একতার কণ্ঠঃ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্নাঢ্য র্যালি এবং আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে টাঙ্গাইলে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালন করা হয়েছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সকালে দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হক। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নিবাহী অফিসার(ইউএনও ) রুহুল আমিন শরিফ ও জেলা তথ্য অফিসার তাহলিমা জান্নাত প্রমুখ।
আলোচনা সভায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনকরণের গুরুত্ব উপস্থাপন করা হয়।শিশু জন্ম গ্রহণের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করার নির্দেশনা প্রদান করা হয় আলোচনা সভায়।
এ সময় আলোচনা সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন।
শুক্রবার(৪ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সড়কের উপজেলার বাংড়া ইউনিয়নের শোলাকুড়া রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে দুইজনের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে,তারা হলেন, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উজেলার ঘাগড়া গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩) ও জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার মহিষবায়ান গ্রামের মরহুম আব্দুর ওয়াজেদের ছেলে জিয়াউল হক (৩৪)। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নান্নু খান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী একটি বাসের সাথে কালিহাতী থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন। পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আহত অপর দু’জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে মহাসড়কে বৃষ্টি ও ছোটখাটো দুর্ঘটনার ফলে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এড. মোতালিব হোসেনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে মগড়া ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন কুইজবাড়ি আঞ্চলিক সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে মগড়া ইউনিয়ন বিএনপি।
সভা আহ্বান ছাড়া বাজেট, বৈষম্যহীন ট্যাক্স, বিভিন্ন উন্নয়ন তহবিলের টাকা ও প্রকল্পের নামে টাকা আত্মসাত, পরিষদে গড় হাজিরার মত দূর্নীতিতে সম্পৃক্তসহ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট মুতালিব হোসেনের অপসারণের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মগড়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান উত্তম, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য হারুন মিয়া প্রমুখ।
এ সময় ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক খোদা বক্স, সদস্য সচিব রাসেল রানা, স্বেছাসেবক দলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক মাইন উদ্দিনসহ ইউনিয়ন বিএনপি এবং এর অঙ্গসহযোগী সংগঠণের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ প্রাইভেট ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স এসোসিয়েশন টাঙ্গাইল জেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে ছাইদুল হক ছাদুকে সভাপতি ও রেজাউল করিম রেজাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের ভিক্টোরিয়া রোডে অবস্থিত সংগঠনের স্থায়ী কার্যালয়ে ডা. আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে গঠিত কমিটিকে উপদেষ্টা জাফর আহমেদ অনুমোদন দেন।
এ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছেন, কার্যকরী সভাপতি ডা. এ কে এম আব্দুল হামিদ, সহ-সভাপতি বাহালুল হক নিপু, আজমল হোসেন খান, যুগ্ম-সম্পাদক ফজলুল হক, অর্থ সম্পাদক জয়নুল আবেদীন জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক জগলুল হায়দার সোহেল, দপ্তর সম্পাদক আবু কায়ছার, সমাজ কল্যান সম্পাদক ওয়াহেদ রাশেদ রিটু, প্রচার সম্পাদক কামাল হোসেন, কার্যকরি সদস্য সাইফুজ্জামান কল্লোল, ওয়ারেছ সিকদার, সাজ্জাদ ইসলাম স্বপন, খ. মুবাসসিরুল হক মোবিন, খুররম খান ইউসুফী, আনোয়ার হোসেন, জসিম উদ্দিন, সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ তৌহিদ, আবু ইশা মনির, ফরহাদুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, বেল্লাল হোসাইন, মোফাজ্জল হোসেন রিপন ও ইদ্রিস মিয়া।
একতার কণ্ঠঃ ভারতের মহারাষ্ট্রে বিজেপি নেতা নিতেশ রানে ও ধর্মগুরু রামগিরি মহারাজ কর্তৃক মুসলমানদের হত্যার হুমকি ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে টাঙ্গাইলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল সদরের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিক্ষোভটি মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে এসে মিছিলটি সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোঃ কামরুল ইসলাম, আল-আমিন, মনিরুল ইসলাম, আকরাম, সিয়াম, মুফতি আব্দুর রহমান, মাওলানা ইসমাঈল, মুফতি মুকাব্বির প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, মহানবীকে নিয়ে যারা কটুক্তি করছে অবিলম্বে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় মহানবীর সম্মানে মার্চ টু মুম্বাই কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এই সময় বক্তারা ভারতীয় পন্য বর্জনের আহ্বান করেন সমাবেশ থেকে।
পরে মোনাজাতের মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত সমাবেশটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। মোনাজাত করেন মুফতি আব্দুর রহমান।
একতার কণ্ঠঃ সমাপ্ত স্টেপ প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে প্রক্রিয়াধীন টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ১৪ জন শিক্ষকের দীর্ঘ ৫০ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান ও দ্রুত রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে ওই কলেজে কর্মরত রাজস্বখাতে প্রক্রিয়াধীন শিক্ষকবৃন্দদের আয়োজনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, টাঙ্গাইল পলিটেকনিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মাহাবুল আলম, মেকানিক্যাল বিভাগের ইন্সট্রাক্টর আব্দুর রহমান, টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের ইন্সট্রাক্টর সুমন খান, সিভিল বিভাগের ইন্সট্রাক্টর আব্দুল্লাহ মাহমুদ, ইলেকট্রনিক্স বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর দূর্গা রানী, কনস্ট্রাকশন বিভাগের জুনিয়র ইন্সপেক্টর সুুজন সরকার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ৫০ মাস যাবৎ ১৪ জন শিক্ষকের বেতন বকেয়া রয়েছে। বেতন বকেয়া ও বন্ধ থাকার কারণে তারা ক্লাস করাতে পারছে না। এভাবে বেতন বন্ধ থাকলে তাদের সংসার কিভাবে চলবে। তাই তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে ক্লাস যেন নিতে পারে সেজন্য মানববন্ধন থেকে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে তারা।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তি রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) স্থায়ী জামিন পেয়েছেন।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট তিনি অস্থায়ী জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় অস্থায়ী জামিন পাওয়া সহিদুর রহমান ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি রবিবার আ্যম্বুলেন্সযোগে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আসেন। সহিদুরের স্থায়ী জামিন চান আইনজীবীরা। পরে ওই আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান শুনানি শেষে সহিদুরের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান।
সহিদুর রহমানের বাবা আতাউর রহমান খান ও ভাই আমানুর রহমান খান রানা টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য। ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সহিদুরের অপর তিন ভাইও আসামি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বের হয়ে আসে। তারপর সহিদুর আত্মগোপন করেন। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। পরে ২০২২ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিন পেয়েছিলেন। পরে আদালত জামিন বাতিল করার পর ২৮ ফেব্রুয়ারি আবার কারাগারে যান। এরপর ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে ২২ নভেম্বর কারাগার থেকে মুক্ত হন। পরে আদালত তাঁর জামিন বাতিল করলে পরদিনই আদালতে আত্মসমর্পণের পর কারাগারে যান। গত ২৮ আগস্ট অস্থায়ী জামিন পান সহিদুর।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পঁর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ এ হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে এ দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এই হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা এবং তাঁর তিন ভাই সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা জড়িত বলে বের হয়ে আসে।
২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এতে সহিদুররা চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, মামলাটির শুধু তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। অন্য সব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টাঙ্গাইলে গুলিতে নিহত ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফ মিয়া (১৪) হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তানভীর হাসান ফেরদৌস নোমানকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে র্যাব দুপুরে নোমানকে টাঙ্গাইল সদর থানায় হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৪ এর স্কোয়াড কমান্ডার (এএসপি) মো. আব্দুল বাসেত।
গ্রেপ্তারকৃত তানভীর হাসান ফেরদৌস নোমান টাঙ্গাইল পৌরসভার প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এ হত্যা মামলার ১৬ নাম্বার আসামী।
রবিবার দুপুরে নোমানকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদ বলেন, র্যাব গ্রেপ্তারের পর কাউন্সিলর নোমানকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে নোমানকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এখনো রিমান্ড শুনানি হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট নিহত মারুফের মা মোর্শেদা বাদি হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ ৫৬ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় অজ্ঞাত ১৫০ জন থেকে ২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইলে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) এক হিসাবরক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ওই সংস্থাটির পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার(২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে টাঙ্গাইল শহরের সদর সড়কের বেসরকারি সংস্থা ‘সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট থ্রু ইউনিটি’র (সেতু) প্রধান কার্যালয়ের পাশ থেকে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তাঁর নাম হাসান আলী (২৩)। তিনি সিরাজগঞ্জ উপজেলার উল্লাপাড়া থানার পুঠিয়া গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে। হাসান ওই এনজিওর জামালপুরের পিয়ারপুর শাখার সহকারী হিসাবরক্ষক ছিলেন।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মির্জা সাহাদত হোসেনের ছেলে ও সংস্থাটির উপ-পরিচালক (মানবসম্পদ) মির্জা সাকিব হোসেন, উপ-পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম ও মো. শরিফুল ইসলাম, কর্মসূচি ব্যবস্থাপক খায়রুল হাসান ও সহায়ককর্মী রাশেদুল ইসলাম।
সংস্থাটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংস্থাটির পিয়ারপুর শাখার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, ব্যবস্থাপক ও সহকারী হিসাবরক্ষক তিনজন যোগসাজশ করে প্রায় ৪৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় ১৬ সেপ্টেম্বর তিনজনকে প্রধান কার্যালয় টাঙ্গাইলে আনা হয়। অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে আঞ্চলিক ব্যবস্থাপককে ছেড়ে দেওয়া হলেও ব্যবস্থাপক ও হিসাব রক্ষক হাসান আলীকে সপ্তম তলার একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর হাসানের মা-বাবাকে কার্যালয়ে ডেকে এনে বিষয়টি জানানো হয়।
শুক্রবার গভীর রাতে টাঙ্গাইল শহরের সদর সড়কে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় সেতু টাওয়ারের পশ্চিম পাশ থেকে হাসানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ, হাসানকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ ফেলে দেওয়া হয়েছে। পরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে।
তবে সংস্থাটির কর্মকর্তাদের দাবি, শুক্রবার রাতে সাততলা থেকে লাফ দিয়ে হাসান ‘আত্মহত্যা’ করেন। ঘটনার পরপরই রাতে সংস্থাটির পাঁচ কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
নিহত হাসানের বাবা আবদুল লতিফ বলেন, ‘আমার ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। পরে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করছে। আমাকে শুক্রবার রাতে সেতু অফিস থেকে ফোন করে বলা হয়, আপনার ছেলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছে। আপনি আসেন। পরে থানা থেকে ফোন করে হাসানের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।’
শনিবার সন্ধ্যায় নিহত হাসান আলীর মা সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আটক পাঁচজনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ পাঁচজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়।
সেতুর উপ-পরিচালক (প্রশাসন) বিমল চক্রবর্তী বলেন, পিয়ারপুর শাখার ম্যানেজার ও সহকারী হিসাবরক্ষককে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শাখায় সংযুক্ত করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেন। অফিসের সাততলায় তাঁদের থাকার জন্য একটি রুম দেওয়া হয়। সেখান থেকে লাফ দিয়ে হাসান গতকাল রাতে আত্মহত্যা করেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদ বলেন, হাসানের মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। ময়নাতদন্ত করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) ও জশনে জুলুছ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন কমিটির উদ্যোগে এর আয়োজন করা হয়।
জশনে জুলুছে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা ইসলামিয়া আরোগ্যসনদের মহাব্যবস্থাপক ও বাংলাদেশ মেডিকেল (ডেন্টাল) কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল শাহ্ সুফী ড. মুহাম্মদ আমীরুল ইসলাম (পি.এইচ.ডি)।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- করটিয়া সরকারি সা’দত কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর আল কাদেরী।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ টাঙ্গাইল জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান ছিলেন- আহমাদাবাদ শরীফ করটিয়ার পীর সাহেব আলহাজ্ব শাহ্ সুফি সাইফুল্লাহিল ক্বাতেয়ী, আহমাদাবাদ দরবার শরীফ বুহুলী টাঙ্গাইলের পীর সাহেব আলহাজ্ব শাহ্ সুিফ ক্বারী মাওলানা হাবিবুল্লাহ আল আহমাদি, মাহবুবিয়া দায়রা শরীফের পীর সাহেব আলহাজ্ব ডা. সৈয়দ শাহ্ ছাইদুল্লাহ কাদরী, দেলদুয়ার মৌলভীপাড়া শাহীবাগ দরবার শরীফের পীর সাহেব শাহ্ হারুন-অর-রশিদ।
জেলা ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন কমিটির সভাপতি ও হাজিবাগ দরবার শরীফের খাদেম আলহাজ্ব অধ্যাপক মুহাম্মদ আব্দুল কদ্দুস খসরু সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও আহমাদাবাদ শরীফ করটিয়ার বিশিষ্ট খলিফা পীরজাদা আলহাজ্ব শাহ্ সুফি মোহাম্মদ শাহ্ জালাল।
সরকারি এম এম আলী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগি অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ খান আর গাউছিয়া কমিটি টাঙ্গাইল জেলা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোর্শেদ আলম মাসুদের সঞ্চালনায় বিশেষ আলোচক ছিলেন- সরকারি এম এম আলী কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর খন্দকার আরিফ মাহমুদ, সরকারি সা’দত কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ছাইফুল মালেক আনসারী, পিচুরিয়া দরবার শরীফের পীর সাহেব আলহাজ্ব শাহ সুফি আহমাদ আলী, দেলদুয়ার আলালপুর ফাজিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মাওলানা শাহ সুফি আব্দুল ওহাব সিরাজী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খোদা-ই খেদমতগার সন্তোষের সভাপতি হাসরত খান ভাসানী, দেলদুয়ার টেউরিয়া তাফিজিয়া দরবার শরীফের পীরজাদা মাওলানা সৈয়দ মারুফ আল হোসাইনসহ বিশিষ্ট ওলামায়েদ্বীন ও ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে জশনে জুলুছ (আনন্দ র্যালি) শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূনরায় শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে সমবেত হয়ে বিশেষ মোনাজাতে অংশ গ্রহণ করেন তারা। মোনাজাত পরিচালনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা ইসলামিয়া আরোগ্যসনদের মহাব্যবস্থাপক ও বাংলাদেশ মেডিকেল (ডেন্টাল) কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল শাহ্ সুফী ড. মুহাম্মদ আমীরুল ইসলাম (পি.এইচ.ডি)।
একতার কণ্ঠঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, এ দেশের শত্রুরা জানে- জামায়াতে ইসলামী ভাঙবে, কিন্তু মচকাবে না। অন্যায়ের কাছে মাথা নত করবে না, দেশের স্বার্থ কারো কাছে বিক্রি করতে রাজি হবে না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পিছপা হবে না।
তিনি বলেন- সাড়ে ১৭ বছর বাংলাদেশের জনগণের জীবনে ছিলো দুঃসহ কালোরাত। টানা ১৭ বছর ৬ মাস এই জাতি বন্দিত্বের নিগরে বন্দি ছিল। মানুষের মুখে ছিল তালা, হাতে ছিল হ্যান্ডকাফ, পায়ে ছিল বেরি। এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ ছিল মজলুম এবং রাস্তায় যে ভাইটি ভিক্ষা করতেন তিনিও মজলুম। কারণ ওই সমস্ত ভিক্ষুকদেরকে চাঁদা দিতে হতো গুন্ডাদের কাছে। চাঁদা না দিলে তারা ভিক্ষা করতে পারতেন না। ৩০ টাকার পেঁয়াজ ৩০০ টাকায় কিনতে হতো। এভাবে প্রত্যেকটি মানুষ ছিল জুলুমের শিকার।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
আপনার বলবেন, এই সাড়ে ১৭ বছর কীভাবে মিলে। আওয়ামী লীগ তো সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। আসলে তারা সাড়ে ১৭ বছর ছিল। তারা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে লোগি-বৈঠার তাণ্ডব চালিয়ে শ’খানেক মানুষকে তারা হত্যা করেছিল। ফ্যাসিবাদের সূত্রপাত তখনি হয়েছিল।
স্বৈরাচারের পদধ্বনি তখন থেকেই এসেছিল। তারপরে আপনারা দেখেছেন ২০০৯ সালের ১০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসার পরে তারা রাষ্ট্রের গর্বিত প্রতিষ্ঠান সেনাবাহিনীকে আঘাত দিয়েছিল।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পিলখানার সদর দপ্তরে ৫৪ জন চৌকস দেশপ্রেমিক সামরিক অফিসারকে হত্যা করেছে। পরিবারের মহিলা সদস্যদের নির্যাতন, লাঞ্ছিত করেছে। তারপর তাদের হত্যা করে ড্রেনে ভাসিয়ে দিয়েছে। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি। অথচ সে সময়ে সেনাবাহিনীর কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, সেনাবাহিনীদের দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে আরেকটি গর্ভের বাহিনী সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরি বিডিআরকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের ১৫ হাজার সদস্যের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ৫০০ মানুষ তারা নিহত হয়েছে। কুচক্রকারীদের কারণে চক্রান্তে এসব মানুষদের বলি দিতে হয়েছে।
শেখ হাসিনার আমলের নির্যাতনের ভয়াবহতা বর্ণনা তুলে ধরে তিনি বলেন- তাদের আমলে ঘরে ঘরে হাহাকার, আমি অনেক যুবককে জেলে দেখেছি, বিয়ে করে ছয় মাসের মাথায় গ্রেপ্তার হতে হয়েছে। তার স্ত্রী ১, ২ ও ৩ বছর অপেক্ষা করেছে। জেলের ভেতর থেকে বলে দিয়েছে তুমি আর আমার জন্য অপেক্ষা করো না। তুমি মুক্ত, তুমি চলে যাও, তোমার একটা জীবন আছে। আমি কোন দিন মুক্তি পাব জানি না। ঘরে ঘরে হাহাকার। এরপরই তারা আঘাতটা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর। দেশপ্রমিক এই পরীক্ষিত শক্তির ওপর। এ দেশের শত্রুরা জানে- জামায়াতে ইসলামী ভাঙবে, কিন্তু মচকাবে না।
মতবিনিময় সভায় টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের আমির আহসান হাবিব মাসুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইজ্জত উল্লাহ, টাঙ্গাইল শহর শাখার সভাপতি মামুন আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
এসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেলার সমন্বয়ক, নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলার জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা দলে দলে মিছিল নিয়ে সভাস্থল টাঙ্গাইলের পৌর উদ্যানে সমবেত হন। পরে বিকালে সভাপতির বক্তব্য প্রদানের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।
একতার কন্ঠঃ কয়েক দিন ধরে চলা টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত টাঙ্গাইলের জনজীবন। তবে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টি গত কয়েক দিনকে ছাড়িয়ে গেছে। এদিন সকাল থেকে চলা অবিরাম বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শহরবাসী। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পরেছে জেলার শ্রমজীবী মানুষেরা। অফিসগামী সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগও অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। বৃষ্টির এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে, তার দিন গুণছে মানুষ।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি স্থল গভীর নিম্নচাপ হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশজুড়ে চলমান বৃষ্টি আগামী তিন দিনও অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, স্থল গভীর নিম্নচাপটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। পাশাপাশি মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গভীর স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই সঙ্গে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়েও দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে।
বর্ধিত ৫ দিনে আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।