একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে মোটরসাইকেলের সাথে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধুর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলার ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নে কামালপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাগরদিঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আমিরুল ইসলাম।
নিহতরা হচ্ছেন, উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের ইন্দ্রাবাইদ গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া (২০) ও একই এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে আদনান সোহাগ (২২)। নিহত আদনান সাগরদিঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,সোমবার বিকেল পাঁচটায় দিকে সাগরদিঘী থেকে ঘাটাইলের দিকে মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিল দুই বন্ধু সবুজ এবং সোহাগ। পথিমধ্যে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশার সাথে ঘাটাইল-সাগরদীঘি আঞ্চলিক সড়কের কামালপুর ফকির মার্কেটের সামনে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেলের চালক ও আরোহী উভয়ে গুরুতর আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আদনান সোহাগকে মৃত ঘোষণা করেন । গুরুতর আহত মোটরসাইকেলের অপর আরোহী সবুজ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
তাদের মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিরুপম রাহা (৪০) নামে এক যুবক ঋণের দায়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে । সোমবার(৪ ডিসেম্বর )দুপুরে মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানী পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিরুপম রাহা উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের কোর্টবহুরিয়া গ্রামের নিমাই রাহার ছেলে। সে এক কন্যা সন্তানের জনক।
জানা যায়, নিরুপম রাহা আর্থিক অনটনে ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়লে সদরের বাইমহাটী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকে। এক পর্যায় সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। সোমবার দুপুরে সে বাওয়ার কুমারজানী পূর্বপাড়া এলাকায় রেললাইনের উপর বসে থাকে। পরে নিলফামারী জেলার চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিলাহাটি একপ্রেস ট্রেনটি দুপুর সোয়া দুইটার দিকে ওই স্থানে পৌছালে নিরুপম রাহা ওই ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে।
উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব নিরুপম রাহার চাচাতো ভাই সুজন কুমার জানান, নিরুপম আর্থিক অনটনে ঋণে জর্জরিত হয়ে মাদকাসক্ত হয়। কয়েকদিন আগেও তিনি তাকে কয়েক হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন বলে জানান।
মির্জাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার কামরুল হাসান জানান, ট্রেনেকাটা পড়ে নিরুপম নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে।
একতার কণ্ঠঃ সমর্থককে আটকে রেখে মনোনয়ন বাতিলের অভিযোগ তুলেছেন টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু।
ঘটনার সত্যতা যাচাই ও তদন্ত চেয়ে শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। তবে লিখিত অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে না দেখে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে তার মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জানা যায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১২ (৩ ক) দফা ২ এর উপদফা (ক) অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীকে মনোনয়ন পত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন সম্বলিত স্বাক্ষর যুক্ত তালিকা সংযুক্ত করার বিধান রয়েছে। টাঙ্গাইল-২ নির্বাচনী আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩,৯৫,২৪৮। যার ১ শতাংশ ভোটার ৩৯৫২ এবং তিনি উক্ত তালিকা দাখিল করেছেন।
তার মনোনয়ন পত্রের সাথে সংযুক্ত ভোটারের স্বাক্ষর যুক্ত তালিকা হতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এর স্মারক নং ১১৭০০০০০০৩৪৩৬০১৮২৩৭৩৮, তারিখ- ২০ নভেম্বর ২০২৩ এর পত্র অনুযায়ী দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০ জন ভোটারের স্বাক্ষর সম্বলিত তালিকা সরজমিনে যাচাই বাছাই করা হয়েছে। যাচাই বাছাই ও তদন্তকালে ৩৯৫২ ভোটারের মধ্যে দাখিলকৃত সমর্থনযুক্ত তালিকার ক্রমিক নং যথাক্রমে ২১১৫, ৩২২৩, ৮৭২, ২২৮৬, ১৫৭৪, ৭৫১, ৫৪৩, ২১৫৩, ২৩৮৮ মোট নয় জনের স্বাক্ষরের বিষয়টি সত্যতা পাওয়া গেলেও ৩৪২৬ ক্রমিকে অন্তর্ভূক্ত ভোটার আরফান আলী শেখ, পিতা- খোরশেদ আলী, ভোটার নম্বর- ৯৩১৩১৩৭৯০৬৯৪, গ্রাম- মাদারিয়া ভূঞাপুর টাঙ্গাইলের বাড়িতে বিগত ১ ডিসেম্বর আনুমানিক সকাল সাড়ে ১১টার সময় তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে, মো. আরফান আলী শেখ সমর্থন সম্বলিত তালিকায় প্রদত্ত টিপসহি নিজের নয় বলে উল্লেখ করেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১২ (৩ ক) দফা ২ এর উপদফা (ক) এর শর্ত লঙ্ঘিত হওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী (প্রার্থীতার পক্ষে সমর্থন যাচাই) বিধিমালা ২০১১ এর ৫ বিধির আলোকে এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১৪ (৩) (গ) এর বিধান অনুসারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদারের দাখিলকৃত মনোনয়ন পত্রটি বাতিল যোগ্য হওয়ায় বাতিল ঘোষনা করা হয়।
অন্যদিকে, গত ১ ডিসেম্বর প্রার্থীর সমর্থক ভূঞাপুরের মাদারিয়া গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে তালিকার ৩৪২৬ ক্রমিকে অন্তর্ভূক্ত ভোটার আরফান আলী শেখের নিখোঁজের বিষয়টি উল্লেখ করে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়।
নিখোঁজ সমর্থককে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন ভূঞাপুরের ফলদা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াররম্যান মো. সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদুর ব্যক্তিগত গাড়িতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসা যাওয়ার বিষয়টি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সত্যতা যাচাই ও নির্বাচনের পরিবেশ অবাধ ও সুষ্ঠু রাখতে জেলা প্রশাসনের অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেছেন প্রার্থী ও তার সমর্থকরা।
নিখোঁজ আরফান আলী শেখ বলেন, আমি কারো পক্ষে কোথাও কোন স্বাক্ষর দেইনি। এছাড়া নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।
ফলদা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাইদুল ইসলাম তালুকদার দুদু বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর কোন সমর্থক নিখোঁজের বিষয়টি জানেন না। আরফান আমার প্রতিবেশী ও আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা। সেই হিসেবে আমি তাকে সাথে নিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়েছিলাম।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বলেন, আমি ১ ডিসেম্বর সমর্থক নিখোঁজের বিষয়টি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। অভিযোগের কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আমার মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছি, আমার বিশ্বাস আমি ন্যায় বিচার পাবো।
এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, সমর্থক নিখোঁজের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর একজন ভোটার স্বাক্ষর দেননি বলে দাবি করায় নিয়মানুযায়ী ওই মনোনয়ন পত্রটি বাতিল করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছেন টাঙ্গাইলের আলোচিত সিদ্দিকী পরিবারের সহোদর ৩ ভাই। জেলার চারটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা। নির্বাচনে অংশ নেয়া আসন গুলোর মধ্যে রয়েছে টাঙ্গাইল-৩,৪,৫ ও ৮।
সিদ্দিকী পরিবারের প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম আর ছোট ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুরাদ সিদ্দিকী।
এর মধ্যে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ ও ৩ দুটি আসন, মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ ও ৫ দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।
তবে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর প্রতিদ্বন্দ্বি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ছাড়াও সহোদর ছোট ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী, স্বাধীনতার ইস্তেহার পাঠক ও বিএনপি’র সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজের মেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মো. লিয়াকত আলী।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সিদ্দিকী পরিবারের সহোদর এই ৩ ভাই স্ব স্ব আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
সিদ্দিকী পরিবারের ৩ সহোদর ভাইয়ের নির্বাচনে অংশ নেওয়া আসন গুলোর মধ্যে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতালীগ প্রার্থী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর প্রতিদ্বন্দ্বি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানা। অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে রয়েছেন- আজিজ খান (জাকের পার্টি) আব্দুল হালিম (জাতীয় পার্টি), মো. হাসান আল মামুন সোহাগ (এনপিপি), চৌধুরী হাবিবুর রহমান (স্বতন্ত্র) ,মো. জাকির হোসেন (বিএনএম), ফরিদা রহমান খান (স্বতন্ত্র), মো. সাখাওয়াত খান সৈকত (বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল)।
টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর প্রতিদ্বন্দ্বি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু ছাড়াও সহোদর ছোট ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী, স্বাধীনতার ইস্তেহার পাঠক ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজের মেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মো. লিয়াকত আলী।
অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন- মোন্তাজ আলী (জাকের পার্টি), শহিদুল ইসলাম (তৃণমূল বিএনপি),এস এম আবু মোস্তফা (জাসদ), মো.শুকুর মাহমুদ (বিএসপি), সাদেক সিদ্দিকী (জাতীয় পার্টি জেপি)।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকীর প্রতিদ্বন্দ্বি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. মামুনুর রশিদ, বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার তিনবারের নির্বাচিত সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরণ, কেন্দ্রীয় বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আহসান হাবিব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মোজাম্মেল হক।
এই আসনে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলালীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেরনিগার হোসেন তন্ময়, মো. তৌহিদুর রহমান চাকলাদার( বিএনএম), মো.দুলাল মিয়া (জাকের পাার্টি), হাসরত খান ভাসানী (ন্যাপ ভাসানী) ও মো.শরীফুজ্জামান খান (তৃনমুল বিএনপি)।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতালীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম এর প্রতিদ্বন্দ্বি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়।
অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বিরা হলেন- মো. আবুল হাসেম (বাংলাদেশ বিকল্পধারা), আ.জলিল (জাকের পার্টি), শাম্বুল (তৃনমুল বিএনপি) আর রেজাউল করিম (জাতীয় পার্টি)।
আওয়ামী রাজনীতির এক সময়ের জেলার পরিচয়বহণ করা সিদ্দিকী পরিবারের বড় ছেলে ও বাংলাদেশ আওয়াশীলীগের বহিষ্কৃত প্রেসিডিয়াম মেম্বার আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হয়েছেন। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে একটি সভায় হজ, তাবলিগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করে মন্ত্রিত্ব হারান। এরপর তাঁকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দেশে ফেরার পর তাঁকে কারাগারেও যেতে হয়। পরে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পরবর্তীতে নির্বাচন থেকে সরে যান। দ্বাদশ নির্বাচনে আবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ১৯৯৯ সালে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেন। এরপর নিজ দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র নেতা মুরাদ সিদ্দিকী কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতালীগে যোগ দেন। ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। এরপর ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মুরাদ সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। ২০০৯ সাল থেকে মুরাদ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০০৯ সাল থেকে মুরাদ সিদ্দিকী অদ্যবধিও আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন।
২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়ে পরাজিত হন মুরাদ সিদ্দিকী।
একতার কণ্ঠঃ ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতি করার অভিযোগে টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও পদত্যাগকারী উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
জানা যায়, ঠান্ডু মনোনয়নপত্রে ভোটারের স্বাক্ষরে ভূঞাপুর উপজেলার মাদারিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের আরফান আলী সেকের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তবে আরফান আলী সেক স্বাক্ষরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু বলেন, ওই ব্যক্তি স্বাক্ষর দেওয়ার পর অস্বীকার করছেন। তবে তার বাড়িতে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি আপিল করবো।
আরফান আলী সেক বলেন, আমি কোথাও স্বাক্ষর দেই নাই। তবে আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়েছে। আমি এটার সুষ্ঠু বিচার চাই।
জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম জানান, ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠান্ডুর আবেদনে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছেন। সেখান থেকে ১০ ভোটারের স্বাক্ষর ও তথ্য যাচাই বাছাই করার জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। সেখানে ৯টি ভোটারের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, তবে একটি ভোটারের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থন যাচাই বিধিমালা ২০১১ এর ৫ বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে। পরে আইন অনুযায়ী তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবে।
একতার কণ্ঠঃ মসজিদের বারান্দা থেকে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তার বয়স আনুমানিক ৭৫ বছর। তিনি পেশায় একজন ভিক্ষুক। এ ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাত ওই বদ্ধের পরিচয় শনাক্তের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার আওতাধীন কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের গোহালিবাড়ীস্থ জোকারচর বাসস্ট্যান্ড মসজিদের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় দেড় বছর ধরে সেতু পূর্ব থানা ও জোকারচরসহ আশপাশের এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তি করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করতো সে। তার কোনো থাকার জায়গা ছিলোনা। দিন শেষে গোহালিয়াবাড়ীস্থ জোকারচর বাজার মসজিদের বারান্দায় ঘুমাতো। কেউ তার পরিচয় জানতো না।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে মসজিদের টিউবওয়েলের পানি নিয়ে বারান্দায় হাত-মুখ ধোয়ার সময় হঠাৎ সেখানে মাটিতে পড়ে গিয়ে মারা যায় সে। পরে স্থানীয়রা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা পুলিশকে খবর দিলে লাশটি উদ্ধার করে তার মরদেহ থানায় নিয়ে যান।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহাগ চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত ওই বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। পরিচয় শনাক্তের জন্য কাজ করছে পুলিশ। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বিষয়টি নিয়ে পোস্ট করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে দশম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান এ রায় দেন। ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর ভরণপোষণ রাষ্ট্র বহন করবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
দন্ডিত যুবক শহীদুল ইসলাম খোকন (২৩)। তিনি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শেখ শিমুল গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আলী আহমেদ জানান, ভিকটিম ঘাটাইল উপজেলার স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ১০ম শ্রেনির শিক্ষার্থী। দন্ডিত শহীদুল ইসলাম খোকন ভিকটিমের প্রতিবেশি চাচাতো ভাই। সেই সুযোগে খোকন ভিকটিমের বাড়িতে ও মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। সেই সর্ম্পকের সূত্র ধরে ২০২১ সালের ১ অক্টোবর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে খোকন নিজের বাড়িতে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
তিনি জানান, এরপর সুযোগ পেলেই দন্ডিত খোকন ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি ছাত্রীর পরিবারের লোকজন জানতে পারলে স্থানীয়ভাবে বিচার সালিসের ব্যবস্থা করা হয়। তখন খোকন তাকে বিয়ে করবে এবং ওই অনাগত সন্তানকে স্বীকৃতি দিবে বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে খোকন মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ে না করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, পরে ওই ছাত্রীর মামা ছানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২০২২ সালের ২০মে ঘাটাইল থানায় শহীদুল ইসলাম খোকনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই ছাত্রী পুত্রসন্তান জন্ম দেন। ডিএনএ পরীক্ষায় আসামি খোকন ওই শিশুর জৈবিক পিতা বলে প্রমানিত হয়। তদন্ত শেষে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদনপত্র জমা দেন। পরে এই মামলায় নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় শহীদুল ইসলাম খোকনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আলী আহমেদ। সহযোগিতা করেন সহকারি সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রহিম ও মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস। এ মামলায় আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ইলিয়াস খান পারভেজ।
একতার কণ্ঠঃ নবম দফায় বিএনপি’র হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় মহাসড়কের পাশে রাখা বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসটির অধিকাংশ পুড়ে গেলেও কোনো হতাহত হয়নি।
সোমবার(২৭ নভেম্বর )রাত সাড়ে ১১টা দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ডুবাইল ইউনিয়নের নাটিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বাসটি টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে মির্জাপুর ও সখিপুর রোডে যাতায়াত করে থাকে। মাঝে মাঝে মির্জাপুরের বিভিন্ন গার্মেন্টসের কর্মীদেরও নিয়ে আসা যাওয়া করে বাসটি।
তিনি আরও জানান,সোমবার পোশাক কর্মীদের নামিয়ে বাসটি নাটিয়াপাড়া মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখাছিল। পরে হঠাৎ রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসে ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা হেলপার বাবলু মিয়া আগুন দেখতে পান।”
তার চিৎকারে আশেপাশে থাকা মানুষরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাসের হেলপার বাবলু মিয়া বলেন, “মহাসড়কের পাশে বাস দাঁড় করিয়ে রেখে আমি ঘুমিয়ে যাই। কিছুক্ষণ পরে দেখি বাসের পিছনে আগুন।”
দেলদুয়ার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার রাসেল মিয়া বলেন, “স্থানীয়রা সংবাদ দিলে আমরা ১৫ মিনিটের মধ্যে এসে বাসটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। বাসে শুধু হেলপার ছিলেন, তিনি আগুন দেখেই বের হয়ে আসেন তাই কোনো হতাহত নেই।”তবে বাসের ভেতর অনেকাংশই পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
ওসি মোস্তাফিজুর বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, নাশকতা সৃষ্টির জন্য বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল পৌর শহরে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । রবিবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাগমারা পন্ডিত পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ওই এলাকার মো. ওয়াহাব মিয়ার মেয়ে ওয়াছেনা আক্তার(৫) ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে রিহান মিয়া (৪)। তারা সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, নিহত ওই দুই শিশু সকালে উঠানে খেলা করছিল। এক পর্যায়ে তারা পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায়। তাদের বাড়ির সদস্যরা খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় তাদের দেখতে পায়। পরে তাদের উদ্ধার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাদ আছর তাদের নামাজে জানাযা শেষে কাগমারা কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল পুলিশফাঁড়ির ইনচার্জ আতিকুর রহমান ভূইয়া জানান, হাসাতালে ওই শিশু দুইটি নিয়ে আসলেও মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই পরিবারের লোকজন মরদেহ দুটি নিয়ে গেছেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুস ছালাম মিয়া জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। এব্যপারে থানায় কেও অভিযোগ করেননি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় পুলিশের হেফাজতে সুমন মিয়া (২৬) নামের এক ট্রাকচালকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে থানায় ট্রাকের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। থানা থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত সুমন মিয়া ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের জামুরিয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে তাঁর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে ঘাটাইল পৌরসভার কলেজ মোড় এলাকায় মাটিভর্তি দুটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। ঘাটাইলের সাগরদিঘি এলাকা থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছিল ট্রাক দুটি। চালকসহ ট্রাক দুটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টার পর জব্দ করা ট্রাকের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় ট্রাকচালক সুমন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে চেয়ার থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শহিদুল ইসলাম জানান, ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
জামুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম খান জানান, খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে গিয়ে সুমনের লাশ দেখতে পান। কী কারণে, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসাইন জানান, বালুভর্তি দুটি ড্রামট্রাক জব্দ করে থানায় আনার পর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার সময় চেয়ারে বসা ট্রাকচালক সুমন মিয়া অসুস্থ বোধ করেন। একপর্যায়ে তিনি চেয়ার থেকে মাটিতে ঢলে পড়েন। দ্রুত তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে তাঁর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিকালে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব-জামালপুর রেল লাইনের উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের আগতেরিল্ল্যা উত্তরপাড়া গ্রামের এই ঘটনা ঘটে।
এখন পর্যন্ত নিহত ওই যুবকের কোন নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ্ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে উপজেলার আগতেরিল্ল্যা উত্তরপাড়ায় অবস্থিত একটি রেলওয়ে ব্রিজের কাছে রেললাইন দিয়ে হাঁটছিল ওই অজ্ঞাত যুবক। পথিমধ্যে জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা ভূঞাপুরগামী ধলেশ্বরী নামে একটি লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় রেললাইনের পাশে ছিটকে পড়ে এবং ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায় সে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে বিষয়টি জানায়।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ্ জানান, বুধবার বিকালে আগতেরিল্ল্যা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক যুবকের মৃত্যুর খবর স্থানীয়দের মাধ্যমে জেনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলায় মা ও নবজাতক মেয়ে শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তুলেছে তার স্বজনেরা।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের ১নং অপারেশন থিয়েটারে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর অপারেশনের দায়িত্বে থাকা ডা. সালমা জাহান ও হাসপাতালের চলতি দায়িত্বে থাকা সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রনব কর্মকার গাঁ ঢাকা দেন।
ঘটনার পর স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতাল প্রাঙ্গন ভারী হয়ে উঠে। পরে মা ও নবজাতক শিশু মেয়ের মরদেহ নেওয়াকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
নিহত প্রসূতির নাম মীম আক্তার (২০)। সে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সিঙ্গুরিয়া গ্রামের হানিফ আলির মেয়ে। তার স্বামী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মদনা গ্রামের বাসিন্দা। তারা স্বামী-স্ত্রী উভয়ে ঢাকায় একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ছিলেন।
নিহত মীমের নানী সুমনা আক্তার জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রসূতি মীম আক্তারের প্রসব ব্যথা উঠে। দ্রুত তাকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যান তারা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরে দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মীমকে।
তিনি আরও জানান, সেখানে গাইনী বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. সালমা জাহানের তত্বাবধায়নে দুপুর ১টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার ২০ মিনিট পর ওই ডাক্তার মীমের পরিবারের কাছে মীমের জন্য দুই ব্যাগ রক্ত চান। স্বজনেরা রক্ত সংগ্রের জন্য হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিটে ছুটাছুটি করতে থাকেন। এমন সময় অপারেশন থিয়েটার থেকে জানানো হয়, প্রসূতি মীম আক্তার ও তার নবজাতক কন্যা সন্তানের মৃত্যু হয়েছে।
স্বজনদের অভিযোগ, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের জুনিয়র কনসাল্টটেন্ট ডা. সালমা জাহান তাদের সোনিয়া নার্সিং হোমে প্রসূতি মীম আক্তারের ডেলিভারী করার জন্য বলেন। তারা হতদরিদ্র হওয়ায় এ প্রস্তাব মেনে না নেওয়ায় ওই ডাক্তার সিজারিয়ান অপারেশনের সময় অবহেলা করায় মা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।
তাদের আরও অভিযোগ, অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পুর্বেও মীম আক্তার হেটে-হেটে অপারেশেন থিয়েটারে গিয়েছে। অথচ অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার ২০ মিনিটের মাথায় প্রসূতি মা ও নবজাতকের মুত্যু হয়।
নিহতের খালা মাজেদা আক্তার আহাজারি করে বলেন, প্রসূতির মৃত্যুর পর জোরপূর্বক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশের ছাড়পত্র কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে মা ও মেয়ের মরদেহ বের করে দেন। এসময় হাসপাতালের লোকজন জোরপূর্বক আমাদের বের করে দিতে চাইলে আমরা বাধা দেওয়ায় আমাদের গায়ে হাত দেয় তারা
অভিযোগ প্রসঙ্গে, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কলসালটেন্ট (গাইনী) ডা. সালমা জাহান মুঠোফোনে বলেন, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সাদিকুর রহমান ঢাকায় থাকায় তিনি গণমাধ্যমকে কোন ধরনের সাক্ষাতকার দিতে পারবেন না জানিয়ে ফোন কেটে দেন।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়কের চলতি দায়িত্বে থাকা সিনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) ডা. প্রনব কর্মকারের মুঠোফোনে যোগাযোগের একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. মিনহাজ উদ্দিন মিয়া বলেন,বিষয়টি তিনি জেনেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সাদিকুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জুনিয়র কলসালটেন্ট (গাইনী) ডা. সালমা জাহান হাসপাতালের পাশেই অবস্থিত একটি বেসরকারি ক্লিনিক সোনিয়া নাসিং হোমে কনসালটেন্ট (গাইনী) হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও জেনারেল হাসপাতালের প্রসূতি মায়েদের উক্ত ক্লিনিকে নিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সিজারিয়ান অপারেশন করার অভিযোগ রয়েছে।