিবউল্লাহ জাদরান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রশিদ খান, রিয়াজ হাসান, শহিদউল্লাহ কামাল ও ইয়ামিন আহমেদজাই।
রিজার্ভ: কায়েস আহমেদ ও সেলিফ সাফি।
টি-টোয়েন্টি দল
মোহাম্মদ নবী (অধিনায়ক), আফসার জাজাই, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, দারউইশ রাসুলি, ফরিদ আহমেদ মালিক, ফজল হক ফারুকি, হযরতউল্লাহ জাজাই, করিম জানাত, মুজিব উর রহমান, নাজিবউল্লাহ জাদরান, নিজাত মাসিদ, কাইস আহমেদ, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রশিদ খান, শরাফুদ্দিন আশরাফ ও উসমান ঘানি।
ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে ২৩ ফেব্রুয়ারিতে। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি হবে ৩ মার্চে ঢাকায় মিরপুরে।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)আয়োজিত ইয়াং টাইগার্স অনূর্ধ্ব-১৬ জোনাল ক্রিকেটের সেন্টাল জোনের কিশোরগঞ্জ ভেন্যুতে টাঙ্গাইল জেলা দল তাদের প্রথম ম্যাচেই বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে। টাঙ্গাইল জেলা দল মানিকগঞ্জ জেলা দলকে ১৩৯ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
সোমবার (৭ ফেব্রয়ারি) সকালে কিশোরগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামে টাঙ্গাইল জেলা দলের অধিনায়ক দেবাশিষ সরকার সকালে টসে জয় লাভ করে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘন কুয়াশার কারনে নির্ধারিত ৫০ ওভারের খেলা কমিয়ে ৪২ ওভারে নির্ধারন করা হয়। টাঙ্গাইল জেলা দল নির্ধারিত ৪২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান করেন।
টাঙ্গাইল জেলা দলের পক্ষে রিফাত ১০৬ বল খেলে ৮২ রান করে রান আউটের শিকার হয়। একই দলের অধিনায়ক দেবাশিস ৯৩ বলে ৮১ রান করে অপরাজিত থাকে।
জবাবে, ২০৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে টাঙ্গাইল জেলা দলের বোলিং তোপের মুখে পরে মানিকগঞ্জ জেলা অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দল ৩৪ ওভার ১ বল খেলে মাত্র ৬৯ রানে গুটিয়ে যায়।
টাঙ্গাইল জেলা দলের পক্ষে রাদিল ৮ ওভার বল করে ৪টি মেডেন সহ মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট দখল করে। অপরদিকে একই দলের অপর বোলার মুনতাসির ৮ ওভার বল করে ২ টি মেডেন সহ ১৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট শিকার করে। ফলে টাঙ্গাইল জেলা দল তাদের প্রথম ম্যাচে অনায়াসে ১৩৯ রানের ব্যবধানে জয় লাভ করে।
খেলায় ম্যান অব দি ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন টাঙ্গাইল জেলা দলের ব্যাটসম্যান রিফাত বেগ।
টাঙ্গাইল জেলা অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দলের খেলোয়ারগণ হচ্ছেঃ- দেবাশিস(অধিনায়ক) সামিউল(উইকেট রক্ষক) আবিদ, বাঁধন, রিফাত, হামজা, সাবিবুর, ইমরুল, মাহাদি, মুনতাসির, ও রাদিল।
টাঙ্গাইল জেলা দলের কোচ হিসেবে আছেন কামরুল ইসলাম ও ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ভ্রমর চন্দ্র ঘোষ ঝোটন।সহকারি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মানুনুর রশিদ মামুন ।
টাঙ্গাইল জেলা অনূর্ধ্ব -১৬ ক্রিকেট দলের সার্বিক দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড( বিসিবি) নিয়োজিত টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ মো. আরাফাত রহমান।
প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল জেলা গ্রুপ পর্বের ম্যাচে আগামী বুধবার(৯ ফেব্রয়ারি) রাজবাড়ী জেলা দল ও শনিবার(১২ ফেব্রয়ারি) শরিয়তপুর জেলা দলের বিপক্ষে কিশোরগঞ্জ ভেন্যুতে খেলবে।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি) আয়োজিত শেখ কামাল অনুর্ধ্ব-১৮ জোনাল ক্রিকেটের সেন্টাল জোনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টাঙ্গাইল জেলা দল।
বৃহস্পতিবার(৩ ফেব্রয়ারি) টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় ঢাকা জেলা দলকে ৫০ রানে হারিয়ে পর পর দুই বার চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে টাঙ্গাইল জেলা অনুর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট দল।
ইতিপূর্বে এ বছরের ৯ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা অনুর্ধ্ব-১৪ ক্রিকেট দল ময়মনসিংহ জেলা দলকে ২৮ রানে হারিয়ে হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরর অর্জন করে।
বৃহস্পতিবার(৩ ফেব্রয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রথমে টসে জিতে টাঙ্গাইল জেলা দল ব্যাটিং করে ৪৯ ওভার ৪ বল খেলে সব কটি উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান করে। টাঙ্গাইল জেলা দলের পক্ষে অল-রাউন্ডার রিফাত-আল-জাবির সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন। এছাড়া অলরাউন্ডার ফেরদৌস হাসান লিমন ৩৫, মাইন হোসেন সরকার ২৭ ও রিজান হোসেন ২১ রান করে। ঢাকা জেলা ক্রিকেট দলের পক্ষে বোলার তুষার ও সোহাগ যথাক্রমে ৩৪ ও ৪১ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট দখল করে।
জবাবে ২০৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা জেলা ৪১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান করার পর বৃষ্টি শুরু হলে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে বৃষ্টি আইনে টাঙ্গাইল জেলা দলকে ৫০ রানে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়। ঢাকা জেলা দলের পক্ষে ব্যাটসম্যান লৌকিক সর্বোচ্চ ৩৩ ও আদিল বক্স ২৭ রান করে। টাঙ্গাইল জেলা দলের পক্ষে অলরাউন্ডার রিজান হোসেন ২২ রানে ২টি উইকেট দখল করে।
টাঙ্গাইল জেলা দলের ফেরদৌস হাসান লিমন ম্যান অব দ্যা ফাইনাল নির্বাচিত হয়।
টাঙ্গাইল জেলা অনুর্ধ্ব-১৮ ক্রিকেট দলের খেলোয়ারগণ হলেনঃ- ইমতিয়াজ আহমেদ(অধিনায়ক) গাজী আল-দিন-হাসান মুগ্ধ(উইকেট রক্ষক) রিজান হোসেন(সহ-অধিনায়ক) ফেরদৌস হাসান লিমন, মাইন হোসেন সরকার, রিফাত আল জাবির, আলি ওমর আবির, রওনক হরিজন, জিহাদ আদনান সানি,কাউয়ূম খান, তারেক মিঞা এ ছাড়া দ্বাদশ খেলোয়ার হিসেবে ছিলেন রাসেল মিঞা।
চ্যাম্পিয়ন টাঙ্গাইল জেলা দলের কোচ হিসেবে ছিলেন রাসেল খান ও ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ভ্রমর চন্দ ঘোষ ঝোটন। খেলায় আম্পায়ার ছিলেন রবিন সরকার ও আসিফুর রহমান এবং স্কোরার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অরিন্দম পাল লিটন।
খেলা শেষে বিজয়ী ও বিজিত দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ ছানোয়ার হোসেন,এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোঃ আমিনুল ইসলাম, ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক জাকির আহমেদ, টাঙ্গাইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি এ হাসান ফিরোজ। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টুর সভাপতিত্বে পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ আরাফাত রহমান।
উল্লেখ্য, শেখ কামাল অনুর্ধ্ব-১৮ জোনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ঢাকা বিভাগের ১৭টি জেলা ৪টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশগ্রহন করে। চারটি গ্রুপ থেকে টাঙ্গাইল, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর জেলা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে অংশগ্রহন করে। সেমিফাইনালে টাঙ্গাইল জেলা ফরিদপুর জেলাকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিলো।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আয়োজিত অনুর্দ্ধ-১৪ বিভাগীয় পর্যায়ে ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগ উত্তরের দল গঠনের জন্য ৩৮ জন ক্ষুদে ক্রিকেটারকে প্রাথমিক বাছাই ক্যাম্পে ডাকা হয়েছে।এই ক্যাম্পে ডাক পেয়েছে টাঙ্গাইলের ৭ জন ক্ষুদে ক্রিকেটার। একটি জেলা থেকে এটাই সবোর্চ্চ ক্রিকেটার ডাক পেল।
এই প্রাথমিক বাছাই ক্যাম্পে ডাক পাওয়া টাঙ্গাইলের ক্রিকেটারগণ হচ্ছেঃ টাঙ্গাইল জেলা অনুর্দ্ধ-১৪ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এহসানুল হক মাহিম,উইকেট কিপার রাকিবুল হাসান রাকিব, মহারাজ বসাক, আল-রাফি,জুনায়েদুল ইসলাম জারিফ, রায়য়ান আপন ও তানযিরুল ইসলাম।
রবিবার(২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে ঢাকা বিভাগীয় ক্রিকেট কোচ জাকির হাসানের তত্বাবধানে ৪ দিনের এই প্রাথমিক সিলেকশন ক্যাম্প শুরু হবে। এই ক্যাম্প থেকে ২০ জন ক্ষুদে ক্রিকেটারকে বাছাই করা হবে। এই ক্রিকেটার বাছাই করবেন বিসিবি’র বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট কোচ আব্দুল করিম জুয়েল।
এর পর আরো ১০ দিনের স্কিল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। এদের মধ্যে থেকে ১৪ জন ক্রিকেটার নিয়ে ঢাকা বিভাগ উত্তরের চুড়ান্ত দল গঠন করা হবে।
ঢাকা বিভাগ উত্তরের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাহমুদুল হক বাপ্পু ও সহকারী কোচ হিসেবে থাকবেন মোঃ সাজ্জাদ হোসেন।
টাঙ্গাইল জেলা থেকে সবোর্চ্চ সংখ্যক ৭ জন ক্ষুদে ক্রিকেটার বিভাগীয় দলে ডাক পাওয়ায়, টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ আরাফাত রহমান বলেন, এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে টাঙ্গাইল থেকে ৭ জন ক্রিকেটার প্রাথমিক দলে ডাক পেল। এদের মধ্যে এহসানুল হক মাহিম, রাকিবুল হাসান রাকিব, জুনায়েদুল ইসলাম জারিফ, ও আল-রাফি অত্যন্ত প্রতিভাবান ক্রিকেটার। আশা করি, এরা চুড়ান্ত দলেও ডাক পাবে।
প্রকাশ, ঢাকা বিভাগ উত্তরের এই বিভাগীয় ক্রিকেট দলটি ৯টি জেলার ক্ষুদে ক্রিকেটার নিয়ে গঠন করা হয়। জেলা গুলো হচ্ছে, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ,নরসিংন্দি, মানিকগঞ্জ ও গাজিপুর জেলা।
একতার কণ্ঠঃ শেখ কামাল অনুর্দ্ধ-১৮ জোনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে টাঙ্গাইল জেলা দলের অধিনায়ক ও বাহাতি অফ স্পিনার ইমতিয়াজ আহমেদের হ্যাট্রিক সহ ৬ ইউকেট পাওয়া অসাধারন বোলিং স্পেলে গোপালগঞ্জ জেলার দলের বিপক্ষে টাঙ্গাইল জেলা অনুর্দ্ধ-১৮ ক্রিকেট দল ৮ উইকেটে জয় লাভ করেছে। টুর্নামেন্টে এটা ছিল টাঙ্গাইল জেলা দলের দ্বিতীয় জয়।
সোমবার(১৭জানুয়ারি) সকালে ফরিদপুর জেলার শেখ জামাল ষ্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত সেন্টাল জোনের বয়স ভিত্তিক ৫০ ওভারের এই খেলায় গোপালগঞ্জ জেলা দল টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু টাঙ্গাইল জেলা দলের অধিনায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ও আরেক স্পিনার মাইনউদ্দীনের স্পিন তোপে ৩৬ ওভারে মাত্র ৮৭ রানে অলআউট হয় গোপালগঞ্জ জেলা অনুর্দ্ধ-১৮ ক্রিকেট দল।
ইমতিয়াজ ৯ ওভার বল করে মাত্র ১৯ রান দিয়ে হ্যাট্রিক সহ ৬ টি উইকেটে দখল করে। ইমতিয়াজ এর ৯ ওভার বলের মধ্যে আবার ৪ ওভার মেডেন ছিল।
এ ছাড়া টাঙ্গাইল জেলা দলের অপর স্পিনার মাইনউদ্দীন ৭ ওভার বল করে ১টি মেডেন সহ ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট লাভ করে। টাঙ্গাইল জেলা দলের স্পিন বোলিং জাদুতে গোপালগঞ্জ জেলা দলের তাজিম শেখ ব্যাতিত কোন ব্যাটস্ ম্যান উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেনি। তাজিম শেখ ৫৭ বল খেলে ২৩ রান করে রান আউটের শিকান হন।
৫০ ওভারে ৮৭ রানের মামুলি টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে টাঙ্গাইল জেলা দল মাত্র ১৯ ওভার ৩ বলে ২ উইকেটে হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। টাঙ্গাইলের ব্যাটস্ ম্যান ফেরদৌস লিমন ৪৯ বলে ৪৭ রান ও মুগ্ধ হাসান ৮ রানে অপাজিত থাকেন।
খেলায় ম্যান অব দি ম্যাচ নির্বাচিত হন টাঙ্গাইল জেলা দলের অধিনায়ক ও দলের জয়ে মূল ভুমিকা রাখা বাহাতি অফ স্পিনার ইমতিয়াজ আহমেদ।
টাঙ্গাইল জেলা দলের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শাহ্ আজিজ তালুকদার বাপ্পি ও কোচ হিসেবে ছিলেন রাসেল খান।দলটির সার্বিক দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিয়োজিত টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট কোচ মোঃ আরাফাত রহমান
প্রকাশ, টাঙ্গাইল জেলা দল টুর্নামেন্টে তাদের প্রথম ম্যাচে রাজবাড়ী জেলা দলকে ৮০ রানে পরাজিত করে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আগামি বৃহস্পতিবার(২০ জানুয়ারি) টাঙ্গাইল জেলা অনুর্দ্ধ-১৮ ক্রিকেট দল নরসিংন্দী জেলা দলের মুখোমুখি হবে।
একতার কণ্ঠঃ ইয়ং টাইগার্স অনুর্দ্ধ-১৪ জাতীয় ক্রিকেটে ঢাকা বিভাগ উত্তরের হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ন হওযার গৌরব অর্জন করেছে টাঙ্গাইল জেলা দল। রবিরার(৯ জানুয়ারী) প্রতিযোগিতার ফাইনালে টাঙ্গাইল জেলা দল ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে শক্তিশালী ময়মনসিংহ জেলা দলকে ২৮ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
রবিবার সকালে টাঙ্গাইল জেলা দলের অধিনায়ক এহসানুল হক মাহিম টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। কুয়াশা ভেজা পিচের কারনে শুরুতেই টাঙ্গাইল ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে। দলীয় অধিনায়ক মাহিম এক প্রান্ত আগলে রেখে ৭৩ বলে ৪৯ রান করে রান আউটের শিকার হয়। তখন দলের হাল ধরেন উজ্জল মিঞা। টাঙ্গাইল জেলা দল নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলতে পারেনি। ৪২ ওভার ৩ বল খেলে টাঙ্গাইল জেলা সব কয়টি ইউকেট হারিয়ে ১২৫ রান সংগ্রহ করে।
জবাবে ১২৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ময়মনসিংহ জেলা দল ৪৬ ওভার ১ বলে ৯৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। টাঙ্গাইল জেলা দলের পক্ষে বাহাতি স্পিনার অল-রাফি ৯ ওভার বল করে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪টি ইউকেট লাভ করে। ফলে টাঙ্গাইল জেলা দল ফাইনালে ২৮ রানে জয় লাভ করে।
টাঙ্গাইল জেলা এই প্রতিযোগিতায় পর পর তিনবার জয়লাভ করে হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয় । ম্যান অফ দি টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হন টাঙ্গাইল জেলা দলের অধিনায়ক এসহানুল হক মাহিম।
টাঙ্গাইল জেলা অনুর্দ্ধ-১৪ ক্রিকেট দলের খেলোয়ারগণ হলেনঃ- এহসানুল হক মাহিম(অধিনায়ক), রাকিবুল ইসলাম রাকিব(ইউকেট কিপার) জুনায়েদুল ইসলাম জারিফ, রাইয়ান আপন, আল-রাফি, রামিম হাসান, শাওন দেওয়ান, ইমরান হোসেন, তওফিকুল ইসলাম মাফি, মহারাজ বসাক, আরিফুল ইসলাম,উজ্জল মিঞা।
টাঙ্গাইল জেলা দলের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জহিরুল ইসলাম খান সম্রাট ও কোচ হিসেবে ছিলেন বিসিবি নিয়োজিত টাঙ্গাইল জেলা ক্রিকেট দলের কোচ মোঃ আরাফাত রহমান।
এই জয় প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা দলের বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কোচ আরাফাত রহমান বলেন, টাঙ্গাইল জেলাবাসীকে পর পর তিন বার ইয়ং টাইগার্স অনুর্দ্ধ-১৪ জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ট্রফি এনে দিতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি, অনুর্দ্ধ-১৮ ও অনুর্দ্ধ-১৬ জাতীয় ক্রিকেটেও টাঙ্গাইল জেলা দল ভালো ফলাফল করবে।
প্রকাশ, গ্রুপ পর্বের প্রথম খেলায় টাঙ্গাইল জেলা দল জামালপুর জেলা দলকে মাত্র ২৬ রানে অল-আউট করে, ১০ ইউকেটে জয় লাভ করে। পরের খেলায় নেত্রকোনা জেলা দলের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল জেলা দল ৫০ ওভারে ৩৭১ রান করে। টাঙ্গাইল জেলা দলের ব্যাটসম্যান রাকিবুল আরাফাত ১৩০ রান ও মহারাজ বসাক ১০০ রান করে। খেলায় টাঙ্গাইল জেলা দল রেকর্ড ৩৪০ রানে জয় লাভ করে।
গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় টাঙ্গাইল জেলা দল মানিকগঞ্জ জেলা দলকে ৬২ রানে পরাজিত করে।সেমি-ফাইনালে গাজিপুর জেলা দলকে টাঙ্গাইল ২৬ রানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে।
প্রতিযোগিতায় কোন জেলা দলই টাঙ্গাইল জেলা দলের বিরুদ্ধে শত রান করতে পারেনি।
একতার কণ্ঠঃ ফিফার পুরুষ র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অবস্থান যখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, তখন নারীদের সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে বাংলাদেশ দলের শিরোপা জয়ে দেশবাসী স্বভাবতই আনন্দিত ও উল্লসিত।
বুধবার(২২ ডিসেম্বর) কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বিপুলসংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে এ শিরোপা জয় করেন বাংলাদেশের নারীরা। বিজয়ের মাসে, বিশেষত বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে এ জয়ের রয়েছে প্রতীকী তাৎপর্যও।
বস্তুত গোটা টুর্নামেন্টেই বাংলাদেশের নারীরা দাপটের সঙ্গে খেলেছেন। তারা শুধু শিরোপাই জেতেননি, টুর্নামেন্টে তারা ছিলেন অপরাজিতও। এ কৃতিত্বের জন্য তাদের প্রতি রইল আমাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দলটির কোচ, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদেরও জানাই অভিনন্দন। আমরা আশা করব, এই নারীদের হাত ধরেই একদিন দেশে ফুটবল ফিরে পাবে হারানো গৌরব। এ লক্ষ্য সামনে রেখে এই দলটির জন্য আর্থিক ও প্রশিক্ষণসংক্রান্ত সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
অন্য অনেক দেশের মতো একসময় বাংলাদেশেও ফুটবল ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ঢাকার ফুটবল লীগের বড় দলগুলোর খেলা নিয়ে আগ্রহ ও কৌতূহল ছিল সারা দেশের মানুষের। সে সময় স্টেডিয়াম পূর্ণ হয়ে যেত দর্শকদের ভিড়ে। বড় বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো ঢাকায়। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বিভিন্ন টুর্নামেন্টের শিরোপাও জয় করেছে বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ফুটবলের সেই রমরমা যুগ এখন আর নেই। খেলার মান পড়ে যাওয়া, সঠিক পরিকল্পনা ও উদ্যোগের অভাব, ক্রিকেটের সাফল্য ইত্যাদি কারণে দেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে। বর্তমানে ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সত্যিই হতাশাজনক। এ অবস্থায় অনূর্ধ্ব-১৯-এ নারীদের সাফল্য ফুটবল নিয়ে আমাদের নতুন করে আশান্বিত করে।
শুধু অনূর্ধ্ব-১৯-এ নয়, অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৮ ইত্যাদি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টেও বাংলাদেশের মেয়ে ফুটবলাররা ধারাবাহিক সাফল্য দেখিয়ে আসছেন। বস্তুত আশার জায়গা এটাই।
এ সাফল্য ধরে রাখতে হলে উন্নত প্রশিক্ষণ ও পরিচর্যার মাধ্যমে মেয়ে ফুটবলারদের মানোন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। সারা দেশে তৃণমূল পর্যায় থেকে কিশোর-কিশোরীদের বাছাই করে নিয়মিত ফুটবলের প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। ক্রিকেটে এ ধরনের উদ্যোগের সুফল পাচ্ছি আমরা। ফুটবলের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এ খেলায় আমাদের ব্যর্থতা ঘুচবে অবশ্যই। বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় খেলা ফুটবলকে অবহেলা করার সুযোগ নেই।
একতার কণ্ঠঃ ইনিংসের ১৪তম ওভারের বিরতি তখন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বল মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে তুলে দেবেন, এমন অবস্থায় দর্শকের হইচই শোনা যাচ্ছিল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উত্তর গ্যালারি থেকে। সেখানে এক দর্শক গ্যালারির দোতলা থেকে লাফিয়ে নিচে নেমে এসেছিলেন। এরপর চোখের পলকে নিরাপত্তাবেষ্টনীর কাঁটাতার পাড়ি দিয়ে লাফিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন তিনি।
বেশ কয়েকজন মাঠকর্মী এই সময় সেই দর্শককে ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। মাঠের অন্য পাশ থেকে নিরাপত্তাকর্মীরা ছুটে আসার আগেই এক দৌড়ে তিনি মূল মাঠে প্রবেশ করেন। মোস্তাফিজের পায়ের কাছে এসে মাটিতে মাথা ছুঁইয়ে সেজদার ভঙ্গি করেন। একটু এগিয়ে এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন আম্পায়ার তানভীর আহমেদ। এরপর তাঁকে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার কক্ষের পাশের প্রবেশদ্বার দিয়ে বের করা হয়।
সে ওভারে প্রথম বল করেই মোস্তাফিজ মাঠ ছেড়ে বেড়িয়ে গেছেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সিরিজের খেলা চলছে জৈব সুরক্ষাবলয়ে। এই সিরিজ দিয়ে দর্শক মাঠে ফিরলেও করোনা নীতির অংশ হিসেবে গ্যালারির নিচতলা পুরোপুরি দর্শকশূন্য। নিচতলায় কোনো নিরাপত্তাকর্মী ছিল না সে কারণেই। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে বলয় ভেঙে মাঠে প্রবেশ করেছেন সেই দর্শক।
মিরপুর স্টেডিয়ামের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে বরাবরই প্রশ্ন ছিল। এর আগেও গ্যালারি থেকে মাঠে ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। কিন্তু করোনাকালে দর্শক ফেরার সিরিজে এমন ঘটনাটি মিরপুরের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বাড়াবে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে বিসিবির নিরাপত্তা প্রধান মেজর হাসিবের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।