একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন-নাটোর জেলার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান (৩৬) ও আরিফুল (৩৫)।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার জামুর্কী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গোড়াই হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বিল্লাল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তারা দুজন মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা থেকে নাটোরে যাচ্ছিলেন। জামুর্কী এলাকায় পৌঁছালে একটি ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। এ সময় একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। অপরজন কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় আব্দুল্লাহ (৭) নামে এক মাদ্রাসাছাত্র নিহত হয়েছে।
রোববার (৩ জুন) দুপুরের উপজেলার আলমনগর বাজার এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল্লাহ আলমনগর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। সে আলমনগর দাখিল মাদরাসার নুরানী শাখার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আলমনগর দাখিল মাদরাসার সুপার আমিনুল ইসলাম মারুফি জানান, আব্দুল্লাহ মাদ্রাসা ছুটির পর সড়কের পাশ দিয়ে সহপাঠী বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে বাজার এলাকায় একটি অটোরিকশা আসতে দেখে সহপাঠী ও আব্দুল্লাহ দু’দিকে দৌড় দেয়।
তিনি আরো জানান, এ সময় অটোরিকশার চালক একজনকে বাঁচাতে গাড়ি ঘোরানোর সময় আবদুল্লাহকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। আহতাবস্থায় স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধার করে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর এক সাইট প্রকৌশলী ট্রেনের ধাক্কায় নিহত হয়েছে। শনিবার (২ জুলাই) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ওই প্রকৌশলীর নাম জাবের খান জনি (২৪)। তিনি বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানির সাইট প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এর আগে বিকেলে কাজ শেষে কালিহাতী উপজেলার বিয়ারামারুয়া এলাকায় রেললাইনের ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মোবাইলে কথা বলছিলেন জাবের খান জনি। এ সময় জামালপুরগামী ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন।
নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর কর্মীরা জানান, বিকেলে কাজ শেষে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে বিয়ারামারুয়া এলাকায় রেললাইন পার হচ্ছিলেন জাবের খান জনি। এ সময় বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী ধলেশ্বরী এক্সপ্রেস ট্রেনটি তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তার পা বিচ্ছিন্ন হয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।
নিহতের খালাতো ভাই জায়েদ জানান, দুর্ঘটনার পরই তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে জনির মৃত্যু হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে মাঠ থেকে ছাগল আনতে গিয়ে বজ্রপাতে সোনালী নামে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।শুক্রবার (১জুলাই)সন্ধ্যায় হাদিরা ইউনিয়নের বন্দে হাদিরা গ্রামে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সোনালী ওই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানায়, ভাদুরী চর মহিলা মাদরাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সোনালী তার বান্ধবী রিমার সঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ির পাশের ক্ষেতে ছাগল আনতে যায়। এমন সময় বজ্রপাত হয়। রিমা দৌড়ে বাড়ি ফিরতে পারলেও সোনালী মাটিতে পড়ে যায়। বজ্রপাতে তার গলা থেকে নাভি পর্যন্ত পুড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে।
বৃষ্টির পর রিমার মা বাড়ির পাশে গেলে সোনালীকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করে। পরে স্থানীয়রা এসে তার লাশ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।
গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি )মো. মোশারফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের বাড়ি গিয়ে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল করেন এবং কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর নষ্ট হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপকে পেছন থেকে আসা পিকআপের ধাক্কায় রাসেল আহম্মেদ নামে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো দুই জন।
শনিবার (১ জুলাই) মধ্যরাতে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত রাসেল দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপটির চালক। তিনি টাঙ্গাইলের ধনবাড়ির কেন্দ্রুয়া এলাকার আজিজ আহম্মেদের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মধ্যরাতের দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর ৪০ নম্বর পিলার এলাকায় ঢাকাগামী মুরগীবাহী একটি পিকআপ নষ্ট হয়। এসময় চালক গাড়িটি মেরামত করার সময় অপর একটি পিকআপ এসে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মুরগীবাহী পিকআপের চালক রাসেল আহম্মেদ নিহত হয়। এসময় আহত হন আরো দুইজন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধুসেতু পূর্ব থানার এস আই সরকার ইফতেখারুল মোকাম্মেল জানান, খবর পেয়ে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি ও নিহতের মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আহত দুজনকে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রেনের ধাক্কায় সাহেব আলী মন্ডল (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (০১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার জোকারচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাহেব আলী মন্ডল উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের গোহালিয়াবাড়ী গ্রামের মৃত কলিম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুপুরে রেললাইনের পাশে গরু চড়াচ্ছিল। এসময় ভারত থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় রেললাইনের পাশেই ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি।
গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ট্রেন দুর্ঘটনার পর পরই ওই যুবকের মৃত্যুর খবর শুনে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায় স্বজনরা।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব রেলস্টেশনে কর্মরত স্টেশন মাস্টারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহতের কোন খবর তিনি পাননি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার(১ জুলাই) সকালে উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ লাউফুলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলো- উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়নের লাউফুলা গ্রামের মোস্তফা আলীর ছেলে তানভীর (৯) এবং প্রবাসী হাফিজুর রহমানের ছেলে জিহাদ ইসলাম (১২)।
তারা লাউফুলা এলাকায় আনোয়ারা মেমোরিয়াল কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থী ছিল।
আলোকদিয়া ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম জানান, সকালে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে মাছ ধরতে যায় লিমন, তানভীর ও জিহাদ। তাদের মধ্যে তানভীর ও জিহাদ পুকুরে পড়ে গিয়ে ডুবে যায়।
এসময় অপর শিশু লিমন বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে জানায়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন জানান, পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশু মারা যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানতে পেরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন খালেদা আক্তার (৩২) নামের এক গৃহবধূ।শনিবার (২৫ জুন) সকালে জয়দেবপুর-যমুনা সেতু রেল সড়কের মির্জাপুর উপজেলার ধেরুয়া রেল সেতু এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।
খালেদা উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের রশিদ দেওহাটা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের প্রথম স্ত্রী।
এলাকাবাসী জানান, রশিদ দেওহাটা গ্রামের হালিম মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন মীর দেওহাটা গ্রামের খালেদা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। আনোয়ার দুই বছর আগে রশিদ দেওহাটা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর মেয়ে রাশেদা আক্তারকেও গোপনে বিয়ে করেন। বিষয়টি গত এক সপ্তাহ আগে প্রথম স্ত্রী খালেদা জানতে পারেন। এরপর থেকে তাদের সংসারে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।
শনিবার সকালে এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধেরুয়া রেল সেতু এলাকায় ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ঢাকা কমিউটার (৯৯) ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন খালেদা।
গোড়াই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও রশিদ দেওহাটা গ্রামের বাসিন্দা মো. কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে মির্জাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. কামরুল হাসান জানান, খবরটি গাজীপুরের জিআরপি পুলিশকে জানানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শামীম আল মামুন (২৫) নামের এক ছাত্রের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শনিবার(২৫জুন) দুপুরে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত শামীম আল মামুন উপজেলার বোয়ালী গ্রামের কদম আলীর ছেলে এবং করটিয়া সাদত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সমাজ কর্মে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিলেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দুপুরে সখীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কের নলুয়া আড়ালিয়াপাড়া এলাকায় দূর্ঘটনার শিকার হন শামীম।
নিহতের বড় ভাই সুমন আহমেদ জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে তার ছোট ভাই শামীম আল মামুন ও তার বন্ধু মিলে মোটরসাইকেল যোগে নলুয়া বাজার হতে নিজ বাড়ি বোয়ালী আসার পথে আড়ালিয়া পাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মালবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে শামীম আল মামুন গুরুতর আহত হয়।
প্রথমে তাকে উদ্ধার করে সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফাড করেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শনিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
তার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পুকুরে গোসল করার সময় বজ্রপাতে হামিদা বেগম (৭২) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জুন) বিকেলে গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের বেড়া ডাকুড়ী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহত বৃদ্ধা ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা থেকে নুরুল ইসলাম ও স্ত্রী হামিদা বেগম বাড়ি ফেরেন। বিকেলে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যান হামিদা। এসময় বৃষ্টিসহ বজ্রপাত শুরু হয়। হামিদা বেগম পুকুর থেকে পাড়ে ওঠার আগেই বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে পুকুর পাড়ে গিয়ে পুকুরে তার মরদেহ ভাসতে দেখেন। তারা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়।
গোপালপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন ভূঞা বজ্রপাতে বৃদ্ধার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের বেড়াডোমা এলাকায় লৌহজং নদীর উপরে ধসে পড়া নির্মাণাধীন সেতুটি ঠিকাদারকে নিজ খরচে পুরোটা ভেঙে নতুন করে নির্মাণ কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে ধসে পড়া সেতু পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক একেএম রশিদ আহম্মদসহ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আরো জানায়,ধসে পড়া সেতুর ৫৫ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ায় কয়েক ধাপে ৬০ শতাংশ বিল পরিশোধ করা হয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে। তবে সেতুটি পুনরায় সম্পন্ন শেষ হওয়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বাকি বিল পরিশোধ করা হবে।
পৌরসভা সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতায় টাঙ্গাইল পৌরসভা অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। ৮ মিটার প্রশস্ত ও ৪০ মিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ১৮ হাজার ৮৪১ দশমিক ৩৩ টাকা। ঢাকার ব্রিক্সস এন্ড ব্রিজ লিমিটেড এবং দি নির্মিতি নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজটি নির্মাণের দায়িত্ব পায়। ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেতু নির্মাণের চুক্তি হয়। কিন্তু টাঙ্গাইল সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিরুল ইসলাম খান ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. জামিলুর রহমান খানের নেতৃত্বে স্থানীয় ১০ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী কাজটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিয়ে নেন। পরে তারা এটি বাস্তবায়ন শুরু করেন।
সেতু নির্মাণের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রকৌশলীরা জানান, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তারা যেমন মূল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজটি নিয়ে নেন, ঠিক তেমনিভাবে সেতু নির্মাণ কাজেও ছিল অনেক অবহেলা। তাদের মৌখিক ও লিখিতভাবে একাধিকবার নোটিশ দেওয়া হলেও তারা তা মানেননি। নির্মাণের বিভিন্ন স্তরে দরপত্রে উল্লেখিত নির্দেশনা মোতাবেক কাজ না করে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো কাজ করেন।
ব্রিক্সস এন্ড ব্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মোস্তফা মুহাম্মদ মাসুদ জানান, তারা এবার নিজেদের তত্ত্বাবধানে সেতুটি পুনরায় নির্মাণ করবেন। তাদের সঙ্গে টাঙ্গাইলের ঠিকাদাররাও থাকবে। তবে সব কিছু তিনি দেখাশোনা করবেন।
তিনি আরও জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি ভেঙে পুনরায় নির্মাণ শুরু করা হবে। কর্তৃপক্ষ যদি এ বিষয়ে অঙ্গীকারনামা চান তাহলে তাই দেওয়া হবে। আর সেতুটি পুনরায় নির্মাণ কাজ করার সময় দরপত্রে উল্লেখিত সকল শর্ত মেনে কাজ করা হবে।
টাঙ্গাইল পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী জানান, ধসে পড়া সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হবে। তবে সেতুটি ভেঙে ফেলতে সকল ব্যয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বহন করবে। সব নির্দেশনা মেনে সেতুটি যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনরায় নির্মাণ কাজ শুরু করে, সেজন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় তেলবাহী একটি ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগি লাইনচ্যুত হয়ে খাদে পড়ে গেছে।
সোমবার (২০ জুন) বিকেলে মির্জাপুর রেল স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত ট্রেনটি উদ্ধার করা হয়নি। তবে এই রেল লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
জানা যায়, বিকেল ৫টার দিকে একটি তেলবাহী ট্রেন ২৪টি বগি নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে রংপুরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় ট্রেনটি মির্জাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছালে ট্রেনটির ইঞ্জিন ও একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়।
মহেড়া রেল স্টেশন মাস্টার মো. শাহীন জানান, ৯৮১ নম্বর তেলবাহী ট্রেনটির ইঞ্জিন ও একটি তেলের বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ট্রেনটি মেইন লাইনে লাইনচ্যুত হয়নি, এ জন্য রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
মির্জাপুর রেল স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান জানান, তেলবাহী ট্রেনটি সম্ভবত ব্রেক সমস্যার কারণে লাইনচ্যুত হয়েছে। মেইন লাইন সচল থাকায় রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরো জানান,বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এখনো ট্রেনটি উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি।