একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময় টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াই এলাকায় গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী মো. ইমন (১৯) মারা গেছেন।
রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
ইমনের বন্ধু মো. সাইফুল বলেন, ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নে ছাত্র অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ছিলেন। গত ৪ আগস্ট বিকেলে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের গোড়াইতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ইমন গুলিবিদ্ধ হন।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে আইসিইউর ১০ নম্বর বেডে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, ইমন টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার হেমনগর গ্রামের মো. জুলহাস মিয়ার ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে ইমন সবার বড় ছিলো।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের এক সদস্য, দুই কর্মীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে মির্জাপুর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ছাত্রলীগকর্মী আপন মাহমুদ, ইফতেখার সাইম, আবিদুর রহমান ও ব্যবসায়ী বজলুর রহমান। আপন মাহমুদ, ইফতেখার সাইম, আবিদুর রহমানকে বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে এবং বজলুর রহমানকে রাতে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিল।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সীমান্ত শিকদার ও ছাত্রলীগকর্মী আপন, ইফতেখার সাইম ও আবিদুর রহমানের নেতৃত্বে দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিন সমন্বয়ক মোজাহিদ (১৮), ইমন সিদ্দিকী (২৩) ও জাকির হোসেন (২৪) গুরুতর আহত হন। সমন্বয়ক মোজাহিদকে ঢাকা ও জাকির হোসেনকে ঘাটাইল সিএমএইচে এ ভর্তি করা হয়েছে।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাহ উদ্দিন জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ছাত্রলীগের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে মির্জাপুর শহীদ ভবানী প্রসাদ সাহা সরকারি কলেজে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সকাল ১০টা থেকে কলেজের ইনডোর মাঠে অবস্থান করছিল। দুপুর পৌনে বারোটার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সীমান্ত ও ছাত্রলীগ কর্মী আপনের নেতৃত্বে দেশীয় দাড়ালো অস্ত্রসহ ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিন সমন্বয়ক আহত হয়।
আহতরা হলেন, সমন্বয়ক মোজাহিদ (১৮), ইমন সিদ্দিকী (২৩) ও জাকির হোসেন(২৪)।
আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে সমন্বয়ক মোজাহিদের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার গলায় ধারলো অস্ত্রের আঘাতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
এব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, ছাত্রলীগ নেতা সিমান্তের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে।পুলিশের পক্ষ থেকে হামলাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সাজেদুল ইসলাম নিঝুম জানান, হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় যারা জড়িত তাদের অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশু বিষয়ক সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৭ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, উপজেলা জামায়াতের আমীর ইয়াহ ইয়াহ খান মারুফ।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের জনপ্রিয় ‘ভাদাইম্যা’খ্যাত অভিনেতা আহসান আলীর কৌতুক পরিচালক ও টিকটকার মোতালেব হোসেনকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নিহত মোতালেব টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. লোকমান হোসেন জানান, মোতালেব কৌতুক ও টিকটক করতেন। বুধবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। এ সময় কৃষ্ণপুর গ্রামে পৌঁছালে ১০ থেকে ১৫ জন অস্ত্রধারী মোটরসাইকেলটির গতি রোধ করে। এ সময় মোতালেব দৌড়ে পাশের একটি কচুখেতে পড়ে গেলে সেখানে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা চলে যায়।
তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ মামলা দায়ের করেনি।
একতার কণ্ঠঃ যারা সাধারণ ছাত্র ও জনসাধারণকে গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর বিলকুকডি গ্রামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত সাজিদের জানাজায় অংশ নিতে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আজ সাজিদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি। সাজিদের এই আত্মত্যাগ বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিন ভুলবে না। সাজিদ দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। আজ থেকে তার পরিবারের সব দায়িত্ব আমি নিলাম।
প্রকাশ,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইকরামুল হক সাজিদ ৪ আগস্ট ঢাকায় আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে আহত হন। পরে ১৪ আগস্ট ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
একতার কণ্ঠঃ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি এবং গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি দুই দিনের অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা করেছে।
টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা বিএনপি’র আয়োজনে বুধবার (১৪ আগস্ট) ও বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুই দিনের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। এ সময় তারা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে।
অবস্থান কর্মসূচিতে জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামীল শাহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবালের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, সহসভাপতি জিয়াউল হক শাহিন, সাবেক সহসভাপতি অমল ব্যানার্জী, সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী, প্রচার সম্পাদক এ কে এম মনিরুল হক মনিরসহ অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্যসচিব মাহমুদুল হক সানু জানান, জেলা বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে। এদিকে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে সকাল থেকেই তৃণমূল বিএনপি’র অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সমবেত হন ।
সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট. ফরহাদ ইকবাল বলেন, টাঙ্গাইলে এখনো বিভিন্ন মহল্লায় সন্ত্রাসীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনকে জেলা বিএনপি’র পক্ষ থেকে সাত ঘণ্টা সময় দেওয়া হলো।
তিনি আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে টাঙ্গাইল থেকে এসব সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করা না হলে এর জবাব বিএনপি’র নেতাকর্মীরা দেবেন।
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে টাঙ্গাইলে পুলিশের গুলিতে নিহত মারুফ মিয়ার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন।
বুধবার (১৪ আগষ্ট)বেলা ১১টায় পৌর শহরের সাবালিয়া এলাকায় মারুফের পরিবারের লোকজনের সাথে সাক্ষাৎ করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।
মারুফের পরিবারের পক্ষ থেকে তার হত্যার বিচার দাবি ও শহরের কুমুদিনী কলেজ গেট থেকে ঘারিন্দা রেল স্টেশন সড়কটি মারুফের নামে করার দাবি জানানো হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম সমবেদনা প্রকাশ করে মারুফের মা-বোনকে শান্তনা দেন।
এছাড়াও পরিবারের নিরাপত্তা দেয়াসহ সহযোগিতার আশ্বাস দেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার গোলাম সবুর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দীন, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন শাওন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মুহাম্মাদ আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী আব্দুল নুর তুষার, আল আমিন, ইফফাত রাইসা নূহা, তাওহীদা ইসলাম স্বপ্নীল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট (সোমবার) বিকেলে শিক্ষার্থীদের মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় টাঙ্গাইল সদর থানা এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের গুলিতে মারুফ নিহত হন।
পরদিন টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে মারুফের গ্রামের বাড়ি বাসাইল উপজেলার জশিহাটি গ্রামে দাফন করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার অচলাবস্থা কাটিয়ে তোলার লক্ষ্যে ৯ সদস্যের আহ্বায়ক পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন মেহেদী হাসান আলিম।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে নবগঠিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। মেহেদী হাসান আলী টাঙ্গাইল পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
কমিটির সদস্য সচিব পৌরনির্বাহী কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন।
অন্যান্য সদস্যরা হলেন, নির্বাহী প্রকৌশল মো. মিজানুর রহমান, কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদশা, মো. রুবেল মিয়া, খালেদা আক্তার স্বপ্না, রকি হায়দার, আবুল কালাম আজাদ ও সেলিনা আক্তার।
টাঙ্গাইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র তানভীর হাসান ফেরদৌস নোমান বলেন, পৌরসভার অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে সর্বসম্মতিক্রমে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি দ্বারা সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
নবগঠিত পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান আলিম জানান, নাগরিক সেবা সচল ও ভঙ্গুর পৌরসভার ভবন পুনঃনির্মাণে কমিটি মঙ্গলবার থেকেই কাজ শুরু করেছে। সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
এর আগে ১০ আগস্ট টাঙ্গাইল পৌর পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে নয় সদস্যের ওই আহ্বায়ক পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কয়েক দফা হামলার শিকার হয় টাঙ্গাইল পৌরসভা ভবন। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় পৌরসভার সকল কার্যক্রম।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের আওয়ামীলীগের এমপি, প্রতিমন্ত্রী ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরই এলাকা ছাড়তে শুরু করেন। বর্তমানে তাদের সম্পর্কে কেউ কোনো তথ্য দিতে পারছেন না। অনেকেই আত্মরক্ষার্থে ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন।
চলমান এই পরিস্থিতিতে জেলায় প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও শামছুন্নাহার চাপা, সাবেক সংসদ সদস্য ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়, জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত আমানুর রহমান খান রানার বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেনের বাড়ি ভাঙচুর না করা হলেও তিনি সহ আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক এমপি-প্রতিমন্ত্রী সহ বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র ও জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরা বাড়িঘর ছেড়ে আত্মগোপণে চলে গেছেন।
জানাগেছে, সারাদেশের ন্যায় টাঙ্গাইলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে ছাত্র-জনতা। গত ৪ আগস্ট টাঙ্গাইল শহরে ওই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও গুলিবর্ষণের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে টাঙ্গাইলের পরিবেশ। এতে গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশত আহত হয়।
এরপরই ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের গাড়িতে আগুন ও বাড়িতে ভাঙচুর করে। এরপর আন্দোলনকারীরা টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের টাঙ্গাইল শহরের পূর্ব আদালত পাড়ার বাসায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
পরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস নগরজলফৈ এর দরুণ এলাকায় সাবেক এমপি তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের মালিকানাধীন দি টাঙ্গাইল ফিলিং স্টেশন ও ধ্রুব ইন রেস্তোরাতেও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওইদিন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল ইসলাম আলমগীরের বাসা ও পৌরসভায় ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়।
এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও আসবাবপত্রে আগুন দেওয়া হয় এবং সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফার বাসায় ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
এসব হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর গত ৪ আগস্ট রাতে সার্কিট হাউসে জেলা আওয়ামী লীগের এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫ আগস্ট আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, যুগ্ম-সম্পাদক ও সাবেক এমপি তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি খান আহম্মেদ শুভ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক স্বতন্ত্র এমপি মো. ছানোয়ার হোসেন, আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিনুল রহমান মিরন ও সাইফুজ্জামান সোহেলসহ জেলার নেতারা।
আগের দিন রাতে আলোচনা হলেও পরেরদিন আর তাদের মাঠে দেখা যায়নি। ওইদিন দুপুরে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পর এমপি ও নেতাকর্মীরা এলাকা ছাড়া হয়ে যান। এরপর তারা কে কোথায়, কেউ তাদের হদিস জানে না।
আওয়ামীলীগের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, দলীয় মন্ত্রী-এমপি বা জেলার নেতারা কে কোথায় আছেন তা কেউ জানে না। কারও সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। শুধু জেলার নেতারাই নয়, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারাও হামলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আত্মগোপণে চলে গেছেন। তবে এখনও তাদের মধ্যে অনেকেই বিদেশে যেতে না পেরে দেশেই আত্মগোপণে রয়েছেন। সুবিধামতো সময়ে অনেকে হয়তো বিদেশে পারি জমাতে পারেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে কর্মস্থলে ফেরায় পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। টানা কয়েকদিনের কর্মবিরতির পর ডিউটিতে ফিরেছে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। থানার কার্যক্রমের পাশাপাশি সড়কেও দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশরা। এতে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে জনমনে। স্বাভাবিক হচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্যসহ সবখানে।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে পুলিশ টাঙ্গাইলের থানায় কাজে যোগ দেওয়া শুরু করেছে। ট্রাফিক পুলিশরাও সকাল থেকে সড়কে ডিউটি পালন করছেন।
দীর্ঘদিন যাবত কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও পুলিশের সম্পর্ক সাপে নেউলে অবস্থার পর গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশ তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। নিরাপত্তা ঝুঁকি দাবি করে কর্মবিরতিসহ ১১ দফা দাবি করে পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে পুলিশ কর্মবিরতি পালন করায় সারা দেশে ভেঙে পরে ট্রাফিক সিস্টেমসহ আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা।
এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে চুরি, ডাকাতির আশঙ্কা দেখা দেয়। এছাড়া সাধারণ মানুষ থানায় বিভিন্ন ঘটনার অভিযোগ জানাতে এসে ফিরে যায়। বিষয়টি নজরে আসে পুলিশ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এর মধ্যে নতুন পুলিশ প্রধান বাহিনীর সব সদস্যদের স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগ দিতে অনুরোধ করেন। আর তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসও দেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কড়া নির্দেশ দিয়েছেন এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যে কর্মস্থলে যোগ না দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সকাল থেকে পুলিশ টাঙ্গাইলের থানায় কাজে যোগদানসহ ট্রাফিকরাও সকাল থেকে ডিউটি পালন করছে। অনেক শিক্ষার্থী পুলিশ কর্মস্থলে ফেরায় ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অপরদিকে, সোমবার ও শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের দায়িত্ব নিয়ে যানবাহন চলাচল ও সড়কে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। আবার অনেক শিক্ষার্থী দেশটাকে ঢেলে সাজাতে দেয়ালে দেয়ালে প্রতিবাদী শ্লোগান লিখছে। পরিষ্কার করছেন বিভিন্ন স্থান ও রাস্তা।
একতার কন্ঠঃ সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকী জীবনে আর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে তাঁর ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের সঙ্গে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা ভাসানীর কবরে শ্রদ্ধা জানান। পরে সেখানে সমবেতদের উদ্দেশে বক্তৃতাকালে এ ঘোষণা দেন।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি আজ মাওলানা ভাসানীর মাজারে এসেছি উপলক্ষ হিসেবে। লক্ষ্য হলো, ’৭১–এর স্বাধীনতাযুদ্ধ এবং ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে যে যুদ্ধ এখানে শুরু হয়েছিল এবং আজও এই বাংলার গণমানুষের, নিপীড়িত মানুষের, অধিকারবঞ্চিত মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে যিনি পরিচিত, সেই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, তাঁকে আমি সমর্থন করি। তাঁর সঙ্গে আমৃত্যু আমি থাকব। কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমি আর জীবনে সম্পৃক্ত হব না। মাওলানা ভাসানীর এই মাজারে দাঁড়িয়ে আমি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীকে টাঙ্গাইলবাসীর সমর্থনে, বাংলার মানুষের সমর্থনে যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’ পরে তিনি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলে বক্তৃতা শেষ করে বলেন, ‘মাওলানা ভাসানী আমাদের চিত্তকে শুদ্ধ করুন।’
বর্ষীয়ান রাজনীতিক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ওই বছর সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে একটি সভায় বক্তৃতাকালে হজ¦ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করেন। পরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার, মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়। সংসদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি টাঙ্গাইল-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন।
লতিফ সিদ্দিকীর বক্তৃতার পর তাঁর ভাই কাদের সিদ্দিকী বক্তৃতাকালে কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী বলেন, তিনি আর রাজনীতি করবেন না। আমি তোমাদের বলছি, আমার শেষ শ্বাস যেন রাজনীতি করতে করতেই বের হয়ে যায়।’
এ সময় তাঁদের ছোট ভাই কালিহাতী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজাদ সিদ্দিকীসহ শতাধিক নেতা–কর্মী উপস্থিত ছিলেন
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে টাঙ্গাইলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দগণ।
জেলা জামায়াত শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
জামায়াতের জেলা আমীর ও কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য আহসান হাবীব মাসুদ বলেন, এখন আমরা এক নতুন বাংলাদেশ দেখছি। বৈষম্যবিরোধী এই আন্দোলনকে কেউ ভাগ করতে পারবে না। এই আন্দোলন সকলের আন্দোলন। এই আন্দোলনকে কেউ বিতর্কিত করার দু:সাহস দেখাতে পারবে না।
আন্দোলনে অংশগ্রহনকারী তরুণদের স্যালুট জানিয়ে তিনি বলেন, আজকের তরুণরা আগামীতেও মাঠে থাকবে। ভবিষ্যতে আবার কেউ অত্যাচার নির্যাতন করতে এলে তরুণরা তা রুখে দেবে। যারা আন্দোলনকারীদের নির্যাতন করেছে, হত্যা করেছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আহসান হাবীব মাসুদ বলেন, জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। বরং যারা এটা বলে তারাই সন্ত্রাসী। আমাদের কোন জনশক্তি কোথাও সন্ত্রাস করে থাকলে প্রমান দিন; আমরাই তার বিচার করব। জামায়াত শিবিরের কেউ কারো এক ইঞ্চি জমি দখল করেছে তা প্রমান করতে পারলে জামায়াত ছেড়ে দেব।
তিনি বলেন, জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা প্রতিটি থানার সামনে এবং বিভিন্ন এলাকায় মন্দিরের সামনে পাহারা বসিয়েছে; যাতে কেউ কোন আক্রমন করতে না পারে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি মো. হুমায়ুন কবীর, সাংগঠনিক সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, টাঙ্গাইল শহর শাখার সভাপতি অধ্যাপক মিজানুর রহমান চৌধুরী ও সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম এবং শিবিরের টাঙ্গাইল শহর শাখার সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।