/ হোম / জাতীয়
টাঙ্গাইলের তিন উপজেলায় ৩৬ প্রার্থীর মনোননয়পত্র দাখিল - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের তিন উপজেলায় ৩৬ প্রার্থীর মনোননয়পত্র দাখিল

একতার কণ্ঠঃ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর উপজেলায় সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে অনলাইনে চেয়ারম্যান পদসহ ৩৬ প্রার্থী মনোননয়পত্র দাখিল করেছেন।

জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ধনবাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ছয় জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তারা হচ্ছেন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, সাবেক ছাত্রনেতা মো. আজিজুল ইসলাম ও খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপনের স্ত্রী মোর্শেদা ইসলাম।

এছাড়া এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

মধুপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তারা হচ্ছেন, মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মীর ফরহাদুল আলম মনি। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয় জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

গোপালপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

তারা হচ্ছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মোমেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি কেএম গিয়াস উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুল আলম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আইয়ুব খান। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

টাঙ্গাইলের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মতিয়ূর রহমান জানান, দেশের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে।

তিনি জানান, প্রথম ধাপের নির্বাচনে ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ৯টি জেলার ২২টি উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হবে ২৩ মে, তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো দলীয় প্রতীক থাকছে না।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. এপ্রিল ২০২৪ ০৪:১৯:এএম ৬ মাস আগে
যমুনা নদী‌তে অষ্টমীর স্না‌নে পুণ্যার্থীদের ঢল - Ekotar Kantho

যমুনা নদী‌তে অষ্টমীর স্না‌নে পুণ্যার্থীদের ঢল

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভুঞাপু‌রে যমুনা নদী‌তে মহাষ্টমীতে হাজার হাজার পুণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখ‌রিত স্নান ঘাট। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ভো‌র থে‌কে উপ‌জেলার খানুরবা‌ড়ি সরাতলা কা‌লীম‌ন্দির সংলগ্ন যমুনা নদী‌তে স্নান শুরু হয়। স্নান ঘা‌টের পা‌শেই মেলা শুরু হয়ে‌ছে। মেলায় বিভিন্ন ধর‌নের পণ্য সামগ্রীর পসরা নি‌য়ে ব‌সেছেন বি‌ক্রেতারা।

পাঁপ‌মোচন আশায় এবং দেশ ও জা‌তির মঙ্গল কামনায় আগত পুণ্যার্থীরা যমুনা নদী‌তে স্নান কর‌তে আসেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই ‌দেশের বি‌ভিন্ন জেলা থে‌কে পুণ্যার্থীরা স্নান কর‌তে যমুনা ঘা‌টে আসে। এসময় গঙ্গা পূজা অর্চনা ক‌রে ভক্তরা চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অসংখ্য পুণ্যার্থী এখানে পুণ্যস্নানের জন্য আসেন।

স্নান কর‌তে আসা পলাশ চন্দ্র সরকার ব‌লেন, যমুনায় স্নান তীর্থস্থা‌নে প‌রিণত হ‌য়ে‌ছে। এখা‌নে পুণ্যার্থীরা স্নান কর‌ছে তা‌দের মনোবাসনা পূর‌ণের জন‌্য।

গঙ্গা স্নান করতে আসা গোবিন্দ সরকার বলেন, নদীর পাড়ে নতুন জলে গঙ্গা স্নান করেছি ও পূজা দিয়েছি। মহা অষ্টমীতে এখানে স্থানীয় লোকজনসহ দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ মেলা দেখতে আসেন।

ঘা‌টে পূজা করা পুরো‌হিত পিন্টু গোস্বামী জানান, পাঁপ‌মোচনের আশায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যমুনা নদী‌তে স্নান কর‌তে এসে‌ছেন। বি‌ভিন্ন জায়গা থে‌কে পুণ্যার্থীরা আস‌ছে স্নান কর‌তে। হাজার হাজার পুণ্যার্থীর ঢল নে‌মে‌ছে নদী‌তে।

অষ্টমী স্নান উৎসব আয়োজক ক‌মি‌টির সাধারণ সম্পাদক অ‌ভি‌জিৎ ঘোষ জানান, ‌ভোর থে‌কে পুণ্যার্থীরা স্নান ঘা‌টে এসে‌ছেন পূজা অচর্না কর‌তে। আগত পুণ্যার্থীদের জন‌্য সকল ব‌্যবস্থা গ্রহণ করা হ‌য়ে‌ছে। ক‌য়েক হাজার ভক্ত‌দের জন‌্য প্রসা‌দের ব‌্যবস্থা করা হয়। স্না‌নোৎস‌বে পর্যাপ্ত সংখ‌্যক পু‌লিশ সদস‌্য দা‌য়িত্ব পালন ক‌রে‌ছেন ভক্ত‌দের নিরাপত্তার জন‌্য।

ভুঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ও‌সি) আহসান উল্ল‌্যাহ ব‌লেন, নিরাপত্তা নি‌শ্চি‌তে স্নান ঘা‌টে পু‌লিশ সদস‌্য মোতা‌য়েন করা হ‌য়েছে। জেলা পু‌লিশের রিজার্ভ ফোর্স, থানা পু‌লিশ ও নৌ পু‌লি‌শের সদস‌্যরা আইনশৃঙ্খলা কা‌জে নি‌য়ো‌জিত র‌য়েছে‌।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. এপ্রিল ২০২৪ ০৩:২৩:এএম ৬ মাস আগে
ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, আ.লীগ নেতা বড় মনিকে দল থেকে অব্যাহতি - Ekotar Kantho

ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, আ.লীগ নেতা বড় মনিকে দল থেকে অব্যাহতি

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে চুড়ান্ত অব্যাহতির জন্য দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেছে শহর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও গোলাম কিব‌রিয়া বড় ম‌নির জেলা বাস মি‌নিবাস মা‌লিক স‌মি‌তির মহাস‌চিব ও টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আস‌নের সংসদ সদস‌্য তানভীর হাসান ছোট ম‌নিরের বড় ভাই।

ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ঢাকার তুরাগ থানায় গত ২৯ মার্চ ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন এক নারী। এজন্য দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

এরআগেও টাঙ্গাইলে এশা মির্জা না‌মের আরেক ক‌লেজছাত্রীকে ধর্ষণের ম‌ামলা রয়ে‌ছে বড় ম‌নি‌রের বিরু‌দ্ধে। ওই মামলায় তি‌নি উচ্চ আদালতে জা‌মি‌নে র‌য়ে‌ছেন।

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ স্বাক্ষরিত অব‌্যাহ‌তি পত্র পাঠানো হয়েছে। দলের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযমের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

দলীয় সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে “ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার এই অনৈতিক কর্মকান্ডে দলীয় ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে এবং এ কারনে টাঙ্গাইলের সাধারণ জনগন দলের প্রতি বিরূপ ধারনা পোষন করছে। এমতবস্থায় টাঙ্গাইল জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং সুনাম ও ভাবমূর্তি বজায় রাখার নিমিত্তে গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো এবং চুড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য আপনার নিকট সুপারিশ করা হলো।

এদি‌কে ঢাকায় ধর্ষণ মামলা দা‌য়ের পর দিন থে‌কেই আত্ম‌গোপ‌নে র‌য়ে‌ছেন বড় ম‌নির। জেলার কোন অনুষ্ঠা‌নে বা দলীয় কোন কর্মকান্ডে তাকে পাওয়া যায় না।

টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ বলেন, ঈদের আগে দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে গোলাম কিবরিয়াকে চুড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সুপারিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের কোন সিদ্ধান্ত এখনো পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. এপ্রিল ২০২৪ ০৩:০৯:এএম ৬ মাস আগে
৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক - Ekotar Kantho

৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

একতার কণ্ঠঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ৯ ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে যাত্রী ও চালকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পরিবহনগুলো সড়কে নির্বিঘ্নে মহাসড়কে যাতায়াত করছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে তা বেড়ে ১৭ কিলোমিটারে দাঁড়ায়।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে কয়েকটি যানবাহন বিকল এবং একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এরপর থেকে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুপুর ২টার পর থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এরআগে যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন ঘরমুখো মানুষ। যানজটের ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা পরিবহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতু
পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করে।

টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) রফিকুল ইসলাম সরকার জানান, মহাসড়কে গাড়ি বিকল ও একটি সড়ক দুর্ঘটনার কারণে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে বঙ্গবন্ধু সেতু উত্তরবঙ্গমুখী ওয়ানওয়ে করে দেওয়া হয়। পরে দুপুরের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে। বতর্মানে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১০. এপ্রিল ২০২৪ ০৪:১৩:এএম ৬ মাস আগে
ঈদের প্রস্তুতি নেই জিম্মি নাবিক সাব্বিরের পরিবারে - Ekotar Kantho

ঈদের প্রস্তুতি নেই জিম্মি নাবিক সাব্বিরের পরিবারে

একতার কণ্ঠঃ সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিক টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা গ্রামের সাব্বিরের বাড়িতে নেই ঈদের প্রস্তুতি। অপহৃত হওয়ার পর থেকেই ছেলের মুক্তির সংবাদের অপেক্ষায় সময় পার করছেন সাব্বিরের বৃদ্ধ মা-বাবা।

বাড়িতে বসে নামাজ আদায় করে তাদের সন্তানকে ফিরে পেতে আল্লাহর নিকট দোয়া করে সময় পার করছেন তারা। আর মাঝে মধ্যেই ছেলের ছবি এবং মোবাইলে কোনো সংবাদ এলো কিনা তা দেখছেন। অপেক্ষার প্রহর যেন তাদের শেষ হচ্ছেই না। তারা চান ঈদের আগেই যেন তাদের সন্তানের মুক্তি মেলে।

গতবছরও পরিবারের সাথে ঈদ পালন করেছেন সাব্বির। কিন্তু এ বছর জাহাজ ছিনতাই হওয়ার পর সাব্বিরের ভাগ্যে কী ঘটছে সেই শঙ্কায় ঈদের আনন্দ নেই তার পরিবারের মাঝে। সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে ভারত মহাসাগর থেকে জিম্মি হন বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ জন নাবিক। এদের মধ্যে অন্যতম টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের ডাঙা ধলাপাড়া গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে সাব্বির। জাহাজটি অপহরণের পর থেকে বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা ছেলের অপেক্ষায় পথের দিকে তাকিয়ে আছেন। ঈদের আগেই সরকার বা জাহাজ মালিকদের পক্ষ থেকে সু-সংবাদের অপেক্ষায় বন্দি নাবিক সাব্বিরের বাবা-মা।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সাব্বির জেলার নাগরপুরের সহবতপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৪ সালে এসএসসি পাস করে। পরে টাঙ্গাইল শহরের কাগমারির সরকারি এম এম আলী কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসএসসি পাস করে ভর্তি হন চট্রগ্রাম মেরিন একাডেমিতে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সাথে পাস করে সর্বশেষ গত বছরের ২০২২ সালের জুন মাসে এমভি আব্দুল্লাহ নামক পণ্য বহনকারী একটি জাহাজে মার্চেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন তিনি।

সাব্বিরের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর ছেলেই ঈদের কেনাকাটা করলেও এবার কিছুই হয়নি তাদের। ছেলের সুস্থতা আর নিরাপদে ফিরে আসার অপেক্ষা করছে তার বাবা-মা। জলদস্যুরা কথায় কথায় মাথায় বন্দুক ধরে, জাহাজে খাবার সংকট, পানি সংকটসহ এমন নানা দুশ্চিন্তায় আরও ভেঙে পড়েছেন তারা। সন্তানের ভালো সংবাদের অপেক্ষা আর শেষ হচ্ছে না তাদের।

সাব্বিরের বাবা হারুন অর রশিদ বলেন, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার পর একদিন ছেলের সাথে কথা বলেছিল। তারপর আর কথা হয়নি। আমি ও আমার স্ত্রী ফোন হাতে নিয়ে বসে থাকি কখন সাব্বির কল দিয়ে বলবে ভালো আছি চিন্তা করো না তোমরা। আমার ছেলের সাথে গতবছর এক সাথে ঈদ করেছি। এবারও আশায় আছি, জানি না করতে পারবো কি না। সরকারের কাছে দাবি অতি দ্রুত আমার ছেলেসহ সবাই বাবা-মায়ের কোলে ফিরে আসুক।

সাব্বিরের মা সালেহা বেগম বলেন, গতবার আমার ছেলে আমাদের সাথে ঈদ করেছিল। এবার আমার ছেলে ঈদ করতে পারবে কি না আমাদের সাথে জানি না। এ বলেই কান্না করতে করতে বলেন, আমরা কোন কিছু চাই না আমার ছেলেকে চাই। আমরা ছেলের সাথে ঈদ করতে চাই। ছেলে বাড়ি না আসলে আমাদের আর ঈদ করা হবে না। সরকারের কাছে আবেদন ঈদের আগেই যেন আমার ছেলেসহ সবাইকে ছাড়িয়ে আনে।

সাব্বিরের বোন মিতু আক্তার বলেন, যখন তারা দস্যুদের কবলে আটক হয় তখন বলেছিল ২০ থেকে ২২ দিনের খাবার আছে। তারপর আর কথা হয়নি আমার ভাইয়ের সাথে। কেমন আছে তাও বলতে পারবো না। সারাক্ষণ চিন্তায় থাকি আমরা। সরকারের কাছে দাবি আমার ভাইকে ঈদের আগে ফিরিয়ে আনার হোক।

নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধান বলেন, সাব্বিরের পরিবারের সাথে খোঁজ খবর রাখছি। ঈদ উপলক্ষে তাদের বাড়িতে ঈদ উপহার পাঠানো হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. এপ্রিল ২০২৪ ০৩:৪২:এএম ৬ মাস আগে
প্রচন্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিং; নাকাল টাঙ্গাইলবাসী - Ekotar Kantho

প্রচন্ড গরমে ঘন ঘন লোডশেডিং; নাকাল টাঙ্গাইলবাসী

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা-যাওয়া ও মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে জনজীবনে নাভিম্বাস ওঠেছে। গ্রাম কিংবা শহরে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সরবরাহ অর্ধেকে নেমে আসায় প্রচন্ড দাবদাহে সাধারণ মানুষ হাসফাঁস করছেন।

শিল্প-কারখানায় ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। চাষের জমিতে পানি দিতে না পারায় চিন্তিত কৃষক। ব্যবসায়ীরা বেশি বিপাকে পড়েছেন। ঈদ ও বৈশাখের আগে প্রচন্ড গরম ও দিনের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় বিকিকিনিতে ধস নেমে এসেছে।

বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলায় আবাসিক ও শিল্পকারখানাসহ প্রায় ১১ লাখ গ্রাহক রয়েছে। এসব গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে মাত্র ১৩০ থেকে ১৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে টাঙ্গাইল জোনে ৭টি উপজেলা ও ময়মনসিংহ জোনে ৫টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

টাঙ্গাইল জোনের জোনাল অফিসের আওতাধীন ৬ লাখের বেশি বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এবং ময়মনসিংহ জোনাল অফিসের আওতায় ৪ লাখ ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। জেলার ছোট বড় ৮ শতাধিক শিল্পকারখানায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে পল্লী বিদ্যুত সমিতি। এসব শিল্পকারখায় পাঁচ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করে থাকেন।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, টাঙ্গাইল জেলায় গত কয়েকদিন যাবত ৩৭ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় ব্যাপক দাবদাহ বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগীরা জানায়, প্রচন্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে মানুষের ভোগান্তি চরমে। তীব্র দাবদাহে প্রাণিকূলের অবস্থাও ওষ্ঠাগত। জমিন শীতল হওয়ার আশায় প্রকৃতির দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকছে প্রাণিকূল। ঈদকে সামনে রেখে রোজার শেষ সময়ে সেহরি ও ইফতারের সময়ও লোডশেডিং হচ্ছে যথেচ্ছ। ইফতারের সময় এরমাত্রা কিছুটা কম হলেও সেহরির সময় প্রায় নিয়মিত লোডশেডিং হচ্ছে।

তারা জানায়, প্রতিদিন সকাল ৭টার পর থেকে সূর্যের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দুপুরে তীব্রতা আরও বেশি। রোজাদারের জন্য কষ্ট বেড়েছে কয়েকগুণ। এরমধ্যে শহর এলাকায় দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পালা করে এলাকা ভিত্তিক দফায় দফায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেওয়া হয়। গ্রামের অবস্থা আরও ভয়াবহ। গ্রাম এলাকায় কখন বিদ্যুৎ আসে সেই হিসাব রাখেন ভুক্তভোগীরা। সেখানে প্রায় সময়ই বিদ্যুৎ থাকেনা- যদিওবা আসে কয়েক মিনিট পরেই চলে যায়। চলতি বোরো মৌসুমে চাষের জমিতে পানি সেচ দিতে না পারায় ফলন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরেছেন কৃষকরা। দাবদাহে খেটে খাওয়া মানুষগুলো সবচেয়ে বিপদে রয়েছেন।

অনেকেই জানায়, রোদে তাকালেই চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। টানা গরম আর অনাবৃষ্টিতে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। গরম বাতাস আগুনের হলকা হয়ে শরীরে লাগছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। প্রকৃতির এমন বৈরী আচরণের মধ্যে ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং।

জেলা শহরের রেজিস্ট্রি পাড়ার ইমাম হোসেন, আকুর টাকুর পাড়ার শহিদুল ইসলাম রুমি, বটতলার আনিছুর রহমান, তালতলার মঞ্জুরুল ইসলাম, আদি টাঙ্গাইলের গৃহবধূ রহিমা রহমান, থানাপাড়ার জোবায়ের হোসেন, আদালত পাড়ার শিবলী সহ অনেকেই জানান, প্রচন্ড দাবদাহে বাসায় থাকা যায় না। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।

শহরের হিরা মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন, শাহালম মিয়া, সিদ্দিকুর রহমান, জয়নাল আবেদীন সহ অনেকেই জানান, ক্রেতার চাপ থাকলেও প্রচন্ড গরমে দোকানে বসে থাকা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে লোডশেডিং চলছে। লোডশেডিং হলে এক থেকে দেড় ঘণ্টার আগে বিদ্যুৎ আসেনা। ফলে আইপিএস লাগিয়েও সমাধান পাওয়া যায়না। বিদ্যুৎ না থাকায় আইপিএসও চার্জ হয়না।

টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন জানান, টাঙ্গাইল শহর এলাকায়ও প্রতিদিন ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। প্রতিবার এক থেকে দেড় ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না।

টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, সম্প্রতি তিনি টাঙ্গাইল জোনে যোগদান করেছেন। টাঙ্গাইল জোনে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৬ লাখের বেশি। এ এলাকায় ছোট বড় মিলে ৪৫০টি শিল্পকারখানাসহ ও আবাসিক গ্রাহকের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ১০০ থেকে ১০৫ মেগাওয়াট। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে লোডশেডিং বেড়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ময়মনসিংহ জোনের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. শহীদ উদ্দিন জানান, প্রচন্ড দাবদাহে সারাদেশে লোড বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সর্বোচ্চ লোডশেডিং চলছে। এ জোনের আওতায় ৪ লাখ ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। বিদ্যুতের চাহিদা ৫৫ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ মেগাওয়াট।

বিউবো টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) খন্দকার কামরুজ্জামান জানান, টাঙ্গাইল পৌরসভায় ৪৭ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা ২০ মেগাওয়াট। গত সপ্তাহ পর্যন্ত গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক ছিল। ৪-৫ দিন ধরে তারা ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছেন। ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকছে। এই ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন কম পাওয়া যাচ্ছে তা তিনি জানেন না। ফলে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন অব্যাহত রাখা হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. এপ্রিল ২০২৪ ০২:১০:এএম ৬ মাস আগে
প্রতারণার নতুন অস্ত্র ‘স্কোপোলামিন’ - Ekotar Kantho

প্রতারণার নতুন অস্ত্র ‘স্কোপোলামিন’

একতার কণ্ঠঃ স্কোপোলামিন বা ভয়ঙ্কর ডেভিলস ব্রেথ, যা শয়তানের নিঃশ্বাস নামে পরিচিত। এটি একটি ভয়ঙ্কর উপাদান। যা কারও অজান্তে কিংবা কৌশল-অপকৌশলে বা জোর করে কারও নিঃশ্বাসের মাধ্যমে একবার মানবদেহে ছড়িয়ে দিতে পারলেই ওই ব্যক্তি কিছু সময়ের জন্য চলে যান প্রতারকদের নিয়ন্ত্রণে। ভয়ঙ্কর এই উপাদানের প্রয়োগে ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পর্যন্ত মানুষ তার নিজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকেন। প্রতারকদের কথা মতোই রোবটের মতো কাজ করেন। বর্তমান সময়ে স্কোপোলামিন দেশে এক আতঙ্কের নাম।

কোন ধরনের অস্ত্র কিংবা ভয়ভীতি না দেখিয়েই টার্গেট ব্যক্তির সব কিছু লুটে নিতে অপরাধীরা এখন এর ব্যবহার করছে। রাজধানীসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন ডেভিল ব্রেথ বা শয়তানের নিঃশ্বাস জাতীয় পদার্থ দিয়ে অপরাধীরা সাধারণের সর্বস্ব লুট করছে।

অপরাধ বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, শয়তানের নিঃশ্বাস নামের এ উপাদানের অপব্যবহার করে অপরাধী কারো সম্পদ লিখে নেওয়া, আবার কোনো নারীর সর্বনাশ করে নীল ছবি তৈরি অথবা পছন্দের নারীকে বিয়ে করলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কারণ এটি যার ওপর প্রয়োগ করা হয় তিনি তখন নিজের মধ্যে থাকেন না। প্রতারক চক্রের সদস্যের সামনে যিনি (টার্গেট ব্যক্তি) থাকেন, তাকে যা বলা হবে তা-ই করবেন।

প্রতারণার জন্য নতুন আসা ডেভিল ব্রেথকে অনেকে নেশা বা মাদকদ্রব্য বললেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বলছে, এটি মাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত নয়।

সূত্র বলছে, অনেক আগে থেকেই এটি দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দেশের ৩২ জেলায় সাধারণ মানুষ শয়তানের নিঃশ্বাসের শিকার হয়ে টাকা পয়সা খুইয়েছেন। এ ধরনের প্রতারক চক্রে বিদেশিরাও জড়িত। পুলিশ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে।

ডিএনসি বলছে, এটি নিয়ে গবেষণার সময় এসেছে। তবে আপাতত এটির অপব্যবহার করে কেউ যাতে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে।

সম্প্রতি রাজবাড়ী সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের মাস্টার্সের ছাত্রী প্রিয়া, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা সদরের হৃদয় টেলিকমের মালিক দুলাল মিয়া ও দোকানে থাকা তার ভাগ্নের চোখে কিছু একটা লাগিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই তারা নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। যশোরের অভয়নগর উপজেলায় দোকান মালিক শরিফুলের বাবা, রাজধানীর পল্লবীর ১২ নম্বরের ডিওএইচএস কমপ্লেক্সে ট্রাভেল এজেন্সির জিসান, ফরিদপুর শহরের আলেয়া বেগমসহ ঢাকার মোহাম্মদপুরের এক ভুক্তভোগী এ চক্রের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হন।

পল্লবীর মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দেশে এ ধরনের ৮ থেকে ১০টি গ্রুপের সন্ধান পেয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। প্রতি গ্রুপে দুই থেকে তিনজন করে সদস্য আছে। এসব চক্রের নেতৃত্বে রয়েছে ইরানি নাগরিকরা।

অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, স্কোপোলামিন বা শয়তানের শ্বাস বা ডেভিলস ব্রেথ হিসেবে পরিচিত পাওয়া এই মাদক মস্তিষ্কের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। অন্যের দেওয়া আদেশকে যান্ত্রিকভাবে অনুসরণ করতে বাধ্য করা হয়। তারা নিজে কিছু চিন্তা করতে পারেন না শুধু সামনের লোক যা বলবে তাই করেন রোবটের মত। ফলে দুর্বৃত্তরা লোকজনকে সর্বস্বান্ত করতে মোক্ষক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে এটি। সম্প্রতি এই চক্রের দৌরাত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় রাসায়নিক পরীক্ষাগারের প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক ড. দুলাল কৃষ্ণ সাহা জানান, ২০১৮ সালের তালিকায় স্কোপোলামিন মাদকের তালিকায় নেই। আমাদের দেশে এটা নিয়ে কোনো আইনও নেই। তিনি এটিকে মাদকও বলতে চান না। কারণ মাদক বা নেশা বলতে যা বোঝায় সেটি এটির মধ্যে নেই।

তিনি আরও জানান, স্কোপোলামিন এখনো আমাদের টিম কোথাও থেকে উদ্ধার করেনি। এ সংক্রান্ত মামলাও মাদকে আছে বলে জানা নেই। কাজেই ওটা নিয়ে এখনো আমাদের ল্যাবে কোনো ধরনের টেষ্ট হয়নি। তবে যেহেতু এটি এখন প্রতারণার কাজে ব্যবহার হচ্ছে, অপরিচিতদের থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে। কেউ যাতে পাশে বসে কোনো কিছু স্প্রে করতে না পারে কিংবা নাকে টিস্যু কিংবা রুমাল ধরতে না পারে সেদিকে সচেতন থাকতে হবে।

দুলাল সাহা জানান, এটি এমন একটি ভয়ঙ্কর জিনিস। যার প্রয়োগে রিমোট কন্ট্রোল থাকে অপরাধীর হাতে। মেক্সিকানরা এটি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এখন এটির অপব্যবহার হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. এপ্রিল ২০২৪ ০৩:৫১:এএম ৬ মাস আগে
ঈদ যাত্রায় মহাসড়কের সিঙ্গেল রোডে কোনো গাড়ি থামানো যাবেনা: এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী - Ekotar Kantho

ঈদ যাত্রায় মহাসড়কের সিঙ্গেল রোডে কোনো গাড়ি থামানো যাবেনা: এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী

একতার কণ্ঠঃ ঈদযাত্রায় বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মহাসড়ক পরিদর্শন করে গণশুনানী ও মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বলেছেন, মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র সাত কিলোমিটার এলাকায় চারলেনের কাজ চলছে।

আসন্ন ঈদযাত্রায় ওই সাত কিলোমিটার এলাকা সিঙ্গেল সড়কে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। ওই সাত কিলোমিটারে কোনো গাড়ি থামানো যাবেনা।

ওখানের প্রতি কিমিতে ১০জন করে দায়িত্বশীল ব্যক্তি সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকলে এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব হবে। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় প্রশাসন, পরিবহণ মালিক-শ্রমিক সমিতি সহ অংশিজনদের সহযোগিতা কামনা করেন।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল-২০২৩-২৪ এর আওতায় ঈদযাত্রা ও সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে গণশুনানী ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী।

সভায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তের টোলপ্লাজায় টোলবুথ বাড়ানো, মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা দুইটি টোলবুথ স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ওই সভায় জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বাসেক) বঙ্গবন্ধু সেতু অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল, টাঙ্গাইল সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমিরী খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ, চার লেন প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইট ম্যানেজার মো. রবিউল আউয়াল, টাঙ্গাইল জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. বালা মিয়া প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. এপ্রিল ২০২৪ ০৪:৩৯:এএম ৬ মাস আগে
আ’লীগ নেতা বড় মনিরের বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষনের অভিযোগ - Ekotar Kantho

আ’লীগ নেতা বড় মনিরের বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষনের অভিযোগ

একতার কণ্ঠঃ এবার অস্ত্রের মুখে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগী ওই তরুণী বাদী হয়ে রাজধানীর তুরাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

এরআগে শুক্রবার (২৯ মার্চ ) রাতে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশ রাজধানীর তুরাগ থানায় প্রিয়াংকা সিটি আবাসিক এলাকায় বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে ওই কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে। তাকে জোর করে ওই বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।

পুলিশের ভাষ্য, বড় মনির ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছেন।

ওই শিক্ষার্থী মামলায় অভিযোগ করেন, ফেসবুকে বড় মনিরের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। প্রথম পর্যায়ে হাই-হ্যালো হতো। এক পর্যায়ে বড় মনির ভুক্তভোগীকে ছোট বোন বলে সম্বোধন করে। এরপর তার সঙ্গে ছাত্রীর হোয়াটসঅ্যাপে অডিও-ভিডিওতে কথা হতো।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ইফতারের পর বড় মনির ভুক্তভোগী ছাত্রীকে মেসেজ দিয়ে জমজম টাওয়ারের সঙ্গে এপেক্স শোরুমের সামনে থাকতে বলেন। সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটের সময় এপেক্স শো-রুমের সামনে অপেক্ষা করি। এর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর বড় মনির রিকশা নিয়ে আসে এবং রিকশায় উঠতে বলে। ভুক্তভোগী ছাত্রী তার সঙ্গে রিকশায় ওঠেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুরাগের প্রিয়াংকাসিটির ৬ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসার পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটের তৃতীয় তলার উত্তর-পশ্চিম পাশের রুমের ভেতর নিয়ে যান। এরপর রুমের দরজা বন্ধ করে ধর্ষণ করেন।

এরপর ভুক্তভোগী ছাত্রী তার বাবাকে ফোন দেন। তার বাবা ঘটনা শুনে ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, বড় মনির জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব এবং টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। এর আগেও টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা রয়েছে। ওই মামলায় বর্তমানে জামিনে আছেন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. মার্চ ২০২৪ ০৪:৩৯:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ পলিথিনের জব্দকৃত ট্রাক টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নিষিদ্ধ পলিথিনের জব্দকৃত ট্রাক টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ

একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলে রাতে পলিথিন বোঝাই কাভার্ডভ্যান জব্দ করার পর টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের সদর উপজেলার তারটিয়া এলাকা থেকে নিষিদ্ধ পলিথিনবাহী কাভার্ড ভ্যান জব্দ করেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেন। পরে কতিপয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে দেনদরবার শেষে মঙ্গলবার দুপুরে জব্দ করা কাভার্ডভ্যানটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরিবেশের জন্য ভয়াবহ হুমকি নিষিদ্ধ পলিথিন আটকের পর অবৈধ সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতারা। আর সচেতন মহলের মধ্যে বইছে সমালোচনার ঝড়। এ কাজে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে তিন গণমাধ্যম কর্মীর বিরুদ্ধেও। এসআই ট্রাক জব্দের বিষয়টি স্বীকার করলেও অন্য সকল অভিযুক্তরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানা পুলিশের সদস্যরা জানান, সোমবার দিবারগত রাতে মধুপুর ট্রান্সপোর্টের নামের নিষিদ্ধ পলিথিনবাহী কাভার্ডভ্যান ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তারটিয়া এলাকায় পৌঁছলে টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই মো. বেল্লাল হোসেনের টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই কাভার্ডভ্যানটি আটক করে। পরে কাভার্ড ভ্যানে নিষিদ্ধ পলিথিন থাকায় তা জব্দ করে ভোর রাতেই থানায় নিয়ে আসে। এরপর থেকেই শুরু হয় তদবির। এ কাজে যোগ দেন দুই মিশ্র টেলিভিশনের প্রতিনিধিসহ তিন গণমাধ্যমকর্মী।তিনি জানান, শহরের ছয়আনী বাজারের আনোয়ার হোসেন পলিথিন ব্যবসায়ী এবং কালিহাতীর দুই সংবাদকর্মী ও টাঙ্গাইলের এক গণমাধ্যমকর্মী নিষিদ্ধ পলিথিনবাহী কাভার্ড ভ্যানটির মালামালসহ ছাড়িয়ে নিতে ভোর রাতেই থানায় উপস্থিত হন। পরে দেনদরবার শেষে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তা মালামালসহ মঙ্গলবার দুপুরে ছাড়িয়ে নিতে সক্ষম হন।জানা গেছে, এ ঘটনায় পুলিশ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেয়। বাকি ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে জেলার এক মিশ্র টেলিভিশনের গণমাধ্যমকর্মী ঢাকার অফিসের টিমের কথা বলে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। অন্য দুইজন পেয়েছে বাকী টাকা। টাকার এই অসম ভাগাভাগি নিয়েও মনোমালিন্য হয় তাদের মধ্যে।

এদিকে ট্রাকটি ছাড়িয়ে নেওয়ার পর থানা পুলিশের ভেতর থেকেই ঘটনাটি জানাজানি হয় সর্বত্র। জানাজানির পর বইতে থাকে ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড়।

পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার সাবেক কর্মকর্তা ও পরিবেশ কর্মী সোমনাথ লাহিড়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পরিবেশের জন্য মরণঘাতী এ পলিথিন উচ্চ আদালতে উৎপাদন, পরিবহন ও বাজারজাত করণ এবং ব্যবহারে নিষিদ্ধ পণ্য। নিষিদ্ধ পণ্য জব্দের পর তা ধ্বংস না করে ছেড়ে দেয়া অতীব গর্হিত কাজ। এ কাজের মাধ্যমে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা চরমভাবে অবজ্ঞা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাই।

এ বিষয়ে মধুপুর ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির ম্যানেজার মো. কায়ছার বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে আমাদের গাড়িতে এ ধরনের মালামাল বহন করা হয় না।
তিনজন গণমাধ্যম কর্মীর একজন বলেন, ভোর রাতে এক গণমাধ্যমকর্মীর সাথে প্রাইভেটকারযোগে মহাসড়কে চা খেতে গিয়েছিলাম। তখন ট্রাক জব্দের কথা জানতে পেরে এসআই বেলালকে অবহিত করলে তিনি অস্বীকার করেন। যে তিন লাখ টাকা লেনদেনের কথা হচ্ছে, আমি এ বিষয়সহ কোন কিছুই জানি না।

সদর থানার উপপরির্দশ (এসআই) মো. বেল্লাল হোসেন জানান, পলিথিনের ট্রাকটি আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। পরে আর কিছু জানি না। সব জানে ওসি স্যার। ওসির সাথে আপনারা কথা বলেন। এটা নিয়ে খুবই প্যারায় আছি।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, এধরণের কোন ট্রাক আটক বা জব্দ করা হয়নি। তবে রাতে মাটিবাহী একটি ট্রাক আটক করা হয়েছিল। থানায় চর্তুদিকে সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে। থানায় আনার পর সেই ট্রাক ছাড়ার সুযোগ নেই। হয়ত ভুলভাবে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন জানান, সুর্নিদিষ্ট অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. মার্চ ২০২৪ ০৬:৩৬:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত

একতার কণ্ঠঃ ৩১ বার তোপধ্বনি, পুষ্পস্তবক অর্পন, শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংঙ্গীত পরিবেশনসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

২৬ মার্চ (মঙ্গলবার) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনি ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

রাষ্ট্রের পক্ষে প্রথমে শহিদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম। এরপর জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা পরিষদের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার ফরহাদ আহমেদ, পৌরসভার পক্ষে মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে সিভিল সার্জন ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া, উপজেলা পরিষদের পক্ষে চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের পক্ষে এডভোকেট জাফর আহমেদসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।

এরপর শহরের শহিদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পন ও শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। সকাল সাড়ে ৮ টায় টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সমাবেশ, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিএনসিসি সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

সকাল ১০ টায় শহিদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. ছানোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আশরাফউজ্জামান স্মৃতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার জহিরুল হক ডিপটি, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ প্রমুখ।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বিন মোহাম্মদ আলী।

দিবসটি উপলক্ষে বাদ যোহর ও সুবিধাজনক সময়ে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু পরিবার, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবা যত্ম কেন্দ্র সমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. মার্চ ২০২৪ ০২:১৬:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ছিনতাইকালে আটক ২ পুলিশ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ছিনতাইকালে আটক ২ পুলিশ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর

একতার কণ্ঠঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের মির্জাপুরে ছিনতাইকালে দুই কনস্টেবলকে গ্রেপ্তারের পর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকালে তাদের আদালতে পাঠালে বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার ধেরুয়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ওই রাতেই তাদের দুজনকেই সাময়িক বহিষ্কার করে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

গ্রেপ্তারকৃত দুই পুলিশ কনস্টেবল হলেন, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কোদালিয়ার ময়নাল হকের ছেলে মো. মোহসীন মিয়া এবং টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মিরিকপুর গ্রামের কৈলা রাজবংশীর ছেলে রিপন রাজবংশী। এই দুই কনস্টেবল মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানায় কর্মরত আছেন। ইতোমধ্যে তাদেরকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের উপজেলার ধেরুয়া ফ্লাইওভার ব্রিজের দক্ষিণ পাশে একটি পিকআপকে থামার সিগন্যাল দেয় তারা। এ সময় চালক ও হেলপারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পাশেই দেওহাটা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে মামলার ভয় দেখিয়ে ১১ হাজার ৫৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে চালক ও হেল্পারদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যদের ধরে ফেলে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার ২১০ টাকা, একটি মোটরসাইকেল, একটি হ্যান্ডকাফ, পুলিশের পোশাক ও বেল্ট উদ্ধার করা হয়।

ওই রাতেই মধুপুর উপজেলার পিকআপ চালক রানা বাদী হয়ে ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম জানান, এই ঘটনায় পিকআপ চালক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তাদেরকে আদালতে পাঠানোর পর দুই দিনের রিমান্ডে আনা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. মার্চ ২০২৪ ০২:৩৮:এএম ৬ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।