একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উপলক্ষে টাঙ্গাইলে গাছের চারা বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(১৩ জুলাই )সকালে পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জেলা যুবলীগের উদ্যোগে এ চারা বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় বিভিন্ন জাতের ২ হাজার গাছের চারা বিতরণ করা হয়
অনুষ্ঠানে জেলা যুবলীগের সভাপতি মাসুদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈম তালুকদার বিপ্লব, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ সিকদার মানিক ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈম তালুকদার বিপ্লব বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে বিভিন্ন জাতের দুই হাজার চারা বিতরণ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাকে কু-প্রস্তাব ও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি নিয়ে উপজেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
কাজী জহুরুল ইসলাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই শিক্ষিকার পরিবারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেলে অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটিসহ শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওই বৈঠকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলাম শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি করার বিষয়টি স্বীকার করেন।
জানা যায়, উপজেলার অর্জুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলাম বিগত ২ বছর ধরে একই স্কুলের এক সহকারী শিক্ষিকাকে বিভিন্নভাবে অনৈতিক কাজের জন্য বারবার কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। পরে তার ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে ওই শিক্ষিকা আভ্যন্তরিণ ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন। পরে এক পর্যায়ে বিদ্যালয়ের অন্য সহকর্মীদের বিষয়টি জানানো হয়। পরে ঘটনার বর্ণনা শুনে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একত্রিত হয়ে মিমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এরপর ওই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের সামনেই ওই শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। বিষয়টি ওই শিক্ষিকার পরিবার পর্যায়ে যাওয়ার পর শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। পরবর্তিতে প্রতিকার চেয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে অভিযোগ জানান ওই ভুক্তভোগী শিক্ষিকা। শুধু ওই শিক্ষিকাই নয় তার আরও কয়েকজন শিক্ষিকাকে কু-প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অর্জুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম খান মাহবুব, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈবুর রহমান, নুরুল ইসলাম খান জোসনা এবং অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলাম, অভিযোগকারী শিক্ষিকাসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকরা। এ সময় প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলাম সবার সামনে নিজের দোষ স্বীকার করেন।
অজুনা মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষিকারা জানান, প্রধান শিক্ষক তার ক্ষমতা ব্যবহার করে নারী শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানি করে। তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে ওই শিক্ষিকার সাথে খারাপ আচরণ করেন জহুরুল ইসলাম। একই সাথে তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক হওয়ায় তার ভয়ে অনেকেই প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষিকাকে ওই প্রধান শিক্ষক গভীররাতে মোবাইলে বিভিন্ন ধরনের ম্যাসেস পাঠাতো। পরে বাধ্য হয়ে এক শিক্ষিকা তার বিরুদ্ধে ম্যানেজিং কমিটির বরাবর অভিযোগ দিয়েছে যেটা সত্য।
অভিযোগকারী শিক্ষিকা জানান, ক্ষমতার অপব্যবহার করতো সব সময়। ম্যাসেস, মোবাইলে এবং সরাসরি কু-প্রস্তাব দিতো প্রধান শিক্ষক। মোবাইলে টাকাও পাঠিয়েছিল। এটি নিয়ে পারিবারিকভাবেও ঝমেলার সৃষ্টি হয়েছে। পরে সহকর্মীদের কাছে বলার পরও ওই প্রধান শিক্ষক ভাল হয়নি। পরে বাধ্য হয়ে প্রতিকার চেয়ে ম্যানেজিং কমিটি বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত অজুর্না মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী জহুরুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এছাড়া বিদ্যালয়ে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
অজুর্না মহসীন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দিদারুল আলম খান মাহবুব বলেন, শিক্ষিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে মিটিং করা হয়েছে। মিটিংয়ে প্রধান শিক্ষক তার দোষ স্বীকার করেছেন। পরবর্তিতে তার বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বিষয়টি জানার পর ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ ও আন্দোলনে নেমেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা-পদ্ধতি বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন।
বুধবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটক হয়ে টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক সড়কের কাগমারি মোড়ে অবস্থান নেয়। এরপর প্রথম ফটকের সামনে দলে দলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করে।
এ সময় তারা সারা বাংলায় খবর দে-কোটা প্রথার কবর দে, আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই এর মত বিভিন্ন আগুনঝরা স্লোগানের মাধ্যমে আন্দোলনকে মুখরিত করে তোলে।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা ইতোপূর্বেও সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এ বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা কোটা চাইনা, আমার মেধা দিয়ে চাকরি চাই।
মেহেদী হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, এই আন্দোলন সরকার বিরোধী আন্দোলন না, এই আন্দোলন আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের আন্দোলন। যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চাই।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্ন্যা ইউনিয়নের চারাবাড়ি ব্রিজের সংযোগ সড়ক পানির তোড়ে ভেঙে তিনটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) ভোরে উপজেলার চারাবাড়ি তোরাপগঞ্জ ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজের পশ্চিম পাশের সংযোগ সড়ক পানির তোড়ে ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, মাহমুদ নগর ইউনিয়নে যাতায়াতের জন্য টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর চারাবাড়িঘাটে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২০০৬ সালে ১৭০ দশমিক ৬৪২ মিটার দৈর্ঘ্যের ব্রিজটি নির্মাণ করে।
ব্রিজটি নির্মাণের পর থেকেই কয়েকবার বর্ষায় দফায় দফায় পূর্ব ও পশ্চিম তীরের অ্যাপ্রোচ ধসে যায়। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে এলজিইডি স্থানীয়দের সহায়তায় বালুর বস্তা ও লোহার পাত দিয়ে সাময়িক সংস্কার করে ধস ঠেকায়।
এ দিকে চরাঞ্চলের কৃষিপণ্য, তাঁত শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আনা-নেওয়া করতে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক, ভ্যান, অটোরিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এই সড়কে চলাচল করে থাকে।
অটোরিকশাচালক হাসমত করিম বলেন, গত কয়েক দিন ধরেই একটু একটু করে ধস নামছিল। বুধবার ভোরে যাত্রী নিয়ে এসে দেখলাম ভেঙে গেছে। পরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভাঙনের দৃশ্য দেখতেছি। দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা না নিলে আমরা যানবাহন চালাতে পারব না।
কাতুলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুমন দেওয়ান বলেন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে পানির চাপ বেড়ে পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচসহ সংযোগ সড়ক ও কয়েকটি বাড়িতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাই দ্রুত প্রদক্ষেপ না নিলে এ ব্রিজ ভেঙে চরাঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সড়কটি যেহেতু এলজিইডির, তাই এলজিইডির প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. ফজলুর রহমান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরিদর্শনে গিয়েছি। দ্রুতই সড়কটি সংস্কার করা হবে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেন, সম্প্রতি বৃষ্টি ও প্রবল স্রোতের কারণে ব্রিজের পাড় ধসে পড়ছে। যেহেতু এটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক তাই দ্রুত ধস বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ওখানে স্থায়ীভাবে একটা কিছু করার ভাবনা রয়েছে। আমি সবেমাত্র উপজেলা পরিষদের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। পশ্চিম টাঙ্গাইলের পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম এ সড়ক। আমি অবশ্যই গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখছি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলার কয়েকটি উপজেলায় বাড়ি-ঘর, হাট-বাজার, মসজিদ, মন্দির, ফসলি জমিসহ অন্যান্য স্থাপনা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্গম চরাঞ্চলে ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছে।
জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি কোথাও অপরিবর্তিত, আবার কোথাও অবনতি হয়েছে। জেলার কয়েকটি উপজেলাতে বিস্তির্ন জনপদের বাড়ি-ঘর, হাট-বাজার, ফসলী জমিসহ অন্যান্য স্থাপনা এখনও বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে।
সোমবার (৮ জুলাই) টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ঝিনাই ও যমুনা নদীর পানি সামান্য কমলেও অন্য সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে ও যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এছাড়াও ফটিকজানি নদীর পানি নলচাপা ব্রীজ পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি কাউলজানী পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার, মির্জাপুর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার এবং মধুপুর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভুয়াপুর উপজেলার ফরমান, সাইফুলসহ কয়েকজন বলেন,আমরা যমুনা তীরের মানুষ। প্রতিবছরই যমুনা নদীর সাথে যুদ্ধ করে চলতে হয়। এবারের বন্যায় আমাদের অনেক ক্ষতি করেছে। বন্যার পানির স্রোতে আমাদের কারো বাড়ির আঙিনা আংশিক করে ভেঙে গেছে। গত পাঁচ থেকে সাতদিন ধরে পানিতে বন্দি রয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, জেলায় ৩৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। বন্যা কবলিত এলাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, তেল, চিনি মসলাসহ সাড়ে চৌদ্দ কেজি ওজনের প্যাকেট, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও পানির পাত্র বিতরণ করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নাহিদ ইসলাম (২৫) নামে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপজেলার ইছাপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী আরও একজন আহত হয়েছেন।
নিহত নাহিদ ইসলাম কালিহাতী উপজেলা এলেঙ্গা পৌরসভার মশাজান গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত নাহিদ ইসলাম এক বন্ধুসহ মোটরসাইকেল যোগে ঘুরতে কালিহাতীর দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উপজেলার ইছাপুর এলাকায় পৌঁছালে শেরপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আজমেরী ট্রাভেলসের একটি বাসের সাথে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই নাহিদের মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা মোটরসাইকেলে থাকা অপর আরোহী নিহত নাহিদের বন্ধুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে পাঠায়।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই সাকিব হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকাগামী বাসের সঙ্গে বিপরীতমুখী মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক নাহিদ ইসলাম নিহত হয়।
তিনি আরও বলেন, বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক হেলপার পালিয়ে গেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু মূর্যাল চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মূল গেইটের সামনে টাঙ্গাইল-চারাবাড়ি সড়কে গিয়ে অবরোধ করে এই আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সেখানে অবস্থানের পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে- ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে। ১৮-এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। যেকোনও বাধাকে উপেক্ষা করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আমাদের দাবি একটাই, ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহাল করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিএমবি বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমরা শিক্ষার্থীরা সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন করতে চাই না, আমরা পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। কারণ যে পরিমাণ কোটা, তাতে দেশের মেধাবীরা চাকরি না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। দিনদিন দেশে সরকারি চাকরি করার আগ্রহও হারাচ্ছে। এজন্য কোটা প্রথা বাতিল করা জরুরি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা ইতোপূর্বেও সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এ বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, এই আন্দোলন কোনো সরকার বিরোধী আন্দোলন না, এই আন্দোলন আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের আন্দোলন। যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
একতার কণ্ঠঃ বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুষম বন্টন ও বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। বন্টন ও বাস্তবায়ন সঠিক হলে সার্বিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন একটি চলমান প্রক্রিয়া। স্থানীয় উন্নয়নে উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিকা অপরিসীম।
রবিবার (৭ জুলাই) সকালে বানিজ্য প্রতিমন্ত্রী নাগরপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত ৬ষ্ট উপজেলা পরিষদের প্রথম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বন্যা কবলিত স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সার্বক্ষনিক মনিটরিং করার আহ্বান জানান। কোথাও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাৎক্ষণিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেজা মো. গোলাম মাসুম প্রধানের সভাপতিত্বে উপজেলা চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার শালমান শামস (জিৎ), উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) দ্বীপ ভৌমিক, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জরিনা বেগম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকনুজ্জামান খান, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভার:) মো. আনিসুর রহমান আনিস, নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচএম জসিম উদ্দিনসহ ১২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারি বর্ষণে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে কয়েক সপ্তাহ ধরে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার নিম্ন অঞ্চলের প্রায় শতাধিক এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলসহ হাজার হাজার মানুষ।
এদিকে, পানি বৃদ্ধির ফলে উপজেলার যমুনার চরাঞ্চলসহ কৃষকের প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে ভাসছে ও তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এনিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। এরমধ্যে উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, নিকরাইল ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কার্যালয় জানিয়েছে, চলমান বন্যায় অর্জিত ৮৯০ হেক্টর জমির আউশ ধানের মধ্যে তলিয়ে ও পচে গেছে ৫৮০ হেক্টর জমি, অর্জিত পাট ২ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমির মধ্যে তলিয়ে গেছে ২৮০ হেক্টর জমি, অর্জিত ১ হাজার ৬১০ হেক্টর তিলের মধ্যে তলিয়ে গেছে ১০ হেক্টর, অর্জিত ৩২০ হেক্টর জমির মধ্যে তলিয়ে গেছে ২০ হেক্টর ও অর্জিত ৫১০ হেক্টর বোনা আমনের মধ্যে তলিয়ে গেছে ২০ হেক্টর জমির ফসল।
গাবসারা ইউনিয়নের কালিপুর গ্রামের সফিকুল ইসলাম বলেন, গেল কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর সবচেয়ে বেশি বন্যা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের চরাঞ্চলের তিল, পাট, আউশ ধানসহ বিভিন্ন সবজি পানিতে তলিয়ে পচে নষ্ট হয়ে গেছে। চারদিকে পানি আর পানি। এসব ফসল তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়েছে।
গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া গ্রামের মজিবুর রহমান বলেন, ১ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের ঢেঁড়শ, মরিচ, পুঁইশাক ও পাটশাকসহ অন্যান্য সবজি চাষ করেছিলাম। মুহুর্তেই পানিতে তা তলিয়ে পচে যাচ্ছে। এসব ফসল তলিয়ে যাওয়ার কারণে অবশিষ্ট আর কিছু রইল না। ঘুরে দাঁড়াতে কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান জানান, টানা ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে চলতি মৌসুমে প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান, তিল, পাট ও বোনা আমনসহ বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে এবং বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কৃষি প্রণোদনা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
একতার কণ্ঠঃ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর শতভাগ সফল হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সর্ম্পক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোদি নিজে বলেছেন তিস্তার পানির ব্যবস্থাপনায় ভারত পাশে থাকবে। যে ধরনের প্রদক্ষেপ নেয়ার দরকার সে ধরনের প্রদক্ষেপে সহযোগিতা করবে। প্রথম বারের মতো আমরা ভারতের মধ্যে দিয়ে নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদুৎ আমরা বাংলাদেশে নিয়ে আসবো।
শনিবার(৬ জুলাই )দুপুরে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হলরুমে আয়োজিত জেলার স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের লক্ষে মতবিনিয়ম সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত তাদের উভয়ের মধ্যে সরবরাহ উন্নত করার চেষ্টা করছি। দেশীয় পণ্য ও আমদানিকৃত পণ্য সরবরাহে যেনো সংকট তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যখন যেখানে যে পণ্যের প্রয়োজন আমরা দ্রুত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সেই পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করবো। ভোক্তাদের কাছে দ্রুত পণ্য পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা রেলওয়েকে ব্যবহার করবো। রেলওয়ে বিভাগের সাথে কথা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে পণ্যগুলো অতিদ্রুত ঢাকায় সরবাহ করা হবে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপা, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী)আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক কায়সারুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় হাসপাতালের কর্মকর্তাবৃন্দ ও ডাক্তার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে মহাসড়ক প্রায় দেড়ঘন্টা অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৬ জুলাই) সকালে এই দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের জেলার নগরজলফৈ বাইপাস দেড়ঘন্টা অবরোধ করে রাখে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
প্রায় দেড় ঘন্টা অবরোধের পর দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা। এর আগে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কোটা প্রথা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীরা ঢাকা- টাঙ্গাইল- বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে নগরজলফৈ বাইপাস এলাকায় অবস্থান নেয়।
সেখানে তারা কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করে। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়। অবরোধের ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
পুর্ব ঘোষনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা অবরোধ করলে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নেয় মহাসড়কে। প্রায় দেড় ঘন্টা অবস্থানের পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়। দাবি মানা না হলে আরো কঠোর কর্মসুচির দেওয়ার ঘোষনা দেয়া হয় সমাবেশ থেকে।
সমাবেশে শিক্ষার্থী জানায়, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সরকারী চাকুরীর সুযোগ পাবে শিক্ষার্থী। কোটা প্রথা থাকলে সেখানে মেধাবীরা পিছিয়ে পড়বে। সে কারনে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে তারা।
এর আগে শুক্রবার (৫ জুলাই )সকালে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে কোটা বাতিলের দাবিতে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।
একতার কণ্ঠঃ টানা বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে টাঙ্গাইলে যমুনা ও ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার তিন উপজেলার কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার, ঝিনাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য থেকে আরও জানা যায়, গত ২৪ ঘন্টায় ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার, ফটিকজানি নদীর পানি নলচাপা ব্রীজ পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার, বংশাই নদীর পানি কাউলজানী পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার, মির্জাপুর পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার, এবং মধুপুর পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
এরফলে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের নিচু এলাকার ফসলি জমির পাট, তিলসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ভুঞাপুর ও কালিহাতী এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙন আরও তীব্র হয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা সব সময় শুকনো মৌসুমে কাজ করে থাকি, তবে এ সময়ে যে সব উপজেলায় পানি বেড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে সে এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হবে বলে জানান তিনি।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম বলেন, উজানের পানি নেমে আসায় ভাটিতে পানি বাড়ছে। ভূঞাপুরের অর্জুনা ইউনিয়নের কিছু ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। পার্শ্ববর্তী নিকরাইল ও গাবসারা ইউনিয়ন আজকালের মধ্যে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যার্তদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রস্তুত আছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে।