/ হোম / মধুপুর
মধুপুর বনের ১৫ হাজার ৩৮০ একর বনভূমি প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে - Ekotar Kantho

মধুপুর বনের ১৫ হাজার ৩৮০ একর বনভূমি প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে

 একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর বনে প্রভাবশালীদের কালোথাবা পড়েছে।রাজনৈতিক অঙ্গণে বিভিন্ন দলের মধ্যে হানাহানি থাকলেও বন দখলে সবাই একে অপরের ভাই ভাই। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ব্যবসায়ী, আইনজীবী, দলিল লেখক, এনজিও, সমাজকর্মি গৃহিনীসহ দখলে বাদ যায়নি কেউ। বেশিরভাগ সরকারি দলের লোকজন অবৈধভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জবরদখল করে কলা, আনারস ড্রাগন ,লেবু চাষ করে করে লাভবান হচ্ছে।

এছাড়াও কোথাও কোথাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, করাতকল, বাজার ও বাড়িঘর তুলে দিব্য বসবাস করছে। বনবিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অবহেলা, উদাসীনতা এবং অনৈতিক সুবিধা নিয়ে জবরদখল কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ারও অনেক অভিযোগ রয়েছে।এছাড়া বনের গাছ চুরি অব্যাহত থাকায় পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য পড়েছে হুমকির মুখে। বনে শাল-গজারী না থাকায় দেখা দিয়েছে বন্যপ্রাণীদের খাদ্য সঙ্কট, ঐতিহ্য হারাচ্ছে মধুপুর গড়ের শালবন।

আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে ইভটিজিংয়ের অভিযোগে যুবকের কারাদণ্ড

টাঙ্গাইল বিভাগীয় বন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলা মধুপুর, মির্জাপুর, সখিপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলায় মোট বনভুমি রয়েছে প্রায় এক লাখ ২২ হাজার ৮৭৭ একর। এর মধ্যে ৫৮ হাজার ২০৬ দশমিক ২৮ একর জমি অবৈধ দখলদারদের দখলে চলে গেছে। গত কয়েক বছরে ২০ হাজার ১০৮ একর জমি উদ্ধার করলেও ৩৮ হাজার ছয়শ ৬৬ দশমিক ১৯ একর জমি এখনও উদ্ধার করতে পারেনি বনবিভাগ। প্রায় ২২ হাজার একশ জন লোক এই বনভুমি দখল করে আছে। এদিকে শুধু মধুপুরে বনভুমির পরিমান ৪৫ হাজার ৫৬৫ দশমিক ১৮ একর। এর মধ্যে সংরক্ষিত ১১ হাজার ৬৭১ দশমিক ২১ একর ও সংরক্ষিতের বাইরে বন বিভাগের জমির পরিমান ৩৩ হাজার ৮৯৩ দশমিক ৯৭ একর। যার মধ্যে অবৈধ দখলে রয়েছে ১৫ হাজার ৩৭৯ দশমিক ১৪ একর জমি। এর বেশিরভাগ জমি সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতা ও নৃতাত্বিক গোষ্টির নেতারা দখল করে রেখেছেন।

একতার কণ্ঠ

বনের জায়গায় গড়ে ওঠা স’মিল

এছাড়াও বনের কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জেলার সংঘবদ্ধ গাছ চোররা প্রতিনিয়ত বন থেকে গাছ চুরি করছে। ফলে বঞ্চিত হচ্ছে সামজিক বনায়নের অংশিদাররা। সরকার বঞ্চিত হচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে।

অনুসন্ধান এবং বনবিভাগের বনভুমি জবরদখল ও উদ্ধার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের তথ্য ঘেটে জানা গেছে, সংরক্ষিত বনের মধুপুরের জামগাছার গ্রামের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আইজউদ্দিন মন্ডল দোখলা রেঞ্জের চাদপুর বিটের ফুলবাগচালা মৌজার তিনশ একর জমি জবরদখল করে রেখেছেন। হাগড়াকুড়ি গ্রামের বিএনপি নেতা সাদেক আলী দোখলা রেঞ্জের চাঁদপুর বিটের জোরামগাছা মৌজার ২০ একর, থানারবাইদের স্থানীয় নৃগোষ্ঠির নেতা রাগেন্দ্র নকরেক দোখলা বিটের পীরগাছা মৌজার দুইশ ৫০ একর, বাঘাডোবার আওয়ামী লীগ নেতা নস্কর মেম্বার ফুলবাগচালা মৌজার দুইশ একর, জামাল উদ্দিন একশ একর, চুনিয়ার বাবুল মৃ অরনখোলা মৌজার ৭০ একর, চুনিয়ার টমাস নকরেক অরনখোলা মৌজার ৫৫ একর, বাঘাডোবার আওয়ামী লীগ নেতা ময়নাল মেম্বার ফুলবাগচালা মৌজার ৫৩ একর, সুরেনটালের আওয়ামী লীগ নেতা রেফাজ উদ্দিন ফুলবাগচালা মৌজার ৫২ একর, সুরেনটালের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আজিদ ফুলবাগচালা মৌজার ৪০ একর, সুরেনটাল গ্রামের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ ফুলবাগচালা মৌজার ৩৫ একর, শোলাকুড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং বন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব আলী অরণখোলা মৌজার ৩৫ একর, কাইল্যা কুড়ি গ্রামের নৃ গোষ্টির নেতা প্রীতিনাশ নকরেক অরনখোলা মৌজার ৩০ একর, টাঙ্গাইল জেলা কৃষকদলের সহ-সভাপতি আমলীতলা গ্রামের লস্কর মেম্বার জাউস রেঞ্জের গাছাবাড়ি বিটের ১৬ একর, হাগড়াকুড়ি গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ওহাব সরকার জোরামগাছা মৌজার ১৫ একর, হাগড়াকুড়ির আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হামিদ ২০ একর, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল করিম ২০ একর, অরণখোলার জাউস রেঞ্জের গাছাবাড়ি বিটের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা হযরত আলী ৮১ একর, গাছাবাড়ির চানমাহমুদ ছানা ৫১ একর, টেলকি শাখার ট্রাক ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাধুপাড়ার প্রশান্ত মানকিন লহরিয়া বিটের প্রায় ৫০ একর , মধুপুরের কলাচাষি সংগঠনের সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা গেছুয়াগ্রামের আব্দুর রহিম বেরিবাদ বিটের ৩৪ দশমিক ৫০ একর, মাগন্তিনগরের বিজিত টিটো ৩০ দশমিক ১০ একর, অরণখোলা ইউনিয়নের মেম্বার ও ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গাছাবাড়ির মজিবর রহমান ২৯ দশমিক ৫০ একর জমি দখল করে রেখেছেন। তিনি মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরোয়ার আলম খান আবুর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে জমি দখলে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও চুনিয়ার মোতালেব হোসেন ৯ দশমিক ৭৫ একর জমি জবরদখল করে রেখেছেন। অরণখোলা সদরবিটের প্রায় ৫ একর জমি দখল করে রেখেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস ছালাম, নুরু মিয়া, আব্দুল খালেক, কাদের, মুক্তার হোসেন ফকির, আক্তার হোসেন ফকির, আছকের আলী, আজিজুল হক শহিদ ও আব্দুর রহিম মিয়া।

অপরদিকে, সংরক্ষিত বনভুমির বাইরেও অন্যান্য শ্রেনিভুক্ত মধুপুর রেঞ্জের চাড়ালজানি বিটের চুনিয়া মৌজায় বেসরকারি সংস্থা বুরে‌্যা বাংলাদেশ ৬ দশমিক ৮৫ একর, কাকরাইদের ইয়রুন নেছা ৩০ একর, প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ভাগ্নে গাছাবাড়ির সরাফত আলী ২ দশমিক ৩০ একর, সোহরাব আলী ২ দশমিক ৩০ একর, কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের মিয়া ৩ একর, দিগলবাইদের ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম ২ দশমিক ৯ একর, জাঙ্গালিয়ার ব্যবসায়ী আজিজ খাঁ প্রায় ৯ একর, দলিল লেখক নুরু মিয়ার প্রায় ১২ একর মাগন্তিনগরের বাদশা মিয়া প্রায় ২০ একর, নয়াপাড়া গ্রামের আফতাবউদ্দিন প্রায় ৫ একর জমি জবর দখল করে রেখেছেন।

সরেজমিন ঘুরে, বনবিভাগ ও স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মোটের বাজারের ছামান আলী নামে এক ব্যক্তি বন বিভাগের জমি কার্টিজ মুলে ক্রয় করে মাটি ভরাট করে জমি দখল করেছেন। শুধু ছামান আলী নয় প্রভাবশালী অনেকেই বন বিভাগের জমি এভাবে দখল করে নিচ্ছে। কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বসতি নির্মাণ করে বনের জমিকে নিজের বলে দাবি করে থাকে। দখলদারদের কেউ কেউ বন বিভাগের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেন। বন বিভাগের জায়গা দখল করে ভুয়া দলিল ও কাগজপত্র তৈরি করে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে । আবার দখলদাররা আইনি ঝামেলা এড়াতে কৌশলে জমি খোলা স্ট্যাম্পে বিক্রি করে দেন। বনবিভাগও জমি উদ্ধার করতে হাজার হাজার মামলা করেছেন। কিন্ত কাজের কোন কাজ কিছুই হয়নি । এছাড়া উচ্ছেদ অভিযানও করতে পারেনি। তবে কয়েকজন দখলদার দাবি করেন, সংরক্ষিত বনের বাইরে ৪ ও ৬ ধারার জমি সিএস পর্চামূলে তারাই মালিক। এসএ ও আরএসে মালিক বনবিভাগ। যখন সরকার রায় পাবে তখন তারা বন বিভাগের জমি ছেড়ে দিবে।

মহিষমারা হামের বাজারের মহর আলী জানান, তার সামাজিক বনায়নের প্লট থেকে সম্প্রতি গাছ চুরি হয়। স্থানীয় সিএফডব্লিউ শামছুল হক এ গাছ কেটে নিয়েছে। শামছুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, গাছগুলো সামাজিক বনায়নের নয়। সদ্য বিদায়ী মহিষমারা বিট কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন জানান, মোটের বাজার এলাকার গাছ চুরির ঘটনায় ওমর ফারুকের নামে মামলা হয়েছে। এখন সিএফডব্লিউওরা তাদেরকে সহযোগিতা করে। কিভাবে জমি ও বন উদ্ধার হবে এ প্রশ্ন তারও।

শোলাকুড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং স্থানীয় বন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ইয়াকুব আলী বলেন, ওই জমির মধ্যে কিছু জমি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। তবে বেশ কিছু জমি বনবিভাগ সামাজিক বনায়ন করেছে। সব জমি সামাজিক বনায়ন করলে তাদের কোন আপত্তি থাকবে না।

অরণখোলা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান বলেন, বনবিভাগ ওই জমি ১০ বছরের জন্য তাকে প্লট করে দিয়েছেন। তার সেই দলিলও রয়েছে।

এদিকে বনভূমি জবরদখল ও সামাজিক বনায়নের গাছ চুরি অব্যাহত রয়েছে। বন এলাকার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স’মিল স্থাপনের বিধান না থাকলেও বন বিভাগের গুটিকয়েক কর্মকর্তাদের অনৈতিক সুবিধা দিয়ে অনুমোদনহীনভাবে চলছে স’মিল। এসব মিলে দিনরাত চলছে বনের কাঠ চিরাই। চুরি হচ্ছে বনের গাছ। বন বিভাগের নজরদারির অভাবে বিভিন্ন প্লটের গাছ কেটে নেয়া হচ্ছে।

হাজীপাড়া এলাকার খোরশেদ আলম জানান, ওমর ফারুক মহিষমারা বিটের বনায়ন ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। সামাজিক বনায়ন ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্বে থেকেও অবাধে গাছ কেটে সামাজিক বনায়ন উজার করছেন। মহিষমারা বিটের বনায়ন ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অংশীদারি খোরশেদ আলম আসবাবপত্র বানানোর জন্য তার কাছে গাছ চেয়েছিল বিধায় গাছ কাটা হয়েছে। গাছ চাইলেই আপনি সরকারী গাছ কাটতে পারেন কিনা? এমন প্রশ্নের কোন জবাব দেননি। ফারুক আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে স্থানীয়রা মুখ খুলতে সাহস পায় না। তার বিরুদ্ধে একাধিক বন মামলাও রয়েছে।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান জানান, জবরদখল মুক্ত করতে কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার অভাব নেই ।ইতোমধ্যে বনের জবরদখলকৃত জমির তালিকা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। সরকারে সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
জেলা প্রশাসক ড. মোঃ আতাউল গনি সম্প্রতি মধুপুরে সামাজিক বনায়ন কর্মসুচি উদ্বোধন করতে গিয়ে বনের জবরদখলকৃত এক ব্যক্তির লেবু বাগান দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বনের জমি এভাবে দখল থাকতে পারে না। দখলকারী যতবড় প্রভাবশালী লোকই হোক না কেন তাদের উচ্ছেদ করে বনের জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষা করা হবে। ইতিমধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি থেকে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে অবৈধ দখলে থাকা বনভুমি উদ্ধারে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরী এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ,বাজার ও ব্যক্তি পর্যায়ে জমি উদ্ধারে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাই জবরদখলকারীদের দ্রুত উচ্ছেদ করা হবে।

প্রতিবেদকঃ মো. আরমান কবীর সৈকত

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৫. এপ্রিল ২০২২ ১১:১০:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে পরকীয়ার মিথ্যা অপবাদে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে পরকীয়ার মিথ্যা অপবাদে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুরে পরকীয়ার মিথ্যা অপবাদ  সহ্য করতে না পেরে তোতা মিয়া  নামে অবসরপ্রাপ্ত  এক সেনা কর্মকর্তা  ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। রবিবার (২৭ মার্চ) সকালে উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের পালবাড়ী গ্রামের নিজ বাড়ির গোয়াল ঘরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। মধুপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ(ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুনঃ টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট নিহত

জানা যায়, তোতা মিয়া ও তার স্ত্রী জোহরা বেগম দুজনেই ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। শনিবার রাতে তারা প্রতিদিনের ন্যায় ঘুমিয়ে পড়েন। রবিবার সকালে জোহরা বেগম ঘুম থেকে জেগে দেখেন তার স্বামী তোতা মিয়া বিছানায় নেই। ঘরের দরজাও বাইরে থেকে লাগানো।এ সময় তিনি চিৎকার করলে প্রতিবেশিরা এসে দরজা খুলে দেন। সবাই মিলে তোতা মিয়াকে খুঁজতে গিয়ে গোয়াল ঘরে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

এলাকাবাসী জানায়, তোতা মিয়ার স্ত্রী জোহরা বেগমের নিকট স্থানীয় এক মহিলা পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন। ওই বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর কথা কাটাকাটি হয়। পরকীয়ার মিথ্যা অপবাদ সইতে না পেরে তোতা মিয়া আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা।

মধুপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ(ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন জানান, তোতা মিয়ার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ উদঘাটনের জন্য স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে এখনও কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. মার্চ ২০২২ ০২:১৪:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে বনের ঝরা পাতা কুড়াতেও গুনতে হচ্ছে টাকা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বনের ঝরা পাতা কুড়াতেও গুনতে হচ্ছে টাকা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলে গাছের পাতার দাম এখন ৩ হাজার টাকা। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। রীতিমতো রশিদ দিয়ে টাকা নেয়ার কথা স্বীকারও করেছেন বনকর্মীরা। তাদের দাবি, বনের দেখভালে ব্যবহার করা হয় এই অর্থ। তবে এই বিষয়ে কিছুই জানেন না টাঙ্গাইলের বন কর্মকর্তা।

ফাল্গুন-চৈত্র মাসে গাছের ঝরা পাতার স্তুপ জমে মধুপুর বনাঞ্চলে, যা কুড়িয়ে জ্বালানির কাজ চলে স্থানীয়দের। কেউ আবার কুড়ানো পাতা বিক্রি করে রোজগার করেন। কিন্তু এতে বাধ সেধেছেন রেঞ্জ কর্মকর্তারা। দোখলা রেঞ্জে শুকনো পাতার জন্য প্রতিজনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন তারা।

অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পাওয়া যায়নি দোখলা রেঞ্জ কর্মকর্তাকে। তবে রশিদ দিয়ে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করছেন এক বনকর্মী। তার দাবি, বনরক্ষায় খরচ হয় এই অর্থ।

এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে কিছুই জানা নেই বলে দাবি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার। টাঙ্গাইল বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো সাজ্জাদুজ্জামান বলেন, এমন কোনো অভিযোগ থাকলে এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করবো।

প্রসঙ্গত, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৮২ সালে বনের ৮৪ হাজার ৩৬৬ হেক্টর জায়গাকে মধুপুর ও ভাওয়াল নামে দু’টি জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৩. মার্চ ২০২২ ০২:৪২:এএম ৩ বছর আগে
প্রেমিকার অন্যত্র বি‌য়ে,  ঢাবি শিক্ষার্থী টাঙ্গাইলের প্রিতমের আত্মহত্যা - Ekotar Kantho

প্রেমিকার অন্যত্র বি‌য়ে, ঢাবি শিক্ষার্থী টাঙ্গাইলের প্রিতমের আত্মহত্যা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপু‌রে প্রেমিকার অন্যত্র বি‌য়ে হ‌য়ে যাওয়ায় প্রিতম কুমার সিংহ আকাশ (২১) নামে ঢাকা বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত‌্যা ক‌রে‌ছেন। রোববার (০৬ ফেব্রুয়া‌রি) দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি বিষপান করেন। পরে ময়মন‌সিংহ মে‌ডি‌কেল ক‌লে‌জ হাসপাতা‌লে নেওয়ার প‌থে তার মৃত্যু।

প্রিতম কুমার সিংহ আকাশ মধুপুর পৌরসভায় সাথী সি‌নেমা হল রো‌ডের পা‌র্শ্বের উত্তম কুমার সিং‌হের ছে‌লে। তিনি ঢাবির চারুকলা বিভা‌গের স্নাতক (সম্মা‌ন) শেষ ব‌র্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গে‌ছে, টাঙ্গাইলের কুমু‌দিনী সরকারি ম‌হিলা ক‌লে‌জের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল প্রিতমের। সম্প্রতি মেয়েটির অ‌ন‌্যত্র বি‌য়ে হ‌য়ে যায়। প্রেমিকা‌কে হারানোর বেদনা ও ক্ষোভে রোববার(৬ ফেব্রয়ারি) রাতে নিজ বাড়িতে ইঁদু‌র মারার বিষপান করে আত্মহত‌্যার চেষ্টা ক‌রেন প্রিতম। এতে তিনি অসুস্থ‌ হ‌য়ে পড়‌লে প্রথ‌মে তাকে মধুপুর উপ‌জেলা স্বাস্থ‌্য কম‌প্লে‌ক্স ভ‌র্তি ক‌রে। প‌রে তার শা‌রীরিক অবস্থার অবন‌তি হ‌লে উন্নত চি‌কিৎসার জন‌্য ময়মন‌সিংহ মে‌ডি‌কেল কলেজ হাসপাতা‌লে নেওয়ার প‌থে তার মৃত‌্যু হয়। প‌রে সোমবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বি‌কে‌লে টাঙ্গাইলের রানিদিনমনি মহাশ্মশান ঘা‌টে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

মধুপুর পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়া‌র্ডের কাউন্সিলর বাবলু আকন্দ বলেন, প্রেমঘ‌টিত কার‌ণে প্রিতম আত্মহত‌্যা ক‌রে‌ছেন ব‌লে জানতে পে‌রে‌ছি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৮. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০২:২৯:এএম ৩ বছর আগে
দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী - Ekotar Kantho

দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না: কৃষিমন্ত্রী

একতার কণ্ঠঃ কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের প্রয়োজনীয় খাদ্য নিশ্চিত করেছেন। দেশে এখন আর কেউ না খেয়ে থাকে না।

এখন প্রধানমন্ত্রী মানুষের বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কাজ করছেন। ঘরহীনকে ঘর দিচ্ছেন, যাতে করে কেউ ঘরহীন, গৃহহীন না থাকে। এ দেশে কেউ ঘরহীন থাকবে না।

শনিবার (৫ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের মধুপুরে শোলাকুড়িতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিতরণ ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মধুপুর উপজলা প্রশাসন ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মধুপুরের আদিবাসী গারোদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, বাঙালি, গারো, হাজং, চাকমা, মারমাসহ অবাঙালি ও সকল ধর্মের বর্ণের সবাই মিলে আমরা একটা পরিবার। বর্তমান সরকার আদিবাসী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু কিছু এনজিও আদিবাসীদের উন্নয়নের নামে বিদেশি সাহায্য এনে নিজেদের ব্যক্তিগত উন্নয়নে ও বাড়ি-গাড়ি কেনায় তা ব্যয় করছে। এ ব্যাপারে আদিবাসীদের সচেতন থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, গারোদের ওপর বন বিভাগের অযৌক্তিক মামলা প্রত্যাহারে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। কোনো গারোকে তার বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হবে না এবং কেউ বন বিভাগের অযৌক্তিক মামলার মাধ্যমে হয়রানির শিকার হবেন না।

অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীমা ইয়াসমিন, পৌরসভার মেয়র মো. সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াকুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ আহম্মেদ নাসির, শোলাকুড়ি ইউপির চেয়ারম্যান আখতার হোসেন প্রমুখ  উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. ফেব্রুয়ারী ২০২২ ০১:২৯:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে নতুন করে ৭৩ জন করোনা আক্রান্ত,শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে নতুন করে ৭৩ জন করোনা আক্রান্ত,শনাক্তের হার ৩৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৭৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ২১৫ জনের নমুনা পরীক্ষার রির্পোটে ৭৩ জনের করোনা সনাক্ত হয়। শনাক্তের হার শতকরা ৩৩ দশমিক ৯৫ ভাগ।সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান,  এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২১৬ জন।আক্রান্তদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদরে ৫৮ জন, দেলদুয়ার উপজেলায় ৩ জন, সখীপুর ২ জন, কালিহাতী ৩জন , মধুপুর ৪জন, ভূঞাপুর ২ জন ও গোপালপুর উপজেলায় ১ জন নিয়ে মোট ৭৩ জন।

তিনি আরো জানান, আক্রান্তদের মধ্যে মোট সুস্থ্য হয়েছে ১৬ হাজার ৬৭৫ জন।তবে ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি। জেলায় সর্বমোট করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ২৬০ জন।

অপরদিকে, টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের তিনজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সোমবার নারী ও শিশু আদালতের সকল বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আদালতে তালা ঝুলছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আলী আহমেদ জানান, আদালতের তিনজন স্টাফ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারনে সকল বিচারিক কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৫. জানুয়ারী ২০২২ ১২:১৫:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও শিশুসহ নিহত ৩ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় মা ও শিশুসহ নিহত ৩

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপু‌রে পিকআপের ধাক্কায় সিএন‌জি চালিত অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হ‌য়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন মহিলা ও এক শিশু রয়েছে। শুক্রবার (৭ জানুয়া‌রি) সকাল ৭টার দি‌কে মধুপুর বাসস্ট‌্যান্ড সংলগ্ন রুপালী ফি‌লিং স্টেশ‌নের কা‌ছে ওই ঘটনা ঘ‌টে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তা‌রিক কামাল।

নিহত পুরু‌ষের বা‌ড়ি শেরপু‌রের শ্রীবরদী উপ‌জেলায়, এবং শিশু ও নারীর বা‌ড়ি জামালপু‌রের দেওয়ানগঞ্জ উপ‌জেলায়। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তা‌রিক কামাল  জানান, দুর্ঘটনায় শিশু ও তার মাসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। ত‌বে তা‌দের প‌রিচয় পাওয়া যায়‌নি। দুর্ঘটনা কব‌লিত প‌রিবহনগু‌লো জব্দ ক‌রে থানায় আনা হ‌য়েছে।

একতার কণ্ঠ

তিনি আরো জানান, নিহত‌দের প‌রিচয় শনা‌ক্তের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৭. জানুয়ারী ২০২২ ০৬:৩৭:পিএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে ইয়াসমিন (১৯) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের ধরাটি টানপাহাড় এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই গৃহবধূর স্বামী নুরুন্নবীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ইয়াসমিন ওই এলাকার আব্দুল লতিফ মৃধার মেয়ে।

গৃহবধূর চাচা জুলহাস উদ্দিন জানান, কুড়াগাছা ইউনিয়নের ধরাটি গ্রামের হাসু মিয়ার ছেলে নুরুন্নবীর সাথে পারিবারিকভাবে ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে পারিবারিক কলহের জের ধরে ইয়াসমিনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার উপর নির্যাতন করত। এক বছর আগে ইয়াসমিন একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ধরাটি টানপাহাড় এলাকায় একটি জলপাই গাছের নিচে ইয়াসমিনকে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াসমিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

গৃহবধূর শাশুড়ি নূরজাহান বেগম জানান, তাদের নতুন বাড়িতে কাজ চলছে। এ জন্য তিনি সেখানেই ছিলেন। ছেলের বউ বাড়িতে একাই ছিল। কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে তা তিনি বলতে পারছেন না।

মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক কামাল জানান, বিকেলে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। গৃহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা আব্দুল লতিফ মৃধা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী নুরুন্নবীকে আটক করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. অক্টোবর ২০২১ ০৪:৩৬:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে হত্যার পর সেতুর রেলিংয়ে ঝুলাল ভ্যানচালকের লাশ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে হত্যার পর সেতুর রেলিংয়ে ঝুলাল ভ্যানচালকের লাশ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় চানমিয়া চানু (৬০) নামে এক ভ্যানচালক খুন হয়েছেন। তাকে হত্যা করে সেতুর রেলিংয়ে ঝুলিয়ে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা বলে জানান স্থানীয়রা। বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকালে পলাইআটা-ধলপুর সেতুতে ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।কুড়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহাম্মদ আলী  ওই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত চান মিয়া কুড়ালিয়া ইউনিয়নের ধলপুর গ্রামের পলাইআটার মৃত জুব্বার মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন।

কুড়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহাম্মদ আলী জানান, সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিনের কাছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গামছায় পা বাঁধা অবস্থায় নেটের প্লাস্টিক রশিতে ঝুলে থাকা চানুর লাশ দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

মধুপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) তারিক কামাল জানান, দুপুর ১২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৪. অক্টোবর ২০২১ ১২:৩০:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে মাদকাসক্ত নাতির হাতে বৃদ্ধা দাদী খুন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে মাদকাসক্ত নাতির হাতে বৃদ্ধা দাদী খুন

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় সেফাতন নেছা খান (৯০) নামে এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই বৃদ্ধার নাতি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে ধারণা করেছেন স্থানীয়রা। রবিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের মহিষমারা গ্রামের বাগানবাড়ি চৌরাস্তা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে।

মৃত সেফাতন নেছা খান ওই গ্রামের মৃত সিরাজ খানের স্ত্রী। ঘাতক নাতির নাম মঞ্জুর হোসেন (২৫)। তিনি সেফাতন নেছার ছেলে মনসুর আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, মঞ্জুর মাদকাসক্ত। তিনি নেশার টাকার জন্য দাদির কাছে টাকা চেয়েছিলেন। না পেয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারণা করছেন।

নিহতের স্বজনের বরাতে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিক কামাল জানান, সেফাতন নেছা বাড়িতে একা ছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে তার নাতি মঞ্জুর হোসেন তার কাছে টাকা দাবি করেন। সেফাতন নেছা টাকা দিতে অস্বীকার করলে মঞ্জুর একপর্যায়ে কুপিয়ে প্রথমে সেফতন নেছাকে আহত ও পরে তাকে গলাকেটে হত্যা করেন। সেফাতন নেছার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসার পর মঞ্জুর পালিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। তারা হত্যাকারীকে আটক করার অভিযানে আছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. অক্টোবর ২০২১ ০১:৩৮:এএম ৩ বছর আগে
টাঙ্গাইলে স্বপ্নের আগর বাগান করে দুঃস্বপ্ন দেখছে মালিকরা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্বপ্নের আগর বাগান করে দুঃস্বপ্ন দেখছে মালিকরা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের পাহাড়িয়া অঞ্চল মধুপুর ও ঘাটাইলের বাগান মালিকরা স্বপ্নের আগরগাছের বাগান করে এখন দুঃস্বপ্ন দেখছে। চারা লাগানোর ১০ বছরে বড় হয়ে পরিপক্ক হয়ে সুগন্ধি কষ বেড়োনোর কথা। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পাড় হওয়ায় পরও তার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা।

গাছগুলো পরিপক্ক হতেই আরও ৫-৬ বছর সময় লাগবে বলে বন বিভাগ সাফ বলে দিয়েছে। ফলে স্বপ্নের আগর বাগান তাদের কাছে এক দুঃস্বপ্নের গাছে পরিণত হয়েছে।

জানাগেছে, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বনবিভাগ আগর বনায়নের প্রকল্প হাতে নেয়। আগর মূলত একটি গাছের নাম। আগর শব্দের আভিধানিক অর্থ উৎকৃষ্ট বা সুগন্ধবিশিষ্ট কাঠ। ওই সময় মধুপুর ও ঘাটাইলের পাহাড়ি অঞ্চলের লালমাটির বেশ কিছু এলাকায় আগরের বাগান করা হয়।

এক প্রকার জোর করেই তাদের দিয়ে আগরের বনায়ন করানো হয়েছিল। মূল্যবান আগরগাছের বাগান করলে তাড়াতাড়ি ধনী হওয়া যাবে। ১১ বছরের মধ্যে গাছগুলোতে নম্বর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৩-১৪ বছরেও গাছে নম্বর ফেলানো হচ্ছে না। এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বনবিভাগকে বার বার অনুরোধ করা হয়েছে।

ওই সময় বন বিভাগ থেকে বলা হয়েছিল, আগর চাষ দারুণ লাভজনক। এর কাঠ বিশেষ কায়দায় খ-বিখ- করে প্রসেসিংয়ের পর এর নির্যাস বাস্পীভবন ও শীতলীকরণের মাধ্যমে দামি সুগন্ধি আতর, ওষুধ, সাবান, শ্যাম্পু, পারফিউম এবং অবশিষ্ট অংশ আগরবাতি বানানোর কাজে ব্যবহৃত হবে।

এভাবে আগর চাষে বাগান মালিকদের ভাগ্য বদল হবে। সে সময় ভাগ্য বদলের স্বপ্নে অনেকেই আগর চাষ করেছিল। বর্তমানে গাছের বয়স ১৩-১৪ বছর হলেও আগরগাছগুলো এখনও পরিপক্ক বা কষ বেড় হওয়ার উপযুক্ত হয়নি। বনবিভাগ বাগানের আগরগাছ থেকে কষ বের করার জন্য পেরেক মারার কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।

আগর গাছের কোন নাম্বারিংও করেনি। এছাড়া টাঙ্গাইল জেলায় আগরগাছ প্রসেসিংয়ের কোনো কারখানা নেই। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় কারখানা থাকলেও ফরেস্ট ট্রানজিট রুলসের কারণে সেখানে গাছ সরবরাহ করা কষ্টসাধ্য।

সরেজমিনে জানা যায়, মধুপুর ও ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় সারি সারি আগরগাছ দাঁড়িয়ে আকাশ ছোঁয়ার চেষ্টা করছে। তবে গাছগুলো এখনও পরিপক্ক বা প্রসেসিং করার উপযোগী হয়নি।

রোপণের সময় বন বিভাগ জানিয়েছিল, আগর চারা লাগানোর ১০ বছরের মধ্যে তা প্রসেসিংয়ের পর কষ থেকে সুগন্ধি তৈরি করা হবে- যার দাম লাখ লাখ টাকা, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।

ঘাটাইলের সাঘরদিঘী রেঞ্জের কামালপুর গ্রামের বাগান মালিক কামরুল হাসান জানান, তিনি দেড় একর পৈত্রিক সম্পত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খাস হওয়ার ভয়ে এক রকম বাধ্য হয়েই আগরগাছের বাগান করেন। যদিও বাগান করতে তখন তাকে লাখ লাখ টাকা লাভের স্বপ্ন দেখানো হয়।

কিন্তু লাভ তো দূরের কথা দীর্ঘ ১৩-১৪ বছরেও আগরগাছ পরিপক্কই হয়নি। দেড় একর জায়গায় আগরগাছ লাগিয়ে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এটা থেকে কোনো আয় হবে কি না সন্দেহ রয়েছে। শুধু তিনি নন এলাকার অনেকেই আগরগাছ লাগিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

তিনি জানান, আগরগাছ সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা ছিল না। বনবিভাগ জানিয়েছিল, এই গাছ থেকে এক ধরণের সুগন্ধি বের হবে- যা অনেক মূল্যবান।

কামরুল হাসান জানান, এক প্রকার জোর করেই তাদের দিয়ে আগরের বনায়ন করানো হয়েছিল। মূল্যবান আগরগাছের বাগান করলে তাড়াতাড়ি ধনী হওয়া যাবে। ১১ বছরের মধ্যে গাছগুলোতে নম্বর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ১৩-১৪ বছরেও গাছে নম্বর ফেলানো হচ্ছে না। এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বনবিভাগকে বার বার অনুরোধ করা হয়েছে।

সাঘরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. ওয়াজেদ আলী ও ভুক্তভোগী অপর বাগান মালিক আব্দুল খালেক জানান, আগর গছের জন্য যে সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল তা তিন বছর আগেই পাড় হয়েছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে আগরগাছের বাগান করা হয়েছিল।

বনবিভাগ বলেছিল এগুলো থেকে বহু টাকা আয় হবে। তখন বনবিভাগের সঙ্গে বাগান মালিকদের দলিলের মাধ্যমে চুক্তিনামা হয়েছিল। সেখানে গাছের ১০ বছরের মেয়াদ ছিল। কিন্তু এখন ১৩-১৪ বছর পাড় হলেও গাছের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। প্রথম দিকে বনবিভাগ খোঁজ-খবর নিলেও গত কয়েক বছরে তারা কোনো খোঁজই নেয়নি।

তারা জানান, ওই ভূমিতে অন্যান্য গাছ, বিভিন্ন সবজি বা ফল জাতীয় গাছ লাগালে ১৩ বছরে অনেক লাভবান হতে পারতেন। আগরগাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো কষ বের হতে তারা দেখেন নাই। এ বিষয়ে বনবিভাগ কোন উদ্যোগও নেয়নি।

মধুপুর উপজেলার কুড়াগাছা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক জানান, বনবিভাগের প্রভাবে দীর্ঘ একযুগ আগে তিনি দেড় বিঘায় আগরগাছ লাগিয়েছেন। আগর গাছে না কি সোনা ফলে- সোনার দামে তো দূরের কথা, সস্তা জ্বালানি কাঠ হিসেবেও ওই গাছ বিক্রি করা যাচ্ছে না।

টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক জানান, মধুপুর ও ঘাটাইলের পাহাড়িয়া অঞ্চলে সরকারি আগর প্রকল্পের গাছ এখনও পরিপক্ক হয়নি। তাদের আরও কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে। এখনও আগর প্রডাশনের অবস্থায় আসেনি।আগর সত্যিই অতি মূল্যবান গাছ। যখন আগর প্রডাকশন হবে তখন তাদের ভুল ভেঙে যাবে। তারা লাভবান হবেন।তিনি আরও জানান, আগর গাছগুলো তিনি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। গাছগুলো এখনও যথেষ্ট চিকন এবং অপরিপক্ক। পরিপক্ক হতে আরও সময় দিতে হবে।

আগামি ৫-৬ বছরের আগে গাছ পরিপক্ক হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। জেলায় প্রসেসিংয়ের ব্যবস্থা করা হলে তা থেকে খুব একটা লাভবান হওয়া যাবে না। গাছগুলো থেকে পুরোপুরি লাভবান হতে হলে মৌলভীবাজারে পাঠাতে হবে।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৬. অক্টোবর ২০২১ ০১:৪২:এএম ৩ বছর আগে
মধুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যু - Ekotar Kantho

মধুপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মধুৃপুর উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় রফিকুল ইসলাম (১৬) নামে দশম শ্রেনীর এক ছাত্র নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নে কালিয়াকুড়ি নামক স্থানে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।রফিকুৃল ইসলাম কালিয়াকুড়ি গ্রামের ময়েন উদ্দিনের ছেলে এবং কালিয়াকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার ফুলবাগচালা ইউনিয়নের কালিয়াকুড়ি জামালের মোড় নামক স্থানে রাস্তার পাশে বসে দশম শ্রেনীর ছাত্র রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে গেমস খেলছিল। হঠাৎ বেপোরয়া গতিতে একটি মাইক্রো (হায়েচ) রফিকুলের উপর দিয়ে তুলে দেয়। স্থানীয়রা গুরতর আহত অবস্থায় রফিকুলকে উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। গাড়ী চালক সুভকচনা গ্রামের সালেম মারাকের ছেলে ফারুক নকরেককে স্থানীয়রা আটক করে।

ঘটনার ধামাচাপা দিতে তরিঘড়ি করে স্থানীয় ফুলবাগচালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বেনু, সদস্য ময়নাল হক ও মোস্তফা মিয়া পরিষদে বসে নিহতের পিতা ময়েন উদ্দিন, অভিযুক্ত গাড়ী চালক ফারুক নকরেক, তার পিতা সালেম মারাকসহ স্থানীয় আধিবাসী নেতা তুষার নকরেক মধ্যস্থতায় মাঝরাত পর্যন্ত সালিশী বৈঠক করে। বৈঠকে নিহত রফিকুলের পিতাকে ক্ষতিপুরণ বাবদ ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়ার সাব্যস্ত হয়। শনিবার কোন রকম ময়না তদন্ত ছাড়াই দুর্ঘটনায় নিহত রফিকুল ইসলামের মরদেহ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ময়নাল হক বলেন, সালিশের মীমাংসার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান জানেন।

ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বেনু সালিশে মীমাংসার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, সালিশের সময় আমি অন্য রুমে ছিলাম, সিদ্ধান্তটি ইউপি সদস্য ময়নাল হক, মোস্তফা মিয়া, আদিবাসী নেতা তুষার নকরেক, গাড়ী চালক ফারুক নকরেক ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকায় মীমাংসা করেন।

মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তারিক কামাল জানান, দুর্ঘটনার বিষয়টি তিনি জানেন, নিহতের পিতা মামলা না করায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। তবে ঘটনার বিষয়ে সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. সেপ্টেম্বর ২০২১ ০১:৪৩:এএম ৩ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।