একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অপহরণ ও চাঁদাবাজি মামলায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের হাতিলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার দুপুরে অপহরণ, ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করাসহ নগদ ৫’শ টাকা আদায়ের অভিযোগে ৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী যুবক মো. রুবেল রানা।
গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই সরকার দলীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও হাতিলা গ্রামের ধীনেশ সরকারের ছেলে প্রশান্ত সরকার (৩৫), ইউনিয়ন ছাত্রীগের সাধারণ সম্পাদক ও হাতিলা গ্রামের জহুর উদ্দিনের ছেলে রিপন মিয়া (৩০), ধীরেন চন্দ্র মন্ডলের ছেলে প্রতিক কুমার সরকার (২৩), অজিবর রহমানের ছেলে রিমন মিয়া (২১)।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- আইনুদ্দিনের ছেলে সবুজ (২১), চাঁদ মাহমুদের ছেলে রনি (২৩), জুলহাস মিয়ার ছেলে রাব্বি (২১) ও আজগর আলীর ছেলে সুজন (২১)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন।
তিনি জানান, পাশের কালিহাতী উপজেলার বিনোদ লুহুরিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মো. রুবেল রানা হাতিলা গ্রামের শশুর কান্দু মিয়ার বাড়িতে যাওয়ার পথে শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে অপহরণ করেন আটককৃতরা। মুক্তিপণের জন্য রাত প্রায় দেড়টা পর্যন্ত অপহৃতের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় তারা। এ সময় অপহৃত রুবেলের কাছে থাকা ৫’শ টাকা ছিনিয়ে নেয় অপহরণকারীরা। ঘটনাটি রাতেই অপহৃতের ভাই বাবু পুলিশকে জানায়। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে অপহৃত রুবেলকে উদ্ধার করাসহ অভিযুক্তদের আটক করে। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অপহৃত রুবেল নিজে বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা অপরহণ ও চাঁদা দাবির বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও জানান ওসি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মরিয়ম আখতার মুক্তা হিট স্ট্রোকে মৃত্যুবরণ করেছেন। প্রার্থীর স্বামী আরিফুর রহমানের দাবি, প্রচণ্ড গরমে তার স্ত্রী হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের এক ঘোষণায় উপজেলা পরিষদের সব পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে।
ঘোষণায় বলা হয়, যষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ৮ মে ২০২৪ তারিখে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু ভোটগ্রহণের পূর্বে মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে একজন বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সব পদের নির্বাচন স্থগিত করা হলো। পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ২০২৪ তারিখে এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতিপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তাদের নতুন করে মনোনয়ন দাখিলের প্রয়োজন হবে না। তবে পূর্বে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের প্রত্যাহারের সুযোগ দেওয়া যাবে। চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্বের মনোনয়ন বহাল থাকবে এবং উক্তপদের বিদ্যমান প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শুধু মাত্র মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুনভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার(২৬ এপ্রিল) হিট স্ট্রোকে মারা যান দুই দুইবার নির্বাচিত মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মরিয়ম আখতার মুক্তা। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং সাবেক এমপি হাতেম আলী তালুকদারের নাতনি মরিয়ম আখতার মুক্তা এবারও একই পদে নির্বাচনী মাঠে ছিলেন।
গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচর্নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী মারুফ হাসান জামী।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাজশাহী গামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল পাঁচটায় বঙ্গবন্ধু সেতু রেল সংযোগ সড়কের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় যাত্রীরা ভয়ে ট্রেন থেকে নামার সময় অন্তত ১০ জন আহত হন বলে জানা গেছে।
গরমের কারণে ট্রেনের হাইড্রলিক ব্রেক থেকে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। ঘটনার প্রায় ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট পর রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন মহেড়া স্টেশন মাস্টার সোহেল খান।
এলাকাবাসী জানান, ওই স্থানে বিকেল পাঁচটার সময় ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্রসিংয়ের জন্য সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামানো হয়।
‘ট’ বগির কয়েকজন যাত্রী নিচে নেমে হাইড্রোলিক ব্রেকের স্থানে আগুন দেখতে পান। খবর পেয়ে স্টেশনের ও ট্রেনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে আগুন লাগার খবরে আতঙ্কিত যাত্রীরা ভয়ে ট্রেন থেকে লাফিয়ে নামার চেষ্টা করলে কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
মহেড়া স্টেশন মাস্টার সোহেল খান জানান, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামানোর সময় গরমের কারণে ট্রেনের হাইড্রলিক ব্রেক থেকে আগুন লাগে। যাত্রীরা তাৎক্ষণিক জানতে পারায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। ট্রেন থেকে লাফিয়ে নিচে নামার কারণে আহত কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার কারণে সিরাজগঞ্জগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস মির্জাপুর রেলস্টেশন থেকে কিছুটা দেরিতে ছাড়ে।
একতার কণ্ঠঃ রাজধানী ঢাকার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের আয়োজনে প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকেরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দাসহ দোষীদের দ্রুত আইনের আওতা এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী তাজ উদ্দিন রিপন, কার্যকরী কমিটির সদস্য শামীম আল মামুন, মামুনুর রহমান প্রমূখ।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন এখন টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কাওসার আহমেদ, আনন্দ টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি মেহেদী হাসান চৌধুরী, খবরের কাগজের জুয়েল রানা, আজকের বসুন্ধরার রাহিদ রানা, শেয়ার বিজের সোহেল রানা, সাম্প্রতিক দেশকালের নওশাদ রানা সানভীসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীগণ।
এসময় বক্তারা বলেন, এফডিসির ভিতরে সাংবাদিকদের দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যে অপমান করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা টাঙ্গাইল থেকেই বলতে চাই যে যদি এই হামলার বিচার না হয় সেক্ষেত্রে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। ২২ সাংবাদিকদের উপর হামলাকারী শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজেন্ডার বো’র কঠিন বিচার করতে হবে। এছাড়াও হামলাকারীদের এফডিসি থেকে বহিস্কার করতে হবে।
একতার কণ্ঠঃ নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর সাফ বলে দিয়েছেন, একজন সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকায় অবশ্যই যেতে পারবেন। তবে কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না।
তিনি বলেন, ভোটের দিন স্থানীয় সংসদ সদস্যরা কেন্দ্রে গিয়ে অবশ্যই তার ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু কোনো প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্রে যেতে পারবেন না।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে টাঙ্গাইল জেলার তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি বলেন, যে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে- সেখানে যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে অথবা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকে, তাহলে সেখানে যে প্রিজাইডিং অফিসার আছেন, তিনিই নির্বাচন বন্ধ করতে পারবেন। তিনি যদি কোনো কারণে বন্ধ করতে না পারেন অথবা কারো সঙ্গে তার আঁতাত হয়ে যায় যে বন্ধ করবেন না- সেক্ষেত্রে আমাদের যারা রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার থাকবেন, তারাই নির্বাচন বন্ধ করতে পারবেন। আর এমন যদি হয়, উপজেলা নির্বাচনের কোনো কেন্দ্রেই নির্বাচন সুষ্ঠু করা যাচ্ছে না- তাহলে পুরো নির্বাচনটাই বন্ধ করে দিতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, যদি কোনো প্রার্থী বা তার সমর্থক অন্য কোনো প্রার্থী বা সমর্থককে আক্রমণ করেন, আগুন জ্বালিয়ে দেন বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেন। যেগুলোকে ফৌজদারি অপরাধ বলে- সে বিষয়ে শাস্তি আরও কঠিন হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরণবিধি যথেষ্ট না, আরও নির্বাচনী আইন আছে। সেই আইনের অধীনে ফৌজদারি অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে আমাদের অফিসার এবং পুলিশও মামলা করতে পারবেন। আমাদের অনুমতির প্রয়োজন হবে না।
ইসি আলমগীর বলেন, এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাই থাকবে- শুধু সেনাবাহিনী থাকবে না। সেনাবাহিনী শুধু জাতীয় নির্বাচনে রাখা হয়। জাতীয় নির্বাচন সারা দেশে একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কম থাকে- সেজন্য সেনা মোতায়েন করা হয়। উপজেলা নির্বাচন কয়েকটি ধাপে হবে। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরি সদস্য আমরা অনুমোদন দিয়েছি।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম। এসময় টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমানসহ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরের রামপুর চতিলা গ্রামের দাখিল পড়ুয়া এক ছাত্রীর বাড়িতে তার প্রেমের টানে ছুটে এসেছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর আলিম পড়ুয়া আরেক ছাত্রী। পরে পুলিশ দুজনকে আটক করে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল হক তৈয়ব।
জানা যায়, টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার চতিলা গ্রামের ওই মাদ্রাসা ছাত্রীর সঙ্গে একবছর আগে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর আলিম পড়ুয়া মেয়ের ফেসবুকে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের আগস্টে টাঙ্গাইলের মেয়ের বাড়িতে আসে কিশোরগঞ্জের মেয়েটি। বান্ধবী পরিচয়ে একসঙ্গে তারা রাত্রিযাপন করে। এর ধারাবাহিকতায় ৩দিন আগে টাঙ্গাইলের মেয়েটির বাড়িতে আবারও চলে আসে কিশোরগঞ্জের মেয়েটি। উভয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় ১ হাজার ৫’শত টাকায় বাসা ভাড়া নেয়। তাদের চলাফেরা সন্দেহজনক মনে হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। রবিবার (২১ এপ্রিল) রাতে পুলিশ এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করে এবং বিয়ে করার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বাসার মালিক আব্দুল বারী জানান, চাকরিজীবী পরিচয় দিয়ে তারা তিনদিন আগে বাসা ভাড়া নেয়, অসহায় ভেবে আমি তাদের রুম ভাড়া দেই, তাদের অনৈতিক সম্পর্ক আমি কল্পনাও করতে পারিনি।
গোপালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমদাদুল হক তৈয়ব জানান, সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে এসব ঘটছে। এজন্য অভিভাবকদের সতর্ক থাকা উচিত। রবিবার রাতে দুজনকে আটক করে সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ অবশেষে দৃশ্যমান হলো প্রমত্তা যমুনার বুকে দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু ‘বঙ্গবন্ধু রেলসেতু’। এই রেলসেতু নির্মাণের সর্বশেষ ৪৯ নম্বর স্প্যানটি শনিবার (২০ এপ্রিল) স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন যমুনার বুকে সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে দেশের সবচেয়ে বড় রেলসেতু ‘বঙ্গবন্ধু রেলসেতু’।
এ ব্যাপারে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের অন্যতম মেগা প্রকল্প দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু নির্মাণের কাজ ৮৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। এখন ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর এই সেতুর সুপার স্ট্রাকচার (বাহ্যিক দৃশ্যমান) পুরোটাই শেষ হয়েছে। এখন রেলসেতুর কিছু কাজ বাকি রয়েছে। রেলসেতুতে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণও শেষের দিকে। হয়তো আগস্ট মাসে পুরো কাজ শেষ হয়ে যাবে। পরীক্ষামূলক সব কাজ শেষ করে এ বছরের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্তরবঙ্গের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের এই রেলসেতু উদ্বোধন করবেন।
রেল মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু রেলসেতুটি চালু হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারা দেশের রেলযোগাযোগ ও রেলওয়ে পরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রান্সএশিয়ান রেলপথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতি বেগবান হবে।
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা ব্যয়ের মধ্যে ৭২ ভাগ অর্থ ঋণ দিচ্ছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। জাপানের আইএইচআই, এসএমসিসি, ওবায়শি করপোরেশন, জেএফই ও টিওএ করপোরেশন এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ অংশে দুটি প্যাকেজের আওতায় ৫০টি পিলার ও ৪৯টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর স্প্যানে স্লিপারবিহীন রেললাইন বসানো হচ্ছে। দেশের রেললাইনে জাপানি এ প্রযুক্তির ব্যবহার এটাই প্রথম। এ প্রযুক্তিতে স্টিল স্ট্রাকচারের গার্ডারের সঙ্গে রেললাইনের সংযোগ প্রযুক্তিতে কোনো স্লিপার থাকবে না। রেলসেতুতে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ দুই ধরনের রেললাইনের সমন্বয়ে ডুয়েলগেজ ট্র্যাক বসানোর কাজ চলছে। ডাবল লাইনের এই সেতুতে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।
বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতুর অর্ধাবৃত্তাকৃতির বিপরীত অংশে ভারী লোহার পাত যুক্ত করে সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলাচল করায় একটি ট্রেনকে সেতু পাড়ি দিতে ২২ মিনিট সময় লাগে। এতে করে সেতুর দুই দিকে ট্রেনের জট সৃষ্টি হয়। এ কারণে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেলযোগাযোগে প্রতিটি ট্রেনকে গড়ে ৩০ মিনিট করে বেশি লাগে।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু’ প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু চালু হলে প্রতিদিন ৬৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে। নতুন রেলসেতু চালু হলে একদিকে যেমন ট্রেনে গতি ফিরবে তেমনি যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
একতার কণ্ঠঃ মাদক, সন্ত্রাস, বাল্য বিয়ে, ইভটিজিং, জুয়ারোধ, চাঞ্চল্যকর হত্যাকন্ডের দ্রুত সময়ে রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের গ্রেপ্তার, অপরাধ দমন এবং সর্বাধিক ওয়ারেন্ট তামিল লক্ষ্য পূরণ করাসহ ভালো কাজের বিশেষ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে আবারও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আহসান উল্লাহ্। তিনি জেলার ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে জেলা পুলিশের উদ্যোগে পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে আয়োজিত মাসের কল্যাণ সভায় তাকে শ্রেষ্ঠ ওসির সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এ সময় ওসি আহসান উল্লাহ্’র হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট (পুরস্কার) তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার (বিপিএম) (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)। এতে জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন থানার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনিয়ে জেলার মধ্যে চতুর্থবারের মতো শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন তিনি। একইসাথে ভূঞাপুর থানাও শ্রেষ্ঠ হয়েছে এবং থানার এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলসহ ৯ জন ক্রেস্ট সম্মাননা পেয়েছেন। তার এই অর্জনে উপজেলার সুধীজন, বিভিন্ন সামাজিক সেবামূলক সংগঠন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ বলেন, জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার মহোদয় (অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এর দিক-নির্দেশনায় মাদক, সন্ত্রাস, বাল্য বিয়ে, ইভটিজিংরোধ ও চাঞ্চল্যকর হত্যাকন্ডের দ্রুত সময়ে রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তারসহ বিশেষ অবদানের জন্য চতুর্থ বার আমাকে শ্রেষ্ঠ ওসি ও ভূঞাপুর থানাকে শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ভূঞাপুর থানার কর্মরত সকল পুলিশ সদস্য এবং উপজেলার সকলের সার্বিক সহযোগিতায় ভূঞাপুর থানার এমন এক সাফল্যময় গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এই অর্জন সকলের। তাছাড়া জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি ও থানা নির্বাচিত হওয়ায় আমাদের দায়িত্ববোধ আরও বেড়ে গেল। ভূঞাপুর থানা সকলের জন্য উন্মুক্ত। আগামী দিনগুলোতে আরও ভালো কিছু করতে ভূঞাপুর উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরে উত্তেজনার প্রেক্ষিতে কোন পক্ষকেই সমাবেশ করতে দেয়নি জেলা প্রশাসন।
জেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ, সচেতন নাগরিক সমাজ ও জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে একই সময় সমাবেশের আহ্বান করায় বর্তমানে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও বিবাদমান দুই গ্রুপের কাউকেই শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সমাবেশ স্থলে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। ফলে টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ যথাক্রমে পৌরসভার সামনে ও থানা পাড়া ‘রবি’ অফিস মোড়ে এবং পূর্ব আদালত পাড়া মোড়ে তাদের কর্মী-সমর্থকদের জমায়েত করে সংক্ষিপ্ত পথ সমাবেশ করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সমাবেশ স্থলে ও শহরের মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। এছাড়া এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড় গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া পুলিশ, ডিবি ও র্যাবের ভ্রাম্যমান টহল দল শহরময় প্রদক্ষিণ করে। সকালে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ টাঙ্গাইল পৌর ভবনের সামনে জমায়েত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশি বাধায় তা পন্ড হয়ে যায়।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, টাঙ্গাইল শহরের পরিস্থিতি বর্তমানে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, দুই পক্ষ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থাকায় কোন পক্ষকেই সমাবেশ না করতে দেয়ার বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, একটি অংশ ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত দলের শহর শাখা থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে ‘টাঙ্গাইলের সচেতন নাগরিক সমাজ’ এর ব্যানারের এই সমাবেশের আহ্বান করে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন টাঙ্গাইল পৌর মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান আনছারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল প্রমুখ।
অপর পক্ষ “জেলা শ্রমিক ফেডারেশন” এর ব্যানারে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে একই দিন একই সময় শ্রমিক সমাবেশের আহ্বান করে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন, জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বালা মিয়া, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির এমপি ও ফেডারেশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান ওরফে আমিন প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন স্থানে বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে অন্তত ৬টি বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
রাত ৯টা ২৭ মিনিটে শহরের পৌর ভবনের সামনে দুটি, শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানের পূর্ব পাশের কোনায় একটি, শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একটি ও টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিকট শব্দে দফায় দফায় বিষ্ফোরণের পর সাধারণ মানুষ দিদ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। এসময় নিরালা মোড়সহ শহর ফাঁকা হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে তৈরি
হয় আতঙ্ক।
পরে পুলিশের একটি দল পৌর ভবনের সামনে থেকে অবিষ্ফোরিত তিনটি তাজা বিষ্ফোরক উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের একই সময়ে দুটি সমাবেশ আহবান করা হয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে আতঙ্ক তৈরি করার লক্ষ্যে একটি পক্ষ এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।
এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ডাকা রাজনৈতিক মিছিল ও সমাবেশ বাতিল করা হয়েছে বলেন জানান টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার।
বিষ্ফোরণের ঘটনার পর শহরে পুলিশ ও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া শহরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত
পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে নয়টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে চারজন হেলমেট পরিহিত আরোহী পৌর ভবনের সামনে এসে হঠাৎ দুটি বিষ্ফোরণ ঘটায়। এসময় তারা আরো তিনটি বিষ্ফোরক ছুড়লেও তা বিষ্ফোরিত হয়নি। পরে একটি মোটরসাইকেল বিন্দুবাসিনী বালক বিদ্যালয়ের পেছনের সড়ক দিয়ে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ’র দিকে চলে যায়। অপর মোটরসাইকেলটি ক্লাব রোড হয়ে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের দিকে চলে যায়।
তারা আরও জানায়, পরে পুলিশ এসে টাঙ্গাইল পৌর ভবনের সামনে থেকে তিনটি অবিষ্ফোরিত বিষ্ফোরক উদ্ধার করে এবং বিষ্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব বলেন, কে বা কাহারা মোটরসাইকেল যোগে এসে পৌর ভবনের সামনে দুটি বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে। এছাড়া এখান থেকে তিনটি অবিষ্ফোরিত বিষ্ফোরক উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এগুলো ককটেল নাকি অন্য বিষ্ফোরক তা খতিয়ে দেখা হবে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার বলেন, আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে আমার কাছে মিছিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিষ্ফোরণ ঘটনার পর তাদের মিছিলের অনুমোদি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। শহরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যারা এই বিষ্ফোরণ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ ‘পৃথক দুটি ব্যানারে’ বৃহস্পতিবার একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশের আহ্বান করেছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চলছে উত্তেজনা। এক পক্ষ টাঙ্গাইলের সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে একটি সমাবেশ আহ্বান করেছেন। তাঁরা ধর্ষণ মামলার আসামি শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি প্রাপ্ত গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি করছে।
অপর পক্ষ জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে একই দিন একই সময় শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বালা মিয়া, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির ও ফেডারেশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান ওরফে আমিন।
তানভীর হাসান টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া তাঁর ভাই।
টাঙ্গাইলের সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারের নেতৃত্বে রয়েছেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম সিরাজুল হক, সদর উপজেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান আনছারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল।
একতার কন্ঠ: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস- মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো রনি হোসেন নামে এক মোটরসাইকেল চালকের নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের সরাতৈল নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোঃ রনি হোসেন (৩০) কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর এলাকার চাঁদ প্রামাণিকের ছেলে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী বাসটি ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সরাতৈল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই গুরুতর আহত হয় মোটরসাইকেল চালক। মোঃ রনি। এ সময় তার সাথে থাকা একজন আরোহীও আহত হয়।
তিনি জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থেকে আহত অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই জনকে উদ্ধার করা হয়।পরে গুরুতর আহত মোটরসাইকেল চালক রনিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।হাসপাতাল নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কন্ঠ: গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একতা এক্সপ্রেসে ট্রেনের ছাদে থাকা হানিফ মিয়া নামে এক যাত্রীর নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল রেলস্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
নিহত হানিফ জয়পুরহাট জেলার আমতলী থানার আমতলী গ্রামের আ. হান্নানের ছেলে।
ঘারিন্দা রেলস্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আকবর জানান, জয়পুরহাট থেকে ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে উঠে নিহত হানিফ মিয়া।
পথিমধ্যে কোথায় কীভাবে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে তা কেউ বলতে পারেনি। ট্রেনটি টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেল স্টেশনে এসে পৌঁছালে মরদেহটি দেখার পর উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, মরদেহটি রেলওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।