সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪

টাঙ্গাইলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা - Ekotar Kantho

টাঙ্গাইলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইলে নাগরপুর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগে সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ ১২৯ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম পশুপতি বিশ্বাস মামলাটি আমলে নিয়ে নাগরপুর থানাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এ মালেক আদনান।

মামলার বাদী মো. মনির হোসেন ঢাকার ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এর আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তিনি নাগরপুর উপজেলার কলমাইদ গ্রামের নুরু মল্লিকের ছেলে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে আদালত থেকে জানানো হয়, বিচারক মামলাটি নাগরপুর থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় আহসানুল ইসলাম টিটুর ভাই মজিবল হক পান্নাসহ ১২৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই নাগরপুর কলেজ গেইট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও তার ভাই মজিবল হক পান্নার নির্দেশে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র, দা-কুড়াল ও লাঠিসোঁটাসহ বিভিন্ন দেশি অস্ত্র নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়।

সেই সময় আসামিদের ছোড়া ফাঁকা গুলি এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। এতে বাদীসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

আইনজীবী মালেক আদনান জানান, দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারাসহ দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করা হয়েছে। শুনানির দিন বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে মামলাটি নথিভুক্ত করতে নাগরপুর থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৩৬:এএম ৫ দিন আগে
পদত্যাগে বাধ্য হলেন টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ - Ekotar Kantho

পদত্যাগে বাধ্য হলেন টাঙ্গাইল প্রি-ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ

একতার কণ্ঠঃ টাঙ্গাইল শহরের প্রি ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ হওয়া আবু সাঈদের ছবি দেয়ালে আর্ট করায় শিক্ষককে পায়ে ধরে উঠবস করা, অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগে পদত্যাগে বাধ্য হলেন প্রি ক্যাডেট স্কুলের অধ্যক্ষ শাহানা বেগম।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্দোলনকারী শিক্ষক অভিভাবকদের চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন তিনি।

এর আগে গত পরশু স্কুলে একজন নারী অভিভাবক হিজাব পরে স্কুলে এলে তাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন অধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম। এ থেকেই শুরু হয় অভিভাবকদের আন্দোলন। ওই দিনই অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় স্কুলের শিক্ষকের অপমান অপদস্ত ও শহীদ আবু সাইদের ছবি অংকনকারী শিক্ষক মানববন্ধনে অংশ নেয়। এতে করে অধ্যক্ষ শাহানাজ ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেন।

পরে আন্দোলনকারীরা জেলা প্রশাসক বরাবর অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করে একটি স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসক তদন্ত কমিটি করে সময় নেয়। সকালে অধ্যক্ষ স্কুলে আসায় আবার অভিভাবকরা আন্দোলন শুরু করেন। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে তাকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নিয়ে যায়। পরে আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন তিনি।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪২:এএম ৫ দিন আগে
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৯ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার - Ekotar Kantho

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৯ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

একতার কণ্ঠঃ প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের দায়ে টাঙ্গাইলের সন্তোষে অবস্থিত মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে জানানো হয় এ তথ্য।

অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিশেষ ছাত্র সংগঠনের প্রতিহিংসামূলক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে গত ২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের ২৪৭তম জরুরি সভার অনুমোদনক্রমে ১৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। তাদের চলতি সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাসহ সকল প্রকার একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও হলে অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সাময়িক বহিষ্কৃত ও ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত শিক্ষার্থীরা হলেন, ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইএসআরএম বিভাগের শিক্ষার্থী মানিক শীল, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী হুমায়ুন কবির ও শাওন ঘোষ, সুজন মিয়া, নাইম রেজা, খালেকুজ্জামান নোমান, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিক ইকবাল, রায়হান আহমেদ শান্ত ও আনোয়ার হোসেন অন্তর, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান মারুফ, শাখাওয়াত আহমেদ শুভ্র ও আব্দুল্লাহ সরকার উৎস, ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান, রিফাত হোসেন, সিপিএস বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ রাজু, ইমরানুল ইসলাম, রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রানা বাপ্পি ও যোবায়ের দৌলা রিয়ন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এআরএম সোলায়মান জানান, এর আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি পরে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় বিভিন্ন বিভাগের ওই ১৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করে।

তিনি আরও জানান, এটি সাময়িক ব্যবস্থা। প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে যথাসময়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ আপডেটঃ ০৪. সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:০৯:এএম ৫ দিন আগে
কপিরাইট © ২০২২ একতার কণ্ঠ এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি ।