/ হোম / আমাদের
টাঙ্গাইলে বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, বাসে আগুন  - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, বাসে আগুন 

আরমান কবীরঃ: টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাসচাপায় জিহাদ (২২) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা একই পরিবহণের আরেকটি বাসে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাতে উপজেলার গোলাবাড়ীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত জিহাদ উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নের লোকদের গ্রামের জাকের আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জিহাদ তার অসুস্থ মামাকে দেখতে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে মধুপুর হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয়। পথিমধ্যে গোলাবাড়ি এলাকায় পৌঁছলে ঢাকা থেকে আসা ধনবাড়ীগামী বিনিময় পরিবহণের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়।

পরে খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা সড়কে নেমে পড়েন। পরবর্তীতে একই পরিবহণের বিনিময় বাসে বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এমরানুল কবির বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।’

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. নভেম্বর ২০২৫ ০৫:১৮:পিএম ২ দিন আগে
আমি নির্বাচিত হলে চরাঞ্চলের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করবো – সুলতান সালাউদ্দিন টুকু - Ekotar Kantho

আমি নির্বাচিত হলে চরাঞ্চলের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করবো – সুলতান সালাউদ্দিন টুকু

সাহান হাসানঃ কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের সাথে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, কিন্তু কোন লাভ হবে না। আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে যদি আমি নির্বাচিত হতে পারি, তবে বৃহত্তর এই চরাঞ্চলের ভাগ্যোন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করবো, ইনশাল্লাহ।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মাহমুদনগর গোলচত্বর এলাকায় ১২নং মাহমুদনগর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের ভোটে আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি, সর্বপ্রথম আপনাদের বহুল কাঙ্ক্ষিত ধলেশ্বরী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাতে চরাঞ্চলবাসীকে আর ভোগান্তির শিকার হতে না হয়। পাশাপাশি নদীভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী একটি বেরিবাঁধ নির্মাণ করা হবে, যাতে মানুষ নিরাপদে বসবাস করতে পারে। টাঙ্গাইল সদরকে একটি আধুনিক মডেল টাউনে রূপান্তর করা হবে—যেখানে সন্ত্রাস ও দুর্নীতির কোনো স্থান থাকবে না। সন্ত্রাসমুক্ত আধুনিক টাঙ্গাইল গড়ে তুলতে কাজ করবো।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন তীব্র আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, কারাবরণ করেছেন; তবুও কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। তাই তাকে আপসহীন নেত্রী বলা হয়।
আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানের কথাও গর্ব করে বলি, কারণ তিনি কখনোই জনগণের বিপক্ষে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে—এমন কোনো পদক্ষেপও তিনি নেননি।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ১২নং মাহমুদনগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আজগর আলী, সিনিয়র যুগ্ন-সম্পাদক এডভোকেট আজিম উদ্দিন বিপ্লব, জেলা মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মমতাজ করিম, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক দুর্জয় হোড় শুভ প্রমুখ।

মতবিনিময় সভা শেষে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে স্প্রে মেশিন বিতরণ করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৭. নভেম্বর ২০২৫ ০২:৪৩:এএম ৩ দিন আগে
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন - Ekotar Kantho

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে আগুন

আরমান কবীরঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাঐখোলা এলাকায় চলন্ত একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘বাংলা স্টার’ নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ঢাকা থেকে পাবনার উদ্দেশে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দুর্বৃত্তরা চলন্ত অবস্থায় বাসটিতে আগুন দেয়। এ সময় যাত্রীরা দ্রুত বাস থেকে নেমে প্রাণে রক্ষা পান। খবর পেয়ে টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এস এম হুমায়ূন কার্ণায়েন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। সৌভাগ্যক্রমে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

গোড়াই হাইওয়ে থানার (ওসি) মো: সোহেল সারোয়ার বলেন, বাঐখোলা এলাকায় দুর্ঘটনার কারণে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজট ছিল। এ সময় স্টার গাড়ির ভিতর পেছনের অংশে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৩. নভেম্বর ২০২৫ ০৬:০৯:পিএম ৫ দিন আগে
টাঙ্গাইলে নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় ভাঙচুর: বিএনপি’র ১২০ নেতাকর্মীর নামে মামলা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় ভাঙচুর: বিএনপি’র ১২০ নেতাকর্মীর নামে মামলা

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও কর্মকর্তাদের মারধরের ঘটনায় বিএনপির ১২০ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে।

সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকালে গোপালপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।

মামলায় গোপালপুর উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত আলী, পৌর বিএনপি’র সভাপতি খালিদ হাসান উত্থান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিটন, যুগ্ম সম্পাদক মহির উদ্দিন, যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম এবং পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মো. তুহিনের নাম উল্লেখ মামলা করা হয়েছে। বাকিরা অজ্ঞাত পরিচয়।

মামলায় বলা হয়েছে, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খালিদ হাসান ও কাজী লিয়াকতের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। তাদের কি সেবা দিতে হবে জানতে চাইলে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, ‘তোরা আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেছিস’। পরে তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়।

প্রতিবাদ করলে নির্বাচন কর্মকর্তার ওপর হামলা ও কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় কয়েকজন মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাদের ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গালিগালাজ করা হয়। হামলায় অন্তত ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু রায়হান, ডাটা এট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনসহ বেশ কয়েকজন আহত হন বলে মামলায় বলা হয়েছে।

ভাঙচুরের খবর পেয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেন বলেন, “আমরা শুধু ফেরাতে গিয়েছিলাম। কাউকে কোনো কিছু বলিনি। আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে আমাদের বেদম মারধর করা হয়েছে। “এখনো জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়নি, তার আগেই নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, “তারা (বিএনপি নেতারা) বিভিন্ন সময় কাজে আসেন। সোমবার এসেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ আওয়ামী লীগ ট্যাগ দেওয়া শুরু করেন। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি করছি।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন টাঙ্গাইল জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, “বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। তাদের কাছে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে নিরাপত্তার জোরদারের দাবি করেছি। “এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের শাস্তি দাবি করছি। জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন হামলা হবে, তা আমরা কখনও কল্পনাও করিনি।”

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “তাদের কোনো ভুল থাকলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে অবগত করতে পারত। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২. নভেম্বর ২০২৫ ০৫:১৭:এএম ৭ দিন আগে
টাঙ্গাইলে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সিএনজিতে আগুন, পুড়ে যাত্রীর মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সিএনজিতে আগুন, পুড়ে যাত্রীর মৃত্যু

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সিএনজির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে এক যাত্রী দগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের তারাবাড়ী এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, এলেঙ্গা-ভূঞাপুর আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে একই দিক থেকে একটি মাইক্রোবাস ও সিএনজি চলছিল। পথিমধ্যে তারাবাড়ী এলাকায় পৌঁছালে মাইক্রোবাসটি পেছন দিক থেকে সিএনজিকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কার পরপরই সিএনজির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে সিএনজিতে আগুন ধরে যায়। এতে সিএনজিতে থাকা এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই পুড়ে মারা যান এবং চালক গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহত চালককে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আমজাদ হোসেন জানান, আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি এবং পুড়ে যাওয়া অজ্ঞাত মরদেহটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।

এ প্রসঙ্গে কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, “দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে মাইক্রোবাস ও এর চালককে আটক করা হয়েছে, গাড়িটি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

তিনি আরও জানান, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২. নভেম্বর ২০২৫ ০১:৩৩:এএম ৭ দিন আগে
টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে হামলা-ভাঙচুর, কর্মকর্তাসহ আহত ৩ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে হামলা-ভাঙচুর, কর্মকর্তাসহ আহত ৩

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর নির্বাচন অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এতে নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাসহ তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাচন অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ডেটা এন্টি অপারেটর আমজাদ হোসেন ও স্ক্যানিং অপারেটর সুমন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানা যায়, সোমবার সকালে হঠাৎ করে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী উপজেলা নির্বাচন অফিসে এসে নির্বাচন কর্মকর্তার ওপর হামলা করেন। পরে অফিসের আরো দুজন স্টাফকেও মারধর করা হয়। এ সময় নির্বাচন অফিস ভাঙচুর এবং অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।

গোপালপুর উপজেলা সহকারী নির্বাচন কর্মকর্তা আবু রায়হান বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন অফিসারসহ তিনজন আহত হয়েছেন। অফিসের কিছু দালাল চক্র সুবিধা করতে পারছিল না। এজন্য হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে তিনি জানান।

সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সরকারি অফিস ভাঙচুর ও সরকারি কর্মকর্তার শরীরে আঘাত করার কারণে একটি মামলা দায়ের করা হবে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কাজি লিয়াকত বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তা নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ভুক্তভোগীদের নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে গেলে তিনি চরম দুর্ব্যহার করেন। তবে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগটি মিথ্যা।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।সরকারি অফিস ভাঙচুর এবং কর্মকর্তাদের শরীরে আঘাত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. নভেম্বর ২০২৫ ০১:৪৫:এএম ১ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলের জামুর্কি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের জামুর্কি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের জামুর্কি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মো. ওমর আলী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সম্প্রতি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মস্তমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) থাকাকালীনও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগও রয়েছে। তার এই দুর্নীতির প্রতিবাদে ও তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে অভিভাবক ও স্থানীয় এলাকাবাসী।

জানা গেছে, ২০০৭ সালে জামুর্কি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক থাকাকালীন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে কোচিং করানোর নামে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে আদায় করেন ওমর আলী। তৎকালীন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. ওবায়দুল্লাহ বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে তাকে অন্যত্র বদলি ও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করার সুপারিশ করেন যাহার স্বারক নাম্বার – উশিঅ/মির্জা/তদন্ত/৪২১। পরবর্তীতে ওমর আলীকে প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়। সেখানেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তাকে একই উপজেলার ওয়ারর্শী ইউনিয়নের মস্তমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করা হয়।

পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকাকালীন ওমর আলী বহিরাগত কিছু লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ে হামলা চালায়। পরবর্তীতে পাকুল্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রোমেজ উদ্দীন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সুপারিশ ক্রমে মির্জাপুর থানায় ওমর আলীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন (যাহার নাম্বার -১৩২৯)।

এছাড়া মস্তমাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্বকালীন সময়ে ওমর আলী ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের ১০ তারিখে সহকারী শিক্ষক ইকলিমা আক্তার, নুরুল ইসলাম, নৈশপোহরী আমিনুল ইসলামকে ফোন করে বিদ্যালয়ে আসতে বলেন। তারা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হলে দেখতে পান প্রধান শিক্ষক ওমর আলী বিদ্যালয়ের দৈনিক হাজিরা খাতার দুটি হাজিরা পৃষ্ঠা ছিঁড়ে হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছেন। তারা এর প্রতিবাদ করলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেওয়া হয়। পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহ আলম তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা পেলে প্রধান শিক্ষক ওমর আলীসহ শিক্ষকদয়কে কৈফত তলব করেন। পরে ওমর আলী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ঢাকা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তিন বছর ৫ মাস চলার পর বাদির আরজির বক্তব্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রমাণিত হওয়ায় মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। অর্থাৎ মামলায় ওমর আলী হেরে যান। এছাড়া ওমর আলীর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের ৩ লক্ষ্য ২৫ হাজার টাকা আত্মসাতের বিষয়টি পরপর দু’জন তদন্ত অফিসারের তদন্তে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রাথমিক জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহাবুদ্দিন কর্তৃক বিভাগীয় মামলা দায়ের ও চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ( যাহার স্বারক নাম্বার -৩৮.০১.৯৩০০.০০০.২৭.০০১.২৫)।

জামুর্কি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য মনিরুজ্জামান মনির, বর্তমান এডহক কমিটির সদস্য মো. খোকন মিয়া, স্থানীয় রায়হান মিয়া জানান, বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) ওমর আলী বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও অনিয়মের সাথে জড়িত। তার কারণে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান অত্যন্ত নিম্নমানের হয়েছে। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে অনিহা প্রকাশ করছে। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি ওমর আলীকে সাময়িক বরখাস্ত নয়, প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হোক।

জামুর্কি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক মোঃ ওমর আলী জানান, ইতিমধ্যে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্ত হয়েছে। আমি তদন্ত কমিটির কাছে যথাযথ প্রমাণ দিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়।

জামুর্কি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি মো. মুছা রাহিম জানান, দরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষক ওমর আলীর দুর্নীতির শেষ নেই। এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি চাই উনি যেন এই বিদ্যালয়ে আর কোন দায়িত্ব পালন না করেন। তাকে যেখানে বদলী করা হয়, সেই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেই আবার অনিয়মের সাথে যুক্ত হয়। তাকে স্থায়ী ভাবে বরখাস্তের দাবি জানাচ্ছি।

টাঙ্গাইল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শাহাব উদ্দিন জানান, শিক্ষক ওমর আলীর বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. নভেম্বর ২০২৫ ০৫:৫২:পিএম ১ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিবেশক মালিক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি উজ্জ্বল, সম্পাদক আরিফ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিবেশক মালিক সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি উজ্জ্বল, সম্পাদক আরিফ

সাহান হাসানঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিবেশক মালিক সমিতির দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আবুল বাশার উজ্জ্বল সভাপতি ও সৈয়দ রাশিদুজ্জামান আরিফ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে শহরের মেইন রোডে অবস্থিত জেলা পরিবেশক মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে এ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

সাধারণ সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিবেশক মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা বীর‌ মুক্তিযোদ্ধা আরফান আলী খান।

সদর উপজেলা পরিবেশক মালিক সমিতির সভাপতি মীর শামীনুল ইসলাম শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা পরিবেশক মালিক সমিতির সভাপতি মো. শামীমুর রহমান শামীম, সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, মো. নরুল আলম, মো. আহ্সান খান আছু, আলহাজ্ব মীর মহব্বত হোসেন, মাহফুজুর রহমান (মামুন), সায়মন তালুকদার (রাজীব), বাবু দুলাল চন্দ্র সাহা, মো. শাহ্ আলম, আব্দুল আলিম সিদ্দিকী প্রমুখ।

সভার দ্বিতীয় পর্বে সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে আগামী দুই বছরের জন্য আবুল বাশার উজ্জ্বল সভাপতি ও সৈয়দ রাশিদুজ্জামান আরিফ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। এর আগে পূর্ববর্তী কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. নভেম্বর ২০২৫ ০৬:৪৮:পিএম ১ সপ্তাহ আগে
ইজারা বকেয়া কোটি টাকা, তালা ঝুললো এলেঙ্গা রিসোর্টে - Ekotar Kantho

ইজারা বকেয়া কোটি টাকা, তালা ঝুললো এলেঙ্গা রিসোর্টে

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীর এলেঙ্গায় অবস্থিত জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র ‘এলেঙ্গা রিসোর্টের’ বকেয়া ভাড়ার কারণে সিলগালা করেছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সায়েদা খানম লিজার নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে রিসোর্টটির কার্যক্রম বন্ধ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, এলেঙ্গা রিসোর্টটি দীর্ঘদিন ধরে সেতু কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন জমি ইজারা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক মাস ভাড়া পরিশোধ না করায় রিসোর্টটির বিরুদ্ধে বড় ধরনের অডিট আপত্তি ওঠে। একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরও রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বকেয়া পরিশোধে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।

সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, “রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার ভাড়া বকেয়া রেখেছে। আমাদের স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে বারবার নোটিশ দেওয়ার পরও তারা কোনো সাড়া দেয়নি। অডিট আপত্তির ভিত্তিতে সদর দপ্তরের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে আজ রিসোর্টটি সিলগালা করা হয়েছে।”

কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সায়েদা খানম লিজা বলেন, “এলেঙ্গা রিসোর্টটি মূলত বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন জমিতে প্রতিষ্ঠিত। কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য রিসোর্ট পরিচালনার উদ্দেশ্যে জমিটি ইজারা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার বকেয়া ইজারার অর্থ পরিশোধ না করায় সেতু কর্তৃপক্ষ একাধিকবার চিঠি ও নোটিশ প্রদান করলেও তারা তাতে সাড়া দেয়নি।

বকেয়া অর্থ পরিশোধ না করায় সেতু কর্তৃপক্ষের অডিট আপত্তি এবং আনুষ্ঠানিক আবেদনের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় রিসোর্টটির কার্যক্রম বন্ধ করে সেটি সিলগালা করা হয়েছে। পরবর্তীতে মালিকানা অনুযায়ী সেতু কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব জায়গা দখল বুঝে নেয়।”

অন্যদিকে, রিসোর্টে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ৫৪ জন কর্মী কাজ করেন এবং তাদের ছয় মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এক কর্মচারী বলেন, “আমরা কেউই জানতাম না রিসোর্ট বন্ধ হবে। এখন হাতে কোনো টাকা-পয়সা নেই। মালিক বিদেশে থাকেন, আমাদের বেতন কে দেবে বুঝতে পারছি না।”

স্থানীয়রা জানান, এলেঙ্গা উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হওয়ায় এখানে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ও যাত্রী অবস্থান করেন। ফলে এলেঙ্গা রিসোর্টটি ছিল একটি পরিচিত ও জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান। তবে বকেয়া পরিশোধ না করায় রিসোর্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. নভেম্বর ২০২৫ ০৩:২৪:এএম ২ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইল কালচারাল রিফর্মেশনের সভাপতি লাবুর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল কালচারাল রিফর্মেশনের সভাপতি লাবুর উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আরমান কবীরঃ কালচারাল রিফর্মেশন ফোরাম টাঙ্গাইলের সভাপতি ও জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা লাবুর উপর সন্ত্রাসী হামলা ও তাকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করেছে সংস্কৃতিক কর্মীরা।

বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপি এই মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আবুল কালাম মোস্তফা লাবুর উপর বর্বরোচিত হামলা একটি পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা। ৫ আগষ্ট ফ্যাসিষ্ট হাসিনার পতন হলে লাবু কালচারাল রিফর্মেশন ফোরাম ও হাসিনার ১৭ বছরের দুঃশাসন নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি তৈরির কাজ শুরু করেন। যা ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান। টাঙ্গাইলে এখনো বিভিন্ন পদে আওয়ামী দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। সঙ্গতঃ কারনে লাবুর উপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলা ও তাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তারা অবিলম্বে দোষিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

মানববন্ধন কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন, কালচারাল রিফর্মেশন ফোরামের সাধারন সম্পাদক অনিক রহমান বুলবুল, সহ-সভাপতি ফরহাদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত রিয়াজুল রিজু, টাঙ্গাইল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সস্পাদক মহব্বত হোসেন, সংস্কৃতিক কর্মী সুলতানা বিলকিস লতা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন টাঙ্গাইল শাখার সভাপতি ফাতেমা রহমান বিথি প্রমুখ।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. নভেম্বর ২০২৫ ০২:২১:এএম ২ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে মথ বীজকে রং করে মুগ ডাল বলে বিক্রি, লাখ টাকা জরিমানা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মথ বীজকে রং করে মুগ ডাল বলে বিক্রি, লাখ টাকা জরিমানা

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে মথ বীজকে রং করে মুগ ডাল বলে বিক্রির অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে শহরের ছয়আনী বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন মিয়ার যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান চালানো হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, টাঙ্গাইলের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন জেলা থেকে রং মেশানো মথ বীজ এনে মুগ ডাল বলে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে আসছেন। এ অভিযোগ পেয়ে শহরের ছয়আনী বাজারে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের প্রমাণও পেয়েছি। পরে যৌথভাবে দুই ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও যে ডাল বিক্রি করা হয়েছে, তা ফেরত এনে যেখান থেকে কেনা হয়েছে, সেখানে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফেরত দিয়ে মেমো দেখাতে বলা হয়েছে ব্যবসায়ীদের। অন্যথায় আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো, নকল ও ভেজাল খাদ্য বিক্রি না করতে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে এসময়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. নভেম্বর ২০২৫ ০২:১৯:এএম ২ সপ্তাহ আগে
টাঙ্গাইলে যৌথবাহিনীর অভিযান,পরদিনই কান্দাপাড়ায় মাদকের রমরমা ব্যবসা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে যৌথবাহিনীর অভিযান,পরদিনই কান্দাপাড়ায় মাদকের রমরমা ব্যবসা

আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল শহরের বেবিস্ট্যান্ড কান্দাপাড়া এলাকায় যৌথবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযানের ২৪ ঘন্টা না পেরোতেই আবারও আগের মতই শুরু হয়েছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। এদিকে মাদকবিরোধী অভিযানের পর থেকেই পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু হওয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের যোগসাজশেই চলছে এই অবাধ মাদকের ব্যবসা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কান্দাপাড়া এলাকার “সোসাইটি ফর সোশ্যাল সার্ভিস পৌর আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের” প্রধান ফটকের কাছে প্রকাশ্যেই মাদক কেনাবেচা হচ্ছে। এখানে মোছা. সীমা, অনিতা রবিদাস ও লতা রবিদাসসহ আরও অনেকেই নিষিদ্ধ মাদক হিরোইন ও ইয়াবা বিক্রি করছে।

শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবকেরা মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহনে এসে এখান থেকে প্রকাশ্যেই মাদক ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিভিন্ন স্পটে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এইসব নিষিদ্ধ মাদক।

পাশের লিটন রবিদাস, রুনিয়া রবিদাস, চুতিয়া রবিদাস, দিপালি রবিদাসের বাসায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে চোলাই মদ, বাংলা মদ, কেরু এন্ড কোম্পানির বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ। এখানে দেখা মিলছে সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষদের। বিশেষ করে রিকশাচালক, অটোরিকশা চালক, সিএনজি চালকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। এছাড়া শহরের উঠতি বয়সী বেশ কয়েকজন যুবকের মদ খেয়ে মাতলামি করতে দেখা গেল প্রকাশ্যেই।

স্থানীয় প্রবীণ বাসিন্দা ও দিঘুলিয়া সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হাজী ওমর ফারুক, স্থানীয় বাসিন্দা হাজী বাদশা মিয়া, মো. কবির হোসেন, মজিবুর রহমান, ব্যবসায়ী ববিতা আক্তার জানান, এই এলাকায় ভোর ৪টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য প্রকাশ্যে বিক্রি করা হয়। এছাড়া এসব মাদকসেবীরা এলাকার বিভিন্ন দোকানে দিন-রাত আড্ডা দেয়। ফলে আমাদের ছেলে সন্তান দিন দিন বিপথে চলে যাচ্ছে। এলাকার মহিলা, শিশু-কিশোরসহ এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়ে। এইসম মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে প্রশাসনের যোগসাজশ রয়েছে। ফলে এলাকাবাসী বারবার বাধা দেওয়া সত্ত্বেও কোন ভাবেই এই মাদক বিক্রি বন্ধ করা যাচ্ছে না।

তারা আরও জানান, বিশেষ করে, একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি অত্যন্ত গহিত কাজ। আমরা এলাকাবাসী অবিলম্বে এই মাদকবিক্রি ও মাদক ব্যবসায়ীদের এলাকা থেকে উচ্ছেদের জোর দাবি জানাচ্ছি। এসব মাদক ব্যবসায়ীদের দ্রুত উচ্ছেদ না করা হলে স্থানীয় যুবসমাজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে পৌঁছাবে।

টাঙ্গাইল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মো. ছাইফুর রহমান জানান, যেখানে মাদক থাকবে সেখানেই অভিযান চলবে। এরই অংশ হিসেবে সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে শহরের কান্দাপাড়া এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হয়। এতে বেশ কয়েকজন মাদকসেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া ৩ হাজার লিটার চোলাই মদ তৈরির উপকরণ ও ১০ লিটার চোলাই মদ ধ্বংস করা হয়। এসময় পাঁচ পুরিয়া হেরোইনও জব্দ করা হয়। মাদক রাখার দায়ে লাছিয়া রবিদাসকে গ্রেপ্তার ও টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, সোমবার রাতে টাঙ্গাইল শহরের কান্দাপাড়া এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, র‍‍্যাব, পুলিশসহ যৌথবাহিনীর একটি দল মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। এতে বিপুল পরিমাণ দেশিও চোলাই মদসহ ৬ জন মাদকসেবীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও একজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. নভেম্বর ২০২৫ ০৪:৪৫:পিএম ২ সপ্তাহ আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।