একতার কণ্ঠঃ ১১০ বছর আগে ১৯১১ সালে ধুমধাম করে একটি ট্রেনের সূচনা করেছিল ইতালির জেনেটি নামে একটি রেল সংস্থা।উদ্বোধনের দিন সব যাত্রীকে বিনা টিকিটে ঘোরানোর ব্যবস্থা করেছিল সংস্থাটি।ছয়জন রেলকর্মী এবং ১০০ যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছিল ট্রেনটি। কিন্তু গন্তব্যে আর পৌঁছানো হয়নি। মাঝ পথে রহস্যজনকভাবে আস্ত ট্রেনটিই গায়েব হয়ে যায়! আজ পর্যন্ত যার কোনো খোঁজও মেলেনি।
খোঁজ পাওয়া যায়নি যাত্রীদেরও। ১১০ বছর আগের সেই দিনের কথা ভাবলে আজও গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। এতগুলো যাত্রী নিয়ে আস্ত ট্রেন কীভাবে মুহূর্তে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে তার কারণ অনুসন্ধান করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। শোনা যায়, অনেক খুঁজেও ট্রেনের কোনো চিহ্ন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
১৯১১ সালে রোমের একটি স্টেশন থেকে ১০০ যাত্রী এবং ওই ছয় কর্মী নিয়ে রওনা দিয়েছিল ট্রেনটি। যাত্রীরা সবাই খুব উপভোগ করছিলেন যাত্রা। যাত্রীদের জন্য ট্রেনে এলাহি খাবারের ব্যবস্থাও ছিল। উদ্দেশ্য ছিল ট্রেনে করে যাত্রীদের ইতালির বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখানো।যাত্রাপথে একটি সুড়ঙ্গ পড়েছিল। ট্রেন সেই সুড়ঙ্গে প্রবেশ তো করেছিল কিন্তু আর বের হয়নি। পরবর্তীকালে ট্রেনের সন্ধানে সুড়ঙ্গের মধ্যে অনেকেই গেছেন। কিন্তু তন্ন তন্ন করে খুঁজেও তার চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
পাহাড়ের বুক চিরে তৈরি হওয়া ওই সুড়ঙ্গের ভেতর আর কোনো রাস্তাও ছিল না। ট্রেন দুর্ঘটনারও কোনো চিহ্ন মেলেনি।দুজনের কথার বিষয়বস্তু ছিল একই। সুড়ঙ্গে প্রবেশের মুহূর্তে সাদা ধোঁয়া গ্রাস করেছিল ট্রেনটিকে। সেই সময় নাকি কোনোক্রমে দুজন ট্রেন থেকে ঝাঁপ দেন। তার পর আর কিছু মনে ছিল না তাদের।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমা পড়ে সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খোঁজও থামিয়ে দিতে হয়। এর অনেক বছর পর ট্রেনটিকে ঘিরে এমন কিছু ঘটনা বা তথ্য সামনে আসতে শুরু করে, যা জানলে আরও হতচকিত হয়ে যেতে হয়।
মেক্সিকোর এক চিকিৎসক দাবি করেন, অনেক বছর আগে মেক্সিকোর একটি হাসপাতালে নাকি ওই ১০৪ যাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছিল। তারা প্রত্যেকেই অসংলগ্ন কথা বলছিলেন। প্রত্যেকেই কোনো একটি ট্রেনের উল্লেখ করেছিলেন। সেই ট্রেনে করেই নাকি তারা মেক্সিকো পৌঁছেছিলেন।এমনকি ইতালির বিভিন্ন প্রান্তে, জার্মানি, রোমানিয়া এবং রাশিয়াতেও নাকি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ ঠিক ওই রকমই একটি যাত্রীবোঝাই ট্রেন দেখতে পেয়েছেন বলে দাবি করতে শুরু করেছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ট্রেনের যে বর্ণনা দিয়েছিলেন তা হুবহু ওই অদৃশ্য হওয়া ট্রেনটির মতো ছিল। সেই সময় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ট্রেনটি নাকি ট্রাইম ট্রাভেল করে ১৮৪০ সালের মেক্সিকোয় পৌঁছে গিয়েছিল।যদিও এই সব দাবির পক্ষে কোনো জোরালো প্রমাণ মেলেনি। ফলে ট্রেনকে ঘিরে টাইম ট্রাভেলের যে কাহিনি ছড়িয়ে পড়ে তাতেও সিলমোহর দেওয়া যায়নি।
একতার কণ্ঠঃ অতীতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ তো দূরে থাক, টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখাও পায়নি বাংলাদেশ।ক্রিকেট খেলুড়ে শক্তিশালী এই দুই দলকে ঘরের মাঠে ডেকে এনে সিরিজে হারাল বাংলাদেশ।বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডকে চলমান পাঁচ ম্যাচের সিরিজের চতুর্থ খেলায় ৩-১ ব্যবধানে হারাল টাইগাররা। সিরিজের শেষ ম্যাচটি শুক্রবার মিরপুরের একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নাসুম আহমেদের স্পিন আর মোস্তাফিজুর রহমানের গতির মুখে পড়ে ১৯.৩ ওভারে ৯৩ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে উইলি ইয়াং একাই করেন ৪৬ রান। বাংলাদেশ দলের হয়ে চার ওভারে ১০ ও ১২ রান খরচায় সমান ৪টি করে উইকেট নেন নাসুম আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
৯৪ রানের মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমেও ৬ ওভারে মাত্র ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ৬৭ রানে নিজের ভুলে রান আউট হয়ে ফেরেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।
এরপর আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ১৯.৩ ওভারে ৯৩/১০
বাংলাদেশ: ১৯.১ ওভারে ৯৬/৪ (রিয়াদ ৪৩*, নাঈম ২৯)।
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী।
একতার কণ্ঠঃ নিউজিল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়ে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে ছয় নম্বর পজিশনে উঠে গেলে বাংলাদেশ। এর আগে কিউইদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় জিতে দশ নম্বর পজিশন থেকে সাতে উঠে যায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানে ইনিংস গুটায় নিউজিল্যান্ড। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৪ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২.৩ ওভারে দলীয় ১৬ রানে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। সাকিবের পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদি হাসান। তার শিকার হন টম বান্ডেল। ৩.১ ওভারে দলীয় ১৮ রানে ফেরেন এ ওপেনার।
১৮ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে উইলি ইয়াংকে সঙ্গে নিয়ে ৪৭ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক টম ল্যাথাম।
ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান সাকিব। তার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ২৮ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইয়াং। ১০.৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৬১ রান।
পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে আবারো সেই নাসুম আহমেদের স্পিনে বিভ্রান্ত হন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১ রানে করে নাসুমের বলে আউট হওয়া নিউজিল্যান্ডের এ তারকা ব্যাটসম্যান এদিনও সেই একই বোলারের স্পিনে শিকার হন। দ্বিতীয় ম্যাচে ফেরেন ১০ বলে মাত্র ৮ রান করে। তার বিদায়ে ১৪.২ ওভারে ৮৫ রানে ৪ উইকেট হারায় কিউইরা।
নাসুমের পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন মেহেদি হাসান। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন হেনরি নিকোলাস। ১৫.৩ ওভারে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন নিকোলাস।
এরপর কলিন ম্যাককলিনচকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ২৮ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক টম ল্যাথাম। এই জুটিই দলকে জয়ের পথে নিয়েছিল।
শেষ ওভারে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ২০ রান। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম চার বলে দেন ৭ রান। পরের দুই বলে কিউইদের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। পঞ্চম বলটি ‘নো’ করেন ফিজ। শেষ দুই বলে নিউজিল্যান্ডকে ৮ রান করতে হতো। পঞ্চম বলে দুই রান নেয় নিউজিল্যান্ড।
জয়ের জন্য শেষ বলে ছক্কা হাঁকাতে হতো নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ল্যাথামকে। কিন্তু তিনি এক রানের বেশি নিতে পারেননি। ৪ রানের জয় পায় টাইগাররা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৪১ রান করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া ৩৩ রান করেন আরেক ওপেনার লিটন দাস।
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিংয়ে ৯.৩ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৫৯ রান যোগ করেন নাঈম।
২৯ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রান করে রাচিন রবিন্দ্রর স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন লিটন। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি।
লিটন আউট হওয়ার পর তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপদে পড়েন মুশফিকুর রহিম। রাচিন রবিন্দ্রর বলে গোল্ডেন ডাক পান জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক।
চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ বলে ১২ রান করে ফেরেন সাকিব আল হাসান। তার বিদায়ে ৭২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত রান সংগ্রহের চেষ্টা করতে গিয়ে আউট হন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। রাচিন রবিন্দ্রর করা বলটি বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন এ ওপেনার। ৩৯ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩৯ রান করে ফেরেন তিনি।
নাঈম আউট হওয়ার পর ৩ বলে ৩ রান করে ফেরেন আফিফ হোসেন। তার বিদায়ে ১৬.২ ওভারে ১০৯ রানে বাংলাদেশ হারায় পঞ্চম উইকেট।
এরপর নুরুল হাসান সোহানকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ২২ বলে ৩২ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইনিংসের শেষ বলে আউট হন সোহান। তিনি ফেরেন ৯ বলে ১৩ রান করে। ৩২ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ।
সংবাদ সূত্রঃ যুগান্তর অনলাইন
একতার কণ্ঠঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগমুহূর্তে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলকেও মাটিতে নামাল টাইগাররা।নিউজিল্যান্ডকে সর্বনিম্ন ৬০ রানে অলআউট করে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় ৭ উইকেটের সহজ জয় পায় টাইগাররা।
এর আগে অস্ট্রেলিয়াকে সর্বনিম্ন ৬২ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি। অসিদের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ।
বুধবার( ১ সেপ্টেম্বর) নিউজিল্যান্ডকে ৬০ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার স্পিনার মেহেদি হাসান, সাকিব আল হাসান, নাসুম আহমেদের ঘূর্ণি বলে বিভ্রান্ত হয়ে মাত্র ৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড।এরপর হেনরি নিকোলসকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে দলকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন অধিনায়ক টম লাথাম। পঞ্চম উইকেটে তারা সর্বোচ্চ ৩৪ রানের জুটি গড়েন।
৪ উইকেটে ৫৩ রান করা দলটি এরপর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬.৫ ওভারে ৬০ রানে অলআউট হয়।৬১ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১৪.৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় পেলেও শুরুতেই বিপাকে পড়েছিল বাংলাদেশ।২.৫ ওভারে মাত্র ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও লিটন কুমার দাস।এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। ৩৩ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই অলরাউন্ডার।
সাকিব আউট হওয়ার পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। ১৬ ও ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক-রিয়াদ।
সংবাদ সূত্রঃ যুগান্তর অনলাইন
একতার কণ্ঠঃ ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ বিমানের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইউম ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে অনুমতির অপেক্ষা করছে। বিমানের একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রোববার(২৯ আগস্ট) দুপুরে নওশাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিমানের বেশ কয়েকটি অসমর্থিত সূত্র তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নওশাদের মৃত্যুর ঘোষণা এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেয়নি। তিনি এখনও লাইফ সাপোর্টে আছেন।
সূত্রে জানা গেছে, নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে কোমায় থাকা নওশাদ ক্লিনিক্যালি ডেড। পাইলট নওশাদের স্বজনরা এখনই লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে চাচ্ছেন না। তাদের দাবি, নতুন করে মেডিকেল বোর্ড বসানো হোক। পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর তারাই সিদ্ধান্ত দিক। এ দাবিতে বিমান কর্তৃপক্ষেরও সায় রয়েছে।
বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, ক্যাপ্টেন নওশাদের মৃত্যুর খবর সঠিক নয়। এখনও তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন।
এদিকে নওশাদের দুই বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
গত শুক্রবার মাসকাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি ০২২ মোট ১২৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে। এরপর নাগপুরের ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয়।
শনিবার রাতেই নওশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
এর আগে ওই হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধে জানিয়েছিলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘কোমায়’আছেন। মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সূত্রঃ যুগান্তর অনলাইন
একতার কন্ঠঃ বাংলাদেশের পুলিশের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেছেন, আফগানিস্তানে তালেবানের সাথে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে কিছু ব্যক্তি সে দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম শনিবার(১৪ আগস্ট) সাংবাদিকদের বলেছেন, তালেবানের সাথে যোগ দিতে বাংলাদেশ থেকে এরই মধ্যে কিছু মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাবার পর সেখানে ধরা পড়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে।আফগানিস্তানে তালেবান যেরকম দ্রুত গতিতে একের পর এক জায়গা দখল করে নিচ্ছে, তার আঁচ কিছুটা হলেও পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে।
ঢাকার পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যে এ বিষয়টি নিয়ে কিছুটা হলেও ধারণা পাওয়া যায়।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, তালেবানের হাতে রাজধানী কাবুলের পতন এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার ।
আফগানিস্তানের উগ্রপন্থীদের সাথে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ উগ্রপন্থী সংগঠনগুলোর যোগাযোগ অনেক পুরনো বলে বিশ্লেষকরা ধারণা করেন।
এমন প্রেক্ষাপটে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে কিছু মানুষ এরই মধ্যে তালেবানের সাথে যোগ দিতে চলে গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার বলেন, “আফগানিস্তানে যুদ্ধে যাবার জন্য একটি আহবান জানানো হয়েছে তালেবানদের পক্ষ থেকে। এবং বাংলাদেশ থেকে কিছু মানুষ অলরেডি তালেবানদের সাথে যুদ্ধে যোগদান করার জন্য হিজরত করেছে। কিছু মানুষ আমরা ধারণা করছি যে ইন্ডিয়ায় ধরা পরেছে। আর কিছু পায়ে হেঁটে বিভিন্নভাবে আফগানিস্তানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।”
আফগানিস্তানে যাবার পথে কোন বাংলাদেশি ভারতে ধরা পড়েছে কিনা – সেটি ভারতের দিক থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উগ্রপন্থীদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে এমন গবেষণা সংস্থাগুলো বলছে, আফগানিস্তানের পট-পরিবর্তন বাংলাদেশকে প্রাভাবিত করবেই – তাতে কোন সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পিস এন্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের চেয়ারপার্সন মেজর জেনারেল (অব.) মুনিরুজ্জামান ব্যাখ্যা বলেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বিগ্ন হবার কারণ আছে।
“বাংলাদেশে ১৯৯০’র দশকের শুরুর দিকে যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু হয়, সে লগ্ন থেকে আফগান জিহাদের সাথে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সরাসরি একটি যোগসূত্র আমরা দেখতে পেয়েছি।”
১৯৯০’র দশকে আফগানিস্তানে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাংলাদেশ থেকে অনেকে আফগানিস্তান গিয়েছিল।
“যারা তখন আফগানিস্তানে গিয়েছিল, তারা সেখান থেকে ফিরে এসে বাংলাদেশে সন্ত্রাসের গোড়াপত্তন করে,” বলেন জেনারেল মুনিরুজ্জামান।
আফগানিস্তান এই অঞ্চলের দেশ হলেও বাংলাদেশের সাথে তাদের কোন সীমান্ত নেই। বাংলাদেশ থেকে কেউ অবৈধ পথে আফগানিস্তানে যেতে চাইলে তাকে ভারত ও পাকিস্তান পাড়ি দিতে হবে।
গত ১২ বছর যাবত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ে যে জোরালো সহযোগিতা আছে – তাতে করে বাংলাদেশের সীমান্ত পেরিয়ে ভারত হয়ে পাকিস্তান পর্যন্ত যাওয়া উগ্রপন্থীদের জন্য কতটা সহজ হবে?
জবাবে মি. মুনিরুজ্জামান বলেন, ” ব্যাপারটা আপাতদৃষ্টিতে কঠিন মনে হলেও যারা এ ধরণের কর্মকাণ্ডের সাথে লিপ্ত – তাদের জন্য এটা বেশ সহজ। সিরিয়াতে যখন আইএস যুদ্ধ করছিল, তখনও বাংলাদেশ থেকে যোদ্ধাদের যাওয়া সম্ভব হয়েছিল। কাজেই বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানে যাওয়াটা অপেক্ষাকৃত সহজ।”
পুলিশ বলছে, বাংলাদেশের ভেতরে উগ্রপন্থীদের একটি অংশ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছে।
কিন্তু তাদের এরই মধ্যে নানা অভিযানে আটক করা হয়েছে এবং কোন ধরণের হামলার ক্ষমতা তাদের সেই বলে পুলিশ দাবি করছে।
সংবাদ সূত্রঃ বিবিসি বাংলা অনলাইন
একতার কণ্ঠঃ স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে লিগ ওয়ানের ক্লাব পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি। পিএসজিতে যোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেসি হয়ে গেলেন ক্লাবটির সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা বেশ কিছু ফরাসি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বলছে, পিএসজি থেকে বার্ষিক ৪০ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪০০ কোটি) করে পাবেন আর্জেন্টাইন এ অধিনায়ক। এছাড়া সংবাদমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, পিএসজি থেকে কোনোপ্রকার বোনাস নেবেন না সাবেক এ বার্সা লিজেন্ড।
বার্ষিক ৪০ মিলিয়ন ইউরো আয়ের মাধ্যমে মেসি প্যারিসের ক্লাবটির সবচেয়ে বেশি উপার্জনকারী খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হবেন। তাছাড়া ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে লিগ ওয়ানের সর্বোচ্চ বেতন এখন মেসির। একই ক্লাবের ফুটবলার নেইমারের বার্ষিক ৩৬.৮ এবং এমবাপ্পের ২৫ মিলিয়ন ইউরো উপার্জনের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছেন আর্জেন্টাইন এ ফরোয়ার্ড।
তবে মজার ব্যাপার হলো, আর্জেন্টাইন এ তারকাকে দলে ভেড়ানোর পর তার ৩০ নম্বর জার্সি বিক্রি করেই পিএসজি ও নাইকির যৌথ আয় আসবে ১ হাজার ৫৮০ মিলিয়ন ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় ১৫ হাজার ৭২৪ কোটি টাকারও বেশি)। যা বর্তমান সময়ের হিসেবে পিএসজিতে মেসির প্রায় ৪০ বছরের আয়!
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) আর্জেন্টিনার বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ভেরোনিকা ব্রুনাতি তার টুইটার একাউন্টে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ওই টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, “মেসির প্রতিটি পিএসজি জার্সির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫৮ ইউরো। আর ‘নাইকি’ অনুমান করেছে যে, তারা এই মৌসুমে ১০ মিলিয়ন ‘মেসির পিএসজি জার্সি’ বিক্রি করবে! অংকটা এবার করুন… এটা মেসির চুক্তির থেকেও অনেক বেশি। ”
এর আগে আর্জেন্টাইন এ তারকাকে দলে ভেড়ানোর পর নিজেদের অফিসিয়াল অনলাইন স্টোরে তার ৩০ নম্বর জার্সি বিক্রির জন্য প্রদর্শন করে ফরাসি জায়ান্টরা। ৯২ পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০,৭৩৫ টাকা) চড়া মূল্যেও রেকর্ড পরিমাণ সময়ে মাত্র ২০ মিনিটের মাথায় জার্সিটির স্টক ফুরিয়ে যায়। অথচ মেসির জার্সির দাম ছিল নেইমার-এমবাপ্পে-রামোসদের চেয়ে দেড় গুণ বেশি! তবে এর দাম দোকানভেদে এখন আরও বেশি রাখা হচ্ছে।
সংবাদ সূত্র-বাংলা নিউজ ২৪.কম
একতার কণ্ঠঃ মেসি এখন থেকে খেলবেন ৩০ নম্বর জার্সিতে। প্রিয় ১০ নম্বর জার্সি ফেলে এসেছেন প্রিয় দল বার্সেলোনায়। নতুন দল প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) নাম লিখিয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
দীর্ঘদিনের দলের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করার যন্ত্রণা মেসিকে পোড়াচ্ছে। তবে এ নিয়ে বিমোহিত যে, বন্ধু নেইমারের সঙ্গে আবারও জুটি বাঁধবেন। পিএসজি সমর্থকরা মেসি-নেইমার যুগলবন্দির নৈপুণ্য দেখার অপেক্ষায়। ফ্রান্সের রাজধানীতে উন্মাদনা বয়ে যাচ্ছে। এমন উৎসাহ-উদ্দীপনার মাঝেই আলোচনায় এসেছে বার্সায় কী কী ফেলে এলেন লিওনেল মেসি। চলতি মৌসুমে বার্সায় থাকলে মেসি আরও কয়টি রেকর্ড জমা করতে পারতেন নিজের ঝুলিতে?
সে হিসাব করতে গেলে তিনটি রেকর্ড চলে আসছে চোখের সামনে, যা অধরা রয়েই গেছে মেসির।
১. পিএসজিতে চলে আসায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা তারকা রায়ান গিগসের একটি রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েও সেটিকে ভাঙা হলো না মেসির।
ম্যানইউর হয়ে রায়ান গিগস জিতেছেন ৩৬ ট্রফি। মেসি জিতেছেন ৩৫টি। পিএসজিতে মেসি যোগ দেওয়ার পর নির্দিষ্ট একটি ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ের রেকর্ড গিগসের নামেই রয়ে গেল। মেসি থেকে গেলেন দ্বিতীয় স্থানে।
২. মাত্র দুটি ম্যাচের জন্য বার্সার হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের একটি রেকর্ড গড়া হলো না মেসির। ১৫১টি ম্যাচ খেলে বার্সার হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড জাভির। যেখানে মেসি খেলেছেন ১৪৯টি। ১৩০ ম্যাচ খেলে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা আছেন তিনে।
৩. লা লিগা শিরোপা ছোঁয়ার রেকর্ডেও পিছিয়ে মেসি। লা লিগায় সর্বোচ্চ ১২ ট্রফি জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক খেলোয়াড় পাবো জেন্তো। ১০টি শিরোপা জিতে মেসির অবস্থান দ্বিতীয়।
সংবাদ সূত্র- যুগান্তর অনলাইন
একতার কণ্ঠঃ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অবশেষে জয় পেল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এই প্রথম অসিদের বিপক্ষে জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা।
পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। এই জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল টাইগাররা।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান করে বাংলাদেশ।
সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে নাসুম আহমেদের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ১০৮ রানে অলআউট হয় অসিরা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩২ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। মেহেদী হাসানের স্পিন বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার অ্যালেক্স কেরি।
দলীয় ১০ রানে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন অন্য ওপেনার জশ পিলিপি। মেহেদির মতো সাকিব আল হাসানও প্রথম বলে সাফল্য পান। এ বাঁ-হাতি স্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ময়েস হেনরিক্স।
২.১ ওভার তথা ১৩ বলে দলীয় ১১ রানে ৩ উইকেট পতনের পর অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মিসেল মার্শ।
চতুর্থ উইকেটে ৩৮ রানের জুটি গড়ে নাসুম আহমেদের দ্বিতীয় শিকার হন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ওয়েড। তিনি ২৩ বলে মাত্র ১৩ রান করে ফেরেন।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
৩.৩ ওভারে দলীয় ১৫ রানে জশ হ্যাজলউডের গতির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন সৌম্য। ৯ বলে মাত্র ২ রান করে ফেরেন এ ওপেনার।
দলকে খেলায় ফেরানোর আগেই বিপদে পড়েন অন্য ওপেনার নাঈমও। দলীয় ৩৭ রানে ২৯ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ৩০ রান করে অ্যাডাম জাম্পার স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন টাইগার এ ওপেনার।
জশ হ্যাজলউডের করা আগের বলেটি ডিপ ব্যাকওয়ার্ স্কয়ারের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
ঠিক পরের বলে লং অপের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হেনরিকসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রিয়াদ। ১২.২ ওভারে দলীয় ৭৩ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক (২০)।
ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ বলে ৩ রান করা নুরুল হাসান সোহান ফেরেন ৪ বলে ৩ রান করে।
১৬.৬ ওভারে দলীয় ১০৪ রানে হ্যাজলউডের তৃতীয় শিকারে পরিনত হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান। তার আগে ৩৩ বলে তিন চারে ৩৬ রান করেন সাবেক এ অধিনায়ক।
সাকিব আউট হওয়ার পর ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি শামিম হোসেন। ৩ বলে ৪ রান করে মিসেল স্টার্কের বলে বোল্ড হন তিনি।
ব্যাটসম্যানদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে ইনিংসের শেষ বলে আউট হন আফিফ হোসেন। তার আগে ১৭ বলে তিন বাউন্ডারিতে করেন ২৩ রান।
একতার কণ্ঠঃ ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে দুই নারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে দেশটির স্থানীয় পুলিশ। গ্রেফতারের সময় গুলিবিদ্ধ হয় টিকটক হৃদয় বাবু ও সাগর।
এই চক্রের অন্যতম মূলহোতা আশরাফুল মণ্ডল ওরফে ‘বস রাফি’সহ চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব দাবি করছে, রাফি (৩০) গত আট বছরে ৫০০ নারীকে ভারতে পাচার করেছে। ওই ৫০০ নারীকে যৌন কাজ করতে বাধ্য করা হয়। মানবপাচারকারী এ চক্রের সঙ্গে প্রায় ৫০ জন জড়িত।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, মাত্র অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে নারীপাচারকারী আশরাফুল মণ্ডল ওরফে বস রাফি। আট বছর আগে থেকে ভারতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার। প্রথমে ব্যাঙ্গালুরুতে ট্যাক্সি চালিয়ে জীবন নির্বাহ করত সে। পরে হোটেলে রিসোর্ট কর্মচারী এবং কাপড়ের ব্যবসা করত।
গত দুই বছর আগে টিকটক হৃদয়ের সঙ্গে রাফির পরিচয় হয়। এরপর টিকটক হৃদয়ের মাধ্যমে প্রায় অর্ধশতাধিক তরুণীকে ভারতে পাচার করে সে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের ভারতে পাচার করত রাফি। বাংলাদেশ থেকে তাকে নারীর যোগান দিত টিকটক হৃদয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ খুলে বিভিন্ন বয়সের নারী ও তরুণীদের সঙ্গে যোগাযোগ করত হৃদয়।
এই গ্রুপের মাধ্যমে তরুণীদের মডেল বানানোসহ ও বিভিন্ন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে আকৃষ্ট করত। পরবর্তীতে ভারতে বিভিন্ন সুপার শপ ও বিউটি পার্লারে চাকরি দেয়ার কথা বলে বস রাফির সহযোগিতায় এসব তরুণীদের পাচার করত।
র্যাব জানায়, এসব তরুণীদের ভারতে পাচারের পর প্রথমে একটি সেফ হাউজে নেওয়া হতো। সেখানে তাদের জোর করে মাদক সেবন করতে বাধ্য করানো হতো। মাদক সেবনের পর তাদের জোরপূর্বক যৌন নির্যাতন করে ভিডিও ধারণ করা হতো। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে ভয় দেখিয়ে তাদের পরবর্তীতে ব্ল্যাকমেইল করা হতো।
র্যাব আরো জানায়, টিকটক হৃদয় বাবু ও আলামিনসহ এই চক্রটি ভারতের বেঙ্গালুরুর কোর্টলোর এলাকায় থাকত। সেখানেই রাফির আস্তানা। এই রাফির বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকায়। রাফিকে আলামিনরা বস বলে সম্বোধন করে।
র্যাব কর্মকর্তা কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কলকাতায় সেফ হাউজে নিয়ে রাখা হতো নারীদের। এর পর সুযোগ বুঝে কলকাতা থেকে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের বেঙ্গালুরু পাঠানো হতো তাদের। বেঙ্গালুরু পৌঁছানোর পর রাফি তাদের গ্রহণ করে বিভিন্ন সেফ হাউজে নিয়ে রাখত। সেখানেই মাদকাসক্তে অভ্যস্তকরণ এবং নির্যাতনের মাধ্যমে যৌন পেশায় বাধ্য করানো হতো নারীদের। ক্ষেত্রবিশেষে এসব নারীদের অনেককে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করতেন রাফি।
ভাইরাল সেই ভিডিওর বিষয়ে গ্রেফতার রাফি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ভারতে নির্যাতিত ওই তরুণী দুই বাংলাদেশি নারীকে দেশে পালিয়ে আসতে সহযোগিতা করেছিলেন। এজন্য তাকে অত্যাচার করা হয়। তাকেও বলা হয়, যদি তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, তাহলে ভিডিও স্বজনদের কাছে পাঠানো হবে।
যশোরের সীমান্ত এলাকায় এ চক্রটির একটি সেইফ হাউজ রয়েছে বলে খবর পেয়েছে র্যাব। যা সাহিদা, সোনিয়া ও তানিয়া নামে তিনি নারীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তারা তিনজনই এই পাচারের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত।
সোনিয়া ও তানিয়া বর্তমানে বেঙ্গালুরে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছেন তাদের মা সাহিদা।
উল্লেখ্য, যৌন নির্যাতনের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেখানে তানিয়াকে দেখা গেছে। সেখানে নির্যাতনকারীদের সহযোগী হিসেবে দেখা গেছে তানিয়াকে।
মাত্র ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে চক্রটি রাফির কাছে বাংলাদেশ থেকে নারী পাচার করত বলে জানিয়েছে র্যাব।
সূত্রঃ যুগান্তর অনলাইন নিউজ পোর্টাল
একতার কণ্ঠঃ গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বর্বর হামলার এক সপ্তাহ পেরিয়েছে। এই সময়ে ইসরাইলের বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১২ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময় আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ৫০০ জন ফিলিস্তিনি। খবর বিবিসির।
ইসরাইলি হামলায় নিহত ২১২ জনের মধ্যে ৬১ জনই শিশু। আর হামাসের হামলায় ১০ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই শিশু রয়েছে। ইসরাইল দাবি করেছে, তাদের হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগই জঙ্গি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ৬১ শিশু ও ৩৬ জন নারী রয়েছেন।
এদিকে ইসরাইলি সেনা বাহিনীর এক টুইট বার্তায় বলা হয়, ইসরাইলের উত্তরাঞ্চল লক্ষ্য করে অন্তত ছয়টি রকেট ছুড়েছে লেবানন। তবে রকেটগুলো লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারেনি। সেগুলো লেবাননের ভূখণ্ডেই বিস্ফোরিত হয়।
গাজায় ইসরাইলের হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আনা প্রস্তাব তৃতীয়বারের মতো আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গাজায় ইসরায়েলের জঙ্গি বিমান থেকে ফেলা বোমায় শিশুসহ বেসামরিক লোকজনের প্রাণহানির মধ্যে এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয়বার জরুরি বৈঠকে বসেছিল জাতিসংঘ।
সেখানে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে অবিলম্বে অস্ত্রবিরতির আহ্বানসংবলিত একটি যৌথ প্রস্তাব তোলা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবটি আটকে দেওয়ায় এবারের বৈঠকও নিষ্ফল হয় বলে আল-জাজিরা জানিয়েছে।
এদিকে গাজায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে আট দিনের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পর যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি সোমবার ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পক্ষে তার সমর্থন ব্যক্ত করেন। মঙ্গলবার বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
জো বাইডেন সোমবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এই ফোনকলেই তিনি ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পক্ষে তার মত দেন। তিনি নেতানিয়াহুকে বলেন, মিসরসহ বেশ কয়েক রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সহিংসতা নিরসনের লক্ষ্যে।
ইসরাইল-ফিলিস্তিন সহিংসতা এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে। এটি বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
একতার কণ্ঠ ডেস্কঃ সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের নামে পাকিস্তানে বিশাল মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভাসিটি (আইআইইউ) ক্যাম্পাসে শিগগিরই শুরু হচ্ছে মসজিদটির নির্মাণকাজ। খবর আরব নিউজের।
আইআইইউর কর্মকর্তা ড. মাসুম ইয়াসিনজাই বলেছেন, সৌদি আরবের দুই পবিত্র মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের নামে মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হচ্ছে।
বিশাল এ মসজিদে একসঙ্গে ১২ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এদের মধ্যে ১০ হাজার পুরুষ ও দুই হাজার নারী মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হবে সুবিশাল কমপ্লেক্স।
সেখানে থাকবে মুসলিম পণ্ডিত ও শিক্ষার্থীদের জন্য গাবেষণা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
এ ছাড়া সেখানে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নামে তৈরি হবে বিশাল লাইব্রেরি, জাদুঘর ও মিলনায়তন।
কেবল মসজিদ নির্মাণেই ব্যয় হবে ৩৩ লাখ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া কমপ্লেক্স নির্মাণে আরও অর্থ দেবে সৌদি আরব।
ড. মাসুম ইয়াসিনজাই বলেন, এ মসজিদটি হবে পাকিস্তান ও সৌদি আরবের বন্ধুত্বের অনন্য নিদর্শন।