একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়নের ঘোনাবাড়ী বিলে সোমবার ( ৩০ আগস্ট) দুপুরে শাপলা তুলতে গিয়ে শিফাত(১২) নামে এক শিশুর বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে। এ সময় তানভীর (১২) নামে আরেক শিশু আহত হয়। নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান সিদ্দিকী মিল্টন ওই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত ওই শিশু ঘোনাবাড়ি গ্রামের মোঃ মোশারফের ছেলে শিফাত ও আহত তানভীর একই গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান সিদ্দিকী মিল্টন জানান, শিফাত ও তানভীর দুপুরে বৃষ্টির মধ্যে ঘোনাবাড়ি বিলে শাপলা তুলতে যায়। ওই সময় তাদের পাশে বজ্রপাত হয়। এতে তারা আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিফাতকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত তানভীরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে তাৎক্ষণিকভাবে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক আতাউল গণি ও কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা তানজিন অন্তরার নির্দেশনা অনুযায়ী নিহত শিফাতের পরিবারকে ১০ হাজার ও আহত তানভীরের পরিবারকে ৫ হাজার টাকা নগদ অর্থসহায়তা দেওয়া হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা সদরে অবস্থিত ডিসি লেকে ডুবে শাকিল মিয়া (১৫) নামে নবম শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত শাকিল মিয়া টাঙ্গাইল জেলা সদর এলাকার মৃত. মতিয়ার রহমান তালুকদারের ছেলে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. নবীন।
তিনি জানান, নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া শাকিল জেলা সদর মাঠে ফুটবল খেলা শেষে সন্ধ্যায় ডিসি লেকে গোসল করতে আসে। এ সময় সে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নাতিকে বাঁচাতে গিয়ে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল দাদীর। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (২৯ আগস্ট) বিকালে উপজেলা সদরের পাইশানা গ্রামে। নিহতের নাম অজিফা বেগম (৪৫)। তিনি ওই গ্রামের মৃত মাহে আলমের স্ত্রী।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকালে ৫টার দিকে দাদী অজিফা বেগম ছয় বছরের নাতি আরিয়ানকে নিয়ে বাড়ীর পাশে তুর্কি বিলে গোছল করতে যায়। দাদীর গোছলের ফাঁকে নাতি আরিয়ান পানিতে ডুবে
যায়। নাতিকে বাঁচাতে গিয়ে গভীর পানিতে ঝাঁপ দেয় দাদী।
এসময় আশপাশের লোকজন নাতিকে জীবিত উদ্ধার করে। পরে দাদীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে দায়ীত্বরত চিকিৎসক ডা:কাবেরি রানী দাস তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
একতার কণ্ঠঃ ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশ বিমানের পাইলট নওশাদ আতাউল কাইউম ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে অনুমতির অপেক্ষা করছে। বিমানের একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রোববার(২৯ আগস্ট) দুপুরে নওশাদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বিমানের বেশ কয়েকটি অসমর্থিত সূত্র তাৎক্ষণিকভাবে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নওশাদের মৃত্যুর ঘোষণা এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেয়নি। তিনি এখনও লাইফ সাপোর্টে আছেন।
সূত্রে জানা গেছে, নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে কোমায় থাকা নওশাদ ক্লিনিক্যালি ডেড। পাইলট নওশাদের স্বজনরা এখনই লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে চাচ্ছেন না। তাদের দাবি, নতুন করে মেডিকেল বোর্ড বসানো হোক। পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর তারাই সিদ্ধান্ত দিক। এ দাবিতে বিমান কর্তৃপক্ষেরও সায় রয়েছে।
বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, ক্যাপ্টেন নওশাদের মৃত্যুর খবর সঠিক নয়। এখনও তিনি লাইফ সাপোর্টে আছেন।
এদিকে নওশাদের দুই বোন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
গত শুক্রবার মাসকাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি ০২২ মোট ১২৪ যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে। এরপর নাগপুরের ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয়।
শনিবার রাতেই নওশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
এর আগে ওই হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধে জানিয়েছিলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘কোমায়’আছেন। মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সূত্রঃ যুগান্তর অনলাইন
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের ছিটমামুদপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার(২৬ আগস্ট) ভোরে ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপের কামড়ে আশিক(২১) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত আশিক ছিটমামুদপুর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে।
নিহতের চাচা শওকত হোসেন জানান, বুধবার রাতের খাবার শেষে আশিক প্রতিদিনের ন্যায় নিজের ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমন্ত অবস্থায় গভীর রাতে তাকে সাপে কামড় দেয়। পরে রাতেই তাকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) অনিমেষ ভৌমিক জানান, সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যুর বিষয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আইনী প্রক্রিয়া শেষে আশিকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের কামাক্ষার মোড়ে মো. সোহেল রানা(২৭) ও এলেঙ্গা পৌরসভার রাজাবাড়ী নামক স্থানে গৃহবধূ সুবর্ণা (২২) ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২৩ আগস্ট) ভোর পাঁচ টার দিকে নিহত যুবক মো. সোহেল রানা সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর উপজেলার উত্তর নন্দলালপুর গ্রামের মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে এবং সকাল ১১ টার দিকে নিহত গৃহবধূ সুবর্ণা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের নন্দবালা গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সোলায়মানের স্ত্রী।
সহদেবপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বালা জানান, নিহত গৃহবধূ সুবর্ণার বাবার বাড়ি সহদেবপুর ইউনিয়নের চামুরিয়া গ্রামে। তিনি স্বামীর সাথে এলেঙ্গা পৌরসভার মসিন্দা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। এনজিও’র ঋণের টাকা নিয়ে স্বামীর সাথে ঝগড়ার জেরে অভিমান করে গৃহবধূ সুবর্ণা উত্তরবঙ্গগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ট্রেনে কাটা পড়ে সাথে সাথে তার মৃত্যু হয়।
টাঙ্গাইল রেল স্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. বেলাল হোসেন জানান, আইনী প্রক্রিয়া শেষে সিরাজগঞ্জের নিহত যুবক মো. সোহেল রানার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এলেঙ্গা পৌর সভার রাজাবাড়ীতে ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে পড়ে গৃহবধূ নিহত হওয়ার বিষয়টি তারা জানতে পারেননি।
একতার কণ্ঠঃ বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর নামক স্থানে সোমবার(২৩ আগস্ট) সকালে কাভার্ডভ্যান ও বুলডোজারের সংঘর্ষে কাভার্ডভ্যানের চালক নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানের চালকের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট সৌরভ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সার্জেন্ট সৌরভ জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা একটি কাভার্ডভ্যান ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কাভার্ড ভ্যানটি দাঁড়িয়ে থাকা একটি বুলডোজারের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই কাভার্ডভ্যানের চালকের মৃত্যু হয়। লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘাটাইল উপজেলার পোড়াবাড়ী নামকস্থানে রোববার(২২ আগস্ট) সকালে বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে শামীম(৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন। ঘাটাইল থানার এসআই রাজিব হোসেন তালুকদার এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শামীম ভূঞাপুর উপজেলার সিরাজকান্দি গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে ও ওই অটোরিকশার চালক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আঞ্চলিক মহাসড়কে ঘাটাইলের পোড়াবাড়ী নামকস্থানে ধনবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা বিনিময় পরিবহনের একটি বাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা চালক শামীম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় অটোরিকশার এক যাত্রী আনারস ব্যবসায়ী আহত হন। আহত ওই আনারস ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘাটাইল থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) রাজিব হোসেন তালুকদার জানান, নিহত অটোরিকশা চালক শামীমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃটাঙ্গাইলের নাগরপুরে ট্রাক্টরের লাঙলের ফলায় আটকে সোহেল (১৬) নামে এক কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) সকালে উপজেলার আগত গয়হাটা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।সোহেল ওই গ্রামের মুক্তার ফকিরের ছেলে।নাগরপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ(ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল-মামুন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে দেওআকুটিয়া গ্রামের হাশেম মিয়ার ছেলে নবীন ট্রাক্টর নিয়ে আগত গয়হাটার চাঁন মিয়ার জমিতে হাল চাষ করতে যান। এ সময় পাশে দাঁড়িয়ে হালচাষ দেখছিল সোহেল। ট্রাক্টরচালক নবীন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সোহেলকে ডাক দেন। সোহেল চলন্ত ট্রাক্টরে উঠতে গিয়ে লাঙলের ফলায় আটকে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নাগরপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ(ওসি) সরকার আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, ঘটনাস্থল থেকে সোহেলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে সামিয়া আক্তার (৪) ও সিফাত মিয়া (৫) নামে দুই চাচাতো ভাই বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।বুধবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে মির্জাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত সামিয়া থলপাড়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের মেয়ে ও সিফাত একই গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই-বোন।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে বাড়ির পাশেই খেলা করছিল শিশু সামিয়া ও সিফাত। খেলতে খেলতে বাড়ির পাশে পাকা রাস্তায় চলে গেলে পাশেই পুকুরে পড়ে যায় তারা। কিছুক্ষণ পর বাড়ির লোকজন তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কোথাও না পেয়ে পুকুরে খুঁজতে নামেন তাদের পরিবার সহ বেশ কয়েক জন গ্রামবাসী। পরে জাল ফেলে বেলা ১১টার দিকে তাদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নেয়া কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর, সখীপুর ও নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মঙ্গলবার(১০ আগস্ট) এক শিশু সহ চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্ব স্ব স্থানীয়রা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজের অফিস সহায়ক আমিনুল ইসলাম(৩৪) ফাঁসিতে ঝুঁলে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার সকালে কলেজের টিনসেড ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি পাশের গড়াসিন গ্রামের বাসিন্দা।
নাগরপুর উপজেলার মামুদনগর ইউনিয়নের বাড়িগ্রামের মৃত কাদেরের ছেলে মিয়া চাঁন (৬৫) সেচ পাম্প চালাতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
এছাড়া উপজেলার ভাদ্রা ইউনিয়নের লক্ষীদিয়া এলাকায় যমুনার শাখা নদী নোয়াই থেকে মধ্য বয়সী এক অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করেছে।
অপরদিকে, সখীপুর উপজেলার কালিদাস গ্রামের নমপাড়ায় মঙ্গলবার(১০ আগস্ট) সকালে ঘরের পেছনে খেলতে গিয়ে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়িয়ে স্মৃতি রাণী সরকার(৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটি ওই এলাকার রতন কুমার সরকারের মেয়ে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের চরডাঙ্গা গ্রামে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে মঙ্গলবার (৩ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই।
মৃত্যুবরণকারী দুই ভাই হচ্ছে- চরডাঙ্গা গ্রামের রাসেল মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান(৭) ও জাহিদ মিয়ার ছেলে তালহাজ(৭)।
জানা যায়, দুই চাচাতো ভাই আব্দুর রহমান ও তালহাজ এবং পাশের বাড়ির রবিউলের ছেলে রাফি(৬) মঙ্গলবার সকালে বাড়ির পাশে খেলা করতে যায়। খেলার সময় সকলের অগোচরে রহমান ও তালহাজ পাশের পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। তখন রাফি দৌঁড়ে গিয়ে রহমান ও তালহাজের বাড়িতে খবর দেয়।
এসময় পরিবারের সদস্য সহ স্থানীয় কবির, শওকত, সাগর ও জহিরুলসহ অনেকেই পুকুরের পানিতে নেমে তাদেরকে খোঁজাখুজি করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. প্রিয়া মন্ডল দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। ডা. প্রিয়া মন্ডল জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই শিশু দুটির মৃত্যু হয়েছে।