 
	
					
				আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন জেলা ব্যবসায়ী ঐক্যজোট ও কালচারাল রিফর্মেশন ফোরাম টাঙ্গাইলের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা লাবু(৬০)।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের হোটেল আপ্যায়নের সামনে ভিক্টোরিয়া রোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার রাতে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহনের শোকসভা থেকে ফেরার পথে ব্যবসায়ী লাবুর ওপর ছয়জন সন্ত্রাসী রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
আত্মরক্ষার জন্য হাতে থাকা ছাতা ব্যবহার করলেও তিনি হামলা থেকে রক্ষা পাননি। হামলাকারীদের কোপে তার ডান হাতে কবজির নিচে এবং পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। রাম দায়ের কোপের আঘাতে তার ডান হাতের হাড় ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গুরুতর আহত আবুল কালাম মোস্তফা লাবু জানান, তাকে পূর্ব থেকেই অনুসরণ করা হচ্ছিল। ঘটনার সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল ফলে রাস্তাঘাট ফাঁকা ছিল এই সুযোগে ৬ জন সন্ত্রাসী তার উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। তার হাতে থাকা ছাতা দিয়ে তিনি হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করেন। পরে তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, পূর্বের একটি ঘটনার জের ধরেই এই হামলার ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। এই বিষয়ে তিনি সুস্থ হলে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহম্মেদ জানান, এই ঘটনায় কেউ থানায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
 
	
					
				আরমান কবীরঃ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শহীদ আব্দুর রউফের ২১তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল,স্মরণসভা ও গণভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ( ২৮ অক্টোবর) রাতে শহীদ আব্দুর রউফ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে পার দিঘুলিয়ায় শহীদ রৌফের বাসভবনের সামনে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
সাবেক ছাত্রদল নেতা আকিবুর রহমান ইকবালের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক, শহর বিএনপির সদস্য নুরুল ইসলাম ভিপি প্রমুখ।
এর পূর্বে দুপুরে শহীদ রউফের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে পার দিঘুলিয়া শহীদ রউফের বাসায় সামনে দোয়া মাহফিল ও গণভোজের আয়োজন করা হয়।
এই দোয়া মাহফিল ও গণভোজে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট আলী ইমাম তপন, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, সদর উপজেলার বিএনপি’র সহ-সভাপতি হাদিউজ্জামান সোহেল , শহর বিএনপির সহ-সভাপতি শাহিন আকন্দ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ভিপি মনির প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
 
	
					
				আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের নামদার কুমিল্লি গ্রামের যুবক সোহাগ প্রেমের দায়ে ৪ মাস যাবত কারাভোগের শিকার।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নামদার কুমুল্লি বাজারে সোহাগের মুক্তির দাবিতে গ্রামবাসীর উদ্যোগে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়।
মানবন্ধন বক্তব্য রাখেন-গ্রামের হৈতষী মাতাব্বর হাফিজ উদ্দিন ভুইয়া,খলিলুর রহমান,আশরাফ আলী মিঞা, মজিবর রহমান মিঞা,আবুল কালাম আজাদ,মো. জাহিদ মিয়া ও ফরিদ মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কুমিল্লি গ্রামের মো. লোমান মিয়ার মেয়ে নাফিজা আক্তার লুবনার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে একই গ্রামের সোহাগের সাথে। সেই সুবাদে লুবনা প্রেমিক সোহাগদের বাড়িতে গত দুই বছরে চারবার উঠে পড়েন। পর্যায়ক্রমে স্থানীয় মাতাব্বরগন লুবনাকে বুঝিয়ে তার বাবার কাছে রেখে আসেন। সম্প্রতি ফের লুবনা সোহাগের কাছে চলে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লুবনার পিতা লোমান মিয়া সোহাগকে আসামী করে অপহরণের মামলা দায়ের করেন। যাহার নাম্বার নারী শিশু ১৫৭/২৫ । ওই মামলায় গত ৪ মাস যাবত সোহাগ টাঙ্গাইল জেল হাজতে আটক আছেন।
তারা আরও বলেন, মেয়ের বাবা ধনাঢ্য ব্যক্তি হওয়ায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও তৃতীয় পক্ষের যোগসাজসে প্রেম গঠিত বিষয় গোপন রেখে সোহাগের নামে অপহরণ মামলা দিয়েছে। সেই মামলায় সোহাগের মুক্তি দাবি করছি। মুক্তি না দিলে পুনরায় কঠোর কর্মসুচির দেওয়া হবে বলে মানববন্ধ থেকে বক্তারা জানায়।
মানববন্ধনে সোহাগের পিতা সহিদুল ইসলাম ও মাতা সুর্য ভানু কান্না বিজরিত কণ্ঠে ছেলের মুক্তির দাবি জানায়।
মানবন্ধন শেষে নামদার কুমুল্লি বাজার এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে তিন শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ গ্রহণ করে।
 
	
					
				আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মহিউদ্দিন আহমেদ বুলবুলকে (৪৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর দুপুরে বিদ্যালয়ের ২নং শ্রেণিকক্ষে ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক বুলবুল তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিজের কাছে ডেকে প্রথমে তার হাত ধরেন এবং পরে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ছাত্রীটি প্রথমে ভয় ও লজ্জার কারণে বিষয়টি গোপন রাখলেও বাড়ি ফিরে তার ফুফু ও চাচীর কাছে সব খুলে বলে।
ঘটনার পর গত ৯ অক্টোবর বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীসহ ১০৮ জন স্বাক্ষর করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য।
এঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বাবা জানান, আমি প্রথমে বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন, আমি তাতেই সন্তুষ্ট ছিলাম। তবে পরবর্তীতে আইনগত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি। তিনি পরে ২২ অক্টোবর রাতে কালিহাতী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, ঘটনার পর স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্ত শিক্ষক মহিউদ্দিন আহমেদ বুলবুলকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
 
	
					
				আরমান কবীরঃ দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই উদ্ধার এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের বিখ্যাত গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পার্ক বাজার সংলগ্ন গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানটি পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।
তিনি জানান, দোকানে থাকা দইয়ের উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ না থাকা, বেশ কিছু পরিমাণ পচে যাওয়া দই দোকানে সংরক্ষণ করা এবং মিষ্টান্ন তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল পাওয়ার দায়ে টাঙ্গাইলের গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে, আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবেন।
অভিযানে পৌর স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে গৌর ঘোষ দধি ও মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী স্বপ্নন কুমার ঘোষ জানান, সাধারণত তিনি খুচরা ভাবে দধি বিক্রি করে থাকেন। ফলে তৈরিকৃত দধিতে উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে এখন থেকে দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত পচে যাওয়া দধিগুলো ফেলে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। এছাড়া যে মিষ্টি তৈরীর বড় কড়াইয়ে টিকটিকির মল হাওয়া গেছে, সেটি বর্তমানে মিষ্টি তৈরীর কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে না। আমরা সবসময় চেষ্টাকরি গ্রাহককে সর্বোচ্চ মানের দধি ও মিষ্টান্ন সরবরাহ করার।
 
	
					
				আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া বাজারে এক স্বর্ণকারকে কুপিয়ে তার কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের করটিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্বর্ণকার বিপ্লব কর্মকার (৫০) দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় প্রাইভেটকার নিয়ে চারজন এসে হঠাৎ ধারালো চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে জখম করে। হামলাকারীরা বিপ্লবের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নেয়।
তারা জানায়, ঘটনাস্থল ত্যাগের আগে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য দুটি পটকা বিস্ফোরণ করে পালিয়ে যায়।
আহত বিপ্লবকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছে এবং অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। করটিয়া বাজার এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, তারা ঘটনা তদন্ত করছেন এবং দুর্বৃত্তদের ধরতে অভিযান চলছে।
 
	
					
				আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে শিশু ছাত্রকে বলাৎকার করার দায়ে মাদ্রাসা শিক্ষককে পাঁচ বছর কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার(১৫ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ কামরুজ্জামান এই রায় দেন।
দন্ডিত ব্যক্তির নাম মোঃ হাফিজুল ইসলাম(৩৬)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বেলটিয়া গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে। সে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থান দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক ছিলেন।
মামলার রায়ে তাঁকে কারাদন্ড ছাড়াও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশে দেওয়া হয়েছে।
এই মামলার রাষ্ট পক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি খন্দকার মোঃ রোকনুজ্জামান জানান, দন্ডিত মোঃ হাফিজুল ইসলাম ২০১৯ সালের ২৩ মে থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত তাঁর মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেনীর এক আবাসিক ছাত্রকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলাৎকার করেন। এক পর্যায়ে ওই ছাত্র মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাসায় চলে যায়। পরে বাবা মায়ের কাছে বলাৎকারের কথা খুলে বলেন। পরে ওই ছাত্রের বাবা বাদি হয়ে ২০১৯ সালের ২০ আগস্ট টাঙ্গাইল সদর থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ওই বছর ৩০ সেপ্টেম্বর সদর থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ মনির আহমেদ হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে বুধবার আদালত রায় দেন।
তিনি আরও জানান,রায় ঘোষনার সময় হাফিজুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মামলা দায়েরের পরেই হাফিজুল ইসলামকে পুলিশ গ্রপ্তার করেছিল। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। মামালা দায়েরের পরেই তাকে মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়।
 
	
					
				আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের এলংজানি নদী থেকে রবি দাস(৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে পোড়াবাড়ি ইউনিয়নের খারজানা গ্রামের নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।পরে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সন্তোষ কাগমারী ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, প্রাথমিক সুরতহালে রবিদাসের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
নিহত যুবকের নাম জীবন রবি দাস। সে জেলার ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের মৃত রংলাল রবি দাসের ছেলে। সে পেশায় মুচি ছিল বলে জানা গেছে।
পোড়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদাত হোসেন জানান, সোমবার রাতে পোড়াবাড়ী খেয়া ঘাটের সামনে দিয়ে মরদেহটি ভেসে যেতে দেখে স্থানীয়রা তাকে খবর দেয়। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে মরদেহটি ভেসে পাশের সিলিমপুর ইউনিয়নের বরুহা ব্রিজের কাছে চলে যায়। পরে মরদেহটি ইউনিয়নের খারজানা গ্রামের কাছে আনা হয়।
তিনি আরও জানান, পরে সন্তোষ কাগমারী ফাঁড়ির পুলিশকে খবর দিলে তাঁরা এসে মরদেহটি নদী থেকে উদ্ধার করে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহম্মেদ জানান, স্থানীয় ভাবে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে তার নাম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে, মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
তিনি আরও জানান, থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
 
	
					
				আরমান কবীরঃ পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মিজানুর রহমান মিজান কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া বাসাইল উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি উপজেলার কাশিল ইউনিয়নের নাকাছিম গ্রামের বাসিন্দা। যুবলীগ নেতা হলেও তার বিরুদ্ধে ট্রেন্ডারবাজি, জমি দখল বা কোথাও চাঁদা তোলার অভিযোগ শোনা যায়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় চার মাস আগে বাসাইল থানা পুলিশ উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে নাকাছিম এলাকা থেকে আটক করে। পরে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। আদালতে পাঠানোর পর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর মিজান অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেসময় তাকে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরদিন তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। মিজান দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে ভূগছিলেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জজ আদালতে তার জামিন শুনানি ছিল। সেসময় গুরুতর অসুস্থজনিত বিভিন্ন কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়। কিন্তু আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবি মিজানের অসুস্থজনিত বিষয়টি সামনে এনে জামিনের জন্য জোর দাবি জানালেও কাজ হয়নি। আগামী ৭ অক্টোবর তার পরবর্তী জামিন শুনানির তারিখ ধার্য ছিল।
টাঙ্গাইল কারাগারের জেল সুপার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কিছুদিন আগে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি এখনও জানতে পারিনি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পর থেকে তিনি কেরানীগঞ্জের অধিনে রয়েছে।’
 
	
					
				আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় শাহীন নামে এক কিশোরের রহস্য জনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাতে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত শাহীন (১৭) উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের জোয়াইর গ্রামের প্রবাসী আব্দুল্লাহর ছেলে। সে মায়ের সঙ্গে নানা বাড়ি জোয়াইর গ্রামে বসবাস করতেন। নিহতের পরিবারের দাবি তাকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত অটো রাইস মিল এলাকায় ক্রিকেট খেলার কথা বলে শাহীনকে ডেকে নেয় আজিজ নামের এক তরুণ। সেখানে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় একই গ্রামের আয়নালের ছেলে দেলুয়ারের সঙ্গে। একপর্যায়ে বিষয়টি সংঘর্ষে রূপ নিলে গুরুতর আহত হয় শাহীন। পরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতেমা আক্তার জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহীন নামের এক রোগী আসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় ইঁদুরের বিষসহ একটি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ও একটি অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছে সে। তারা ট্রমা ওয়াশের মাধ্যমে বিষ বের করার চেষ্টা করেন, কিন্তু সে পাইপ কেটে ফেলে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে তার গলায় খামছানোর দাগও লক্ষ্য করেছি।
নিহতের মামী অভিযোগ করে বলেন, শাহীনকে ডেকে নিয়ে মারধর করে মেরে ফেলা হয়েছে। এরপর তাকে জোর করে বিষও খাওয়ানো হয়েছে। তারা খুব প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
তবে দেলুয়ারের দাদা করিম বিষয়টি ভিন্নভাবে তুলে ধরে বলেন, খেলা নিয়ে মারামারির ঘটনা জানার পরই আমি নাতিকে বকাঝকা করেছি। পরে শাহীনের বাড়িতে গিয়ে তাকে বুঝিয়ে এসেছি। রাতে শুনি সে নাকি বিষ খেয়েছে, এর বেশি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, নিহতের পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কিন্তু অপরপক্ষ বলছে কিশোর শাহীনের মৃত্যু হয়েছে বিষপানের ফলে। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, নিহত শাহীনের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ফলে এই মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের দেখা দিয়েছে।
 
	
					
				আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসি ইউনিয়নের খানুর বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধু খুশি খানুর বাড়ি এলাকার মো. ওসমান গনির ছেলে নাজমুল ইসলামের স্ত্রী। নিহতের বাবার বাড়ি খুলনায় বলে জানা গেছে।
নিহতের শশুর ওসমান গনি জানান, নিহত গৃহবধূর বাবার বাড়ি খুলনা। গত আড়াই বছর যাবৎ নাজমুলের সাথে তার বিয়ে হয়েছে। রবিবার সকালে ওসমান গনি জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন বাড়িতে তার ছেলের সাথে পুত্রবধু খুশির ঝগড়া হয়েছে। বাড়িতে আসার পর ছেলেকে বাড়িতে না পেয়ে পুত্রবধুকে ডাকাডাকি করলে সে ঘরের ভেতর থেকে সাড়া না দেয়ায় দরজা ভেঙে ফেলেন তিনি।
তিনি আরও জানান, এ সময় তার দেহ দড়িতে ঝুলছিল। নিজ হাতে সেখান থেকে নামিয়ে প্রাণ বাঁচাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম রেজাউল করিম জানান, আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 
	
					
				আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চুরির অভিযোগে সংঘবদ্ধ পিটুনিতে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার(১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়নের পা-ধুয়া চালা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. জহিরুল ইসলাম (৩১)। তিনি জেলার গোপালপুর পৌরসভা রামদেব বাড়ি এলাকার আব্দুর রশিদ মিয়ার ছেলে। নিহতের পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।
পুলিশ জহিরুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সখীপুর উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে চুরির ঘটনা ঘটছে। এতে স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত ছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে শ্রীপুর রাজনীতির মোড় গ্রামের বাবুল মিয়ার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চুরি করে পালানোর চেষ্টা করেন জহিরুল। অটোরিকশা নিয়ে পা-ধুয়া চালা গ্রামে গেলে উত্তেজিত জনতা ধাওয়া করে তাঁকে ধরে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মৃত্যুবরণ করে।
সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা জানান ‘এলাকাবাসীর সংঘবদ্ধ পিটুনিতে নিহত যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’