একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে কাঠবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও চারজন। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার কাতুলী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি সদর উপজেলার মাহমুদনগর ইউনিয়নের পারবহুলী গ্রামের ছলিম উদ্দিনের ছেলে সরোয়ার হোসেন (৩৫)।
কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন জানান, কাতুলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ইটভাটার কাঠ কিনে কয়েকজন শ্রমিককে নিয়ে ট্রাকটি টাঙ্গাইল শহরের দিকে যাচ্ছিল। চালক হেলপারকে দিয়ে ট্রাক চালাতে দিয়ে ভেতরেই ঘুমাচ্ছিলেন। পরে ট্রাকটি কাতুলী এলাকায় আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন শ্রমিক নিহত হন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা আহত চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। আহত তিনজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে কালিহাতী ও ভূঞাপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে পিকআপ চালক ও এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।এদের মধ্যে চালকের পরিচয় পাওয়া গেলেও বৃদ্ধার পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহত পিকআপ চালক ঘাটাইল উপজেলার টেপি কুশারিয়া গ্রামের তারা মিঞার ছেলে জুয়েল মিঞা (২৯)।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের খড়ক রেলক্রসিং এলাকায় পিকআপের সঙ্গে ট্রেনের সংর্ঘষ হয়ে একজন নিহত। এছাড়া একই সময়ে কালিহাতী উপজেলার সরাতৈল এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, জুয়েল মাল বোঝাই পিকআপ নিয়ে ভূঞাপুর উপজেলার খড়গ-নিকলা অরক্ষিত রেলক্রসিং পাড় হচ্ছিল। এসময় ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পিকআপ দুমড়েমুচড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা পিকআপ চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে ,একই সময় কালিহাতী উপজেলার সরাতৈল এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাতপরিচয় বৃদ্ধা নারীর মৃত্যু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মারফিন হাসান জানান, দুপুরের দিকে উত্তরবঙ্গগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ওই বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে পিকআপের ধাক্কায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন মহিলা ও এক শিশু রয়েছে। শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে মধুপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রুপালী ফিলিং স্টেশনের কাছে ওই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিক কামাল।
নিহত পুরুষের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায়, এবং শিশু ও নারীর বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায়। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিক কামাল জানান, দুর্ঘটনায় শিশু ও তার মাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনা কবলিত পরিবহনগুলো জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ট্রাকের চাপায় আব্দুর রাজ্জাক (৪০) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।রোববার (২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে নয়টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের ঘাটাইল উপজেলার সীমান্তবর্তী হামিদপুরে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজরুল ইসলাম সরকার ।
নিহত রাজ্জাক কালিহাতি উপজেলার উত্তর বেতডোবা গ্রামের গফুর শিকদারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন বীমা কর্মকর্তা ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা কাঁচামাল বোঝাই একটি ট্রাক উপজেলার হামিদপুর এলাকায় একটি মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে অতিক্রম করছিল। এ সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ট্রাকটি উল্টে গিয়ে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক রাজ্জাক মারা যান। পরে খবর পেয়ে কালিহাতি ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে একটি পাটের গুদামে আগুন লেগে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের সীমাকাছরা গ্রামের গনি বেপারীর গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনা ঘটে।
গুদামের মালিক গনি বেপারী জানান, তার পাট গুদাম সংলগ্ন ধান ভাঙানোর মেশিনে সুইচ দেওয়ার পর সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
কালিহাতী ফায়ার সার্ভিসের লিডার আলতাফ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের আকুর টাকুর পাড়ার তালতলা এলাকা থেকে আনোয়ার তালুকদার (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত বৃদ্ধ ওই এলাকার মৃত আতোয়ার তালুকদারের ছেলে।
টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই বেল্লাল হোসেন জানান, আনোয়ার তালুকদারের ছেলে-মেয়ে ঢাকায় থেকে পড়াশুনা করে। তার স্ত্রী মাঝে মধ্যেই ছেলে-মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যেতেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকায় যান তিনি। এরপর থেকেই বাসায় একাই থাকতেন আনোয়ার।
তিনি আরো জানান, সর্বশেষ গত ২৩ ডিসেম্বর স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন আনোয়ার। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাচ্ছিলেন না। পরবর্তীকে তাদের এক ভাগ্নে বাসায় এসে ডাকাডাকি করলেও ঘরের ভিতর থেকে কোনো সাড়া পায়নি। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘরের তালা ভেঙে বিছানা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, লাশটি অর্ধগলিত ছিলো। ৩ থেকে ৪ দিন আগেও মারা যাওয়ায় লাশটিতে পচন ধরেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমের মধ্যেই স্ট্রোক করে তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ ঝালকাঠিতে গভীর রাতে লঞ্চে আগুন লেগে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১ জন। এদিকে সুগন্ধা নদীতে ভেসে বেড়াচ্ছে পোড়া লাশের গন্ধ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের সুগন্ধা নদীতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ফায়ার সার্ভিস ধারণা করছে লঞ্চের ইঞ্জিন রুম থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে।শতাধিক যাত্রীকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ভিবিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, লঞ্চটিতে প্রায় ৫০০ এর অধিক যাত্রী ছিল। লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর দপদপিয়া এলাকায় পৌঁছালে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ইঞ্জিন কক্ষে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি সদর উপজেলার দিয়াকুল এলাকায় গিয়ে নদীর তীরে নোঙর করে। খবর পেয়ে ঝালকাঠির ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরই মধ্যে দগ্ধ যাত্রীদের উদ্ধার করে ঝালকাঠি ও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত হয়ে উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করছেন।
লঞ্চের যাত্রীরা জানিয়েছেন, অনেকেই লঞ্চ থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। যাত্রীদের ধারণা হতাহতের সংখ্যা অনেক। তবে কেউ এখনো নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
লঞ্চের যাত্রী সাইদুর রহমান বলেন, তিনি ঢাকা থেকে বরগুনা ফিরছিলেন। ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনালের ঠিক আগে গাবখান সেতুর কিছু আগে লঞ্চের ইঞ্চিনরুমে আগুন লেগে যায়। এরপর সেই আগুন পর্যায়ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে পুরো লঞ্চে। রাত তিনটা থেকে আগুন জ্বলতে থাকে। যাত্রীরা অনেকেই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। অনেকে হয়তো পারেননি। লঞ্চে শিশু, বুড়ো, নারীসহ কমপক্ষে পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিল।
তিনি আরো বলেন, পোড়া গন্ধ পেয়ে আমি ভিআইপি কেবিন থেকে বেড়িয়ে এসে দেখি লঞ্চে আগুন লেগেছে। তখন আমার স্ত্রী, শ্যালক নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রচণ্ড ঠান্ডায় নদী সাঁতরে তীরে উঠেছি। লঞ্চ ভাসতে ভাসতে কোথাও গিয়ে থেমেছে। তবে এটুকু বলছি, লঞ্চের কোনো অংশ পোড়ার বাকি নেই।
সংবাদ সূত্র-আমাদেরসময়.কম
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ইঞ্জিনে আগুন লেগে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন এক চালক।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল দশটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের সল্লা ১৩ নং ব্রীজের নিকট এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এসময় মহাসড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।
অগ্নিদগ্ধ ওই চালককে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার এসআই নাজমুল হাসান জানান, সকাল দশটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক ও উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী ভুট্টা বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সাথে সাথেই ট্রাকের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। এ সময় দুই ট্রাকে থাকা সবাই দ্রুত সরে যেতে পারলেও আটকা পড়েন সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের চালক ।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং প্রায় ৩০ মিনিট চেষ্টার পর ওই ট্রাক চালককে উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায় টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আগুনে প্রায় তার শরীরের ৪০ শতাংশ অংশ পুড়ে গেছে।
দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক দুটি সরিয়ে নিলে প্রায় এক ঘন্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন লেগে অন্তত ৩৭ জন মারা গেছে।কর্মকর্তারা আশংকা করছেন, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
ঝালকাঠির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মইনুল হক বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন লঞ্চের ভেতরে এবং বাইরে ৩৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।তিনি আরো জানিয়েছেন, লঞ্চে আগুন লাগার পরে অনেক নদীতে লাফিয়ে পড়ে। ফলে নদী থেকে এখনো মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বিবিসি বাংলাকে জানান, ‘এমভি অভিযান’ নামে একটি লঞ্চ ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে গতরাতে ছেড়ে যায়। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ভোরে লঞ্চে আগুন ধরে যায়।আহতদের বরিশাল সদর হাসপাতাল এবং স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিভাগীয় কমিশনার।লঞ্চটিতে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে – সেটি এখনো বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা।
ঝালকাঠি থেকে স্থানীয় সাংবাদিক আক্কাস শিকদার বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, ভোর সাড়ে তিনটার দিকে লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত হবার খবর পান তিনি।এসময় লঞ্চ থেকে অনেক যাত্রী জীবন বাঁচানোর জন্য নদীতে লাফ দেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
এই লঞ্চটির যাত্রী ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছিল বলে জানা গেছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ইঞ্জিন রুম থেকে আগুণের সূত্রপাত হয়েছে।
যাত্রীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক আক্কাস শিকদার জানিয়েছেন, লঞ্চটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবার সময় দোতলার ডেক বেশ গরম ছিল। এনিয়ে যাত্রীরা অভিযোগ করলে লঞ্চের স্টাফরা তখন কার্পেট বিছিয়ে দেন। কিন্তু এই গরম ক্রমাগত বাড়তেই থাকে।একপর্যায়ে ইঞ্জিন রুমে আগুন ধরে যায় বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
আহতদের মধ্যে অন্তত ৮০ জনকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে আনা হয়েছিল এর মধ্যে ২০জনকে সেখানে রেখে বাকিদের বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান সাংবাদিক আক্কাস শিকদার।
সংবাদ সূত্র- বিবিসি বাংলা( আপলোড বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা)
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের ধেরুয়ায় অবস্থিত নাসির গ্লাসওয়্যার অ্যান্ড টিউব ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানায় সংঘটিত অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের ৬০ কর্মী ও ২০ স্বেচ্ছাসেবক দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার(১৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১১টার দিকে ওই কারখানায় আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার(১৬ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাসির গ্লাসওয়্যার অ্যান্ড টিউব ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, কারখানার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রচুর মালামাল ও যন্ত্রাংশ আগুনে ছাই হয়ে গেছে। হিসাব না করে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানানো যাচ্ছেনা। তবে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিস ও কারখানা সূত্রে জানাগেছে, বুধবার রাত ১১টার দিকে কারখানার দোতলা ভবনের নিচতলার ফিনিশড গুডস ওয়্যারহাউসের (তৈরি মালামাল প্যাকেট করে রাখার স্থান) উত্তর-পূর্ব কোণায় অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ আগুন লাগে। এ সময় দ্বিতীয় তলায় প্রায় দেড়শ’ শ্রমিক কাজ করছিলেন। আগুন দেখে তারা দৌঁড়ে নিচে নামেন। তাড়াহুড়া করে দৌঁড়ে নামতে গিয়ে কয়েক শ্রমিক সামান্য আহত হন। এর মধ্যে কাদের মিয়া নামে এক শ্রমিককে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই কারখানার শ্রমিক জয়নুল আবেদীন ও কালাম জানান, বুধবার রাতে তারা ওই ভবনের পাশের মাঠে ভলিবল খেলছিলেন। রাত ১১টার দিকে শ্রমিকদের চিৎকার শুনে তারা দৌঁড়ে ভেতরে যান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা কারখানার ভেতরে রাখা পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। কিন্তু দ্রুত আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম জানান, আগুন লাগার কিছুক্ষণ পর তারা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, এলেঙ্গা, ঘাটাইল, সখীপুর, বাসাইল ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের ৬০ কর্মী ও ২০ স্বেচ্ছাসেবক অক্লান্ত পরিশ্রম করে বৃহস্পতিবার(১৬ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কারখানায় দাহ্যবস্তু হিসেবে ম্যাটেরিয়ালস, প্যাকিং বক্স থাকায় ও গোডাউনটি কয়েক লাখ স্কয়ার ফুটের হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। কেন- কী কারণে আগুন লেগেছে তা তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেন নি।
একতার কণ্ঠ: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নাসির গ্লাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করছে। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে অগ্নিকাণ্ড শুরু হলেও বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্তও তা নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম , ‘ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক সংলগ্ন মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের ধেরুয়ায় অবস্থিত গ্লাসওয়্যার কারখানাটিতে রাত ১১টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, বাসাইল, সখীপুর ও কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসসহ আটটি ইউনিট কাজ করছে। আগুন এখন পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে আগুন যাতে ছড়িয়ে না পরে সে বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে নিচতলার একটি গোডাউনে থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। হতাহতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রাকচাপায় সজিব বিশ্বাস (১৭) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।ওই ঘটনায় মোটরসাইকেলে থাকা আরও দুইজন আহত হয়েছেন। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের উপজেলার ধেরুয়া এলাকায় মাছরাঙ্গা ফিলিং স্টেশনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকালে গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সজিব বিশ্বাস উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের গন্ধব্যপাড়া গ্রামের সুধির বিশ্বাসের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ‘তিন কিশোর মিলে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন। পরে তারা ধেরুয়া এলাকায় পৌঁছালে সড়কের মাছরাঙ্গা ফিলিং স্টেশনের সামনে তাদের মোটরসাইকেলটি ট্রাকের সঙ্গে চাপা লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের নিতজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজিব বিশ্বাসকে মৃত ঘোষণা করেন।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, ‘দুর্ঘটনায় সজিব নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। আর অনিক নামের একজন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার পর ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হয়।’