/ হোম / জাতীয়
সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: কৃষিমন্ত্রী - Ekotar Kantho

সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: কৃষিমন্ত্রী

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আজকে দেশে একটি রাজনৈতিক দল উন্মাদনা এবং আগুন সন্ত্রাস করছে৷ নির্বাচন করতে দিবে না, সংবিধান অনুযায়ী দেশ চলবে না৷ আমি মনে করি, তারা দেশের মঙ্গল ও কল্যাণ চায় না৷ তারা বিগত সময়ে যেভাবে আগুন দিয়েছিল তা বর্বরোচিত। আমরা দেখেছি ১৪ থেকে ১৫ সালে তারা গাড়ি পুড়িয়েছে, রেল লাইন তুলেছে, বিদ্যুতের লাইন কেটেছে এবং জীবন্ত মানুষকে গাড়িতে পুড়িয়েছে৷ ২৮ আগস্ট একই কায়দায় বর্বরোচিতভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে৷

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুসুদ্দি উত্তর পাড়া গ্রামে খামারি মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা যাচাই ও উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন৷

তিনি আরও বলেনে, আমরা যদি দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রাখতে চাই, তাহলে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার৷ দেশে শান্তি দরকার এবং সুন্দর ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার। সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বিএনপি আগুন সন্ত্রাস সহিংসতা পথ ছেড়ে, তারা আবার নির্বাচনে আসবে এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে ধরপাকড় করা হচ্ছে না। তাদের কর্মীদেরকে প্ররোচিত করা হচ্ছে আগুন সন্ত্রাস করার জন্য। সেটি কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব মানুষের জানমাল নিরাপত্তা দেওয়া। তাদের গাড়িগুলোর নিরাপত্তা দেওয়া। দোকানপাট খুলে ব্যবসা বাণিজ্যকে অব্যহত রাখা। দোকান বন্ধ থাকলে কর্মচারীরা না খেয়ে মারা যাবে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে । শান্তিপ্রিয় কোন বিএনপি নেতা-কমীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ঘনবসতির দেশ। জমি কমে যাচ্ছে। ৭ কোটির মানুষ এখন ১৭ থেকে ১৮ কোটি৷ এই মানুষকে খাওয়াতে হলে আরও উন্নত জাতের ফলনশীল উৎপাদন করতে হবে৷ সে লক্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুটি কাজ করছেন৷

কৃষি মন্ত্রালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব রহুল আমিন তালুকদার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাসুদ করিম, বাংলাদেশ মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জালাল উদ্দীন, বাংলাদেশের পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল আউয়াল প্রমুখ৷

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. নভেম্বর ২০২৩ ১১:১৫:পিএম ১১ মাস আগে
টাঙ্গাইলের সাধারণ ক্রেতাদের আলু-পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম অবস্থা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলের সাধারণ ক্রেতাদের আলু-পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম অবস্থা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গত কয়েক দিন ধরে বেড়েই চলেছে আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। বাড়তি দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। জেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিং কমিটি থাকলেও তাদের কোন দৃশ্যমান কার্যক্রম নেই। বাজারে নেই জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা শাখার তৎপরতা।

তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, সর্বশেষ বৃষ্টিতে সবজি খেত নষ্ট এবং হরতাল-অবরোধের কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে সবজি কিনে আনেন। সেখানে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানেও পাইকারি ও খুচরা বাজারে সবজির দাম বেশি। দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই।

ব্যবসায়ীরা জানান, টাঙ্গাইলের প্রধান পাইকারি কাঁচা বাজার পার্কবাজারে প্রতিদিন মধ্যে রাত থেকে পাইকারি দরে আলু-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন সবজি বিক্রি করা হয়। শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং কালিয়াকৈর, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারের ব্যবসায়ীরা এখান থেকে পাইকারি দরে আলু-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি কিনে নিয়ে যান। এই বাজারে খুচরা মূল্যে বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আলু-পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কেনার দামে নির্ভর করে বিক্রির দাম নির্ধারণ করেন পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা। পণ্যে গুলোর দাম বাড়ায় বিক্রি কমে গেছে বলেও জানালেন তারা।

পাইকারি ব্যবসায়ী আলী আকবর ও হাফিজ মিয়া বলেন, বর্তমানে টাঙ্গাইলের বাজারে নিজস্ব কোনো আলু নেই। সব আলু উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আমদানি করতে হয়। পাইকারি দরে প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকা ও পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের যেমন কেনা, তেমন বিক্রি করছি। আমাদের কেউ দাম বাড়ায় না।

খুচরা বিক্রেতা নাজমুল মিয়া বলেন, আলু ৭৫ টাকা, পেঁয়াজ ১৩৫ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, ফুল কপি ৫০ টাকা, শসা দেশী ৮০ টাকা, কচুর মুখি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে পার্ক বাজারে কথা হয় অটোরিক্সা চালক মজিবুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, আধা কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা ও আধা কেজি আলু ৪০ টাকা দিয়ে কিনলাম । নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার কারণে আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়ানোর জোর দাবি করছি।

বাজারে সবজি কিনতে আসা সহকারী অধ্যাপক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, আমরা বেসরকারি চাকরি করি। সব কিছুর দাম দিনের পর দিন বেড়েই চলছে। আগে যে বাজার করতে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা লাগতো, এখন সেই বাজার করতে চার হাজার টাকার বেশি লাগে। এই অতিরিক্ত টাকার যোগান দেওয়া আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

পার্কবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর বারেক মিয়া বলেন, এই বাজারে প্রতিদিন প্রায় ১০০টন করে আলু-পেঁয়াজ বিক্রি হয়। এখানে কয়েক জন ব্যবসায়ী ভারত থেকে এলসি করেও পেঁয়াজ আনেন। হরতাল ও অবরোধের প্রভাব পড়েছে এই সব পণ্যের উপর।কয়েক দিন ধরে হরতাল অবরোধের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে টাঙ্গাইলের ব্যবসায়ীদের কোনো হাত নেই।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু জোবায়ের উজ্জ্বল একতার কণ্ঠকে জানান, গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) আমাদের সংগঠনের উদ্যোগে জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক সিকদার শাহিনুর আলম ও জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা খানের সঙ্গে কৃষি পণ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তারা বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।

টাঙ্গাইল জেলা ভোক্ত অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সিকদার শাহিনুর আলম একতার কণ্ঠকে জানান, কৃষি পণ্য আলু ও পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি মনিটরিংয়ের দায়িত্ব কৃষি বিপণন ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের । এই অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন বিষয়টি দেখাশোনা করে থাকেন।

জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা খান একতার কণ্ঠকে জানান, জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নিয়মিত বাজার মনিটারিং করা হয়। তবে আলু ও পিঁয়াজের ক্ষেত্রে এই কৃষি পণ্য দুটি জেলার মোট চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় উত্তরবঙ্গ থেকে আমদানি করতে হয়। ফলে টাঙ্গাইলে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের এই পণ্য দুটির দাম বেশি হয়ে যায়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. নভেম্বর ২০২৩ ০২:২১:এএম ১১ মাস আগে
গণপরিবহন শূন্য ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক - Ekotar Kantho

গণপরিবহন শূন্য ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক

একতার কণ্ঠঃ বিএনপির ডাকা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের প্রথম দিন (মঙ্গলবার) সকাল থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক ছিল গণপরিবহন শূন্য। তবে পণ্যবাহী ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল করলেও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম।

এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঘারিন্দা রেল স্টেশনেও নেই যাত্রীদের চাপ। কর্তৃপক্ষ বলছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঢাকায় যাচ্ছেন না।

তাই স্টেশনেও যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক অনেক কম।
স্টেশনে কথা হয় রাইসুল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে।

তিনি জানান, ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাবেন। নতুন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখেন কোনো বাস ঢাকা যাবে না।

তাই তিনি ঘারিন্দা রেল স্টেশনে এসেছেন ট্রেনে ঢাকা যাবেন। জরুরি প্রয়োজন না হলে তিনি ঢাকা যেতেন না। ওই হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বাধ্য হয়ে ঢাকা যেতে হচ্ছে তাকে।

মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ও রেল স্টেশনগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। কেউ যাতে কোনো প্রকার নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কটিতে র‌্যাব সদস্যরাও টহল দিচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩১. অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৪০:পিএম ১১ মাস আগে
নিহত পুলিশ কনস্টেবল পারভেজের দাফন সম্পন্ন - Ekotar Kantho

নিহত পুলিশ কনস্টেবল পারভেজের দাফন সম্পন্ন

একতার কণ্ঠঃ ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের মরদেহ রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকালে তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা সদরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তার আদি বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডের চরকাটারি গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেকেন্দার আলী মোল্লার বড় ছেলে। তাদের বাড়ি যমুনা নদীতে ভেঙে যাওয়ায় তারা বর্তমানে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে বসবাস করছেন।

পারিবারিক সিদ্ধান্তে রোববার সন্ধ্যায় দৌলতপুর উপজেলা সদর সামাজিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। এদিকে, স্থানীয় মতিলাল ডিগ্রি কলেজ মাঠে তার মরদেহ পৌঁছলে এক হৃদয় বিদারক ঘটনার অবতারণা হয়। তাকে শেষ বারের মতো এক নজর দেখতে শ’ শ’ মানুষ ভির জমায়। পরে ওই কলেজ মাঠে তার জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানাজা নামাজ চলছিল।

অপরদিকে, নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের বর্তমান গ্রাম টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুরে এখনও শোকের মাতম চলছে।

নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের চাচা ও টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার এসআই ওয়াজেদ আলী জানান, নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজদের বাড়ি ২০১১ সালের দিকে যমুনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। পরে পরিবারসহ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে বাড়ি করেন। তার স্ত্রীর নাম রুমা ও সাত বছর বয়সী মেয়ের নাম তানহা ইসলাম। তিনি স্ত্রী ও কন্যা সন্তান নিয়ে ঢাকায় থাকতেন।

নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের স্ত্রী রুমা আক্তার স্বামীর মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন। তিনি কোন কথা বলছেন না, মাঝে মধ্যে মেয়ে তানহাকে জড়িয়ে ধরে অঝোর ধারায় চোখের পানি ফেলছেন।

নাগরপুরের দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম রাব্বানী জানান, আমিরুল ইসলাম পারভেজরা তার এলাকার ভোটার নয়। বসবাস করার সুবাদে তার সম্পর্কে জানতেন, তিনি অত্যন্ত সাদাসিধে মানুষ ছিলেন। কখনও কারো সাতে-পাঁচে তাকে দেখা যায়নি। তিনি একজন দেশপ্রেমিক নাগরিক ছিলেন। বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করতেন।

দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিহত পুলিশ কনস্টেবল পারভেজের বাবা একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা। পারভেজ ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মানিকগঞ্জের ঠিকানায় পুলিশের চাকুরিতে যোগদান করেন। তারা দুই ভাই এক বোন।

ছোট ভাইয়ের নাম আজিজুল হক বিপ্লব। তবে বর্তমানে তার পরিবার টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামের বসবাস করলেও তারা এখনও চরকাটারি ইউনিয়নের ভোটার।

প্রসঙ্গত, শনিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার দৈনিক বাংলার মোড় এলাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে পারভেজ আহত হয়। বিকাল ৪টার পর গুরুতর আহতাবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. অক্টোবর ২০২৩ ০৩:১৯:এএম ১২ মাস আগে
হরতালে ফাঁকা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক - Ekotar Kantho

হরতালে ফাঁকা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক

একতার কণ্ঠঃ বিএনপি’র ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের যান চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের ও চাকরিজীবী মানুষ। বিকল্প হিসেবে সিএনজি, অটোরিকশা ও অটোভ্যানে গাদাগাদি করে কর্মস্থলে যাচ্ছেন তারা। তবে এপর্যন্ত মহাসড়কের কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকার সমাবেশ থেকে এই সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেন।

হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, মহাসড়কে দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল না করলেও পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করছে। যে কোন বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ পর্যন্ত কোথাও কোন সমস্যার সৃষ্টি হয়নি।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর আশরাফ জানান, শনিবার (২৮ অক্টোবর) মহাসড়কে যানবাহন কম ছিলো, রবিবার (২৯ অক্টোবর) আরও কম চলাচল করছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. অক্টোবর ২০২৩ ০৩:৩৫:এএম ১২ মাস আগে
টাঙ্গাইলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে ওড়নার কাপড় দিয়ে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবকের (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার(২৯ অক্টোবর )বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কালমেঘা বেলতলী এলাকায় বনের ভেতর দিয়ে যাওয়া সড়কের পাশে মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিক ওই যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সরকার নূরে আলম মুক্তা বলেন, ‘সকালে স্থানীয় এক কাঠমিস্ত্রি সড়কের পাশে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে আমাদের খবর দেয়। এলাকার কেউ লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোনো এলাকায় ওই যুবককে হত্যা করে, গভীর রাতে এখানে লাশ ফেলে রেখে গেছে।’

সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান জানান, রোববার সকালের দিকে কালমেঘা বেলতলী গ্রামে একটি আকাশমনি গাছের বাগান থেকে অজ্ঞাত যুবকের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় এখনও মামলা বা নিহতের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. অক্টোবর ২০২৩ ১০:০৯:পিএম ১২ মাস আগে
বিএনপি’র সমাবেশে সংর্ঘষে নিহত পুলিশ সদস্যের টাঙ্গাইলের বাড়িতে শোকের মাতম - Ekotar Kantho

বিএনপি’র সমাবেশে সংর্ঘষে নিহত পুলিশ সদস্যের টাঙ্গাইলের বাড়িতে শোকের মাতম

একতার কণ্ঠঃ রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজের (৩৩) গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। সে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দর মন্ডলের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা মাছুম বলেন, তার গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা ও ভাই থাকেন। মা ও ভাই কান্নাকাটি করছেন। বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।

জানা গেছে, নিহত পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম পারভেজ ২০০৯ সালে পুলিশে যোগ দেন। তারা দুই ভাই। চাকুরির সুবাদে পারভেজ পরিবার নিয়ে ঢাকাতেই থাকেন। গ্রামের বাড়িতে তার বৃদ্ধ বাবা-মা ও ভাই থাকে। ২০১২ সালে তিনি বিয়ে করেন। তাদের ঘরে ৬ বছর বয়সী তানহা ইসলাম নামের একজন কন্যা সন্তান রয়েছে।

উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম ফিরোজ সিদ্দিকী বলেন, সংঘর্ষে নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ওই পুলিশ সদস্যের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ছিল। কিন্তু নদী ভাঙনে তাদের বসতভিটা হারিয়ে পার্শবতী দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে বসবাস করেন। ফয়েজপুরে বসবাস গড়ে তুললেও এখনও তারা দৌলতপুর এলাকার ভোটার।

জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ওই পুলিশ সদস্যের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকায় জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে আনা হবে। নিহতের পরিবার যেভাবে চাইবে সেইভাবে হবে।তার জানাযা নামাজ ও তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোসহ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৯. অক্টোবর ২০২৩ ০৩:০৭:এএম ১২ মাস আগে
কৌশল পাল্টে সমাবেশের আগেই ঢাকা পৌঁছেছেন টাঙ্গাইল বিএনপি’র নেতাকর্মীরা - Ekotar Kantho

কৌশল পাল্টে সমাবেশের আগেই ঢাকা পৌঁছেছেন টাঙ্গাইল বিএনপি’র নেতাকর্মীরা

একতার কণ্ঠঃ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ঢাকায় আয়োজিত সমাবেশে আসতে বাঁধার মুখে পড়তে হবে জেনে, কয়েক দিন আগেই টাঙ্গাইল থেকে ১০ হাজারেরও বেশি বিএনপি নেতাকর্মী ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন। বাকিরা শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) এর মধ্যেই পৌঁছে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সমাবেশে অংশ নিতে ইতোমধ্যেই ঢাকায় পৌঁছে যাওয়া টাঙ্গাইল বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, দলীয় হাইকমান্ড থেকে তাদের শুধু স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে একদফা দাবি আদায়ে আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

জেলা বিএনপির নেতারা জানান, ঢাকায় প্রবেশ ঠেকাতে সরকারের নানা অপকৌশলের কথা মাথায় রেখে গত কয়েকদিন আগে থেকেই রেল, বাসসহ বিভিন্নভাবে ঢাকায় যেতে শুরু করেন নেতা কর্মীরা। আগের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার তারা মাইক্রোবাসের মতো বাহনে দল বেঁধে যাচ্ছেন না।

ঢাকায় পৌঁছে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। এ ছাড়া গ্রেপ্তার এড়িয়ে রাজধানীতে অবস্থান এবং সমাবেশস্থলে পৌঁছানোর ব্যাপারে নানা সতর্কতা অবলম্বন করছেন তারা।

টাঙ্গাইল জেলা যুবদলের সভাপতি খন্দকার রাশেদুল আলম জানান, তিনিসহ দলের অনেক নেতাকর্মী ইতোমধ্যেই ঢাকায় পৌঁছে গেছেন।

তিনি জানান, ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছে যাওয়া নেতাকর্মীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। আরও আসছেন। সবাই যার যার নিজ নিজ খরচে এবং নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় আসছেন।

তিনি আরও জানান, আমাদের শুধু স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে যোগ দিতে আহ্বান করা হয়েছে। সেখান থেকে একদফা দাবি আদায়ে আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বিপদ হতে পারে জেনেও মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় এসেছি। আসলে এই সরকারের আমলে এত বিপদে আছি যে, আর কি হতে পারে জানালেন জেলার এক বিএনপি কর্মী।

এলাকায় গ্রেপ্তার অভিযানের পাশাপাশি ঢাকায় মহাসমাবেশে না যেতে পুলিশের দেখানো ভয়-ভীতি, আসার পথে বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্ট এবং রাজধানীতে এসে মোবাইল ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সমস্যায় পড়েছেন বলেও জানিয়েছেন অনেক বিএনপি কর্মী।

টাঙ্গাইল র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, দেশে যেন কোন প্রকার নাশকতা না করতে পারে সে জন্য ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিহাততে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।

টাঙ্গাইলে জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার অবশ্য স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ উপলক্ষে তারা কাউকে গ্রেপ্তার করছেন না। শুধু ডাকাতি রোধে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, জেলার কালিহাতীতে ১ জন, দেলদুয়ারে ২জন, মধুপুরে ২জন, ধনবাড়ীতে ২জন, নাগরপুর উপজেলার ২ জন ও বাসাইল উপজেলায় ১জনসহ মোট ১০জন বিএনপি নেতা কর্মীকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে গত বছরের নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. অক্টোবর ২০২৩ ০১:৪৯:এএম ১২ মাস আগে
রাজধানীতে খাজা টাওয়ারে আগুন: ব্যাহত হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা - Ekotar Kantho

রাজধানীতে খাজা টাওয়ারে আগুন: ব্যাহত হচ্ছে ইন্টারনেট সেবা

একতার কণ্ঠঃ রাজধানীর মহাখালীর আমতলীতে খাজা টাওয়ারে আগুন লেগেছে। ভবনটিতে থাকা আন্তঃসংযোগ এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) অপারেটরদের সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইডথ আসত খাজা টাওয়ারের দুই ডেটা সেন্টার থেকে। এই ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ৭০ শতাংশ দিয়ে থাকে। যেহেতু ডেটা সেন্টারগুলো বন্ধ হয়েছে, তাই ইন্টারনেট-সেবায় বিঘ্ন হচ্ছে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন এক ফেসবুক পোস্টে জানায়, মহাখালীর আমতলীর খাজা ভবনে আগুন লাগার কারণে কারিগরি বিপর্যয়ে গ্রামীণফোন থেকে অন্য অপারেটরে ভয়েস কল দিতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারেন গ্রাহকরা। এ সমস্যাটি সমাধানে গ্রামীণফোন কাজ করছে বলেও পোস্টে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল পাঁচটার দিকে মহাখালীর আমতলী এলাকার খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে। ভবনটির ১১, ১২ ও ১৩ তলা থেকে আগুনের কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ১০ তলা থেকে ওপর পর্যন্ত ভবনের কাচের দেয়াল ভেঙে আগুন নেভানোর কাজ করছেন।

আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিটের ৭২ সদস্য কাজ করছেন। পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও তাদের সহযোগিতা করছেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. অক্টোবর ২০২৩ ০৩:০৮:এএম ১২ মাস আগে
টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে দেখানো হলো ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে দেখানো হলো ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র

একতার কণ্ঠঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র টাঙ্গাইলে বিনামূল্যে দেখার সুযোগ পেলো শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় টাঙ্গাইল কালেক্টরেট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিনামূল্যে চলচ্চিত্রটি উপভোগ করেন। এরপর দুপুর দেড়টায় বিবেকানন্দ হাই স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা চলচ্চিত্রটি দেখেন। আগামী ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় বিন্দুবাসিনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং দুপুর দেড়টায় মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ মহাবিদ্যালয়; ৩০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় টাঙ্গাইল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং দুপুর দেড়টায় পুলিশ লাইনস আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়; ৩১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় কুমুদিনী সরকারি কলেজ এবং দুপুর দেড়টায় বিন্দুবাসিনী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়; ১ নভেম্বর সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজ এবং দুপুর দেড়টায় নার্সিং মিডওয়াইফারি কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে চলচ্চিত্রটি দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওলিউজ্জামান, জেলা কালচারাল অফিসার এরশাদ হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এলেন মল্লিক প্রমুখ।

এ সময় জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী ছাড়াও জেলা পর্যায়ে সকল সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকদের জন্য বিনামূল্যে ‘মুজিব একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সিনেমাটি দেখে বঙ্গবন্ধুর জীবন নীতি আর্দশকে দর্শকদের হৃদয়ে লালন করতে পারবো। মুজিব একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি দেখার জন্য পর্যায়ক্রমে উপজেলাগুলোতে বিনা টিকিটে দেখার জন্য সুযোগ করে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. অক্টোবর ২০২৩ ০২:৫৫:এএম ১২ মাস আগে
২৮ অক্টোবরে বিএনপি আক্রমণাত্মক হলে আ’লীগ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না: কৃষিমন্ত্রী - Ekotar Kantho

২৮ অক্টোবরে বিএনপি আক্রমণাত্মক হলে আ’লীগ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না: কৃষিমন্ত্রী

একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, ২৮ অক্টোবর আন্দোলনের নামে বিএনপি যদি সন্ত্রাসের পথে যায় ও আক্রমণাত্মক হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না। বিএনপি হুমকি দিচ্ছে ২৮ অক্টোবর দেশকে অচল করে দিবে, ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। বিএনপি যতোই হুমকি দিক, আমি মনে করি, ২৮ তারিখ তারা কিছুই করতে পারবে না। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে, তারাই বিএনপিকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করবে। আর বিএনপি যদি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসের পথে যায়, আক্রমণাত্মক হয়, গাড়িতে আগুন দেয়, বিদ্যুতের লাইন কাটে, রেললাইন তুলে, তাহলে আওয়ামী লীগ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপিকে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা অডিটোরিয়ামে ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে ধানের ও তেল ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাতের সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচন যথাসময়ে হবে এবং তা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সবার নিকট গ্রহণযোগ্য হবে। নির্বাচনে কারা আসল, কারা আসল না, সেটি কোন বিষয় না। তবে আমি আশা করি, বিএনপি’র শুভ বুদ্ধির উদয় হবে ও তারা নির্বাচনে আসবে। রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে বিএনপি দেশকে বিদেশের উপর নির্ভরশীল করতে চায়। কারণ বিএনপি’র প্রভু হলো পাকিস্তান। এখনো পাকিস্তানের মায়া তাদের কাটে নি। তারা এখনো পাকিস্তানের ধারায়, পাকিস্তানের পথে ফিরে যেতে চায়। সেজন্য তাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও যাবে। এটি মানবতার দেশ। এই দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোন জায়গা নেই। ধর্ম নিরপেক্ষতাই আমাদের আদর্শ।

তিনি বলেন, বিএনপি’র শাসনামলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিলো। তারা সার দিতে পারেনি। সার চাইতে গিয়ে ১৮ জন মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। ১৮ জন কৃষককে তারা গুলি করে হত্যা করেছে। দেশে বর্তমানে দুর্ভিক্ষ নেই।

উচ্চ ফলনশীল স্বল্প জীবনকালীন ধানের ও সরিষার জাতগুলোকে দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য কর্মশালায় উপস্থিত কৃষির মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তাগিদ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে ক্রমশ কৃষি জমি কমছে, মানুষ বাড়ছে। এ অবস্থায় ১৭ কোটি মানুষের খাদ্যের যোগান দেয়া খুবই কঠিন। সেজন্য, কম সময়ে অধিক ফলন ও একই জমি থেকে বার বার ফসল ফলানোর উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা স্বল্পজীবনকালীন উন্নত জাতের ধানের ও অন্যান্য অনেক ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে। যা চাষের মাধ্যমে বছরে ০১ টি অতিরিক্ত ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে। একইসঙ্গে, ফলনও অনেক বেশি। এই জাতগুলোকে কৃষকের নিকট দ্রুত জনপ্রিয় করতে হবে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল আলম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের এমপি, বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক দেবাশীষ সরকার, বিএডিসির সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. অক্টোবর ২০২৩ ০১:২১:এএম ১২ মাস আগে
টাঙ্গাইল থেকে ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় বিএনপি’র মহাসমাবেশে যোগ দিবে - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল থেকে ২০ হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় বিএনপি’র মহাসমাবেশে যোগ দিবে

একতার কণ্ঠঃ শনিবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকায় বিএনপি’র মহাসমাবেশে যোগ দিতে টাঙ্গাইল থেকে দলের নেতা-কর্মীরা চলে গেছেন। দলের নেতারা জানিয়েছেন, টাঙ্গাইল থেকে এই কর্মসূচিতে প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মী যোগ দেবেন। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলের মধ্যে ৩-৪ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌছে গিয়েছেন। এ ছাড়া অনেক কর্মী বিভিন্ন কৌশলে পৌঁছে গেছেন ঢাকায়। কেউ দূরপাল্লার বাস, ট্রেন, প্রাইভেটকার ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করে সমাবেশে যাচ্ছেন। শুক্রবারের মধ্যে অন্যরা ঢাকায় পৌঁছাবে।

এদিকে সমাবেশেকে কেন্দ্র করে জেলার ১০জন বিএনপি’র নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল।

মহাসমাবেশ সামনে রেখে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ করে দেওয়াসহ সরকারের পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের বাধা ও প্রতিবন্ধকতা এড়াতে আগেভাগেই বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা ঢাকায় যাচ্ছেন।

বিএনপি’র নেতারা বলছেন, মহাসমাবেশ কর্মসূচির এক সপ্তাহ আগে থেকে সরকারি দল যে যুদ্ধ প্রস্তুতি দেখাচ্ছে, এর উদ্দেশ্য ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে লোকসমাগম কমানো। একই সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর চূড়ান্ত আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া, যাতে নির্বাচনের আগে আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ না পায় বিএনপি।

বিএনপি’র নেতাকর্মীরা বলেন, ঢাকার সমাবেশে যোগ দিতে এবার ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন ইউনিট থেকে নেতা-কর্মীরা ঢাকায় ঢুকতে শুরু করেছেন কয়েক দিন আগে থেকেই। পুলিশি হয়রানির ভয়ে নানা কৌশলে বিভিন্ন যানবাহনে এবং বিভিন্ন রুটে তাঁরা ঢাকায় ঢুকেছেন।

বিএনপি’র নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের তল্লাশিচৌকি বসিয়ে বিভিন্ন পরিবহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশের সদস্যরা।

জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাঁধার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা করছি। আমরা প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যাবো। আওয়ামী লীগের নেতারা আমাদের গাড়ি আটকে রাখতে পারেন। যেভাবেই হোক আমরা সমাবেশে পৌছাবো। বৃহস্পতিবার থেকেই আমাদের বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন।

তিনি আরও বলেন, হাসিনার পতন ঘটিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল আদালত পরিদর্শক তানবীর আহমেদ বলেন, এ পর্যন্ত কারাগারে ১০জন বিএনপি’র নেতাকর্মীরাকে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কালিহাতীতে ১ জন, দেলদুয়ারে ২জন, মধুপুরে ২জন, ধনবাড়ীতে ২জন, নাগরপুর উপজেলার ২ জন ও বাসাইল উপজেলায় ১জন রয়েছন। তাদেরকে গত বছরের নাশকতার মামলায় বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

টাঙ্গাইল র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩ কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, দেশে যেন কোন প্রকার নাশকতা না করতে পারে সে জন্য ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিহাততে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ২৮ তারিখের সভাকে কেন্দ্র করে কোন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। ডাকাতি বন্ধে পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম অংশ হিসেবে মধুপুরে, এলেঙ্গা, গোড়াই, হামিদপুরে ৪টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সেখানে প্রতিদিনের ন্যায় নিয়মিত চল্লাশি করা হচ্ছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৭. অক্টোবর ২০২৩ ০১:২৭:এএম ১২ মাস আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।