একতার কণ্ঠঃ ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন আইন, বর্ণিত জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং কয়লা সংকট সমাধানের দাবিতে টাঙ্গাইলে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইটভাটা মালিক সমিতির সদস্যরা।
রোববার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি জেলা শাখা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা শাখার সভাপতি ফিরোজ হায়দার খান, কার্যকরি সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, সহ-সভাপতি শাহজাহান আলী সরকার ও শাহজাহান আলী ভূইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল কাদের বাবুল ও সোহেল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তার আলী সিদ্দিকী প্রমুখ।
বক্তারা ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ এবং ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন ২০১৯ বর্ণিত জিগজ্যাগ ইটভাটার ছাড়পত্র ও লাইসেন্স প্রাপ্তি এবং বর্তমানে কয়লা সংকট সমাধানের দাবি জানান। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এবং টাঙ্গাইল শহর আওয়ামিলীগের সহ-সভাপতি কোরবান আলী মৃত্যুবরণ করেছেন।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৫ টায় টাঙ্গাইল স্টেডিয়াম ব্রীজ সংলগ্ন বকুলতলায় তার নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)।
মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর । তিনি স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক ছেলেসহ অনেক গুনগ্রাহী ও ভক্ত বৃন্দ রেখে গিয়েছেন।
মরহুমের নামাজে জানাজা শনিবার বাদ আসর পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়া হাউজিং এস্টেট মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
তার অকাল মৃত্যুতে, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামিলীগ, শ্রমিকলীগ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ দৈনিক কালের বার্তা ও একতার কণ্ঠ পরিবার গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সেইসাথে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় সংলগ্ন একটি আম বাগান থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের (২২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভুয়াপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের চর পাথাইল কান্দি গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ের গোলচত্বরে উত্তর পাশের একটি আম বাগানে অজ্ঞাত যুবকের ঝুলন্ত লাশ দেখে স্থানীয়রা খবর দেয়। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, লাশের গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। যুবকটি আত্মহত্যা করেছে, নাকি কেউ তাকে হত্যা করে রেখে গেছে, ময়না তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নগরবাড়ী গ্রামের শম্ভূনাথ আর্য (৭০) পরলোকগমন করেছেন।
তিনি শনিবার (২৬ নভেম্বর) ভোর ৫ টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগতেছিলেন।
শম্ভুনাথ আর্য একজন শিক্ষক ও প্রগতিশীল মানুষ ছিলেন। তিনি সাহিত্য ও আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চা করতেন। তার অসংখ্য লেখা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তার সুন্দর হাতের লেখার জন্য তিনি সর্বদাই প্রশংসিত হয়েছেন। আঁকতেন ছবি।
তিনি সরকারি সা’দত কলেজে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে লেখাপড়া করেন। এরপর সহকারী শিক্ষক হিসেবে জোয়াইর উচ্চ বিদ্যালয়, দেউপুর উচ্চ বিদ্যালয় এবং সর্বশেষ নারান্দিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি পলিমাটি সাহিত্য সংসদ, শতদল সাহিত্য সংসদ ও অনুপ্রাসসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
শম্ভূনাথ আর্যের মরদেহ ঢাকা থেকে সরাসরি তার সাবেক কর্মস্থল নারান্দিয়া টিআরকেএন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে নেওয়া হয়। সেখানে তার সহকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর লাশ নিজ বাড়িতে নেওয়া হলে তাকে একবার দেখার জন্য বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ ছুটে আসেন।
শম্ভূনাথের মৃত্যুতে কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোজহারুল ইসলাম তালুকদার, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন এবং নারান্দিয়া টিআরকেএন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফাসহ অনেকে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শম্ভূনাথ আর্যের সৎকার নিজ বাড়ির পারিবারিক শ্মশানে শনিবার বিকেলে সম্পন্ন হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে কনজুমারস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) টাঙ্গাইল জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল সাধারণ গ্রন্থাগারের মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় জেলা শাখার সভাপতি মন্জু রানী প্রমানিকের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ গ্রন্থাগারের সহ-সভাপতি ও কনজুমারস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ এর সন্মানীত সদস্য খ.নাজিমুদ্দিন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু জুবায়ের উজ্জল।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা ঔষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি ও ভেজাল খাবারের প্রতিবাদে সোচ্চার থাকার জন্য টাঙ্গাইল জেলার সাধারণ ভোক্তাদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে গাড়ির ধাক্কায় মানসিক ভারসাম্যহীন অজ্ঞাত এক যুবকের নিহত হয়েছেন। তার আনুমানিক বয়স ৩০। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধৃ সেতু মহাসড়কের উপজেলার হাতিয়া নামক এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত যুবকটি বেশ কিছুদিন ধরে মহাসড়কের আশ-পাশ এলাকায় পাগলবেশে ঘুরতো। তার পরিচয় জানতো না কেউ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাতিয়া নামক এলাকায় মহাসড়কের পাশে তার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। অজ্ঞাত কোন গাড়ির ধাক্কায় আঘাত পেয়ে মারা যায় সে।
এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সফিকুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের হাতিয়া এলাকায় অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ পড়ে রয়েছে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার পরিচয় মেলেনি। সে পাগলবেশে ঘুরতো। অজ্ঞাত কোন গাড়ির ধাক্কায় নিহত হয়। যুবকটির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নুরুল আবসার জুয়েল(২৪) শহরের ময়মনসিংহ সড়কের গণপূর্ত অফিসের সামনে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এস আই) নবীন হোসেন।
নিহত আবসার বিশ্ববিদ্যালয়ে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।নিহত নুরুল আবসার জুয়েল কক্সবাজার জেলা রামু উপজেলার চাকমারকুল শ্রীমুরা ৭ নং ওয়ার্ডের কবির আহমদের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে টিউশনি শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার সময় শহরের ময়মেনসিংহ সড়কের গণপূর্ত বিভাগের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আবসারের হেলমেট ভেঙে মাথায় ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
অপর মোটর সাইকেলের ২ আরোহী আহত অবস্থায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পুলিশ আরো জানায়, লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে ।আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে তাঁর মৃত্যুতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ ফরহাদ হোসেন গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং পরিবারের সদস্যদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দানের জন্য পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা করেন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ আর এম সোলাইমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: সিরাজুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার ড. মোহাঃ তৌহিদুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকেও শোক জানানো হয়।
একতার কণ্ঠঃ নির্বাচন কমিশন এখন ক্যামেরা ব্যবহার করে ঢাকা বসে ভোট চুরি দেখেন। আজকাল যাঁরা নির্বাচন কমিশনার হন, তাঁদের মেরুদণ্ড নাই বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সখীপুর ডাকবাংলো মাঠে ১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘ভোটের অধিকার হরণের’ প্রতিবাদে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এ সময় বলেন, ‘যাঁরা নির্বাচন কমিশনার হন, তাঁদের মেরুদণ্ড নাই, তাঁদের কোনো রকমের ব্যক্তিত্ব নাই। মানুষ হিসেবে একটা যে মর্যাদা থাকে এই কমিশনারদের তাও নাই।
সভায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম আরও বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে শুনছি, বন বিভাগ সখীপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিচ্ছে। যাঁদের বাড়ি ঘর আছে, যারা ধান ফলায়, পাট ফলায়, সবজি চাষ করে, তাদের এক ইঞ্চি জায়গার মধ্যে যদি বন বিভাগ মাতব্বরি করতে যায়, তাদের সখীপুর থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। যার যেভাবে জায়গা আছে, সে ওই ভাবেই ভোগ করবে। এতে কোনো হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না।’
সভায় দলের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আবদুস ছবুর খান সভাপতিত্ব করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, যুগ্ম সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী, সরকারি সাদত কলেজের সাবেক ভিপি শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী, দলের জেলা কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম সরকার, জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এটিএম সালেক হিটলু, বাসাইল উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি রাহাত হাসান টিপু, দুলাল হোসেন মাস্টার, আশিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে তিন আইনজীবীসহ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা সুলতানা তাদের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকায় আগামি ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে টাঙ্গাইলে একটি প্রস্তুতি সভা শেষে ফেরার পথে সোমবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর ওই ১২ নেতা-কর্মীসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রোহানুল ইসলাম বাদি হয়ে সোমবার রাতে এক মামলা দায়ের করেন।
বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত মামলায় অজ্ঞাত আরো ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেপ্তারকৃত ১২ জনকে টাঙ্গাইল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে।
আদালতের বিচারত অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরা সুলতানা একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আইনজীবীরা হচ্ছেন- জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আইনজীবী খন্দকার মাহবুবুর রহমান ওরফে রিপন, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য লাল মাহমুদ, নাগরপুর উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ ভূঁইয়া।
এই তিন আইনজীবী ছাড়াও অন্য নয়জন হলেন- সদর উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাবু গাজী, ধনবাড়ী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপন, বাসাইল উপজেলা বিএনপির সদস্য আমিনুর রহমান, টাঙ্গাইল পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক মাসুদ রানা, যুবদল কর্মী ফুয়াদ হাসান, হেলাল উদ্দিন সিকদার ও সৌরভ এবং দোকান কর্মচারী জাকির হোসেন।
মামলায় ২৯ আসামির মধ্যে জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইদুল হক ছাদু, ঘারিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সৈয়দ শাহীন, হুগড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোর্শেদ আলম, সিলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য আশরাফ পাহেলী, টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মারুফ সরোয়ার, কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুমন দেওয়ান রয়েছেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করাসহ সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট, যানবাহন স্থাপনার ক্ষতি সাধন, জনমনে ভীতি সৃষ্টি এবং ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম সংগঠনের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ও রিমান্ড প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল বলেন, আগামি ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশ বিঘ্ন করতে পরিকল্পিতভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, গত কয়েকদিনে টাঙ্গাইলে তিনটি মিথ্যা মামলা দিয়ে ১৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এই মামলাগুলো প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানান।
একতার কণ্ঠঃ ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশ সফল করা লক্ষে আয়োজিত টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা শেষে ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার( ২১ নভেম্বর) রাতে মামলা দায়ের করাসহ মঙ্গলবার(২২ নভেম্বর) গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ধনবাড়ী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম স্বপন, নাগরপুর উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ফরিদ আহমেদ, টাঙ্গাইল পৌর বিএনপির ১ নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক ও শহর বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক শাহীন চৌধুরী, জেলা যুবদল নেতা হেলাল, জেলা ছাত্র দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ, বাসাইলের আমিনুরসহ ৯ নেতাকর্মী।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে শহরের বড় কালিবাড়ী রোড়ে অবস্থিত ফুলি কমিউনিটি সেন্টারের তৃতীয় তলায় এ সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ি কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এড.আহমেদ আযম খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির।
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবালের সঞ্চালনায় এ সময় জেলা বিএনপির ২৩ টি ইউনিট এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, যুবদল, ছাত্রদলসহ এর বিভিন্ন অঙ্গসহযোগি সংগঠণের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেফতার বিষয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল জানান, ১০ ডিসেম্বরের ঢাকার গণসমাবেশ বানচাল করতে সরকারের মদদে এই গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ। এ কারণে শান্তিপূর্ণ প্রস্তুতি সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ওই নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক।
তিনি আরো জানান, এরই জের ধরে নাগরপুর ও কালিহাতীর নেতাকর্মীদেরও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢাকার গণসমাবেশে যাওয়া ফিরিয়ে রাখা যাবে না। টাঙ্গাইল থেকে কমপক্ষে পচিশ হাজার নেতাকর্মী ঢাকার গণসমাবেশে যাবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি (তদন্ত) হাবিবুর রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার রাতে টাঙ্গাইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেহানুল ইসলাম বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতারকৃতদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বাড়ির পাশের টিলা থেকে এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। সোমবার(২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের মাকড়াই এলাকার বনবেষ্টিত পাহাড়ি টিলা থেকে লাশটি উদ্ধার করে ঘাটাইল থানার পুলিশ।
নিহত ওই নারীর নাম সেলিনা বেগম (৪৫)। তিনি মাকড়াই এলাকার মৃত কুবেদ আলীর মেয়ে।
তাঁর স্বামী আবদুল গফুর একই ইউনিয়নের মালেঙ্গা বড়চালা এলাকার বাসিন্দা। নিহতের বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ির দূরত্ব ২০০ মিটারের মতো হবে। বাবার বাড়ির পূর্ব পাশের টিলায় লাশটি পাওয়া যায়।
স্থানীয় ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে ঘাটাইল থানার উপপরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন জানান, স্থানীয় কয়েকজন নারী সোমবার দুপুরে টিলা এলাকায় লাকড়ি সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় তাঁরা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের খবর দেন। স্থানীয় ব্যক্তিরা বিকেলে থানায় খবর দিলে সন্ধ্যায় পুলিশ পৌঁছে সুরতহাল শেষে মরদেহটি উদ্ধার করে।
সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, নিহত নারীর গলায় ওড়না দিয়ে কয়েকটা প্যাঁচ দেওয়া। ওড়নার অপর প্রান্ত বোরকার সঙ্গে বাঁধা। তবে শরীরের আর কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
সেলিনার বড় ভাই আবদুল মান্নান জানান পারিবারিক কলহের জেরে সেলিনা মাস তিনেক আগে তাঁদের বাড়িতে আসেন। তখন থেকে এখানেই থাকতেন। গত রাতে বাড়িতে না পেয়ে তাঁরা ভেবেছিলেন, সেলিনা তাঁর স্বামীর বাড়িতে গেছে। কিন্তু সকালে খোঁজ করে সেখানেও পাওয়া যায়নি। পরে টাঙ্গাইলে আরেক ভাইয়ের বাসায়ও খোঁজ করা হয়। দুপুরে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তাঁর মরদেহ বাড়ির পাশের টিলায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় নারীরা। সেলিনাকে কেউ হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন আবদুল মান্নান।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম সরকার জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছেন এক তরুণী। রোববার (২০ নভেম্বর)থেকে এ অনশন শুরু করেন তিনি। প্রেমিকার উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন প্রেমিক হৃদয় (২২)।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে এলেঙ্গা পৌরসভা মসিন্দা গ্রামে। হৃদয় হোসেন ওই গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির ছেলে। আর মেয়ের বাড়ি ভূঞাপুর উপজেলায়। .
এদিকে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক হৃদয়ের বাড়িতে অবস্থান করায় বাড়ির লোকজন ওই তরুণী ব্যাপক মারধর করে। বর্তমানে মেয়েটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী জানান, প্রায় দুই বছর আগে কালিহাতী উপজেলার মসিন্দা গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির ছেলে হৃদয় হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের প্রেমের সম্পর্ক রূপ নেয় দৈহিক সম্পর্কে। কয়েকদিন আগে সে বিয়ের জন্য চাপ প্রেমিক হৃদয় হোসেনকে। কিন্তু সে বিয়েতে রাজি না হয়ে নানা টালবাহানা শুরু করে।
যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে রোববার দুপুর থেকে সে প্রেমিক হৃদয় হোসেনের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে।
এদিকে রোববার দুপুরে ওই তরুণী বিয়ের দাবিতে হৃদয় হোসেনের বাড়িতে উঠলে বাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে বাড়ির গেট বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে গেটের সামনেই অনশন চালিয়ে যেতে থাকে সে। পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্ত হৃদয় হোসেন ও তার বাবা হাবিবুর রহমান বাড়িতে না থাকায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।