একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শুভুল্যা ও গোড়াই ইউনিয়নের দেওহাটা এলাকাতে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শুভুল্যা নামক স্থানে রাস্তা পারাপারের সময় অজ্ঞাত (৬৫) এক ব্যক্তি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায়।
এদিকে, সকাল পৌনে ১১টার দিকে একই মহাসড়কের গোড়াই ইউনিয়নের দেওহাটা নামক স্থানে রাস্তা পারাপারের সময় সোনামুদ্দিন (৭০) নামে এক ব্যক্তি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যান। সোনামুদ্দিনের বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কোটবহুরিয়া গ্রামে।
এ ব্যাপারে গোড়াই হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিসুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার(ইউএনও )বদলীর আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন শেষে যাওয়ার পথে ছাত্রীদের ইভটিজিং ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫-৬ জন শিক্ষার্থী গুরুত্বর আহত হয়। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে ট্রাক শ্রমিকরা।
হামলায় গুরত্বর আহত শিক্ষার্থী আসমাউল হাসান সহ কয়কজনকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা ভূঁইয়াপুর ইবরাহীম খাঁ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।
পরে বিকেলে শিক্ষার্থীদের উপর শ্রমিদের হামলার ঘটনায় দুই শ্রমিককে এক বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি )আহসান উল্লাহ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদের রবিবার হঠাৎ বদলির আদেশ হয়। ইউএনও’র এই বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। পরে শিক্ষার্থীরা ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান কর্মসূচী পালন করে। এরপর তারা সড়ক থেকে সরে গিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচী শেষ করে শিক্ষার্থীরা বাড়ি ফেরার পথে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের উপর হামলা করে পরিবহন শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিকরা দুই জন ছাত্রীকে ইভটিজিং ও লাঞ্চিত এবং ছাত্রদের মারধর করে। এতে হামলায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
একতার কণ্ঠঃ: টাঙ্গাইলে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট ও জোটভুক্ত “বাকশিস,বাশিস,বামাশিস,বাকাশিস সহ অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিদের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোট ও বাকশিস টাঙ্গাইল জেলা শাখার আয়োজনে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজ মিলনায়তনে উক্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোট ও বাকশিস টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক এ,কে,এম আব্দুল আউয়াল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোঃ জাকির হোসেন, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সহ সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগণ।
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাদশা মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয় তাকে। এর আগে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে মির্জাপুর থানার পাশ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বাদশা মিয়া ওই ইউনিয়নের ডোকলাহাটী গ্রামের হাকিম মিয়ার ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি।
পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের সোহাগপাড়া এলাকায় গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় কলেজ ছাত্র ইমন (১৮)। এরপর দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। পরে নিহতের ভাই সুমন গত ২২ আগস্ট ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১০০ নম্বর আসামি বাদশা মিয়া।
নিহত ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন মণ্ডল বাড়ি এলাকার জুলহাস মিয়ার ছেলে। তিনি অলোয়া মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়েছিল।
এ মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছাড়াও সাবেক সাত সংসদ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মির্জাপুরের পাঁচজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও ১৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিবার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান।
তিনি বলেন, গণঅধিকার পরিষদ একটি তারুণ্য ও গণমানুষের দল। সারাদেশে ও দেশের বাইরে দলটির গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হলো সারাদেশে সাংগঠনিকভাবে ঐক্য তৈরি করা। সে লক্ষ্যে আমাদের সকল সহযোগী অঙ্গসংগঠনকে আরও গতিশীল করার জন্য ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের কাজ করে যাচ্ছি।
শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ডে গণঅধিকার পরিষদ উপজেলা শাখা’র উদ্যোগে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে ট্রাক প্রতীকে সদ্য নিবন্ধন প্রাপ্তিতে আনন্দ র্যালি ও আয়োজিত পথসভায় তিনি এসব কথা জানান।
শাকিল উজ্জামান বলেন, বিগত বিনা ভোটের আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ফ্যাসিবাদী কায়েম করেছিল। আমাদের সব পূর্ণতা থাকা সত্বেও তাদের গোয়েন্দা সংস্থাদের রিপোর্টে গণঅধিকার পরিষদের নিবন্ধন দেয়নি। ছাত্র-জনতা এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। জনগণের চাওয়ায় ট্রাক প্রতীকে নিবন্ধন পেয়েছি। গণঅধিকার পরিষদ এখন একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ডাকসুর সাবেক ভিপি ও দলের সভাপতি নূরুল হকের নেতৃত্বে যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে যেখানে অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদার ও বৈষম্য থাকবে সেখানে সবাইকে সাথে নিয়ে গণঅধিকারের নেতৃত্বে প্রতিহত করা হবে। এছাড়াও এই ছাত্র-জনতা ও তরুণদের নেতৃত্বে এই দুর্নীতি, লুটপাট ও দখলদারদের যেভাবে তাদের পতন ঘটিয়েছে আমরাও আগামীতে কোন দুর্নীতিবাজ, দখলদারদের এমন কর্মকাণ্ডের আর কোন সুযোগ দিবো না।
সাংবাদিকদের নির্ভয়ে কলম চালাতে আহবান জানিয়ে শাকিল আরও বলেন, যদি আগামীতে কোনো নব্য দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও দখলদারের চেষ্টা করে তাহলে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগকে যেভাবে হটিয়েছি সেইভাবে নব্য দখলদারকেও ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে আমরা পতন ঘটাবো। কেউ যদি দুর্নীতির চেষ্টা করে ও যারা এর সাথে জড়িত আপনারা গণভবনের চিত্র মনে রাখবেন, কিভাবে আমরা ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারকে গণভবন থেকে সরিয়েছি।
এ সময় গণ অধিকার পরিষদের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে চাচা ও ভাতিজাকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা ঘটেছে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা হামলাকারী তালেব (৩৫) নামের এক যুবককে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তাজমুল (৪২) নামের আরও একজন আহত হয়েছেন। তাকে পার্শ্ববর্তী মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ধুবড়িয়া ইউনিয়নের কাতার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ছাত্তার (৫০) ও আসাদুল (২৮)। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্তারের সঙ্গে একই গ্রামের তালেব মিয়ার কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তালেবের সঙ্গে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছাত্তারকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় তার ডাক-চিৎকারে ভাতিজা আসাদুল এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে তালেব। গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা ঘাতক তালেবকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসীম উদ্দিন বলেন, নিহত চাচা-ভাতিজার মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তালেবের লাশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। তার মরদেহ উদ্ধারে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে টাঙ্গাইলে নিহত স্কুল ছাত্র মারুফ হাসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে ছাত্র হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত এক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও করটিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা খালেকুজ্জামান চৌধুরী মজনুর বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কায়সারুল ইসলাম উপস্থিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু উপস্থিত শিক্ষার্থীরা মজনু চৌধুরীর গ্রেপ্তারের দাবি ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যানকে শহীদ মারুফের মা মোর্শেদা বেগমের উপস্থিতিতে বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রত্যাহার দাবি করে স্লোগান দিতে শুরু করে। এক পর্যায়ে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের জেলা প্রশাসক তার কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কাতুলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইকবাল হোসেন, পোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন, মগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোতালিব হোসেন, সিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সুজায়েদ হোসেন দ্রুত অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করে উপজেলা পরিষদে গিয়ে আশ্রয় নেন।
পরে দুপুরে ছাত্র-ছাত্রীরা জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে না গিয়ে কার্যালয়ের সামনে বসে পরে বিক্ষোভ করতে থাকে। সেখানে জেলা প্রশাসক উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের জানান, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে টাঙ্গাইল থেকে প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নেবে। কিন্তু উপস্থিত ছাত্ররা হাসান বিন মোহাম্মদ আলীকে সেখানে উপস্থিত হয়ে শহীদ মারুফের মা মোর্শেদা বেগমের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।
ছাত্র-ছাত্রীদের প্রচন্ড বিক্ষোভের মুখে প্রত্যাহারকৃত ইউএনও সেখানে উপস্থিত হয়ে মারুফের পরিবার ও উপস্থিত সকলের কাছে ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে ভুলটি করেননি। তার পরও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনায় তিনি নিঃশর্তভাবে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার জন্য তিনি একক ভাবে দায়ী। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসনের অন্য কেউ এই ঘটনার সাথে যুক্ত নয়। বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি ও তাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।
এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেশ কিছুসংখ্যক সদস্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
একতার কণ্ঠঃ আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টাঙ্গাইলে চলতি বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথম দিকে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে পাট আবাদ করতে সমস্যা হলেও মৌসুমের শেষ দিকে এসে বৃষ্টি হওয়ায় পাটের আবাদ বৃদ্ধি পায়। নিবিড় পরিচর্যা আর কৃষি অফিসের পরামর্শের কারণে পাটের তেমন কোনো রোগবালাই নেই। পাটের বাজারদর ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।
পাট চাষিরা বলছে, পাটের ভাল দাম পেতে শতভাগ পলিথিনের বস্তা পরিহারের পাশাপাশি দেশের সকল পাটকল চালু ও বিদেশে রপ্তানির উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।
টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দাম ভাল পাওয়ায় জেলায় প্রতিবছরই বাড়ছে সোনালী আঁশ চাষ। গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ১৯ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৫২ হাজার ৫৫৮ বেল উৎপাদন হয়েছে। চলতি মৌসুমে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ১৯ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ২ লাখ ৩০ হাজার ৬৯০ বেল পাট উৎপাদন হবে। চলতি বছরের পাট আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৯ হাজার ৬’শ হেক্টর। লক্ষমাত্রার চেয়ে ৫০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ বেশি হয়েছে। চলতি বছর জেলায় ৬ হাজার ২’শ জন কৃষককে এক কেজি করে পাটের বীজ বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার ১২টি উপজেলায় পাটের আবাদ করা হয়েছে। চাষিরা এখন ব্যস্ত জাগ দেওয়া পাটের আঁশ ছাড়াতে। বেশিরভাগ জমির পাটই কাটা শেষ হয়ে গেছে। এর অধিকাংশই জাগ দেওয়া হয়ে গেছে। অনেকে পাট থেকে আঁশ ছাড়াচ্ছেন। কেউ বা পাটশোলার আঁটি বেঁধে রোদে শুকাচ্ছেন। কেউ আবার পাট ভাঁজ করে রোদে মেলে দিচ্ছেন। পাট ও পাটশোলার বাজার দরও ভালো। মণ প্রতি সাড়ে তিন হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাটের আঁশ বিক্রি করে যেমন কৃষক টাকা পায় তেমনি পাটের কাঠি জ্বালানি হিসেবে, ঘরের বেড়া দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। ধীরে ধীরে আবার সোনালী আঁশের রাজত্ব ফিরে আসছে এ জেলাতে।
পাট চাষিরা জানান, দেশি, তোষা, কেনাফ, রবি-১ ও ভারতীয় বঙ্গবীর জাতের পাট সব থেকে বেশি আবাদ হয়। পাট অফিস ও কৃষি অফিস থেকে প্রায় প্রতিবছর পাটের বীজ ও সার বিনামূল্যে দেওয়া হয়। কিন্তু এই বীজ গুলো সময় মতো আমাদের কাছে পৌঁছায় না। এতে পাটের আবাদ ব্যাহত হয়। সময় মতো পাট বীজ হাতে পেলে আবাদ অনেক অংশে বৃদ্ধি পাবে।
দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের আগ দেউলী গ্রামের কৃষক শাহাদৎ হোসেন বলেন, পাট আবাদের প্রথম দিকে বৃষ্টি না থাকায় সেচ দিয়ে পাট বপণ করেছিলাম। যে পাট গুলো বীজ বপন করেছিলাম সেগুলো চার হাজার টাকা মণ বিক্রি করেছি। পরে পাট গুলো ৩৪০০ থেকে ৩৫০০ টাকা মণ বিক্রি করেছি। এখনো আমার কিছু পাট কাটা বাকি রয়েছে। সেগুলোর দাম কেমন পাবো এখনো বুঝা যাচ্ছে না। তবে পাটের যে ফলন হয়েছে এখন যে দাম রয়েছে তাতে আমরা অনেক খুশি।
একই গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, এবছর আমি ৪ বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছি। প্রতি বিঘায় সাত মণ ফলন হয়েছে। ৪ বিঘা জমির পাট ৩৪০০ টাকা মন হারে বিক্রি করে ৯৫ হাজার টাকা পেয়েছি। ৪ বিঘা জমির পাট আবাদ করতে আমার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এতে আমার ৫৫ হাজার টাকার উপরে লাভ হয়েছে।
কৃষক ছানোয়ার হোসেন বলেন, আমি ১০ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে পাট চাষ করেছিলাম। এতে তিন মণ পাট পেয়েছিলাম। প্রথমে যে বাছ পাট পেয়েছিলাম সেগুলো ২৪০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। পরের পাট ৩৮০০ টাকা মণ বিক্রি করেছি।
দেলদুয়ার উপজেলার ছিলিমপুর হাটের পাট ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে পাট কিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিল পার্টির কাছে বিক্রি করি। এছাড়া প্রতি শুক্রবার ছিলিমপুর হাটে কৃষকদের কাছ থেকে পাট কেনা হয়। হাটের দিনে প্রায় ৫’শ থেকে ৬’শ মণ পাট কেনাবেচা হয়। এ বছর ৩৫০০ থেকে ৩৮০০ টাকা মণ দরে পাট কিনছি। মণে ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে লাভ করে বিভিন্ন মিল পার্টির কাছে বিক্রি করি।
জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান খান জানান, পাট অধিদপ্তর থেকে চলতি বছর জেলার ১২টি উপজেলার ৩৬ হাজার কৃষককে এক কেজি পাট বীজ ও ১২ কেজি করে সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও তালিকাভুক্ত ৯’শ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
টাঙ্গাইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার দুলাল উদ্দিন বলেন, পাট চাষিদের সুদিন ফিরেছে। পাটের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার পাট চাষে ঝুঁকেছে কৃষক। পাট চাষ করে কৃষক এখন অনেক লাভবান হচ্ছেন। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
একতার কণ্ঠঃ বিএনপি’র অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আজম খানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহর বিএনপি’র ব্যানারে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- টাঙ্গাইল শহর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. ইজাজুল হক সবুজ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, টাঙ্গাইল শহর বিএনপি’র সভাপতি মো. মেহেদী হাসান আলী প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত মঙ্গলবার শহরের আদালত পাড়াস্থ একটি বাসায় কিছু দুষ্কৃতিকারী-চাঁদাবাজ টাঙ্গাইলকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনায় একত্রিত হয়। পরে তাদের চিহ্নিত করতে শহর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখানে যাই। এসময় তারা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আজম খানকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারনা চালানো হয়। আমাদের কেউ উক্ত বাসায় ভাংচুর কিংবা কারো সাথে কোন প্রকার খারাপ আচরণ করেনি। আমাদের নামে এবং ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অভিযোগ মিথ্যা। সেই সাথে বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে তা উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইল জেলা ও শহর বিএনপি’র বিভিন্ন পযার্য়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে নাগরপুর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগে সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম পশুপতি বিশ্বাস মামলাটি আমলে নিয়ে নাগরপুর থানাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এ মালেক আদনান।
মামলার বাদী মো. মনির হোসেন ঢাকার ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এর আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তিনি নাগরপুর উপজেলার কলমাইদ গ্রামের নুরু মল্লিকের ছেলে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালত থেকে জানানো হয়, বিচারক মামলাটি নাগরপুর থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আহসানুল ইসলাম টিটুর ভাই মজিবল হক পান্নাসহ ১২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই নাগরপুর কলেজ গেইট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও তার ভাই মজিবল হক পান্নার নির্দেশে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, দা-কুড়াল ও লাঠিসোঁটাসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়।
সেই সময় আসামিদের ছোড়া ফাঁকা গুলি এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এতে বাদীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।
আইনজীবী মালেক আদনান জানান, দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারাসহ দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করা হয়েছে। শুনানির দিন বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে মামলাটি নথিভুক্ত করতে নাগরপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের প্রি ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ হওয়া আবু সাঈদের ছবি দেয়ালে আর্ট করায় শিক্ষককে পায়ে ধরে উঠবস করা, অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগে পদত্যাগে বাধ্য হলেন প্রি ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ শাহানা বেগম।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্দোলনকারী শিক্ষক অভিভাবকদের চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
এর আগে গত পরশু স্কুলে একজন নারী অভিভাবক হিজাব পরে স্কুলে এলে তাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন অধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম। এ থেকেই শুরু হয় অভিভাবকদের আন্দোলন। ওই দিনই অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় স্কুলের শিক্ষকের অপমান অপদস্ত ও শহীদ আবু সাইদের ছবি অংকনকারী শিক্ষক মানববন্ধনে অংশ নেয়। এতে করে অধ্যক্ষ শাহানাজ ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন।
পরে আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসক বরাবর অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে একটি স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসক তদন্ত কমিটি করে সময় নেয়। সকালে অধ্যক্ষ স্কুলে আসায় আবার অভিভাবকরা আন্দোলন শুরু করেন। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি।
একতার কণ্ঠঃ প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের দায়ে টাঙ্গাইলের সন্তোষে অবস্থিত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয় এ তথ্য।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিশেষ ছাত্র সংগঠনের প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে গত ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ২৪৭তম জরুরি সভার অনুমোদনক্রমে ১৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। তাদের চলতি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাসহ সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সাময়িক বহিষ্কৃত ও ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত শিক্ষার্থীরা হলেন, ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইএসআরএম বিভাগের শিক্ষার্থী মানিক শীল, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির ও শাওন ঘোষ, সুজন মিয়া, নাইম রেজা, খালেকুজ্জামান নোমান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিক ইকবাল, রায়হান আহমেদ শান্ত ও আনোয়ার হোসেন অন্তর, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান মারুফ, শাখাওয়াত আহমেদ শুভ্র ও আব্দুল্লাহ সরকার উৎস, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান, রিফাত হোসেন, সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ রাজু, ইমরানুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রানা বাপ্পি ও যোবায়ের দৌলা রিয়ন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এআরএম সোলায়মান জানান, এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি পরে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় বিভিন্ন বিভাগের ওই ১৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করে।
তিনি আরও জানান, এটি সাময়িক ব্যবস্থা। প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে যথাসময়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।