একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে দশম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মাহবুবুর রহমান এ রায় দেন। ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর ভরণপোষণ রাষ্ট্র বহন করবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
দন্ডিত যুবক শহীদুল ইসলাম খোকন (২৩)। তিনি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার শেখ শিমুল গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আলী আহমেদ জানান, ভিকটিম ঘাটাইল উপজেলার স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ১০ম শ্রেনির শিক্ষার্থী। দন্ডিত শহীদুল ইসলাম খোকন ভিকটিমের প্রতিবেশি চাচাতো ভাই। সেই সুযোগে খোকন ভিকটিমের বাড়িতে ও মাদ্রাসায় যাওয়া আসার পথে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। সেই সর্ম্পকের সূত্র ধরে ২০২১ সালের ১ অক্টোবর বিয়ের আশ্বাস দিয়ে খোকন নিজের বাড়িতে নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।
তিনি জানান, এরপর সুযোগ পেলেই দন্ডিত খোকন ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি ছাত্রীর পরিবারের লোকজন জানতে পারলে স্থানীয়ভাবে বিচার সালিসের ব্যবস্থা করা হয়। তখন খোকন তাকে বিয়ে করবে এবং ওই অনাগত সন্তানকে স্বীকৃতি দিবে বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে খোকন মাদ্রাসা ছাত্রীকে বিয়ে না করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, পরে ওই ছাত্রীর মামা ছানোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২০২২ সালের ২০মে ঘাটাইল থানায় শহীদুল ইসলাম খোকনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা না নেওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। পরে ওই ছাত্রী পুত্রসন্তান জন্ম দেন। ডিএনএ পরীক্ষায় আসামি খোকন ওই শিশুর জৈবিক পিতা বলে প্রমানিত হয়। তদন্ত শেষে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদনপত্র জমা দেন। পরে এই মামলায় নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় শহীদুল ইসলাম খোকনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় বিচারক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আলী আহমেদ। সহযোগিতা করেন সহকারি সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রহিম ও মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস। এ মামলায় আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ইলিয়াস খান পারভেজ।
একতার কণ্ঠঃ নবম দফায় বিএনপি’র হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলায় মহাসড়কের পাশে রাখা বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে বাসটির অধিকাংশ পুড়ে গেলেও কোনো হতাহত হয়নি।
সোমবার(২৭ নভেম্বর )রাত সাড়ে ১১টা দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ডুবাইল ইউনিয়নের নাটিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বাসটি টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে মির্জাপুর ও সখিপুর রোডে যাতায়াত করে থাকে। মাঝে মাঝে মির্জাপুরের বিভিন্ন গার্মেন্টসের কর্মীদেরও নিয়ে আসা যাওয়া করে বাসটি।
তিনি আরও জানান,সোমবার পোশাক কর্মীদের নামিয়ে বাসটি নাটিয়াপাড়া মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখাছিল। পরে হঠাৎ রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসে ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা হেলপার বাবলু মিয়া আগুন দেখতে পান।”
তার চিৎকারে আশেপাশে থাকা মানুষরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বাসের হেলপার বাবলু মিয়া বলেন, “মহাসড়কের পাশে বাস দাঁড় করিয়ে রেখে আমি ঘুমিয়ে যাই। কিছুক্ষণ পরে দেখি বাসের পিছনে আগুন।”
দেলদুয়ার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার রাসেল মিয়া বলেন, “স্থানীয়রা সংবাদ দিলে আমরা ১৫ মিনিটের মধ্যে এসে বাসটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। বাসে শুধু হেলপার ছিলেন, তিনি আগুন দেখেই বের হয়ে আসেন তাই কোনো হতাহত নেই।”তবে বাসের ভেতর অনেকাংশই পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
ওসি মোস্তাফিজুর বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে, নাশকতা সৃষ্টির জন্য বাসটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
একতার কণ্ঠঃ আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে ২০ নভেম্বর দেওয়া জামিন বাতিল করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তথ্য গোপন করে জামিন নেওয়ার বিষয়টি নজরে আসায় রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
তিনি জানান, গত ২৩ আগস্ট বিচারিক আদালতে ছয় মাসের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। এই অবস্থায় তথ্য গোপন করে ২০ নভেম্বর হাইকোর্টে জামিন পান সহিদুর রহমান। এরপর ২২ নভেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান। বিষয়টি নজরে আসায় মামলাটি আবার হাইকোর্ট বিভাগের কার্যতালিকায় আসে। রবিবার আসামি সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে গত ২০ নভেম্বর দেওয়া জামিন বাতিল করে তাকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া তথ্য গোপন ও নোটিশ নিয়ে তার আইনজীবী এম এ মুস্তাকিম ও মো. জাকারিয়া হাবিবকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করেছেন আদালত।
মুক্তি এ মামলার আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই। তার বাবা আতাউর রহমান খান এ আসনের বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য।
দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান মুক্তি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়।
এ ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যার সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে।
এরপর অভিযুক্তরা আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। আমানুর রহমান খান রানা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় তিন বছর হাজতবাসের পর তিনি জামিন পেয়ে মুক্ত আছেন।
গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তিকে জামিন দেন টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ মাসুদ পারভেজ। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারি তার অন্তর্বর্তী জামিন বাতিল করেন।
এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। গত বছরের ২৭ এপ্রিল হাইকোর্ট মুক্তিকে জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে। পরদিন ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ।
পরে হাইকোর্টে রুল শুনানি হয়। গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানি শেষে তার জামিন আবেদন খারিজ হয়। এরপর টাঙ্গাইল জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন মুক্তি। একই বছরের ২৪ অক্টোবর তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়। পরে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার আসামি টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তির জামিন স্থগিতের বিষয়ে শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মতি বেঞ্চে পাঠিয়েছেন চেম্বার জজ আদালত। এ বিষয়ে আগামী সোমবার (২৭ নভেম্বর) শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদলত এই আদেশ দেন। আদালতে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে তিনি জামিন পান। জামিন আদেশ কারাগারে পৌঁছালে বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
চেম্বার জজ আদালতে বৃহস্পতিবার শুনানির সময় জজ জানতে চান আসামি বের হয়ে গেছেন কি না। রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, তিনি বুধবার দুপুরে বের হয়ে গেছেন। পরে চেম্বার জজ বলেন, যেহেতু বের হয়ে গেছেন সোমবার এটি আপিল বিভাগে থাকবে।
এর আগে সহিদুর রহমান খান হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে জামিন আবেদন বিচারাধীন থাকার তথ্য গোপন করে আরেকটি বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন। গত ১৯ জুলাই করা জামিন আবেদনের ওপর শুনানির সময় বিষয়টি নজরে আনার পর আদালত জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিলেন মুক্তি। চেম্বার আদালত আবেদনটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠান।
পরে আপিল বিভাগ গত ২৭ আগস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলার বিচারকাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেন। এর মধ্যে গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে সহিদুর রহমান খান মুক্তি জামিন পান। ওই আদেশ কারাগারে পৌঁছালে বুধবার তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
সহিদুর রহমান এই মামলার অন্য আসামি টাঙ্গাইল-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ভাই। তার বাবা আতাউর রহমান খান একই আসনের সংসদ সদস্য। দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর রহমান খান আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান ও তার অন্য তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় পুলিশের হেফাজতে সুমন মিয়া (২৬) নামের এক ট্রাকচালকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে থানায় ট্রাকের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। থানা থেকে হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত সুমন মিয়া ঘাটাইল উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের জামুরিয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে তাঁর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে ঘাটাইল পৌরসভার কলেজ মোড় এলাকায় মাটিভর্তি দুটি ট্রাক জব্দ করে পুলিশ। ঘাটাইলের সাগরদিঘি এলাকা থেকে মাটি নিয়ে যাচ্ছিল ট্রাক দুটি। চালকসহ ট্রাক দুটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টার পর জব্দ করা ট্রাকের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় ট্রাকচালক সুমন মিয়া হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে চেয়ার থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শহিদুল ইসলাম জানান, ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।
জামুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম খান জানান, খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে গিয়ে সুমনের লাশ দেখতে পান। কী কারণে, কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লোকমান হোসাইন জানান, বালুভর্তি দুটি ড্রামট্রাক জব্দ করে থানায় আনার পর কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার সময় চেয়ারে বসা ট্রাকচালক সুমন মিয়া অসুস্থ বোধ করেন। একপর্যায়ে তিনি চেয়ার থেকে মাটিতে ঢলে পড়েন। দ্রুত তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে তাঁর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা হয়েছে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখায় গ্রাহকের সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সাবেক ম্যানেজার শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় মাইকিং করায় ব্যাংকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা একত্রিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছেন।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে সোনালী ব্যাংকের অর্ধশতাধিক গ্রাহক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। পরে কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে। এতে নেতৃত্ব দেন গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান দুলাল হোসেন চকদার।
এরআগে রবিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে গোবিন্দাসী এলাকায় মাইকিং করে একত্রিত হওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারমান দুলাল হোসেন চকদারের গরুর ফার্মে আসার আহ্বান জানান। এদিকে এলাকায় মাইকিং করার ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার জন্য পুলিশি নিরাপত্তা চাওয়ায় সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখার সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জানা যায়, অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম ম্যানেজার হিসেবে সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখায় ২০২০ সালে যোগদান করে। এরপর দীর্ঘ ৩ বছর ২ মাস সেখানে কর্মরত ছিলেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে তথ্য প্রযুক্তিতে মেধাসম্পন্ন শহিদুল ইসলাম কৌশলে ব্যাংকের ১৩০ জনের সঞ্চয়পত্রের টাকা লুজ চেকের (জরুরি উত্তোলনের জন্য একক পাতা) মাধ্যমে অন্য অ্যাকাউন্টে ৫ কোটি ১১ লাখ টাকা সরিয়ে নেন। এছাড়া উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের হতদরিদ্রদের ভাতার ৬ লাখ ৮১ হাজার টাকাও গায়েব করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম তার বড় ভাই মহির উদ্দিন তালুকদার এগ্রো ফার্ম, কালিহাতী উপজেলার আদাবাড়ি গ্রামের খালেদা বেগম ও তার বন্ধুদের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা আত্মসাৎ করেন। টাকা আত্মসাতের অপরাধে ইতোমধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করেছে।
ভুক্তভোগী গ্রাহকরা বলেন, দীর্ঘদিন হয়েছে ব্যাংকের তৎকালীন ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম ৫ কোটির বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এখনও কেউ টাকা ফেরত পাচ্ছি না। ওই ম্যানেজারও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা টাকা ফেরত দেওয়াসহ ম্যানেজারের শাস্তির দাবি করছি।
অভিযুক্ত ম্যানেজার শহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান দুলাল হোসেন চকদার বলেন, গ্রাহকদের একত্রিত হওয়ার জন্য এলাকায় মাইকিং করা হয়েছিল। টাকা না পেয়ে গ্রাহকরা হতাশ। সকল গ্রাহক গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। তিনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখা ম্যানেজার ফিরোজ আহম্মেদ জানান, এলাকায় মাইকিংয়ের ঘটনায় ব্যাংক অনিরাপদ হওয়ায় নিরাপত্তা চাওয়া হয় পুলিশের কাছে। পরে ব্যাংকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলাল হোসেন বলেন, গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখবো।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মিনহাজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
শিক্ষাবোর্ড থেকে তিন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২ হাজার ১৪০ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও এই বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত আরও ২ হাজার ৫’শত টাকা নেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে দরিদ্র শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন।
তবে সহকারি প্রধান শিক্ষক মিনহাজ উদ্দিনের দাবি, ভালো ফলের জন্য কোচিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ফরম পূরণের সময় শিক্ষাবোর্ড নির্ধারিত টাকার অতিরিক্ত ২ হাজার ৫’শত টাকা কোচিং ফি বাবদ নেয়া হয়েছে। এছাড়া কোন বেতন নেওয়া হয়নি।
জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নে অবস্থিত মগড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ফরমপূরণ করেছে মোট ১০৪ জন শিক্ষার্থী। এবছর এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া যাবে সেটি নির্ধারণ করে দিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য বোর্ড ফি ১ হাজার ৬২৫ টাকা ও কেন্দ্র-ফি ৫১৫ টাকাসহ মোট ২ হাজার ১৪০ টাকা। বাণিজ্য বিভাগ ও মানবিক বিভাগের প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ড ফি ১ হাজার ৫৩৫ টাকা ও কেন্দ্র-ফি ৪৮৫ টাকাসহ মোট ২ হাজার ২০ টাকা হারে নির্ধারণ করে গত ১৭ অক্টোবর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ফরম পূরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে কোনোভাবেই অতিরিক্ত ফি নেওয়া যাবে না উল্লেখ করা হলেও মগড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে ৪ হাজার ৭০০ টাকা রশিদ ছাড়াই নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানায়, ৫ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে এসএসসি ফরম পূরণ করতে হয়েছে। মেয়ে বাড়ি গিয়ে জানিয়েছে, এ টাকা না দিলে নাকি ফরম পূরণ করতে দেওয়া হবে না। তাই কি করমু ডাবল টাকা দিয়ে ফরমপূরণ করতে বাধ্য হয়েছি। এভাবে কি সন্তাদের লেখাপড়া করানো সম্ভব?
তারা আরও জানায়, ফরম পুরণের সময় দুই বছরের বেতন বাবদ ৬০০ ও ৩ মাসের কোচিং ফি বাবদ ২৫০০ টাকা আগে পরিশোধ করতে হয়েছে। এরপর ফরমপূরণের টাকা নিছে।
মো.রফিকুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক জানান, আমার সাথে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির ছোট ভাইয়ের সাথে সখ্যতা থাকায় ৩ হাজার ১’শত টাকা দিয়ে মেয়ের ফরমপূরণ করেছি।
তিনি আরও জানান, আমাদের এলাকায় বেশিরভাগ লোক কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। তাদের জন্য ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা দিয়ে ফরমপূরণ করা খুবই কষ্টের ব্যাপার।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুলের নবম শ্রেনীর দুই শিক্ষার্থীকে দিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক মিনহাজ উদ্দিন তার নিজের রুম পরিষ্কার করাচ্ছেন।
বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের স্কুলে গত দুই বছর যাবত আয়া নেই। তাই শিক্ষার্থীদের দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠ ক্লাসরুম আর অফিস পরিষ্কার করানো হয়।
বিদ্যালয়ের একাধিক সুত্র জানায়, প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম গত কয়েক বছর যাবত শারিরীকভাবে অসুস্থ থাকায় সহকারি প্রধান শিক্ষক মিনহাজ উদ্দিন ও অফিস সহকারী আমীর হোসেন মিলে বিদ্যালয়ে নানা অনিয়ম ও শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছেন। তারা দুজনেই স্থানীয় হওয়ায় বিদ্যালয়ে অন্য শিক্ষকরা প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না।
সুত্র আরও জানায়, এবারের মোট এসএসসি পরিক্ষার্থী সংখ্যা ১০৫জন। এর মধ্যে অনিয়মিত পরিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৭ থেকে ৮জন। শুধু নিয়মিত পরিক্ষার্থীরাই কোচিং ফি বাবদ টাকা জমা দিয়েছে।
মগড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মেনহাজ উদ্দিন বলেন, ছাত্রীদের ভালো ফলের জন্য কোচিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ফরম পূরণের সময় শিক্ষাবোর্ড নির্ধারিত টাকার অতিরিক্ত ২ হাজার ৫’শত টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। সরকারিভাবে কোচিং নিষিদ্ধ হলেও কিভাবে তারা সেটি করাচ্ছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ভালো ফলাফলের জন্য বেসরকারি স্কুল গুলো কোচিং এর আয়োজন করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, সরকার নির্ধারিত টাকার বাহিরে অতিরিক্ত টাকা শুধু আমরাই নিচ্ছি না,অনেক বিদ্যালয়ই নিচ্ছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক এর মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান-বিন-মুহাম্মাদ আলী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা জানান, বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট তথ্য প্রমান পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলার বাদী কলেজছাত্রী আফরোজ মির্জা এশা’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত সৌরভ পাল টাঙ্গাইল পৌরসভার থানাপাড়া এলাকার শ্যামল পালের ছেলে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সৌরভের সঙ্গে নিহত বাদী এশার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।
রবিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আব্দুস ছালাম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার রাতেই নিহত কলেজছাত্রী এশা মির্জার বড় বোন লুনা মির্জা বাদী হয়ে সৌরভকে প্রধান ও তার আপন বড় ভাই জনি মির্জার নামে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, শনিবার রাতে আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে এশা মির্জার বোন লুনা মির্জার আপন ভাই জনি মির্জা ও সৌরভ নামের একজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রবিবার ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। গ্রেপ্তারকৃত সৌরভ পালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় নিহত এশা মির্জা বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় এশা ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্তা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। পরে ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয় ওই কিশোরী।
এশার দায়ের করা ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির বর্তমানে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত রয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনে আগুনের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আমিনুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফ বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ভোর রাতে টাঙ্গাইল ঘারিন্দা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কমিউটার ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রেনের তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় টাঙ্গাইল রেলস্টেশন সহকারী মাস্টার তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে মামলা দায়ের করেন।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের বড় ভাই গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাকারী কলেজ ছাত্রী এশা মির্জার (২২) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর )দুপুরে করের বেতকা এলাকায় তার নিজ বাসার ৩য় তালা থেকে এশার মরদেহ উদ্ধার করা করে পুলিশ।
নিহত আফরোজ মির্জা এশা টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের করের বেতকা গ্রামের লতিফ মির্জার মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শরফউদ্দিন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুরে নিজ বাসার রুমের ভিতর শার মির্জার শিশু পুত্রের কান্না শুনতে পায় স্থানীয় তনিমা আক্তার নামের এক নারী। পরে আশপাশের লোকজনকে জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এবিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, আলোচিত ধর্ষণ মামলার বাদি মির্জা আফরোজ এশা তার তিনতলা বাসার নিজরুমে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধারের কার্যক্রম চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল রাতে অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় এশা টাঙ্গাইল সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনির ও তার স্ত্রী নিগার আফতাবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
সম্প্রতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির উচ্চ আদালতে জামিন নিয়ে কারামুক্ত হয়েছেন।
একতার কণ্ঠঃ:টাঙ্গাইলে ঘারিন্দা রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ সময় জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নাশকতার জন্য ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল ঘারিন্দা স্টেশনে গিয়ে আগুন লাগা টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেন পরিদর্শন করেছে পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে রাত ৩টার দিকে দাঁড়িয়ে থাকার ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতিকারীরা। যদিও এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ঘারিন্দা স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে পঞ্চগড়গামী একটি ট্রেন স্টেশনে থাকায় কমিউটার ট্রেনটি দেখা যাচ্ছিল না। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশন ত্যাগ করার পরেই আগুনের ধোয়া দেখতে পায় স্টেশনে থাকা রেল কর্তৃপক্ষ। পরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়ার পর প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
টাঙ্গাইল রেলস্টেশনের বুকিং মাস্টার সেলিম জানান, বুধবার সকাল সাতটা থেকে টাঙ্গাইল ঘারিন্দা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি। বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা এতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ট্রেনের দুটি বগি পুরোপুরি ও একটি বগির আংশিক পুড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ইদ্রিস আলী জানান, আগুনের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। এ সময় ট্রেনের দুইটি বগির সিট, ফ্যানসহ পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া একটি বগির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি নাশকতা।
পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় মহাব্যবস্থাপক শাহ সুফি নূর মোহাম্মদ জানান, এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত নাশকতা।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার জানান, নাশকতা করার জন্য ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন যাবৎ অবরোধ চলছে। অবরোধে নাশকতা এড়াতে আগে থেকেই আনসার পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় নিয়োজিত ছিল। বুধবার দিবাগত রাতে দুষ্কৃতিকারীরা ট্রেনে আগুন দিয়েছে। এতে দুইটি বগি পুরোপুরি পুড়ে গেছে এবং একটি বগির আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এটি একটি নাশকতা। এই ব্যাপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মামলা করবে। আমরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা কমিউটার ট্রেনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের দুটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে টাঙ্গাইল থেকে ঢাকাগামী কমিউটার ট্রেনটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ ইদ্রিচ বলেন, রাত ৩টার দিকে খবর পেয়ে স্টেশনে গিয়ে ট্রেনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ট্রেনের ইঞ্জিনের কাছাকাছি দুটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কমিউটার ট্রেনটি টাঙ্গাইল টু ঢাকা অভিমুখে স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, রাত ৩টায় পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রেন টাঙ্গাইল স্টেশন ত্যাগ করার পর আগুন লাগে। আগুনের সূত্রপাত তদন্ত শেষে জানা যাবে।
ঘারিন্দা রেলস্টেশনের বুকিংমাস্টার সেলিম মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাত ৩টার দিকে ঘারিন্দা রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটির তিনটি বগিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে এক ঘণ্টার মতো চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি কেউই।