একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাসে আর্মি মেডিকেল কোরের ১৩তম কর্নেল কমান্ড্যান্টের অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে শহীদ সালাহউদ্দিন সেনানিবাসে সামরিক রীতি মেনে এ অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠান শেষে বৃক্ষ রোপণ ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় সামরিক চিকিৎসা সার্ভিস মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান আর্মি মেডিকেল কোরের ১৩তম কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে অভিষিক্ত হন এবং সশস্ত্র সালাম গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, ১৯ পদাতিক ডিভিশনের ঘাটাইল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী, ডাইরেক্টর অব মেডিকেল সার্ভিসেস (আর্মি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাহউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বিএনপি অভ্যন্তরীন কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করছে। কোন্দলের কারণে জেলার অভ্যন্তরীন বিএনপির রাজনীতি এখন দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
ফলে দলীয় কোন্দল এখন জেলা সদর থেকে ছড়িয়ে পড়েছে ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যন্ত।
দলের মধ্যে রেষারেষি আর বিভক্তি এমন পর্যায়ে নেমে এসেছে যে কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনেক কর্মসূচি পৃথকভাবে পালন করছে দলটির নেতাকর্মীরা।কোন্দলের কারণে প্রায় কর্মসুচিতে সচরাচর অংশ নিতে দেখা যায়না অনেক নেতাকেই।
এই কোন্দলের আচঁর লেগেছে যুবদল ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোতেও। বিভক্তির শিকার এসব সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ থেকেও বিরত থাকছেন।
যা তৃনমুল ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তাদের অভিযোগ নেতায় নেতায় দ্বন্দ্বের কারণে টাঙ্গাইলে রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিএনপি ক্রমেই দূর্বল হয়ে পড়ছে।
দলীয় কোন্দল ও বিভক্তি নিরসন করতে না পারলে আগামী দিনে আন্দোলন কর্মসূচি পালন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চরম খেসারত দিতে হবে বলে মনে করছেন তৃণমুল নেতাকর্মীরা।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির কোন্দল দীর্ঘদিনের পুরোনো। বিগত ১৯৯৭ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সভাপতি মেজর জেনারেল (অবঃ) মাহমুদুল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বুলবুল নির্বাচিত হন।
নির্বাচিত হওয়ার পরে এক পর্যায়ে এ দু’নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে তাদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায়। দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও বহিস্কারের ঘটনাও ঘটে।
পরে ২০০৯ সালের ২১ জুন এডভোকেট আহমেদ আযমকে আহবায়ক ও কৃষিবিদ শামছুল আলম তোফাকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়।
তখন জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দুরত্ব বাড়তে থাকে। ২০১১ সালের ৯ জুন পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।
মুলত দু’পক্ষেই নিজেদের পছন্দের লোক কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করতে গিয়ে কমিটি গঠন করতে দুবছর সময় লাগে। মূলত তখন থেকেই বিএনপির অন্তর্দলীয় কোন্দল প্রকাশ্য রূপ নেয়।
আহমেদ আযম খানের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের বিরুদ্ধে তখন থেকেই বিএনপির একটি অংশ সরব হয়ে উঠে।
তখন বিএনপিতে বিভক্তির কারণে জেলা ছাত্রদল, যুবদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। মূল দলে বিভক্তির কারণে এসব অঙ্গ সংগঠনেও বিভক্তি দেখা দেয়।
বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালের নভেম্বরে অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানকে আহবায়ক ও মাহমুদুল হক সানুকে সদস্য সচিব করে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
সব উপজেলা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে তিন মাসের মধ্যে পুর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য বলা হয়। কিন্ত কয়েক মাসের মধ্যে ওই কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে পুনরায় আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
ওই কমিটিতে আহমেদ আযম খান আহবায়ক হলেও বাদ পড়েন সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, যুগ্ম-আহবায়ক অমল ব্যানার্জি, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছাইদুল হক ছাদুসহ অনেক নেতা। এঘটনায় জেলা বিএনপির বিশাল একটি অংশ ক্ষুব্দ হন।
তাদের অভিযোগ আহমেদ আযম খান ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তার পক্ষের লোকজন দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করেছেন। পদবঞ্চিত এই অংশটি আহমেদ আযমের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করেন।
তারা সংবাদ সম্মেলন করে ছাইদুল হক ছাদু ও মাহমুদুল হক সানুর নেতৃত্বে বিএনপির সকল কার্ষক্রম চলবে বলে ঘোষনা দেন। তার অংশ হিসেবে তারা পৌরশহর ও সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করেন।
গত ২৩ আগষ্ট আশরাফ পাহেলীকে সভাপতি ও সাবেক ভিপি নুরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর শহর বিএনপি ও শফিকুর রহমান খান শফিককে সভাপতি ও আজহারুল ইসলাম লাবুকে সাধারণ সম্পাদক করে সদর উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন করে।
বিদ্রোহী কমিটির নেতা শফিকুর রহমান খান শফিক জানান, আমরা ইতিমধ্যে ১২টি ইউনিয়ন কমিটি করেছি। অধিকাংশ ওয়ার্ড কমিটি করা হয়েছে। দুই একটি কমিটি বাকি রয়েছে। এগুলো শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সদর উপজেলা ও পৌরশহর সম্মেলন করব।
যুগ্ম-আহবায়ক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল জানান, ইউনিয়ন ওয়ার্ড কমিটি শেষ করে গত বৃহস্পতিবার সদর উপজেলা ও পৌর কমিটি সম্মেলন করা হয়েছে। ওই সম্মেলনে আজগর আলীকে সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে সদর উপজেলা ও পৌর কাউন্সিলর মেহেদী হাসান আলীমকে সভাপতি ও ইজাজুল হক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে পৌর শহর কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যুগ্ম-আহবায়ক হাসানুজ্জামিল শাহিন বলেন, বিদ্রোহীদের কমিটি গঠনের সাংগঠনিক কোন ভিত্তি নেই। তারা যা করছে তা নিয়ম বহির্ভূত ও অগঠনতান্ত্রিক কাজ । দলের ভেতর তারা বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে। কেন্দ্রে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। কেন্দ্র থেকে খুব শিঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে সাংগাঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু বলেন, ব্যর্থতার কারণে যদি কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয় তাহলে আহমেদ আযমও আহবায়ক থাকার কথা নয়। অর্থাৎ তিনি প্রভাব খাটিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল বুঝিয়ে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁতকারী সুবিধাভোগী এবং ক্ষমতাসীন দলের সাথে ব্যবসা বানিজ্য করছেন এমন লোক আহবায়ক কমিটিতে স্থান পেয়েছেন। যা জেলার অধিকাংশ সিনিয়র নেতারা মেনে নিতে পারছেন না।
জেলা বিএনপির আহবায়ক আহমেদ আযম খান বলেন, বিএনপি একটি বড় দল। এখানে মত পার্থক্য থাকবে। আহবায়ক কমিটির সব যুগ্ম-আহবায়কসহ সকল নেতৃবৃন্দ আমাদের পক্ষে রয়েছে। পদ বঞ্চিত হয়ে দুই একজন বিদ্রোহ করতেই পারে।
তিনি আরো বলেন, তবে আমি তাদের গুরুত্ব দিচ্ছি না। তারা ভুল বুঝছে, সংশোধন হলে এমনিতেই তারা ফিরে আসবে। গত বৃহস্পতিবার শহর ও সদর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কেন্দ্রীয় বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশানার বাইরে গিয়ে দলে যে কেউ অসাংগঠনিক বা নিয়ম বহির্ভূত কাজ করলে দল তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে ধনবাড়ী থেকে তোফাজ্জল হোসেন, গোপালপুরে এসএম রফিকুল ইসলাম, ভূঞাপুরে খায়রুল ইসলাম, ঘাটাইলে রোকনুজ্জামান ঠান্ডু, কালিহাতীতে আয়নাল হক, টাঙ্গাইল সদরে মাসুরুল ইসলাম, দেলদুয়ারে মোশারফ হোসেন, নাগরপুরে শহিদুল ইসলাম, বাসাইলে নাসির খান, সখীপুরে আনোয়ার হোসেন তালুকদার ও মির্জাপুরে তাহেরুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।
সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে মাহমুদা বেগম (ধনবাড়ী, মধুপুর, গোপালপুর), রাজিয়া সিদ্দিকী (ঘাটাইল, কালিহাতী, ভূঞাপুর), শিমু খান (সদর, নাগরপুর, দেলদুয়ার) ও খালেদা সিদ্দিকী (মির্জাপুর, বাসাইল, সখীপুর)।
প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ফজলুর রহমান খান ফারুক এবং মধুপুরের সদস্য পদে খন্দকার শফিউদ্দিন মনি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব ও পশ্চিমের সয়দাবাদ রেলস্টেশনে অভিযান চালিয়ে বিনা টিকিটে ভ্রমণকারী ২৭২ জন যাত্রীর জরিমানা করা হয়েছে। এসব যাত্রীর কাছ থেকে ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
রোববার (৯ অক্টোবর) দিনব্যাপী পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে এই দুই রেলস্টেশনে অভিযান চালানো হয়।
এসময় বনলতা এক্সপ্রেস, ধুমকেতু, সুন্দরবন, চিত্রা, দ্রুতযান, কুড়িগ্রাম পদ্মা ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের বিনা টিকেটে ভ্রমণকারী যাত্রীদের জরিমানা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ফারহান মাহমুদ, আবুহেনা শাহ্আলম, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশনের বুকিং ইনচার্জ রেজাউল করিম প্রমুখ।
পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, বিনা টিকিটে যাত্রীরা যাতে ট্রেন ভ্রমণ না করেন সেই বিষয়ে সচেতনতার পাশাপাশি অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়।
তিনি আরো জানান, এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
একতার কণ্ঠঃ জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেওয়ায় মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৫ মিনিট থেকে দেশের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। জাতীয় গ্রিড হলো বাংলাদেশে একমাত্র বিদ্যুৎশক্তি সঞ্চালন গ্রিড। এটি পরিচালনা করে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
এই গ্রিডের কাজ হলো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আগত বিদ্যৎ কে ম্যানেজ করে আমাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া , যার ফলে যদি সোলার প্লান্ট থেকে কোনো ইলেকট্রিসিটি নাও আসে তাতেও আমাদের বাড়ির ইলেকট্রিসিটি যেন চলে না যায়।
জাতীয় গ্রিড হলো প্রতিটি গ্রিডের সংঙ্গে অন্য একটি গ্রিড কে যুক্ত করে রাখা।
উদাহনত হিসেবে ধরুন : বিভিন্ন Division অথবা State এর মধ্যে প্রতিটি গ্রিড একটিকে উপরটির সাথে যুক্ত করা হয়ে থাকে , এরফলে যদি কোনো কারণে একটি গ্রিড Fail হয়ে যায় তাহলে অন্য Division অথবা State এর গ্রিড থেকে ইলেকট্রিসিটি প্রদান করা সম্ভব।
ধরুন, একটি পাওয়ার প্লান্ট কোনোভাবে বন্ধ হয়ে গেলো , ওই সময় গুরুত্বপূর্ণ শহরের ইলেক্ট্রিসিটি যাতে না চলে যায় এরজন্যই গ্রিড কে অন্য গ্রিডের সংঙ্গে যুক্ত করে রাখা হয় , যা জাতীয় গ্রিড (National Grid) বলা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর কাছে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাসের ওপর উঠে গেলে ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা একতা পরিবহনের একটি বাস বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পরই ব্রেক ফেল করে। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাকাগামী লেন থেকে উত্তরবঙ্গগামী লেনে উল্টে গিয়ে একটি মাইক্রোবাসের ওপর উঠে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সফিকুল ইসলাম নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।আহত অন্তত ৪০ জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতের সংখ্যা বাডার সম্ভাবনা রয়েছে। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে ।
একতার কণ্ঠঃ কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, যেকোনো রাজনৈতিক সংগঠনের মিছিল-মিটিং করার মৌলিক অধিকার রয়েছে। সংবিধানে লেখা আছে, মানুষের জীবনমানের উপর কোনো হুমকি সৃষ্টি করা যাবে না, জীবনমানকে ঝুঁকির মাঝে ফেলা যাবে না। আমরা দেখছি বিএনপি ঠিকই সমাবেশ করছে। সমাবেশ থেকে মিছিল বের করেই পুলিশের উপর হামলা করছে। যখন পুলিশের উপর হামলা করে তখন তারা বাধ্য হয় পদক্ষেপ নিতে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি মিথ্যাচার করে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করছে। তারা ২০১৩ সালে ফিরে যেতে চাচ্ছে। তারা নির্বাচনে যাবে না, গাড়িতে আগুন দেবে, ইলেক্ট্রনিক লাইন খোলে দেবে, ট্রেনে আগুন দেবে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারবে, এটা আমরা করতে দেব না। বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অনেক সু-শৃঙ্খল। মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের। বিএনপি লাঠি নিয়ে অস্ত্র নিয়ে তাদের নিরাপত্তা দিতে পারবে? আর সরকার তা মেনে নেবে? এটা সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব।
টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আয়োজিত সম্মেলনে শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম সিরাজুল হক আলমগীরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম এমপি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও একুশে পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির প্রমুখ।
এসময় শহর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাংলাদেশে কাজ করা বিশ্বের সব দেশের রাষ্ট্রদূত মিলে বললেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে না।
বৃহস্পতিবার(২৯ সেপ্টেম্বর)দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা চাই, বিএনপিসহ ছোট–বড় সব দলই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে শেষ দিন পর্যন্ত আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আপনারা নির্বাচনে যাবেন না—এমন উসকানি কেউ যেন না দেয়। এটা আমেরিকার অ্যাম্বাসেডর হোক আর যেকোনো দেশের অ্যাম্বাসেডর হোক কিংবা সকল অ্যাম্বাসেডর মিলে বললেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না।’
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিএনপি বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে নির্বাচনে যাবে না। সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। সংবিধানে স্পষ্ট লেখা আছে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। আজ বিএনপি মহড়া দিচ্ছে, লাঠির মধ্যে বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে মিছিল ও সমাবেশ করছে। সব মিলিয়ে তারা সন্ত্রাসের দিকে যাচ্ছে। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যেভাবে মোকাবিলা করেছি, ভবিষ্যতেও ঠিক একইভাবে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব, ইনশা আল্লাহ।’
বর্তমান সরকার বিএনপিকে সভা সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সমালোচনা করুক। দেশে পত্রপত্রিকা আছে, টেলিভিশন আছে। কোথাও কোনো বাধা নেই। তারা সংসদেও কথা বলছে। তাদের তো কোনো সমস্যা নেই। তারপরও তারা কেন এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে? এই পরিস্থিতি আমরা কোনোভাবেই হতে দেব না। মানুষের জান-মাল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা এবং দেশের উন্নয়নকে অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সক্ষমতা দিয়ে যা করা দরকার, তা–ই করবে।’
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য আতোয়ার রহমান খান, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলমগীর খান, শামসুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফউজ্জামান, শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডের ( কালিহাতী) সদস্য পদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও ১২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা মো. আয়নাল হককে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়েছেন । বুধবার(২৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন সরেজমিনে ঘুরে ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সাথে কথা বললে এই সমর্থনের কথা তারা জানান।
জানাগেছে, কালিহাতী উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, কালিহাতী পৌরসভার মেয়র নুরন্নবী সরকার, দশকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মালেক ভুঁইয়া,নাগবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল কাইয়ুম বিপ্লব, বল্লা ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ, কোকডহরা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, পাইকড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন,সহদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান খান ফরিদ,গোহালিয়া বাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ, সল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম, নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাসুদ তালুকদার, বীরবাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, পারখী ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী তালুকদারসহ অনেকেই প্রার্থী আয়নাল হকের নির্বাচনী কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে অংশ নিয়েছেন।
কালিহাতী উপজেলা চেয়ারম্যান আনছার আলী বিকম জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারীর নির্দেশনা অনুযায়ী তারা সদস্য পদে আয়নাল হককে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালা করছে। এ নির্বাচনে তারা ভোটাদের কাছ থেকে প্রার্থীর পক্ষে ব্যপক সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
কালিহাতী পৌরসভার মেয়র নুরন্নবী সরকার জানান, আমরা সকলে মিলে সদস্য পদে আয়নাল হকের মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছি। সবেমাত্র যাচাই-বাচাই হয়েছে। এখন পুরোদমে নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি আশা করছেন তাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।
দশাকিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম এ মালেক ভুঁইয়া জানান, কালিহাতী উপজেলায় ১৩টি ইউনিয়ন তার ১২ ইউপি চেয়ারম্যান মিলে সকলেই তারাা আয়নাল হককে সমর্থন দিয়েছেন। শুধু সমর্থনই নয়, প্রার্থী আয়নাল হককে সাথে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে যাচ্ছেন। এ নির্বাচনে আয়নাল হকের বিজয় সুনিশ্চিত বলে তিনি জানান।
প্রকাশ, সম্প্রতি কালিহাতীর সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারীর বিদেশ সফরের প্রাক্কালে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও সকল ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারদের ডেকে নিয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ড (কালিহাতী) সদস্য পদে আয়নাল হককে সমর্থন দেন। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেন। কিন্তু গত সোমবার(২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে এলেঙ্গা বিরতি রেষ্টুরেন্টে সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকৃত হাসানুজ্জামান তালুকদার রঞ্জুকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ঘোষনা করেন। এতে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা সরাসরি ঘুষ লেনদেন না করে এবার বিশেষ সংকেতের মাধ্যমে ঘুষ বাণিজ্য করছে এমন অভিযোগ ওঠেছে। পাসপোর্ট অফিস ও এর সংলগ্ন এলাকা ঘুরে এমন সংকেতের সত্যতা পাওয়া গেছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গণি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সরেজমিনে সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই শত শত পাসপোর্ট প্রত্যাশী আসেন টাঙ্গাইল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে। পাসপোর্ট অফিসের ভিতর থেকে বাহির পর্যন্ত তাদের দীর্ঘ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় কথা হয় বেশ কয়েক জন পাসপোর্ট প্রত্যাশীর সাথে। তারা জানান, সরকারি নিয়মে ব্যাংক ড্রাফ করে বৈধ নিয়মেই আবেদন ফাইল জমা দিতে গেলে অফিস থেকে বলে আপনার পেশা দিয়েছেন প্রাইভেট সার্ভিস, এ কারণে আপনার ট্রেড লাইসেন্স লাগবে। ফাইল জমা না দিতে পেরে একই কাগজ পত্র স্থানীয় দালারদের মাধ্যমে ফাইল প্রতি ১৫’শ টাকার মাধ্যমে জমা দিলে ফাইলগুলি জমা নেয় ওই কর্মকর্তারা।
তারা আরো জানান, পাসপোর্ট অফিসের পাশে কোর্ট চত্বরে জেলা পরিষদ রোডের দুই পাশে গড়ে উঠেছে চায়ের দোকান, কম্পিউটার দোকান, ফ্লেক্সিলোডের দোকান ও ওষুধের দোকান। বেশিরভাগ দোকানেই লোক দেখানোর জন্য রাখা হয়েছে কম্পিউটার ও ফটোকপি মেশিন। কিন্তু এর আড়ালে চলে ভিন্ন ব্যবসা। এখানে প্রকাশ্যে চলছে পাসপোর্ট নিয়ে জাল-জালিয়তি কারবার। এসব দোকানে ঘাপটি মেরে বসে থাকে দালররা। পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা কাগজপত্র ঠিক করতে গেলে দালালরা বলে উঠে ভাই নিজে নিজে পাসপোর্ট করতে পারবেন না। ভিতরে আমাদের লোক আছে কোনো রকম হয়রানি ছাড়াই পাসপোর্ট করতে পারবেন। এমন সুবিদেভোগী আশ্বাসে বেশীরভাগ পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা দালালদের ফাঁদে পড়ছেন। দালাল ছাড়া এমন হয়রানি যেন নিত্যদিনের সঙ্গী।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে পাসপোর্ট অফিসের একাধিক দালাল জানান, একদিনে পাসপোর্টের ফিঙ্গার হয় না। ব্যাংকড্রাফ করার পরের দিন ফিঙ্গার দিতে হয়। এর মূল কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, আগের দিন পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের ফাইলের সিরিয়াল নাম্বার হোয়াটস অ্যাপে দিতে হয়। জরুরি ফাইলের নিচে ফোটার চিহ্ন দিয়ে দেই। দিনশেষে প্রতি ফাইলে ১২’শ টাকা করে পাসপোর্ট অফিসের অসাধু কর্মকর্তাদের পরিশোধ করতে হয়। সরকারি নিয়মে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা লাগলেও দালালদের দিতে হয় আট থেকে ১২ হাজার টাকা। বানান ভুল থাকলে দিতে হয় ২০ হাজার টাকা, বয়স ভুল থাকলে তো কোনো কথাই নাই। ভুক্তভোগীকে গুনতে হয় লাখ টাকা।
পাসপোর্ট অফিসের তথ্য মতে, প্রতিদিন গড়ে ৫’শ থেকে ৭’শ ফাইল জমা হয়। ডেলিভারি হয় ৪ থেকে ৫’শ পাসপোর্ট। ক্যাটাগড়িতে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা লাগলেও সরকারি নিয়মের কোনো তোয়াক্কা চলে না এ অফিসে। এ বিষয়ে পাসপোর্ট অফিসের আরিফ নামের এক কর্মকর্তা জানান, আমি এখন আর জমা নেয়ার দায়িত্বে নাই। ফাইল জমা নেয়ার দায়িত্বে আছেন মো. জাহাঙ্গীর আলম, তিনি কি করছেন আমি জানি না। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ডক্টর মো. আতাউল গণি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে তানিয়া নামে এক কলেজছাত্রীর নগ্ন ভিডিও ফেসবুকে ছাড়ায় সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছেন।বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ভাতগ্রাম ইউনিয়নের সিংজুরী গ্রামে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
তানিয়া সিংজুরী গ্রামের হারুন মিয়ার মেয়ে এবং মির্জাপুর মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী ছিল।
পারিবারিক সূত্র জানায়, একই ইউনিয়নের বুড়িহাটি গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সুজন (২৪) প্রেমের ফাঁদে ফেলে তানিয়ার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। গোপনে তা ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তানিয়ার কাছ থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া কলেজে যাওয়া আসার পথে আরও টাকার জন্য তাকে মারধর করাসহ নানাভাবে ভয় ও হয়রানি করত তানিয়াকে। গত পনের দিন আগে ওই ভিডিওটি ‘লোকাল সাফি’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়লে তানিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এক পর্যায়ে বুধবার বিকালে তিনি সুইসাইড় নোট লেখে তাদের বসত ঘরে গলায় উড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এদিকে তানিয়ার আত্মহত্যার খবর জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত সুজন গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তানিয়ার বাবা হারুন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, গত পনের দিন আগে তার মেয়ে কলেজ থেকে ফেরার পথে সিংজুরী ব্রিজের কাছে তানিয়াকে আটকিয়ে মারপিট করে সুজন। পরে খবর পেয়ে আমরা সুজনকে আটকে রাখি। ইউপি মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম বাদশা এসে সুজনকে সর্তক করে তার বাবা-মার কাছে দিয়ে দেন। কিন্ত তারপরও সুজন তানিয়াকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে।
জাহাঙ্গীর আলম বাদশা মেম্বারের সঙ্গে কথা হলে তিনি এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
তানিয়ার বড় ভাই ডিপ্লোমা প্রকৌশলী আবু তালেব অভিযোগ করে বলেন, ভিডিও ছাড়ার আগে হিলারি নামে তার দশম শ্রেণি পড়ুয়া ফুফাতো বোনের কাছে সুজন হুমকি দিয়ে এসএমএস পাঠায়। তাতে সে লেখে ‘তানি এখন বেশি বুঝল, ওর মরণ আছে’। এরপর ‘লোকাল সাফি’ আইডি থেকে ওই ডিডিও ছেড়ে দিলে তানিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ গিয়ে তানিয়ার মরদেহ থানায় নিয়ে আসে।
সুইসাইড় নোট: ‘আমারে তুমরা সবাই মাফ কইরা দিও, আমার জন্য তুমাগো অনেক মান সম্মান নষ্ট হইছে, আমি চাই না তুমাগো আরো মান সম্মান নষ্ট হক। তোমরা জানো না ঐতি কি কি করছে আমার সাথে। আমের জোর কইরা ধর্ষণ করছে। তারপর আমার ছবি তুইলা সেই ছবি দিয়া আমার কাছে থাইক দেড় লাখ টাকার জিনিস নিছে।’
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, তানিয়া নামে ওই কলেজ ছাত্রী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। একটি সুইসাইড় নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আত্মহত্যার কারণ উদঘাটন করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তাদের জয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছে গোটা বাংলাদেশ। টাঙ্গাইলের গোপালপুরের নিভৃত গ্রামে বসে সে উল্লাস সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেছেন নমিতা রাণী সরকার। তিনি জাতীয় নারী ফুটবল দলের স্ট্রাইকার কৃষ্ণা রাণী সরকারের মা।
বাংলাদেশের জয়ে জোড়া গোল করেন কৃষ্ণা।
তবে দুঃখের বিষয় বিদ্যুৎ না থাকায় খেলা দেখতে পারেননি কৃষ্ণার মা। খেলা শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্রতিবেশীদের মুখ থেকে শুনেছেন মেয়েদের হিমালয় জয়ের কথা।
যোগাযোগ করা হলে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কৃষ্ণর মা বলেন , সারদিন উদ্বিগ্ন ছিলাম। বিদ্যুৎ না থাকায় খেলা দেখতে পারি নাই। তবে পরে জানতে পারি আমার মেয়েরা জিতেছে। আমি দেশবাসীর কাছে তাদের জন্য দোয়া চাই।
নমিতা রাণী সরকার আরো বলেন, আমার মেয়ের ফুটবল খেলা নিয়ে যারা একসময় কটাক্ষ করত, তারাই এখন এসেছে অভিনন্দন জানাতে। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
সোমবার কৃষ্ণা রাণী সরকারের জোড়া গোলে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে সাফে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। হিমালয় কন্যাদের হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনাল জিতে ইতিহাস গড়েন সাবিনা-শামসুন্নাহাররা।
উল্লেখ্য, কৃষ্ণা রাণীর জন্ম টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ১ জানুয়ারী ২০০১ সালে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের নিয়মিত খেলোয়ার। কৃষ্ণা বসুন্ধরা কিংস মহিলা দল ও বাংলাদশ মহিলা জাতীয় ফুটবল দলের হয়ে ফরোয়ার্ড হিসাবে খেলেন। পূর্বে, তিনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দল এবং গোপালপুর সুতি ভি এম. পাইলট মডেল হাইস্কুল ও টাঙ্গাইল জেলা দলের হয়ে খেলেছেন।