একতার কণ্ঠঃ পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি বাহিনী আরেকটি হামলা চালালে ইহুদিদের উপাসনালয়ে (সিনাগগ) হামলার হুশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিনি আন্দোলন হামাস। খবর আল আরাবিয়্যার।
গাজা উপত্যকায় হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার এক বক্তৃতায় বলেছেন, কেউ এমন দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সারা বিশ্বের হাজার হাজার সিনাগগ ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ইসরাইলি পুলিশ গত দুই সপ্তাহ ধরে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বারবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। ঘটনার ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তারা মসজিদের ভেতরে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করছে, যা মুসলিম বিশ্বে নিন্দার জন্ম দিয়েছে।
সিনওয়ার বলেন, যদি ইসরাইলি দখলদারিত্ব আল-আকসা মসজিদে হামলা বন্ধ না করে তাহলে তাদের একটি মহান যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।
তিনি বলেন, মে মাসের শেষ দিকে আল-আকসায় ‘আগ্রাসন’ চালালে হামাস ইসরাইলে শত শত রকেট নিক্ষেপ করবে। ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নিয়েছিল মে মাসের শেষ দিকে।
পূর্ব জেরুজালেমে চলমান সহিংসতা গত বছর ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে ১১ দিনের যুদ্ধের মতো আরেকটি সশস্ত্র সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে। ওই যুদ্ধটিও আল-আকসায় অস্থিরতার প্রেক্ষিতে শুরু হয়েছিল।
সূত্রঃ যুগান্তর নিউজ পোর্টাল
একতার কণ্ঠঃ ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে কেটে টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্য প্রদেশের খান্ডওয়া জেলায়।
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর (১৪) বাবা ও মামা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে সোমবার পুলিশ জানিয়েছে। খবর এনডিটিভির।
ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তির খণ্ডিত দেহ আজনাল নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি দেখে অভিযুক্ত ব্যক্তি ৫৫ বছর বয়সি ত্রিলোকচাঁদ বলে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি খান্ডওয়া জেলার সক্তপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ভিভেক সিং।
পুলিশের সাব ডিভিশনাল অফিসার রাকেশ পন্দ্রো বলেন, তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে ওই ব্যক্তি ১৪ বছরের এক কিশোরীকে যৌন হয়রানি করেছেন। শনিবার কিশোরীর বাবা ও মামা অভিযুক্ত ত্রিলোকচাঁদকে মোটরসাইকেলে করে আজনাল নদীতে নিয়ে যান। পরে তারা তার মাথা ও শরীর খণ্ডিত করে ফেলেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িত অন্যদেরও শনাক্ত করা হবে। নিহত ও অভিযুক্তরা আত্মীয় বলেও জানান তিনি।
একতার কণ্ঠঃ একাত্তরে বুদ্ধিজীবি হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইবুনাল বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার দুই যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের উপপরিচালক এবং তদন্তকারি কর্মকর্তা মতিউর রহমান খবরটি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের বেড়াডাকুরি গ্রামের মৃত সবুর মাস্টারের পুত্র মনিরুজ্জামান কোহিনূর এবং চাতুটিয়া গ্রামের মৃত শফি উদ্দীনের পুত্র আলমগীর হোসেন তালুকদার।
এদিকে ,এই দুই যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেফতারের খবরে সর্বত্র স্বস্তির নিশ্বাস ফিরে আসে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর kfফাঁসির দাবিতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে গোপালপুর পৌরশহরে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিল শেষে থানা ব্রীজ চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত
একতার কণ্ঠঃ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার আগের আলোচনাটা ছিল একেবারেই স্পিন–কেন্দ্রিক। আফগানদের তিন স্পিনার নিয়েই ছিল বাংলাদেশ দলের যত পরিকল্পনা সিরিজের আগে দুই দিনের অনুশীলনে স্পিনারদের বিপক্ষেই বেশি ব্যাটিং করে সময় কাটিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানরা।
কিন্তু বুধবার (২৩ ফেব্রয়ারি) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ হলো ঠিক উল্টোটা। আফগান–স্পিন ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই বাংলাদেশ দলের ওপরের সারির ছয় ব্যাটসম্যান আউট! ২৮ রান তুলতেই প্রথম ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেটি ৪৫ রানে ৬ উইকেট হতে বেশি সময় লাগেনি। আফগানদের ছুঁড়ে দেওয়া ২১৬ রানের লক্ষ্যটা তখন অসম্ভবই মনে হচ্ছিল।
ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে উঠে দাঁড়ানোর অনেক গল্প আছে। আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের গল্পটাও ঠিক তেমনই। ওপরের সারির ছন্দে থাকা ব্যাটসম্যানরা যখন ড্রেসিংরুমে, তখন সপ্তম উইকেট জুটিতে আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ ঘুরে দাঁড়ালেন। সেটিও কী দারুণভাবে! ব্যাটিংয়ের কর্তৃত্ব, শৈল্পিক দিক, চোখের আনন্দ—সবই ছিল দুজনের জুটিতে।
কিন্তু ম্যাচের অবস্থা আফিফ-মিরাজদের ব্যাটিং দক্ষতার বাইরেও চাপের মুখে পারফর্ম করার পরীক্ষা নিচ্ছিল। মুজিব-রশিদদের কতক্ষণ সামলে খেলতে পারেন দুজন? ধরে খেলতে গিয়ে রান রেট যদি বেড়ে যায়? পাল্টা আক্রমণে আবার আউটের ঝুঁকিও থাকে। দুজনের মধ্যে একজন আউট হলেই বাংলাদেশ দলের নড়বড়ে লোয়ার অর্ডারের দুয়ার খুলে যাবে। ঝুঁকির অলিগলি পেরিয়ে কীভাবে লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় এসব ভাবনার ঝড় নিশ্চয়ই ছিল দুজনের মস্তিস্কে বয়ে যাচ্ছিল।
আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা
তবে সেটি মাঠে করে দেখানো চাট্টিখানি কথা না। তখনো প্রতিপক্ষের তিন মূল বোলারের ৩০ ওভার শেষ হওয়া বাকি। ম্যাচের এমন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর পক্ষে বাজি ধরার পক্ষে আশাবাদী লোক সহজে খুঁজে পাওয়ার কথা না। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বশেষ সিরিজে আফিফ ছোট ছোট ইনিংসে দেখিয়েছিলেন তাঁর সামর্থ্যের ঝিলিক। কিন্তু এর আগে ৮ ওয়ানডে খেলে আফিফের ছিল না কোনো ওয়ানডে অর্ধশতক। মিরাজের সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংসটি এসেছিল ২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি না করেই অজেয় আফিফ
আজ সেই আফিফই হয়ে উঠলেন ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান। উইকেটের চারপাশে রান করে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরালেন ম্যাচের ভাগ্য। আক্রমণের সঙ্গে রক্ষণের দুর্দান্ত মিশেল দেখিয়ে দিলেন নিজের ওয়ানডে সামর্থ্য। মিরাজ ছিলেন তাঁরই আদর্শ সঙ্গী। পয়েন্ট ফিল্ডারের ঘুম হারাম করে কাট শটের নানা পদ দেখিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। পুল শটেও খুঁজে পেয়েছেন বাউন্ডারি।
আফিফের সঙ্গে ১৭৪ রানের জুটি গড়লেন মিরাজ
দুজনের এক-দুই রান নেওয়ার ক্ষেত্রে বোঝাপড়া ছিল এক কথায় দুর্দান্ত। কদিন আগেই চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে বিপিএলে খেলেছেন দুজন। কে জানে, বোঝাপড়াটা হয়তো সেখান থেকেই শুরু! সপ্তম উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ড ১৭৪ রানের অপরাজিত জুটি সেটারই প্রমান। তাতে বাংলাদেশ দলও সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
সংবাদ সূত্র-প্রথম-আলো
একতার কণ্ঠঃ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মেগা নিলামের পর্দা নেমেছে। রোববার (১৩ ফেব্রয়ারি) ব্যাঙ্গালুরুতে দুই দিনব্যাপী আইপিএল নিলাম শেষ হয়।
নিলাম থেকে মোট ২০৪ জন ক্রিকেটার দল পেয়েছেন। এর মধ্যে ৬৭ জন খেলোয়াড় ডাক পেয়েছেন বিদেশি কোটায়।
এবারের নিলামে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো মোট ৫৫১ কোটি ৭০ লাখ রুপি খরচ করেছে। সবচেয়ে বেশি ১৫ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে বিক্রি হয়েছেন ভারতীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ঈশান কিষাণ। ভারতীয় ব্যাটারকে কিনেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ কোটি রুপিতে পেসার দীপক চাহারকে কিনেছে চেন্নাই সুপার কিংস। এছাড়া তৃতীয় সর্বোচ্চ ১২ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে ভারতীয় ব্যাটার শ্রেয়াস আইয়ারকে কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১ কোটি ৫০ লাখ রুপিতে পাঞ্জাব কিংসে গেছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোন। বিদেশিদের মধ্যে লঙ্কান অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে ১০ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে কিনেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এছাড়া একই মূল্যে ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক-ব্যাটার নিকোলাস পুরানকে কিনেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিক্রি হওয়া ১০ দলের স্কোয়াড (মূল্য ভারতীয় রুপিতে)।
চেন্নাই সুপার কিংস
আগের ধরে রাখা: মহেন্দ্র সিং ধোনি (১২ কোটি), রবীন্দ্র জাদেজা (১৬ কোটি), মইন আলি (৮ কোটি), রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৬ কোটি)।
নিলামে: তুষার দেশপান্ডে (২০ লাখ), আম্বাতি রায়াড়ু (৬ কোটি ৭৫ লাখ), দীপক চাহার (১৪ কোটি), কেএম আসিফ (২০ লাখ), ডোয়াইন ব্র্যাভো (৪ কোটি ৪০ লাখ), রবীন উথাপ্পা (২ কোটি), কে ভগত বর্মা (২০ লাখ), ক্রিস জর্ডান (৩ কোটি ৬০ লাখ), এন জগদীশান (২০ লাখ), হরি নিশান্ত (২০ লাখ), প্রশান্ত সোলাঙ্কি (১ কোটি ২০ লাখ), মুকেশ চৌধুরী (২০ লাখ), শুভ্রাংশু সেনাপতি (২০ লাখ), অ্যাডাম মিলিন (১ কোটি ৯০ লাখ), মিচেল স্যান্টনার (১ কোটি ৯০ লাখ), ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস (৫০ লাখ), ডেভন কনওয়ে (১ কোটি), সমরজিত সিং (২০ লাখ), রাজবর্ধন হাঙ্গার্গেকার (১ কোটি ৫০ লাখ), মহিশ থিকসানা (৭০ লাখ), শিবাম দুবে (৪ কোটি)।
দিল্লি ক্যাপিটালস
আগের ধরে রাখা: রিশাভ পান্ত (১৬ কোটি), আকসার প্যাটেল (৯ কোটি), পৃথ্বী শ (৭ কোটি ৫০ লাখ), আনরিক নরকিয়া (৬ কোটি ৫০ লাখ)।
নিলামে: শার্দুল ঠাকুর (১০ কোটি ৭৫ লাখ), মিচেল মার্শ (৬ কোটি ৫০ লাখ), মুস্তাফিজুর রহমান (২ কোটি), কেএস ভরত (২ কোটি), ডেভিড ওয়ার্নার (৬ কোটি ২৬ লাখ), কুলদীপ যাদব (২ কোটি), অশ্বিন হেব্বার (২০ লাখ), কমলেশ নাগারকোটি (১ কোটি ১০ লাখ), সরফরাজ খান (২০ লাখ), ভিকি ওস্তওয়াল (২০ লাখ), টিম সেফার্ত (৫০ লাখ), লুঙ্গি এনগিড়ি (৫০ লাখ), প্রবীণ দুবে (৫০ লাখ), রোভম্যান পাওয়েল (২ কোটি ৮০ লাখ), যশ ধুল (৫০ লাখ), রিপল প্যাটেল (২০ লাখ), ললিত যাদব (৬৫ লাখ), চেতন সাকারিয়া (৪ কোটি ২০ লাখ), খলিল আহমেদ (৫ কোটি ২৫ লাখ), মনদীপ সিং (১ কোটি ১০ লাখ)।
গুজরাট টাইটানস
আগের ধরে রাখা: হার্দিক পান্ডিয়া (১৫ কোটি), রশিদ খান (১৫ কোটি), শুবমান গিল (৮ কোটি।
নিলামে: নূর আহমেদ (৩০ লাখ), জেসন রয় (২ কোটি), মোহাম্মদ শামি (৬ কোটি ২৫ লাখ), রাহুল তেওয়াটিয়া (৯ কোটি), অভিনব সাদারঙ্গানি (২ কোটি ৬০ লাখ), লকি ফার্গুসন (১০ কোটি), আর সাই কিশোর (৩ কোটি), বরুণ অ্যারন (৫০ লাখ), গুরকিরাত সিং (৫০ লাখ), ম্যাথিউ ওয়েড (২ কোটি ৪০ লাখ), ঋদ্ধিমান সাহা (১ কোটি ৯০ লাখ), ডেভিড মিলার (৩ কোটি), প্রদীপ সাঙ্গওয়ান (২০ লাখ), আলজারি জোসেফ (২ কোটি ৪০ লাখ), যশ দয়াল (৩ কোটি ২০ লাখ), দর্শন নালকান্ডে (২০ লাখ), বিজয় শঙ্কর (১ কোটি ৪০ লাখ), জয়ন্ত যাদব (১ কোটি ৭০ লাখ), ডমিনিক ড্রেকস (১ কোটি ১০ লাখ)।
কলকাতা নাইট রাইডার্স
আগের ধরে রাখা: আন্দ্রে রাসেল (১২ কোটি), বরুন চক্রবর্তি (৮ কোটি), ভেঙ্কাটেশ আইয়ার (৮ কোটি), সুনিল নারাইন (৬ কোটি)।
নিলামে: শিবম মাভি (৭ কোটি ২৫ লাখ), শেল্ডন জ্যাকসন (৬০ লাখ), প্যাট কামিন্স (৭ কোটি ২৫ লাখ), শ্রেয়াস আয়ার (১২ কোটি ২৫ লাখ), নীতিশ রানা (৮ কোটি), আমান খান (২০ লাখ), উমেশ যাদব (২ কোটি), মোহম্মাদ নবি (১ কোটি), রমেশ কুমার (২০ লাখ), টিম সাউদি (১ কোটি ৫০ লাখ), অ্যালেক্স হেলস (১ কোটি ৫০ লাখ), স্যাম বিলিংস (২ কোটি), অশোক শর্মা (২০ লাখ), প্রথম সিং (২০ লাখ), অভিজিৎ তোমর (২০ লাখ), চামিকা করুণারত্নে (৫০ লাখ), বাবা ইন্দ্রজিত (২০ লাখ), রসিখ দার (২০ লাখ), অনুকুল রায় (২০ লাখ), রিঙ্কু সিং (৫৫ লাখ), আজিঙ্কা রাহানে (১ কোটি)।
লখনউ সুপার জায়ান্টস
আগের ধরে রাখা: লোকেশ রাহুল (১৭ কোটি), মার্কাস স্টয়নিস (৯ কোটি ২০ লাখ), রবি বিষ্ণই (৪ কোটি)
নিলামে: আবেশ খান (১০ কোটি), কুইন্টন ডি’কক (৬ কোটি ৭৫ লাখ), মার্ক উড (৭ কোটি ৫০ লাখ), মণীশ পান্ডে (৪ কোটি ৬০ লাখ), জেসন হোল্ডার (৮ কোটি ৭৫ লাখ), দীপক হুডা (৫ কোটি ৭৫ লাখ), ক্রুণাল পান্ডিয়া (৮ কোটি ২৫ লাখ), অঙ্কিত রাজপুত (৫০ লাখ), মায়াঙ্ক যাদব (২০ লাখ), এভিন লুইস (২ কোটি), করণ শর্মা (২০ লাখ), কাইল মায়ের্স (৫০ লাখ), আয়ূস বাদোনি (২০ লাখ), মহসিন খান (২০ লাখ), মনন ভোরা (২০ লাখ), শাহবাজ নদিম (৫০ লাখ), দুশমন্ত চামিরা (২ কোটি), কৃষ্ণাপ্পা গৌতম (৯০ লাখ)।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
আগের ধরে রাখা: রোহিত শর্মা (১৬ কোটি), জাসপ্রিত বুমরাহ (১২ কোটি), সূর্যকুমার যাদব (৮ কোটি), কাইরন পোলার্ড (৬ কোটি)।
নিলামে: বাসিল থাম্পি (৩০ লাখ), মুরুগান অশ্বিন (১ কোটি ৬০ লাখ), ডেওয়াল্ড ব্রেভিস (৩ কোটি), ইশান কিষাণ (১৫ কোটি ২৫ লাখ), ফ্যাবিয়ান অ্যালেন (৭৫ লাখ), আরিয়ান জুয়াল (২০ লাখ), অর্জুন তেন্ডুলকার (৩০ লাখ), হৃত্বিক শোকিন (২০ লাখ), রাহুল বুদ্ধি (২০ লাখ), রমনদীপ সিং (২০ লাখ), আনমোলপ্রীত সিং (২০ লাখ), মোহাম্মাদ আরশাদ (২০ লাখ), রিলি মেরেডিথ (১ কোটি), টিম ডেভিড (৮ কোটি ২৫ লাখ), টাইমাল মিলস (১ কোটি ৫০ লাখ), ড্যানিয়েল স্যামস (২ কোটি ৬০ লাখ), জোফ্রা আর্চার (৮ কোটি), সঞ্জয় যাদব (৫০ লাখ), তিলক বর্মা (১ কোটি ৭০ লাখ), মায়াঙ্ক মার্কান্ডে (৬৫ লাখ), জয়দেব উনাদকাট (১ কোটি ৩০ লাখ)।
পাঞ্জাব কিংস
আগের ধরে রাখা: মায়াঙ্ক আগারওয়াল (১৪ কোটি), আর্শদিপ সিং (৪ কোটি)।
নিলামে: জিতেশ শর্মা (২০ লাখ), শাহরুখ খান (৯ কোটি), জনি বেয়ারস্টো (৬ কোটি ৭৫ লাখ), হরপ্রীত ব্রার (৩ কোটি ৮০ লাখ), শিখর ধাওয়ান (৮ কোটি ২৫ লাখ), ইশান পোড়েল (২৫ লাখ), কাগিসো রাবাদা (৯ কোটি ২৫ লাখ), রাহুল চাহার (৫ কোটি ২৫ লাখ), প্রবসিমরন সিং (৬০ লাখ), বেনি হাওয়েল (৪০ লাখ), ভানুকা রাজাপাক্ষে (৫০ লাখ), অথর্ব টাইডে (২০ লাখ), ন্যাথান এলিস (৭৫ লাখ), অংশ প্যাটেল (২০ লাখ), বলতেজ ধান্ধা (২০ লাখ), ঋত্ত্বিক চট্টোপাধ্যায় (২০ লাখ), বৈভব আরোরা (২ কোটি), প্রেরক মানকাড় (২০ লাখ), ঋষি ধাওয়ান (৫৫ লাখ), রাজ বাওয়া (২ কোটি), সন্দীপ শর্মা (৫০ লাখ), ওডিন স্মিথ (৬ কোটি), লিয়াম লিভিংস্টোন (১১ কোটি ৫০ লাখ)।
রাজস্থান রয়্যালস
আগের ধরে রাখা: সাঞ্জু স্যামসন (১৪ কোটি), জশ বাটলার (১০ কোটি), যাশাসবি জয়সওয়াল (৪ কোটি)।
নিলামে: কেসি কারিয়াপ্পা (৩০ লাখ), রিয়ান পরাগ (৩ কোটি ৮০ লাখ), ট্রেন্ট বোল্ট (৮ কোটি), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৫ কোটি), যুজবেন্দ্র চাহাল (৬ কোটি ৫০ লাখ), শিমরন হেটমায়ার (৮ কোটি ৫০ লাখ), প্রসিধ কৃষ্ণা (১০ কোটি), দেবদূত পাডিক্কাল (৭ কোটি ৭৫ লাখ), ডারিল মিচেল (৭৫ লাখ), রাসি ভ্যান ডার দাসেন (১ কোটি), ন্যাথান কুল্টার-নাইল (২ কোটি), জিমি নিশাম (১ কোটি ৫০ লাখ), শুভম গারওয়াল (২০ লাখ), কুলদীপ যাদব (২০ লাখ), তেজস বরোকা (২০ লাখ), ধ্রুব জুরেল (২০ লাখ), করুন নায়ার (১ কোটি ৪০ লাখ), কুলদীপ সেন (২০ লাখ), অরুনয় সিং (২০ লাখ), ওবেদ ম্যাককয় (৭৫ লাখ), নভদীপ সাইনি (২ কোটি ৬০ লাখ)।
রয়্যাল চালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু
আগের ধরে রাখা: বিরাট কোহলি (১৫ কোটি), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১১ কোটি), মোহাম্মদ সিরাজ (৭ কোটি)।
নিলামে: ফ্যাফ ডু’প্লেসি (৭ কোটি), অনূজ রাওয়াত (৩ কোটি ৪০ লাখ), জোস হ্যাজেলউড (৭ কোটি ৭৫ লাখ), আকাশ দীপ (২০ লাখ), শাহবাজ আহমেদ (২ কোটি ৪০ লাখ), দীনেশ কার্তিক (৫ কোটি ৫০ লাখ), হার্ষাল প্যাটেল (১০ কোটি ৭৫ লাখ), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (১০ কোটি ৭৫ লাখ), ডেভিড উইলি (২ কোটি), লুবনিথ সিসোদিয়া (২০ লাখ), সিদ্ধার্থ কাউল (৭৫ লাখ), করন শর্মা (৫০ লাখ), অন্নেশ্বর গৌতম (২০ লাখ), চামা মিলিন্দ (২৫ লাখ), জেসন বেহরেনডার্ফ (৭৫ লাখ), শেরফান রাদারফোর্ড (১ কোটি), ফিন অ্যালেন (৮০ লাখ), মহিপাল লোমরোর (৯৫ লাখ)।
সানরাইজার্স হায়দারাবাদ
আগের ধরে রাখা: কেন উইলিয়ামসন (১৪ কোটি), আব্দুল সামাদ (৪ কোটি), উমরান মালিক (৪ কোটি)।
নিলামে: নিকোলাস পুরান (১০ কোটি ৭৫ লাখ), জগদীশা সূচিত (২০ লাখ), শ্রেয়াস গোপাল (৭৫ লাখ), কার্তিক তিয়াগী (৪ কোটি), ওয়াশিংটন সুন্দর (৮ কোটি ৭৫ লাখ), ভুবনেশ্বর কুমার (৪ কোটি ২০ লাখ), টি নটরাজন (৪ কোটি), প্রিয়ম গর্গ (২০ লাখ), অভিষেক শর্মা (৬ কোটি ৫০ লাখ), রাহুল ত্রিপাঠী (৮ কোটি ৫০ লাখ), ফজলহক ফারুকি (৫০ লাখ), গ্লেন ফিলিপস (১ কোটি ৫০ লাখ), বিষ্ণু বিনোদ (৫০ লাখ), সৌরভ দুবে (২০ লাখ), শশাঙ্ক সিং (২০ লাখ), আর সামর্থ (২০ লাখ), সিয়ান অ্যাবট (২ কোটি ৪০ লাখ), রোমারিও শেফার্ড (৭ কোটি ৭৫ লাখ), মারকো জানসেন (৪ কোটি ২০ লাখ), এডেন মার্করাম (২ কোটি ৬০ লাখ)।
সংবাদ সূত্র- বাংলা-নিউজ-২৪.কম
একতার কণ্ঠঃ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে আফগানিস্তান দল। শুক্রবার (১১ ফেব্রয়ারি) রাতে বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর কন্ডিশনিং ক্যাম্পের জন্য সিলেটে অবস্থান করছে আফগানিস্তান বহর।সিরিজ দুটি উপলক্ষে সোমবার (১৪ ফেব্রয়ারি) দুপুরে আনুষ্ঠানিক বিবৃতির মাধ্যমে দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
ওয়ানডে সিরিজের জন্য দুজনকে রিজার্ভে রেখে হাশমতউল্লাহ শহিদিকে অধিনায়ক করে ১৬ সদস্যের দল দিয়েছে এসিবি। দলে আছেন মুজিব উর রহমান ও রশিদ খানের মতো অন্যতম তারকা।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য অধিনায়ক করা হয়েছে অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবীকে। সেখানেও ১৬ সদস্যের দল দিয়েছে এসিবি। তবে রিজার্ভ নেই।
একনজরে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দল
ওয়ানডে দল
হাশমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), রহমত শাহ (সহ-অধিনায়ক), আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ফরিদ মালিক, ফজল হক ফারুকি, গুলবদীন নাঈব, ইব্রাহিম জাদরান, ইকরাম আলী খিল, মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান, নাজিবউল্লাহ জাদরান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রশিদ খান, রিয়াজ হাসান, শহিদউল্লাহ কামাল ও ইয়ামিন আহমেদজাই।
রিজার্ভ: কায়েস আহমেদ ও সেলিফ সাফি।
টি-টোয়েন্টি দল
মোহাম্মদ নবী (অধিনায়ক), আফসার জাজাই, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, দারউইশ রাসুলি, ফরিদ আহমেদ মালিক, ফজল হক ফারুকি, হযরতউল্লাহ জাজাই, করিম জানাত, মুজিব উর রহমান, নাজিবউল্লাহ জাদরান, নিজাত মাসিদ, কাইস আহমেদ, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, রশিদ খান, শরাফুদ্দিন আশরাফ ও উসমান ঘানি।
ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে ২৩ ফেব্রুয়ারিতে। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটি হবে ৩ মার্চে ঢাকায় মিরপুরে।
একতার কণ্ঠঃ উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর আর নেই। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে ৯২ বছর বয়সে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারি তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন। গত চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
সম্প্রতি অবস্থার উন্নতিও হচ্ছিল। কিন্তু শনিবার (০৫ ফেব্রুয়ারী) হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তাকে নিতে হয় ভেন্টিলেশনে। সেখান থেকে আর ফেরানো যায়নি লতাকে।
নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত ছিলেন এই বরেণ্য এই শিল্পী। প্রথম থেকেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল।
৩০ জানুয়ারি শিল্পীর কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। কিন্তু বয়সজনিত নানা সমস্যার কারণে শেষ পর্যন্ত আর লড়তে পারলেন না তিনি।
এর আগেও সংকটজনক অবস্থায় একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল লতাকে। কিন্তু অনুরাগীদের আশ্বস্ত করে প্রত্যেকবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।
১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর লতার জন্ম এক মারাঠি পরিবারে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তার আগে অবশ্য বাবার হাত ধরেই অভিনয় এবং গান শিখতে শুরু করে দিয়েছিলেন।
১৩-১৪ বছর বয়সেই প্রথমবার সিনেমায় গান গেয়েছে মারাঠি ছবিতে। মুম্বাই যাওয়ার পর ১৯৪৮ সালে প্রথম হিন্দি গান গেয়েছেন ‘মজবুর’ ছবিতে।
একতার কণ্ঠঃ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার(৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল ওই রায় ঘোষণা করেন।
নিহত মেজর(অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান
রায়ে টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেবের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি সাতজন আসামি খালাস পেয়েছেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। তাঁর সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলামকে (সিফাত) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তাঁর ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করে। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।
ছেলের হত্যার রায় শুনতে সিনহার মা নাসিমা আক্তার কক্সবাজারে আসেন। মামলার বাদী ও সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ভাই সিনহা হত্যা মামলায় রায় শুনতে সকালে মাকে নিয়ে আমরা উত্তরার বাসা থেকে রওনা হই। এখন আমরা কক্সবাজারে।’
সিনহা হত্যা মামলার ১৫ জন আসামির ছবি
সিনহা হত্যায় মামলা চারটি
সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। তিনটি মামলার দুটি মাদক রাখার অভিযোগে এবং একটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে।
এ ঘটনায় হত্যা মামলাটি করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। ওই বছরের ৫ আগস্ট আদালতে করা ওই মামলায় তিনি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ পুলিশের ৯ সদস্যকে আসামি করেন।
চারটি মামলারই তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। পরে র্যাব এ ঘটনায় প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের ১১ জন পুলিশ সদস্য ও ৩ জন গ্রামবাসী। পুলিশের করা তিনটি মামলার তদন্তে উত্থাপিত অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে র্যাব। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ওসি প্রদীপ কুমার দাশের পূর্বপরিকল্পনায় আসামিরা মেজর (অব.) সিনহাকে গুলি করে হত্যা করেন।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে আসামি করে কক্সবাজার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় র্যাব। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন । তবে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের তিন দফায় ১২ থেকে ১৫ দিন রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
গত বছরের ২৭ জুন প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়।
অভিযোগপত্রে থাকা ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। ১২ জানুয়ারি যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
একতার কণ্ঠঃ করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সার্বিক ঝুঁকি এখনও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বর্তমানে পাওয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার(২৫ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, গত এক সপ্তাহে দুই কোটি ১০ লাখেরও বেশি লোক করোনায় সংক্রমিত হয়েছে, যা মহামারি শুরুর পর সর্বোচ্চ। একই সঙ্গে গত এক সপ্তাহে করোনায় বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০ হাজার লোক মারা গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, করোনার অন্যান্য ধরনের চেয়ে বিশ্বে এখন ওমিক্রনই তার আধিপত্য বাড়িয়ে চলেছে। ডেল্টার সংক্রমণ কমে এসেছে। আলফা, বিটা ও গামার সংক্রমণ একেবারেই নিম্নপর্যায়ে নেমে এসেছে।
তবে যেসব দেশে ২০২১ সালের নভেম্বরে ও ডিসেম্বরে ওমিক্রনের সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে গিয়েছিল সেসব দেশে এখন কমে এসেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, গত ৩০ দিনে সংগৃহীত নমুনায় ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত ৮৯.১ শতাংশ, আর ডেল্টা ধরন ১০.৭ শতাংশ।
একতার কণ্ঠঃ ঝালকাঠিতে গভীর রাতে লঞ্চে আগুন লেগে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১ জন। এদিকে সুগন্ধা নদীতে ভেসে বেড়াচ্ছে পোড়া লাশের গন্ধ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের সুগন্ধা নদীতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।শতাধিক যাত্রীকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ভিবিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, লঞ্চটিতে প্রায় ৫০০ এর অধিক যাত্রী ছিল। লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া এলাকায় পৌঁছালে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে দগ্ধ যাত্রীদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছেন।
লঞ্চের যাত্রীরা জানিয়েছেন, অনেকেই লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। যাত্রীদের ধারণা হতাহতের সংখ্যা অনেক। তবে কেউ এখনো নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
লঞ্চের যাত্রী সাইদুর রহমান বলেন, তিনি ঢাকা থেকে বরগুনা ফিরছিলেন। ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্চিনরুমে আগুন লেগে যায়। এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। রাত তিনটা থেকে আগুন জ্বলতে থাকে। যাত্রীরা অনেকেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। অনেকে হয়তো পারেননি। লঞ্চে শিশু, বুড়ো, নারীসহ কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল।
তিনি আরো বলেন, পোড়া গন্ধ পেয়ে আমি ভিআইপি কেবিন থেকে বেড়িয়ে এসে দেখি লঞ্চে আগুন লেগেছে। তখন আমার স্ত্রী, শ্যালক নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রচণ্ড ঠান্ডায় নদী সাঁতরে তীরে উঠেছি। লঞ্চ ভাসতে ভাসতে কোথাও গিয়ে থেমেছে। তবে এটুকু বলছি, লঞ্চের কোনো অংশ পোড়ার বাকি নেই।
সংবাদ সূত্র-আমাদেরসময়.কম
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লেগে অন্তত ৩৭ জন মারা গেছে।কর্মকর্তারা আশংকা করছেন, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মইনুল হক বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন লঞ্চের ভেতরে এবং বাইরে ৩৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।তিনি আরো জানিয়েছেন, লঞ্চে আগুন লাগার পরে অনেক নদীতে লাফিয়ে পড়ে। ফলে নদী থেকে এখনো মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বিবিসি বাংলাকে জানান, ‘এমভি অভিযান’ নামে একটি লঞ্চ ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে গতরাতে ছেড়ে যায়। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ভোরে লঞ্চে আগুন ধরে যায়।আহতদের বরিশাল সদর হাসপাতাল এবং স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিভাগীয় কমিশনার।লঞ্চটিতে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে – সেটি এখনো বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা।
ঝালকাঠি থেকে স্থানীয় সাংবাদিক আক্কাস শিকদার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, ভোর সাড়ে তিনটার দিকে লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত হবার খবর পান তিনি।এসময় লঞ্চ থেকে অনেক যাত্রী জীবন বাঁচানোর জন্য নদীতে লাফ দেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এই লঞ্চটির যাত্রী ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছিল বলে জানা গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিন রুম থেকে আগুণের সূত্রপাত হয়েছে।
যাত্রীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক আক্কাস শিকদার জানিয়েছেন, লঞ্চটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবার সময় দোতলার ডেক বেশ গরম ছিল। এনিয়ে যাত্রীরা অভিযোগ করলে লঞ্চের স্টাফরা তখন কার্পেট বিছিয়ে দেন। কিন্তু এই গরম ক্রমাগত বাড়তেই থাকে।একপর্যায়ে ইঞ্জিন রুমে আগুন ধরে যায় বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
আহতদের মধ্যে অন্তত ৮০ জনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আনা হয়েছিল এর মধ্যে ২০জনকে সেখানে রেখে বাকিদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান সাংবাদিক আক্কাস শিকদার।
সংবাদ সূত্র- বিবিসি বাংলা( আপলোড বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা)
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল যথাযথ মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা সদরে অবস্থিত “শহীদ বেদীতে” প্রথমে জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রানুয়ারা খাতুন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পরে জেলা সদর রোডে অবস্থিত শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।