একতার কণ্ঠঃ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ত্রাণ তহবিল থেকে টাঙ্গাইলে অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২ জানুয়ারি )রাতে শহরের টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রাঙ্গনে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে ৩২০ জনের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মো. আব্দুল্ল্যাহ-আল-মামুন, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও )নাহিদা আক্তার, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ডেপুটি নেজারত কালেক্টর মো. আল আমিন কবির প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল হতে ১০ হাজার কম্বল বরাদ্দ পেয়েছিলাম। ইতিমধ্যে ১২ উপজেলায় ৫০০ করে ৬ হাজার বিতরণ করা হয়েছে। বাকিরা চার হাজার হতে হাসপাতালে অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ৩২০টি বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,এছাড়াও শীতবস্ত্র কেনার জন্য সরকারিভাবে ১২ উপজেলায় তিন লাখ টাকা করে মোট ৩৬ লাখ ও পরবর্তীতে আরো ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এছাড়া ১১টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম শ্রেণির জন্য দুই লাখ করে, দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য দেড় লাখ করে ও তৃতীয় শ্রেণির জন্য এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা, সেই সাথে উত্তরের কনকনে হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জেলার জনজীবন। বিশেষ করে জেলার পশ্চিমের চরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি এলাকায় সবচেয়ে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে নিম্ন-আয়ের মানুষ, গৃহহীন ভাসমান মানুষ ও কৃষকরা সমস্যায় পড়ছে সবচেয়ে বেশি।
টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিসের সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা কমেছে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকল ৯টা জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রার পতন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে জেলা আবহাওয়া অফিস।
জানা গেছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার জেলায় সূর্যের দেখা মেলেনি। সেই সাথে উত্তরের কনকনে হিমেল হাওয়ার কারনে জেলায় প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। এর ফলে জেলার পশ্চিমের চরাঞ্চলে খুব সকালে কৃষকদের সবজির খেতে গিয়ে সবজি তুলে শহরের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে আনতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়াও জেলার পাহাড়ি এলাকায় ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় কারনে সন্ধ্যার পরে স্থানীয় মানুষ জন প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না
স্থানীয়রা জানায়,শীতের দাপটে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছেন। তীব্র শীত উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন খেটে খাওয়া মানুষগুলো। তাপমাত্রা কমার চেয়েও বেশি অসুবিধা হচ্ছে হিমশীতল বাতাসে। এর পাশাপাশি ঘন কুয়াশা থাকায় বাতাসে তা গায়ে কাঁটার মতো বিঁধতে থাকে। ঘরে ঘরে লেপ-কাঁথা নামানো হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার নিদারুণ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন জেলার নিম্নআয়ের মানুষজন। খড়-কুঠো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে নিম্নে আয়ের মানুষ। সন্ধ্যার পর শহর খালি হয়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড শীত থেকে বাঁচতে সন্ধ্যার পর ঘরে থাকছে শহরের মানুষ। যার প্রভাব পড়েছে শহরের ব্যবসা-বাণিজেও।
টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে পান-সিগারেট বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন লাইলি বেগম (৭০)। পরিবার-পরিজন বিহীন ভাসমান লাইলি বেগম থাকেন শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে। তিনি জানান, এই শীতে কাঁপছেন তিনি। গায়ের পাতলা চাদরটা তার শীত নিবারণ করতে পারছে না। তার পরও বাধ্য হয়ে এই প্রচন্ড শীতে সকাল থেকে রাত অব্দি পান-সিগারেট বিক্রি করতে হচ্ছে জীবনধারণের প্রয়োজনে। তার আফশোস এই প্রচন্ড শীতে কেউ তাঁকে একটি শীত বস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের বাগুনটাল গ্রামের কৃষক শাহাদাত হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার খুব ভোরে তার কপি খেতে গিয়েছিলেন কপি কেটে টাঙ্গাইল পার্ক বাজারে নিয়ে যাওয়া জন্য। প্রচন্ড শীতে কাঁপছে কাঁপতে তার পক্ষে আর সম্ভব হয়নি নদীর পাড়ের তার এই কপি খেতে থাকার। ফলে কপি না কেটেই বাসায় চলে এসেছেন তিনি। এ দিকে নির্দিষ্ট সময়ে কপি না তুললে বাজারে সঠিক দাম পাওয়া যাবে না বলে জানান তিনি। প্রচন্ড শীত তাঁদের জীবন যাপনকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
শুকুর আলী টাঙ্গাইল পৌর এলাকায় ব্যাটারি চালিত রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার গ্রামের বাড়ি জেলার মধুপুর উপজেলায় হলেও টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুর-টাকুর পাড়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি জানান, এই প্রচন্ড শীতে শহরে মানুষ-জন বের হয় না। বিশেষ প্রয়োজনে যারা বের হচ্ছেন তারাও শহরে বেশী সময় থাকছে না। ফলে গত ৩ দিনে তার আয়-রোজগার প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে, এ ভাবে চলতে থাকলে আগামী মাসে তার বাড়ি ভাড়া দিতে সমস্যায় পড়তে হবে। এ ছাড়াও এই প্রচন্ড শীতে তার রিক্সা চালাতে সমস্যা হচ্ছে, ফলে সন্ধ্যার পর রিক্সা না চালিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
তিনি আরো জানান, কোন সংগঠনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের শীতের কাপড় কিম্বা আর্থিক সহযোগিতা পাননি তিনি।
জেলায় অসহায়, দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের তথ্য জানতে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হকের মুঠো ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌর শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার রেজিনা বেগমের ক্রয়কৃত ৩৪ শতাংশ সম্পত্তি ৭০ বছর ধরে দখলে থাকা জমিতে সংখ্যালঘু সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ভাংচুর করে জমি দখল করার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. শাওন আল মনসুর বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষদের দলিল ও রেকর্ড মুলে প্রাপ্ত হই। ১৯৪০, ১৯৫৩ এবং ১৯৬৪ সনে টাঙ্গাইল সাব রেজিষ্টার অফিস হতে রেজিস্ট্রীকৃত দলিল মুলে রিজিনা বেগম, স্বামী আব্দুর রহিম মিয়া এই জমির মালিকানা প্রাপ্ত হন। বি.এস জরিপ আগত হইতে ১/১নং খতিয়ানে এস.এ ১০৫৪,১০৫৫, ১০৫৬, ১০৫৭নং দাগে ৩৫৬৫, ৩৫৬৬, ৩৫৫৬ দাগে রুপান্তরিত হয়। বর্তমানে ১/১ নং খতিয়ান এসএ দাগ নং ১০৫৪.১০৫৭ যা বিএস নকশাকৃত দাগ ৩৫৬৬। যা রেজিয়া ওয়ারিশগন ভোগ দখলরত আছে। এমত অবস্থায় ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে একদল লোক সংখ্যালঘুর নাম ভাঙিয়ে ভাংচুর ও উক্ত জমি দখলের চেষ্টা করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন দখলে থাকা উক্তভুমিটি ১২ বছর পুর্বে কয়েক লাখ টাকা খরচ করিয়া বাউন্ডারী ওয়াল করার জন্য সিসি কলাম করা হয়। ২০২২ সালে সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্ল্যাহ হেল ওয়ারেজ (হুমায়ন) টাঙ্গাইল পৌরসভার আমীন দ্বারা পরিমাপ করে যার-যার অংশ বুজিয়ে দেন। তারপর আমরা ওয়ারিশগন উক্ত জায়গায় সিসি কলামের উপর টিনের বেড়া দিয়ে জায়গাটি ঘিরে রাখি। এমতঅবস্থায় টিনের বেড়া খুটি, সাইনবোর্ড ঘরের দরজাসহ বিভিন্ন জিনিষ ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়ে যায়। ওইদিন যদি আমরা বাধা দিতাম তাহলে একটি অপ্রীতিকর অস্থার সৃষ্টি হতো এবং হতাহত হতো, যে কারণে আমরা বাধা দেইনি। এই জমিতে আমরা খেলাধুলা করেছি এবং বড় হয়েছি। তখন কেউ এই জমি তাদের বলে দাবি করেনি।
তিনি আরও বলেন, আমরা আইনে বিশ্বাস করি, তারা যদি এই জমির বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারে তাহলে আমরা এই জমি ছেড়ে দিবো। আর যদি দেখাতে না পারে তাহলে তাদের এই জমির দাবি ছেড়ে দিতে হবে। ইতোমধ্যে ভাঙচুর ও লুটপাট বিষয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। জমির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, পাভেল এ রৌফ, মো. ফরহাদ মিঞা ও মো. আবীর হোসেন।
এসময় জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পক্ষ থেকে টাঙ্গাইলে সুবিধা বঞ্চিত অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের পোড়াবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে টাঙ্গাইল জেলা মহিলাদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক এডভোকেট মমতাজ করিম এ শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।
এসময় প্রায় চার শতাধিক অসহায় শীতার্তদের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
এই শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ পাহেলী, শফিকুর রহমান শফিক, সদর উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম-সম্পাদক এমএ সবুর, জেলা যুবদল নেতা শাতীল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারন সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরু, সদর উপজেলা যুবদল নেতা কবীর হোসেন, সাংবাদিক মুক্তার হাসান, ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি আমিনুর ইসলাম, আজাদ মিয়া, যুবদল নেতা নয়ন ইসলাম, মহিলাদল নেত্রী শাহানাজ পারভীন, আশা আক্তার প্রমূখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পোড়াবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক।
এসময় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার কান্দাপাড়া মৌজায় থানাপাড়া সুইপার কলোনিতে পত্তনসুত্রে প্রাপ্ত ৪০ শতাংশ জায়গায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বহুতল ভবন নির্মাণের পায়তার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইল পৌরসভা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় পৌরসভার মেয়রকে বিবাদী করে উক্তভুমির মালিক কার্তিক চন্দ্র হরিজন বাদী হয়ে টাঙ্গাইল যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি ১৪৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং ৪৫/২০২২। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে। এদিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পৌর কর্তৃপক্ষ বহুতল ভবণ নির্মাণের পায়তারা করায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, সন্তোষের জমিদার প্রমথ নাথ রায় চৌধুরীর স্বত্ব দখলীয় জোত (পাঁচআনী জমিদার স্টেটের) ভুমির ৪০ শতাংশ জায়গা তাদের জমিদারী এলাকায় পয়নিস্কাশনের জন্য ভারতের এলাহাবাদ থেকে এনে মহদেব জমাদার এর পরিবারদের থাকার জন্য পত্তন দেন। যাহার কাগমারী পরগনার কান্দাপাড়া মৌজার খতিয়ান নং ৩, ক্রমিক নং ২১৮ হিসাব নং ১১৫, সিএস দাগ নং ১৩৫। যাহার উত্তরে থানাপাড়া বিসিক রোড, দক্ষিনে মাসুদ গংয়ের বাড়ি, পুর্বে টাঙ্গাইল পৌরসভার জায়গা ও পশ্চিমে দেলদুয়ার রোড। বর্তমানে টাঙ্গাইল দেলদুয়ার রোডের জন্য উক্ত ভুমির ১.৮৬ পয়েন্ট সরকার ভুমি অধিগ্রহন করায় ৩৮.১৪ শতাংশ ভুমি কার্তিক হরিজনের দখলে রয়েছে।বর্তমানে ওই ভুমিতে নিঃস্তান মহাদেব চন্দ্র জমাদারের দত্তক সন্তান কার্তিক চন্দ্র হরিজন তার পরিবার-পরিজন নিয়ে শতবছর ধরে বসবাস করে আসছে এবং জায়গাটি স্বত্বঃবান রয়েছে।
গত এসএ জরিপে ১৩৫ দাগটি এসএ ২২৫ দাগে রুপান্তরিত হওয়ায় এবং ভুলক্রমে মহাদেব চন্দ্র হরিজনের নামে লিপিবদ্ধ না হইয়া এসএ ৩নং খতিয়ানে ২২৫ নং দাগ হিসেবে বাড়ি শ্রেণীরুপে টাঙ্গাইল পৌরসভার নামে লিপিবদ্ধ হয়। কিন্তু উক্ত ভুমিটি হালের বিএসে ৪৩৮ খতিয়ানে মহাদেব হরিজনের দত্তক পুত্র কার্তিক হরিজনের নামে ২৪.২৫ শতাংশ ভুলক্রমে মাঠপর্চায় অর্ন্তভুক্ত হয়। পরে উক্ত ভুমিটি নিয়ে কার্তিক হরিজন পৌরসভাকে বিবাদী করে আদালতে ৩৮.১৪ শতাংশ জমি দাবি করে রেকর্ড কারেকশনের মামলা করেন। যাহার নাম্বার ৪৫/২২। মামলাটি এখনও চলমান রয়েছে। কিন্তু টাঙ্গাইল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে উক্ত পত্তন সুত্রে প্রাপ্ত মালিকানা অস্বীকার করিয়া নিজেদের মালিকানা দাবিতে মামলা করেন।
গত নভেম্বরের ৮ তারিখে পৌরসভার নিয়োজিত ঠিকাদার উক্ত ভুমি দখল নিতে গেলে স্থানীয়দের বাধার মুখে চলে আসে।
এ প্রসঙ্গে, কার্তিক চন্দ্র হরিজন বলেন, উক্ত ভুমির পত্তন সুত্রে পাওয়া মালিক মহাদেব নিঃসন্তান হওয়ায় আমাকে দত্তক আনেন। হঠাৎ তার পালক পিতা মহাদেব হরিজন অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করলে তার পিতার অনুমতিক্রমে মাতা মহাদের স্ত্রী লক্ষী ওরফে কমলী হরিজন ১৯৯০ সালের মে মাসের ১৭ তারিখে তার সকল স্থাবর-অস্থাবর আমাকে রেজিষ্ট্রি করে দেন। সে থেকে আমি পৈত্রি সুত্রে পাওয়া ভুমিতে শতবছর যাবত পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি। সম্প্রীতি টাঙ্গাইল পৌরসভা মালিকানা দাবি করলে আমি আদালতে মামলা দায়ের করি, মামলাটি চলমান আছে।
স্থানীয় মিনজু হরিজন,পন্ন হরিজনসহ অনেকেই জানান, পৈত্রিক সুত্রে এই জমির মালিক কার্তিক হরিজন। এলাকার কিছু অসাধু লোক পৌরসভার লোকজনের সাথে আতাত করে জমিটি বহুতল ভবন নির্মাণ করার পায়তারা চালাচ্ছে।
টাঙ্গাইল জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, টাঙ্গাইল পৌরসভা তাদেরকে জায়গা বুঝিয়ে দিলে তারা কাজ ধরবে। পৌর কর্তৃপক্ষ জায়গা বুঝিয়ে দিতে না পারলে বহুতল ভবনের প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার দায়িত্বরত প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার মন্ত্রালয়ের উপসচিব মো. শিহাব রায়হান জানান, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না। যেহেতু বহুতল ভবনটি টাঙ্গাইল এলজিইডির প্রকল্প সেহেতু এলজিইডির নির্বাহী কর্মকতার নিকট কথা বলার পরামর্শ দেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার পার্ক বাজারের ১০ জন ব্যবসায়ীর নামে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে পার্ক বাজার মোড়ে মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান চাঁদ বাজার(পার্ক বাজার) ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে ঘন্ট্যাব্যপী এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন,মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান চাঁদ বাজার(পার্ক বাজার) ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আব্দুল বারেক, সাধারণ সম্পাদক মো. জহের আলী, ব্যবসায়ী বাবলু সাহা,সরোয়ার হোসেন,আমীর হামজা,মোহাম্মদ আলী,আব্দুস ছাত্তার,মামুন হোসেন,মাসুদ পারভেজ পানুু,মো. আদর আলী প্রমুখ।
এসময় ভুক্তভোগী ১০ জন ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবারসহ পার্ক বাজারে বিপুল সংখ্যক সাধারণ ব্যবসায়ীগণ এই মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,জয়নাল আবেদীন নামে এক ব্যক্তি পার্ক বাজারের ১০ জন ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন জনের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। পার্ক বাজারের এইসব ব্যবসায়ীরা কোন ধরণের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নয়। ৫ আগস্টের পুর্বে ছাত্রদের সাথে আমরা রাজপথে ছিলাম। সম্প্রতি একটি স্বার্থন্বেষী মহল মিথ্যা মামলা দিয়ে বিভিন্নজনের কাছে টাকা দাবি করছে। আমাদের ভুক্তভোগী ওইসব ব্যবসায়ীরা দিন রোজগার করে দিন খায়-টাকা দিবে কিভাবে।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলার প্রত্যাহারের দাবি জানান। বক্তারা আরো বলেন, অবিলম্বে এই মামলা থেকে ১০ জন ব্যবসায়ীর নাম প্রত্যাহার করা না হলে বড় ধরণের কর্মসুচির হুশিয়ারী দেন তারা।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সর্ব বৃহৎ পাইকারী বাজার পার্ক বাজারের ব্যবসায়ীদের সংগঠন মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান চাঁদ বাজার(পার্ক বাজার) দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির উদ্যোগে এক জাঁকজমক প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার(২৮ ডিসেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল আউটার স্টেডিয়ামে এই ফুটবল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান চাঁদ বাজার(পার্ক বাজার) দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. বাবলু মিয়ার সভাপতিত্বে ও আমির হামজা রুবেলের সঞ্চলনায় প্রীতি ফুটবল ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. আজগর আলী।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা সমবায় অফিসার ওয়াজেদ আলী, বিআরডিপির চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বাদল, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মালেক সরকার, দৈনিক মজলুমের কন্ঠ পত্রিকার সহ-সম্পাদক এস এম আওয়াল মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুরুল ইসলাম, জেলা জাসাসের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুর রহমান সুমন, পৌর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফিরোজ বেপারী, আলহাজ্ব এছাক আলী, মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান চাঁদ বাজার (পার্ক বাজার) দোকান মালিক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় সাহা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. শাহাজাদা হোসেন, ব্যবসায়ী ফিরোজুর রহমান ফিরোজ, মো. হাবিবুর রহমান হাবু, আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল আলীম, আজিবর রহমান, ও মো. রকিসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।
এরআগে কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন ও পার্ক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. বাবুল মিয়া।
পরে পার্ক বাজারে কর্মরত ব্যবসায়ীরা লাল ও নীল দলে বিভক্ত হয়ে একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচে অংশ গ্রহন করে। খেলায় সবুজ দল ৪-১ গোলে লাল দলকে হারিয়েছে।
এ সময় বিপুল সংখ্যক দর্শক প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি উপভোগ করেন।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তরকৃতরা হলেন, টাঙ্গাইল শহরের দক্ষিণ থানাপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে আল আমিন (২৭), জেলার কালিহাতী উপজেলার সিঙ্গাইর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে রায়হান আহম্মেদ লিজন (২৮) এবং নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বিজবাগ গ্রামের মজিবল হকের ছেলে হাসান(২৬) ও একই গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফ হোসেন (২৫)। এর মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত আল আমিনের বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতিসহ ২৭ টি মামলা রয়েছে।
এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃত অন্যন্য আসামীদের নামেও একাধিক মামলা রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, টাঙ্গাইল সদর ও মির্জাপুর থানায় দুটি ডাকাতী মামলা হওয়ায় টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযানে নেমে কক্সবাজার জেলা হতে দুইজনকে ও নোয়াখালী থেকে অপর দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের সাথে থাকা ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। আল আমিন ও লিজনকে আটকের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাসান ও আশরাফকে আটক করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে বগুড়াগামী মোটরসাইকেল আরোহী নোমান শেখ উত্তরবঙ্গ-ঢাকা মহাসড়কে গত ১৪ নভেম্বর টাঙ্গাইলের কান্দিলা পৌঁছলে পেছন থেকে দু’টি মোটরসাইকেল এসে তার উপর হামলা করে। হামলাকারীরা তাকে আহত করে দুই লাখ ৯৭ হাজার টাকা মূল্যের মোটরসাইকেলটি ছিনতাই করে উত্তরবঙ্গের দিকে চলে যায়। এ বিষয়ে মো. নোমান শেখ টাঙ্গাইল সদর থানায় বাদীহয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে টাঙ্গাইলের কালিহাতী ও মির্জাপুর উপজেলা এবং কক্সবাজার ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিতদের গ্রেপ্তার করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার বিশ্বাস বেতকা মৌজার ৩৪ শতাংশ ওয়ারিশ সুত্রে পাওয়া একটি সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দীর্ঘদিন বেদখল ছিলো। দেশের রাজনৈতিক পটপরির্তনের পর একটি সংখ্যালঘু পরিবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের সহযোগীতায় গত ১৭ ডিসেম্বর জায়গাটি দখলমুক্ত করে। এরপর থেকেই উক্ত বেদখলকারী কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউব ও ফেসবুক পেইজে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করে আসছে ।এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার(২৬ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের অডিটিরিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করেছে উক্ত ভুক্তভোগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিপ্লব কুমার গুহ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের পৈত্রিক ওয়ারিশ সুত্রে পাওয়া টাঙ্গাইল পৌরসভার বিশ্বাস বেতকা মৌজার ৩৪ শতাংশ জায়গা যার সিএস খতিয়ান নং ৬৫০,দাগ নং ১০০৪ ও ১০০৫ এর মালিক ভুবনময়ী দাস্যা জং ভৈরব চন্দ্র গুহ পরলোক গমন করার পর তাদের একমাত্র সন্তান সতীষ চন্দ্র গুহের একমাত্র ছেলে সুশীল চন্দ্র গুহ ওয়ারিশ সুত্রে মালিকানা প্রাপ্ত হোন। যা বিগত এস এ রের্কডে খতিয়ান নং ৭৪৭ দাগ নং ১০৫৪,১০৫৫,১০৫৬,১০৫৭ সুষ্পষ্টভাবে শুশীল চন্দ্র গুহের নাম লিপিব্দ হয়েছে। শুশীল চন্দ্র গুহ আমাদের পিতা। তিনি পরলোক গমন করার পর আমরা ৫ ভাই যথাক্রমে গৌরাঙ্গ চন্দ্র গুহ, নারায়ণ চন্দ্র গুহ ,দীপক কুমার গুহ,সুবীর চন্দ্র গুহ,বিপ্লব কুমার গুহ উক্ত ভুমির ওয়ারিশান সুত্রে মালিকানা প্রাপ্ত হই। আমাদের নামে উক্ত ভুমির ডিজিটাল নামজারী করা আছে এবং হালসনের ভুমি উন্নয়নকর পরিশোধ করা আছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন ,দীর্ঘদিন যাবত আমরা সংখ্যালঘু হওয়ায় ভয়ভীতি দেখাইয়া বিশ্বাস বেতকার শাওন-আল-মনসুর পিতা মৃত দুলাল আল মনসুরগং জোরপুর্বক আমাদের ওয়ারিশয়ান সুত্রে প্রাপ্ত ৩৪ শতাংশ জমিতে জোরপুর্বক দখল করিয়া ছিলো। এই জমির মালিকানা প্রাপ্ত হওয়ার বৈধ কোন কাগজপত্র তাদের কাছে নেই। এই অবৈধ দখলদার স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা ধর্মীয় সংখ্যালঘু হওয়ায় নানা বৈষম্যর শিকার হয়ে বৈধ মালিক হওয়া সত্বেও জমিটির দখলে যেতে পারিনি। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে একাধিকবার অবৈধ দখলদারের সাথে জমির বৈধ কাগজপত্র নিয়ে শালিসের আয়োজন করা হলেও তারা সেই শালিসে উপস্থিত হয়নি। সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ১৭ ডিসেম্বর স্থানীয়দের সহায়তায় আমাদের পৈত্রিক সম্পটি অবৈধ দখল মুক্ত করে আমরা দখলে গিয়েছি। তারপর থেকেই উক্ত অবৈধ দখলদারের যোগসাজসে কয়েকটি ইউটিউব ও ফেসবুক পেইজ এই বিষয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, গৌরাঙ্গ চন্দ্র গুহ,নারায়ন চন্দ্র গুহ,দীপক কুমার গুহ,সুবীর চন্দ্র গুহসহ ওই পরিবারে বেশ কিছু সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে এই সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে এই সাধারণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব ও টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রশাসক শিহাব রায়হান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাফিজা আক্তার, জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, জেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বিএনপি নেতা শ্যামল হোড়, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আতোয়ার রহমান আজাদ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সম্পাদক(মিনিবাস) শফিউল আলম তুষার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বর্তমান সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন।
এরপরে সাধারণ সদস্যগনের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সফিকুর রহমান খান, নিলুফার ইয়াসমিন, সৈয়দ জাদেদুল হক, ফারুক হোসেন ধলা, মির্জা আকিবুজ্জামান, নজরুল ইসলাম মিটন, তারিকুল ইসলাম ঝলক প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, বিগত কমিটির মহাসচিব আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনি টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির অফিসকে তার রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেছেন। বিগত ১৫ বছরে তিনি মালিক সমিতির প্রায় ৬০ কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। বিগত দিনে যারা বড় মনিকে লুটপাটে সহায়তা করেছে তাদের মালিক সমিতির আগামী নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে। অবিলম্বে সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। কোন সিলেকশন কমিটি নয়, সাধারণ সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটি গঠন করতে হবে।
পরে সর্বসম্মতিক্রমে সমিতির আগামী নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৪ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন পরিচালনা কমিশনের আহ্বায়ক হচ্ছেন, টাঙ্গাইল জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মোঃ শফিকুল ইসলাম রিপন, টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আতোয়ার রহমান আজাদ,বর্তমান সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ ও বাবু শ্যামল হোড়।
পরে আমন্ত্রিত অতিথিসহ সমিতির সাধারণ সদস্যগন মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব ছিলেন টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনি। গত ৫ আগষ্টের পর থেকে তিনি পলাতক থাকায় বর্তমান সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের ল্যাম্পগ্রান্ড ও আনুতোষিকের ১ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে পৌর মিলনায়তনে এ চেক বিতরণের আয়োজন করা হয়।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১৭ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের ল্যাম্পগ্রান্ড ও আনুতোষিকের ১ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
পৌর প্রশাসক (উপ-সচিব) মোঃ শিহাব রায়হানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ জাকির হোসেন, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন, সাংবাদিক প্রতিনিধি ডেইলি স্টার পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মির্জা শাকিল প্রমুখ।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী চেক গ্রহীতা মোঃ মোতালেব হোসেন, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম- সম্পাদক সাহাদাত হোসেন।
বক্তরা বলেন, আমরা যারা টাঙ্গাইল পৌরসভায় দীর্ঘদিন বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছি তারাই চাকুরী শেষে আনুতোষিকের টাকার জন্য ভিক্ষুকের মত ঘুরেছি। ঘুষ দিতে হয়েছে। তারপরও টাকা পাই নাই। দিন পরিবর্তন হয়েছে। এখন আমাদের সুযোগ্য প্রশাসক এসেছেন, তিনি আমাদেরকে ডেকে এনে হাতে চেক তুলে দিলেন। আমরা আনন্দিত। তার জন্য অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বাসের চাপায় সিএনজির চালকসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। শনিবার(২১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নগরজফৈ বাইপাস এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সিএনজি চালক জেলার কালিহাতী উপজেলা পাথালিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেন (৫৫) ও সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের করটিয়া এলাকার সুনিল পালের ছেলে প্রদীপ পাল (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার সকালে সিএনজি চালিত অটোরিকশা করটিয়া থেকে টাঙ্গাইল শহরের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে সিএনজিটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নগরজফৈ বাইপাস এলাকায় সড়ক পার হওয়ার চেষ্ট করে। এক পর্যায়ে উত্তরবঙ্গগামী একটি দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বাস সিএনজিটিকে চাপা দেয়। এতে সিএনজিটি দুমরেমুচরে যায়। স্থানীয়রা সিএনজির চালক ও ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক অটো চালক সোহরাব হোসেনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রদীপ পালকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। প্রদীপ পালকে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায়।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট সৈকত হোসেন বলেন, দুর্ঘটনায় খবর পেয়েই আমরা ঘটনাস্থলে পৌছে সিএনজিটি উদ্ধার করি। নিহত দুই জনের মধ্যে চালকের মৃতদেহ স্বজনদের নিকট হস্থান্তর করা হয়েছে। প্রদীপ পালের মরদেহ স্বজনরা বাড়ী নিয়ে গেছে।