/ হোম / মতামত
পাপ মোচনে যমুনায় গঙ্গাঁস্নানোৎসবে পূর্ণ্যার্থীদের ঢল - Ekotar Kantho

পাপ মোচনে যমুনায় গঙ্গাঁস্নানোৎসবে পূর্ণ্যার্থীদের ঢল

একতার কণ্ঠঃ “হে লৌহিত্য আমার পাপ হরণ করো” এই মন্ত্র উচ্চারণে পাপ-শাপ মোচনে মহাষ্টমীতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে

গঙ্গাঁস্নান করতে পূর্ণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে।

গঙ্গাঁস্নানকালে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে দেশবাসীর জন্য শান্তি কামনায় প্রার্থনা করে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা। গঙ্গাঁস্নানের মাধ্যমে জাগতিক সংকীর্ণতা ও পঙ্কিলতার আবরণে ঘেরা জীবন থেকে পাপ মুক্ত হবেন এমনটাই বিশ্বাস পূর্ণ্যার্থীদের।

এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৯ মার্চ) দিনব্যাপি উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ীতে প্রায় ৩০০ বছরের পুরোনো শ্রী-শ্রী কালী মন্দিরের পাশে যমুনা নদীতে গঙ্গাঁস্নান উৎসব এবং মেলার আয়োজন করেছেন উপজেলার খানুরবাড়ী, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া ও গোবিন্দাসী গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্তরা। সকাল থেকে যমুনা নদীতে স্নানোৎসবে পূর্ণ্যার্থীর ঢল নামে।

এদিকে, গঙ্গাঁস্নানকে কেন্দ্র করে মেলারও আয়োজন করা হয়। এ মেলায় বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবার, বাশঁ-বেতের আসবাবপত্র, মাটি ও প্লাস্টিকের তৈরি খেলনা, পুতুল, ঘোড়া, ট্রাক গাড়ি, হাড়ি-পাতিল, মাছের দোকান, চিড়া-মুড়ি, দইসহ দোকানিরা তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পুণ্যার্থী ও ভক্তরা এ উৎসবের ব্যবস্থাপনা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোর থেকেই পূণ্যা স্নানে উপজেলা ছাড়াও জেলা সদর, গোপালপুর, ঘাটাইল, কালিহাতী, মধুপুর, ধনবাড়ী, সখীপুর, বাসাইলসহ সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও সরিষাবাড়ী জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা নানা শ্রেণি পেশা ও বয়সী হাজারো ভক্ত ও পূণ্যার্থীরা আসে।

গঙ্গাঁস্নান করতে আসা পূণ্যার্থী ও ভক্তরা জানান- ভোর থেকে খানুবাড়ী সরা গাছের পাশে নদীর তীরে ভক্তদের আগমনে লোকারণ্যে পরিণত হয়। পুণ্যার্থীরা মনকে শুদ্ধি, পাপ মোচন, পবিত্রতা এবং মঙ্গল কামনা ও মনবাসনা পূরণ করি। এছাড়া মহাষ্টমীতে এখানে স্থানীয় লোকজনসহ দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ মেলা দেখতে আসেন।

আয়োজক কমিটির সভাপতি বাবলু হালদার জানান, ভোর থেকে যমুনা নদীতে গঙ্গাঁস্নান উপলক্ষে আমরা স্নানোৎসব কমিটি পূর্ণ্যাথীদের সেবা দিতে বিভিন্ন ক্যাম্প স্থাপন করছি। ক্যাম্প থেকে পূণ্যার্থীদের রান্না করা খাবার, স্নান ঘাটে কাপড় পাল্টানোর ব্যবস্থা ও বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করেছি। পুণ্যার্থীরা উৎসবের ব্যবস্থাপনা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়।

সর্বশেষ আপডেটঃ ৩০. মার্চ ২০২৩ ০১:৩০:এএম ২ বছর আগে
টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ; দুই ভাই গ্রেপ্তার - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ; দুই ভাই গ্রেপ্তার

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনায় দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নলুয়া গ্রাম থেকে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও মিরাজ ও সুমন নামের দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত ধর্ষক ভূঞাপুর পৌরসভার পলিশা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে ও টেপিবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিরাজ এবং তার বড় ভাই সুমন (২২)।

শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে চার জনের নামে ভুঞাপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

জানা গেছে, উপজেলার ওই স্কুলছাত্রীকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করতো তারই সহপাঠী মিরাজ। এক পর্যায়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বড় ভাই সুমন, ভাবি লাবণ্য ও চাচা মনিরুজ্জামানের সহায়তায় তাকে রাস্তা থেকে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) অপহরণ করা হয়।

এই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ স্কুলছাত্রীসহ মিরাজ ও তার ভাই সুমনকে গ্রেপ্তার করে।

স্কুল শিক্ষার্থী জানায়, একই বিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে মিরাজ আমাকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিতো। শুক্রবার মিরাজ ও তার ভাইসহ সকলের সহায়তায় আমাকে প্রথমে গাজীপুরের টঙ্গী এবং পরে সাভার তাদের আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। টঙ্গীতেই মিরাজের সাথে আমার বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে এক সাথেই আমরা সাভার ও গাজীপুরে থেকেছি। পরে নলুয়াতে আসলে পুলিশ আমাদেরকে ধরে থানায় নিয়ে আসে।

স্কুল শিক্ষার্থীর মা জানান, নাবালিকা মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করা হয়েছে। আমরা দরিদ্র পরিবার। পরে থানায় মামলা করলে পুলিশ অপহরণকারী মিরাজ ও তার ভাইকে গ্রেপ্তার করে এবং আমার মেয়েকে উদ্ধার করে। আসামিদের কঠোর শাস্তি দাবি করি।

ভূঞাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ জানান, থানায় মামলা দায়ের পর পুলিশ বিভিন্নস্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অপহরণকারীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধারসহ দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম জানান, মেয়েটিকে উদ্ধারসহ জড়িত দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই স্কুল ছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ২২ ধারা জবানবন্দির জন্য টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, এদিকে গ্রেপ্তারকৃত দুই ভাইকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ১২. অক্টোবর ২০২২ ০১:৫০:এএম ২ বছর আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।