একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে যানজট নিরসনের জন্য কাজ করতে দেখা গেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে অবস্থান নিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন শিক্ষার্থীরা। কারও হাতে লাঠি, কারও মুখে বাঁশি। ট্রাফিক পুলিশের মতো ইশারা-ইঙ্গিতের মাধ্যমে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছেন তারা।
এদিকে, রাস্তায় পুলিশ প্রশাসনকে দেখা যায়নি। তবে সতর্কতা অবস্থায় দেখা গিয়েছে সেনাবাহিনীদের।
শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, আমরা সকাল থেকেই পুরাতন বাস স্ট্যান্ডে অবস্থান করি নিজ উদ্যোগে। যাতে যানজট না হয় সেদিকের খেয়াল রাখার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ।
শহীদ শাহেদ হাজারী ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাদাত তালুকদার বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে গোটা শহরে কোনো ট্রাফিক পুলিশ নেই। এ অবস্থায় শহরবাসীকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব বোধ থেকে আমরা সড়কে যানজট নিয়ন্ত্রণে নেমেছি। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে না আসা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা এই কাজ চালিয়ে যাবে।
পথচারী বছির উদ্দিন বলেন, দেশটি নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীনতার জন্য আমরা খুবই খুশি। দীর্ঘ ১৫ বছর অপেক্ষার পর এই দিনটি পেয়েছি। সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাস্তায় যানজট নিরসনের জন্য কাজ করছে এতেও আরও বেশি ভালো লাগছে।
তিনি আরও বলেন, নতুন উদ্যোগে নতুন উদ্যমে দেশটি এগিয়ে যাক বিগত দিনের মতো দিন আর যেন না আসে।
রিকশা চালক মোতালেব মিয়া বলেন, দেশটা নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। যাদের কারণে দেশ স্বাধীন হলো তারা আজ আবার ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে দেখে খুব ভালো লাগছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (৫ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর থেকে টাঙ্গাইলে লাখো জনতার ঢল নামে, বিভিন্ন জায়গায় আনন্দ উল্লাসসহ মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা যায়।
আরমান কবীরঃ সেনাবাহিনীর ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল মাসীহুর বলেছেন, আমরা সবাই মানুষ, বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নেই । হিন্দু, মুসলিম, খৃস্টান, বৌদ্ধ, পাহাড়ি সবাই আমরা এ দেশের মানুষ।
আমরা বুঝি যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। সেজন্য আমি আজকে সারাদিন ঘুরতে বের হয়েছি। আশা করছি,ধর্মীয় উপাসনালয়ে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না। এই জন্য জেলা পর্যাপ্ত টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন মন্দির ও ধর্মীয় উপাসনালয় পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, হাজার বছর ধরে এ দেশে আমরা থাকি। অত্যন্ত সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছি।
কোনোভাবে যেন কেউ কোনো সহিংসতা না করে সে দিকে সবার প্রতি অনুরোধ থাকবে। আমরা আশা করি, কেউ যেন কোনো উস্কানিমূলক কার্যক্রম না করে। সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ তারা যেন এই বিষয়ে সজাগ থাকে।
এসময় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বীন মোহাম্মদ আলীসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কন্ঠ:বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে সমবেদন জ্ঞাপন করেছেন টাঙ্গাইলের আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
শনিবার(৩ আগষ্ট )সন্ধ্যা ছয়টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত আড়াই ঘন্টা ব্যাপি শহরের ছয়আনী পুকুর পাড়ের চারপাশে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। কর্মসূচিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও হাজার হাজার সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকার পতনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না পর্যন্ত তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। দাবি আদায়ে আগামীকাল ৪ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনকারীদের ডাকা অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে দেশবাসির সহযোগিতা ও একাত্মতা কামনা করাসহ সকলকে আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
এর আগে শনিবার বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব চত্বর ও বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সমবেত হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেশ ব্যাপি ডাকা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রায় আধা ঘন্টা বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কের অবরোধ করে।
পরে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দেয়াল লিখন ও শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ করে আন্দোলনরতরা।
একতার কণ্ঠঃ গেটের তালা ভেঙে ক্যাম্পাসে ঢুকেছেন টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে শনিবার(৩ আগষ্ট )বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে জমায়েত হন কয়েকশ শিক্ষার্থী।
পরে প্রক্টর এসে শিক্ষার্থীদের জানান, বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছাড়া হল খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। তখন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গেটের তালা ভেঙে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন।
এরপর তারা ভিসির বাসভবনে গিয়ে তাকে স্মারকলিপি দেন এবং রবিবার (৪ আগষ্ট)দুপুর ১২টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো খুলে না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের হয়রানিমূলক আচরণের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে তাদের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতে হচ্ছে। এজন্য তারা তাদের নিরাপদস্থল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ফিরতে চায়। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে তাদের হল খুলের দেয়ার দাবি জানানো হয়। দাবি না মানলে তারাবিশ্ববিদ্যালয়ের হলে প্রবেশ করার জন্য কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও হঠাৎই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করায় উত্তপ্ত রয়েছে ক্যাম্পাস অঙ্গন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৮টা) ক্যাম্পাসের ভেতরেই শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে দেখা গেছে।
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উপাচার্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমি চাইলেই তো আর হল খুলে দিতে পারি না। তবে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি আমি যথাযথ কতৃপক্ষকে জানাব।’
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠেছে।
শনিবার (৩ আগষ্ট) বেলা ১১টায় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব চত্বর ও বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সমবেত হন প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেশব্যাপি ডাকা বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি হিসেবে টাঙ্গাইলে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এক দফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ পুলিশকে লক্ষ্য করে ‘ভুয়া ভুয়া’ সহ সরকার বিরোধী নানা স্লোগান দেওয়া হয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে।
প্রেসক্লাব চত্বরে সরকার পতনসহ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের হত্যাকারিদের বিচার দাবি করে বক্তব্য রাখেন মিছিলের সমন্বয়করা।
পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নিরালা মোড় হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় প্রেসক্লাব চত্বরে জমায়েত হন।
মিছিলে প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা অংশগ্রহণ করেন। শহরের কর্মসূচি শেষে দেশ ব্যাপি ডাকা অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দেওয়াল লিখন ও শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এ সময় রুপক, সনি, আমেনাসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, এখন আমাদের এক দাবি সরকার পতন। এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ। পতন ব্যতিত এই সরকারের কাছে আমাদের কোন দাবি নেই।
মিছিলে আসা এক অভিভাবক বলেন, সন্তানদের যৌক্তিক দাবি পূরণে আমিসহ অনেক অভিভাবক এসেছেন এই মিছিলে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আমরাও আছি। নীরবে আর সরকারের এত অত্যাচার সহ্য করা যায়না।
শনিবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হলেও কোনো ধরনের সহিংসতা ঘটনা এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দিন জানান, পুলিশ ধৈর্য সহকারে ও জান মালের নিরাপত্তা দিতে সতর্ক অবস্থায় দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, গণগ্রেপ্তার ও হত্যার প্রতিবাদে এবং নয় দফা দাবিতে টাঙ্গাইলে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কয়েক সহস্রাধিক বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর শহরের হেলিপ্যাড থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশ করে।
পরে নগরজলফৈ বাইপাসে গিয়ে একঘন্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মহাসড়কের উত্তরবঙ্গ ও ঢাকা যাওয়ার দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এতে দুই পাশে অন্তত ১৭ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।
এদিকে বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুরো শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ দোকানপাট। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তারা।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুদ্দিন জানান, পুলিশ অতি ধৈর্য সহকারে দায়িত্ব পালন করেছে। শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করে ফিরে গেছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহতদের স্মরণে গায়েবানা জানাজা আদায় করেছে টাঙ্গাইলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় নিহতদের স্মরণে বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের জেলা সদরে অবস্থিত হেলিপ্যাড এলাকায় গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় করটিয়া সা’দত কলেজের শিক্ষার্থী কামরুল ইসলাম গায়েবানা জানাজা নামাজের ইমামতি করেন। জানাজায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
একতার কণ্ঠঃ কোটা আন্দোলনের নামে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পদদলিত, বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাজপথে লাঞ্চিত-নির্যাতন, বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার মহা-ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড টাঙ্গাইল জেলা শাখার আয়োজনে এই সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে এসে একত্রিত হন।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীরপ্রতীকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের, সহ সভাপতি আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, যুগ্ম সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনির এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিলুর রহমান মিরন, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবুল কালাম আজাদ বীর বিক্রমসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোল চত্বর এলাকায় অবস্থান করে কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবরোধে বন্ধ রয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহন চলাচল। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু গোল চত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনের কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপরসহ মহাসড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে মহাসড়কে পরিবহন চলাচল না করায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রেখেছে সেতু কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কোটা পদ্ধতি সংস্কার আমাদের প্রাণের দাবি। যে পর্যন্ত সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা না হচ্ছে সে পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এছাড়া নিরীহ শিক্ষার্থীদের হত্যার বিচার দাবি করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে মহাসড়কের গোল চত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। তাদেরকে মহাসড়ক ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার বলা হচ্ছে। তবে তারা সড়ক ছাড়ছে না। এ কারণে মহাসড়কে পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাস ও সিএনজি সংঘর্ষে আনোয়ার হোসেন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন।
সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আনোয়ার হোসেন মির্জাপুর উপজেলার ঘৌহাতলী গ্রামের হাজী শুকুর মিয়ার ছেলে।
আহতরা হলেন- নিহতের স্ত্রী শাহনাজ বেগম (৫৫), নিহত আনোয়ারের ভাইয়ের বউ সেলিনা (৩৩), ভাইয়ের ছেলে সিফাত (৫), জামুরিয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে আবুল কালাম (৩৫)। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শেরপুর থেকে মধুপুরের দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী একটি সিএনজি। অপরদিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মহাখালী ট্রাভেলসের একটি বাস ধনবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে গোলাবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে বাস ও সিএনজির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে এ ঘটনায় টাঙ্গাইল ও ধনবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে স্থানীয়রা। এ সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাসটি মহাসড়কের ভাইঘাট এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ২০ কেজি গাঁজাসহ মজনু শেখ (৪০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার(১৩ জুলাই) রাতে উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের মুশুদ্দি পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মজনু শেখ ওই এলাকার আব্দুল বারেক শেখের ছেলে।
রবিবার (১৪ জুলাই) সকালে আদলতের মাধ্যমে তাকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ধনবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মুশুদ্দি পূর্বপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মজনুকে আটক করা হয়। পরে তার হেফাজতে থাকা ২০ কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান,এ ঘটনায় ধনবাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের পর মজনু শেখকে রবিবার(১৪ জুলাই) সকালে আদলতের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে
একতার কণ্ঠঃ ঢাকার মিরনজিল্লা সিটি হরিজন কলোনীতে হামলা ও মন্দির ভাংচুরের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১৩ জুলাই )বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শ্রী শ্রী বড় কালিবাড়ী মন্দিরের সামনে জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, পূজা উদযাপন পরিষদ, হরিজন ঐক্য পরিষদ ও নাগরিক সমাজের যৌথ উদ্যোগে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট খোরশেদ আলম, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সমরেশ চন্দ্র পাল, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক তমাল বিহারী দাস, দপ্তর সম্পাদক সুমন সরকার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুভাষ সরকার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার গুণ ঝন্টু, গালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাজকুমার সরকার, সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মুকুল সাহা, সাধারণ সম্পাদক লিটন সাহা, কেন্দ্রীয় যুব ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি স্বাধীন হরিজন, টাঙ্গাইল জেলা হরিজন ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুমন হরিজন, সাধারণ সম্পাদক রিপন হরিজন, হরিজন সম্প্রদায়ের নেতা সুমন হরিজন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।