আরমান কবীরঃ বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক দল আছে কিছু নতুন, কিছু পুরাতন। তারা জনগণকে বোঝাতে চেষ্টা করছে বিএনপি নাকি সংস্কার চায় না। সংস্কার কী? খায় না মাথায় দেয়। বাংলাদেশে সকল কল্যাণকর সংস্কার করেছে বিএনপি। বিএনপি যে ৩১ দফা দিয়েছে তার পুরোটাই সংস্কার কর্মসূচি। সংস্কারের প্রত্যেকটা বিষয় ৩১ দফার মধ্যে রয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সদ্য কারামুক্ত বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টুর গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচার, ফ্যাসিবাদের পতনের জন্য বিএনপি’র নেতাকর্মীরা লড়াই করেছে। এখনও লড়াই শেষ হয়ে যায় নাই। লাখ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অনেকের কারাগারে বা গুম অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। ৫ আগস্ট আমি জেলখানায় ছিলাম। আমাদের ৫১৮ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মী কারাগারে ছিল। অনেক লড়াই, সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার পর দেশে পরিবর্তন এসেছে। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র এখনও পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয় নাই। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয় না। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার নির্বাচন হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেজন্য বলি সবার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। বলি নাই বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেন। যারা জয়লাভ করবে, তারাই সরকার গঠন করবে।
তিনি বলেন, আব্দুস সালাম পিন্টু মৃত্যুদন্ডের আদেশ মাথায় নিয়ে কারাগারেও অনিশ্চিত জীবন কাটিয়েছেন। শতশত নেতাকর্মী গুম-খুনের স্বীকার হয়েছেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি’র ভাইচ চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি’র সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোরহাব, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল হক নাসির, জেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধাা হামিদুল হক মোহন, জেলা বিএনপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল হক সানু, ৯০এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের ছাএদল নেতা মোঃ আব্দুল্লাহ আকন্দ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।
এদিকে দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর আব্দুস সালাম পিন্টু নিজ জেলা টাঙ্গাইলে পৌছলে শহরের নগর জলফৈ বাইপাসে তাকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। বিকেলে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আয়োজিত সংবর্ধনাস্থলে প্রিয় নেতাকে দেখতে নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষের ঢল নামে। নানা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পৌর উদ্যান এলাকা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে আব্দুস সালাম পিন্টু দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার জিয়ারত ও দোয়া পাঠ করেন।
আরমান কবীরঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
তিনি জানান, নারীদের কাছ থেকে কিছু স্বর্ণালঙ্কার লুণ্ঠিত হয়েছে। ওই সময় দুষ্কৃতকারী ডাকাত দল নাকফুল কানের দুল নেওয়ার সময় নারীদের টাচে গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি এটা আমরা জানতে পেরেছি। শ্লীলতাহানি বলা যেতে পারে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. শহিদুল ইসলাম (২৯), মো. সবুজ (৩০) ও মো. শরীফুজ্জামান (২৮)।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, চলন্ত বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি মোবাইল, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়। মামলা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন সোর্স ব্যবহার করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় কর্তব্যে অবহেলার দায়ে মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার আতিকুজ্জামানকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাসে মির্জাপুর এলাকায় তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। শ্লীলতাহানি করা হয় দুই নারীকে। পরে যাত্রীরা বাসটি আটকে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের সহায়তা চায়। বাসযাত্রীদের হাতে আটক বাসচালক বাবলু, সুপারভাইজার মাহবুব ও হেলপার সুমনকে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনায় বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় অজ্ঞাত ৮-৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
সাহান হাসানঃ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, দেশ একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে পার্টির সাংগঠনিক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইফুল হক বলেন, এদেশের মানুষ ১৬ বছর ধরে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। আগে বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন, নাহলে জনগণ কিন্তু সহ্য করবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করে, তাহলে দেশ আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। এক কথায় এটি একটি হঠকারিতা।
তিনি বলেন, সরকারকে বলব- আপনারা প্রতিটা কমিশনকে দায়িত্ব দিন তাড়াতাড়ি সংস্কারের রোড ম্যাপ দেওয়ার জন্য। আমরা চাই খুবই তাড়াতাড়ি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সাইফুল হক আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার যেমন দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়েছে, ঠিক তেমনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও ব্যর্থ হচ্ছে। আমরা যেই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশটা স্বাধীন করেছি, সেই স্বাধীনতা এখন নেই। বর্তমান সরকারকে বলব- অতিদ্রুত আপনারা নির্বাচন দিন। দেশবাসী ১৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছে একটি জাতীয় নির্বাচনের।
টাঙ্গাইল জেলা সাংগঠনিক সভা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক সাইফুর রেজা মামুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য শহিদুজ্জামান লাল মিয়া, বহ্নিশিখা জামালী, জেলা জেএসডির সভাপতি মতিয়ার রহমান মতি, সাধারণ সম্পাদক শফিউল ইসলাম, জেলা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান পিপলু প্রমুখ।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইলে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) মহান শহীদ দিবসে কর্মসূচির মধ্যে ছিল- দিবসের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ, ভোরে প্রভাতফেরী, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ, চিত্রাঙ্কন-রচনা প্রতিযোগিতা, কবিতাবৃত্তি, আলোচনা সভা, পুরষ্কার বিতরণ ইত্যাদি।
জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মসূচিগুলো দিনভর পালন করে।
এ উপলক্ষে প্রথম প্রহরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক শরীফা হক ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এদিন ভোরে বিভিন্ন দপ্তর, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে প্রভাত ফেরী বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, টাঙ্গাইল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শিহাব রায়হান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্যাহ আল মামুন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাহিদা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ প্রমুখ।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিনভর টাঙ্গাইলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশের গান ও ত্রিবেণী-টাঙ্গাইলের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সড়ক ও সড়কদ্বীপ এবং শহীদ মিনারে আল্পনা আঁকা হয়।
একতার কণ্ঠঃ নিবন্ধন পুনর্বহালসহ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা জামায়াতের উদ্যােগে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশ শেষে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডিসট্রিক্ট হেলিপ্যাড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমীর আহসান হাবীব মাসুদ, জেলা নায়েবে আমীর খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, জেলা শাখার সেক্রেটারি হুমায়ুন কবীরসহ অন্য নেতাকর্মীরা। এসময় বক্তারা দলের নিবন্ধন পুনর্বহালসহ জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবি জানান। তা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এসময় জেলা ও উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন পযার্য়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সমাবেশের উদ্দেশে জমায়েত হয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌর শহরের সাবালিয়া পাঞ্জা পাড়া এলাকায় সড়কের পাশের ড্রেন থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৫৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ড্রেন থেকে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকালে রাস্তার পাশে ড্রেনে অপরিচিত এক ব্যক্তির মরদেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ড্রেন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহটি উদ্ধার করে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) তানভীর আহাম্মেদ জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
তিনি আরও জানান, সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ড্রেনের পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে । প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য পুলিশের একটি টিম কাজ করছে।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রুবেলকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত, রুবেল পৌর শহরের ১৩নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ থানাপাড়া এলাকার মৃত মনিরুজ্জামান খানের ছেলে বলে জানা গেছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করেছেন ।জানান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান খান রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে টাঙ্গাইল সদর থানায় আনা হয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, আসাদুজ্জামান রুবেল টাঙ্গাইল সদর থানায় ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর দায়ের করা মামলার (মামলার নং-৮) এজাহার নামীয় আসামি।
তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সং/১৯) এর ৪/৫ ও দন্ডবিধির ১৪৩/৩৪১/৩০৭/৩২৬/১০৯/১৪৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে মঙ্গলবার দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ টাঙ্গাইল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রকাশ, আসাদুজ্জামান খান রুবেল টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। সে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুনের পিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে পোষ্ট দিয়ে সক্রিয় ছিল।
আরমান কবীরঃ বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, দেশের মানুষ গত প্রায় দেড় যুগ ধরে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করছে। এ জন্য বিএনপি’র হাজার হাজার নেতাকর্মী জেল-জুলমসহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে। বিএনপি’র ১৭ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলনের সাথে ছাত্রদের আন্দোলন যুক্ত হয়ে স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি হলে ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়। গত ৫ আগষ্ট দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর আবার কেন গণতন্ত্রমনা মানুষের সমাবেশ করতে হচ্ছে। ভোট নিয়ে কোন ধরনের তালবাহানা জনগন মেনে নেবেনা।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পতনের পর এখনো কেন প্রশাসনসহ সকল স্তরে ফ্যাসিষ্টদের দোসররা বহাল তবিয়তে রয়েছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছেনা। বাংলাদেশের মানুষ ভোট দেয়ার জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে। কিন্তু ভোট নিয়ে নানা বাহনা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে থাকতে রাজি আছে কিন্তু ভোট না দিয়ে থাকতে পারেনা।
তিনি বলেন, দ্রব্যমুল্যের দাম এখনো সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে। আসন্ন রমজানে যেন কোনভাবেই দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি না পায় তার জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সতর্ক ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেন ড. মঈন খান।
নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের মুল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত গনতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ দাবিসহ বিভিন্ন জনদাবিতে টাঙ্গাইলে এই সমাবেশ করে বিএনপি। সমাবেশটি এক পর্যায়ে জনসভায় রুপ নেয়।
টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসানুজ্জামিল শাহীনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, বিএনপি’র প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি’র শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপি’র সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম ওবায়দুল হক নাসির।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।
সমাবেশে বিএনপিসহ এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহন করে। নির্ধারিত সময়ের পুর্বেই সমাবেশস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
আরমান কবীরঃ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় এক ব্যক্তিকে হামলার ঘটনায় রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা মামলায় টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেনকে (৫৪) তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আরও দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রিমান্ডপ্রাপ্ত অন্য দু’জন হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আবু মুসা আনসারী (৫৬) ও ভাটারা থানার ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন সালেক ওরফে সালেক ঢালী (৫৮)।
সোমবার সকালে গ্রেপ্তার তিনজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত শনিবার রাতে ভাটারায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের পর রবিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। একই দিন আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাজধানীর ভাটারা থানার এসআই মো. ফরহাদ কালাম সুজন।
রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। পরে তাদের কারাগারে পাঠান এবং রিমান্ড শুনানির জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর ভাটারা থানার বারিধারা এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন মিঠুন ফকির। পরে আসামিদের ছোড়া ছিটা গুলিতে আহত হয়ে কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১১ আগস্ট বাসায় ফেরেন তিনি। এ ঘটনায় গত ১৯ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী মিঠুন ফকির ৮৮ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে ভাটারা থানায় মামলা দায়ের করেন।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ছানোয়ার। তিনি ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫(সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন তিনি। পরে ২০২৪ সালে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরমান কবীরঃ টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সাবেক এমপি ও টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে টাঙ্গাইলে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিরালা মোড়, নিউ মার্কেটসহ আশপাশের এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পরে একটি আনন্দ মিছিল শহরের নিরালা মোড় থেকে বের হয়ে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়।
এই আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণের নেতৃত্বদেন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দ্যাইনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লাভলু মিয়া লাবু। এসময় দ্যাইনা ইউনিয়নের বিএনপি’র বেশ কিছু নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করে।
এ প্রসঙ্গে লাভলু মিয়া লাবু বলেন, টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক এমপি ছানোয়ার হোসেন আমার বড় ভাই দ্যাইনা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফারুক চেয়ারম্যানের হত্যাকান্ডের অর্থদাতা। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ফারুক চেয়ারম্যান হত্যাকাণ্ডের সমস্ত তথ্য বের হয়ে আসবে বলে মনে করি।
তিনি আরও বলেন, ছানোয়ারের বাহামভূক্ত দ্যাইনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনের অত্যাচার ও নির্যাতনের কারণে অনেক নিরীহ গ্রামবাসী এলাকা ছাড়া হয়েছিল। অবিলম্বে আফজাল চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারেরও জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ছানোয়ার হোসেনের গ্রেপ্তারের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথেই আমারা শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছি। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে দ্যাইনা ইউনিয়ন থেকে একটি বিশাল আনন্দ মিছিল বের করা হবে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, ছানোয়ার হোসেনের গ্রেপ্তারের সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই টাঙ্গাইল শহরসহ সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে ছাত্র-জনতা আনন্দ উল্লাস করেছে।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। লোকটি নিজেকে সাদা মনের মানুষ বলে দাবি করলেও এমন কোন অন্যায় কাজ নেই যেটা সে করেনি। আমি দ্রুত তাকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, রাজধানী ঢাকার ভাটারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন (৫৪) সহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশ।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক- এল এর ১০নং রোডের ২৫০১ নং বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছানোয়ার পেশায় তামাক ব্যবসায়ী, যিনি গত তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তার বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সদর ও মির্জাপুর থানায় শিক্ষার্থী মারুফ ও ইমন হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
সরকার পতনের দুদিন আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনের কৌশল ঠিক করতে টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে স্থানীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছিলেন তিনি।
আরমান কবীরঃ রাজধানী ঢাকার ভাটারায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন (৫৪) সহ তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির ভাটারা থানা পুলিশ।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক- এল এর ১০নং রোডের ২৫০১ নং বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভাটারা থানা সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সকাল ১০টায় ভাটারা থানার জে ব্লকের ৯ নম্বর রোডের সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মিঠুন ফকির (২৮) হামলায় আহত হন। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ১৯ ডিসেম্বর ভাটারা থানায় একটি মামলা করেন। তদন্তাধীন এ মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার রাতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা হতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সালাউদ্দিন সালেক ওরফে সালেক ঢালী এ মামলায় এজাহারনামীয় ও এমপি ছানোয়ার হোসেন ও আবু মুসা আনসারী মামলার সন্দেহভাজন আসামি। গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার দুপুরে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত টাঙ্গাইল সদর আসনের এমপি ছানোয়ার হোসেন গ্রেপ্তারের খবরে শহরে আনন্দ উৎসব হচ্ছে। আশা করি, অতি দ্রুত বিচার করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এদিকে, ছানোয়ার হোসেনের গ্রেপ্তারের খবরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ লাবলু মিয়া লাবুর নেতৃত্বে শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
আরমান কবীরঃ বাংলাদেশ আঞ্চলিক সংবাদপত্র পরিষদ টাঙ্গাইল জেলা শাখার নতুন কমিটি শনিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘোষণা করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভা শেষে সাপ্তাহিক প্রযুক্তির সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলাকে সভাপতি ও দৈনিক যুগধারা পত্রিকার সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমানকে (সরকার হাবিব) সাধারণ সম্পাদক করে ওই কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যান্য পদে নির্বাচিত সদস্যরা হচ্ছেন- দৈনিক আজকের টেলিগ্রামের সম্পাদক সাহাব উদ্দিন মানিক ও আলোকিত মধুপুরের সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ (সহ-সভাপতি), টাঙ্গাইল সমাচারের সম্পাদক মো. মাসুদুল হক ও সাপ্তাহিক জাহাজমারার সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান (যুগ্ম সম্পাদক), টাঙ্গাইল প্রতিদিনের সম্পাদক মো. মোস্তাক হোসেন (কোষাধ্যক্ষ), সাপ্তাহিক পাপিয়ার সম্পাদক মো. সেলিম তরফদার (সাংগঠনিক সম্পাদক), সাপ্তাহিক শোষিতের কন্ঠের সম্পাদক কাজী শায়লা ইয়াছমীন (আইন বিষয়ক সম্পাদক), সাপ্তাহিক আমাদের টাঙ্গাইলের সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান (প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক)।
কার্যকরী কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- দৈনিক মজলুমের কন্ঠের সম্পাদক জাফর আহমেদ, সাপ্তাহিক গণবিপ্লবের সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সিদ্দিকী, সাপ্তাহিক ইনতিজারের সম্পাদক এবিএম আব্দুল হাই মিয়া, সাপ্তাহিক সময় তরঙ্গের সম্পাদক কাজী হেমায়েত হোসেন হিমু, সাপ্তাহিক লোকধারার সম্পাদক এনামুল হক দীনা, আজকের দেশবাসীর সম্পাদক অরণ্য ইমতিয়াজ, সাপ্তাহিক কালের স্বরের সম্পাদক শামছুজ্জামান, সাপ্তাহিক সমাজচিত্রের সম্পাদক মামুনুর রহমান, সাপ্তাহিক সামালের সম্পাদক মাহবুবুল আলম আব্বাসী, দৈনিক লোককথার সম্পাদক আবিদা সুলতানা, দৈনিক টাঙ্গাইল সময়ের মো. পারভেজ হাসান, সাপ্তাহিক বারবেলার সম্পাদক হোসনি জোবাইরি।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ মোতাবেক কমিটি পুন:গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জাফর আহমেদ ১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) কমিটি ঘোষণা করেন।