একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২৫ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে সার্কিট হাউজের নতুন ভবনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ওলিউজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) নাফিসা আক্তার, টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমূখ।
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৮৫ জন অংশ গ্রহণ করে।
পরে আটটি গ্রুপে ভাগ হয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ পবিত্র রমজান মাসে দ্রব্য মূল্যের দাম গ্রাহক পর্যায়ে সহনীয় ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে টাঙ্গাইল শহর দোকান মালিক সমিতির সাথে মতবিনিময় করেছেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সদর থানা ও পাঁচআনী-ছয়আনী বাজার সাধারণ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির উদ্যোগে বাজারের চালপট্টি এলাকায় এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
পাঁচআনী-ছয়আনী বাজার সাধারণ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী ঐক্যজোটের সভাপতি আবুল কালাম মোস্তফা লাবু, ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি এম শিবলী সাদিক প্রমুখ।
মতবিনিময় সভাটি পরিচালনা করেন পাঁচআনী-ছয়আনী বাজার সাধারণ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আহসান খান আছু।
মতবিনিময় সভায় রমজান ও ঈদ পরবর্তি সময়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে চুরি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে জেলা পুলিশের টহল টিম কাজ করবে বলে পুলিশ সুপার আশ্বাস দেন।
এ সময় পাঁচআনী-ছয়আনী বাজার মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শহরের বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী, হোটেল ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আশিক(২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার(২৮ মার্চ) সকালে উপজেলার দামিয়াপাড়া-বানিয়ারছিট সড়কের আড়াইপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আশিক কালিয়া ইউনিয়নের দামিয়াপাড়া এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক সাব্বির(২০) নামের আরো এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছে। নিহত আশিক ও আহত সাব্বির সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে আশিক ও সাব্বির দামিয়া বাজারের দক্ষিণ পাশে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তাদের মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে দুজনই গুরুতর আহত হয়। পরে তাদেরকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশিককে মৃত ঘোষণা করে।
এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সাব্বিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হাবিবা শবনম জানান, মাথায় গুরুতর আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আশিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত সাব্বিরের অবস্থাও আশংকাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
সখীপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের সখীপুরে সামাজিক বনায়ন পরিষ্কার করতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ওমর আলী (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৬ মার্চ) বিকালে উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের বেরিখোলা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি ওই এলাকার মৃত নয়ন উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবুল মিয়া জানান, সম্প্রতি ওমর আলীর নামে বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের একটি প্লট বিক্রি হয়। কয়েক দিন আগে ওই প্লটের গাছগুলো কেটে নেওয়া হয়। রবিবার দুপুরে পরিষ্কারের জন্য বৃদ্ধ ওমর আলী ওই প্লটের ঝোপঝাড়ে আগুন দেন। ওই আগুনে পুড়েই তাঁর মৃত্যু হয়।
বন বিভাগের বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা আমিনুর রহমান জানান, ধারণা করা হচ্ছে আগুন পাশের প্লটে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ওমর আলী তা নেভানোর চেষ্টা করেন। এ সময় একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়ে তিনি জ্ঞান হারান। পরে আগুনে তাঁর মাথা ঝলসে যায়।
সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে যথাযথ মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
২৬ মার্চ, রবিবার, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনি ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। রাষ্ট্রের পক্ষে প্রথমে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
পরে শহরের শহিদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পন ও শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
রবিবার সকাল সাড়ে আটটায় টাঙ্গাইল জেলা স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে সমাবেশ, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিএনসিসি সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০ টায় শহিদ স্মৃতি পৌরউদ্যানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার ফরহাদ আহমেদ, পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, সিভিল সার্জন ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ প্রমুখ।
এদিন বাদ যোহর জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
সরকারি হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু পরিবার, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবা যত্ম কেন্দ্র সমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
একতার কণ্ঠঃ জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল রেল সড়কের মির্জাপুর রেল স্টেশনের অদূরে দুটি ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে মৈত্রী এক্সপ্রেসের চালক তৌহিদুজ্জামানসহ ৬ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুর ও রাতে মির্জাপুর ট্রেন স্টেশন এলাকার বাওয়ার কুমারজানি পূর্বপাড়া ও পশ্চিমপাড়া এলাকায় ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ও খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস নামক দুটি ট্রেনে ওই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত চালক তৌহিদুজ্জামান রেলওয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে ঢাকা ও টাঙ্গাইল থেকে রেলওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা মির্জাপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বলে জানান মির্জাপুর রেল স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান।
ঢাকা থেকে খুলনাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় আহত হন সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার রায়দৌলৎপুর গ্রামের আব্দুস ছবুরের ছেলে ইলিয়াস সরকার।
আহত এই ট্রেনযাত্রী জানান, শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে তিনি ঢাকার কমলাপুর থেকে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশ্যে ওই ট্রেনে উঠেন।
রাত আনুমানিক ৯টার দিকে মির্জাপুর রেল স্টেশনে পৌঁছানোর ঠিক আগ মুহূর্তে আচমকা পাথর এসে তার কপালে আঘাত করে এবং কপাল ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। এ ঘটনায় তার পাশের আরও ৪ যাত্রী আহত হন বলে জানান তিনি।
ওই সময় ট্রেনে অবস্থানকারী পাকশী রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নাজিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের ট্রেনেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে একই দিন বেলা ৩টার দিকে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি মির্জাপুর স্টেশন এলাকায় পৌঁছানোর পর দুর্বৃত্তরা ওই ট্রেনে পাথর ছোড়ে। এ ঘটনায় ওই ট্রেনের চালক তৌহিদুজ্জামান গুরুতর আহত হন বলে জানান মির্জাপুর ট্রেনস্টেশনের স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান।
তিনি আরো জানান, শনিবার (২৫ মার্চ) তার (চালকের) চোখে অস্ত্রপচার হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের খবর পেয়ে শনিবার (২৫ মার্চ) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ, টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ফজলুর রহমান ও মির্জাপুর থানা পুলিশ। তারা পৌর কাউন্সিলর আজম সিদ্দিকী, হাফিজুর রহমান, রওশনারা বেগম, সাবেক কাউন্সিলর সাইজুদ্দিনসহ স্থানীয় কয়েকজন তরুণ-যুবকদের নিয়ে বৈঠক করেন।
ঢাকা রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ জানান, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেন নি। তবে ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কাফনের কাপড় মোড়ানো অবস্থায় নবজাতকের লাশ উদ্ধার করেছে কালিহাতী থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার আউলটিয়া বেতবন থেকে নবজাতকের লাশটি উদ্ধার করা হয়। কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা বাংড়া ইউনিয়নের আউলটিয়া এলাকায় বেতবাগানে আনুমানিক এক দিন বয়সী একটি নবজাতকের লাশ সবার অগোচরে কে বা কারা ফেলে রেখে যায়। পথচারীরা কাফনের কাপড় মোড়ানো নবজাতকের লাশটি দেখতে পেয়ে কালিহাতী থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে।
কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, নবজাতকের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে কে বা কারা মৃত নবজাতকের লাশ ফেলে রেখে গেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। ২৫ মার্চ শনিবার সকালে জেলা সদরে অবস্থিত বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সকালের প্রথম প্রহরে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বধ্যভূমিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, সিভিল সার্জন,পৌরসভা, প্রথম আলো বন্ধুসভাসহ অন্যান্য সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
পরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের মিলনায়তনে গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার।স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শামীম আরা রিনি’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, অরিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ওলিউজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শরফুউদ্দীন, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ফজলুল হক বীর প্রতীক ও খন্দকার জহুরুল হক ডিপটিসহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ টাঙ্গাইলের বিভিন্ন রাজনৈতিক, পেশাজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ভিন্ন-ভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের কামারকুমুল্লী গ্রামের জয়গন বেগমের অবস্থা হয়েছে রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের কাদম্বিনীর মতো । ৬৫ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা বিধবা ভাতা উঠাতে গেলে উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে তাকে জানানো হয়, ভাতা দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ তার জাতীয় পরিচয়পত্রে তিনি মৃত। পরে নির্বাচন অফিসে খোঁজখবর নিলে জানতে পারেন হালনাগাদ ভোটার তালিকায় তাকে মৃত দেখানো হয়েছে। সেই থেকে এই বিধবা নারীর বিধবা ভাতা বন্ধ রয়েছে।
শুধু জয়গনই নন, উপজেলায় নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে হালনাগাদ করা ভোটার তালিকায় বিপুলসংখ্যক জীবিত মানুষকে মৃত হিসেবে দেখানো হয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নানা কাজে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন। এ ধরনের ভুলের সঙ্গে সম্পৃক্ত যারা, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন এই সব ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে উপজেলার ২৭ জন মৃত ব্যক্তি জীবিত হয়েছেন। আরও ২০৩ জনের প্রাণ ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে!
জয়গনের নাতি রুমা (২৫) আক্তার জানান, নির্বাচন অফিস থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়। পরে আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সঙ্গে যোগাযোগ করে তার কাছ প্রত্যয়নপত্র নিয়ে দাদিকে সশরীরে নির্বাচন অফিসে গিয়ে প্রমাণ করতে হয় তিনি জীবিত আছেন।
আলমনগর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রুহুল আমীন জানান, নির্বাচন অফিস থেকে যাদের ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা দায়িত্ব অবহেলা করেছেন। ফলে এই ইউনিয়নের অনেক জীবিতকে মৃত হিসেবে দেখানো হয়েছে।
আলমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মোমেন জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদের তথ্যে ভুলের বিষয়টি আমি জানি। নির্বাচন অফিস থেকে ডেটাবেজে ভুল করেছে। ভুক্তভোগীদের জাতীয় পরিচয়পত্রে এমন ভুলগুলো সংশোধনে সহযোগিতা করছি।
গোপালপুর পৌরসভার মেয়র মো. রকিবুল হক সানা জানান, যাদের ভোটার তালিকায় মৃত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তারা পৌরসভায় যোগাযোগ করলে আমরা ঠিক করে দিচ্ছি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য মাঠকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা সবাই ছিলেন স্কুলশিক্ষক-শিক্ষিকা। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেন তারা। তাদের কাজের নিয়মাবলি শিখিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। জীবিতদের মৃত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
তিনি আরও জানান, ২০০৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত উপজেলায় ২৭ জন ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে। যাদের জীবিত অবস্থায় তথ্য হালনাগাদে মৃত দেখানো হয়েছে, তারা জীবিত ফরমে আবেদন করলে সেগুলো সংশোধন করে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান,এ ছাড়া ২০২২ সালের তথ্য হালনাগাদে আরও ২০৩ জনের তথ্যে মৃত উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সংশোধনের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। অনুমতি পেলে এদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) আসফিয়া সিরাত জানান, বিষয়টি জেনেছি এবং নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলে মোট ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ২৩৫। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১৪ হাজার ২২ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ১৩ হাজার ৭১২ জন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়ায় নিখোঁজের ৪ দিন পর রিনা বেগম (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে করটিয়া জমিদার বাড়ীর পুর্ব তরফের পুকুর থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পর থেকে তার স্বামী মনির হোসেন পলাতক রয়েছে।
নিহত রিনা বেগম করটিয়া ঢুলিপাড়া গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের মেয়ে।
জানা যায়, ৪ বছর পুর্বে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া পুর্বপাড়ার মো. রাজনের ছেলে মনির হোসেনের(২৫) সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রিনা বেগমের। তাদের ঘরে ১১ মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) গভীররাতে তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে স্বামী মনির এলাকায় প্রচার চালায়। শুক্রবার সকালে জমিদারবাড়ীর পুর্ব তরফের পুকুর পাড়ে হাটাহাটির সময় পুকুরে পাঁ ভেসে থাকতে দেখে চিৎকার করে উঠে স্থানীয় এক কিশোর। পরে স্থানীয়রা এসে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করলে রিনার লাশ বলে সকলে শনাক্ত করে তার স্বজনরা। লাশ উদ্ধারের পর থেকে নিহত গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, নিহত রিনা বেগমের স্বামী মনির অপপ্রচার চালায় তার স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। তিনি আরো অপপ্রচার চালায় তার স্ত্রী অন্যকোন ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে। কথাটি আমরা কেই বিশ্বাস করিনি।
তারা আরো জানান, তখন থেকেই আমাদের সন্দেহ ছিলো। কারন আমরা রিনা বেগম সর্ম্পকে জানতাম। সে অত্যান্ত নম্র-ভদ্র ও সংসারী মেয়ে ছিলো। তাছাড়া ১১ মাসের শিশু বাচ্চা রেখে রিনা পরপুরুষের সাথে পালিয়ে যাওয়ার মত মেয়ে না। লাশ উদ্ধারের পরপরই স্বামীসহ পরিবারের সকলেই পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুস ছালাম মিয়া জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
তিনি আরো জানান, নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার বাগুটিয়া ব্রিজের পাশে বুধবার (২২ মার্চ) রাতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮৭ লাখ টাকা মূল্যের নকল ব্যান্ডরোল সহ মো. রাসেল মাহমুদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি দক্ষিণ)।
গ্রেপ্তারকৃত মো. রাসেল মাহমুদ ওরফে নুর আমিন বগুড়া সদর উপজেলার তেলিহারা দক্ষিণ পাড়া গ্রামের জিন্নাহ প্রামানিকের ছেলে।
টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি-দক্ষিণ) অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন জানান, গোপনে খবর পেয়ে ডিবির একটি চৌকষ দল বুধবার (২২ মার্চ) রাতে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের বাগুটিয়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে অভিযান চালায়। অভিযানে ১০ লাখ ৮০ হাজার ৪৮০টি নকল ব্যান্ডরোল সহ মো. রাসেল মাহমুদ ওরফে নুর আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দকৃত নকল ব্যান্ডরোলের মূল্য ৮৭ লাখ ৫১ হাজার ৮৮৮ টাকা। তার বিরুদ্ধে কালিহাতী থানায় ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫অ/২৫অ(ন) ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কৌশলে নকল ব্যান্ডরোল প্রস্তুত ও বিকিকিনির মূল হোতাদের সনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের লক্ষে ১০(দশ) দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে গ্রেপ্তারকৃত মো. রাসেল মাহমুদ ওরফে নুর আমিনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বিষাক্ত নেশা জাতীয় ‘স্পিরিট’ পান করে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো দুইজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের পালিমা বাজারের জনসেবা হোমিও ফার্মেসী থেকে গত শনিবার( ১৮ মার্চ) রাতে বিষাক্ত ‘স্পিরিট’ পান করায় বিভিন্ন সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে বিষাক্ত ‘স্পিরিট’ পান করে মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় আতংক ও শোক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা বলেন, শুধু নারান্দিয়া নয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা মাদকে ছেয়ে গেছে। এতে এলাকার যুবসমাজ ধ্বংসের পথে। এ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
জানা যায়, শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে বিষাক্ত ‘স্পিরিট’ পান করে অসুস্থ হওয়ায় পাঁচ জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত ও রবিবার (১৯ মার্চ) সকালের মধ্যে ৩ জনের মৃত্যু হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রবিবার রাত ২টার দিকে পালিমা গ্রামের মৃত ছামান আলীর ছেলে ফারুক মিয়া (৩৫) ও সোমবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুচুটি গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে জুলহাস মিয়া (৪২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুচুটি গ্রামের মৃত বক্কর আলীর ছেলে আমছের আলী (৫০) নিজ বাড়িতে মারা যান। অন্যদিকে তারাপদ কর্মকার নামের আরেক ব্যক্তি একই দোকানের ‘স্পিরিট’ পান করে সম্প্রতি মারা গেছেন।
এ ঘটনায় অসুস্থরা হচ্ছেন- বিলপালিমা গ্রামের মুক্তার আলীর ছেলে মেহেদী ও কুচুটি গ্রামের জুয়েল। এরমধ্যে মেহেদীকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে। এ ঘটনার পর থেকে পালিমা বাজারের জনসেবা হোমিও ফার্মেসি বন্ধ করে দোকানের মালিক-কর্মচারীরা পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান জানান, নিহত জুলহাস, আমছের আলী, ফারুকসহ পাঁচজন শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে পালিমা বাসস্ট্যান্ডের জনসেবা হোমিও ফার্মেসী থেকে অ্যালকোহল জাতীয় ‘স্পিরিট’ কিনে পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদেরকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন ও বাড়িতে এসে একজন মারা গেছেন। মেহেদী নামে একজনকে ঢাকা একটি হাসপাতালে স্থানান্তর (রেফার্ড) করা হয়েছে। অন্যদিকে তারাপদ কর্মকার নামের আরেক ব্যক্তি ‘স্পিরিট’ পান করে সম্প্রতি মারা গেছেন।
নারান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার জানান, দীর্ঘদিন ধরে পালিমা বাসস্ট্যান্ডের জনসেবা হোমিও ফার্মেসী থেকে অ্যালকোহল জাতীয় ‘স্পিরিট’ বেচাকেনা হচ্ছে। ফার্মেসীতে অবৈধ ‘স্পিরিট’ বিক্রি বন্ধের জন্য জনসেবা ফার্মেসির মালিক সামাদকে আগেও নিষেধ করা হয়েছিল।
তিনি আরো জানান, এলাকার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় নারান্দিয়া বাজারের ব্যবসায়ী বিবেক মোদক দীর্ঘদিন যাবত মদ ও ‘স্পিরিট’ বিক্রি করে আসছে। মাদক বিক্রির দায়ে এরআগেও তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
কালিহাতী থানার নারান্দিয়া বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই মিন্টু চন্দ্র ঘোষ জানান, শুক্রবার (২৪ মার্চ) দুপুরে নারান্দিয়া বাজারের কালিমন্দিরের পাশের একটি মুদি দোকান থেকে অবৈধ মদ বিক্রির সময় বিবেক মোদক নামে এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, ‘স্পিরিট’ পান করে নিহত হওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। থানায় কেউ অভিযোগও করেন নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।