/ হোম / আবহাওয়া
আগামী ৩ দিন বৃষ্টি নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস - Ekotar Kantho

আগামী ৩ দিন বৃষ্টি নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস

একতার কন্ঠঃ কয়েক দিন ধরে চলা টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত টাঙ্গাইলের জনজীবন। তবে রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টি গত কয়েক দিনকে ছাড়িয়ে গেছে। এদিন সকাল থেকে চলা অবিরাম বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শহরবাসী। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পরেছে জেলার শ্রমজীবী মানুষেরা। অফিসগামী সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগও অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। বৃষ্টির এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে, তার দিন গুণছে মানুষ।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি স্থল গভীর নিম্নচাপ হয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশজুড়ে চলমান বৃষ্টি আগামী তিন দিনও অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, স্থল গভীর নিম্নচাপটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। পাশাপাশি মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গভীর স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই সঙ্গে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়েও দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে।

বর্ধিত ৫ দিনে আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১৬. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৬:এএম ১ মাস আগে
লৌহজং নদীর দখল ও দূষণরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা  - Ekotar Kantho

লৌহজং নদীর দখল ও দূষণরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা 

একতার কন্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা লৌহজং নদী দখল ও দূষণরোধে করণীয় শীর্ষক দলীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার(২১ আগষ্ট )দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি’ (বেলা) উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বিশিষ্ট সমাজকর্মী খন্দকার নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, সমাজকর্মী জালাল আহমেদ উজ্জল, আরপিডিও’র নির্বাহী পরিচালক রওশনারা লিলি।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) বিভাগীয় সমন্বয়কারী গৌতম চন্দ্র চন্দ। আলোচনা সভায় বক্তারা লৌহজং নদী দখল ও দূষণরোধে করনীয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

এসময় বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের সদস্য ও সমাজ কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

সর্বশেষ আপডেটঃ ২২. অগাস্ট ২০২৪ ০২:৪০:এএম ২ মাস আগে
টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে একদিনে পানি বাড়ল ৩৩ সেন্টিমিটার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে একদিনে পানি বাড়ল ৩৩ সেন্টিমিটার

একতার কণ্ঠঃ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে একদিনে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩ সেন্টিমিটার। এছাড়াও জেলার ছোট-বড় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) সকালে টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকাল ৬ টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পোড়াবাড়ী পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরআগে বিপদসীমার ১০ দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নূরুল আমিন জানান, দু’দিন আগেও টাঙ্গাইলের যমুনা নদীসহ জেলার অন্যান্য নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করে। কিন্তু ফের ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে যমুনাসহ জেলার সব নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করছে। তবে, বড় ধরণা বড় ধরণের বন্যার সম্ভাবনা নেই।
এদিকে, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির শুরু থেকে ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে চিতুলিয়াপাড়া, মাটিকাটা ও কোনাবাড়ী এলাকার বেশ কয়েকটি ঘর-বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া চরাঞ্চলের অপরিপক্ক তিল পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. জুলাই ২০২৪ ০২:২৪:এএম ৪ মাস আগে
টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের ছাতা ও‌ পানি বিতরণ - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের ছাতা ও‌ পানি বিতরণ

একতার কণ্ঠঃ প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে টাঙ্গাইলে বিতরণ করা হয়েছে ছাতা। সেই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে সুপেয় পানি ও বিস্কুট। কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে বুধবার (১ মে) দুপুরে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড মোড়ে জেলা যুবলীগের উদ্যোগে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

রোদে সুরক্ষার জন্য ছাতার পাশাপাশি সুপেয় পানি ও বিস্কুট পেয়ে খুশি পথচারীসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। এ সময় ভ্যান চালকদের মাঝেও বিতরণ করা হয় ছাতা।

পথচারী বারেক মিয়া বলেন, মে দিবসের জন্য দোকানপাট বন্ধ। বিস্কুট ও পানি পেয়ে খুব উপকার হলো। এরকম কার্যক্রম চলমান থাকলে পথচারী ও ভ্যান চালকরা স্বস্তি পাবে।

জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইম তালুকদার বিপ্লব বলেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের নির্দেশে আমরা প্রথমদিনে ৫০ জনের মাঝে ছাতা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া পথচারী ও নিম্ন আয়ের এক হাজার মানুষকে সুপেয় পানি ও বিস্কুট দেওয়া হয়েছে। যতদিন অসহ্য তাপদাহ থাকবে, এ কার্যক্রম ততদিন চলবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের সভাপতি মাসুদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইম তালুকদার বিপ্লব, নুর মোহাম্মদ সিকদার মানিকসহ জেলা ও উপজেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০২. মে ২০২৪ ০৩:৩১:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নারীর মৃত্যু - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে নারীর মৃত্যু

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে তীব্র তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে হিট স্ট্রোক করে সালমা বেগম (৫০) নামের ওই নারীর মৃত্যু হয়।

তিনি ভূঞাপুর পৌর শহরের ফকিরপাড়ার চরপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট সানাউল্লাহর স্ত্রী।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্বজনরা জানান, শুক্রবার রাতে প্রচণ্ড গরমের কারণে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যান সালমা।পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ভুঞাপুর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান জানান, শুক্রবার রাতে সালমা নামে এক বয়স্ক নারীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছিল। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়। প্রচন্ড গরমে স্টোক জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৮. এপ্রিল ২০২৪ ০২:৫২:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ‘ইস্তিসকার’ নামাজ আদায় - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে বৃষ্টির জন্য ‘ইস্তিসকার’ নামাজ আদায়

একতার কণ্ঠঃ প্রচন্ড তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ। আকাশে মেঘের দেখা নেই বৃষ্টিহীন চরম অস্বস্তিকর এ পরিস্থিতিতে গরম থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির জন্য টাঙ্গাইলে খোলা আকাশের নিচে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ‘ইস্তিসকার’ নামাজ ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

নামাজে ইমামতি করেন শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের খতিব ও জেলা ইমাম মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন ঈমান।

নামাজে টাঙ্গাইল পৌর মেয়র এস.এম সিরাজুল হক আলমগীর, সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত সহস্রাধিক মুসল্লি অংশ নেয়।

নামাজে অংশ নেওয়া কয়েকজন মুসল্লি জানান, টানা কয়েক দিনের প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রখর রোদের কারণে জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বাইরে বের হতে পারছে না অনেক মানুষ। এ কারণে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত সালাতুল ‘ইস্তিসকার’ আদায় করা হয়।

উল্লেখ্য, মূলত সালাতুল ‘ইস্তিসকার’ সুন্নতি আমল। এ নামাজ ঈদের নামাজের মতো। নামাজ শেষে খুৎবা পাঠ করা হয়। তারপর দোয়ায় অনাবৃষ্টি ও অসহ্য গরম থেকে মুক্তি এবং মহান আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৬. এপ্রিল ২০২৪ ০২:৩৯:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে তাপমাত্রা রেকর্ড ৪০ ডিগ্রী, বিপর্যস্ত জনজীবন - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে তাপমাত্রা রেকর্ড ৪০ ডিগ্রী, বিপর্যস্ত জনজীবন

একতার কণ্ঠঃ সপ্তাহব্যাপী তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জেলার শহর ও গ্রামের জনজীবন। এর সাথে অনাবৃষ্টি যোগ হওয়ায় এক প্রকার বাধ্য না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছে না জেলা বাসী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিস। এটিই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছেন অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক জামাল হোসাইন।

তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর ৩টায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আরও বাড়বে। সন্ধ্যা ৬টায় সর্বশেষ তাপমাত্রা মাপা হবে। আরও দুইদিন এ দাবদাহ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

সরেজমিনে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইল শহর, দাইন্যা ও হুগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বাইরে আসা লোকজন গরম সইতে না পেরে চায়ের দোকান ও গাছপালার নিচে আশ্রয় নিচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষ। চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে আরও কয়েক গুণ।
রাস্তাঘাট এক প্রকার জন-মানব শূন্য। প্রখর সূর্যের তাপে রাস্তাঘাটে টেকা দায়। বাতাস এলে তার সাথে আসছে ধুলা-বালি ও গরম বাতাস। কেউ বাড়ি থেকে বের হলেও বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও ধুলাবালি থেকে বাঁচতে ছাতা ও মুখে মাক্স ব্যবহার করছে।

হুগড়া ইউনিয়নের বেগুনটাল বাজারে কথা হয় সবজি বিক্রেতা ঈমান আলীর সাথে। তিনি বলেন, প্রচন্ড গরমে বাজারে কোনো ক্রেতা নেই। পেটের দায়ে বাধ্য হয়েই তিনি সবজি নিয়ে বসে আছেন বিক্রির আশায়। গরমের কারণে তার বিক্রি অর্ধেক কমে গেছে।

দাইন্যা ইউনিয়নের বাসাখানপুর বাজারে কথা হয় আখের রস বিক্রেতা মুন্না মিয়ার সাথে। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন যাবত তার আখের রস বিক্রি অনেক গুন বেড়েছে। প্রচন্ড গরমে মানুষ বাধ্য হয়েই আখের রস বেশি বেশি খাচ্ছে। বেচা-বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় মুন্নার মুখে তৃপ্তির হাসি।

টাঙ্গাইল শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ্ মাঠে কথা হয় সাহান হাসানের সাথে। তিনি বলেন, আমি বটতলা থেকে মার্কাস মসজিদে নামাজ পড়তে এসেছিলাম। মসজিদের ভিতরেও প্রচন্ড গরম। এছাড়া ঈদগাহ্ মাঠ যেন ধুলা-বালির রাজত্ব। গরম ও ধুলা-বালিতে টাঙ্গাইল শহরে বসবাস করাই দায়। এর সাথে যুক্ত হয়েছে মশা। কবে যে বৃষ্টি হবে একমাত্র আল্লাহ্ পাক ভালো জানেন।

এ অবস্থায় দেশব্যাপী শুক্রবার তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিকের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কতা জারির কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়- দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বাড়তে পারে বলে জানানো হয়।

এছাড়া সারা দেশে হিট আল্যার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

অন্যদিকে তাপদাহের চাপে রোগী বেড়েছে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে। গরমে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু, বৃদ্ধ ও শ্রমজীবীরা।

এমন পরিস্থিতিতে বেশি করে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও তরল খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন জেলার
সিভিল সার্জন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২০. এপ্রিল ২০২৪ ০৩:৪৫:এএম ৬ মাস আগে
টাঙ্গাইলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৯ ডিগ্রি, মঙ্গলবার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৯ ডিগ্রি, মঙ্গলবার স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে সোমবার (২২ জানুয়ারি) শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা এই মৌসুমের এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

টাঙ্গাইল জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জেলার সকল স্কুল-কলেজ একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন।

এদিকে, বছরের শুরু থেকেই টাঙ্গাইলের তাপমাত্রার পারদ ধীরে ধীরে কমছে। এর ফলে, শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ঘন কুয়াশার চাদর। ফলে গত সপ্তাহ থেকেই কোন দিন সূর্যের দেখা মিলছে আবার কোনদিন মিলছে না। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে কেউ বের হচ্ছেন না। আকাশে সূর্য উঁকি দিলেও রোদের তাপমাত্রা অত্যন্ত কম থাকে। প্রত্যান্ত গ্রামের মানুষ খড়ুকুটো ও গাছের গুড়িতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সব মিলিয়ে জেলার জনজীবন এক প্রকার বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ ও ভাসমান জনগোষ্ঠী সবচেয়ে ভোগান্তির শিকার।

শীত প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল পৌরসভার পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়া এলাকার মো. মাহবুব আলম উজ্জ্বল বলেন, আমি একজন মোবাইল ব্যবসায়ী। গত কয়েকদিনের প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে গ্রাহক কম আসায় মোবাইল বিক্রি অনেক কমে গেছে। ফলে শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

টাঙ্গাইল শহরের আশেকপুর এলাকার মো. এমদাদুল আহমেদ বাচ্চু বলেন, আমি একজন চাকরিজীবী। প্রতিদিন সকাল ৮টায় আমাকে অফিসে যেতে হয়। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতের কারণে সকাল বেলায় যানবাহন খুব কম থাকায় প্রায়ই অফিসে যেতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া বাসার ছোট ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যেতেও সমস্যা হচ্ছে।

শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক লুৎফর রহমান বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বাইরে আসছেন না। যাত্রী কমে গেছে অনেক। আগে প্রতিদিন ৮শত থেকে ১ হাজার টাকা আয় করতাম। এখন ৫শত টাকার বেশি আয় করা যাচ্ছে না।

টাঙ্গাইল জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামাল উদ্দিন জানান, কয়েকদিন ধরে টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা কমেছে। সোমবার টাঙ্গাইলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ বছরের মধ্যে সর্বোনিম্ন। আরো কয়েক দিন শীত থাকবে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম জানান, তাপমাত্রা সর্বনিম্ন থাকায় জেলার সকল স্কুল-কলেজ মঙ্গলবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার আবহাওয়া দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শীত নিবারনের জন্য জেলার গরিব ও ভাসমান মানুষদের মধ্যে দুই দফায় প্রায় ৮০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ২৩. জানুয়ারী ২০২৪ ০৩:১৯:এএম ৯ মাস আগে
ভূমিকম্পনের উৎপত্তিস্থল লক্ষ্মীপুরে - Ekotar Kantho

ভূমিকম্পনের উৎপত্তিস্থল লক্ষ্মীপুরে

একতার কণ্ঠঃ জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভাদুর ইউনিয়নের হানুবাইশ গ্রামে ভূকম্পন উৎপন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। কম্পনটি ৫.৬ রিখটার স্কেল মাত্রা ও মাঝারি আকারের ছিল। শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ ফারজানা সুলতানা এক চিঠিতে বিষয়টি জানিয়েছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সকাল ৯টা ৩৫ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে ৫.৬ রিখটার স্কেলের মাত্রায় মাঝারি আকারের ভূকম্পনটি হয়েছে।

ভাদুর ইউনিয়নের সমেষপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ ফরিদ বলেন, ভূমিকম্পের সময় আমি রামগঞ্জ উপজেলা শহরে ছিলাম। এজন্য কম্পনের বিষয়টি বেশি বুঝতে পারিনি। বাড়িতে এসে শুনেছি৷ আমাদের পুরো বিল্ডিং কেঁপে উঠেছে। এ ধরণের ভূকম্পন আমাদের এলাকায় আর দেখা যায়নি।

উপজেলার লামচর ইউনিয়নের পানপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, আমি বাঁশ ঝাড়ের নিচে ছিলাম। হঠাৎ পুরো এলাকা কেঁপে উঠেছে। এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে,যেন বাঁশগুলো আমার ওপর ভেঙে পড়ছে। এ ধরণের ভূমিকম্প আর দেখিনি।

রামগঞ্জের ভাদুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বলেন, আমি শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ করে খাট নড়ে উঠছিল। পুরো বিল্ডিংটাই নড়ছিল। এ ধরণের ভূমিকম্প গত কয়েকবছরে দেখিনি। গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি আমাদের হানুবাইশ গ্রামে ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল। তাৎক্ষণিক স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুন হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছি। কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবুও খোঁজ নেওয়া হয়েছে।

রামগতি প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যেবক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, রামগঞ্জে ভূকম্পনের উৎপত্তি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমাদেরকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে। রামগতিও ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান বলেন, ভূমিকম্পটি রামগঞ্জ থেকে উৎপত্তি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবুও রামগঞ্জ ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. ডিসেম্বর ২০২৩ ০২:৫৫:এএম ১১ মাস আগে
টাঙ্গাইলে লোকালয়ে পানি প্রবেশ, যমুনাসহ তিন নদীতে পানি বৃদ্ধি - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে লোকালয়ে পানি প্রবেশ, যমুনাসহ তিন নদীতে পানি বৃদ্ধি

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া তিনটি নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ভূঞাপুর, নাগরপুর ও কালিহাতীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া ও নিকরাইল ইউনিয়নের পাটিতাপাড়া, কোনাবাড়ি ও চিতুলিয়াপাড়া এলাকায়। সম্প্রতি ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কাকুয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম ইতোমধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া, খানুরবাড়ি এলাকাতেও পানি প্রবেশ করেছে। ফলে এলাকার মানুষজন পানিবন্দি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে। তবে পানি আরও বৃদ্ধি পেলে সেইসব এলাকাগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঝিনাই নদীর পানি জোকারচর পয়েন্টে আট সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি পোড়াবাড়ি পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার এবং ধলেশ্বরী নদীর পানি এলাসিন পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ছয় সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ভূঞাপুর উপজেলা কষ্টাপাড়া ঘোষপাড়া গ্রামের বন্ধনা রানী ঘোষ বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘরের সামনে যমুনা নদীর পানি। হঠাৎ পানি আসাতে বিপাকে পড়েছি। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে বিকেলের পর আরও বিপাকে পড়তে হবে। লোকালয়ে পানি আসায় গীতাস্কুল ও কেন্দ্রীয় নাটমন্দিরে ধর্মীয় শিক্ষার ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

কষ্টাপাড়ার গীতাস্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য শিশির দাস বলেন, যমুনা নদীর পানি উপচে গ্রামে প্রবেশ করেছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টাঙ্গাইলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে। তারপর থেকে পানি কমতে শুরু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভূঞাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, সরেজমিনে যমুনা নদীতে গিয়ে পানি বৃদ্ধি ও ভাঙনের চিত্র দেখেছি। ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে একটি এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৩. সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০২:৪১:এএম ১ বছর আগে
নাগরপুরে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি - Ekotar Kantho

নাগরপুরে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে বসতবাড়িসহ বোরো ধান, ব্রি ২৯ ধান, আম ও কাঁঠালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বুধবার (১০ মে) উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের উপর দিয়ে বিকেলে হালকা ঝড়ো হাওয়া ও পরে প্রচন্ড বেগে কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বড় বড় শিলা বৃষ্টি পড়ে। প্রায় ২০ মিনিট ধরে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ঘর বাড়িসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

দপ্তিয়র ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. কাউছার মিয়া জানান, ঝড়ে আমার বসত বাড়ির ঘরসহ আশপাশের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি ঘর উড়ে গেছে। ভেঙ্গে গেছে বহু গাছপালা।

দপ্তিয়র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম ফিরোজ সিদ্দিকী জানান, বিকেলের দিকে আমার ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে শিলা বৃষ্টিসহ কাল বৈশাখী ঝড় হানা দেয়। ঝড়ে ঘর বাড়ি ও গাছপালাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্ধ রয়েছে গোটা ইউনিয়নের বিদ্যুৎ সংযোগ। ঝড়ে ইউনিয়নের মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. মে ২০২৩ ০৪:২১:এএম ১ বছর আগে
বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে ‘মোকা’ - Ekotar Kantho

বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে ‘মোকা’

একতার কণ্ঠঃ দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে বাতাসের গতিবেগ উঠছে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার

নিম্নচাপ সংক্রান্ত আবহাওয়া অধিদপ্তরের তৃতীয় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি বুধবার (১০ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১৫ কি.মি. দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৩৫ কি.মি. দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ মে) পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে৷ সেইসাথে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

এই নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ঘূর্ণিঝড় মোখা। যা অত্যন্ত তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে ঘণ্টায় প্রায় ১৮০ থেকে ২০০ কিলোমিটার বেগে পূর্ব বঙ্গোপসাগর উপকূলে আঘাত করতে যাচ্ছে, এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল থেকে প্রাপ্ত আবহাওয়া পূর্বাভাসের ওপর আমি পূর্ণ আস্থা রাখছি। এ ঘূর্ণিঝড়টি যে খুবই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হবে, সেই আশঙ্কার কথা আগেও বলা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১১. মে ২০২৩ ০২:৫৬:এএম ১ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।