/ হোম / জাতীয়
বিএনপি’র নির্বাচনে আসা, না আসায় কিছু যায় আসে না: কৃষিমন্ত্রী - Ekotar Kantho

বিএনপি’র নির্বাচনে আসা, না আসায় কিছু যায় আসে না: কৃষিমন্ত্রী

একতার কণ্ঠঃ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি যদি দলীয় ভাবে নির্বাচনে না আসে, এমন হতে পারে দলের একটা অংশ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে ।একই সাথে অন্যন্য অনেক দল অংশ গ্রহণ করবে। দেশের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সংবিধান অনুযায়ী সময় মতো অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসলো না আসলো তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপ্র্যাণ চেষ্টা করবো বিএনপি যাতে নির্বাচনে আসে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা অপেক্ষা করেন এর জবাব বিএনপির কাছে থেকেই পাবেন।

শনিবার (৭ জানুয়ারি ) সকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল, সেই নির্বাচনকেও বিএনপি সহজভাবে নেই নাই। বিএনপি কোনো দিনও বলে নাই নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। গত ১৪ বছর যাবত একই রের্কড বিএনপি বার বার বাজাচ্ছে। যে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে না। পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় না। একমাত্র আমাদের দেখে শুরু করেছিল পাকিস্তান, যারা আজকে দাবি করছে বিএনপি জামাত তাদের পাকিস্তানিরাই প্রভু। সেই ধারায় বিএনপি জামাত চলতে চায়। বিএনপি জামাত একি কথা বার বার বলছে।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানে সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আলহাজ মো. নুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম) শরফুদ্দীন আহমেদ,উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মো. ছারোয়ার আলম খান আবু,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফিউদ্দিন মনি,মধুপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ মো. সিদ্দিক হোসেন খানসহ প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. জানুয়ারী ২০২৩ ০৯:০৮:পিএম ২ বছর আগে
৩৩ বছর পলাতক থাকার পর ‌’আগুন পাগলা’ গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

৩৩ বছর পলাতক থাকার পর ‌’আগুন পাগলা’ গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি শফিকুল ইসলাম পাকুল ওরফে আগুন পাগলাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বাসাইল থানার একটি মামলায় ৩৩ বছর পলাতক থাকার পর শুক্রবার(৬ জানুয়ারি) পূর্বরাতে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকা থেকে তাকে র‌্যাবের একটি চৌকশ দল গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত শফিকুল ইসলাম পাকুল ওরফে আগুন পাগলা বাসাইল উপজেলার গিলাবাড়ি গ্রামের মুকছেদ আলীর ছেলে।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে র‌্যাব-১৪ এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ১৯৮৪ সালে বাসাইল থানার একটি চাঞ্চল্যকর ডাকাতি মামলায়(নং-৪, তাং-২৯/০৯/১৯৮৪ইং, ধারা-দ.বি. ৩৯৫/৩৯৭) ১৯৮৯ সালে আদালত কর্তৃক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে শফিকুল ইসলাম পাকুল ওরফে আগুন পাগলা ফেরারী হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা নামে বসবাস করতে থাকেন।

এক পর্যায়ে এনআইডি পরিবর্তন করে মিথ্যা নাম-পরিচয়ে ৩২৯৮৭০০১৪১ নং জাতীয় পরিচয়পত্র(গ্রাম-দেলুটিয়া, ডাকঘর-ভাবনদত্ত-১৯৭০, থানা-ঘাটাইল, জেলা-টাঙ্গাইল) বহন করা শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন মাজারে নিজেকে ‘আগুন পাগলা’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভক্তিমূলক গানে নিয়মিত অংশ গ্রহন করতেন।

র‌্যাব-১৪ জানায়, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়েরের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি চৌকশ দল তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্যাপক গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জপুল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফিকুল ইসলাম পাকুল ওরফে আগুন পাগলা স্বীয় অপরাধ স্বীকার করেছে। পরে তাকে বাসাইল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. জানুয়ারী ২০২৩ ১১:৪৫:পিএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ মহড়া পরিদর্শনে সেনাপ্রধান - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণ মহড়া পরিদর্শনে সেনাপ্রধান

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সেনাবাহিনীর শীতকালীন অনুশীলনের চূড়ান্ত মহড়া পরিদর্শন করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। পরে শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র, ত্রাণ ও ওষুধ বিতরণ করেন তিনি।

চূড়ান্ত মহড়ার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ সেনবাহিনীর তিন সপ্তাহব্যাপী পরিচালিত শীতকালীন প্রশিক্ষণ ২০২২-২০২৩ অনুশীলন।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯ পদাতিক ডিভিশন সফলভাবে এই অনুশীলন পরিচালনা করে। এই অনুশীলনে সাঁজোয়া বহর, এপিসি এর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ছত্রীসেনা অংশগ্রহণ করে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ সাইফুল আলম, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) আর্মি ট্রেনিং এন্ড ডকট্রিন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীসহ সেনাসদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারবৃন্দ, অন্যান্য জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে শীতকালীন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ফরমেশনসমূহ স্ব-স্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অসহায় ও দুস্থ শীতার্ত মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র ও ত্রাণ বিতরণ, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান ও ঔষধ বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সেনবাহিনী প্রধান।

এ সময় সেনবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাস্তবসম্মত ও যুগোপযুগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে একটি বিশ্বমানের বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সেনাবাহিনীকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে কঠিন প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।

এসময় তিনি দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের অবদান স্মরণ করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. জানুয়ারী ২০২৩ ০১:০৫:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়ে নিহত  - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়ে নিহত 

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে তেলবাহী ট্রাক ও ভ্যানের সংঘর্ষে মা ও মেয়ে নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের বাগবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন উপজেলার বিলচাপড়া গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী শহিদুলের স্ত্রী পারুল বেগম (৩৫) ও তাদের সাড়ে তিন বছরের মেয়ে ছোঁয়া মনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিহত পারুল বেগম তার কন্যাশিশুকে নিয়ে ভ্যানগাড়ি যোগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে গ্রামের বাড়ি বিলচাপড়া যাচ্ছিলেন। এসময় তাদের বহনকারী ভ্যানগাড়িটি ভূঞাপুর-বঙ্গবন্ধু সেতু সড়কের বাগবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলবাহী ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয় ।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)ফরিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ট্রাক চালককে আটকের চেষ্টা চলছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. জানুয়ারী ২০২৩ ১২:১৭:এএম ২ বছর আগে
সখীপুরে কুড়িয়ে পাওয়া একলাখ টাকা ফেরত দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন মাদ্রাসা ছাত্রীর - Ekotar Kantho

সখীপুরে কুড়িয়ে পাওয়া একলাখ টাকা ফেরত দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন মাদ্রাসা ছাত্রীর

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে কুড়িয়ে পাওয়া একলাখ টাকা ফেরত দিয়ে সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মাদরাসার শিক্ষার্থী মারিয়া আক্তার ।

ওই শিক্ষার্থী উপজেলার কালিয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার ৫ম শ্রেণিতে পড়েন। কুড়িয়ে পাওয়া টাকা প্রকৃত মালিককে ফিরিয়ে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসায় ভাসছেন ওই মাদ্রাসার ছাত্রী।

জানা যায়, (৪ জানুয়ারি) বুধবার সকালে ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া মারিয়া ও সহপাঠী রাবিয়া মাদ্রাসার উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে এক লাখ টাকা কুড়িয়ে পান।এদিক-ওদিক কাউকে না পেয়ে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা প্রকৃত মালিককে ফেরত দেওয়ার জন্য সবার কাছে বলাবলি করতে থাকে। ইতিমধ্যে হারিয়ে যাওয়া টাকা খোঁজার জন্য প্রকৃত মালিক প্রবাসী আশরাফুল ইসলাম ছুটাছুটি করে জানতে পারেন মাদরাসা ছাত্রী টাকা পেয়েছেন । শিক্ষকদের উপস্থিতিতে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফিরত দেন ওই মাদ্রাসার ছাত্রী।

টাকার মালিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমি সকাল বেলা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় কখন যে পড়ে যায় বুঝতে পারিনি। পাগলের মত খোঁজ করছিলাম পরে জানতে পারি মাদ্রাসায় পড়ুয়া টাকা পেয়েছেন। ওদের সততা দেখে অবাক হয়ে গেছি,তারা চাইলে কাউকে না বলে নিজেদের কাজে খরচ করতে পারত। আমি ওদের সামান্য কিছু টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেছি।

ওই মাদ্রাসার ছাত্রী মারিয়া আক্তার বলেন, আমার বাবা প্রবাসে থাকেন সৎ পথে টাকা উপার্জন করা কতটা পরিশ্রমের এবং কষ্টের আমার পরিবার সেটা আমাকে শিক্ষা দিয়েছে। পরিবারের আদর্শ, শিক্ষকদের উপদেশ অন্যের টাকায় লোভ করতে নেই। তাই কুড়িয়ে পাওয়া টাকা ফেরত দিয়েছি।

এবিষয়ে কালিয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল খায়ের গুলজারী বলেন,ওই ছাত্রীর এমন কার্য অবশ্যই তার পরিবার ও মাদ্রাসার সংশ্লিষ্ট সকলেই উচ্ছ্বসিত। আমরা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. জানুয়ারী ২০২৩ ১১:১১:পিএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে ভাতিজার দায়ের কোপে চাচা নিহত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ভাতিজার দায়ের কোপে চাচা নিহত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ভাতিজার দায়ের কোপে চাচা নিহতের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার(৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বানিয়াজান দক্ষিণপাড়া বাবুল বাজারের এক চায়ের দোকানের পাশে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।

নিহত চাচা মো. শরিফ উদ্দিন (৩৫) ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

এই ঘটনায় ভাতিজা মো. ইদ্রিস আলীকে (৫০) উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বানিয়াজান দক্ষিণপাড়া নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত ভাতিজা ইদ্রিস আলী একই গ্রামের মৃত করিম উদ্দিনের ছেলে । সে বানিয়াজান ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির বর্তমান সভাপতি।

ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চায়ের দোকানদার হায়দার আলীসহ স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দোকানের পাশে প্রস্রাব করতে বসে শরিফ। হঠাৎ করে ইদ্রিস ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর মাথায় কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়ারা তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের মা হাজেরা বেগম জানান, ‘রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপালের নেয়ার পথে মধুপুরে মারা যায় শরিফ। পূর্ব শত্রুতার জেরে ইদ্রিস শরিফকে খুন করেছে। আমরা এর বিচার চাই। শরীফ ও ইদ্রিস সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা।

শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী আফরোজা বেগম জানান ‘আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে আমার অবুঝ মেয়াটার এখন কি হবে। সে আর বাবা বলে ডাকতে পারবে না বলে কাঁদতে কাঁদতে মুর্ছা যান তিনি।

এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করে স্থানীয় ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন জবান , ‘এই ঘাতকের কঠোর বিচার হওয়া দরকার।’

এদিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ইদ্রিস আলীর স্ত্রী খালেদা বেগম জানান ‘রাতে পুলিশ এসে তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে।

ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচএম জসিম জানান, ‘ঘটনার সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘাতককে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার (৪ জানুয়ারি সকালে)আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান,নিহতের বড় ভাই বাবুল হোসেন বাদি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. জানুয়ারী ২০২৩ ১০:৩৬:পিএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে বছরের প্রথম দিনে ১০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বছরের প্রথম দিনে ১০ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে খ্রিষ্টীয় বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার ৪২৭টি নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে।

রবিবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা সদর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণের মাধ্যমে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ওলিউজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রহিম সুজন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহাম্মদ সরোয়ার আলম, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ। পরে অতিথিরা টাঙ্গাইল কালেক্টেরট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলায় পাঁচ লাখ ৫০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৯ লাখ ৭ হাজার ১১৮টি এবং চার লাখ ৪০ হাজার মাধ্যমিক শিক্ষার্থীর মাঝে ৫৭ লাখ ২৯ হাজার ৩০৯ টি বই বিতরণ করা হচ্ছে।

এছাড়াও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের মিন্টু মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার (১লা জানুয়ারী) সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নতুন বই বিতরণ করে টাঙ্গাইল সদর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শেখ ফরিদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পর্ষদের সভাপতি মো. আব্দুর রহিম বাদশা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক ইউপি সদস্য মো. আফজাল হোসেন খান, ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দুলাল সরকারসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দ।
বিতরণ অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেনীর শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০১. জানুয়ারী ২০২৩ ১১:৪৮:পিএম ২ বছর আগে
নদীভাঙনের শিকার ৩৩২ জন পেলেন ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা - Ekotar Kantho

নদীভাঙনের শিকার ৩৩২ জন পেলেন ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ‘নদীভাঙন কবলিত এলাকার অতি দরিদ্র ও দুঃস্থদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তায় কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিমিত্তে’ ৫০ হাজার টাকা করে ৩৩২ জন অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।

রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হিসেনে ছিলেন টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু, আলিফ নুর মিনি, ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম তালুকদার মোহন, ইউপি চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার, দিদারুল আলম খান মাহবুব, শাহ আলম আকন্দ শাপলাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলাটি যমুনা নদীর চরাঞ্চল বিধৌত। বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর এ চরাঞ্চলে অসংখ্য ঘরবাড়ি-বসতভিটা, ফসলি জমি, মসজিদ-মন্দির ও রাস্তাঘাটসহ নানা স্থাপনা ভাঙনের মুখে পড়ে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়ে নদী তীরবর্তী এলাকার ভাঙনকবলিত অসংখ্য মানুষ। ভাঙনকবলিত ক্ষতিগ্রস্তদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্থিক সহায়তায় কার্যক্রম বাস্তবায়ন নিমিত্তে মানবিক সহায়তার আওতায় উপজেলার নিকরাইল, গাবসারা, অর্জুনা ও গোবিন্দাসীর ৩১২ জন ভাঙনকবলিতদের মাঝে এ চেক বিতরণ করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:৫৬:এএম ২ বছর আগে
আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে ঠাঁই পেলেন যারা - Ekotar Kantho

আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে ঠাঁই পেলেন যারা

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পরিচালনার ভার আবারও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপরই দিলেন দলটির কাউন্সিলররা।

এ নিয়ে টানা দশম বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি।

অন্যদিকে আবারও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে কাউন্সিলরদের সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনা সভাপতি ও ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

দলের ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষ্যে গঠিত তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের নাম ঘোষণা করেন।

পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের অন্যান্য নেতাদের নাম ঘোষণা করেন। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নামও তিনি ঘোষণা দেন।

২২তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হয়েছেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, শ্রী পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), অ্যাড. কামরুল ইসলাম এমপি ও সিমিন হোসেন রিমি।

এছাড়া যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা. দীপু মনি রয়েছেন। পাশাপাশি কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি।

এদিকে, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর মধ্যে অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে ড. শাম্মী আহমেদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক পদে ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক পদে আমিনুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি মনোনীত হয়েছেন।

অন্যদিকে বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক পদে শামসুন নাহার চাঁপা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. সিদ্দিকুর রহমান, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে শ্রী অসীম কুমার উকিল এমপি, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদে ডা. রোকেয়া সুলতানা মনোনীত হয়েছেন।

এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন আহমদ হোসেন, বি. এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, এস. এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম এমপি, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবং সুজিত রায় নন্দী। এছাড়া উপ-দফতর সম্পাদক হয়েছেন সায়েম খান।

তবে শ্রম, যুব ও ক্রীড়া এবং উপ-প্রচার সম্পাদকের পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে। এসব পদ পরে পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। আর প্রেসিডিয়াম সভায় সদস্যদের নির্বাচিত করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. ডিসেম্বর ২০২২ ০৫:১৫:এএম ২ বছর আগে
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সহ সাতটি সড়কের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী - Ekotar Kantho

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সহ সাতটি সড়কের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

একতার কণ্ঠঃ জয়দেবপুর-চন্দ্রা-এলেঙ্গা (ঢাকা-টাঙ্গাইল) চার লেনের ৭০ কিলোমিটার মহাসড়কসহ সাতটি সড়কের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি। বুধবার(২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব সড়ক-মহাসড়ক উদ্বোধন করেন তিনি।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারে অর্থায়নে সওজের আওতাধীন ৭৫০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১৭২.৮৫ কিলোমটিার দৈর্ঘ্যের সড়ক উদ্বোধন করা হয়। এর মধ্যে ৫২৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২২-২৩ সমাপ্তির অর্থ বছরে এলেঙ্গা-জামালপুর জাতীয় মহাসড়ক ৭৭.৬০ কিলোমিটার ও ৫টি জেলা সড়ক ৯৪.২০ কিলোমিটার।

জেলা সড়কের মধ্যে ২৯ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ২০২১-২২ সমাপ্তির অর্থ বছরে পাকুল্লা-দেলদুয়ার-এলাসিন সড়ক প্রশস্তকরনের দেলদুলয়ার থেকে এলাসিন পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার, ২৬ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে টাঙ্গাইল-বাসাইল সড়ক প্রশস্তকরনের ভাতকুড়া থেকে বাসাইল পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার, ৪৩ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে টাঙ্গাইল থেকে দেলদুয়ার সড়কের ১২ কিলোমিটার, ৪৯ কোটি ২১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঘাটাইলের পোড়াবাড়ি থেকে শালিয়াজানি দিয়ে গোপালপুর হয়ে সরিষাবাড়ি পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার এবং ৭৪ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ভরাডোবা-সাগরদিঘী-ঘাটাইল-ভূঞাপুর পর্যন্ত ৪৩.২০ কিলোমিটার সড়ক।

উদ্বোধন উপলক্ষে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসনের জনসেবা চত্ত্বরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

টাঙ্গাইল অংশে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান, সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী, সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, সংসদ সদস্য মমতা হেনা লাভলী, সংসদ সদস্য অপরাজিতা হক, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার খলিলুর রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুল ইসলাম, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. ফরহাদ হোসেন, সরকারি সা’দত কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুব্রত নন্দী প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. ডিসেম্বর ২০২২ ০২:৫১:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের “প্রধান বিচারপতি” পদক লাভ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের “প্রধান বিচারপতি” পদক লাভ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান বাংলাদেশে কর্মরত অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ সমমর্যাদার বিচারকদের মধ্যে ‘প্রধান বিচারপতি পদক-২০২২’ পেয়েছেন।

রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে তিনি ওই পদক গ্রহণ করেন।

সাউদ হাসান গোপালগঞ্জ জেলা সদরের আড়পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াদুদ মোল্লা ও আনোয়ারা বেগমের কনিষ্ঠ সন্তান।

তিনি গোপালগঞ্জের আড়পাড়া ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) এলএলএম (প্রথম শ্রেণি) ডিগ্রি অর্জন করেন।

পরবর্তীতে তিনি আইসিআরসি স্কলারশীপ প্রাপ্ত হন এবং ভারতের নালসার ইউনিভার্সিটি অব ল’ থেকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনে পিজিডি-তে প্রথম স্থান অধিকার করেন।

তিনি আইন, বিচার, মানবধিকার ও আইন গবেষণার উপর দেশে ও বিদেশে প্রায় ৪৮টি প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন। চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাউদ হাসান আইন বিষয়ে ৩টি পেশাগত বইয়ের রচিয়তা।

এছাড়া দেশি-বিদেশি আইনি জার্নালে এ যাবৎ তার ৬টি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ঢাকা জজ কোর্ট এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে তালিকাভূক্ত আইজীবী হিসেবে প্রাকটিস ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন।

তিনি তৃতীয় বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসে ২০০৮ সালের ২২ মে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে রাজবাড়ি জেলায় যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকার সিনিয়র সহকারী জজ, মানিকগঞ্জের জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার, ঢাকার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি টাঙ্গাইলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করার পরে বিচারপ্রার্থী জনগণের বিচারিক সেবার মান উন্নয়ন, আদালতের সার্বিক পরিবেশের উন্নয়ন সাধন, স্বল্প সময়ে অধিক সংখ্যক মামলা নিস্পত্তি, বৃক্ষরোপনসহ জেলার সামগ্রিক বিচার ব্যবস্থায় অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছেন।

তিনি বিবাহিত জীবনে এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক। সাউদ হাসানের স্ত্রী মনিকা খান বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের একজন সদস্য এবং বর্তমানে তিনি টাঙ্গাইল জেলার লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) হিসেবে কর্মরত।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. ডিসেম্বর ২০২২ ০১:২০:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস পালিত - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস পালিত

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে যথাযথ মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ২১ বার তোপধ্বনি ও শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

দিনের শুরুতে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।

এরপর জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা পরিষদের পক্ষে প্রধান নির্বাহী খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষে সিভিল সার্জন ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া, উপজেলা পরিষদের পক্ষে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাংগাইল প্রেসক্লাবের পক্ষে সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ প্রমুখ শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।

এরপর শহরের শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সর্বস্তরের জনসাধারণ।

শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবী, বীরমুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশের কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়াও সকাল ৮টায় টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শরীর চর্চা প্রদর্শন করা হয়।

পরে ১১টায় শহীদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। বাদ জুমা সকল মসজিদ ও মন্দিরে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. ডিসেম্বর ২০২২ ০২:৫৭:এএম ২ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।