একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন স্থানে বুধবার(১৭ এপ্রিল) রাতে অন্তত ৬টি বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
রাত ৯টা ২৭ মিনিটে শহরের পৌর ভবনের সামনে দুটি, শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানের পূর্ব পাশের কোনায় একটি, শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একটি ও টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ ময়দানে দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
বিকট শব্দে দফায় দফায় বিষ্ফোরণের পর সাধারণ মানুষ দিদ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। এসময় নিরালা মোড়সহ শহর ফাঁকা হয়ে যায়। মানুষের মধ্যে তৈরি
হয় আতঙ্ক।
পরে পুলিশের একটি দল পৌর ভবনের সামনে থেকে অবিষ্ফোরিত তিনটি তাজা বিষ্ফোরক উদ্ধার করে।
বৃহস্পতিবার শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের একই সময়ে দুটি সমাবেশ আহবান করা হয়। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে আতঙ্ক তৈরি করার লক্ষ্যে একটি পক্ষ এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।
এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার(১৮ এপ্রিল) সকালের আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের ডাকা রাজনৈতিক মিছিল ও সমাবেশ বাতিল করা হয়েছে বলেন জানান টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার।
বিষ্ফোরণের ঘটনার পর শহরে পুলিশ ও বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া শহরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত
পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে নয়টার দিকে দুটি মোটরসাইকেলে চারজন হেলমেট পরিহিত আরোহী পৌর ভবনের সামনে এসে হঠাৎ দুটি বিষ্ফোরণ ঘটায়। এসময় তারা আরো তিনটি বিষ্ফোরক ছুড়লেও তা বিষ্ফোরিত হয়নি। পরে একটি মোটরসাইকেল বিন্দুবাসিনী বালক বিদ্যালয়ের পেছনের সড়ক দিয়ে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ’র দিকে চলে যায়। অপর মোটরসাইকেলটি ক্লাব রোড হয়ে পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের দিকে চলে যায়।
তারা আরও জানায়,পরে পুলিশ এসে টাঙ্গাইল পৌর ভবনের সামনে থেকে তিনটি অবিষ্ফোরিত বিষ্ফোরক উদ্ধার করে এবং বিষ্ফোরণের আলামত সংগ্রহ করে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাকিব বলেন, কে বা কাহারা মোটরসাইকেল যোগে এসে পৌর ভবনের সামনে দুটি বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে। এছাড়া এখান থেকে তিনটি অবিষ্ফোরিত বিষ্ফোরক উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এগুলো ককটেল নাকি অন্য বিষ্ফোরক তা খতিয়ে দেখা হবে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়ছার বলেন, আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল)সকালে আমার কাছে মিছিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিষ্ফোরণ ঘটনার পর তাদের মিছিলের অনুমোদি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। শহরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
রাখতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।এছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যারা এই বিষ্ফোরণ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ ‘পৃথক দুটি ব্যানারে’ বৃহস্পতিবার একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশের আহ্বান করেছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চলছে উত্তেজনা।
এক পক্ষ টাঙ্গাইলের সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শহরের শহীদ স্মৃতি উদ্যানে একটি সমাবেশ আহ্বান করেছেন। তার ধর্ষণ মামলার
আসামি শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে সদ্য অব্যাহতি প্রাপ্ত গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিকে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করছে।
অপর পক্ষ জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে একই দিন একই সময় শ্রমিক সমাবেশের আয়োজন করে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বালা মিয়া, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনির ও ফেডারেশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান ওরফে
আমিন।
তানভীর হাসান টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া তাঁর ভাই।
টাঙ্গাইলের সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারের নেতৃত্বে রয়েছেন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম সিরাজুল হক, সদর উপজেলা
পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান আনছারী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুজ্জামান সোহেল।
একতার কন্ঠ: গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একতা এক্সপ্রেসে ট্রেনের ছাদে থাকা হানিফ মিয়া নামে এক যাত্রীর নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে টাঙ্গাইল রেলস্টেশন পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
নিহত হানিফ জয়পুরহাট জেলার আমতলী থানার আমতলী গ্রামের আ. হান্নানের ছেলে।
ঘারিন্দা রেলস্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আকবর জানান, জয়পুরহাট থেকে ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে উঠে নিহত হানিফ মিয়া।
পথিমধ্যে কোথায় কীভাবে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে তা কেউ বলতে পারেনি। ট্রেনটি টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেল স্টেশনে এসে পৌঁছালে মরদেহটি দেখার পর উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, মরদেহটি রেলওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এলে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে শিশু সন্তান রেখেই পালিয়েছেন স্ত্রী জাকিয়া (২৬)।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর নাম ফিরোজ (২৯) সে স্থানীয় শাহজাহানের ছেলে এবং জাকিয়া পাশ্ববর্তী জিগাতলা গ্রামের জামিলের মেয়ে।
প্রতিবেশি ও স্বজনরা জানান, পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে ৬-৭ বছরের একটি শিশু ছেলে সন্তান রয়েছে তাদের। সংসার জীবনের মধ্যেই প্রায়ই এক অপরকে দোষারোপ করে বিভিন্ন সময় ঝগড়া করতো।
এনিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার গ্রাম্য সালিশি হয়। মঙ্গলবার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে বুধবার ভোরে ফিরোজের গোপনাঙ্গ কেটে সন্তান রেখেই জাকিয়া পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ফিরোজ জানায়, ভোরে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে লিঙ্গ কেটে ফেলে। পরে ডাক-চিৎকার শুনে পরিবার ও প্রতিবেশিরা এসে উদ্ধার করে এরআগে শিশু সন্তান রেখেই স্ত্রী জাকিয়া পালিয়ে যায়।
ফিরোজের মামা আরজু জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। ভোরে ঘুমানো অবস্থায় ভাগিনার লিঙ্গ কেটে ফেলে তার স্ত্রী। পরে পাশের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. দুলাল হোসেন চকদার বলেন- বিষয়টি জেনেছি। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ফিরোজকে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা।
তিনি আরও বলেন, স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সাংসারিক ঝামেলা চলছিল। এনিয়ে সম্প্রতি একাধিকবার দরবার-সালিশ করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার কাজল তালুকদার বলেন, লিঙ্গের পুরো অংশ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ জানান, ঘটনাটি জেনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একতার কণ্ঠঃ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর উপজেলায় সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে অনলাইনে চেয়ারম্যান পদসহ ৩৬ প্রার্থী মনোননয়পত্র দাখিল করেছেন।
জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ধনবাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ছয় জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
তারা হচ্ছেন, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হারুনার রশিদ হীরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, সাবেক ছাত্রনেতা মো. আজিজুল ইসলাম ও খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপনের স্ত্রী মোর্শেদা ইসলাম।
এছাড়া এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
মধুপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
তারা হচ্ছেন, মধুপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. ছরোয়ার আলম খান আবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মীর ফরহাদুল আলম মনি। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয় জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
গোপালপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
তারা হচ্ছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মোমেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি কেএম গিয়াস উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শামসুল আলম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আইয়ুব খান। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
টাঙ্গাইলের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মতিয়ূর রহমান জানান, দেশের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে।
তিনি জানান, প্রথম ধাপের নির্বাচনে ১৫২টি উপজেলার মধ্যে ৯টি জেলার ২২টি উপজেলায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ হবে ২৩ মে, তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপের ভোট হবে ৫ জুন। এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো দলীয় প্রতীক থাকছে না।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাকে চুড়ান্ত অব্যাহতির জন্য দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে সুপারিশ করেছে শহর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও গোলাম কিবরিয়া বড় মনির জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব ও টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই।
ওই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ঢাকার তুরাগ থানায় গত ২৯ মার্চ ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন এক নারী। এজন্য দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় তার বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
এরআগেও টাঙ্গাইলে এশা মির্জা নামের আরেক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের মামলা রয়েছে বড় মনিরের বিরুদ্ধে। ওই মামলায় তিনি উচ্চ আদালতে জামিনে রয়েছেন।
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ স্বাক্ষরিত অব্যাহতি পত্র পাঠানো হয়েছে। দলের ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযমের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
দলীয় সাধারণ সম্পাদককে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে “ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হওয়ার পর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার এই অনৈতিক কর্মকান্ডে দলীয় ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে এবং এ কারনে টাঙ্গাইলের সাধারণ জনগন দলের প্রতি বিরূপ ধারনা পোষন করছে। এমতবস্থায় টাঙ্গাইল জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের পরামর্শ ও নির্দেশক্রমে দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং সুনাম ও ভাবমূর্তি বজায় রাখার নিমিত্তে গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরকে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করা হলো এবং চুড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য আপনার নিকট সুপারিশ করা হলো।
এদিকে ঢাকায় ধর্ষণ মামলা দায়ের পর দিন থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন বড় মনির। জেলার কোন অনুষ্ঠানে বা দলীয় কোন কর্মকান্ডে তাকে পাওয়া যায় না।
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ বলেন, ঈদের আগে দলের সাধারণ সম্পাদকের কাছে গোলাম কিবরিয়াকে চুড়ান্ত অব্যাহতি প্রদানের জন্য সুপারিশ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদকের কোন সিদ্ধান্ত এখনো পাওয়া যায়নি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল মিউজিক্যাল ব্যান্ড’স অ্যাসোসিয়েশন টামবা’র প্রয়াত সভাপতি শামিম খানের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল পৌর শহরের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে টাঙ্গাইল মিউজিক্যাল ব্যান্ড’স অ্যাসোসিয়েশন টামবা’র উদ্যোগে এ ইফতার ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এলেন মল্লিক, টাঙ্গাইল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ, টাঙ্গাইল মিউজিক্যাল ব্যান্ড’স অ্যাসোসিয়েশন টামবা’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রহিন আলী, সাধারণ সম্পাদক লিমন খান, সাংস্কৃতিক কর্মী ফিরোজ বাচ্চু প্রমুখ।
একতার কণ্ঠঃ ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে প্রায় ৯ ঘণ্টা পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ফলে যাত্রী ও চালকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পরিবহনগুলো সড়কে নির্বিঘ্নে মহাসড়কে যাতায়াত করছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে তা বেড়ে ১৭ কিলোমিটারে দাঁড়ায়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে কয়েকটি যানবাহন বিকল এবং একটি বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এরপর থেকে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুপুর ২টার পর থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এরআগে যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন ঘরমুখো মানুষ। যানজটের ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা পরিবহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতু
পূর্ব-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যবহার করে।
টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) রফিকুল ইসলাম সরকার জানান, মহাসড়কে গাড়ি বিকল ও একটি সড়ক দুর্ঘটনার কারণে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে বঙ্গবন্ধু সেতু উত্তরবঙ্গমুখী ওয়ানওয়ে করে দেওয়া হয়। পরে দুপুরের পর যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে। বতর্মানে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের ঘন ঘন আসা-যাওয়া ও মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের ফলে জনজীবনে নাভিম্বাস ওঠেছে। গ্রাম কিংবা শহরে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সরবরাহ অর্ধেকে নেমে আসায় প্রচন্ড দাবদাহে সাধারণ মানুষ হাসফাঁস করছেন।
শিল্প-কারখানায় ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। চাষের জমিতে পানি দিতে না পারায় চিন্তিত কৃষক। ব্যবসায়ীরা বেশি বিপাকে পড়েছেন। ঈদ ও বৈশাখের আগে প্রচন্ড গরম ও দিনের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় বিকিকিনিতে ধস নেমে এসেছে।
বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল জেলায় আবাসিক ও শিল্পকারখানাসহ প্রায় ১১ লাখ গ্রাহক রয়েছে। এসব গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে মাত্র ১৩০ থেকে ১৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার মধ্যে টাঙ্গাইল জোনে ৭টি উপজেলা ও ময়মনসিংহ জোনে ৫টি উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
টাঙ্গাইল জোনের জোনাল অফিসের আওতাধীন ৬ লাখের বেশি বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এবং ময়মনসিংহ জোনাল অফিসের আওতায় ৪ লাখ ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। জেলার ছোট বড় ৮ শতাধিক শিল্পকারখানায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে পল্লী বিদ্যুত সমিতি। এসব শিল্পকারখায় পাঁচ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করে থাকেন।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, টাঙ্গাইল জেলায় গত কয়েকদিন যাবত ৩৭ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় ব্যাপক দাবদাহ বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগীরা জানায়, প্রচন্ড গরমের মধ্যে বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে মানুষের ভোগান্তি চরমে। তীব্র দাবদাহে প্রাণিকূলের অবস্থাও ওষ্ঠাগত। জমিন শীতল হওয়ার আশায় প্রকৃতির দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকছে প্রাণিকূল। ঈদকে সামনে রেখে রোজার শেষ সময়ে সেহরি ও ইফতারের সময়ও লোডশেডিং হচ্ছে যথেচ্ছ। ইফতারের সময় এরমাত্রা কিছুটা কম হলেও সেহরির সময় প্রায় নিয়মিত লোডশেডিং হচ্ছে।
তারা জানায়, প্রতিদিন সকাল ৭টার পর থেকে সূর্যের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। দুপুরে তীব্রতা আরও বেশি। রোজাদারের জন্য কষ্ট বেড়েছে কয়েকগুণ। এরমধ্যে শহর এলাকায় দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পালা করে এলাকা ভিত্তিক দফায় দফায় বিদ্যুতের লোডশেডিং দেওয়া হয়। গ্রামের অবস্থা আরও ভয়াবহ। গ্রাম এলাকায় কখন বিদ্যুৎ আসে সেই হিসাব রাখেন ভুক্তভোগীরা। সেখানে প্রায় সময়ই বিদ্যুৎ থাকেনা- যদিওবা আসে কয়েক মিনিট পরেই চলে যায়। চলতি বোরো মৌসুমে চাষের জমিতে পানি সেচ দিতে না পারায় ফলন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পরেছেন কৃষকরা। দাবদাহে খেটে খাওয়া মানুষগুলো সবচেয়ে বিপদে রয়েছেন।
অনেকেই জানায়, রোদে তাকালেই চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। টানা গরম আর অনাবৃষ্টিতে মানুষের প্রাণ প্রায় ওষ্ঠাগত। গরম বাতাস আগুনের হলকা হয়ে শরীরে লাগছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। প্রকৃতির এমন বৈরী আচরণের মধ্যে ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং।
জেলা শহরের রেজিস্ট্রি পাড়ার ইমাম হোসেন, আকুর টাকুর পাড়ার শহিদুল ইসলাম রুমি, বটতলার আনিছুর রহমান, তালতলার মঞ্জুরুল ইসলাম, আদি টাঙ্গাইলের গৃহবধূ রহিমা রহমান, থানাপাড়ার জোবায়ের হোসেন, আদালত পাড়ার শিবলী সহ অনেকেই জানান, প্রচন্ড দাবদাহে বাসায় থাকা যায় না। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ। শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সর্দি-কাশি, জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
শহরের হিরা মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন, শাহালম মিয়া, সিদ্দিকুর রহমান, জয়নাল আবেদীন সহ অনেকেই জানান, ক্রেতার চাপ থাকলেও প্রচন্ড গরমে দোকানে বসে থাকা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে লোডশেডিং চলছে। লোডশেডিং হলে এক থেকে দেড় ঘণ্টার আগে বিদ্যুৎ আসেনা। ফলে আইপিএস লাগিয়েও সমাধান পাওয়া যায়না। বিদ্যুৎ না থাকায় আইপিএসও চার্জ হয়না।
টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন জানান, টাঙ্গাইল শহর এলাকায়ও প্রতিদিন ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। প্রতিবার এক থেকে দেড় ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না।
টাঙ্গাইল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, সম্প্রতি তিনি টাঙ্গাইল জোনে যোগদান করেছেন। টাঙ্গাইল জোনে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা ৬ লাখের বেশি। এ এলাকায় ছোট বড় মিলে ৪৫০টি শিল্পকারখানাসহ ও আবাসিক গ্রাহকের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ১০০ থেকে ১০৫ মেগাওয়াট। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে লোডশেডিং বেড়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ময়মনসিংহ জোনের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. শহীদ উদ্দিন জানান, প্রচন্ড দাবদাহে সারাদেশে লোড বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সর্বোচ্চ লোডশেডিং চলছে। এ জোনের আওতায় ৪ লাখ ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। বিদ্যুতের চাহিদা ৫৫ মেগাওয়াট। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ মেগাওয়াট।
বিউবো টাঙ্গাইলের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিক্রয় ও বিতরণ) খন্দকার কামরুজ্জামান জানান, টাঙ্গাইল পৌরসভায় ৪৭ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা ২০ মেগাওয়াট। গত সপ্তাহ পর্যন্ত গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক ছিল। ৪-৫ দিন ধরে তারা ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পাচ্ছেন। ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকছে। এই ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন কম পাওয়া যাচ্ছে তা তিনি জানেন না। ফলে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন অব্যাহত রাখা হচ্ছে।
একতার কণ্ঠঃ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল জেলা সদরে অবস্থিত শিশু একাডেমী মিলনায়তনে এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা ইউনিট আয়োজিত এই ইফতার ও দোয়া মাহফিল পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. ছানোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট জাফর আহমেদ।
জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের সভাপতি মাসুদুর রহমান মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম টুটুলের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা খন্দকার নিপুণ হোসাইন, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের কার্যকরী কমিটির সদস্য মু. জোবায়েদ মল্লিক বুলবুল, সদস্য আশিকুর রহমান পলাশ, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আরমান কবীর সৈকত, কালিহাতী প্রেসক্লাবের সভাপতি রঞ্জন কৃষ্ণ পণ্ডিত, সাবেক সভাপতি শাহ্ আলম, সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মুশফিকুর রহমান মিল্টন, ক্লিন টাঙ্গাইলের সভাপতি শাহীন চাকলাদার, সেন্টার ফর রুরাল ডিজেবল ডেভলপমেন্ট (সিআরডিডি) টাঙ্গাইলের সভাপতি এইচ.কে ইউসুফ জাই প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করেন হাফেজ মাওলানা মো. ফজলুল হক।
এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা ইউনিটের সকল সদস্য ও ১২টি উপজেলার সভাপতি-সম্পাদকসহ বিপুল সংখ্যক জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
একতার কণ্ঠঃ ইংরেজি জাতীয় দৈনিক দি ডেইলি পোস্টের টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি রবিন তালুকদার ২০১৯ সাল থেকে মরণ ব্যাধি থাইরয়েড ক্যানসার আক্রান্ত। বর্তমানে তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং নিয়মিত ওষুধ সেবন করছেন। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। এই টাকা যোগান দেওয়ার সামর্থ্য নেই রবিন ও তার পরিবারের। এক কন্যা সন্তানের জনক রবিন বাঁচার জন্য সকলের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেছেন। আপনার একটু সহযোগিতা বাঁচাতে পারে রবিন ও তার পরিবারকে।
রবিন তালুকদারকে বিকাশ ও নগদে সহায়তা পাঠানো যাবে, নম্বর – ০১৭৫২-৩০৭৭৯৫ (বিকাশ পার্সনাল) এবং ০১৭৫২-৩০৭৭৯৫ (নগদ পার্সনাল)।
রবিনের পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, মরন ব্যাধি থাইরয়েড ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে রবিন ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লক সি-এর নাক-কান-গলা (ইএনটি) বিভাগের ৭ম তলার ৭৩৫নং কক্ষের পেয়িং বেড-১ এ ভর্তি হয়েছিলেন।
পরবর্তীতে একই সালের ৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) তার অপারেশন সম্পন্ন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা (ইএনটি) বিভাগের সার্জন প্রফেসর আবুল হাসনাথ জোয়ার্দার।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, এ রোগ নির্ণয়ের টেস্ট বাবদ ইতোমধ্যে খরচ হয়েছে তার প্রায় ৪০ হাজার টাকা এবং অপারেশন বাবদ খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও অপারেশন পরবর্তী সময়ে তার আরো বেশ কিছু টাকা ব্যয় হয়। আনুমানিক ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা চিকিৎসা বাবদ ইতিমধ্যে খরচ হয়েছে।
মরণ ব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত সাংবাদিক রবিন তালুকদার বলেন, তৎকালীন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম আমার ক্যানসার আক্রান্তের কথা যেনে আমাকে ২০হাজার টাকা দিয়ে আর্থিক সহযোগীতা করেছিলেন। পাশাপাশি তৎকালীন পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় ২০হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা চেয়ে রবিন বলেন, আমার এক কন্যা সন্তান রয়েছে। নিজের জমানো টাকা ও স্বজনদের সহয়তায় এখন চিকিৎসা চলছে। দুটি রেডিও থেরাপি ইমপালস ক্যানসার হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে। আরও পাঁচটি থেকে ছায়টি রেডিও থেরাপি লাগবে। এখন চিকিৎসার টাকা সংগ্রহ হলে আবার হাসপাতালে গিয়ে রেডিও থেরাপি নেওয়া যাবে।
রবিন তালুকদার আরও বলেন, ক্যানসারের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। কিন্তু এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ্য নেই আমার বা পরিবারের। তাই সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। রোগমুক্তি কামনায় সকলের দোয়া কামনা করেছেন তিনি।
রবিন তালুকদারকে বিকাশ ও নগদে সহায়তা পাঠানো যাবে, নম্বর – ০১৭৫২-৩০৭৭৯৫ (বিকাশ পার্সনাল) এবং ০১৭৫২-৩০৭৭৯৫ (নগদ পার্সনাল)।
উল্লেখ্য, সাংবাদিক রবিন তালুকদার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের উত্তর তারটিয়া গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম তালুকদারের ছেলে। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তার বড় ভাই ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন। মা, স্ত্রী, এক কন্যা সন্তান ও ছোট দুই ভাই নিয়েই তাদের সংসার।
একতার কণ্ঠঃ মরণ ব্যাধি থাইরয়েড ক্যান্সারে আক্রান্ত ইংরেজি দৈনিক দ্যা ডেইলি পোস্ট পত্রিকার টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধি রবিন তালুকদারের চিকিৎসায় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে টাঙ্গাইল শহরের ভিক্টোরিয়া রোডে অবস্থিত সংগঠনের কার্যালয়ে অসুস্থ রবিন তালুকদারের চিকিৎসার্থে তার হাতে সহায়তার অর্থ তুলে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সভাপতি হাজী মুহা. সাজ্জাদুর রহমান খোশনবীশ, সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী জিয়াদ সিদ্দিক, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ্ জনি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস আরা ডায়না, কাজী নুসরাত ইয়াসমিন, শিউলি খান সনি প্রমুখ ।
অসুস্থ সাংবাদিক রবিন জানান, নিজের জমানো টাকা ও স্বজনদের সহয়তায় এখন চিকিৎসা চলছে। দুটি রেডিও থেরাপি ইমপালস ক্যান্সার হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে। আরও পাঁচ থেকে ছায়টি রেডিও থেরাপি লাগবে।
তিনি আরও জানান, এত টাকা ব্যয় করার সামর্থ তার বা পরিবারের নেই। তাই তিনি সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করছেন। রবিন তালুকদারকে বিকাশ ও নগদে সহায়তা পাঠানোর নম্বর-০১৭৫২-৩০৭৭৯৫ (বিকাশ পার্সোনাল) এবং ০১৭৫২-৩০৭৭৯৫ (নগদ পার্সোনাল)।
প্রকাশ, বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান সাংবাদিক রবিন তালুকদার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের উত্তর তারটিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবুল কালাম তালুকদারের ছেলে। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বর্তমানে বাসায় অবস্থান করে নিয়মিত ওষুধ সেবন করছেন। তার চিকিৎসার জন্য পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা প্রয়োজন।
একতার কণ্ঠঃ ঈদযাত্রায় বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মহাসড়ক পরিদর্শন করে গণশুনানী ও মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বলেছেন, মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে সেতুর টোলপ্লাজা পর্যন্ত সাড়ে ১৩ কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র সাত কিলোমিটার এলাকায় চারলেনের কাজ চলছে।
আসন্ন ঈদযাত্রায় ওই সাত কিলোমিটার এলাকা সিঙ্গেল সড়কে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। ওই সাত কিলোমিটারে কোনো গাড়ি থামানো যাবেনা।
ওখানের প্রতি কিমিতে ১০জন করে দায়িত্বশীল ব্যক্তি সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকলে এ সমস্যা এড়ানো সম্ভব হবে। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় প্রশাসন, পরিবহণ মালিক-শ্রমিক সমিতি সহ অংশিজনদের সহযোগিতা কামনা করেন।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল-২০২৩-২৪ এর আওতায় ঈদযাত্রা ও সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে গণশুনানী ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী।
সভায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তের টোলপ্লাজায় টোলবুথ বাড়ানো, মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা দুইটি টোলবুথ স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই সভায় জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বাসেক) বঙ্গবন্ধু সেতু অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল, টাঙ্গাইল সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমিরী খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরফুদ্দিন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ, চার লেন প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইট ম্যানেজার মো. রবিউল আউয়াল, টাঙ্গাইল জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. বালা মিয়া প্রমুখ।