/ মূলপাতা / আন্তর্জাতিক
​বাঙালি বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত ছিল যে সাংবাদিক - Ekotar Kantho

​বাঙালি বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত ছিল যে সাংবাদিক

একতার কণ্ঠঃবাংলা খবরের কাগজে তার সঙ্গে যারা কাজ করতেন, তারা চৌধুরী মঈনুদ্দীনকে শান্ত, ভদ্র, এবং বিচক্ষণ তরুণ হিসেবেই জানতেন। তার চেহারা ছিল অমায়িক, মুখ ভরা ছিল ছোট করে ছাটা পরিপাটি দাড়ি। অন্যদের চেয়ে ব্যতিক্রম বলতে ছিল—মুসলিম ডানপন্থী রাজনৈতিক দলের এক নেতার সঙ্গে তার প্রায়শ ফোনালাপ।

কিন্তু গত কিছুদিনের অনুসন্ধানে জানা গেল, সেই ফোনালাপ নিছক সাধারণ কিছু ছিল না। এর সূত্র ধরেই জানা গেল এই মঈনুদ্দীন হলেন কমান্ডোর মতো গুপ্ত ঘাতক একটি সংগঠনের প্রধান যারা ঢাকায় একটি ইটভাটায় শত শত বিশিষ্ট বাঙালি অধ্যাপক, ডাক্তার, আইনজীবী ও সাংবাদিককে হত্যা করেছে।

ডিসেম্বর ১৭ তারিখে শেষ হওয়া যুদ্ধের আগের তিন দিন ধরে খাকি প্যান্ট আর কালো সোয়েটারের উর্দি পরা এই আলবদর বাহিনীর সদস্যরা তাদের আটক করেছিল। সেই সময় যারা আটক হয়েছিলেন তারা বলেছেন, এদের লক্ষ্য ছিল বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চিহ্ন করা, যারা পাকিস্তান থেকে একটি স্বাধীন ধর্ম-নিরপেক্ষ রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে কাজ করেছেন।
অনেক বাঙালি মনে করেন তখনই যদি যুদ্ধ শেষ না হতো তাহলে আলবদর তাদের পরিকল্পনায় সফল হতো। ওই ইটভাটায় যে ১৫০টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে তাদের অধিকাংশেরই ছিল নখ উপড়ানো এবং আঙুল কাটা। ইট ভাটার কাছের মাঠেই ২০টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে যেখানে শত শত মানুষকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

একতার কণ্ঠ

নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত প্রতিবেদন

এটা এখন স্পষ্ট যে আলবদর হলো বাঙালিদের দ্বারা তৈরি বাহিনী, পশ্চিম পাকিস্তানী কিংবা ভারত থেকে আসা বিহারীদের, যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালির উপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে, তাদের দ্বারা নয়।

‘পৃথিবীর এমন কিছু নেই যা আমাদের সঙ্গে ঘটেনি,’ বলছিলেন সম্পাদক এহতেশাম চৌধুরী, যার পত্রিকায় কাজ করতেন মঈনুদ্দীন।

আলবদর বাহিনী এহতেশাম চৌধুরীর ছোট ভাইকে অপহরণের পর হত্যা করে। সেদিন গভীর রাত পর্যন্ত অফিসে অবস্থান করায় সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান এহতেশাম। আলবদর সদস্যরা সেই রাতে রাত বাড়িতে হানা দিয়েছিল।
যা ঘটেছে আমি যখন এটা ভাবি, আমার পা অসাড় হয়ে যায়,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি ভালো হতো, যদি তারা আমাদের নিচে চাপা পড়ে থাকত।’
এই আলবদর বাহিনী যে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ গ্রুপ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও সজ্জিত ছিল এ ব্যাপারে অনেক তথ্য প্রমাণ উঠে আসছে এখন।

পূর্ব পাকিস্তান গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর ডেস্কের উপর পাওয়া কিছু গোপনীয় কাগজে এই আলবদর বাহিনীর কথার উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘ক্যাপ্টেন তাহির, আলবদরের জন্য গাড়ি’, ‘আলবদরের ব্যবহার’—তাড়াহুড়ো করে লেখা একটি কাগজের নোটে পাওয়া গেছে।

ক্যাপ্টেন তাহিরকে বলা হয়ে থাকে, রাজাকার ও বিহারী মিলিশিয়ার একজন কিংবদন্তীতুল্য পাকিস্তানী কমান্ডার যাদের মাধ্যমে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বাঙালিদের উপর ত্রাস সৃষ্টি করত।

অন্য আরেকটি পাতায় লেখা রয়েছে ‘নিজাম উদ্দিন, মোটিভেটেড নিউজ’। নিজাম উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন বাঙালি সাংবাদিক যিনি পাকিস্তানবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গির জন্যে সুবিদিত। যুদ্ধ শেষ হওয়ার দুই দিন আগে তাকে তার বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া হয়। এছাড়া তার নামের পাশে পেন্সিল দিয়ে অজ্ঞাত বিশেষ এক ধরনের চিহ্ন আঁকা ছিল।

তবে হত্যাকারীরা কিছু ক্লু রেখে গেছে। রাতে কারফিউ চলাকালীন তারা তাদের টার্গেটকে তুলে নিয়ে যায়। তারা কখনোই নিজেদের পরিচয় দিত না। কড়া পাহারার মধ্যে দূরে নিয়ে গিয়ে তারা হত্যাকাণ্ডগুলো ঘটায়।

যুদ্ধ শেষ হবার আগের দিন ঢাকা শহরের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে সেই ইটভাটার পাশে যে কৃষকদের বসবাস, তারা কালো সোয়েটার, খাকি প্যান্ট পরা লোকদের দেখেছেন অসংখ্য মানুষকে চোখ বেঁধে সারিবদ্ধভাবে ধরে নিয়ে যেতে। কিন্তু চোখ বাঁধা লোকগুলো কারা ছিলেন তা দেখার জন্য খুব কাছে যেতে পারেননি তারা।

হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন লোক সেখান থেকে বেঁচে ফিরতে সক্ষম হয়েছেন এই ঘটনার কথা বলার জন্য। পরিসংখ্যানের অধ্যাপক মোহাম্মদ রউফ ১৩ তারিখ ভোরবেলা দরজায় জোরে টোকার শব্দ শুনে জেগে উঠেছিলেন। উত্তর দিয়েছিলেন তার স্ত্রী। দরজায় দাঁড়ানো ১২ জন সশস্ত্র লোককে তিনি বলেছিলেন তার স্বামী বাসায় নেই, কিন্তু এরপরও তারা জোর করে ঘরে ঢুকে পড়ে।

‘তারা আমাকে কিছুই বলেনি। যতক্ষণ না তারা তাকে (স্বামীকে) পেয়েছে ততক্ষণ ঘর তল্লাশি করেছে’ বলেন মিসেস রউফ।

‘এরপর তারা তাকে হাত পিছমোড়া করে বেঁধে নিয়ে যায়।’

ভাগ্যক্রমে, রউফ যে পেস্ট্রিশপে কেনাকাটা করতেন সেই দোকানেরই এক কর্মচারীকে তার সঙ্গে একই ঘরে বন্দী রাখা হয়। শ্রী চন্দপাল নামের পেস্ট্রিশপের সেই কর্মচারী পরে আলবদরের দলে থাকা এক বন্ধুর মধ্যস্থতায় মুক্তি পায়।

‘ওখানে ৪২ জন ছিলাম আমরা সেই রুমে’ চন্দপাল বলেন, ‘আমাদের সবার হাত ছিল পিছমোড়া করে বাঁধা এবং চোখ কাপড়ে ঢাকা। একটা পর্যায়ে আমি চোখের বাঁধন আলগা করতে পারি। সেই রুমের অধিকাংশ লোক ছিলেন পেশায় অধ্যাপক এবং ডাক্তার। সেখানকার প্রহরীরা আমাদের কিছু খেতে দেয়নি। এমনকি আমরা যখন পানি চাইছিলাম তারা হেসে বলেছিল যাও ইন্দিরা গান্ধীকে বলো।’

চন্দপাল বলছিলেন, ওদের সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই ছিল না যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের আলোচনা শুনে আলবদরের বিষয়টি বুঝতে পারেন। ‘তারা বলছিল কেন বাঙালিদের হত্যা করা দরকার। আমরা অন্য ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ শুনছিলাম।’

‘সেই রাতে প্রহরীরা প্রফেসর রউফসহ ১০ জনকে নিয়ে যায় যারা আর ফিরে আসেননি।’

ডিসেম্বর ১৫ তারিখ যখন চন্দপাল মুক্তি পান, তখন তিনি নিজেকে আবিষ্কার করেন ঢাকার শারীরিক শিক্ষা কলেজের একটি ডরমিটরিতে যা আমেরিকান সাহায্যে তৈরি করা আধুনিক ভবন ছিল।

কলেজের দারোয়ান মকবুল হোসাইনও সেই রাতগুলোর কথা মনে করেন। ‘সুন্দর কাপড় পরা এবং হাত বাঁধা অবস্থায় শত শত লোককে সেখানে নিয়ে আসা হতো। ওই ঘরগুলো থেকে আমরা সব সময় আর্তনাদ আর চিৎকার শুনতে পেতাম,’ বলেন তিনি।

আলবদর নামটি নেওয়া হয়েছে মদিনার কাছে যে জায়গায় ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) যে মহান যুদ্ধ করেছিলেন সেখান থেকে। তার (নবীর) অসংখ্য সাহসী সেনাকে এই নাম দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকার জেলে আটক আছেন এরকম একজনের ভাষ্য অনুযায়ী, রিপোর্টার মঈনুদ্দীন ছিলেন এই আলবদরের মূল হোতা। মঈনুদ্দীনের সঙ্গে তার ঘরেই থাকত এরকম একজনের একটি ডায়রি পাওয়া গেছে যেখানে আলবদর বাহিনীর সদস্যদের নামের তালিকা এবং তারা কত টাকা চাঁদা দিয়েছিল তা উল্লেখ ছিল।

এই দুজন যে বাড়িটিতে থাকতেন তার সামনে ছিল ঢাকার জামায়াতে ইসলামীর সদর দপ্তর। মৌলবাদীদের এই দলটি গত বছর জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে এক শতাংশের কম ভোট পেয়েছিল। আলবদর বাহিনী হলো জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় এক শাখা সংগঠন যাদেরকে গত মার্চে পাক বাহিনীর দমন-পীড়ন শুরুর পর খুব সতর্কতার সঙ্গে বাছাই করা হয়েছে।

পূর্বদেশ পত্রিকার এক সহকর্মীর সঙ্গে তর্কাতর্কি হবার পর মঈনুদ্দীনকে ১৩ ডিসেম্বর শেষবারের মতো ঢাকায় দেখা গিয়েছিল। তার সেই সহকর্মীকে ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আলবদর সদস্যরা তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।

সেই অফিসের আরেক কর্মী আতিকুর রহমান এখন মঈনুদ্দীনকে খুঁজতে শুরু করেছেন। রহমান বলেন, ‘আমরা তাকে খুঁজে বের করব, এর আগ পর্যন্ত আমরা শান্ত হব না।’

[চৌধুরী মঈনুদ্দীন বর্তমানে যুক্তরাজ্যের নাগরিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি হামিদুল হক চৌধুরীর মালিকানাধীন পূর্বদেশ পত্রিকায় কাজ করতেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।]

নিউইয়র্ক টাইমসের বিশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ২ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে, সাংবাদিক ফক্স বাটারফিল্ড প্রতিবেদনটি লিখেছিলেন, অনুবাদ করেছেন এফ এম মিজানুর রহমান।

তথ্য সূত্রঃ দি ডেইলি স্টার অন লাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:০৫:এএম ২ বছর আগে
নিম্নচাপে পরিণত ‘জাওয়াদ’, বৃষ্টি চলবে - Ekotar Kantho

নিম্নচাপে পরিণত ‘জাওয়াদ’, বৃষ্টি চলবে

একতার কণ্ঠঃ উপকূলে আসার আগেই দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। সোমবার(৬ ডিসেম্বর) নিম্নচাপটি মধ্যরাতে ভারতের ওডিশা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ওই নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,  সোমবার দেশের বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামীকাল মঙ্গলবার(৭ ডিসেম্বর) থেকে দেশের বেশির ভাগ এলাকার আকাশ পরিষ্কার হতে থাকবে। ফলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপটির কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গড় গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার রয়েছে। দমকা ও ঝোড়ো হাওয়া বেড়ে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর দূরবর্তী সতর্কসংকেতের আওতায় রাখা হয়েছে। সমুদ্রে অবস্থানরত নৌযান ও মাছ ধরার নৌকাগুলোকে উপকূলে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় দেশের উপকূলে বিপদ একটু কমেছে। তবে এর প্রভাবে সোমবার দেশের বেশির ভাগ এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে।

চলতি মাসের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই মাসে বঙ্গোপসাগরে আরেকটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। তবে এটি বাংলাদেশ উপকূলের দিকে আসার আশঙ্কা কম। মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি এবং শেষের দিকে আরেকটি শৈত্যপ্রবাহ সৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে ঠান্ডা বাতাস আসা শুরু করবে। আর নদীতীরবর্তী এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. ডিসেম্বর ২০২১ ০৩:৫৮:পিএম ২ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ’র প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগর - Ekotar Kantho

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ’র প্রভাবে উত্তাল বঙ্গোপসাগর

একতার কণ্ঠঃ বড় বড় ঢেউ তীরে এসে আছড়ে পড়ছে। স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বেড়ি বাঁধের বাহিরে অবস্থিত পরিবার গুলো মাঝে আতঙ্ক বেড়ে গেছে। এদিকে আহাওয়া অফিস পায়রা সমুদ্র বন্দরকে স্থানীয় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। এছাড়া সকল মাছ ধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপাদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্নিঝড় জাওয়াদ’র প্রভাবে আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। ফলে গত দু’দিন ধরে সূর্যের আলো দেখা যায়নি। রবিবার(৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকায় থেমে থেমে গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। আর ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। রাস্তা ঘাটে তেমন মানুষের আনা গোনাও দেখা যায়নি।

তবে আবহাওয়া আফিস সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্নিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর দিকে অগ্রসর এবং দুর্বল হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এছাড়া চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে স্থানীয় তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। সকল মাছ ধরা ট্রলার সমূহকে নিরাপাদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে।

কুয়াকাটা ও আলীপুর মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মো.আনসার উদ্দিন মোল্লা বলেন, বর্তমানে সাগর উত্তাল রয়েছে। জেলেরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ করে ট্রলার নিয়ে আড়ৎ ঘাটে শিববাড়িয়া নদীতে আশ্রয় নিয়েছে। তবে এখনও বেশ কিছু ট্রলার সাগরে অবস্থান করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সংবাদ সূত্র- আমাদের সময়.কম

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. ডিসেম্বর ২০২১ ০১:২৮:এএম ২ বছর আগে
মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ - Ekotar Kantho

মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একতার কণ্ঠঃ আজ বুধবার(১৭ নভেম্বর) আফ্রো-এশিয়া-লাতিন আমেরিকার মেহনতি মানুষের মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী । ১৯৭৬ সালের এইদিনে তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী অধিকারবঞ্চিত অবহেলিত মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটের প্রতিটি ক্ষণে জনগণের পাশে থেকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে তিনি জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

তার মৃত্যু দিবস উপলক্ষে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল এবং রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে আলোচনার সভার আয়োজন করেছে বিভিন্ন সংগঠন।

এদিন রাজধানী ঢাকা, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত, অনুরাগীরা মজলুম জননেতা ভাসানীর সন্তোষের মাজারে শ্রদ্ধা জানাবেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাগপা, ন্যাপ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করবে। করোনা ভাইরাসের প্রভাব শিথিল হলেও বাড়তি সতর্কতা হিসেবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কর্মসূচি পালন করা হবে।

মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. নভেম্বর ২০২১ ০৩:৩৭:পিএম ২ বছর আগে
আর কবে ‘বড়’ হবে বাংলাদেশ? - Ekotar Kantho

আর কবে ‘বড়’ হবে বাংলাদেশ?

একতার কণ্ঠঃ ছেলেবেলার ভুল লোকে আমলে নেয় না। বরং আদরের ছলে পিঠ চাপড়ে বলে, ‘ছোট মানুষ, বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে।’ কিন্তু ঠিক কত বড় হলে ‘সেসব’ ঠিক হয়ে যায়, সে বিষয়ে কেউ নিদান দেয় না। ধরে নেওয়া হয়, পূর্ণবয়স্ক হলে ঠিক হয়ে যাবে।

লোকসমাজের এই প্রথা বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গেও বেশ মানানসই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো করতে পারছে না? হতাশ হবেন না। বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে। ধৈর্য ধরুন।

সান্ত্বনাবাণী কিংবা সুনীলের ‘কেউ কথা রাখেনি’র নাদের আলীর মতো কবিতাসর্বস্ব প্রতিশ্রুতি নয়। মরাবাড়িতে আসা প্রতিবেশীদের বাস্তব পরামর্শের মতো নিতে পারেন কথাটা।

সেই প্রার্থনার ভাষা অনেকটাই জেমসের এই গানের কথার মতো—‘সবুজ ঘাসে/একা একা/শুধু পথচলা/সারারাত তারা দেখে/নির্ঘুম ডানা মেলা/বৃষ্টির আঁধারে/অবিরাম ভিজে চলা/সব ভুলে চিৎকারে/এসো হোক প্রার্থনা/বড় হও, দীর্ঘ হও, শুধু বেড়ে ওঠো, শুধু বেড়ে…।

একটা উদাহরণ দিই। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আজ ৯ ওভারের মধ্যে ৩৬ রান তুলতে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নিঃসন্দেহে ‘নস্টালজিক পারফরম্যান্স’। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সর্বশেষ কোনো ম্যাচে ৯ ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়েছিল প্রথম সংস্করণে—২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।

সে ম্যাচে ৯ ওভারের মধ্যে ৪৮ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৮৩ রানে অলআউট। এই ১৪ বছর পেরিয়ে আজ বাড়ল ১ রান—মানে ৮৪ রানে অলআউট।

এবার একটি হিসেব কষা যাক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বয়স ১৫ বছর পেরিয়ে গেছে। সংস্করণটির দৈর্ঘ্য বিচারে টগবগে ‘যুবক’ বলাই যায়। তো, এই যুবক শৈশবে থাকতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেট হারানোকে কেউ ব্যর্থতার চোখে দেখেনি। ছোট মানুষ, বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে—ভেবেছেন সবাই।

দুর্ভাগ্য, সব ভাবনা বাস্তবতার আলো দেখে না। উদাহরণ রয়েছে আমাদের আশপাশেই।

এই তো আমাদের লোকসমাজেই এমন অনেক মানুষ আছেন—যাদের বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে গেলেও মাথাটা আর বাড়ে না। নাবালকই থেকে যায়। সমাজে তাঁরা যেমন মশকরার পাত্র তেমনি দীর্ঘশ্বাসও ফেলা হয়।

তেমনি বাংলাদেশ দলও এই সংস্করণে ১৫ বছর পার করেও শৈশব (প্রথম বিশ্বকাপের স্মৃতি) ধরে রাখায় মশকরা করবেন না দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন, তা একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে বাস্তবতাকে এড়িয়ে চলার সুযোগ তো নেই। এই ম্যাচের বাস্তবতা বলছে, বাংলাদেশ দলের বয়স কমছে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সে ম্যাচে ৮.১ ওভারে ৪০ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর অনেক জল গড়িয়েছে পদ্মা-মেঘনা-যমুনায়, বাংলাদেশ দল বড় হয়ে ওঠার বেগ বাড়াতে খেলোয়াড় পাল্টিয়েছে এন্তার, কিন্তু চাইলেই তো সব হয় না। তাহলে পৃথিবীতে ‘বুড়ো খোকা’ শব্দটা থাকত না। (সমর্থকদের) প্রার্থনায় কাজ হতো।

কিছু বিষয় তো ভাগ্যের হাতে—ঠিক যেভাবে বাবা-মায়ের শত প্রার্থনার পরও গায়ে-গতরে বেড়ে ওঠা সন্তানের বুদ্ধি-সামর্থ্য হয় না। অভিজ্ঞতার যূপকাষ্ঠে পুড়ে অঙ্গার হওয়া মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর চেয়ে তা কে ভালো বুঝবে!

২০০৭ বিশ্বকাপের সে ম্যাচের দল থেকে শুধু তিনজন খেলোয়াড় এখনো টিকে আছেন টি-টোয়েন্টি দলে। এদের একজন চোটে পড়ে বিদায় নিয়েছেন এবারের বিশ্বকাপ থেকে। বাকি নাম দুটো না বললেও চলছে। শুধু তাঁদের বুদ্ধিমানের মতো কাজগুলো দেখুন।

প্রতি ম্যাচ হারের পর মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর সব রকম কথার অন্তর্নিহিত বার্তা একটাই—‘চেষ্টা তো করছি কিন্তু হচ্ছে না।’ অর্থাৎ, ভাগ্য—সেই বুড়ো খোকার ভাগ্য! শরীর ও বয়স বাড়লেও মনের তো বুদ্ধি কমছে। মুশফিক নিজে তা স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না বলেই হয়তো বুদ্ধি খাঁটিয়ে আয়নায় সবাইকে দেখে নিতে বলেছেন।

তেমন এক নস্টালজিক আয়নাতেই ধরা পড়ল সত্যটা—১৪ বছর আগের সে ম্যাচে ৮.১ ওভারে ৪০ রান তুলতে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৪ বছর পর তেমনই এক ম্যাচে সেই ৮.১ ওভারেই বাংলাদেশের অর্জন ৫ উইকেটে ৩৪। সামর্থ্যের ‘বয়স’টা তাহলে বাড়ল না কমল?

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর মতো সিনিয়র খেলোয়াড়েরা যেহেতু সরাসরি বলতে পারছেন না, আনুষ্ঠানিক কথার ভাঁজে ‘গোপন বার্তা’ রেখে বোঝাতে হচ্ছে—দায়িত্বটা তাই কাঁধে তুলে নিয়েছে কচি-কাঁচার দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সে ম্যাচে ৮.১ ওভারে রান তোলার তাড়া সইতে না পেরে রানআউট হয়েছিলেন নাদিফ চৌধুরী। তখন তিনি দলের ‘নতুন কুঁড়ি’দের একজন, টি-টোয়েন্টিতে ভবিষ্যৎ হিসেবে ভাবা হয়েছে।

১৪ বছর পর আজকের ম্যাচে সেই একই পরিস্থিতিতে দলের মনের বয়সটা যে একই জায়গায় আছে, সেটাও বুঝিয়েছেন আরেক ‘নতুন কুঁড়ি’—আফিফ হোসেন।

ম্যাচ পরিস্থিতি কোনো বিষয় না, অনেকটাই বয়ঃসন্ধি কালের রোমাঞ্চের জ্বালা-পোড়া সইতে না পেরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টির ‘ভবিষ্যৎ’ প্রথম বলেই হাঁকিয়ে মারতে গিয়ে আউট।

কিন্তু এ কথাও সত্য, কেউ তো ইচ্ছে করে আউট হয় না। সমাজে যে লোকটা বুড়ো বয়সে কম বুদ্ধি-সামর্থ্যের বলি হয়ে প্রতিনিয়ত লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সইছে, খোঁটা শুনছে —সে কী আর ইচ্ছে করে এসব করবে! মোটেও না। হয়ে যায়।

যেমন ধরুন, আজ আবুধাবির উইকেট—দক্ষিণ আফ্রিকা টস জেতার পর সবুজাভ উইকেট দেখে বোলিং নেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। বোঝাই যাচ্ছিল, সবুজ উইকেটের পূর্ণ সদ্ব্যবহারে প্রস্তুত দুই পেসার কাগিসো রাবাদা ও আনরিখ নর্কিয়া।

প্রস্তুত ছিলেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহও। রাবাদা ও নর্কিয়ার লেংথ থেকে তোলা বলগুলো খেলতে দুজনের ঘাম ছুটলেও চেষ্টার কমতি ছিল না। কিন্তু ওই যে দুর্ভাগ্য, ব্যাটে খেলতে গিয়েও বলের ছল-চাতুরীর শিকার! ছুঁয়ে দিয়ে ‘আপন’ করেছে ফিল্ডারকে!

দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই খেলোয়াড় ১৫-১৬ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়েও যখন এমন বল সামলাতে পারেন না, তখন ছোটদের কথা না তোলাই ভালো।

সবচেয়ে বড় কথা হলো, কেউ তো আর ইচ্ছে করে খারাপ খেলে না, ক্যাচ ছাড়ে না, আউট হয় না। সবই অনিচ্ছাকৃত ভুল। হয়ে যায়। ব্যাপারটা এমনই ‘প্রাকৃতিক’—আর কে না জানে প্রকৃতির খেয়াল-খুশির ওপর কারও হাত নেই। এই কথাটা খেলোয়াড়েরা বুঝলেও অবুঝের মতো আচরণ করছেন শুধু সমর্থকেরা।

সব ম্যাচেই শুধু চাই, চাই আর চাই। আরে ভাই, বিধিলিপি বলেও তো কিছু আছে! সেই ‘লিপি’র তোয়াক্কা না করে খেলোয়াড়দের এন্তার সমালোচনার হেতু কি? মাহমুদউল্লাহই বলেছেন,খেলোয়াড়েরাও তো মানুষ! আর মানুষ মাত্রই ভাগ্যের শৃঙ্খল-বন্দী।

বোকা সমর্থকেরা তা না বুঝেই প্রতি হারের পর মা-বাবা যেমন সন্তানদের শাসন করেন, খেলোয়াড়দের সেভাবে ‘শাসন’ করে আবার প্রার্থনায় বসেন পরের ম্যাচের জন্য।

সেই প্রার্থনার ভাষা অনেকটাই জেমসের এই গানের কথার মতো—‘সবুজ ঘাসে/একা একা/শুধু পথচলা/সারারাত তারা দেখে/নির্ঘুম ডানা মেলা/বৃষ্টির আঁধারে/অবিরাম ভিজে চলা/সব ভুলে চিৎকারে/এসো হোক প্রার্থনা/বড় হও, দীর্ঘ হও, শুধু বেড়ে ওঠো, শুধু বেড়ে…।

হ্যাঁ, শুধুই বেড়ে ওঠা। আর কিছু না!

সংবাদ সূত্রঃ প্রথম আলো অনলাইন

ছবিঃ রাইজিং বিডি

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. নভেম্বর ২০২১ ০২:২০:এএম ২ বছর আগে
ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের মূলপর্বে নামিবিয়া - Ekotar Kantho

ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের মূলপর্বে নামিবিয়া

একতার কণ্ঠঃ অঘটন? তা বলাই যায়। শক্তি ও অভিজ্ঞতায় আয়ারল্যান্ডের ধারে–কাছেও নেই নামিবিয়া। অথচ আফ্রিকার এই দলটি–ই কি না আজ আয়ারল্যান্ডকে বিদায় করে জায়গা করে নিল টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে!

প্রথম রাউন্ডে ‘এ’ গ্রুপ থেকে পরিষ্কার সমীকরণ ছিল আয়ারল্যান্ড ও নামিবিয়ার সামনে—যে দল জিতবে তারাই উঠবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে। এমন ম্যাচে অভিজ্ঞতা ও শক্তিতে সবাই এগিয়ে রেখেছিলেন আয়ারল্যান্ডকে। ওয়ানডে কিংবা টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও গ্রুপপর্ব উতরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে দলটির।

মহাগুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচে আগে ব্যাট করে ভালো করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। ৮ উইকেটে ১২৫ রানের সাদামাটা স্কোর দাঁড় করায় অ্যান্ডি বলবার্নির দল। তাড়া করতে নেমে জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ৩৩ রান দরকার ছিল নামিবিয়ার। গেরহার্ড এরাসমাস ও ডেভিড ভিসে মিলে দারুণ এক জুটি গড়ে ৯ বল হাতে রেখে ঐতিহাসিক এক জয় এনে দেন নামিবিয়াকে।

দক্ষতা ও অভিজ্ঞতায় আইরিশ খেলোয়াড়েরা নামিবিয়ার চেয়ে যোজন যোজন ব্যবধানে এগিয়ে। বটে! কথায় আছে ‘দ্য গেম ইজ অ্যা গ্রেট লেভেলার’—আয়ারল্যান্ডকে আজ ৮ উইকেটে হারিয়ে নামিবিয়া যেন ক্রিকেটের এ আপ্তবাক্য মনে করিয়ে দিল।

আইসিসির বিশ্বকাপে এর আগে শুধু ২০০৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেই খেলেছে নামিবিয়া। ১৪টি দলের মধ্যে ১৪তম হয়ে বিদায় নিয়েছিল। তারপর এবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে আইসিসি আয়োজিত কোনো বিশ্বকাপে পা রেখেই গ্রুপপর্ব উতরে যাওয়ার ইতিহাস গড়ল নামিবিয়া। দেশটির রাজধানী উইন্ডহকে আজ তাই উৎসবের লগ্ন।

নামিবিয়া জিতে শুধু সুপার টুয়েলভই নিশ্চিত করেনি, জায়গা করে নিয়েছে আগামী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। এর আগে আইসিসি জানিয়েছিল, এবার সুপার টুয়েলভে ওঠা দলগুলো ২০২২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলবে, আলাদা করে বাছাইপর্ব আর খেলতে হবে না। অর্থাৎ এক ‘ঢিলে’ দুই ‘পাখি’ মারল নামিবিয়া।

তৃতীয় উইকেটে ৩১ বলে ৫৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন ভিসে-এরাসমাস। উইকেটে দুজন যখন জুটি বাঁধেন ৪০ বলে ৫৩ রানের দূরত্বে ছিল নামিবিয়া।

কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আইরিশ বোলার ক্রেগ ইয়াং, জশ লিটল কিংবা কার্টিস ক্যাম্ফারদের বিপক্ষে নামিবিয়ান ব্যাটসম্যানদের এ লক্ষ্য ছোঁয়া বেশ কঠিনই ছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ভিসে এবং এরাসমাস ঠান্ডা মাথায় যেভাবে ব্যাট করেছেন তা অনেক দিন মনে রাখবে নামিবিয়া ক্রিকেট।

কোনা চাপ টের পেতে না দিয়ে ১৮.৩ ওভারে দলের জয় নিশ্চিত করেন দুজন। ৪৯ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন এরাসমাস। ১৪ বলে ২৮ রানে অন্য প্রান্ত ধরে রাখেন ভিসে।

তার আগে জেন গ্রিনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ বলে ৪৮ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়েন এরাসমাস। সহযোগী দেশ নামিবিয়ার হিসেবি ক্রিকেটের তুলনায় টেস্ট খেলুড়ে আয়ারল্যান্ডই বরং বাজে খেলেছে।

পল স্টার্লিং ও কেভিন ও’ব্রায়েন ছাড়া আর কেউ সেভাবে রান পাননি। ওপেনিং জুটিতে স্টার্লিং-ও’ব্রায়েনের গড়া ৪৪ বলে ৬২ রানই আয়ারল্যান্ডের ইনিংসে সর্বোচ্চ। ২৪ বলে ৩৮ রান করেন স্টার্লিং। সমান বলে ২৫ রান ও’ব্রায়েনের। ২১ রানে ৩ উইকেটে নেন নামিবিয়ার ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক। ১৪ রানে ২ উইকেট নেন আয়ারল্যান্ডের পেসার ক্যাম্ফার।

নামিবিয়াসহ মোট দুটি সহযোগী দেশ জায়গা করে নিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে। ‘বি’ গ্রুপ থেকে স্কটল্যান্ড এর আগে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করেছে। আজ নামিবিয়া সে টিকিট পাওয়ার পর আনন্দাশ্রু ঝরেছে খেলোয়াড়দের চোখে।

নামিবিয়া ক্রিকেটের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে এটা সেরা দিন। অন্য দিকে অবিশ্বাস্য হারে মাঠেই স্থাণুর মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন আয়ারল্যান্ডের কিছু খেলোয়াড়। হার যেন তাদের বিশ্বাস হচ্ছিল না। এটাই তো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মজা!

৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার টুয়েলভে উঠল নামিবিয়া। সেখানে নিজেদের গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

আয়ারল্যান্ড: ২০ ওভারে ১২৫/৮ (পল স্টারলিং ৩৮, কেভিন ওব্রায়েন ২৫, অ্যান্ডি বালবিরনি ২১; জান ফ্রিলিংক ৩/২১)।

নামিবিয়া: ১৮.৩ ওভারে ১২৬/২ (গেরহার্ড ইরাসমাস ৫৩*, ডেভিড ওয়াইজ ২৮*, জেন গ্রিন ২৪, ক্রেগ উইলিয়ামস ১৫।

ফল: নামিবিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. অক্টোবর ২০২১ ০২:৫৮:এএম ২ বছর আগে
প্রোটেক্ট না করলে বন্ধ হতে পারে ফেসবুক আইডি - Ekotar Kantho

প্রোটেক্ট না করলে বন্ধ হতে পারে ফেসবুক আইডি

একতার কণ্ঠঃ বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীর মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি ফেসবুক ব্যবহারকারীরা একটি নোটিফিকেশন পাচ্ছেন। যা নিয়ে ব্যবহারকারীদের মনে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। অ্যাকাউন্ট নিরাপদে রাখতে ‘ফেসবুক প্রোটেক্ট’ করতে হবে এমন বার্তা পাচ্ছেন অনেকে। এ ফিচার চালু না করলে লক হবে অ্যাকাউন্ট, এমনটাই জানাচ্ছে ফেসবুক।

ফেসবুক জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবরের মধ্যে ফেসবুক প্রোটেক্ট নামে একটি ফিচার ‘টার্ন অন’ বা ‘চালু’ না করলে অ্যাকাউন্টটি লক হয়ে যাবে। মূলত অ্যাকাউন্টকে বাড়তি নিরাপত্তা দিতে ফেসবুক প্রোটেক্ট নামে নতুন একটি ফিচার আনছেন তারা। এটি একটি ভলান্টারি প্রোগ্রাম, যা নির্বাচনী প্রার্থী, তাদের প্রচারণা এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অ্যাকাউন্টকে বাড়তি সুরক্ষা দেবে।

অনেকেরই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হচ্ছে। হ্যাকাররা মূলত যে অ্যাকাউন্টগুলোর অনেক বেশি ফলোয়ার থাকে, গুরুত্বপূর্ণ পেজ পরিচালনা করে কিংবা যার কমিউনিটি গুরুত্ব রয়েছে; সেগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়। এ ধরনের টার্গেটেড অ্যাটাক বা উদ্দেশ্যপূর্ণ হামলা রোধ করতেই উন্নত নিরাপত্তার প্রোগ্রামটি চালু করার অনুরোধ করেছে ফেসবুক।

আইডি প্রোটেক্ট করবেন যেভাবে
যারা ফিচারটি চালু করতে পারবেন, তারা ফেসবুকের মাধ্যমেই তা জানতে পারবেন। যারা এর আওতায় পড়বেন, তারা ফেসবুকের সেটিংসে গিয়ে সিকিউরিটি অ্যান্ড লগ-ইন অপশনে গেলে ফেসবুক প্রোটেক্ট নামে অপশন পাবেন। সেখান থেকে ফেসবুক প্রোটেক্ট অপশন অন করা যাবে।

এছাড়াও ফিচার চালু করতে ফেসবুকে প্রবেশ করলে কোড যাবে ব্যবহারকারীর নাম্বারে। সেটি দেওয়ার পর আগের মতোই ফেসবুক চালাতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

প্রথমে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির নির্বাচনের সময় সেখানকার প্রার্থীদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের সুরক্ষায় প্রোগ্রামটি তৈরি করা হয়েছিল। পরে এটি কানাডায় চালু করা হয়। ২০২১ সালে এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য সরবরাহ করা হবে।

বাংলাদেশে কেউ কেউ এ ধরনের নোটিফিকেশন বা ই-মেইল পেয়েছেন বলে জানা গেছে। আবার অনেকেই এ ধরনের নোটিফিকেশন পাননি। তবে এ বিষয়ে আপডেটও ফেসবুকের মাধ্যমেই জানানো হবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক।

সূত্র: বিবিসি

সর্বশেষ আপডেটঃ ২১. অক্টোবর ২০২১ ০২:৩৩:এএম ২ বছর আগে
‘ভাড়াটে’ সুলতানদের সামনে আহত বাঘ - Ekotar Kantho

‘ভাড়াটে’ সুলতানদের সামনে আহত বাঘ

একতার কণ্ঠঃ জ্যান্ত বাঘের চেয়েও আহত বাঘ বেশ ভয়ঙ্কর। বাংলা সাহিত্যে এই প্রবাদের প্রচলন বেশ। মরুর বুকে পাহাড়ের শহর মাসকটে এই প্রবাদের সত্যতা প্রমাণের পালা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের সামনে। স্কটিশদের থাবায় অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, ওমানের বিপক্ষে একটা জয় এনে দিতে পারে পাহাড়সম স্বস্তি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সুলতানাত ওমানের মুখোমুখি লাল সবুজের দল। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে এই মহারণ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়ে বেদনা ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ। শিষ্যরা যে ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবেন সেই বিশ্বাস, আস্থা আছে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর।

‘ছেলেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আছে। আমিও ওদের ওপর আস্থা রাখছি। অনেক টানটান উত্তেজনার ম্যাচ ওরা জিতেছে। ছেলেরা ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির বাধা পার করবে, পরের রাউন্ডে যাবে, এ ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী।’- এই ম্যাচকে সামনে রেখে ঠিক এভাবেই বলছিলেন রাসেল ডমিঙ্গো।

অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়ার পর এখন মাহমুদউল্লাহদের ভাবতে হচ্ছে পুচকে ওমানের বিপক্ষে জয় পাওয়া নিয়ে। অনিশ্চিয়তার খেলা ক্রিকেটে বুঝি এমনই হয়। বিশেষ করে খেলাটা যখন ২৪০ বলের তখন ফেভারিট বলতে কোনো শব্দ হয়তো নেই। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের পর স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করায় এই আলোচনার জন্ম দিয়েছে বেশ জোরালোভাবেই।

ওমানকেও হালকা ভাবে নেওয়ার কোনো উপায় নেই। বেশকিছু বিষয় কাজ করছে তাদের পক্ষে। একে তো স্বাগতিক দল আবার বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে পাপুয়া নিউ গিনিকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে। তাদের সমীহ করছেন বাংলাদেশ কোচও। তবে এটাও জানিয়ে রেখেছেন ভালো খেললে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনাই বেশি।

‘আমাদের আগামীকাল (আজ) ভালো করতে হবে। ওমান ভালো করছে। ওরাও পরের রাউন্ডে যেতে চাইবে। আমাদের জন্য কাজটা কঠিনই হবে। কিন্তু ছেলেরা জানে যে ওরা যদি ভালো খেলাটা খেলতে পারে, তাহলে আমাদের জেতার সম্ভাবনাই বেশি। কোচ হিসেবে আমি কোনো দলকেই ছোট করে দেখি না। এটাই কোচদের বৈশিষ্ট্য।‘

মাসকটের আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্কটিশদের বিপক্ষে প্রবাসীদের জোয়ারে গ্যালারিতে উঠেছিল লাল সবুজের ঢেউ। একই দৃশ্য দেখা যাবে আজও। এতে কোনো সন্দেহ নেই। ওমানিদের ক্রিকেট নিয়ে খুব একটা আগ্রহ না থাকলেও এই ম্যাচে স্থানীয় দর্শকদের মাঠে দেখা যাবে। গতকাল রাতে ওমান ক্রিকেট বোর্ড নিজেদের ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে দেয়, ‘সব টিকিট বিক্রি শেষ। গ্যালারি হাউজফুল।’

বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ১৬ সদস্যের মধ্যে একজন ছাড়া বাকিদের জন্ম ভারত ও পাকিস্তানে। একমাত্র সুফিয়ান মেহমুদের জন্ম ওমানে, তিনি দেশটির বয়সভিত্তিক দলে খেলে উঠে এসেছেন জাতীয় দলে। তাই ওমান দলকে এক কথায় ‘ভাড়াটে’ দল বললেও ভুল হবে না। যদি তারা নাগরিকত্ব পেয়ে এখন ওমানের পতাকা উড়াচ্ছেন।

বাংলাদেশ একাদশে এক পরিবর্তন নিশ্চিত। ওপেনার সৌম্য সরকারের পরিবর্তে মোহাম্মদ নাঈমকে দেখা যাবে। পেস আক্রমণেও দেখা যেতে পারে ভিন্নতা। তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে দেখা যেতে পারে শরিফুল ইসলামকে। আর বাংলাদেশ যদি এক পেসার কম খেলায় তাহলে একাদশে আসতে পারেন নাসুম আহমেদ।

এ ছাড়া ব্যাটিং অর্ডারে আসতে পারে পরিবর্তন। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী নামানো হতে পারে ব্যাটসম্যানদের। এই ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ ডমিঙ্গো, ‘আমি ক্রিজে বাঁহাতি ও ডানহাতির সমন্বয় দেখতে পছন্দ করি। সবসময়ই যেন ভিন্ন ভিন্ন দুজন ব্যাটসম্যান ক্রিজে থাকে, সেই চেষ্টা করি। এ নিয়ে গভীরভাবে আলোচনাও করেছি। আমরা ছোট খাটো পরিবর্তনও আনতে পারি। এক-দুই জায়গা হয়তো এদিক ওদিক হবে। শেষ দুটি সিরিজেও দেখেছেন আমরা কিভাবে ব্যাটিং অর্ডার সাজিয়েছি। আমরা এক্ষেত্রে খুবই নমনীয় থাকতে চাই। ম্যাচের অবস্থা অনুযায়ী ব্যাটসম্যান পাঠাতে চাই।’

এর আগে ওমানের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে বাংলাদেশ তাদের স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল। তবে এবার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে দলটি। স্বাগতিক বলেই কন্ডিশন তাদের পক্ষে। আর পাঁচ বছর আগের সেই দল আর এই দলের পার্থক্যও অনেক। দিনে দিনে তারা পরিণত হয়েছেন। আল আমিরাতে ওমান ১১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে তার মধ্যে ৭টিতেই জয় পেয়েছে।

বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে বাংলাদেশের এই ম্যাচে জয় চাই-ই। না হয় মাসকট থেকেই ধরতে হবে দেশের বিমান। মাহমুদউল্লাহদের সামনে অগ্নিপরীক্ষা, সেই পরীক্ষায় পাস করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ কি পারবে সুলতানাতের মাটিতে ‘ভাড়াটে’ সুলতানদের হারাতে? বাংলাদেশকে যে পারতেই হবে!

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. অক্টোবর ২০২১ ০১:০৫:এএম ২ বছর আগে
আন্তর্জাতিক “শিশু শান্তি” পুরস্কারের জন্য মনোনিত হলেন টাঙ্গাইলের সিয়াম - Ekotar Kantho

আন্তর্জাতিক “শিশু শান্তি” পুরস্কারের জন্য মনোনিত হলেন টাঙ্গাইলের সিয়াম

একতার কণ্ঠঃ ২০০৫ সালে রোমে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের এক সম্মেলন থেকে আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার চালু করা হয়।নেদারল্যান্ড ভিত্তিক শিশু অধিকার সংগঠন ‘কিডস রাইটস’ এই পুরস্কার প্রদান করে। প্রতিবছর একজন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী পুরস্কারটি হস্তান্তর করেন।

এ বছর ‘শিশুদের নোবেল’খ্যাত এই পুরষ্কারটির জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রাথমিক ভাবে মনোনিত হয়েছেন টাঙ্গাইলের মেধাবী কিশোর ফিরোজ আহম্মেদ সিয়াম।

১৭ বছর বয়সী সিয়াম এ বছর বাংলাদেশ থেকে তার সংগঠন One Step For Tomorrow এর জন্য মনোনিত হয়েছেন।তিনি Education এবং Violence এই দুই ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছেন। শিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করে তার সংগঠন। One Step For Tomorrow সংগঠনটির সিইও হওয়ায় ‘কিডস রাইটস’ আর্ন্তজার্তিক এই সংগঠনটি সিয়ামের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে মনোনিত করেছেন।

টাঙ্গাইলের কৃতি কিশোর ফিরোজ আহম্মেদ সিয়াম ঢাকা নটর ডেম কলেজ থেকে এ বছর এইচ এস সি পরীক্ষার্থী।তিনি ২০১৯ সালে বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ ফাইভ (গোল্ডেন) পেয়ে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করেছেন।সিয়াম কিশোর আলো বুক ক্লাব, প্রথম আলো বন্ধুসভা, সেভ দ্যা স্টুডেন্টসহ অনেক সংগঠনের সাথে জড়িত।

দুই ভাইয়ের মধ্যে বড়, সিয়ামের জন্ম কালিহাতী উপজেলার পারখী ইউনিয়নের রৌহা গামে। বাবা মুহাম্মদ রমজান আলী , পারখী মনির উদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মা ফিরোজা আক্তার কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষিকা। ছোট ভাই ফাহাদ আহম্মেদ শাফি টাঙ্গাইল প্রি ক্যাডেট স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র। সিয়ামের পরিবার বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় থাকেন।

এ প্রসঙ্গে ফিরোজ আহম্মেদ সিয়াম বলেন,“ এই অনুভুতি এটা তো ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আলহামদুলিল্লাহ, এরকম বিশ্বমঞ্চে নিজেকে দেখতে পেরে আমি অবশ্যই আনন্দিত। আমার বেড়ে ওঠা অজপাড়া গায়ে তাই স্বভাবতই আমার জানা বাংলাদেশের শিশুরা কত প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে যায়। ছিন্নমূল শিশুরা কিভাবে দিনাতিপাত করছে। নিজের জায়গা থেকে আমার সংগঠন One Step For Tomorrow এর সকল স্টেপারদের সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শিশু অধিকার রক্ষায় কাজ করে যেতে চাই আজীবন। যদিও পুরষ্কার কিংবা সম্মাননা লক্ষ্য নয় তবুও সাদাত ভাই, গ্রেটা কিংবা মালালা ইউসুফজাইয়ের মতো আইকনদের পরবর্তী প্রজন্ম হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। সবাইকে সাথে নিয়ে বাস্তবায়ন করতে চাই স্বপ্নের পৃথিবী। আজীবন বুকে ধারণ করতে চাই স্টেপার মূলমন্ত্র ” Let’s make dreaming world visual together.

উল্লেখ্য, কিডস রাইটস ফাউন্ডেশন হল নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে অবস্থিত একটি শিশুদের সহায়তা এবং অ্যাডভোকেসি সংস্থা।ফাউন্ডেশনটি ২০০৩ সালে মার্ক দুলার্ট এবং ইনেগ ইকিংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

সংস্থাটি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ডেসমন্ড টুটুকে উদ্ধৃত করে বলেছে, “কিডস রাইটস পুরোপুরি নির্বাককে কণ্ঠ দেওয়ার চেষ্টা করছে।”সংস্থার লক্ষ্য হ’ল বিশ্বজুড়ে দুর্বল শিশুদের সহায়তা ও ক্ষমতায়ন করা, ছোট-ছোট স্থানীয় প্রকল্পগুলির জন্য তহবিল সংগ্রহ করা এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলির মাধ্যমে শিশুদের অধিকারের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৮. অক্টোবর ২০২১ ০১:১৮:এএম ২ বছর আগে
শান্তিতে নোবেল পেলেন দুই সাংবাদিক - Ekotar Kantho

শান্তিতে নোবেল পেলেন দুই সাংবাদিক

একতার কণ্ঠঃ ২০২১ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন দুজন সাংবাদিক। তাঁরা হলেন ফিলিপাইনের মারিয়া রেসা ও রাশিয়ার দিমিত্রি মুরাতভ। শুক্রবার(৮ অক্টোবর) নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি শান্তিতে এবারের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করে।

নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি জানিয়েছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, যা গণতন্ত্র ও টেকসই শান্তির অন্যতম পূর্বশর্ত, তার পক্ষে লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে মারিয়া ও দিমিত্রিকে এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

১৯৩৫ সালের পর এই প্রথম শান্তিতে নোবেল পেলেন কোনো সাংবাদিক। ১৯৩৫ সালে জার্মান সাংবাদিক কার্ল ফন অসিয়েতস্কি শান্তিতে নোবেল পান।

মারিয়ার ক্ষেত্রে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বলেছে, তিনি তাঁর জন্মস্থান ফিলিপাইনে ক্ষমতার অপব্যবহার, সহিংসতার ব্যবহার ও দেশটিতে ক্রমেই বেড়ে চলা কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ব্যবহার করছেন।

দিমিত্রি ক্ষেত্রে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বলেছে, তিনি তাঁর দেশ রাশিয়ায় ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে কয়েক দশক ধরে বাক্‌স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করছেন।

শান্তিতে নোবেলজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির। সব নোবেল পুরস্কার সুইডেনের স্টকহোম থেকে ঘোষণা দেওয়া হলেও শান্তি পুরস্কার ঘোষণা দেওয়া হয় নরওয়ের অসলো থেকে। কাজটি আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছাপত্র অনুযায়ীই করা হয়।

২০২০ সালে শান্তিতে নোবেল পায় জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। ক্ষুধা নিরসনে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ডব্লিউএফপিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়ে। তার আগের বছর ২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলী। শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৯. অক্টোবর ২০২১ ০২:০৩:এএম ২ বছর আগে
বিসিবি নির্বাচন: পাপনের হ্যাটট্রিক জয় - Ekotar Kantho

বিসিবি নির্বাচন: পাপনের হ্যাটট্রিক জয়

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ‘পরিচালনা পর্ষদ’ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে হ্যাটট্রিক জয় পেয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন।

বুধবার (৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ক্যাটাগরি-২ অর্থাৎ ক্লাব ক্যাটাগরি থেকে পরিচালক হিসেবে এবারও নির্বাচিত হয়েছেন গত দুই মেয়াদের সভাপতি পাপন।
৫৭ ভোটের মধ্যে বর্তমান বিসিবি প্রধান পেয়েছেন ৫৩ ভোট। পাপনের সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছেন আরও দুইজন- গাজী গোলাম মুর্তজা ও এনায়েত হোসেন সিরাজ।

নির্বাচনে কাট্যাগরি-১ এ জিতেছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও তানভীর টিটু। তবে রাজশাহী বিভাগে হেরে গেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। রাজশাহী বিভাগে মাসুদকে ৭-২ ভোটে হারান সাইফুল আলম স্বপন। পাবনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর হিসেবে তিনি তৃতীয়বারের মতো বিসিবি পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন।

ক্যাটাগরি-২ থেকে জয় পেয়েছেন ১২ ক্লাব পরিচালক- নাজমুল হাসান পাপন, ওবেদ নিজাম, গাজী গোলাম মর্তুজা, নজিব আহমেদ, মাহবুব আনাম, সালাউদ্দিন চৌধুরী, ইফতেখার রহমান, ইসমাইল হায়দার মল্লিক, মঞ্জুর কাদের, মঞ্জুর আলম, এনায়েত হোসেন, মঞ্জুর আলম ও ফাহিম সিনহা।

ক্যাটাগরি -৩ এ খালেদ মাহমুদ সুজন ৩৭-৩ ভোটে হারিয়েছেন নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে।

কাউন্সিলররা ভোটের মাধ্যমে মোট ২৩ জন পরিচালক নির্বাচন করেছেন, আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বোর্ড পরিচালক হয়েছেন আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি ও জালাল ইউনুস।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নির্বাচিতদের তালিকা:

ক্যাটাগরি-১

আকরাম খান (চট্টগ্রাম)
আ জ ম নাসির (চট্টগ্রাম)
নাঈমুর রহমান দুর্জয় (মানিকগঞ্জ)
তানভীর আহমেদ টিটু (নারায়ণগঞ্জ)
শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (সিলেট)
শেখ সোহেল (খুলনা)
কাজী ইনাম আহমেদ (খুলনা)
আলমগির খান (বরিশাল)
আনোয়ারুল ইসলাম (রংপুর)
সাইফুল আলম স্বপন (রাজশাহী)

ক্যাটাগরি-২

নাজমুল হাসান পাপন (আবাহনী)
নজিব আহমেদ (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব)
ইসমাইল হায়দার চৌধুরী মল্লিক (শেখ জামাল)
গাজী গোলাম মুর্তজা (গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স)
মাহবুব উল আনাম (মোহামেডান)
ওবেদ রশীদ নিজাম (শাইনপুকুর)
সালাহউদ্দিন চৌধুরী (কাকরাইল বয়েজ ক্লাব)
এনায়েত হোসেন (আজাদ স্পোর্টিং ক্লাব)
ফাহিম সিনহা (সূর্য তরুণ ক্লাব)
ইফতেখার রহমান মিঠু (ফেয়ার ফাইটার্স স্পোর্টিং ক্লাব)
মনজুর কাদের (ঢাকা এসেটস)
মনজুর আলম মনজু (আসিফ শিফা ক্রিকেট একাডেমী)

ক্যাটাগরি-৩
খালেদ মাহমুদ সুজন (সাবেক অধিনায়ক)

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ক্যাটাগরি

আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি
জালাল ইউনুস

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. অক্টোবর ২০২১ ০২:১০:এএম ২ বছর আগে
২৪ লাখ রুপি জরিমানা গুনতে হচ্ছে কেকেআর অধিনায়ককে - Ekotar Kantho

২৪ লাখ রুপি জরিমানা গুনতে হচ্ছে কেকেআর অধিনায়ককে

একতার কণ্ঠঃ মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। রোহিত শর্মার দলকে ৭ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চার নম্বরে উঠে এসেছে ইয়ন মর্গানের দল।

অবশ্য এ জয়ের আনন্দকে কিছুটা হলেও মাটি করে দিয়েছে এক দুঃসংবাদ। ২৪ লাখ রুপি জরিমানা গুনতে হচ্ছে কেকেআর অধিনায়ক এইউন মরগ্যানকে। স্লো ওভার রেটের ফাঁদে ধরা পড়েছে কলকাতা। এতেই শেষ নয়, কলকাতা একাদশের অন্যদেরও ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।

আইপিএলের নীতিমালা অনুযায়ী, স্লো ওভার রেটের জন্য এক ম্যাচে অধিনায়কের জরিমানা করা হয় ১২ লাখ রুপি। তবে মর্গানকে গুনতে হবে ২৪ লাখ। কারণ একই মৌসুমে দ্বিতীয়বার এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন ইংলিশ তারকা। তাই প্রথমবারের জরিমানার দ্বিগুণ অর্থাৎ ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে মর্গানকে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নির্ধারিত ২০ ওভার সমাপ্তির জন্য ইনিংসের মাঝে দুই বিরতিসহ মোট ৯০ মিনিট সময় বেঁধে দেন ম্যাচ রেফারি। এর বাইরে আরও ৫ থেকে ৭ মিনিট পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে নিলে আপত্তি করেন না রেফারি।

কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে ২০ ওভার শেষ করতে কলকাতার সময় লেগেছে প্রায় ১১৫ মিনিট। এ কারণেই মূলত শাস্তির মুখোমুখি হতে হলো অধিনায়ক মর্গান ও তার দলকে।

ম্যাচে আগে ব্যাট করে ১৫৬ রান জমা করে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। জবাবে ভেংকটেশ আইয়ার ও রাহুল ত্রিপাঠির ঝড়ে মাত্র ১৫.১ ওভারে ১৫৯ রান করে ফেলে শাহরুখ খানের দল।

সংবাদ সূত্র-যুগান্তর অনলাইন

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৪. সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:১৬:পিএম ২ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।