/ মূলপাতা / আমাদের
নেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা; টাঙ্গাইলে চার রেস্তোরাঁকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা - Ekotar Kantho

নেই অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা; টাঙ্গাইলে চার রেস্তোরাঁকে দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় চার রেস্তোরাঁ মালিকদের দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রবিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান বিন মুহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট হাসান বিন মুহাম্মদ আলী জানান, অগ্নিকান্ড প্রতিরোধ ও নির্বাপকের ব্যবস্থা পর্যাপ্ত পরিমান না থাকায় এবং ফায়ার লাইসেন্স না থাকায় পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের সুরুচি রেস্টুরেন্টকে এক লাখ টাকা, সুগন্ধা ও ঝাউবন রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা করে এবং সেফাত রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনেক রেস্তোরায় এলপিজি গ্যাস ঝুঁকিপূর্নভাবে ব্যবহার করতে দেখা গেছে। তাদের সতর্ক করা হযেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্প‌তিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি (কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট) ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১১জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন। আর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৭৫ জনকে। ফলে এধরনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে টাঙ্গাইল শহরবাসী।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. মার্চ ২০২৪ ০৩:০৩:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে অটোরিক্সা কর্মবিরতি; চরম ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে অটোরিক্সা কর্মবিরতি; চরম ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে অটোরিক্সার ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে দিনব্যাপী জেলা অটোরিক্সা , টেক্সি ও অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে শ্রমিকরা অটোরিক্সা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীরা।

সরেজমিনে রবিবার সকালে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড, নিরালা মোড়, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, ডিস্ট্রিক আদালত চত্বর, বটতলা মোড় ও শান্তিকুঞ্জ মোড়ে কোন অটোরিক্সা চলতে দেখা যায়নি। এতে বিকল্প হিসেবে সিএনজিচালিত অটোরিক্সায় যাত্রীরা চলাচল করেন। এ সুযোগে যাত্রীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয়েছে। অনেকে আবার হেঁটেই গন্তব্যে গিয়েছেন।

সাব্বির মিয়া নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী বলেন, অটো শ্রমিকদের এ আন্দোলন ও দাবি অযৌক্তিক। তারা অটো বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। আমরা অটো না পায়ে, হেঁটে পরীক্ষার কেন্দ্রে যাচ্ছি।

আল মুতাকাব্বির সামি বলেন, বর্তমানে যে ভাড়া আছে সেটি স্বাভাবিক। কিন্তু এর চেয়ে বেশি ভাড়া হলে সেটা সাধারণ মানুষের উপর বোঝা হয়ে যাবে। তাদের এ দাবি এক প্রাকার জিম্মি করার মতো। আমরা এ দাবি মানবো না।

জেলা অটোরিক্সা, টেক্সি ও অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন উল্লাস বলেন, শ্রমিকরা সারাদিনে যে ভাড়া পায়, তা দিয়ে তাদের সংসার চলে না। সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমরা আন্দোলন করছি। জেলায় চার হাজারের বেশি অটোরিক্সার শ্রমিক রয়েছেন।

সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল লতিফ বলেন, ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছে। ইতোপূর্বে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি নিয়ে আমরা জেলা প্রশাসক ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়রকে জানিয়েছি। এর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, শ্রমিকরা ভাড়া বৃদ্ধির দাবি নিয়ে পৌরসভায় এসেছিলেন। আমি সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা শুনে দ্রুত আন্দোলন প্রত্যাহার করে অটোরিকশা চালু করতে বলেছি। ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি প্রশাসন সাংবাদিকসহ সকল পেশার মানুষের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. মার্চ ২০২৪ ০৩:১২:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে রাবার বাগান থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে রাবার বাগান থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে রাবার বাগান থেকে আগুনে পোড়া অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (৩ মার্চ) সকালে উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের পীরগাছা রাবার বাগান এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। তার বয়স আনুমানিক ২৪ বছর।

পুলিশের ধারণা, শনিবার রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে রাবার বাগানে ফেলে গেছে।

পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে স্থানীয় লোকজন রাবার বাগানে শরীরের বিভিন্ন অংশ পোড়া অবস্থায় একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

মধুপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, ‘খবর পেয়ে রাবার বাগান থেকে আগুনে পোড়া অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরবর্তীতে লাশের কোনো পরিচয় না পাওয়ায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

তিনি আরও জানান,আমরা ধারণা করছি লাশটি মধুপুর এলাকার নয়। রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে এখানে ফেলে গেছে। ওই যুবককে কেউ যেন শনাক্ত করতে না পারে সেজন্য আগুন দিয়ে মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. মার্চ ২০২৪ ১২:৪২:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে দীর্ঘদিন পর সিদ্দিক ও খান পরিবার এক মঞ্চে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে দীর্ঘদিন পর সিদ্দিক ও খান পরিবার এক মঞ্চে

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের রাজনীতিতে খান পরিবার ও সিদ্দিক পরিবার নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনা। সব আলোচনা উপেক্ষা করে ৯০ দশকের পর এই প্রথম এক মঞ্চে বসলেন দুই পরিবার।

শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সিদ্দিখালী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শামসুর রহমান খান শাহজাহান স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণীর আলোচনা সভায় তারা এক মঞ্চে বসেন।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতি) আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, এই পরিবারের সাথে আমার অনেক আগে থেকে সু-সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মাঝখানে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা দেখা দিলেও এখন আর নেই। রানা ও তার ভাইয়েরা যদি মনে করে যে আমাকে তারা মেনে চলবে তাহলে তাদের সাথে চলতে কোন বাঁধা নেই।

টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা বলেন, লতিফ চাচা আমাদের অভিভাবক তাই তার সাথে চলতে কোন বাঁধা নেই। আমরা চাই এক সাথে এক সঙ্গে রাজনীতি করতে।

এসময় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরতেজা হাসান, ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস ছালাম মিয়া প্রমূখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. মার্চ ২০২৪ ০২:১৯:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
গ্রাহকের মুনাফার টাকা কম দেওয়ার অভিযোগ এলেঙ্গা পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে - Ekotar Kantho

গ্রাহকের মুনাফার টাকা কম দেওয়ার অভিযোগ এলেঙ্গা পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালীহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন গ্রাহকের মুনাফার প্রায় লাখ টাকা কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুনাফার টাকা কম দেওয়ার বিষয়ে গোবিন্দ সুত্রধর ও লিপি সাহা নামের ওই পোস্ট অফিসের দুই গ্রাহক ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

এরআগে বর্তমান পোস্টমাস্টার শাহাজাহান আলী পোস্টম্যান পদে থাকা অবস্থায় স্থানীয় মহাদেব কর্মকারের শ্যালক ও পোস্ট অফিসের এক গ্রাহকের সাথে এমন প্রতারণায় লিপ্ত হন। পরবর্তীতে তৎকালীন পোস্টমাস্টার ও স্থানীয়দের সহায়তায় বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এমন প্রতারণায় জড়িত পোস্টমাস্টার শাহজাহান আলীর কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।

অভিযোগের বিভাগীয় তদন্ত শুরু হলেও এলেঙ্গার পোস্টমাস্টার শাহজাহান আলী মুনাফার টাকা আত্মসাতের কথা অস্বীকার করছেন।

পোস্টমাস্টারের প্রতারণার শিকার গ্রাহকরা হলেন-গোবিন্দ সুত্রধর, এসবি হিসাব নম্বর- ৪১৪৫৩৮, মুনাফা কম দেওয়ার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা। লিপি সাহা, এসবি হিসাব নম্বর-৫০৪১৩৯, মুনাফা কম দেওয়ার পরিমাণ ৪ হাজার ৫৮০ টাকা, নরেশ, এসবি হিসাব নম্বর-৪০৫৮৮৫, মুনাফা কম দেও‌য়ার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা, অর্চনা রাণী, মুনাফা কম দেওয়ার পরিমাণ ১৫ হাজার টাকা হলেও তার এসবি হিসাব নম্বরটি পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও সুবল চন্দ্র রায়, এফডি হিসাব নম্বর-৩৩১৫৭৭, মুনাফা কম দেওয়ার পরিমাণ ১৫ হাজার টাকা, জোসনা, এফডি হিসাব নম্বর-৪১৯৮১০. মুনাফা কম দেওয়ার পরিমাণ ১৫ হাজার টাকা, শিল্পী, এফডি হিসাব নম্বর-৪২২৭০০, মুনাফা কম দেওয়ার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা, নরেশ, এফডি হিসাব নম্বর-৩৬৯৬২৮, মুনাফা কম দেওয়ার পরিমাণ ১০ হাজার টাকা।

সরেজমিন পোস্ট অফিসের মুনাফা বিতরণ বইয়ের পাতায় একেক একেক গ্রাহকের স্বাক্ষর ভিন্ন রকম থাকলেও বিতরণকৃত টাকা নেওয়ার লেখা এক হাতে লেখা হয়েছে।

জানা যায়, চলতি বছরের ১৪ জুন এলেঙ্গা পোস্ট অফিসে পোস্টমাস্টার পদে যোগদান করেন শাহজাহান আলী। এরআগেও তিনি এলেঙ্গা পোস্ট অফিসের পোস্টম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কালিহাতী উপজেলার মাইজবাড়ী গ্রামে বাড়ি হওয়ায় এলেঙ্গা পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার শাহজাহান কারো তোয়াক্কা করেন না। অফিসে যোগদান করার পর থেকেই যা খুশি তাই করছেন তিনি। গ্রাহক ও অফিস স্টাফদের সাথে করছেন রীতিমত অসৌজন্য মূলক আচরণ। জেলা ও বিভাগীয় অফিসের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে উনার সখ্যতা থাকায় রীতিমত তিনি এই অফিসে অনিয়মকে নিয়ম বানিয়ে ফেলেছেন। হরহামেশায় তার বিরুদ্ধে শোনা যাচ্ছে গ্রাহককে মুনাফার টাকা কম দেওয়ার অভিযোগ। এর ফলে গ্রাহকের আস্থা হারিয়ে ফেলেছে এলেঙ্গা পোস্ট অফিস। সরকারি অফিসটি রক্ষায় পোস্টমাস্টার শাহজাহান আলীর কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী গোবিন্দ সুত্রধরের অভিযোগ , প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর আগে এলেঙ্গা পোস্ট অফিসে আমি সঞ্চয়ী বইটি খুলি। এরপর থেকেই বইটিতে লেনদেন চালিয়ে আসছি। এখন প্রয়োজন পরায় মুনাফার টাকা উত্তোলন করতে যাই। পোস্টমাস্টার শাহাজাহান আলী আমার মুনাফা ৭ হাজার ১৫৩ টাকা হয়েছে বলে জানায়। আমি সেই টাকাই নিজ হাতে লিখে উত্তোলন করি। হঠাৎ সন্দেহ হওয়ায় আমার বই নিয়ে টাঙ্গাইল অফিসে যাই এবং জানতে পারি আমি মুনাফা বাবদ পাবো ১৭ হাজার ১৫৩ টাকা। টাকা কম দেওয়ার কারণে আমি পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি।

তিনি আরও জানায়, টাঙ্গাইল অফিস থেকে তদন্তে এসেছিল। আমি আমার বাকি টাকা ফেরত পাওয়াসহ প্রতারক পোস্টমাস্টারের কঠোর বিচার দাবি করেছি।

ভুক্তভোগী লিপি সাহা জানায়, আমি ১৪ হাজার টাকা মুনাফা পাবো, সেখানে আমাকে দেওয়া হয়েছে ৯ হাজার ৪২০টাকা। এ সময় মুনাফার টাকা কম দেওয়ার বিষয়টি বুঝতে না পারলেও বিভিন্ন জনের সাথে এমন প্রতারণা করা হয়েছে খবর জানতে পেরে আমি টাঙ্গাইল অফিসে যোগাযোগ করি। ওই অফিসের মাধ্যমেই টাকা কম পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি আমার অবশিষ্ট টাকা ফেরত পাওয়াসহ প্রতারক পোস্টমাস্টারের শাস্তি দাবি করেছি।

এলেঙ্গা পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার শাহজাহান আলী মুনাফার টাকা কম দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা ও টাঙ্গাইল পোস্ট অফিস পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বলেন, অভিযোগের তদন্ত চলছে।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল মো. মোরশেদ আলম জানান, এলেঙ্গা পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে গ্রাহকে মুনাফার টাকা কম দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের তদন্ত চলছে।

তিনি আরও জানান, তদন্তে প্রায় ২০ থেকে ২২ কর্মদিবস সময় লাগে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. মার্চ ২০২৪ ০২:৩১:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলের লৌহজং নদীর একাংশ পরিষ্কার করলেন ‘বিডি ক্লিনের’ দুই হাজার সেচ্ছাসেবক - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের লৌহজং নদীর একাংশ পরিষ্কার করলেন ‘বিডি ক্লিনের’ দুই হাজার সেচ্ছাসেবক

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লৌহজং নদীর ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম। জেলা প্রশাসকের ডাকে সাড়া দিয়ে সারাদেশ থেকে টাঙ্গাইলে এসেছে ‘বিডি ক্লিন বাংলাদেশে’র প্রায় দুই হাজার সেচ্ছাসেবক।

তারাই এ নদীর ময়লা, আবর্জনা আর বর্জ্যের ভাগাড় নিমিষে পরিষ্কার করেন।

শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯ টায় পৌর শহরের হাউজিং মাঠ এলাকায় লৌহজং নদীর ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. ছানোয়ার হোসেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওলিউজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দিন, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, বিডি ক্লিনের প্রধান সমন্বয়ক জহিরুল ইসলাম রবি, টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়ক এমরান রহমান অনিম প্রমুখ।

শুক্রবার সকালে বিডি ক্লিনের দুই হাজার সদস্যরা প্রথমে টাঙ্গাইল পৌর শহরের হাউজিং মাঠে জড়ো হন। এরপরে শপথ বাক্য পাঠ করে নেমে পড়ে নদীর ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজে।

জানা যায়, টাঙ্গাইল পৌর এলাকার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী লৌহজং নদী। এই নদীকে ঘিরে এক সময় মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ হতো। তবে বর্তমানে নদীটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পৌর এলাকার বিভিন্ন ময়লা আর আবর্জনা এসে আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছিল এই নদীটি।

২০১৬ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক নদীটি পুনঃখনন ও দূষণমুক্ত করতে কাজ শুরু করে। আংশিক অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করলেও পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অতিদ্রুত নদীটি পুনঃখনন এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ না করা হলে মানচিত্র থেকে এই নদী হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ছিলেন স্থানীয় জনসাধারণ। বর্তমান জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম তিন কিলোমিটার নদী উদ্ধারের উদ্যোগ নেন। এখন নদীটি প্রাণ ফিরে পাবে।

স্থানীয়রা জানান, লৌহজং নদীটি সদর উপজেলার যুগনী থেকে বুড়িগঙ্গা পর্যন্ত ৭৬ কিলোমিটার। এক সময় শহরের নিরালাড়া মোড় এলাকায় নৌবন্দর ছিল। দেশ-বিদেশ থেকে লঞ্চ, স্টিমার, জাহাজ ও বড় বড় নৌকা আসতো এ নৌবন্দরে। মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ ছিল এখানে। বর্তমানে সব কিছুই যেন রূপকথার গল্প।

স্থানীয় তারেক মিয়া বলেন, ময়লার ভাগাড়ে ও অবৈধ দখলদারদের কারণে নদীটি মরা খালে পরিনত হয়েছিল। জেলা প্রশাসক নদী উদ্ধারের যে কাজ হাতে নিয়েছে এখন নদীটি প্রাণ ফিরে পাবে।

বিডি ক্লিনের সদস্য সেলিম মিয়া বলেন, জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলামের আহ্বানে আমরা দুই হাজার সদস্য কয়েকটি বাসে করে ঢাকা থেকে শুক্রবার টাঙ্গাইলে এসে পৌঁছাই। স্বেচ্ছাশ্রমে এ কাজ করে আমাদের অনেক ভালো লাগে। এ সামাজিক কর্মকাণ্ডে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত।

জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, লৌহজং নদী দীর্ঘ মেয়াদি পূর্ন উদ্ধারের অংশ হিসেবে শুক্রবার আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিয়ান শুরু করেছি। বিডি ক্লিনসহ সবার সহযোগিতায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছি। নদীর দু’পাড় দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম এগুলো ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। নিয়মিত ভাবে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করে লৌহজং নদী দীর্ঘদিনের পুরোনো যে নদীর পানি প্রবাহ ছিল সেটি ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সকল কার্যক্রম গ্রহণ করবো।

উল্লেখ্য, পৌর শহরের হাউজিং ব্রিজ পাড় এলাকা থেকে শুরু করে বেড়াডোমা ব্রিজ পাড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার নদীর বর্জ্য পরিষ্কার করল বিডি ক্লিনের ঢাকাসহ টাঙ্গাইলের দুই হাজার সদস্যরা। আর এই কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেছে জেলা প্রশাসন ও টাঙ্গাইল পৌরসভা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. মার্চ ২০২৪ ০২:৪৮:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত টাঙ্গাইলের মেহেদী - Ekotar Kantho

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত টাঙ্গাইলের মেহেদী

একতার কণ্ঠঃ রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মেহেদী হাসান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায়।

সে উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামের আয়নাল মিয়ার ছেলে।

মেহেদী বেইলি রোডের বহুতল ভবনের ২য় তলায় একটি ফাস্টফুডের দোকানে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) এই ভবনে আগুনে নিহত ৪৬ জনের মধ্যে তিনিও একজন।

নিহতের ছোট ভাই ইসরাফিল একই জায়গায় কাজ করলেও অগ্নিকাণ্ডের সময় তিনি একটি কাজে ভবনের অন্য একটি তলায় গিয়েছিলেন। যে কারণে তিনি প্রাণে বেঁচে আছেন।

শুক্রবার (১ মার্চ) নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। মা ও বোন বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। মেহেদীর অকালমৃত্যু এলাকাবাসী মেনে নিতে পারছে না। ছেলেকে হারিয়ে এখন পাগলপ্রায় বাবা আয়নাল মিয়া।

নিহত মেহেদীর ভাই ইসরাফিল বলেন, তারা দুই ভাই একই জায়গায় কাজ করতেন। অগ্নিকাণ্ডের আগেই তিনি একটি কাজে ভবনের অন্য আরেকটি ফ্লোরে ছিলেন। পরে তিনি ভবন থেকে লাফিয়ে প্রাণে বাঁচেন। সকালে ভাইয়ের মরদেহ গ্রামের বাড়ি নিয়ে এসে দাফন করেছেন। সরকারের কাছে সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বোন সুমাইয়া আক্তার বলেন, আমার ভাই বৃহস্পতিবার ফোন দিয়ে বলেছে- তুমি বাবার বাড়ি যাও, আমি আসব। আমার সেই ভাই আর এলো না। আমার ভাই রেস্টুরেন্টে চাকরি করত। আমার ভাইয়ের আয় দিয়ে সংসার চলত। মাসে ২০ হাজার টাকা বেতন পেত। শুক্রবার আসার কথা ছিল। আর এলো না আমার ভাই।

বাবা আয়নাল হক জানান, অভাব অনটনের সংসার চালাতেই দুই ভাই কাজ করতেন বেইলি রোডের ওই ভবনে। তার দুই ছেলে, এক মেয়ে। বড় ছেলে মেহেদীর বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন ছিল। পাসপোর্ট করার জন্য কাগজপত্র রেডি করতেছিল। মেহেদী স্বপ্ন দেখতো, বিদেশে গিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের অভাব অনটন দূর করবে। কিন্তু ভাগ্য সহায় হলো না। তার স্বপ্ন পূরণ হলো না। সরকারের কাছে তিনিও সহযোগিতা কামনা করছেন।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাকিলা বিনতে মতিন জানান, মেহেদীর পরিবারের পাশে উপজেলা প্রশাসন সব সময় থাকবে। এই পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. মার্চ ২০২৪ ০২:৫০:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
শপথ নিলেন টাঙ্গাইলের সংরক্ষিত নারী আসনের ৩ এমপি - Ekotar Kantho

শপথ নিলেন টাঙ্গাইলের সংরক্ষিত নারী আসনের ৩ এমপি

একতার কণ্ঠঃ শপথ গ্রহণ করলেন টাঙ্গাইলের সংরক্ষিত নারী আসনের ৩ এমপি। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান।

তারা হলেন, সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট তারানা হালিম, বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি অপরাজিতা হক ও শামসুন্নাহার চাঁপা।

প্রসঙ্গত, সংরক্ষিত নারী আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুনিরুজ্জামান তালুকদার গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৫০ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী, সরাসরি ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে নারী আসন বণ্টন করা হয়।

জোট শরিক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনে ৪৮টি সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মনোনয়ন দিয়েছিল ২টি আসনে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৩:০০:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
বিপিএম পদক পেলেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার - Ekotar Kantho

বিপিএম পদক পেলেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার

একতার কণ্ঠঃ জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ন থাকা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম) সেবা পদক পেলেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ হাতে বাংলাদেশ পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বিপিএম পদক তাকে পরিয়ে দেন। সরকার মোহাম্মদ কায়সার অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত।

এ সময় ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজি), চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি জনাব সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বিপিএম (বার) পিপিএম , পুলিশ সদর দপ্তরের সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, সরকার মোহাম্মদ কায়সার ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর টাঙ্গাইলে যোগদান করেন। তার পর থেকে তিনি টাঙ্গাইলে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৩:০৭:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইল ক্যাপসুল মার্কেটের পার্কিংয়ের জায়গায় বসানো অবৈধ দোকান উচ্ছেদ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল ক্যাপসুল মার্কেটের পার্কিংয়ের জায়গায় বসানো অবৈধ দোকান উচ্ছেদ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্র-ভিক্টোরিয়া রোডে অবস্থিত ক্যাপসুল মার্কেটের পশ্চিম পাশের পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধ ভাবে বসানো ছোট-বড় ১০টি ফুচকা-চটপটি ও ফাস্টফুডের দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে।

একই সাথে টাউন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা, ভিক্টোরিয়া রোডে বসানো ৫টি ভ্রাম্যমান ফাস্টফুডের ফুড-কার্ট দোকানও উচ্ছেদ করা হয়।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘন্টাব্যাপী এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

টাঙ্গাইল পৌরসভার সহযোগিতায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাইমিনুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর, প্যানেল মেয়র মো. হাফিজুর রহমান স্বপন, কাউন্সিলর মো. জহুরুল ইসলাম আজাদ, মো. সাইফুল ইসলাম, মুন্না চৌধুরীসহ টাঙ্গাইল জেলা প্রসাশন ও পৌরসভার বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, রাস্তায় যানবাহন ও ফুটপাতে পথচারীদের চলাচলের সুবিধার্থে টাঙ্গাইল পৌরসভার অধীন ক্যাপসুল মার্কেট ও তৎসংলগ্ন এলাকা, শহীদ জগলু রোড, খালপার রোডসহ সুপার মার্কেটের সামনে ছোট-বড় অবৈধভাবে বসানো দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযান প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, রাস্তার পাশে ও ফুটপাতের উপর দোকান বসানোর কারনে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে অসুবিধার জন্য এইসব দোকান মালিকদের পূর্বেই নোটিশ দেওয়া হয়েছিলো। একই সাথে মাইকিংও করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা সেটি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। তাই সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল শহরের প্রাণকেন্দ্র-ভিক্টোরিয়া রোডে অবস্থিত পৌরসভার ক্যাপসুল মার্কেটের পশ্চিম পাশের পার্কিংয়ের জায়গায় পৌরসভার একশ্রেণীর কর্মচারীদের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ফুচকা-চটপটি ও ফাস্টফুডের দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ দোকান পরিচালনা করে আসছিল একটি চক্র। ফলে প্রচন্ড রকমের ব্যস্ত ভিক্টোরিয়া রোডের এই অংশে সব সময় যানজট লেগেই থাকতো।

এছাড়া ক্যাপসুল মার্কেটের সামনে অবস্থিত টাউন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের বিদ্যালয়ে যাতায়াতে প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে আসছিল। ফলে বেশ কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রচারিত হওয়ার ফলে জনমত তৈরি হয়। বুধবার জেলা প্রসাশন, পৌর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এই উচ্ছেদ অভিযানের‌ ফলে পৌরবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০২:১৪:এএম ৪ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে ২৮ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ২৮ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. নুর আলমকে (৪৯) প্রায় ২৮ বছর পর গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন বন্দর থানার গোরস্থান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃত নুর আলম টাঙ্গাইল পৌরসভার ভাল্লুককান্দি এলাকার ফজলুল হকের ছেলে।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর থানার এসআই মো. সোহেল জানান, ১৯৯৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর পৌরসভার বেবিস্ট্যান্ড এলাকার মো. রফিককে তুলে নিয়ে যমুনা নদীর চরে গলাটিপে হত্যা করা হয়। পরে নিহত রফিকের বাবা আরশাব আলী বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় সদর থানার পৌরসভার ভাল্লুককান্দি এলাকার ফজলুল হকের ছেলে মো. নুর আলম ও একই এলাকার মাহতাবের ছেলে লতিফকে অভিযুক্ত করা হয়।

তিনি আরও জানান, শুনানী শেষে ১৯৯৫ সালে টাঙ্গাইলের সেশন জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল কুদ্দছ রায়ে দু’জন আসামিকেই যাবজ্জীবন স্বশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। রায়ের পর থেকে আসামি মো. নুর আলম ও লতিফ পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে বিভিন্ন স্থানে নানা নাম-পরিচয় ব্যবহার করে বসবাস করছিলেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জানান, দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর পর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. নুর আলমকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই মামলায় পলাতক আসামি লতিফকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০২:০২:এএম ১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করলেন ৭৭ বছরের আ’লীগ নেতা! - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে বিয়ে করলেন ৭৭ বছরের আ’লীগ নেতা!

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে অসহায় পরিবারকে ফাঁদে ফেলে স্কুলছাত্রীকে (১৪) বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ইউপি) হযরত আলী মিয়ার (৭৭) বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান চলাকালে কৌশলে ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে যান হযরত আলী মিয়া। সপ্তাহ গড়িয়ে গেলেও খোঁজ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে ভুক্তভোগী পরিবার। কিশোরীকে বিয়ে করার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হযরত আলীর বিরুদ্ধে ধনবাড়ী থানাসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগী পরিবার।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, নবম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোরীর পরিবার ও হযরত আলী একই ইউনিয়নের বাসিন্দা। পরিবারটি দরিদ্র হওয়ায় ওই বাড়িতে বিভিন্ন সহযোগিতা করার সুযোগে যাওয়া-আসা করতেন হযরত আলী। পরে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

কিশোরীর বাবা বলেন, আমরা গরিব হওয়ায় সহযোগিতার কথা বলে হযরত আলী আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। তাকে সরল মনে বিশ্বাস করতাম। মেয়েকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করেছেন। এতেই ক্ষান্ত হননি, অভিযোগ তুলে নিতেও হুমকি দিচ্ছেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (ইউপি) মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব ওই কিশোরীকে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বয়স এফিডেভিট করে বিয়ে করেছেন, এমনটা শুনেছি।

তবে অভিযুক্ত হযরত আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ওই কিশোরী স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার প্রথম স্ত্রী রয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। তবে এমন কাণ্ডে বিচার হওয়া দরকার বলে মনে করছেন বিভিন্ন সচেতন মহল।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০২:২৫:এএম ১ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।